Tuesday, April 23, 2024

বিয়ের টিপস

#৪৫৬৪

বিয়ে আপনার জীবনের সবচে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত।

লাইফ ইজ আ রেস কথাটা একমাত্রিক হলেও জীবন অন্ততপক্ষে একটা সফর এটা কিন্তু ধ্রুব সত্য। এই সফরে নারী ও পুরুষ পরস্পরের জন্য রাহবার ও রাহী; সওয়ার ও সওয়ারী।

সওয়ারী দুর্বল হলে সফর কঠিন হবে, সওয়ার যদি অতি বেশি ভারী হয়, সফরে দুর্ঘটনা ঘটবে, রাহী যদি বিশ্বস্ত না হয়, আপনি বেঈমানীর শিকার হবেন, রাহবার যদি বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী না হয়, আপনি গন্তব্যে পৌছানো দূরে থাক, গন্তব্য কি আর পথ কি, তাই বুঝতে ভুল করবেন।

দুর্বল সওয়ারীর উদাহরন হচ্ছে একজন অলস, ভীতু বা দুর্বল পুরুষ, যে প্রয়োজনে নিজের অপছন্দের কাজ করে হলেও নিজের পুরুষসুলভ দায়িত্ব পালন করতে চায় না। অথবা, একজন নারী, যে বিপদের সময় ধৈর্য ধারন করতে পারেনা, ফলে তার কারনে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে নানা বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়।

অতি ভারী সওয়ারের উদাহরন হচ্ছে একজন পুরুষ বা নারী, যার মধ্যে ভালো স্বভাবের চেয়ে মন্দের আনাগোনা বেশি এবং সম্পর্কে যে আনুগত্যের চেয়ে বেশি অবাধ্যতা নিয়ে আসে। এদের নিয়ে পথ চলতে গিয়ে সওয়ারীর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যায় এবং সে সময়ের আগেই মারা যায়।

বিশ্বস্ত রাহী হচ্ছে সেই নারী বা পুরুষ, যে পথের বিপদ সম্পর্কে স্বামী বা স্ত্রীকে সজাগ করে, তার ছোটখাট ভুল শুধরে দেয়, নিজে সফরের এমন প্রস্তুতি নেয় যেন কোথাও তার স্বামী/স্ত্রী আটকে গেলেও সে তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে৷ অবিশ্বস্ত রাহী এর বিপরীত। সে মূলত স্বামী/স্ত্রীর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাইএ ফেলে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আটে।

জ্ঞানী রাহবার হচ্ছে সেই স্বামী বা স্ত্রী, যে তাৎক্ষনিক আনন্দ ও ভোগের পথের বদলে দীর্ঘমেয়াদী সুখ, প্রশান্তি ও সন্তুষ্টির দিকে স্বামী/স্ত্রীকে পরিচালিত করে। হক ও বাতিলের জ্ঞান রাখে, দুনিয়া ও আখিরাতের ভারসাম্য বোঝে এবং যখন স্বামী/স্ত্রী দৈহিক/মানসিকভাবে ভাবে ভেঙ্গে পড়ে, তার আশ্রয় হয়।

যারা আমার কাছে বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ চান, এই চার ক্রাইটেরিয়ার প্রতিটিতে আপনার পছন্দের মানুষকে বসান। সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।

সজল ভাই 

Saturday, April 20, 2024

কবরে পুতে রাখা যাদু নষ্টে সংশ্লিষ্ট কবরের মাটি ব্যবহার করা প্রসঙ্গে

কবরে পুতে রাখা যাদু নষ্টে সংশ্লিষ্ট কবরের মাটি ব্যবহার করা প্রসঙ্গে...

[প্রসঙ্গটি রুকইয়াহ নিয়ে পড়াশুনা করেন এমন অনেকের কাছেই সিলি বা কমন লাগতে পারে। কিন্তু আজকে নতুন করে পুরাতন এক অভিজ্ঞতা হোলো। রুকইয়াহ প্র‍্যাক্টিশনার কিছু লোক আছেন যাদের কমন সেন্স এত আজগুবি লেভেলে যে, এদের সামনে বড় করে গাছ একে এরপর সেটার নীচে বড় বড় অক্ষরে গয়াকার গা ছ "গাছ" লিখে দিতে হয়। আর এভাবে লিখা না থাকলে গাছ কে মাছ ভেবে বসে থাকেন। এই লিখা তাদেরকে সমৃদ্ধ করতে উপকৃত করবে ইনশাআল্লাহ।]

যাদু নষ্টের ক্ষেত্রে মূল সুন্নাহ হচ্ছে যাদু তুলে ফেলা।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যাদু তোলা সম্ভব না হওয়ায় রুকইয়াহ ও রুকইয়াহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাগুলো দ্বারা যাদুর প্রভাবকে শরীর থেকে নষ্ট করতে হয়। যেমন সঠিক উপায়ে হিজামা করা, সঠিক উপায়ে যাদুনষ্টের গোসল করা, বমি করা, পেট ক্লিয়ার করা, রুকইয়াহ করা, ইত্যাদি।

এক্ষেত্রে উপায় ও উপাদান যত নিখুত হবে আল্লাহর সুন্নাহ অনুযায়ী রোগী সঠিক চিকিৎসা পাওয়ায় তত দ্রুত সুস্থ হবে। এরসাথে তাওয়াক্কুলের বিরোধীতা নেই। 

আল্লাহ নিজেই রোগ বানিয়েছেন এবং রোগের চিকিৎসায় সুস্থতার প্রক্রিয়া সৃষ্টি করেছেন।

রুকইয়াহর গোসলে বরইপাতা ব্যবহার করা তাবিয়ীদের আমল, সরাসরি রুকইয়াহর সুন্নাহ না।

অন্যদিকে রুকইয়াহর গোসলের পানির সাথে পরিচ্ছন্ন মাটি ব্যবহার করা সরাসরি সুন্নাহ।

يوسف بن محمد بن ثابت بن قيس بن شماس الأنصاري ، عن أبيه ، عن جده ، قال النبي (ص) : اكشف البأس رب الناس عن ثابت بن قيس بن شماس ، ثم أخذ ترابا من بطحان فجعله في قدح فصب عليه ماء ثم غسله به

সাবিত ইবনে কাইস তার বাবা ও দাদা থেকে বর্ণনা করেন, (তিনি অসুস্থ হওয়ার পর) রাসুল সা: তাকে এই বলে রুকইয়াহ করেন যে, "হে মানুষের রব! আপনি সাবিত ইবনে কায়িস থেকে কষ্ট দুরভীত করুন।

 অত:পর একটি পাত্রে " বাতহান" উপত্যকার মাটি ও পানি মিশ্রিত করেন। সেই পানি সাবিত ইবনে কাইসের শরিরে ঢেলে তাকে গোসল করিয়ে দেন। (তারিখুল কাবির- বুখারী, সুনানে আবু দাউদ)

সুনানে আবু দাউদের চিকিৎসা অধ্যায়ে এই হাদিসের বর্ননায় "তিনি মাটির সাথে পানি মিশিয়ে ফু দেন" অত:পর তা শরীরে ঢেলে গোসল করিয়ে দেন। -এই অংশটি অতিরিক্ত এসেছে।

💠 আলোচ্য হাদিসের অসংখ্য শিক্ষা থেকে রুকইয়াহর দুটো মূলনীতি বেরিয়ে আসে।

১। রুকইয়াহর গোসলের পানিতে মাটি মেশানো সুন্নাহ।

২। রাসুল সা: "বাতহান" উপত্যকার মাটি মিশিয়েছেন।

এর অর্থ হচ্ছে, একেক স্থানের মাটির একেক বিশেষত্বের কারনে তা চিকিৎসায় ফলপ্রসূ হতে পারে।

যেমন অন্য হাদিসে এসেছে রাসুল সা: ফোড়ার রুকইয়াহতে যখমের উপর রুকইয়াহ করতে করতে "মদিনার মাটি" ঘসছিলেন। আরেক হাদিসে যাদুর চিকিৎসা হিসেবে আয়শা রা: "একে অপরের সাথে সংযুক্ত এমন তিন কূপের পানি দিয়ে গোসল করে যাদু থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন।

" ফলে এটা সন্দেহাতীতভাবে বুঝা যায় যে, একেক স্থানের মাটি রুকইয়াহতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে একেক ভুমিকা রাখে। এটা শুধু মাটি না, মাটি পানি যেকোনো কিছুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন অগ্নিপুজারীদের স্থানের মাটি থেকে মসজিদের মাটি বেশি বরকতময় হবে ইত্যাদি।

💠 বুঝলাম গোসলের পানিতে মাটি ব্যবহার করতে হবে। তাই বলে কবরে পুতে রাখা যাদু নষ্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কবরের মাটি ব্যবহার করবো কেন?

আসুন এই হাদিসটি দেখি-

لو كانَ شيءٌ سابقُ القدَرَ لسبقَتْهُ العينُ، و إذا اسْتُغْسِلْتُم فاغْسِلُوا

কোনো কিছু তাকদিরকে অতিক্রম করতে পারলে সেটা হতো বদনজর। সুতরাং যখন তোমাদেরকে নজরের জন্য গোসল করতে বলা হবে তখন গোসল করো। (জামিউস সগীর, সহিহ)

এই হাদিস দ্বারা রুকইয়াহর অনেকগুলো উসুলের মধ্যে একটি উসুল হচ্ছে, 

"শরিয়তসম্মত উপায়ে অসুস্থতাসৃষ্টিকারীর (যেমন নজরদানকারীর) স্পর্শ কে আক্রান্ত ব্যক্তির গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে নজর কাটানো।"

উপরের হাদিস দ্বারা রুকইয়াহতে এই "স্পর্শ প্রক্রিয়া" অযুর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। ফলে নজরদানকারীর অযুর পানি দিয়ে রোগীকে গোসল দিলে সেটা চিকিৎসা হিসেবে কাজ করে। কারন অযুর পানিতে অসুস্থতা সৃষ্টিকারীর স্পর্শ রয়েছে। কিন্তু যদি অযুর পানি না পাওয়া যায় তখন?

তখন আমরা উসুলের দিকে ফিরে যাই। আর উসুল হচ্ছে 

"নজরদানকারীর বা অসুস্থতা সৃষ্টিকারীর স্পর্শ"।

এইজন্য নজরদানকারীর অযুর পানি পাওয়া না গেলে নজরদানকারী স্পর্শ করেছে এমন বস্তু পাওয়া গেলেও সেটাকে রুকইয়াহর গোসলের পানিতে চুবিয়ে নজর কাটানোর গোসল করার পরামর্শ আরব রাকীরা দিয়ে থাকেন।

সারমর্মঃ

a. যেকোনো পরিচ্ছন্ন মাটিই রুকইয়াহর গোসলের পানিতে ব্যবহার করা/ মাটি দিয়ে মাসেহ করা বৈধ ও সুন্নাহ। আর যেকোনো কবরের মাটিই পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র।

b. যেই কবরে যাদু পুতে রাখা সেই কবরের যাদু তুলতে না পারলে সেই কবরের উপরে থাকা/ কবরস্থ পবিত্র পরিচ্ছন্ন মাটির কিছু অংশ গোসলের পানির সাথে এইজন্য মেশাতে বলা হয় যাতে যাদুর প্রভাব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। কারন কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত বরকতময় মাটিগুলোর পরে কবরের যাদু নষ্টের গোসলের জন্য সংশ্লিষ্ট কবরের মাটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরি। কারন এই মাটি পৃথিবীর অন্য যেকোনো মাটির তুলনায় যাদুর সবচেয়ে কাছের অংশের মাটি। ফলে এই পরিচ্ছন্ন মাটি "সংশ্লিষ্ট যাদুর ট্রেস" হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে।" গোসলের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত গোসল করলে যাদু দ্রুত নষ্ট হয়।

একই কথা এমন পুকুরের ক্ষেত্রে যেখানে রোগীর যাদুকে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোগী রুকইয়াহর প্রতিটি গোসলে সেই পুকুরের পানি মিশিয়ে নিলে বা রোগীকে পুকুরে দাড় করিয়ে রুকইয়াহ করতে করতে ওই পুকুরের পানি দিয়ে গোসল দিতে থাকলে যাদু দ্রুত নষ্ট হয়।

আল্লাহ সর্বাধিক ভালো জানেন।

Abdullah Fahad vai 

Wednesday, April 17, 2024

স্ত্রী/ স্ত্রীদের কাউকে চেনাবেন না৷ যত গোপন রাখা যায়৷

স্ত্রী/ স্ত্রীদের কাউকে চেনাবেন না৷ যত গোপন রাখা যায়৷ 

যদি এমন হয় যে তিনি পূর্ব থেকেই পরিচিত মুখ (লেখা বা অন্য কোন সোশ্যাইটাল কাজের সুবাদে) তাহলে বিয়ের পর অপরিচিত করে দিন৷ গুরাবা বানিয়ে দিন৷ 

আপনার স্ত্রী৷ আপনার সন্তানের মা৷ আপনি চিনলে জানলেই হবে৷ সবাই কে জানানোর প্রয়োজন নেই, একান্ত প্রয়োজন না হলে৷ অনলাইনে না, অফলাইনেও যত কম সম্ভব৷ 

স্ত্রী হোম ম্যাটারিয়েল, সেক্রেট ম্যাটারিয়াল৷ এখানে ম্যাটারিয়াল মানে পদার্থ নয়, বরং মুল্যবান সম্পদ৷ Asset. বলা যায় হোম এসেট, সেক্রেট এসেট৷

Saturday, April 6, 2024

ঘরে তালিম চালু করার পদ্ধতি

ঘরে তালিম চালু করার পদ্ধতি:

ঘরে দ্বীনী পরিবেশ কায়েমের জন্য তালিম চালু করা সবচেয়ে কার্যকরী পন্থা। অসংখ্য কারগুজারি রয়েছে এ ব্যাপারে। তালিম চালু করার জন্য জরুরি হলো, কোনো আলেমের সাথে পরামর্শ করা। তাঁর কাছে ঘরের পরিবেশ ও সবার মনের অবস্থা বিস্তারিত আকারে বলা। এতে তিনি পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে পরামর্শ দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। 

কিতাব নির্বাচন: 

এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আলেমদের সাথে পরামর্শ করা চাই। 
ফাযায়েলে আমল কিতাবের তালিমের কথা আমি জোর দিয়েই বলব। কারণ চোখের সামনে অসংখ্য পরিরবার দেখেছি এই কিতাবের তালিমের দ্বারা দ্বীনের পথে ফিরে এসেছেন। কট্টর দ্বীন-বিরোধী পরিবারও পাক্কা ধার্মিক পরিবার হয়ে উঠেছেন। অসংখ্য ব্যক্তির হেদায়াতের মাধ্যম এই মাকবুল গ্রন্থটি। তাহকীক-তাখরীজকৃত নুসখা পড়তে চাইলে দারুল ফিকর থেকে প্রকাশিত নুসখাটি সংগ্রহ করতে পারেন। চলিত ভাষায় অনুবাদটি সবার বোঝার জন্যও সহজ হবে ইনশাআল্লাহ। 

এই কিতাব ছাড়াও আরও কিছু কিতাব তালিম করতে পারেন, রিয়াযুস সালিহীনও হতে পারে এ ক্ষেত্রে উত্তম বাছাই। সাথে পরামর্শ করে অন্য বিষয়ের কোনো বইও রাখতে পারেন। 

তালিমের সময়: 

প্রথম দিকে অল্প সময় তালিম করতে পারেন। ৫/১০ মিনিটের তালিম প্রথম দিকে যথেষ্ট। তবে এটা চালু রাখতে হবে। কষ্ট হলেও নিয়মিত এই কাজ চালু রাখা চাই। এ জন্য এমন সময় নির্ধারণ করতে হবে, যখন ঘরের সবাইকে মোটামুটি একসাথে পাওয়া যাবে। এশার পর হতে পারে উত্তম সময়। প্রথম দিকে কাউকে জোরাজুরি করার দরকার নেই, আপনি নিজেই মাঝের রুমে বসে কিতাব খুলে একটু জোরে পড়া শুরু করে দিলেন। ঘরের সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের কানে কথাগুলো যাবে। এরপর দুয়েকজন করে বসা শুরু করবেন, বা পাশে দাঁড়িয়ে বলবেন, হাদীসটা আবার পড় তো! ভালো লেগেছে কথাটা। এভাবেই দেখবেন একদিন ভরপুর তালিমের মজমা কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ। 

আপনি অন্তত ৬ মাস এই কাজ চালু রাখেন, এরপর ফলাফল আপনি নিজেই দেখবেন ইনশাআল্লাহ। 

এরপর ঈমান-আমলের আলোচনা কীভাবে করবেন এ ব্যাপারেও লিখব ইনশাআল্লাহ।


From ustaz Tanjil Arefin Adnan (hafiz.)

Wednesday, March 27, 2024

Bank Companies Act 2023 by Md Ariful Islam Chowdhury FCA 15 January 2024 Full class

 Bank Companies Act 2023 by Md Ariful Islam Chowdhury FCA 15 January 2024 Full class

 


 

VAT 2nd Class Definitions Khadija Yeasmien FCA 12 March 2024

 VAT 2nd Class Definitions Khadija Yeasmien FCA 12 March 2024

 


 

When VDS is not applicable

 When VDS is not applicable

 

https://youtube.com/clip/Ugkxt6Pe8SOperSg8KImJXlg9NH2iSM_7rHi?si=SiN6c4PVf5W1dY6b

Ch 01 Companies Act, 1994 Business Laws Md Anwaruzzaman FCA 24 March 2024

 Ch 01 Companies Act, 1994 Business Laws Md Anwaruzzaman FCA 24 March 2024

 


 

Ch 02 Accounting equation Rajib Kumar Saha FCA 25 March 2024

 Ch 02 Accounting equation Rajib Kumar Saha FCA 25 March 2024

 


 

Ch 02 Managing Business Business and Finance Lingkon Mondal FCA 24 March 2024

 Ch 02 Managing Business Business and Finance Lingkon Mondal FCA 24 March 2024

 

 


 Telegram link:

https://t.me/learnwithsazzadais/1206
 

Subject wise classes playlist:

Please check channel playlist section for individual subjects

 

Facebook page:
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090139248603   

 

 

Monday, March 25, 2024

Hijab concerned

The importance of proper hijab cannot be overstated. 

Yesterday, a friend told me something bizarre: she heard the imam of her local masjid make a shocking announcement on the microphone right before he started leading taraweeh prayers. 

The imam of a large masjid in an American city announced to the congregation: "I am sorry to be forced to make this announcement. But sisters, please, if you come to the masjid for taraweeh, please don't wear makeup or perfume. Many brothers have been coming to me this Ramadan to complain about this issue. Jazakum Allahu khair."

I feel genuinely shocked. 

Ladies, if you decide to go to the masjid for salah or taraweeh (knowing that a woman's prayer at home gets more reward!), be vigilant about wearing correct hijab.

Make sure your clothes are long, loose, and truly cover your shape. Make sure your hijab and `abaya are neither tight nor transparent. A tight-fitting dress that shows your curves, skin-tight jeans that reveal your shape, a see-through blouse, or short shirts that show your back when you go into ruku` or sujud are not proper hijab. 

Not covering your hair at all is not proper hijab. Even if you are not a hijabi sister, when you go to the masjid, please wear a hijab to cover your hair. And no, it isn't "hypocrisy" to wear a hijab inside the masjid if you don't yet wear it outside in other places-- it is respect for the rules of Allah at least in the house of Allah. This can be your first step to hopefully wearing your hijab full-time in other public places aside from the masjid. But start with wearing it in the masjid. 

Do not wear makeup.

Do not apply perfume. 

We women like beauty and we all want to be beautiful. It is in our very nature. This is not a bad thing in and of itself; but it all depends on WHERE we display that beauty. To WHOM do we reveal our beauty. 

To reveal our beauty and to enhance it with makeup, perfume, and pretty clothes is good and natural at home with our families. A wife dressing cute for her husband at home earns her reward with Allah! 

Isn't it so amazing and so beautiful that by doing something she *already wants* to do, like dress up and put on makeup, she receives ajr from Allah??

But it has to be in the correct context. The natural female desire to be beautified and draw male attention and attract masculine admiration has to be channeled in the only healthy, wholesome way: marriage. 

Nowhere else.

We as believing Muslim women do not display our beauty in public. We do not reveal our bodies to strange non-mahram men. 

Our beauty is not a commodity for public consumption. 

To do this would be tabarruj, تبرج. 

And we especially don't commit tabarruj in Ramadan at the masjid! Of all times and of all places!

عن يحيى بن سعيد ، عن عمرة بنت عبد الرحمن ، عن عائشة زوج النبي ﷺ أنها قالت: "لو أدرك رسول الله ﷺ ما أحدث النساء، لمنعهن المساجد كما منعه نساء بني إسرائيل."

Yahya ibn Sa`eed narrated that `Amra bint Abdirrahman narrated, that `Aisha رضي الله عنها said, "If the Messenger of Allah ﷺ were to see what the women have started doing, he would have forbidden them from going to the masajid, as the women of Bani Israeel were forbidden." 

Where are we, now in our current time, from the time when our Mother `Aisha uttered these words? 

عن أسامة بن زيد رضي الله عنهما، عن النبي ﷺ قال: "ما ترَكتُ بعدي فتنةً هي أضرُّ على الرِّجالِ مِن النساءِ." متفق عليه

Usama ibn Zayd, may Allah be pleased with them both, narrated that the Prophet ﷺ said, "I have left after me no bigger fitna that is more harmful to men than women." 

Ibn al-Qayyim رحمه الله classified tabarruj as a disease of the heart, under the bigger category of الشهوات, Desires. 

There is a direct link between a woman's dress and the state of her heart. Most of us don't think of it this way. 

The more we work on purifying our heart and elevating our inner state, the more our hijab will be in line with Allah's command. 

The more we neglect our heart and the more diseased our heart becomes, the more careless we get with our hijab and the more tabarruj we fall into. 

Allah links the concept of hijab with the purity of the heart in this ayah:

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعاً فَاسْأَلوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ...

"And when you ask [his wives] for something, ask them from behind a partition/ hijab. That is purer for your hearts and their hearts..." (Surat Al-Ahzab, 53)

The hijab and the heart. 

Observing full and genuine hijab in its most comprehensive meaning (more than merely a piece of fabric on a woman's head) is purer for our hearts. 

This is a reminder for myself first and foremost before it is a reminder to my dear fellow sisters. 

May Allah grant us genuine haya' (حياء), aid us in establishing true hijab (حجاب), and purify our hearts, ameen!

Umm Khalid 




Saturday, March 23, 2024

Parenting tips

একটা প্যারেন্টিং টিপস শেয়ার করি।

বাচ্চাদের তারবিয়াতে যতটা সময় দিবেন তার থেকে বেশি সময় দিবেন দুয়াতে।

আল্লাহ যেন বাচ্চাকে আদব- আখলাক, শান্ত-ভদ্র, অনুগত, গুনধর, সুস্থ-সবল, ঈমান ও তাকওয়া দিয়ে পূর্ণ করে দেন। বাচ্চা যদি কান্না করে, ঘুম-খাবার নিয়ে জ্বালাতন করে, এসব ঠিক করতে তার পেছন যতটা সময় দিবেন তার থেকে বেশি সময় দিবেন দুয়াতে, আল্লাহ যেন তার এসব দূর করে দেন।

জন্মের আগেও দুয়া করবেন, পরেও করবেন, প্রতিদিন করবেন। বাচ্চা পালায় আপনার একমাত্র হেল্পার যদি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা হয়ে যান তবে আপনার আর পেরেশানি কিসে?

বাচ্চার জন্য ঘুমাতে পারেন না, বা কাচা ঘুম ভেংগে যাচ্ছে, মাথা ব্যথা করছে, মেজাজ চটে যাচ্ছে, আল্লাহর কাছে দুয়া করেন, আল্লাহ যেন কাচা ঘুম থেকে উঠলেও আপনাকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখেন, আল্লাহ যেন মাথা ব্যথা না দেন, আল্লাহ যেন আপনার মাথা ও দিলে সুকুন দেন, বাচ্চার প্রতি যেন অনেক মায়া দেন। 

সন্তান মা-বাবার উপর ভয়াবহ কঠিন এক দায়িত্ব। বাবা থেকে মায়ের বেশি, এই দায়িত্ব আমরা একা কোনোদিন সুন্দরভাবে পালন করতে পারব না যদি না আল্লাহ আমাদের সহায়তা করেন। 
লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ এই দুয়াটা বেশি বেশি পড়বেন যখন বাচ্চার প্রতি কোনো কারণে অধৈর্য হয়ে পড়েন৷ 

১০ বছরের আগে বাচ্চার শরীরে আঘাত করা, তাকে খুব তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বকা দেওয়া এটা তার প্রতি জুলুম, তার হক নষ্ট করার শামিল। হাদিসে বাচ্চাদের শাসন করার কথা এসেছে সর্বপ্রথম নামাজের জন্য৷ যদি ১০ বছর হয়ে যায় তাও নামাজে গাফেল থাকে তবে তখন তাকে প্রহার করা যাবে। আর সেটা কীভাবে? মিসওয়াক দিয়ে হাতে বা পিঠে। তাও প্রথম ২ মাইর নিজের হাতে দিয়ে এরপর ৩য় মাইর বাচ্চাকে দিতে হবে। প্রথম ২ মাইর কেন নিজের হাতে জানেন? এর হিকমা কী?

আমাদের যখন রাগ উঠে, আমরা প্রহার করতে চাই তখন আমাদের হিতাহিতজ্ঞান লোপ পায়। আমরা জোরে আঘাত করি। আর সেই জোরে আঘাতটা যাতে নিজের হাতেই হয় তাই প্রথম ২ আঘাত নিজেকে করতে হবে, এতে রাগও কমবে, ব্যথাটা নিজে পেলে হিতাহিতজ্ঞানও ফিরে আসবে যে বাচ্চার উপর জুলুম যেন না হয়। 

আবারও বলি, সন্তান আমাদের কাছে আল্লাহর আমানত। আমরা তাদেরকে কিনে নেই না আল্লাহর থেকে৷ তাদেরকে উত্তম তারবিয়াত দেওয়া, উত্তম আচরণ করা, সমর্থ্য অনুযায়ী তাদের ভরনপোষণ করা আমাদের দায়িত্ব, এইগুলো পাওয়া তাদের হক।

তাই আমরা বাচ্চার জন্মের আগে থেকে তাদের তারবিয়াত শুরু করব, যাতে তারা শয়তানের প্ররোচনায় না পড়ে। অবাধ্য, বেয়াদব, অশান্ত, ঈমানহীন ইত্যাদি না হয়৷ 

তারা যেন ছোটো থেকেই মা-বাবার বাধ্য থাকে, তাদের জীবনের প্রতিটা গতিপথে যেন মা-বাবার নজর থাকে। কী করছে, কী ভাবছে, কী করবে, কার সাথে মিশবে ইত্যাদি সব কিছুতে সব সময় মা-বাবার তদারকি, সাপোর্ট ও নাসিহা থাকবে। সব সময় কড়া শাসন, রাগ প্রকাশ, লঘু পাপে গুরু দন্ড, তাচ্ছিল্য, নিচু করা এসব যেন না থাকে। বাচ্চাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধুটা, আশ্রয়ের জায়গা, শান্তির জায়গাটা যেন মা-বাবা হয় সেটা নিশ্চিত করা মা-বাবার দায়িত্ব। 

আমাদের সময়গুলোর হকদার আমাদের সন্তানরা। দৈনন্দিন যত জরুরী কাজকর্ম আছে, সব শেষে যে সময়টুকু থাকে তা শুধুমাত্র তাদেরই প্রাপ্য। তাদের শরীর ও মনের স্পর্শে থাকা খুব জরুরী।

আর এই সমস্ত কিছু আল্লাহ সহজ করে দিবেন যখন আপনি প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন। বাচ্চা পালার ক্ষেত্রে সবর চাইবেন না। বরং সাহায্য চাইবেন ও যে সমস্যা সেটা থেকে দ্রুত মুক্তি চাইবেন। 

#Zain

Wednesday, March 20, 2024

বাচ্চা পালন

যে কথা গুলো কখনই আপনার শিশুকে বলবেন না।

১। “তুমি পচা” --শিশুরা অবুঝ। তারা স্বর্গের সন্তান। তারা নিষ্পাপ। কিন্তু তাই বলে তাদের আত্মসম্মানবোধের কোন কমতি নেই। তারা ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। তার জন্যে তিরস্কারও করা যেতে পারে, তবে তা মোটেও নেতিবাচক ভঙ্গিতে নয়। “তুমি খারাপ”, এই সাধারণ কথাটাও তার মধ্যে হীনম্মন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। নেগেটিভ কথা বলতে হবে পজেটিভ ভঙ্গিতে। যেমন, “তুমি তো অনেক ভালো। ভালো বাবুরা কি অমন আচরণ করে? এতে অন্যেরা কষ্ট পায় না?”। এতে তার প্রশংসা করে উৎসাহও দেয়া হলো, এবং অন্যকে কষ্ট দেয়া ঠিক নয়, এই বোধও তার মাঝে জাগ্রত হলো। 
২। ‘না’ --সবসময় না শুনতে শুনতে তারা আপনার প্রতি শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস হারাতে পারে। একদম চাছাছোলা না এর বদলে তাকে বিকল্প কিছু ব্যবহারের সুযোগ দিতে পারেন। যেমন, “এ্যাই, চিৎকার করবা না” এর দলে বলতে পারেন, “একটু আস্তে কথা বলতে পারো না সোনা!” অথবা “বাসার মধ্যে খেলবে না” এর বদলে বলুন, “বাইরে গিয়ে খেলো লক্ষ্ণী বাবা”। 
৩। “চুপ কর, আর একটি কথাও নয়” -এই কথাটি আপনার এবং তার মধ্যিকার সেতুটা গুড়িয়ে দেয়। তাকে বলতে দিন, যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ দিন, হোক না খানিক তর্ক! তার ভুলটা ধরিয়ে দিন। তার কথাও মন দিয়ে শুনুন। এই আচরণ তার মধ্যে একটা বোধ সৃষ্টি করবে, “আমার কথারও গুরুত্ব আছে”। সেই সাথে আপনার প্রতি সম্মানও বৃদ্ধি পাবে। জোর করে চাপিয়ে দেয়া যে কোন কিছুই শিশুর জন্যে ক্ষতিকর। 
 ৪। “তুমি কেন ওর মত হতে পারো না?”
-এটা খুব কমন এবং মারাত্মক ক্ষতিকর একটা বাক্য। এতে যার সাথে তুলনা করে বলা হচ্ছে, তার প্রতি সে ঈর্ষান্বিত হবে এবং সম্পর্কের মান নেমে যাবে। নিজেকে সে ব্যর্থ মনে করবে। তার আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। 
৫। “যাও তো এখান থেকে!” --আপনার শিশুর কাছে আপনিই সব। সে আপনার কাছ থেকে ভালোবাসা চায়, মনোযোগ চায়। তাকে চলে যেতে বলা, অথবা তার কাছ থেকে চলে যেতে চাওয়া, এসব তার কোমল মনে গভীর প্রভাব ফেলে। 
৬। “কেউ তোমার মত বাচ্চা চায় না”-- সমস্যাগ্রস্ত শিশুরা কিন্তু আমাদের আচরণেরই বাইপ্রোডাক্ট। তারা যদি ভালো আচরণ শিখতে না পারে, তবে তার দায় আমাদেরই। কারণ আমাদের দেখেই তারা শেখে। আমাদের কারণেই তারা পৃথিবীতে এসেছে এবং জীবন যাপন করছে। তাই কোনভাবেই তাদের কে এমন কথা বলা উচিত নয়। 
৭। “তুমি এটা পারবে না” --অনেক সময় তারা সাধ্যের অতীত কিছু করতে চায়। সেক্ষেত্রে সরাসরি না বলে ব্যাপারটা অন্যভাবে সমাধা করতে পারেন। ধরুন, সে একটি ভারী চেয়ার তুলতে চাইলো। তাকে এভাবে বলুন, “দেখো পারো কি না”, অথবা “তুমি ব্যথা পাবে সোনা, আমি করে দিই”। সবচেয়ে ভালো হয় যদি বলেন, “ চলো দুজনে মিলে করি”। এতে করে চেয়ারও তোলা যাবে, সাথে সে দলগতভাবে কাজ করার শিক্ষাও পাবে। 
৮। “ছেলেরা/মেয়েরা এটা করে না” --শিশুরা তো শিশুই। তাদের মধ্যে লিঙ্গবিভেদ করা ঠিক না। সে তার মত করে চলুক। বাধা দিলে সে বরং জীবনের নব নব রূপ দেখা থেকে বঞ্চিত হবে। তারা হোক আরো কৌতুহলী, জিজ্ঞাসু এবং দক্ষ। 
৯। “দাঁড়াও, তোমার বাবা/মা আসুক!” --এটা বহুলচর্চিত একটি ভুল। এতে শিশুরা উদ্বিগ্ন এবং শঙ্কিত হয়ে পড়ে, বিশেষ করে বারবার যদি এমন বলা হয়। যদি সে বারবার কোন একটা ভুল করতেই থাকে তাহলে আপনার অর্ধাঙ্গী/অর্ধাঙ্গীনিকে জানান ব্যাপারটা এবং আলোচনা করুন। অথবা বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করুন, “তোমার বাবা/মা’কে তুমি বলবে নাকি আমি তাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলবো?” । এভাবে আপনার শিশুকে তার ভুলের দায়ভার নিতে শেখান। 
১০। “এটা করো না, তুমি বড় হয়ে গেছ” --শৈশব তো একবার গেলে আর ফিরে আসবে না। তাই তাকে উপভোগ করার স্বাধীনতা দিন। সময় হলে বয়সের ভার সে নিজেই উপলব্ধি করবে। তার ওপর বয়স চাপিয়ে দেয়ার দরকার নেই। চাইলে আপনিও তার সাথে খেলায় মেতে উঠুন। আপনার শিশুকে আনন্দে রাখার দায়িত্ব তো আপনারই, তাই না?

বউ স ইজ

#৪৫৩৪

স্ত্রীকে ঈদের শপিং করে দেয়া স্বামীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বাস্তবে, কোন শপিং করে দেয়াই বাধ্যতামূলক নয়।

স্ত্রীকে ঈদে তেমন কিছু দিতে না পারার জন্য যদি মনের ভেতর কোন অপরাধবোধ থেকে থাকে, ঝেড়ে ফেলুন। এসব কোন ব্যাপার না। বরঞ্চ তার বান্ধবীদের কয়েকজনকে ঈদ গিফট পাঠান, দেখবেন বান্ধবীদের সাথে ধীরে ধীরে তার সম্পর্ক খারাপের দিকে তো যাবে, বান্ধবীদের স্বামীদের কেউ কেউ আপনার ব্যাপারে তাদের সন্দেহ করতে শুরু করবে। সেই সাথে বান্ধবীদের মধ্যেও ধীরে ধীরে একটা অনৈক্য সৃষ্টি হবে। এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে আপনি পুরা ব্যাপারটায় একমাত্র কিছুই না বোঝা নেহায়েত ভদ্রলোক সেজে বসে থাকবেন। সব প্যাচ বুঝবেন কিন্তু ভান করবেন কিছুই বোঝেন না। 

ঈদে ইয়ার দোস্তদের নিয়ে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করুন। স্ত্রীকে বোঝান, আপনি তাকে প্রচুর মি টাইম দিতে চান। যে বান্ধবীকে স্ত্রী বেশি সন্দেহ করে তাদের বাসায় পারিবারিক দাওয়াত নেয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন কি গ্যাঞ্জামটাই না লাগে।

প্রচুর গ্যাঞ্জাম লাগায়ে নিজে বাসায় বসে ইউটিউবে ডাইনোসর কিভাবে ধ্বংস হল তা নিয়ে ভিডিও দেখতে থাকুন। কোনভাবেই টিভির রিমোট হাতছাড়া করবেন না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে রাগ কন্ট্রোল না করতে পেরে বউ আপনার মাথা ফাটিয়ে দিতে চেষ্টা করতে পারে।

এধরনের পরিস্থিতিতে বউকে পাগল আখ্যা দিয়ে তার বাপের বাড়িতে চলে যান, সেখান থেকে অন্যত্র পরে শিফট করা যাবে।

এত কিছু কেন করবেন??

