This is not a blog only-you will get almost everything helpful, educational materials and so on here with the passage of time.
বাসর রাতে জামাআতের সাথে নবদম্পতীর দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করা মুস্তাহাব
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: বাসর রাতে নতুন বর ও কনের দু রাকাআত নামাযের বিধান কি? এ সংক্রান্ত হাদীসগুলো কি সহীহ?
উত্তর:
বাসর
রাতে নব দম্পতীর দু রাকাআত নামায পড়ার ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম থেকে কোন হাদীস পাওয়া যায় না। তবে একাধিক সাহাবীর আমল পাওয়া
যায়। তাই অনেক আলেমগণ বলেছেন, এই দু রাকাআত নামায পড়া মুস্তাহাব।
এ ব্যাপারে সাহাবীদের আমল সম্পর্কে সহীহ সনদে দুটি হাদীস উল্লেখ করা হল:
১. আবু উসাইদ . এর গোলাম আবু সাঈদ হতে বর্ণিত। তনি বলেন, আমি গোলাম থাকা
অবস্থায় বিয়ে করলাম এবং কয়েকজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
সাহাবীকে ডাকলাম। তাদের মধ্যে ছিলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আবু যর এবং
হুযায়ফা রা.।
তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বললাম, আমাকে (আমার করণীয় সম্পর্কে) শিক্ষা দিন। তারা বললেন,
إذا أدخل عليك أهلك فصل عليك ركعتين ، ثم سل الله تعالى من خير ما دخل عليك ، وتعوذ به من شره ، ثم شأنك وشأن أهلك
“যখন
তোমার ঘরে তোমার স্ত্রীকে প্রবেশ করানো হবে তখন তুমি দু রাকাআত সালাত আদায়
কর এবং তোমার ঘরে যে এসেছে আল্লাহর নিকট তার কল্যাণ প্রার্থনা কর এবং
অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তারপর তুমি এবং তোমার স্ত্রীর যা করণীয়
কর।”(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০১ এবং মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১,
শাইখ আলবানী রহ. বলেন, আবু সাঈদ পর্যন্ত এ হাদীসের সনদ সহীহ)
২) শাকীক রহ. তবে বর্ণিত, এক লোক আব্দুল্লাহ (অর্থাৎ ইবনে মাসঊদ) এর নিকট
আগমন করলেন (তিনি আবু জারীর নামে পরিচিত)। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা
কে বললেন, আমি এক যুবতী মেয়ে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমার আশংকা হচ্ছে, সে
আমাকে অপছন্দ করবে (বা আমার প্রতি রাগ-গোস্বা করবে)।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ বললেন,
ن الإلف من الله ، والفرك من الشيطان ، يريد أن يكره إليكم ما أحل الله لكم ، فإذا أتتك فمرها أن تصلي وراءك ركعتين
“
ভালবাসা ও সুসম্পর্ক আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় আর ঘৃণা বা রাগ-গোস্বা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। কারণ সে আল্লাহর হালাল করা বিষয়ে তোমাদের মাঝে ঘৃণা সৃষ্টি করতে চায়। সুতরাং তোমার স্ত্রী তোমার কাছে আসলে তাকে আদেশ করবে, সে যেন তোমার পেছনে দু রাকাআত সালাত আদায় করে।” ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০২ এবং মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১, ত্বাবারানী কাবীর ৯/২০৪ শাইখ আলবানী রহ. বলেন, হাদীসের সনদ সহীহ- আদাবুয যাফাফ পৃষ্ঠা ২৪)
উক্ত হাদীসদ্বয় দ্বারা অনেক আলেম, বাসর রাতে নতুন স্বামী-স্ত্রীর কর্তৃক দুরাকাআত নামায আদায় করাকে মুস্তাহাব বলেছেন।
নামায পড়ার নিয়ম হল, স্বামী আগে দাঁড়াবে আর স্ত্রী তার পেছনে দাঁড়াবে।
তারপর জামাআতের সাথে দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করবে। তারপর তারা উভয়ে তাদের
নতুন জীবনের কল্যাণ চেয়ে এবং অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চেয়ে মহান আল্লাহর নিকট
দুআ করবে।
বাসর রাতে এ দু রাকআত নামাযে কিরাআত কি উঁচু স্বরে পড়বে না কি নিচু স্বরে পড়বে?
উত্তর:
যদি
রাতের বেলায় উক্ত নামায পড়া হয় তাহলে একটু উঁচু স্বরে আর দিনের বেলায় পড়লে
নিম্ন স্বরে পড়বে। যে কোন নফলের ক্ষেত্রে এটিই সাধারণ সুন্নত। সুতরাং এ
বিধান এখানেও প্রযোজ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
বাসর রাতে জামাআতের সাথে নবদম্পতীর দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করা মুস্তাহাব
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: বাসর রাতে নতুন বর ও কনের দু রাকাআত নামাযের বিধান কি? এ সংক্রান্ত হাদীসগুলো কি সহীহ?
