তবে সবচেয়ে বড় শাস্তি হচ্ছে—আল্লাহকে ভুলে যাওয়া ও ঈমান বিলুপ্ত হওয়া (এমন অনেক ঘটেছেও)।
নারী-আসক্তি ও গুনাহের কারণে অন্তর মরে যায়, যার ফলে সে আল্লাহর কাছে মুনাজাতের স্বাদ আস্বাদন করতে সক্ষম হয় না; পবিত্র কুরআন তার অন্তরে অবস্থান করে না।
ইস্তিগফার বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাসহ অন্যান্য ইবাদত তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। আরো অনেক ধর্মীয় অবক্ষয় রয়েছে, যা তাকে আস্তে আস্তে গ্রাস করে নেয়, যেটি সে অনুধাবনও করতে পারে না।
তার অন্তরের দিগন্তজুড়ে বিস্তৃত হয় গুনাহের অন্ধকার; নষ্ট হয়ে যায় তার অন্তরদৃষ্টি; যার প্রভাব পড়ে তার শরীরেও। যেমন: চোখের দৃষ্টি চলে যায় (কমে যায়), স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে ইত্যাদি।
তাই অন্তরের মধ্যে গুনাহের আসক্তি উপলব্ধি করার সাথে সাথে কোনো ব্যক্তির উচিত তাওবাহ করা। হয়তো এর দ্বারা আসন্ন বিপদ দূরীভূত হয়ে যাবে।’
[ইবনুল জাওযি, যাম্মুল হাওয়া: ২১৭ (সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)]