শপিং না করে দেয়ার জন্য করবেন।

ঐ টাকা দিয়ে কি করবেন তা পরের কথা। ইন্টেনশনালি একটা মানুষকে অশান্তি দিতে পারার আনন্দ কিন্তু কম না। আগে সেটা উপভোগ করেন।

সজল ভাই 

Thursday, March 14, 2024

হায়েয সংক্রান্ত নারীদের প্রয়োজনীয় ফাতাওয়া-মাসায়েল

হায়েয সংক্রান্ত নারীদের প্রয়োজনীয় ফাতাওয়া-মাসায়েল

আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের দ্বীনি ভাইদের পাশাপাশি জেনারেল বোনরাও অত্যান্ত আগ্রহের সাথে দ্বীন চর্চা করতেছেন,এবং বাস্তব জিবনে আমলের মাধ্যমে নিজেদের কে সত্যিকার একজন মু'মিন হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন। মাশাআল্লাহ 

তবে দ্বীনি বোনেরা যেহুতু জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করেছেন সে কারণে হয়তো নারী সংক্রান্ত অনেক মাসআলা-মাসায়েল জানার তেমন সুযোগ হয়ে উঠেনি।অথচ এমন কিছু জরুরি বিষয় রয়েছে যা শুধুমাত্র নারীদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যা জানা একান্ত অপরিহার্যও বটে।

অনেক বোন হয়তো লজ্জার কারণে সেগুলো জিজ্ঞাসা করার সাহসও করেন না,যদিও দ্বীনি বিষয়ে লজ্জা করা কাম্য নয়। আবার অনেক বোন জানার জন্য আমলের নিয়তে আমাদের হানাফী ফিকহ (Hanafi Fiqh) গ্রুপে প্রশ্ন করেন এবং অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ইনবক্সও করেন। তাই হানাফী ফিকহ-Hanafi Fiqh পরিবারের একজন দায়িত্বশীল হিসাবে সেই মাসায়িলগুলো আপনাদের জানানো দ্বীনি জিম্মাদারী সহ একান্ত কর্তব্যও বটে। জাযাকুমুল্লাহ

বালেগ হওয়ার পর থেকে একজন মহিলার জরায়ু হতে সাধারণত যে রক্ত নির্গত হয় তা তিন প্রকার: যথা- হায়েয, নিফাস ও ইস্তেহাযা। আজকের শুধু হায়েয সংক্রান্ত আলোকপাত করবো ইনশাআল্লাহ
পরবর্তীতে সময়-সুযোগ বুঝে বাকীগুলো নিয়ে ধারাবাহিক আর্টিকেল আসবে। 

হায়েযের পরিচয়: হায়েয বা ঋতুস্রাব বলা হয় এমন রক্তকে যা একজন সুস্থ সাবালিকা মেয়ের জরায়ু থেকে স্বাভাবিকভাবে যৌনাঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা রোগ বা সন্তান প্রসবের কারণে বের হয় না। এবং যে "সন্নে ইয়াস' বা (যে বয়সে বাচ্ছা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না) সে বয়সেও উপনীত হয়নি। [নুরুল ইযাহ ৫২ পৃ.]

 কুরআনে হায়েয সম্পর্কে বলা হয়েছে—

“তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করবে; হায়েয সম্পর্কে নির্দেশ কি? তুমি বল, সেটা একটা অপবিত্র ও ময়লাযুক্ত অবস্থা। কাজেই তখন স্ত্রীদের থেকে দূর থাকবে এবং তাদের কাছে গমন করবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়। অতঃপর তারা যখন পবিত্র হবে, তখন তাদের কাছে গমন করবে ঠিক সেভাবে যেভাবে আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন। যারা পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে এবং পবিত্রতা অবলম্বন করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।”—(সূরা- আল-বাক্বারাঃ ২২২)

আল্লাহ তা’আলা হায়েয কে মেয়েদের প্রকৃতিগত করে দিয়েছেন। রাসূল (সাঃ) বলেন,

“এটা এমন এক বস্তু যা আল্লাহ তা’আলা আদমের কন্যাদের উপর নির্ধারিত করে দিয়েছেন।” 

إن هذا أمر كتبه الله على بنات آدم فاقضي ما يقضي الحاج غير أن لا تطوفي بالبيت قالت وضحى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن نسائه بالبقر [بخاری . رقم الحدیث٢٩٠ ]

হায়েযের সুচনার ব্যাপারে সবচেয়ে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে যে,
হায়েযের সুচনা হযরত হাওয়া আ.এর মাধ্যমে হয়। হযরত হাওয়া আ.যখন নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণ করেন তখন থেকেই হায়েয নামক এই রোগ মেয়েদের
সাথে লেগে যায়। আর আল্লাহ তা’আলা এটাকে আদমের সকল কন্যাদের উপর নির্ধারিত করে দিয়েছেন। [দুররে মুখতার ১/২৮৩]

 
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 283):

"وسببه ابتداء ابتلاء الله لحواء لأكل الشجرة".

"(قوله: ابتلاء الله لحواء إلخ) أي وبقي في بناتها إلى يوم القيامة، وما قيل: إنه أول ما أرسل الحيض على بني إسرائيل فقد رده البخاري بقوله: و حديث النبي صلى الله عليه وسلم أكبر، وهو ما رواه عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: «قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في الحيض: هذا شيء كتبه الله على بنات آدم». قال النووي: أي إنه عام في جميع بنات آدم".

হায়েযের সময়সীমা: হায়েযের সময়সীমা সর্বনিম্ন ৩ দিন ৩ রাত। আর সর্বোচ্চ ১০ দিন ১০ রাত। তিনদিনের কম ও দশদিনের বেশি রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয বলে গন্য হবে না। সেটা হবে ইস্তেহাযা। এই অবস্থায় তিনদিনের কম হলে ছেড়ে দেয়া নামাজ কাযা করতে হবে। আর দশদিনের বেশি হলে এরপর থেকে নামাজ পড়তে হবে। (তবে এখানে আদত তথা অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে দশদিনের আগে থেকেও নামাজ পড়তে হতে পারে)
[আশরাফুল হিদায়া ১/২১৪]

হায়েযের রং: হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন। এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। [বেহেশতী জেওর-১/২০৬]

হায়েযের অভ্যাসের দিনগুলিতে বাদামী দাগগুলিও ঋতুস্রাব হিসাবে বিবেচিত হবে। ঋতুস্রাবের সময় যে কাপড় বা প্যাড রাখা হয় তা পুরোপুরি সাদা না হওয়া পর্যন্ত ঋতুস্রাব বলেই গণ্য হবে এবং নামায এবং রোজা রাখা জায়েয হবে না। এবং যখন প্যাড বা কাপড় পুরোপুরি পরিষ্কার দেখাবে, তখন ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত বলে বিবেচিত হবে। [দুররে মুখতার ১/২৮৮]

 الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 288):
 "(وما تراه) من لون ككدرة وتربية (في مدته) المعتادة (سوى بياض خالص) قيل: هو شيء يشبه الخيط الأبيض

পবিত্রতার সময়: দুই হায়েযের মধ্যবর্তী পবিত্রতার সর্বনিম্ন সময় ১৫ দিন। আর সর্বোচ্চ কোনো সময়সীমা নেই। মাসের পর মাসও কেউ পবিত্র থাকতে পারে। পনের দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ-রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পবিত্র হয় না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
ইমাম আলা উদ্দিন হাসকাফি রহ.বলেন,

لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔[ الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض]

 দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন ও পনেরো রাত।

হায়েযের অভ্যাস সংক্রান্ত মাসআলা:

মাসআলা- ১: কারো জীবনের প্রথম রক্তস্রাব শুরু হয়েই ১০ দিনের বেশি হলে, ১০ দিন ১০ রাত হায়েয ধরবে, বাকি দিন ইস্তেহাযা ধরবে। আর প্রতিমাসে এমন হলে প্রতিমাসেই একই নিয়ম মেনে চলবে।

মাসআলা- ২: যদি কারো ৩ দিন ৩ রাত রক্ত দেখা দেয় তারপর ১৫ দিন পবিত্র থাকে, তারপর আবার তিন দিন তিন রাত হায়েয দেখা দেয়, তবে পূর্বের ৩ ও পরের ৩ দিন হায়েয ধরে ১৫ দিন পবিত্রতা ধরবে। [তুহফায়ে খাওয়াতিন]

মাসআলা- ৩: কারো ১ অথবা ২ দিন রক্ত দেখা দিলে তারপর ১৫ দিনের কম সময় রক্ত বন্ধ রইলো, ধরুন দশ বারোদিন পবিত্র রইলো তারপর আবার রক্ত দেখা গেল, তখন সে রক্ত দেখা যাওয়ার প্রথমদিন থেকে গুণে তার অভ্যাসের দিন পর্যন্ত হায়েয ধরবে এবং বাকি দিনগুলো ইস্তেহাযা ধরবে।

মাসআলা- ৪: যদি কারো হায়েয শেষ হওয়ার পর ১৫ দিন পবিত্র থাকে তারপর রক্ত দেখা দেয় এবং ৩ দিন ৩ রাত পূর্ণ হওয়ার আগেই রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, এরপর পুনরায় ১৫ দিনের বেশি পবিত্র থাকে তাহলে আগের রক্ত ইস্তেহাযা ধরবে এবং ছেড়ে দেয়া নামাজ কাযা করবে। কারণ তিনদিনের কম হায়েয হয় না।

মাসআলা-৫ যদি কোন মহিলার হায়েজের নির্দিষ্ট কোন অভ্যাস না থাকে, অর্থাৎ কোন মাসে ৭ দিন, কোন মাসে ৮ দিন, আবার কোন মাসে ৯ দিন হায়েজের রক্ত নির্গত হয়। এমন মহিলার কোন মাসে যদি ১০ দিনের বেশি রক্ত আসে, সেক্ষেত্রে করণীয় হল, পূর্বের মাসে (১০ দিনের কম) যত দিন রক্ত এসেছে, সেটাকে অভ্যাস ধরে নিয়ে ঐ পরিমান দিনগুলোকে হায়েয গণ্য করা হবে। আর অতিরিক্ত বাকী দিনগুলোতে নির্গত হওয়া রক্ত ইস্তেহাযা গণ্য হবে। [ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৪৭৭]

মাসআলা-৬ যদি কেউ পূর্ববর্তী হায়েযের অভ্যাস শেষ হওয়ার পর গোসল করে,অতঃপর হায়েযের সর্বোচ্চ সময় দশ দিনের মধ্যে পুনরাই হায়েয আসে,তাহলে উল্লেখিত সব দিনগুলো হায়েয বলেই গণ্য হবে এবং এর ভিতরে যে সকল নামায পড়েছে তা ধর্তব্য হবে না, এবং সেগুলোর কাযাও আদায় করতে হবে না।[কিতাবুন নাওয়াযেল ৩/১৭২]

মাসআলা-৭ যদি কারো ৫ দিন রক্ত আসার অভ্যাস ছিল অতঃপর ঘটনাক্রমে কোনো মাসে চার দিন রক্ত আসার পর বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে এই অবস্থায় রক্ত বন্ধ হওয়ার পর নামাযের শেষ ওয়াক্তে গোসল করে নামায পড়বে। আর যদি রমযান মাস হয় তাহলে সতর্কতা হিসাবে রোযা রাখা ফরজ। তবে পাচঁ দিন পূর্ণ হওয়ার আগে সহবাস করা জায়েয হবে না। [কিতাবুন নাওয়াযেল ১/১৭৮]

হায়েয চলাকালিন বিধি-নিষেধ:

মাসআলা-৮ নারীরা মাসিক ও প্রসবজনিত বিশেষ দিনগুলোতে নামাজ-রোজা পালন করতে পারবে না। পরে এসব নামাজের কাজাও নেই, তবে রোজা কাজা করে নিতে হবে। 
[সহিহ বুখারি ৩/৩৫ হাদিস নং১৯৫১; সুনানে তিরমিযী হাদিস নং ৭৮৭;মাবসুতে সারাখসি : ৩/১৫৪-১৫৫]

মাসআলা-৯ হায়েযের বিশেষ দিনগুলোতে কোরআন শরিফ পড়া এবং গিলাফ ব্যতীত স্পর্শ করা জায়েজ নেই। [ফাতহুল কাদির : ১/১৬৮]

ঋতুমতী মহিলার জন্য কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। এ সময়ে কাউকে শিখানোর উদ্দেশ্যেও তা পড়া যাবে না। এক্ষেত্রে শেখানোর জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা উচিত। অবশ্য ভিন্ন ব্যবস্থা না থাকলে একটি করে শব্দ বলে দিবে এবং প্রত্যেক শব্দের পর ওয়াকফ করবে। এছাড়া বানান করেও পড়া বলে দিতে পারবে।

উল্লেখ্য, ঋতুমতী মহিলার জন্য কুরআন শ্রবণ করা জায়েয, তাই এ অবস্থায় ছাত্রীদের পড়া শুনতে কোনো অসুবিধা নেই।

-জামে তিরমিযী ১/৩৪; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৪০৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৩০; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৯৩