উত্তর:
বাসর
রাতে নব দম্পতীর দু রাকাআত নামায পড়ার ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম থেকে কোন হাদীস পাওয়া যায় না। তবে একাধিক সাহাবীর আমল পাওয়া
যায়। তাই অনেক আলেমগণ বলেছেন, এই দু রাকাআত নামায পড়া মুস্তাহাব।
এ ব্যাপারে সাহাবীদের আমল সম্পর্কে সহীহ সনদে দুটি হাদীস উল্লেখ করা হল:
১. আবু উসাইদ . এর গোলাম আবু সাঈদ হতে বর্ণিত। তনি বলেন, আমি গোলাম থাকা
অবস্থায় বিয়ে করলাম এবং কয়েকজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
সাহাবীকে ডাকলাম। তাদের মধ্যে ছিলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আবু যর এবং
হুযায়ফা রা.।
তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বললাম, আমাকে (আমার করণীয় সম্পর্কে) শিক্ষা দিন। তারা বললেন,
إذا أدخل عليك أهلك فصل عليك ركعتين ، ثم سل الله تعالى من خير ما دخل عليك ، وتعوذ به من شره ، ثم شأنك وشأن أهلك
“যখন
তোমার ঘরে তোমার স্ত্রীকে প্রবেশ করানো হবে তখন তুমি দু রাকাআত সালাত আদায়
কর এবং তোমার ঘরে যে এসেছে আল্লাহর নিকট তার কল্যাণ প্রার্থনা কর এবং
অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তারপর তুমি এবং তোমার স্ত্রীর যা করণীয়
কর।”(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০১ এবং মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১,
শাইখ আলবানী রহ. বলেন, আবু সাঈদ পর্যন্ত এ হাদীসের সনদ সহীহ)
২) শাকীক রহ. তবে বর্ণিত, এক লোক আব্দুল্লাহ (অর্থাৎ ইবনে মাসঊদ) এর নিকট
আগমন করলেন (তিনি আবু জারীর নামে পরিচিত)। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা
কে বললেন, আমি এক যুবতী মেয়ে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমার আশংকা হচ্ছে, সে
আমাকে অপছন্দ করবে (বা আমার প্রতি রাগ-গোস্বা করবে)।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ বললেন,
ن الإلف من الله ، والفرك من الشيطان ، يريد أن يكره إليكم ما أحل الله لكم ، فإذا أتتك فمرها أن تصلي وراءك ركعتين
“ভালবাসা
ও সুসম্পর্ক আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় আর ঘৃণা বা রাগ-গোস্বা হয় শয়তানের পক্ষ
থেকে। কারণ সে আল্লাহর হালাল করা বিষয়ে তোমাদের মাঝে ঘৃণা সৃষ্টি করতে চায়।
সুতরাং তোমার স্ত্রী তোমার কাছে আসলে তাকে আদেশ করবে, সে যেন তোমার পেছনে
দু রাকাআত সালাত আদায় করে।” ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০২ এবং
মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১, ত্বাবারানী কাবীর ৯/২০৪ শাইখ আলবানী রহ.
বলেন, হাদীসের সনদ সহীহ- আদাবুয যাফাফ পৃষ্ঠা ২৪)
উক্ত হাদীসদ্বয় দ্বারা অনেক আলেম, বাসর রাতে নতুন স্বামী-স্ত্রীর কর্তৃক দুরাকাআত নামায আদায় করাকে মুস্তাহাব বলেছেন।
নামায পড়ার নিয়ম হল, স্বামী আগে দাঁড়াবে আর স্ত্রী তার পেছনে দাঁড়াবে।
তারপর জামাআতের সাথে দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করবে। তারপর তারা উভয়ে তাদের
নতুন জীবনের কল্যাণ চেয়ে এবং অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চেয়ে মহান আল্লাহর নিকট
দুআ করবে।
বাসর রাতে এ দু রাকআত নামাযে কিরাআত কি উঁচু স্বরে পড়বে না কি নিচু স্বরে পড়বে?
উত্তর:
যদি
রাতের বেলায় উক্ত নামায পড়া হয় তাহলে একটু উঁচু স্বরে আর দিনের বেলায় পড়লে
নিম্ন স্বরে পড়বে। যে কোন নফলের ক্ষেত্রে এটিই সাধারণ সুন্নত। সুতরাং এ
বিধান এখানেও প্রযোজ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব