Monday, February 27, 2012

How To Disable Timeline On Facebook


How To Disable Timeline On Facebook


Here I have showed you the ways to disable TimeLine feature in FaceBook.


This is a Trick, only u cant see the timeline! But others can see your timeline. It is not official Disabling. If you need to option to disable official by Facebook, Better send mail to MARK Zuckerberg regarding this issue. I know you can’t, So better read below if you need to know the trick to disable the timeline in your browser.  

Few weeks back Facebook started updating Timeline feature for all users. Some people don’t like this new Facebook Timeline Feature. There is no Option to Go back to Old Profile Layout. Most of the people Mailing us regarding “How to Disable the Timeline” so we came up with this post. Before that You should know its not the permanent solution and it only works in your browser, because we are going to do simple trick in your browsers. So others can view your timeline, but u can’t able to view Timeline.  

How this Trick Works:  

Facebook Time line is Not compatible with Older browsers like Internet Explorer 7, So if you are using Old browsers, you can’t view timeline in your profile. If you are using upgraded Versions, you have to change the Compatibility to Older browser. You have to undo the steps which you are going to do for this step to make the browser works like Latest version.  
This Trick yet works only with Google Chrome and Mozilla Firefox browsers.  
How To Disable Timeline in Google Chrome:  

Step 1:  
Go to your Desktop and find the Google Chrome icon, where you launch your Google Chrome Browser.  

Step 2:  

Right Click the Chrome icon and Select Properties. It will open Properties Dialogue box.  

Step 3:  

In the Properties Dialogue Box, You can see the TARGET Text box which has URL to Launch Google Chrome. Now you should Copy and paste the Following Code in that Target Text box after ‘chrome.exe’ (Note: leave space after chrome.exe and paste the code).  

Code:  

Code is Only for Windows 7 and Windows XP users. Not tired in Vista or any other Operating Systems. (Try and Let me know it is working or not.)
For Windows 7  
–user-agent=”Mozilla/4.0 (compatible; MSIE 7.0; Windows NT 6.0)”  
For Windows XP  
–user-agent=”Mozilla/4.0 (compatible; MSIE 7.0; Windows NT 5.1)”  
Example:  
C:\Users\Wolverine\AppData\Local\Google\Chrome\Application\c
hrome.exe –user-agent=”Mozilla/4.0 (compatible; MSIE 7.0; Windows NT 6.0)”  
Now Click Apply and OK.  
Then Open the Google Chrome from the Desktop Icon where u changed the Code. Open Facebook, Login and Enjoy the Old Profile Layout.  
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::;;

How To Disable Timeline in Mozilla Firefox:  

Step 1:  

Open your Firefox and go to Add-on screen.  

Step 2:  

Search for “USER AGENT SWITCHER” , If you can’t able to find the addon, You just go to this link https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/
user-agent-switcher/ and Install the Add on and Restart the Firefox.

Step 3:  

After Installing, check User Agent Switcher button is available in Navigation bar, if not Just Right Click on the Navigation bar and Click customize and drag & drop the User Agent Switcher add-on to the Navigation bar.  

Step 4:  

Click the User Agent Switcher Button in the Navigation bar and Choose INTERNET EXPLORER 7. Now Go to Facebook and See your Old Facebook profile layout, not the timeline.



source: Internet & technology forums











Tags: disable timeline, disable timeline profile, stop timeline , delete timeline, timeline

e style ban, ban timeline, block tim Tags: disable timeline, disable timeline profile, stop timeline , delete timeline, timeline style ban, ban timeline, block timeline.
eline.




Friday, February 3, 2012

কল্পলোকের কল্পকথা [ Collection of Love Stories -21]


কল্পলোকের কল্পকথা

রাসেল।। ভার্সিটিতে পরিচয়। অনেক ভাল মনের একটা ছেলে। আর ভাল মনের মানুষজন তার চারপাশের মানুষগুলোকে খুব সহজে আপন করে নেয় এবং তাদের মধ্যে ভালোর বীজ বপন করে দেয়। সেই ক্ষেত্রে তার আশে-পাশের মানুষগুলোকেও ভাল বলা যায়। এই সূত্র ধরলে আমিও ভাল মানুষের কাতারেই পরি। কারনটা বলতে গেলে,রাসেল ছিল আমার ভার্সিটি লাইফের সব চেয়ে কাছের বন্ধু। অর সাথে আমার লাইফের এমন কোন অধ্যায় নেই,যা শেয়ার করা হতো না। অর ক্ষেত্রেও একই, অর জীবনের প্রতিটি ঘটনার সাথে আমি পরিচিত।


আজ চার বছর পর শপিং করতে গিয়ে হঠাৎ ই অর সাথে দেখা হয়ে যায়। সাথে ছিল ভাবী আর একটা ফুটফুটে মেয়ে, অবিকল পুতুলের মত। তাই হয়ত সখ করে বাবা-মা পুতুলের মত মেয়েটির নাম রেখেছে পুতুল। অনেক আহ্লাদ করে তাকে, রাসেলের মুখ থেকে পুতুল-সোনা নামে ডাকতে শুনলাম। কত আদর করেই না বাবা-মা তাদের সন্তানদের ডাকে। হয়তো সন্তানরা তা উপলব্ধিও করতে পারে না।


৪ বছর আগে ফিরে গেলাম এক পলকেই।।। সদা হাসি-খুশি থাকা রাসেলটা কেমন যেন ক্লাসে গোমড়া মুখ করে বাসে থাকত। কাউকে কিছুই বুঝতে দিত না। কেন যেন অকে অনেক বেশি চিন্তিত লাগছিল কিছুদিন যাবত। তাই আমি আর দেরী সয়তে পারলাম না। অই পিরিয়ড শেষ হতেই কেফের সামনে নিয়ে অর কাছে কি হয়েছে অর,তা জানতে চাইলাম। ও নাছোড় বান্দা কিছুতেই মুখ খুলতে রাজি না। এই অজুহাত, সেই অজুহাত দেখিয়ে প্রসঙ্গটা পাল্টাতে চাচ্ছিলো। আমিও কম যাই না। আমার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেলো, আমি বললাম দোস্ত,ঠিক আছে বলতে হবে না। যাইরে দোস্ত,তোকে অনেক আপন ভাবতাম, কিন্তু আসলে আমি মানুষ চিনতে ভুল করি। এই বলে যেই, পা বাড়ালাম সামনের দিকে, তখনই পিছন থেকে রাসেলের ডাক, এই তুষার কোথায় যাচ্ছিস,দাঁড়া বলছি। আমি তো মহা খুশি। ভাবলাম আমার ডোজে কাজ হয়েছে। আমি অনেকটা মন খারাপের ভান করে দাঁড়িয়ে রইলাম। পাশে এসে রাসেল আমাকে একটা ঘুসি দিয়ে বলল, আমার না বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ কলির সাথে। আমি অকে ফিরতি একটা ঘুসি দিয়ে বললাম,এই খুশির খবর বলতে তোমার এত গা জ্বলে কেন? বজ্জাত ছেলে। দাঁড়া সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি। এই বলে দিলাম একটা দৌড় ক্লাসের দিকে। আর পিছন থেকে রাসেল চিৎকার করে বলতে লাগলো, খবরদার কাউরে বলবি না। তাহলে কিন্তু আমার ইজ্জতের ফালুদা হয়ে যাবে।


সেই বছরের অক্টোবর মাস।।। লেভেল-৪ এর টার্ম-২ শেষ হল, কিছু দিনের জন্য হলেও পড়ালেখা স্তগিত। বাকী পড়ালেখা দেশের বাইরে থেকে করতে হবে। রাসেলকে ইদানীং খুব বেশি রকম উৎফুল্ল দেখাচ্ছে। সামনেই যে অর বিয়ে, তাও আবার অর ভালবাসার মানুষটার সাথে।


কলির সাথে রাসেলের দীর্ঘ ৪ বছরের প্রেম। ভার্সিটির প্রথম লেভেল থেকেই অর সাথে কলির সম্পর্ক। কলি হোমইকোনমিকস কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র। আর রাসেল যেহেতু বুয়েটে পড়ে তাই তাকে আজিমপুরে শিফট করতে হয়। কলিদের বাসা আর রাসেলদের বাসা কাছাকাছি হওয়াই প্রায়ই অদের দেখা হতে থাকে, এর পর তা ভাললাগা থেকে কবে যে ভালবাসায় রুপ নেয় তা কারোরই জানা নেয়।


জানুয়ারি মাস।।। জোরে সোরে বিয়ের শপিং করা শুরু হয়ে গেছে। রাসেলের তো দেখা পাওয়াই যেন, আকাশের চাঁদ কাছে পাওয়ার মত। বেচারা ব্যস্ততা আর কাজের চাপে একদমই শুকিয়ে যাচ্ছে। কলিকেও তেমন সময় দেয় নে শয়তানটা। একদিন কলি ফোন দিয়ে অর নামে কত অভিযোগ করল!!!


জানুয়ারি ৩০ তারিখ।।। আজিমপুরের ব্যস্ত রাস্তা ধরে হাটছিল কলি। কি এক কাজে যেন কলেজে আসতে হয়েছিল। বাসায় ফিরেছে, রাস্তা পাড় হতে গিয়েই বেচারির জীবনের সব চেয়ে কালো অধ্যায়ের সূচনা হল। কোত্থেকে যেন একটা মাইক্রো এসে ঠোকে দিয়ে গেল তাকে, আর সাথে সাথে তার ভাগ্যে রেখে গেল নির্মম কিছু পরিহাস।


ফেব্রুয়ারি ২ তারিখ।।। ঘুম ভাঙল কলির। ঘুম কিনা বলতে পারছে না। মাথায় প্রচণ্ড ব্যাথা। মাথা টা কোন মতে কাত করে তাকিয়ে দেখলো,তার হাত ধরে মা বসে আছে। মনে হচ্ছে জনম-জনম ধরে আগলে রেখেছে থাকে। মেয়ের চোখ খুলতেই মার মুখে হাসি ফুটে এলো। কলি কিছুতেই তার পা দুইটা নাড়াতে পারছে না। কি যেন তার পায়ে ভর দিয়ে রেখেছে। মনে হচ্ছে একটা পাহাড় সমান বোঝা তার পায়ে কেউ চেপে রেখেছে। ব্যাথাটা আরেকটু প্রখর হওয়াই আবারও ঘুমিয়ে পড়ল কলি।


