Thursday, July 27, 2023

গীবত চার প্রকার।

গীবত চার প্রকার। 
১. হারাম গীবত 
২. হালাল গীবত
৩. ওয়াজিব গীবত 
৪. ফরজ গীবত 

হারাম গীবতঃ সাধারণত আমাদের দৈনিক কথোপকথনে আমরা যেসব করে থাকি। অন্যের এমন সব দোষ চর্চা যা মূলত আলোচনার দ্বারা কারোর ই ফায়দা নেই। 

হালাল গীবতঃ কারো এমন দোষ যা থেকে মানুষ কে সতর্ক করা উচিত। ধরুন কারো অভ্যাস হলো টাকা পয়সা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়া বা গড়িমসি করা। এক্ষেত্রে এমন ব্যক্তি যে তার অভ্যাস সম্পর্কে জানেনা তাকে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে দোষ বর্ণনা করলে এই গীবত হালাল।

ওয়াজিব গীবতঃ জীবনের কিছু বিশেষ ক্ষেত্র যা পরবর্তী সারাজীবনে প্রভাব ফেলবে এসব ক্ষেত্রে গীবত ওয়াজিব। যেমন বিয়ের ঘটকালির ক্ষেত্রে পাত্র পাত্রীর এমন দোষ যা গোপন করলে অপরপক্ষ সারাজীবনের জন্য ভুক্তভোগী হবে। এক্ষেত্রে সেসব দোষ বলে দেওয়া ওয়াজিব। 

ফরজ গীবতঃ দ্বীনের যে কোন বিষয়ে যে কোন ব্যক্তি বা দল বিকৃতি সাধন করলে ওই ব্যক্তি বা দলের গীবত করে জাতিকে ঈমান রক্ষার জন্য সতর্ক করা ফরজ। বর্তমানে দ্বীন বিকৃতি করছে এমন কিছু দল হলোঃ 

১. আহলে কুরআন 
২. কাদিয়ানী বা আহমদিয়া মুসলিম জামাত 
৩. শি'আ সম্প্রদায়
৪. নারীবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠী 
৫. দেওয়ানবাগী 
৬. রাজারবাগী 
৭. কুতুববাগী
৮. আটরশি/ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল
৯. মাইজভান্ডারি
১০. মডারেট ইসলামের প্রচারক সকল ব্যক্তি বা দল। 

আরও থাকতে পারে। 

অনেকে কারো ভ্রান্তি ত্রুটি তুলে ধরলেই গীবতের মাস'আলা শিখাতে উঠেপড়ে লাগে। তাদের জন্য এই চার প্রকার জেনে রাখা উচিত