মাসআলা-১০ কুরআন শরীফ শিক্ষাদান কারী মহিলা এবং ছাত্রী উভয়ের জন্যই মাসিকের বিশেষ দিনগুলোতে কুরআন স্পর্শ করা,তেলাওয়াত করা জায়েয নেই। তবে কুরআন শিক্ষার ধারাবাহিতা ধরে রাখার পদ্ধতি এই যে, সে কুরআনের আয়াত পরিপূর্ণ ভাবে পড়বে না,বরং একটি করে শব্দ বলে দিবে এবং প্রত্যেক শব্দের পর ওয়াকফ করবে। এছাড়া বানান করেও পড়া বলে দিতে পারবে।
যেমন,
  الحمد۔۔۔۔ للہ۔۔۔۔ رب۔۔۔ العالمین

মাসিকের বিশেষ দিনগুলোতে মহিলাদের জন্য শব্দ শব্দ করে পড়া জায়েয, তবে পরিপূর্ণ আয়াত পাঠ করা জায়েয হবে না। এই বিধান ছাত্রি-শিক্ষিকা উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। 
 
তবে এ কথা স্মরণ রাখা উচিৎ এ বিশেষ দিনগুলোতে গিলাফ ব্যতিত কোরআন স্পর্শ করা,ধরা জায়েয নেই।
তবে হ্যাঁ কায়েদা এবং দ্বীনি অন্যান্য কিতাবাদি স্পর্শ করা এবং পড়া যাবে। যেমন তাফসীরের কিতাব,যাতে তাফসির বেশী হয় আয়াতের তুলনায়,হাদিসের গ্রন্থসামগ্রি এবং ফিকহের কিতাবাদি ইত্যাদি স্পর্শ করা এবং পড়া যাবে। আর এক্ষেত্রেও যেখানে আয়াত লেখা থাকবে তা স্পর্শ এবং পড়া জায়েয হবে না।

যদি শিক্ষিকা ঋতুমতী হয় তাহলে তার জন্য ছাত্রীদের থেকে কুরআন শ্রবণ করা জায়েয, তাই এ অবস্থায় ছাত্রীদের পড়া শুনতে কোনো অসুবিধা নেই।

এমনিভাবে ছাত্রীরা কোরআন ধরে রাখবে,আর শিক্ষিকা তা দেখে দেখে পড়া শুনবে তাহলে এটারও সুযোগ রয়েছে।

এমনিভাবে যদি হেফজ ভুলে যাওয়ার আশংকা হয় তাহলে ফুকাহায়ে কেরাম এ পদ্ধতির কথা বলেন যে, হাফেজা মহিলা কোনো পবিত্র কাপড় ইত্যাদি দ্বারা কোরআন কে ধরে সেখানে দেখে মনে মনে পুনরাবৃত্তি করতে পারবে। এর সুযোগ রয়েছে এবং তাতে মুখস্থ করার জরুরতও পূর্ণ হবে।তবে মুখে একেবারে উচ্ছারণ করতে পারবে না।

মাসআলা-১১ অনুরূপ হায়েজ-নেফাস অবস্থায় সহবাস থেকে বিরত থাকা একান্ত অপরিহার্য। তবে অপারগতাবশত গুনাহ থেকে বাঁচার মানসে হাঁটু থেকে নাভির মধ্যবর্তী অংশ বাদ দিয়ে অন্যান্য অঙ্গ দ্বারা যৌনস্পৃহা নিবারণ করা যায়। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/২৯২)

মাসআলা-১২ এমনিভাবে হায়েয চলাকালিন সময়ে তাওয়াফ করা,মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। [কিতাবুন নাওয়াযেল ১/১৮১]

 মাসআলা-১৩ বই-পুস্তক বা দ্বীনি কিতাবাদি, যেখানে কোরআন শরিফের আয়াতও লিখা থাকে, এ অবস্থায় পড়া বা স্পর্শ করা জায়েজ। তবে কোরআনের আয়াত পড়া বা স্পর্শ করা যাবে না। (রদ্দুল মুহতার : ১/১৭৬)

মাসআলা-১৪ তদ্রূপ ওই সময়ে দোয়ার অর্থবহ আয়াত বা সুরা দোয়ার নিয়তে পড়া জায়েজ। যেমন দোয়ার নিয়তে আয়াতুল কুরসি বা সুরায়ে নাস ও ফালাক ইত্যাদি পড়া জায়েজ হবে দোয়া হিসাবে,তেলাওয়াত হিসাবে নয়। তবে নিয়মিত আমল হিসেবেও সূরা ইয়াসিন, ওয়াকিয়া ইত্যাদি পড়া যাবে না। [ফাতহুল কাদির : ১/১৬৮, রদ্দুল মুহতার : ১/১৭২, আহসানুল ফাতাওয়া : ২/৭১]

মাসআলা-১৫ ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়াতে রয়েছে হায়েযগ্রস্থ নারীর জন্য মুস্তাহাব হলো,যখন নামাযের সময় হয় তখন সে অজু করবে এবং নিজ ঘরে নামাযের জায়গায় বসে থাকবে। পবিত্র থাকাকালিন যতটুকু সময় লাগত তার নামায পড়তে এ পরিমাণ সময় বসে থাকবে এবং তাসবিহ-তাহলিল পড়বে। যাতে ইবাদতের অভ্যাস চলে না যায়। [১/৪৭৮]

মাসআলা-১৬ হায়েয-নেফাস কোনো রোগ নয়,বরং প্রাকৃতিক নিয়ম। হায়েয-নেফাস না হওয়াই রোগ। ইচ্ছা করে বন্ধ করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তাই ওষুধ খেয়ে হায়েয-নেফাস বন্ধ করা নিষিদ্ধ। [ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া ৬/৪০৪]

মাসআলা-১৭ হায়েয-নেফাস শুরু হওয়ার পূর্বেই যদি ওষুধ সেবন করে বা কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে হায়েয-নেফাস বন্ধ করে দেওয়া হয়,তাহলে সংশ্লিষ্ট মহিলা ঋতুমুক্ত হিসাবে গণ্য হবে এবং যথারীতি নামায-রোজা আদায় করতে হবে। পক্ষান্তরে হায়েয-নেফাস শুরু হওয়ার পর যদি বন্ধ করা হয়,তাহলে দেখতে হবে হায়েযের ক্ষেত্রে দশ দিনের ভেতর এবং নেফাসের ক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের ভেতর পুনরাই রক্ত দেখা দিয়েছে কি-না। যদি দেখা দিয়ে থাকে তাহলে সেই মহিলা হায়েযগগ্রস্থা(ঋতুবর্তী হিসাবে
গণ্য হবে,অন্যথায় ঋতুমুক্ত বলে গণ্য হবে।
[ফাতাওয়ায়ে শামি ১/৩০৮; বাদায়েস সানায়ে ১/৩৯

মাসআলা-১৮ হায়েজের সর্বোচ্চ সীমা ১০ দিনের মাথায় এসে যদি হায়েজ বন্ধ হয়,তাহলে গোসল ব্যতিতই সহবাস জায়েজ আছে।
তবে সহবাস গোসল করার পরেই উত্তম।
 আর যদি ১০ দিনের কম তবে মহিলার স্বাভাবিক অভ্যাস অনুযায়ী ৬/৭ দিনে হায়েয বন্ধ হয় তাহলে সহবাস তখন জায়েয হবে যখন গোসল করবে অথবা এতটুকু সময় অপেক্ষা করবে,যার মধ্যে গোসল করে কাপড় পরিধান করে নামাজ শুরু করতে পারে। বা হায়েজে শেষ হওয়ার পর নামাজের ওয়াক্ত চলে যায়,আর নামাজ তার যিম্মায় লাযেম তথা আবশ্যকীয় হয়ে যায়।[ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ১/২১১]
[ফাতাওয়ায়ে শামি ১/২৯২]

মাসআলা-১৯ যদি কারো ১০দিন এর কম স্রাব হয় এবং এমন সময়ে গিয়ে রক্ত বন্ধ হয় যে খুব তাড়াতাড়ি গোসল করে নেয়ার পর একবার আল্লাহু আকবর বলার সময় থাকে, তবে সেই ওয়াক্তের নামাজ পড়তে হবে। এমন অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলেও নামাজ শেষ করতে হবে। তবে ফজরের ওয়াক্ত হলে যদি নামাজ শুরু করার পর সূর্য উদিত হয়ে যায় তবে সে নামাজ কাজা করতে হবে। [ হেদায়া, হায়েজ অধ্যায়।]

মাসআলা-২০ হায়েয অবস্থায় পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা থেকে বিরত থাকা জরুরি। তবে একান্ত প্রয়োজন দেখা দিলে আয়াতের লিখিত অংশে হাত না লাগিয়ে লেখা যেতে পারে। [ফাতহুল কাদীর, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া]

মাসআলা-২১ মাসিক চলাকলীন সময় জিকির-আযকার করা, দরুদ শরীফ পড়া, ওযীফা পড়া, বিভিন্ন দোয়া পড়া যায়। এমনকি এসময় পবিত্র কোরআনে কারীমের দোয়ার আয়াতগুলোও দোয়া হিসেবে পড়া যাবে। পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত হিসেবে পড়া যাবে না। এক বর্ণনায় এসেছে, মা‘মার (রাহ.) বলেন, আমি যুহরী (রাহ.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ঋতুমতী নারী ও যার ওপর গোসল ফরজ হয়েছে সে আল্লাহর যিকির করতে পারবে? তিনি বললেন, হাঁ, পারবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোরআন তিলাওয়াত করতে পারবে? তিনি বললেন, না। [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৩০২]

ইবরাহীম নাখায়ী (রাহ.) বলেন, ঋতুমতী নারী ও যার ওপর গোসল ফরজ হয়েছে সে আল্লাহর যিকির করতে পারবে এবং বিসমিল্লাহও পড়তে পারবে। [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৩০৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/১৬৫]

মাসআলা-২২ হায়েয অবস্থায় তাওয়াফে জিয়ারত জায়েজ নেই। এমনকি তাওয়াফের জন্য মসজিদে হারামের ভিতরে প্রবেশ করাও জায়েজ নেই। যদি তাওয়াফ করাবস্থায় হায়েজ শুরু হয়ে যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ তাওয়াফ বন্ধ করে দেবে এবং পরবর্তীতে পবিত্র হওয়ার পর কাজা করবে। [কিতাবুল মাসায়েল : ৩ : ৪০৩]

রাসূলুল্লাহ (সা.) মা আয়েশা (রা:)-কে বলেছিলেন, ‘হজ্জ সম্পাদনকারী একজন ব্যক্তি যা করে তুমিও তা করতে থাক। তবে পবিত্রতা অর্জন পর্যন্ত পবিত্র ঘর কাবার তওয়াফ থেকে বিরত থাকবে।’ [বুখারী ও মুসলিম]

মাসআলা-২৩ হায়েয অবস্থায় মসজিদেও গমন করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ‘কোন ঋতুবতী এবং নাপাক ব্যক্তির জন্য (যার ওপর গোসল ফরজ) মসজিদে অবস্থান করা আমি বৈধ করিনি। [আবু দাউদ]

মাসআলা-২৪ তাওয়াফে যিয়ারতের সময় যদি হায়েয শুরু হয়ে যায় তাহলে সে অবস্থায় ইস্তেগফার করত তাওয়াফে যিয়ারত সম্পন্ন করবে এবং হেরেমের সীমানার ভেতরে একটি পশু(উট,গাভী,মহিষ ইত্যাদি) যবেহ করে ফেলবে। [গানিয়াতুন নাসেক ২৭২]

মাসআলা-২৫ হায়েযের দিন সমূহ গণনা করা নারীদের উপর আবশ্যক,যাতে পবিত্র-অপবিত্র বিধানের লক্ষ্য রেখে যে সময় গোসল ফরজ হয় তার প্রতি গুরুত্ব দিতে পারে। এবং এ গণনার উপরই নারীদের নামায আদায় করা না করার ভিত্তি।

মাসআলা-২৬ যদি কোনো নারীর ফরজ নামায আদায়রত অবস্থায় মাসিক শুরু হয়ে যায়,তাহলে তার জন্য সে নামায মাফ। ওই সময়ই সে নামায পূর্ণ না করে শেষ করে দেবে। উক্ত অবস্থায় নামায অব্যাহত রাখা জায়েয নেই। এবং পবিত্র হওয়ার পর সে নামাযের কাজাও আবশ্যক নয়।

মাসআলা-২৭ আর যদি নফল বা সুন্নত নামায আদায়রত অবস্থায় মাসিক শুরু হয়ে যায়,তাহলে ওই সময়ই সে নামায পূর্ণ না করে শেষ করে দেবে। তবে পবিত্র হওয়ার সে নামায কাজা করা আবশ্যক।
[ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি ১/৩৮; ফাতাওয়ায়ে শামি ১/২৯১]

মাসআলা-২৮ হায়েয অবস্থায় নাভির নিচের চুল কাটা মাকরুহ।[ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি ৫/৩১৪]

বি:দ্র:পরবর্তী পোস্টে থাকবে ধারাবাহিকক্রমে নেফাস,ইস্তেহাযা সংক্রান্ত ফাতাওয়া-মাসায়েল ইনশাআল্লাহ।

Khairul Islam 29/7/2021
হানাফী ফিকহ-Hanafi Fiqh


Wednesday, March 13, 2024

ফরজ ইলম অর্জন উপায়

জেনারেল শিক্ষিত প্র্যাকটিসিং ভাইবোনেরা কীভাবে ধারাবাহিকভাবে ইলম শিখবেন, দ্বীনি বিষয়ে পড়াশোনা করবেন, তার একটা সিলেবাস চেয়েছেন অনেকে।

প্রথম কথা হলো, যখন কেউ ইসলামি বইয়ের সাজেশন চায় কিংবা ভালো একটি বইয়ের নাম জানতে চায়, তখন কতিপয় লোক 'কুরআন পড়ুন' লিখে দেয়। তাদের কথায় ভুল নেই, কিন্তু এই জায়গায় তাদের মন্তব্যটা ভুল। কীভাবে? 

আমরা জানি, কুরআন-হাদিস হলো শরিয়তের মূল উৎস বা কাঁচামাল; এখান থেকেই ইসলামের যাবতীয় বিধানাবলীর জন্ম। কিন্তু এই কাঁচামালকে উপযুক্ত পন্থায় পরিবেশন করার জন্য ইলমের প্রয়োজন। ঠিক যেমন বাসায় মেহমান এলে তার সামনে আস্ত মুরগি রেখে দিলেই হয় না; বরং যোগ্য রাঁধুনী নিয়ে সেটাকে খাওয়ার উপযোগী করে পরিবেশন করতে হয়।

কুরআন-হাদিস আমাদের সামনেই আছে। কিন্তু সেখান থেকে নিজে নিজে মাসায়েল বের করে আমল করা কিংবা সরাসরি তা থেকে উপকৃত হওয়ার যোগ্যতা আমাদের নেই। এজন্যই ইলম আহরণ করতে হয় কুরআন-হাদিসের নির্যাসরূপে প্রস্তুতকৃত ও সরাসরি পরিবেশনযোগ্য 'ইসলামি কিতাবাদি' থেকে, যা সম্মানিত আলিমরা রচনা করে গেছেন।

এবার ইলম অর্জনের ধারাবাহিকতা বলার আগে আরেকটা কথা বলি। ইলম অর্জন করতে হয় বিষয়ভিত্তিক ভাবে। এলোপাতাড়ি পড়াশোনা করলে দিনশেষে তেমন কিছুই মনে থাকে না, হৃদয়ঙ্গম হয় না। যাইহোক। 

১. সবার আগে শিখতে হবে আকিদা। ওজু ও নামাজ ভঙ্গের কারণগুলোর চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে শিখতে হবে ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো। জানতে হবে তাওহিদ, রিসালাত ও আরকানুল ঈমান প্রভৃতি। নির্ভরযোগ্য কোনো আলিমের কাছে আকিদার ওপর পড়াশোনা করুন। 'ঈমান সবার আগে' 'তাওহিদের মূলনীতি' 'ঈমান ভঙ্গের কারণ' 'আকিদাতুত তহাবি' 'প্রচলিত ভুল' এসব বই পড়ুন।

২. এরপর ইবাদাত, মুআমালাত তথা ব্যবসা ও লেনদেন, মুআশারাত তথা শিষ্টাচার ও বান্দার হক এবং হালাল-হারাম টপিকের ওপর পড়াশোনা করুন। 
'নবীজীর নামায' ও যাকাত-সিয়াম ও হজ সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য আলিমদের লেখা ভালো বইগুলো পড়তে পারেন। ব্যবসা, লেনদেন ও ইসলামি অর্থনীতি সম্পর্কে জানতে তাকি উসমানি সাহেবের বইগুলো পড়া যায়। মুআশারাত তথা শিষ্টাচার বিষয়ে 'আদাবুল মুআশারাত' বইসহ অন্যান্য বই পড়তে পারেন। আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য পড়তে পারেন 'তাসাউফ ও আত্মশুদ্ধি' বইটি।
পাশাপাশি পড়াশোনা করুন হালাল-হারাম বিষয়ে। সমকালীন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত 'হালাল-হারামের বিধান' বইটি পড়তে পারেন।
আর এই সবগুলো বিষয় সংক্ষেপে একসাথে পেতে পড়তে পারেন 'ফরজে আইন' বইটি।

৩. ধারাবাহিকভাবে পুরো কুরআনের অনুবাদ ও যেকোনো একটি ভালো তাফসির পড়ুন। 'তাওযীহুল কুরআন' ও 'তাফসীরে উসমানী' পড়তে পারেন। এই পড়াশোনা হবে কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে, কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর করতে ও ভাবতে, কুরআন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে।

৪. বিষয়ভিত্তিক হাদিস পড়ুন। 'রিয়াজুস সালিহিন' 'আদাবুল মুফরাদ' ও প্রসিদ্ধ ছয় কিতাবের নির্যাস 'বিষয়ভিত্তিক বিশুদ্ধ হাদিস সংকলন' বইটি পড়তে পারেন।

৫. নিয়মতান্ত্রিক পড়াশোনা করতে কোনো একাডেমীতে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। যেখানে কুরআন-হাদিস বুঝতে আরবি ভাষা, নাহু-সরফ, বালাগাত ইত্যাদি শিখবেন। ফিকহের কিতাবাদি পড়বেন। হাদিস ও হাদিসের মূলনীতি শিখবেন। তাফসিরের ইলম আহরণ করবেন। সম্ভব হলে এই ধারাবাহিকতায় আলিম হবেন, ইনশাআল্লাহ।

মুফতি আবুল হাসানাত কাসিম (হাফি.)

Saturday, February 17, 2024

কে দায়ী? উপায় কি?

"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল৷ একদম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রয়োজনে বাবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। আমি আমার স্বামীর ওপর এমন নির্ভরশীল হতে চাই না। তাই আমি চাকরি করবো।" 

এই অনুচ্ছেদটি এদেশের অনেকগুলো পরিবারের চিত্র। একটু খেয়াল করে দেখুন, 'নির্ভরশীল' শব্দটিকে। এই শব্দটি পরিবারের মেয়েটির মধ্যে চাকরি করার স্পিরিট যোগান দিয়েছে। কিন্তু এই ভাবনাটি কি আসলেই যথার্থ? তার মা কি আসলেই তার বাবার ওপর নির্ভরশীল? 

দেখেন, নির্ভরশীলতা তখন আসে যখন সেখানে বিনিময় থাকে না। যেমন, আমরা সূর্যের ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা প্রয়োজনীয়, সার্ভাইভালের জন্য। বিনিময়ে কিন্তু আমরা সূর্যকে কিছু দেই না। তাই, আমরা সূর্যের ওপর নির্ভরশীল কথাটা যথাযথ। 

এখন দেখুন, এই পরিবারটির বেলায় কী হচ্ছে। অর্থ উপার্জন বাবা করছে এটা সঠিক। কিন্তু মা কী করছে দেখুন। রান্নাবান্না, ঘরদোর সুন্দর রাখা, বাচ্চাদের সুন্দর বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করা, স্বামীর শারিরিক ও মানসিক চাহিদা নিশ্চিত করা আরো কতো কী! এই কাজগুলো যদি তিনি না করতেন, তবে কী এই পুরুষ চলতে পারতেন? তাহলে তো দেখা গেলো, এই পুরুষও পালটা এই নারীর ওপর নির্ভরশীল। এবং, এই পুরুষেরই নারীটির ওপর নির্ভরশীলতা বেশি! তবে একতরফাভাবে মেয়েটি কেন ভাবলো যে, তার মা তার বাবার ওপর নির্ভরশীল? 

চিন্তার মানদণ্ডের কারণে। মেয়েটি অর্থকে মানদণ্ড বানিয়েছে। অর্থ দিয়ে যা মাপা যায়, তার মূল্য আছে, অর্থ দিয়ে যা মাপা যায় না, তার মূল্য নেই। কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে মায়ের কাজগুলোরও অর্থমূল্য আছে। যদিও অর্থমূল্য নির্ধারণ করা অযৌক্তিক, কারণ মা হচ্ছেন মা। কিন্তু তর্কের খাতিরে আমরা একটুখানি করে দেখি। 

আপনি হোটেলে একবেলা খাবার খান। মা যেই যেই খাবার রান্না করেন, সেটা একটা ভালো-পরিচ্ছন্ন পরিবেশনায় খেতে হলে ঐ মানের হোটেলে ১০০ টাকার কাছাকাছি লেগে যাবে। ঐ হোটেলের বাবুর্চির স্যালারি কতো? ১০ হাজার? আপনার মা তো ৩০ দিনে ৯০ বেলা ক্লান্তিহীন রান্না করছেন, আপনাকে ডেকে নিয়ে খেতে বসাচ্ছেন, খাবার শেষে ধোয়াটোয়ার কাজও করছেন, তাহলে তাঁকে কতো স্যালারি দেবেন?  

ঝাড় দেয়া, ঘর মোছার জন্য একটা বুয়া রাখেন তো। দেখবেন সে মাসে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করবে। কিন্তু, তারপরও খাটের নিচে ময়লা থেকে যাবে, শোকেজের কোণায় ধুলো জমে থাকবে। কিন্তু, মা কতো যত্ন নিয়ে ঘর ঝেড়েঝুড়ে রাখছেন, আবার মুছছেন, তাহলে মা'কে কতো স্যালারি দেবেন? 

প্রাইভেট টিউটরকে মাসে কতো টাকা স্যালারি দেন? ৬-৭ হাজার? যেই মা কথা বলা শেখালো, ভালো-খারাপ চেনালো, খাবার খেতে, ওয়াশরুমে যেতে, হাঁটতে, পড়তে, লিখতে শেখালো, তার কতো স্যালারি হবে? 

হাসপাতালে নার্স কিংবা ডাক্তারকে ঠিক কতো টাকা দিলে তারা আপনার শিয়রে সারারাত বসে পট্টি দিবে মায়ের মতো? 

এরপর এই একই নারী তো স্বামীর হক্ব আদায় করছে। শারিরিক হক্ব আদায় করছে। মানসিক প্রশান্তি দিচ্ছে। দুঃশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করছে। সমস্যা শুনছে, সাজেশন দিচ্ছে। পুরো ফ্যামিলিকে মায়া দিয়ে আগলে রাখছে এই নারী। মায়া তো এবস্ট্রাকট জিনিস, এটার অর্থমূল্য তো নির্ধারণ করতে পারবেন না। 

তাহলে মায়ের কাজের অর্থমূল্য নেই, এমনটাও কী বলা গেলো? অর্থাৎ, আমার বাবা চাকরি করছে তাই আমার মা তার ওপর নির্ভরশীল এই কথাটা একেবারেই অবান্তর। এইযে, বাবা অর্থ সরবরাহ করছে, ভরণপোষণ করছে, এটা তার অধিকার। এই অধিকার আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এতে নারীর জন্য লজ্জার কিছু নেই। এটা তার প্রাপ্যের চেয়ে বরং অনেক কম! তাই নতজানু হওয়ারও মোটেও কিছু নেই। (নতজানু এই অর্থে যে, আমি টাকা রোজগার করতে পারছিনা, তাই আমি ছোটো হয়ে থাকবো।)

কিন্তু আলাপটা এখানেই শেষ নয়। আরেকটি অনুচ্ছেদে চলে যাই। 

"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল। বাবা মাকে যেমন-তেমন করে ট্রিট করে, খোঁটা দিয়ে কথা বলে, মতামতের মূল্য দেয় না। আমি এরকম আমার স্বামীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে এসব সহ্য করতে চাই না। তাই আমি চাকরি করবো।"

দেখুন, গল্পটা একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলো। এবার সমস্যাটা আর চিন্তার মানদণ্ডে না। এবার সমস্যাটা পুরুষেরই অবদান। এই বাবা তার মেয়ের মধ্যে পুরুষ সম্পর্কে একটি বিরূপ ধারণা সেট করে দিয়েছে, যা তাকে আল্লাহর তৈরি ফিতরাতের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করছে। 

আমাদের সমাজের পুরুষদের একটা বিশাল অংশ প্রথম অনুচ্ছেদের মেয়েটির মতো চিন্তা করে। তারা ভাবে, মেয়েরা চাকরি করে না বলে তারা আমাদের ওপর নির্ভরশীল। তাদেরকে যাচ্ছেতাই ভাবে ট্রিট করা যাবে। দুইদল-ই আল্লাহর দেয়া ফিতরাত অস্বীকার করছে। 

ইসলামী রাষ্ট্রে এসব সমাধানের ব্যবস্থা আছে। খলিফার আদালতে বিচার তোলা যাবে। পুরুষটাকে সোজা করা যাবে, সিরিয়াস কেসে তালাক পর্যন্তও যাবে। কিন্তু, বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে? এখন তো খলিফাও নেই, ইসলামী আদালতও নেই, গ্রাম্য বিচার-শালিসে তো মহিলা বাই ডিফল্ট অপরাধী। 

ঠিক সেই জায়গাটিতেই একটা চাকরিপ্রিয় ক্যারিয়ারিস্টিক নারীপ্রজন্ম গড়ে উঠছে। তারা হয় প্রথম কেইসের অথবা দ্বিতীয় কেইসের। প্রথম কেইস হলে সেটা তাদের চিন্তার দৈন্যতা। দ্বিতীয় কেইস হলে তারা পরিস্থিতির স্বীকার। 

আমি সমাধান আলোচনা করবো না। আমি অতোবড়ো মাথাওয়ালা নই। আমি এই ছোটোখাটো প্রবন্ধের শেষে একটি অনুচ্ছেদে শুধুমাত্র দুটো কেইসের এন্ড রেজাল্ট দেখানোর চেষ্টা করবো। 

নারী চাকরিতে আসলে আদতে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা আসলে বিবিধ। 

প্রথমেই চলে আসে ফিতরাত নষ্ট হওয়ার ব্যাপারটি। এই পৃথিবীতে প্রতিটি বস্তুর স্বতন্ত্র জায়গা আছে, প্রতিটি প্রজাতির নিজস্ব অবস্থান আছে। ব্যতিক্রম নয় পুরুষ আর নারীও। পুরুষ এবং নারী শারিরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই ভিন্নতাও সুন্দর এবং এমনভাবে করা যে, তারা পরস্পরের জন্য উপকারী বলে প্রতীয়মান হয়। তারা এমনভাবে সহাবস্থান করবে যাতে ন্যাচার ভায়োলেট না হয় এবং পরস্পরের অধিকার ও কর্তব্যের জায়গাটিও ঠিক থাকে। 

নারী ও পুরুষ কে কোথায় অবস্থান করবে, এই ব্যাপারে নির্ধারণ করতে পারেন কে? অবশ্যই তাদের স্রষ্টা তাইতো? তাহলে আমরা নারী-পুরুষের অবস্থান কী হবে, তাদের এক্টিভিটি কেমন হবে, এটা জানবো কুরআন এবং হাদীস থেকে। ইসলামে জেনারেল কেইসে নারীদের চাকরি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। 

কেন সেটার কিছু নমুনা বলি। 

প্রথমত, এটা তার জন্য একটা ফিজিকাল বার্ডেন। একজন নারী মাসে ৬-৭ দিন অসুস্থ থাকে। এইসময় কি তার চাকরি অফ করার সুযোগ আছে? তাকে তো ঠিকই অফিসে যেতে হবে, সারাদিন কাজ করতে হবে। ঘরে থাকলে সুবিধা কী হতো? এখানে তার শ্বাশুড়ি আছে কিংবা মেয়ে আছে, কিংবা স্বামী আছে। তারা জানে এবং বোঝে। এখানে তার ফুসরতের সুযোগ আছে। অফিসে আছে? 

আচ্ছা, প্রেগনেন্সি লিভ কয় মাসের? ৬ মাসের। শুরুর ৪ মাস? প্রেগনেন্সি নিয়েই তো অফিস করতে হয়। মেডিকেল রিসার্চ ঘেঁটে দেখবেন প্রেগনেন্সি নিয়ে অফিস করার স্বাস্থ্যঝুঁকি। 

কিছু নারী আছে, যারা সন্তানই নিতে চান না ক্যারিয়ারের চাপে। ফলে দেখা যায়, বয়স বেড়ে গেলে সন্তান নিতেও জটিলতা তৈরি হয়। কেউবা অক্ষম হয়ে পড়ে। হাইলি ফিজিকাল বিভিন্ন পেশা, যেমন- সেনাবাহিনী, খেলাধুলো ইত্যাদিতে প্রফেশনাল নারীদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা যায় অনেক বেশি! 

এরপর আসে, সন্তানের ঠিকঠাক বেড়ে ওঠার ব্যাপারটি। ক্যারিয়ারিস্টিক নারীরা ছোটো বাচ্চাকে বুয়ার কাছে রেখে চাকরিতে বেরিয়ে পড়তে দেখা যায়। এতে কী হয়? না সন্তান মায়ের যত্ন-আত্তি পায়, না পায় মায়ের শিক্ষা। সে পায় বুয়ার শিক্ষা আর তার অবহেলা। প্রায়ই দেখা যায় ছোটো বাচ্চাদেরকে বুয়ার নির্যাতন করার নিউজ। এই ক্ষতিটা কি ছোটো কোনো ক্ষতি? 

একটা নারীবাদী টোন আছে, "নারীর কাজ কি শুধু বাচ্চা উৎপাদন আর লালন-পালন করা নাকি?" আমি এখানে 'শুধু' শব্দটার বিরোধিতা করি। অবশ্যই নারীর কাজ শুধু বাচ্চা উৎপাদন, লালন-পালন করা না। নারী অনেক কাজই চাইলে করতে পারে। কিন্তু, এই কাজটা স্পেশালি নারীকে অর্পণ করা হয়েছে এবং স্বয়ং আল্লাহ-ই অর্পণ করেছেন। বাচ্চা জন্মদানের উপযোগী শরীর তাকে দিয়েছেন আর লালন-পালনের উপযোগী মন। এটা অস্বীকার করা মানে প্রকৃতিকে অস্বীকার করা। 

আসলে চাকরি নিয়ে আমার কোনো সমস্যাই নেই। চাকরি করুক, কিন্তু এই ক'টি বিষয় নিশ্চিত করতে পারবে কি?

১. যথাযথ পর্দা। 

২. মাহরামসহ সফর। 

৩. খুব বেশি প্রয়োজন ব্যতীত নন-মাহরামের সাথে ইন্টারেকশন থেকে বেঁচে চলা। 

৪. স্বামীর হক্ব আদায় করা। 

৫. সন্তানের হক্ব আদায় করা। 

একজন চাকরিজীবী নারীর জন্য এর যেকোনো একটিও পরিপূর্ণ করা আজকের সমাজের প্রেক্ষাপটে অন্তত সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। 

যথাযথ পর্দা আপনি কতোক্ষণ করবেন? কোথায় করবেন? কর্পোরেট জবগুলো ক্রমাগত ইসলামোফোবিক হচ্ছে। আপনি নিকাব করলে বলবে, "তাহলে আর চাকরি করার মূল্য কী?" এই বাক্যেরও একটা তাৎপর্য আছে, যদি বোঝেন। অনেক কর্মক্ষেত্র আছে, নিকাবই এলাউড না। পরীক্ষা দেবেন, নিকাব এলাউড না। প্রেজেন্টেশন দেবেন, নিকাব এলাউড না। তাহলে যথাযথ পর্দা ম্যান্টেইন হচ্ছে? 

এরপর আসেন মাহরামসহ সফর। এই জায়গায় কী করবেন আপনি? আপনার স্বামীর চাকরি এক জায়গায়, আপনার অন্য জায়গায়। সে আপনাকে রোজ অফিসে পৌঁছে দিতে পারবে না। আপনাকে চলাফেরা করতে হচ্ছে একাকী। এই হায়েনার দেশে আপনার সেফটি কী? আপনার চাকরি আপনাকে রাস্তায় সিকিউরিটি দিচ্ছে? বাসে আপনি মলাস্টেটেড হলে, রাস্তায় আপনি টিজড হলে, কার ক্ষতি? অবশ্যই চাকরি না করা এর সমাধান না বলতে পারেন, কিন্তু যতোদিন সমাধান না আসছে, ক্ষতি মেনে নেবেন?

নন-মাহরামদের সাথে ইন্টারেকশন ঠেকাতে পারবেন? আপনার অফিসের বস থেকে শুরু করে, সহকর্মী, পিয়ন, সবই তো নন-মাহরাম। তাদের সাথে আপনার কাজ করা লাগছে পাশাপাশি বসে। টিম করে প্রেজেন্টেশন দেয়া লাগছে। প্রয়োজনে-স্বল্প প্রয়োজনে কল-মেসেজিং করা লাগছে। ঠেকাতে পারছেন কই? 

স্বামীর হক্ব আদায় করা কী সত্যিই সম্ভব? সারাদিনের অফিসের ক্লান্তির পর আপনার কি রেস্টের প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আপনি বাসার স্ট্রেসের সাথে অফিস+জার্নির স্ট্রেসকে মেলাবেন না দয়া করে। দুটো যে কতটা ভিন্ন তা আপনি জানেন। আপনার ইচ্ছে হবে না মোটেও এতো স্ট্রেসের পর স্বামীর সাথে একটু ভালো করে কথা বলতে। অফিসে যদি প্যারা থাকে আর মেজাজ বিগড়ে থাকে, তাহলে তো আরো না। 

আর সন্তান? সে তো বড়ো হচ্ছে বুয়ার কাছেই.. 

এইসব আলোচনা আমাদেরকে তৃতীয় একটি পরিবারের প্রতিচ্ছবি দেখায়। 

"আমার বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী। দুজনে দিনভর অফিসে থাকেন। রাতে আসেন। এসে দুজনে যান্ত্রিক তরীকায় আমার খোঁজ নেন। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়াদাওয়া করেন। তারপর একদফা ঝগড়া করেন। বাবা-মা দুজনে রাতেও পরবর্তী দিনের জন্য অফিসের কাজগুলো দেখেন। আমি সারাদিন একা ঘরে বসে থাকি। হাসিনা খালা দুপুরে খাইয়ে দেন। আমি টিভি দেখি আর বাবা-মায়ের অপেক্ষা করি। আমার খুব কান্না পায়। আমি কাঁদলে খালা আমাকে বকা দেন।" 

দেখেন, আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমি দুটো সিনারিও থেকে একটা কনক্লুশন সিনারিওতে গেছি। অনেক বেশি জেনারালাইজড হয়ে গেছে হয়তো। কিন্তু, রেজাল্ট এর কাছাকাছিই আসবে। আমি কোনো সমাধান দেখাইনি। শুধু দেখিয়েছি, যেই সমাধানটা ফেমিনিজম প্রস্তাব করেছে, সেটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক এবং সেটা আদতে প্র‍্যাক্টিকালও না। 

এই জাহিলি সমাজে সবচেয়ে বেশি করণীয় আছে পুরুষদের। আপনারা শপথ নেন যে, আপনারা পুরুষ হবেন। আল্লাহ আপনার স্ত্রীর ভরণপোষণ আপনার ওপর বাধ্যতামূলক করেছেন, সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। আপনি এইটা তার ওপর দয়া করছেন না, এটা তার অধিকার, এই মানসিকতা লালন করেন। আপনার স্ত্রীর মতামতের গুরুত্ব দেন। স্ত্রীকে যাচ্ছেতাইভাবে ট্রিট করবেন না। একটু গাইরতওয়ালা পুরুষ হন, এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে আপনার স্ত্রী-কন্যাকে এমন পরিস্থিতিতে পড়া লাগে যেটা ইসলাম এলাউ করে না। আপনার স্ত্রী-কন্যাকে ইসলামী শিক্ষা দিন, আল্লাহকে চেনান, রাসূলকে (স) চেনান। নারীকে নারী হিসেবে চেনান, তার ফিতরাতকে চেনান। তার যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করুন, নয়তো আপনি নিজেই তাদেরকে জাহিলিয়াতের দিকে ঠেলে দিলেন, এটা মাথায় রাখুন। 

বোনেদের প্রতি আহবান, সচেতন হোন। নারী হিসেবে নিজেকে চিনুন। নিজের নারীত্বকে ভালোবাসুন, সম্মান করুন। নিজের মর্যাদাকে চিনুন, নিজের মর্যাদা রক্ষা করুন। ফেমিনিস্টদের চক্করে পড়ে জীবনকে দুর্বিষহ বানাবেন না। দুনিয়ায় আপনি কোনো কম্পিটিশনে আসেননি। পুরুষ আপনার কম্পিটিটর নয়, আপনার সহযোগী। প্রাকৃতিক অবস্থানকে অস্বীকার করে অসুস্থ পৃথিবী তৈরি করবেন না। 

© আসিফ মাহমুদ

Tuesday, February 6, 2024

How to be prepared for marriage for female



Sometimes unmarried sisters ask me, "What can I do now as a single woman to prepare myself for being a mom in the future?" 