ফেব্রুয়ারি ২,বিকাল ৫ টা।।। কলি বুঝতে পারল যে তার ভাগ্যে আর বিয়ে লেখা নেই। তার ডান পাটা ঐ দুর্ঘটনায় দারুন ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় হাটুর নিছ থেকে কেটে ফেলতে হয়। সে জানে যে,তাকে বাকিটা জীবন পঙ্গু হয়েই বাচতে হবে। চোখের কোটলি থেকে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পরতে দেখা গেলো।


ফেব্রুয়ারি ৪।।। রাসেলদের বাসা থেকে তার মা এসে কলিকে দেখে যায়। আর যাওয়ার সময় বলে যায়, রাসেল আর কলির বিয়ে হওয়া এখন আর সম্ভব না। এই বলেই রুমের বাইরে পা বাড়িয়ে চলে গেলো। কলি মার হাতটা অসহায়য়ের শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো। কিছু যেন তার মনটা বলতে চাচ্ছে, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছে না। হয়ত বলতে চাচ্ছে, মা এর চেয়ে মরে গেলেই হয়তো ভালো হতো।


ফেব্রুয়ারি ১৪।।। খুব সকাল রাসেল হসপিটালে। মা খাবার আনার বায়না করে বাইরে চলে গেছে। রাসেলকে দেখে কলি খুব খুশি হয়ে কান্না কান্না কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো, কেমন আছো তুমি? নতুন বউ দেখতে কেমন? নিশ্চয় অনেক রূপবতী। তোমার বিয়ে হয়ে গেলে না,নতুন বউটাকে আমার কাছে নিয়ে এসো, আমি অকে একটু আদর করে দিবো। সে না খুব বেশি লাকি হবে। আর শোন, তোমাকে না কখনই একটা কথা বলি নি, আর হয়তো বলার সুযোগ হবে নাহ, তুমি না অসম্ভব রকম ভাল একটা ছেলে,অনেক বেশি কেয়ারিং। তোমার বউটাকে সুখে রেখো। এই কথাগুলো বলতে বলতে গাল বেয়ে বেয়ে অশ্রুর ফোটা বেয়ে পরে বিছানা ভিজে গেছে। রাসেল এতক্ষণ পর মুখ খুলল, পাগলী তোমার কি সব কথা বলা শেষ? শেষ হয়ে গেলে তারাতারি উঠো, রেডি হতে হবে না? তুমি না রেডি হলে আমাকে বিয়ে করবে কে? তখন কিন্তু রাস্তা থেকে মেয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে হবে। রাসেলের কথাগুলো বুঝতে কলির মনে হয় একটু বেশিই সময় লেগে গেল। সে রাসেলকে বলল, এই তুমি কি আমাকে একটা বার চিমটি কাটবা? রাসেল তার পাগলীর গায়ে জোরে চিমটি কেটে বলল, কি স্বপ্ন দেখছো নাতো?


রাসেল তাকে গাড়ি করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে। আজ যে অদের বিয়ে। শক্ত করে রাসেল কলির হাতটি ধরে কানের কাছে ফিসফিস করে বলছে, মনে আছে পাগলী, তুমি বলেছিলে তোমার হাতটা কখনো না ছাড়তে, আমি না ছাড়ি নি। কখনো ছাড়বোও না। আই লাভ ইউ পাগলী।



অই তুষার, কি ভাবতেছিস? আচমকা রাসেলের কন্ঠ কানে আসলো। কিছু না দোস্ত। কেমন আছিস? -ভাল আছি রে। তুই কেমন আছস? -আমিও ভাল আছি দোস্ত। তোর তো কোন খবরই নাই। ভাবীকে নিয়ে কবে দেশে ফিরলি??? -এই তো দোস্ত খুব বেশি দিন না,মাস খানেক হবে। জানিস,তোর ভাবীর পা না ঠিক হয়ে যাবে, লেগ ট্রান্সপ্লান্টের মাধমে। আমার স্পেনের কিছু ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ হইছে। ওখানে নাকি প্রথমবারের মত সফল ভাবে লেগ ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হয়ছে। -হাসি ভরা মুখে আমি বললাম, অনেক খুশির খবর শুনালি দোস্ত। আর ভাবী আমি অত্যন্ত দুঃখিত এতক্ষণ আপনার সাথে কথা না বলার জন্য। কেমন আছেন ভাবী? -এইতো ভাইয়া,ভালো আছি। আপনি সময় পেলে কিন্তু বাসায় চলে আসবেন। আমাদের জন্য না হলেও আমাদের এই পুতুলটার জন্য হলেও অন্তত একবার আসবেন। -আচ্ছা ভাবী,অবশ্যই আসবো। আপনি না বললেও আসবো। পরে আবার যেন না শুনতে হয়, এত ঘন ঘন কেন আসি? :D -না ভাইয়া,তা কেন হবে, এই কথা কখনোই আপনাকে শুনতে হবে না, আসবেন কিন্তু বাসায়। -আচ্ছা ভাবী,আসবো। আর রাসেল শোন, ভাবীর আর তোদের পুতুলটার যত্ন নিস। যাই রে দোস্ত, পরে কথা হবে।


যেতে যেতে পেছনে ফিরে তাকালাম, রাসেল দিব্যি খুশি মনে হুইল চেয়ার ঠেলে ঠেলে বেরাচ্ছে, আর ভাবীজান এক দোকান থেকে আরেক দোকানে তার পুতুলটার জন্য জামা-কাপড় দেখেই যাচ্ছে।


[ একটি সত্য কাহিনী নিয়ে গল্পটি লিখা, তবে কিছুটা কাল্পনিকতার মিশ্রণে ]


উৎসর্গ- আমার ভার্সিটির বন্ধু রাসেলকে। ও অনেকদিন যাবত বলছিল, দোস্ত তুই তো লেখা-লেখি করছ, আমার নাম দিয়ে একটা গল্প লিখ না, আর পারলে মেয়েটার (নায়িকার) নাম দিস কলি। দিয়ে দিলাম দোস্ত। খুব বেশি সময় করতে পারি না তো, তাই লেখা-লেখি করার সখ থাকার সত্ত্বেও তেমন ভাবে করা হয়ে উঠে না। তবে এটা বলে রাখা ভাল যে গল্পের কাহিনিটা আমার বন্ধুর (রাসেলের) না, তা না হলে- পরে আবার অকে অনেক কথা শুনতে হতেও পারে ;)

লিখেছেন-ক্ষণিকের আগুন্তুক

গল্পটি নেয়া :     https://www.facebook.com/abegmoy.valobasha/posts/240361689377321 

¤¤ হঠাত্‍ স্বপ্নভঙ্গ ¤¤ [ Collection of Love Stories 20]


প্রথম তাকে দেখি একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে।খুব একটা সুন্দরী কিম্বা চরম র্স্মাট বললে ভুল হবে।ছিমছাম ও সিম্পল একটা মেয়ে।পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানে যেন মেয়েটার সন্ধানেই ছিল আমার চোখদুটো।দু একবার তার চোখে ধরা পড়ে গেলাম।ভয়ে আমি চোখ নামিয়ে ফেলি কিন্তু পরক্ষণেই তার মিষ্টিহাসি দেখে আমার জানে যেন পানি ফিরে আসল কিন্তু সে হাসি আজো ভুলতে পারিনি।সেদিন শুধু দেখাদেখিতেই সীমাবদ্ধ ছিল।

মূলত সেদিন থেকেই আমার এক অদ্ভুত সমস্যার সূত্রপাত।কোন কাজে মন বসছিলনা,আর পড়াশুনার কথা নাই বললাম।কারণে অকারণে কেবল মেয়েটিই আমার কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করতে লাগল।মেয়েটিকে নিয়ে নানারকম অদ্ভুত চিন্তাভাবনা করতাম যা আমার চিরাচরিত স্বভাবের সর্ম্পূণ বিপরীত।আমি একদিন কিছু না ভেবেই সেই আত্নীয়ের(যার বিয়ে ছিল)শরনাপন্ন হলাম।নাম সামিহা।ইন্টার র্ফাস্ট ইয়ারে পড়ে।তখন নামটা জগতের সবচে সুন্দর নাম বলে মনে হচ্ছিল।সে আবার ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আমার আত্নীয় হয়।

আমি স্বভাবতই মেয়েদের সাথে একটু দুরত্ব বজিয়ে চলি।তার উপর 'প্রেম' শব্দটা ছিল আমার অপরিচিত।ফলে আমার এ বিষয়ে তেমন কোন অগ্রগতি ছিলনা বললেই চলে।কিন্তু একদিন ঠিক করলাম তার কলেজে যাব কিন্তু দূর থেকে দেখব কারণ ছেঁচড়ামি কিম্বা বখাটেপনা কখনই সার্পোট করতামনা।সপ্তাহে কয়েকবার করে গিয়ে তার নিষ্পাপ মুখখানি দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে পূর্ণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করতাম কিন্তু সর্বদা একটা নিরাপদ দুরত্বে থাকার চেষ্টা করতাম।

এক বিকেলে ঘুম ভাঙল ফোনের আওয়াজে।চরম বিরক্তি সত্তেও ফোনটা রিসিভ করলাম:
>হ্যালো অঙ্কন বলছ?(মেয়ের কন্ঠস্বর)
>হুম বলছি।আপনি?
>আমি সামিহা।
শুনে আমি তো পুরা লাফ মেরে বিছানা থেকে উঠে পরলাম।আরেকটু হলে বিছানা থেকেই পড়ে যেতাম।তাও একটু ভাব দেখানোর জন্যেই বল্লাম:
>কোন সামিহা?আপনি আমার নাম্বারই বা পেলেন কই?
>(হাসি)তোমার ঢং দেখেত হেসেই মরি।আমার কলেজের সামনে ঘুরাফেরা কর আর এখন এত ভাব।
আমি বুঝলাম আর ভাব ধরে লাভ নাই তাই সরাসরি বললাম
>কেমন আছ?
>এইতো ছেলে লাইনে আসছে।
>হেসে বললাম,কিসের জন্য ফোন দেওয়া হল?
>এটা আমার নাম্বার।
সেদিনের মত সেখানেই শেষ।কিন্তু কেমন জানি নাম্বারটা হাজার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে লাগলাম।খুশিতে আমার যেন আর ঘুম হয়না।সেই থেকেই শুরু....

এরপর থেকে ৫০০sms চালাচালি,চ্যাটিং,কল করার মাধ্যমে আমাদের বন্ধুত্ব আরো গাঢ় হতে লাগল।প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে উইশ করা,খাবারদাবারের খবর নেয়া,একজনের সমস্যা অন্যকে জানানো,সুখদুঃখ শেয়ার না করলে যেন পেটের ভাত হজম হতো না।একদিন ওর ফোন না আসলে সেদিন আর মাথা ঠিক থাকতনা।এত গভীর বন্ধুত্ব থাকা সত্ত্বেও আমি ওকে মনের কথাটা বলতে পারতাম না যদি সে একসেপ্ট না করে বা যদি আমাদের এ বন্ধুত্বের অপমৃত্যু ঘটে।।

একদিন ও নিজ থেকেই ফোন দিয়ে বলল আমার সাথে দেখা করতে চায় কি জানি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।আমি ভাবলাম, এই সুযোগ, আজ ওকে বলবই যা থাকে কপালে।কিন্তু কেন যেন ওর সামনে পড়লেই আমি সব ভাষা হারিয়ে ফেলতাম।আজো তার ব্যাতিক্রম হলো না।সব কথা ওই বলতে লাগল।সত্যি বলতে ওর কথা শুনতে এত যে ভাল লাগছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।হঠাত্‍ করে ও বলল,একটা important কথা ছিল।বলতে লাগল,একটা ছেলেকে আমি পাগলের মত ভালবাসি কিন্তু সে বাসে কিনা জানি না।আমি ওর জন্য জীবনও দিতে পারব।একথা শুনার পর আমি অনুভূতিহীন হয়ে পড়লাম।তার কোনকথাই আমার কানে ঢুকছিলনা।শত চেষ্টা করেও নিজের অশ্রু রুখতে পারলাম না।পাছে ও দেখে ফেলে আমি ওকে বিদায় না জানিয়ে দ্রুত চলে এলাম।নিজেকে প্রতারিত মনে হতে লাগল।সেদিন রাতে ও হাজারবার ফোন করল কিন্তু রিসিভ করলামনা।কারণ জবাব দেবার কিছুই ছিলনা।রাত দুটোর দিকে মেসেজ আসল ওর মোবাইল থেকে।পড়ে আমার আক্কেল গুড়ুম। "আমার পুরো কথা না শুনে চলে এলে কেন?আরে গাধা আমার ভালবাসার পুরুষটা তুমি ছাড়া আর কেউনা ।" কিষ্ঞিত্‍ লজ্জা এবং ক্ষোভ নিয়ে তাকে ফোন দিলাম।কিন্তু তার সেই ট্রেডমার্ক হাসি শুনে আমার সব অভিমান কর্পূরের মত উবে গেল।

আমাদের ভালবাসা পুরোদমে চলছিল যাকে বলে in full swing.সামনে তার জন্মদিন।তাকে একটা সারপ্রাইজ না দিলেই নয়।ও সমুদ্র খুব পছন্দ করত।ঠিক করলাম ওর জন্মদিনে দুজন মিলে বীচে যাব।সারাদিন একসাথে কাটাব।যেই ভাবা সেই কাজ।জন্মদিনে তাকে প্রথম উইশটা আমিই করলাম।প্রথমে রাজি না থাকলেও আমার জোরাজুরিতে বীচে যেতে রাজি হল।দুজনে মিলে অনেক মজা করলাম।সারাদিন একসাথে কাটালাম।ফিরে আসতে মন চাইছিলনা।ঠিক করলাম রিক্সা নিয়ে বাড়ি ফিরব। ওইসময় বীচে প্রত্যেকদিনের মত কিছু ছেলে বাইক রেসিং খেলছিল।আমরা দুজন হাত ধরে বসেছিলাম আর গল্প করছিলাম।হঠাত্‍ একটা বাইক এসে যে পাশে ও বসে ছিল সে পাশে ধাক্কা দিল।

কিছু বুঝার আগেই দুজনি ছিটকে পড়লাম রাস্তায়।আমি চোখ খুলে দেখলাম আমার পাশে ওর সুন্দর মুখটা সম্পূর্ণ রক্তাক্ত।আমি হামাগুড়ি দিয়ে গিয়ে তার হাত ধরতে চাইলাম।স্পর্শও করলাম। কি শীতল সে হাত।আমি কখনই হাত ছাড়তাম না।কিন্তু এ পৃথিবীর মানুষ খুবই স্বার্থপর।কয়েকজন আমাকে ধরে জোর করে গাড়িতে তুলতে লাগল।এরপর কিছুই মনে নেই।কিছুই না...

যখন জ্ঞান ফিরল তখন আমি হাসপাতালে।চারদিকে ফিনাইলের তীব্র গন্ধ।স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই আমি ওর কথা জিজ্ঞাসা করলাম মায়ের কাছে।মা ফুঁপিয়ে কাদতে থাকে।আমার আর বুঝতে দেরি হল না কেন ওর হাত এত ঠান্ডা ছিল।

আমি একটুও কাঁদতে পারলাম না। এখনও পারিনা। কারণ এসবের জন্য যে আমি দায়ী।আমার ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে ওকে।নিজেকে অপরাধী মনে হয়।আমি ওকে বীচে না নিলে ও হয়ত বেঁচে থাকত।কখনও নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনা।মনে হয় কেন যে আমিও মারা গেলাম না।আবার মাঝে মাঝে মনে হয় এটা দুঃস্বপ্ন।একটু পর ওর ফোনে আমার ঘুম ভাঙবে।আর ও অভিমানী কন্ঠে বলবে:
>'আর কতক্ষণ ঘুমাবা...তাড়াতাড়ি ওঠে ফোন দাও...সারারাত কথা হয়নি...তোমার সাথে কথা না বলে থাকতে আমার কষ্ট হয়...'

আমার তখন চিত্‍কার করে বলতে ইচ্ছে করে:
>আমি আর কত রাত তোমার সাথে কথা না বলে থাকবো??? আমারো যে ভীষণ কষ্ট হয়....

লিখেছেন-ইমতিয়াজ মাহমুদ

গল্পটি নেয়া :     https://www.facebook.com/abegmoy.valobasha/posts/240482799365210 

আর একটা সূর্যোদয়......[ Collection of Love Stories -19 ]




ভালবাসার সফল পরিণতি সবাই চায় । যদি দুজন দুজনকে নিয়ে সুখী হতে পারে,ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতে পারে তাহলে বাবা মায়ের কি সমস্যা বুঝে উঠতে পারেনা সঞ্চিতা। সমপরিমাণ রাগ আর আবেগ নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে আর ভাবছে সঞ্চিতা । ধুর সব প্ল্যানই ভেস্তে দিল সে । ঠিকই বলেছিল তনয় । এখনি বাড়িতে জানানোর দরকার নেই।তনয়ের আগে একটা জব হোক, সঞ্চিতাকে নিয়ে তখনি সে তার বাবা মায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে । সঞ্চিতার বাড়িতে কোন সমস্যা না , ওর বড়আপু ওকে বিয়ে দিতে পারলেই বাঁচে । তারইবা দোষ কিসের । নিজের সংসারই এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেনি বেচারি । কিন্তুনা সঞ্চিতার জেদাজেদির জন্য এখন দুজনের প্রকাশ্যদিবালোকে দেখা করাই দায় হয়ে পড়বে । মনটা ভয়ানক খারাপ হয়ে গেল সঞ্চিতার ।

ঘটনার শুরু -

সঞ্চিতা যখন তনয়ের ছোট বোনের টিউটর হয়ে ওদের বাসায় যায় তনয় তখন ঢাকার একটি পরিচিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ফাইনাল ইয়ার এর ছাত্র । ওদের বাড়িতে ঢুকে সঞ্চিতা কোনদিন তনয়কে দেখতনা । শুধু চলে আসার সময় মাঝেমাঝে দুজনের ঢোকার পথে দেখা হত। তনয়ের মা সঞ্চিতাকে যথেষ্ট আদর করেন, বোধহয় ওর বাবা-মা নেই বলে । ঢাকাতে হোমিকোনমিক্স কলেজে তখন সবেমাত্র ফ্যাশান ডিজাইন এ ভর্তি হয়েছে সঞ্চিতা । বড়বোন আর দুলাভাই এর কাছে সঞ্চিতা একটা বার্ডেনই বলা যায় , তাই নিজের খরচ চালাতে ২,৩ টা টিউশনি করতে হয় ওর । এতে নিজের খরচ ভালভাবেই চলে যায় । প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে পড়া তনয় তার ছোট বোনের নতুন শিক্ষিকাটিকে কয়েকদিন ভালই জরিপ করেছিল । আর সব ছেলেরা প্রথম দেখাতে মেয়েদের নিয়ে যেমন করে আরকি । আপাত দৃষ্টিতে মেয়েটিকে তনয়ের সাধারণ কিন্তু জটিল মনে হয়েছিল । কিন্তু ভাব দেখাত সেযেন সঞ্চিতার অস্তিত্ব সম্পর্কে উদাসীন । দিনের পর দিন মেয়েটিকে দেখে কথা বলতে ইচ্ছা করত ঠিকই কিন্তু শেষবেলায় আর বলা হয়ে উঠতোনা । এভাবে ভার্সিটির শেষ বছরটি শুধু দেখাদেখি দিয়ে পার হয়ে গেল । সঞ্চিতাও ততদিন প্রথম বর্ষের পাঠ চুকিয়েছে । একসময় সেই ইচ্ছা পুরনের সম্ভাবনা এল । তনয় ওদের কলেজে গিয়েছিল মাস্টার্স এর রিসার্চওয়ার্ক এর জন্য সঞ্চিতার কলেজের এক প্রফেসরের সাথে দেখা করতে । সামনাসামনি দুজন পরিচিত মানুষ ভিন্ন পরিবেশে এভাবে দেখা হবে সেটা দুজনের কেউই হয়ত আশা করেনি । যাইহোক সঞ্চিতার সাহায্য নিয়ে তনয় তার কাজ সম্পূর্ণ করে চলে আসে বাসায় । কিন্তু সঞ্চিতার মুখে দুশ্চিন্তার আভাটুকু তাকে ক্রমেই ভাবিয়ে তোলে । অনেক চিন্তাভাবনার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তনয় মেয়েটির সাথে ও কথা বলবে, আর যদি পারে ওর সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবে । তনয় জানতো সঞ্চিতার পারিবারিক অবস্থার কথা । হয়ত সেসবই সাংসারিক জটিলতার ব্যাপার । পরেরদিন ঠিক আগের সময়েই তনয় হাজির হয় সঞ্চিতার ডিপার্টমেন্টের সামনে । কেন জানেনা সঞ্চিতা অইদিন অনেক কথাই বলে ফেলে তনয়কে । হয়ত মনের চাপা কষ্টগুলো কাউকে বলে হাল্কা হওয়ার অপেক্ষায় ছিল ও । কিন্ত তারপর আর একটা মুহূর্ত ও ও থাকেনি ক্যাম্পাসে । ভদ্রতা রক্ষামূলক বিদায় নিয়ে চলে এসেছে । অবাক তনয় ভেবে পায়না কত বড় মনের জোর মেয়েটির । কিন্তু নিজের কোন বন্ধুকে নাবলে ওকে এসব বলল কেন ? জবাব মেলেনা । হয়ত সঞ্চিতাও জানেনা কেন বলে গেল তনয়কে ।
এভাবে প্রায়ই তনয় কাজের বাহানায় যেত আর সময়গুলো সঞ্চিতার সাথে কোথা দিয়ে যে পার হয়ে যেত টের পেতনা । সবই চলছিল নিয়মমতো । মাঝখান দিয়ে দুজন দুজনের অজান্তেই বাধা পড়ছিল ভাললাগার বাঁধনে । রিসার্চ যেদিন শেষ তনয়ের হুশ হোল এরপর এই সময়গুলোতে সঞ্চিতা থাকবেনা তার পাশে । চাইলেই সে পারে সেটাও নিশ্চিত করতে কিন্তু ভয় হয় হারাবার । এখন যদি নাও বলে তাতেও সমস্যার সমাধান হবেনা । সুতরাং বলেই দেখা যাক , মেনেওতো নিতে পারে ।

না মানার কোন কারণ ছিলনা সঞ্চিতার । ততদিনে সেওতো বুঝে গিয়েছে তনয়ের তার সাথে এত সময় কাটানোর অর্থ , সব বুঝেও তার নিজের নীরব সমর্থনের রহস্য । আর সবচেয়ে বড় কথা লোকে যেমন বলে মানুষ তাকেই সব আড়াল থেকে দূরে রাখে যার কাছে নিজের আড়াল বিসর্জন দেওয়া যায় । ও কাজতো কবেই করে ফেলেছে সঞ্চিতা । যেদিন যে কথা একান্ত কাছের মানুষ ছাড়া কাউকে বলা যায়না সেকথা সে তনয়কে বলে ফেলেছিল কিছুনা ভেবেই ।
এরপরের কটাদিন চোখের সামনে দিয়ে উড়ে গেল । তনয়ের রিসার্চ শেষ এখন শুধু result এর অপেক্ষা । এরই মধ্যে সঞ্চিতা গো ধরল সে তার হবু শাশুড়ির আশীর্বাদ নেবে । তনয় অনেক চেষ্টা করেছে বোঝানর কিন্তু মাহারা সঞ্চিতা imotional blackmail করেছে তনয়কে । বলেছে এমনিতেই সঞ্চিতাকে অনেক আদর করেন তনয়ের মা । এসব জানলে তিনি মানা করবেন না । তনয় ও ভেবেছে হতেও তো পারে । মা তো আসলেই সঞ্চিতাকে অনেক আদর করেন । কিন্তু সঞ্চিতা বোঝেনি বাস্তবতা অত সহজনা । সব সম্পর্ক আবেগ দিয়ে হয়না । তাইত আজ যখন তন্বীকে পড়ানোর পর সে আর তনয় তার মায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াল ছেলেকে ডেকে নিয়ে সেই যে গেলেন মহিলা আর এলেননা । অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর বুঝল সঞ্চিতা সে বোধহয় তার উত্তর পেয়ে গেছে ।

রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছে সঞ্চিতা , আর ভাবছে ওর মা ও কি এমনটাই করত , কেন করবে ? তনয়ের কোন যোগ্যতা টা নেই । নিজের কথা ভাবল সঞ্চিতা । তার কোন যোগ্যতা নেই ? তাহলে কি বাবা-মাহীন মেয়ে বলেই তনয়ের মা রাজিনা ! সঞ্চিতার বাবা-মা মারা গেছে এতে তার কি অপরাধ । তনয় যে বলেছিল জব পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। ও জব পেলে কি মেনে নিতেন উনি । সেলফোন টা বেজে উঠল পরিচিত সুরে । হ্যাঁ তনয়ই ।

তনয়ঃ যতদূর গিয়েছ ওখানেই থাক আসছি ।

খুট করে কেটে দিল তনয় । ভাবছে সঞ্চিতা ওর বোধহয় তনয়দের বাসায় যাওয়া বন্ধ হোল । কি ভেবেছিল আর কি হোল । তবুও হাঁটছে সঞ্চিতা । কিছুক্ষণ পর একটা রিকশা থেকে নামলো তনয় । অপেক্ষা করছিল সঞ্চিতা তনয়ের বকুনি শোনার । ওকে অবাক করে দিয়ে বলে ওঠে ও বাসায় যাবে নাকি ১ ঘণ্টা সময় হবে । নীরবে মাথা দোলায় সঞ্চিতা । পাশাপাশি রিকশাতে বসে প্রথম তনয়ই কথা বলে

তনয়ঃ result এর আগেই আমি apply করব ।

সঞ্চিতা চুপ ..
তনয়ঃ মা আমাকে বকে নাই।
সঞ্চিতা তবুও চুপ ..
তনয়ঃ শোন সঞ্চিতা আজ যা হয়েছে ভুলে যাও । I will manage .
সঞ্চিতা তাকায় তনয়ের চোখে । স্পষ্ট বুঝতে পারে ওকে মিছে সান্ত্বনা দিচ্ছে ও । ও পারবেনা manage করতে । সেই ধৈর্য নেই তনয়ের । শেষমেশ হয়ত ওদের আলাদা ই সংসার পাততে হবে । কিন্তু সঞ্চিতা চায়না ওর জন্য তনয় ঘরছাড়া হোক , আবার ও নিজেও ওকে ছাড়তে পারবেনা । আবার সেই রাগটা এল ফিরে । বাবা-মা কেন বোঝেনা সন্তানদের । ওরা যদি নিজেদের সাথে সুখী হতে পারে ক্ষতিটা কোথায় । হয় ওদের বাবা-মা বোঝেনা অথবা ওরাই বাবা-মাকে বোঝেনা ।

ওকে বাসায় নামিয়ে তনয় চলে যায় নিজের পথে । কাল হয়ত বোঝাপড়া হবে নিজেদের । রাতে শুয়ে এর ভাবতে পারেনা সঞ্চিতা । সকাল টা কি নিয়ে আসছে কে জানে ।
সকালে তনয় ওকে নিয়ে যায় এক বন্ধুর বাসায় । ওখানে আরও অনেক বন্ধু,বান্ধবি আছে তনয়ের । বুঝতে পারেনা সঞ্চিতা কি ঘটতে যাচ্ছে । সবাইমিলে বোঝায় সঞ্চিতাকে এসব নিয়ে মন খারাপ না করতে । আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে সব ।তনয়ের একটা চাকরি হোক তখন সবাইমিলে ওর মাকে বোঝাবে । বুঝতে পারে সঞ্চিতা তনয় ওকে cheer up করতে নিজের বন্ধু-বান্ধবিদের ডেকে এনেছে । আর নিজে এক কোনায় অপরাধীর মত বসে আছে যেন সব দোষ ওর । চোখে জল ভরে ওঠে সঞ্চিতার । বুঝতে পারে তার জন্য ভাবার একজন মানুষ আছে যে তার কষ্টে কষ্ট পাচ্ছে । এতক্ষণ ও ভেবেছিল এই কষ্টগুলো শুধুই ওর নিজের । ভুলেই গিয়েছিল এখনতো আর ও একা নয় , এই কষ্টের আরও একজন ভাগীদার আছে । তাই যা করবে দুজন মিলেই করবে । আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে সঞ্চিতার । আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে থাকে ও , দূর থেকে শেষ দীর্ঘনিঃশ্বাসটা ফেলে তনয় । সব ঠিক হয়ে যাবে একদিন , নিশ্চয়ই হবে , হতেই হবে । একটা সূর্যোদয় নিশ্চয়ই হবে ওদের দুজনের যেদিন ওরা মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে , সবার শুভকামনায় একসাথে দেখবে দিনের প্রথম আলো । সামনে এগিয়ে যায় তনয় যেখানে সঞ্চিতা বসে আছে ওর অপেক্ষায় ।


লিখেছেন-উদাসী মেয়ে

গল্পটি নেয়া :     https://www.facebook.com/abegmoy.valobasha/posts/240882372658586