My top 5 tips: 

1. Learn Your Deen: 

Cover the basics. Have a good foundation in Islamic knowledge, علم. You don't need to get an advanced degree as a muhadditha or specialize in ifta' (giving fatawa, etc). But you do need to learn in some depth the individually obligatory knowledge necessary to live as a practicing Muslim adult. 

For example, learn the fiqh of purity (باب الطهارة) to make sure you are making wudu properly, fiqh of prayer (باب الصلاة) to make sure you are praying correctly, and all the other acts of worship that you do regularly. Learn as much Quran as possible: correct pronunciation, basic tajweed, some tafseer, some memorization if you can. Learn the basics of `aqidah and tawheed, knowing who Allah ﷻ is. This is important not only for you individually, but also for your future offspring inshaAllah. The first step of teaching your children is to teach yourself. 

You can also learn many things alongside your children inshaAllah-- I have! You don't need to cram in ALL the `ilm before you have children, so don't stress over this. But if you have time now, it would be good to use this free time to gain knowledge before you become busy with children inshaAllah. The more you learn now, the more you can teach children when you have them. 

2. De-colonize Your Mind:

Get rid of any traces of feminism. Get your priorities straight. Sort out your inner thoughts and feelings about your purpose in life, your goals, your role. Establish in your heart and mind the absolute importance of motherhood and the seriousness of the role. Narrow your focus. 

Ask yourself: What should I build my identity around? Being a Muslim wife and mother? Or being a wage serf?

Ask yourself: What counts as an accomplishment? Raising a righteous child and having a happy, healthy family? Or attaining a collection of secular higher-education degrees and climbing the corporate ladder?

Ask yourself: What does it mean to have a successful life? What does it mean to be happy?

Work out the reasons, rationales, and the implications for whatever answers you give. 

Figure out what you plan to do when you become a mother inshaAllah: do you aim to stay home with your children to raise them well, or do you intend to leave them so you can work your "dream job" because you're "a strong independent woman" working a 9-5 desk job? It's one thing if, after becoming a mom, you need to work outside the home purely out of necessity just to make ends meet. But it's another thing entirely for you to *aspire* to be "a working woman" all your life who is "stunning and brave" because this is the only way you think a woman can have any value. 

Growing up in this modern liberal world order, many girls and young women are indoctrinated by feminism to see marriage and motherhood as slavery and to think having self-worth means being a lifelong corporate slave. I was brainwashed with this, too. I had to un-brainwash myself slowly. It didn't happen overnight, but alhamdulillah it is possible to reverse the liberal feminist programming.

3. Address Your Childhood:

Our childhood often has an impact on how we raise our own children. My mother died when I was a young child. This reality has influenced my own method of motherhood and tarbiya with my own children. It is often healing to give others what we never got ourselves. 

Many people have childhood trauma and it isn't easy. May Allah grant us all ease and baraka and mercy. As moms, we often need to go back to our own childhood and recognize the roots of our own issues and problems so that we can slowly try to resolve them, and not just repeat the dysfunctional old patterns with our own innocent children. The worst thing is for us parents to lack self-reflection and blindly pass on the generational problem on to the next generation. I know how hard this is, though. It takes so much mental work and effort. But it is very possible through du`a and a willingness to pursue self-awareness and emotional maturity. 

4. Practice Homemaking:

When you have a baby, you will also have other responsibilities and duties that preceded that. Use some of your time before marriage and/ or motherhood to gain important practical skills needed to run a successful home smoothly. 

Learn to cook. You don't have to go to culinary school or become a professional chef who cooks Michelin-star gourmet meals. But it is important to learn at least the basics of cooking, making healthy and delicious food. 

Learn how to clean your home. Almost nobody talks about the importance of this skill. Having a neat, clean space is important not only to maintain hygiene in our spaces, but also to give us a sense of peace and serenity at home. Having a cluttered or messy or dirty home gives feelings of anxiety or stress. We want our home to be our safe haven, our sanctuary, our place of peace and rest. Part of the job of the homemaker is to have an efficiently organized and clean home. 

Learning these practical homemaking skills before becoming a mother is super helpful. Because having your first baby is a VERY new experience filled with new skills that you scramble to learn on the spot: how to change a diaper, how to breastfeed, how to care for an infant. So if along all this, you also have to learn how to cook, how to clean, how to do laundry, how to organize the pantry-- it will be too many new things all at once. You'll feel overwhelmed. 

5. Select Your Husband Wisely: 

When you choose a man to marry, you aren't only picking a husband for yourself. You are also choosing the father of your children inshaAllah. Make a wise, intelligent choice as much as you are able (of course nobody knows the ghayb except Allah). But through the processes of istikhara and istishara ( الاستخارة والإستشارة), you can hopefully vet the man well and make an informed decision based on long-term benefit and not only short-term physical attraction. 

One of the first rights children have upon their parents is the selection of a righteous spouse. A man picking a good wife is fulfilling his future children's right for a righteous mother. A woman picking a good husband is fulfilling her future children's right for a righteous father. 

When we take any role or job seriously, we plan and prepare for it. We study it, determine its requirements, and make sure we have the necessary prerequisites to be qualified candidates for the position. 

Motherhood is no different. In fact, motherhood for the sake of Allah is the highest and most worthwhile role for a woman. 

Motherhood is the unfurling of a woman's fullest potential.


Umm Khalid 

Thursday, February 1, 2024

নারী কেন ধোঁকা খায়

মেয়েদের একটা কমন বৈশিষ্ট্য হলো তারা ধোঁকা খায় বেশি। মিষ্টি কথা, মিষ্টি আচরণ দিয়ে এদের ধোঁকা দেয়া একদম পানিভাতের মত সহজ।দাজ্জাল নামের অর্থই হলো ধোঁকা, বিভ্রান্তি। আর দাজ্জালের ফেতনায় সবচেয়ে বেশি পড়বে মেয়েরা। এ থেকেই বোঝা যায় ওদের ধোঁকায় পড়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।।

এজন্য যখন দেখি কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিশাল পাগলা মেয়ে ফ্যান বেইজ, তখন তাদের মধ্যে ধোঁকাবাজি আছে ধরে নিতে মন চায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরে নেয়া সেইফ থাকে। 

যেমন রিসেন্ট কেইস, লাইফ স্প্রিং। এর আগে মাইনু, জাফর বিপি। এছাড়াও আছে কিছু রাকি। বিদেশে আছে কিছু বক্তা, যেমন NAK। 

আজনবি নারীর প্রতি আলগা দরদ দেখানো প্রতিটি ব্যক্তিকে তাই আমার শিকারি শেয়াল মনে হয়। এবং নিজে সযত্নে অনলাইন ও অফলাইনে উল্টো করার চেষ্টা করি। 

যেসব নারী আপনার ফ্যামিলির অংশ, মাহরাম, ভালো ব্যবহার, নরম ব্যাবহার শুধু তাদের জন্য। অনাত্মীয়, গায়রে মাহরাম নারীদের প্রতি কোমল আচরণ করা অনুচিত। যদিও কিছু বেকুব উল্টো নসীহত দিবে।

আল্লাহ নারীদের গায়রে মাহরাম পুরুষদের সাথে কোমল কণ্ঠে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। পুরুষরা নারীদের কণ্ঠে আকৃষ্ট হয় বলে এই হুকুম। এর মানে শুধু এই না যে এটা নারীর জন্য খাস।একইভাবে যেখানে নারীরা পুরুষদের কোমল/সিম্প্যাথি দেখানো আচরণ দেখে আকৃষ্ট হতে পারে, ফেতনায় পড়তে পারে, সেখানে পুরুষের ওই ধরনের আচরণ পরিহার করা কর্তব্য মনে করি।

নারীদের করণীয়
-------------
প্রকৃতিগতভাবে তারা ধোঁকায় পড়ে বেশি, এটা তো পাল্টানো যাবে না। যেটা করা যাবে সেটা হলো আল্লাহর কাছে দুয়া করা, নিরাপত্তা চাওয়া। আর হলো বিশ্বস্ত, পুরুষ গার্ডিয়ানের পরামর্শে থাকা। শেয়াল কিন্তু এটাই ভয় পায়। সে চায় গার্ডিয়ানের আড়াল থেকে বের করে আনতে। বের করে আনলে সে ছলাকলা বুঝিয়ে ধোঁকায় ফেলতে পারবে সহজে।

- মোহাম্মদ আনোয়ার ভাই এর লিখা

Saturday, January 13, 2024

Cabinet 2024

Ministers
AKM Mojammel Haque (Ministry of Liberation War Affairs)
Obaidul Quader (Ministry of Road Transport and Bridges)
Nurul Majid Mahmud Humayun (Ministry of Industries)
Asaduzzaman Khan (Ministry of Home Affairs)
Dr Dipu Moni (Ministry of Social Welfare)
Md Tajul Islam (Ministry of Local Government, Rural Development & Co-operatives)
Lt Col Muhammad Faruk Khan (Ministry of Civil Aviation and Tourism)
Abul Hasan Mahmud Ali (Ministry of Finance)
Anisul Huq (Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs)
Hasan Mahmud (Ministry of Foreign Affairs)
Md Abdus Shahid (Ministry of Agriculture)
Sadhan Chandra Majumdar (Ministry of Food)
Ubaidul Muktadir Chowdhury (Ministry of Housing and Public Works)
Md Abdur Rahman (Ministry of Fisheries and Livestock)
Narayan Chandra (Ministry of Land)
Abdus Salam (Ministry of Planning)
Mohibul Hasan Chowdhury (Ministry of Education)
Forhad Hossain (Ministry of Public Administration)
Faridul Haque Khan (Ministry of Religious Affairs)
Md Jillul Hakim (Ministry of Railways)
Saber Hossain Chowdhury (Ministry of Environment, Forest and Climate Change)
Jahangir Kabir Nanak (Ministry of Textiles and Jute)
Nazmul Hasan Papon (Ministry of Youth and Sports)
Architect Yeafesh Osman (Ministry of Science and Technology)
Dr Samanta Lal Sen (Ministry of Health and Family Welfare)

State Ministers
Simeen Hussain Rimi (Ministry of Women and Children Affairs)
Nasrul Hamid (Ministry of Power, Energy and Mineral Resources)
Zunaid Ahmed Palak (Ministry of Posts, Telecommunications and Information Technology)
Mohammad A Arafat (Ministry of Information and Broadcasting)
Md Mohibur Rahman (Ministry of Disaster Management and Relief)
Khalid Mahmud Chowdhury (Ministry of Shipping)
Zahid Faruk (Ministry of Water resources)
Kujendra Lal Tripura (Ministry of Chittagong Hill Tracts Affairs)
Rumana Ali (Ministry of Primary and Mass Education
Shafiqur Rahman Chowdhury (Ministry of Expatriates' Welfare and Overseas Employment)
Ahsanul Islam Titu (Ministry of Commerce)

Friday, January 12, 2024

জানার আছে অনেক কিছু

জানার আছে অনেক কিছু

অ্যাটেনশন এবং ভ্যালিডেশন মেয়েদের জন্য নিশ্বাসের মত। এবং বর্তমান বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান কারেন্সি হচ্ছে এই অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন। পুরুষদের অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন যে কতটা মূল্যবান এবং এটার শক্তি যে কত বড়, সেটা পুরুষরা বুঝতে পারলে কখনোই ফ্রি ফ্রি এগুলো মেয়েদেরকে দিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের ইগো বুস্ট করে তাদেরকে আরও অহংকারী হওয়ার সুযোগ দিত না। নির্বোধ পুরুষরা মনে করে সে কোনো মেয়েকে যত বেশি অ্যাটেনশান আর ভ্যালিডেশন দিবে, সে বোধহয় তত ঐ মেয়ের মনের ভিতর জায়গা করে নিতে পারবে। আপনাদেরকে একটা গল্প শোনাই। আপনারা কি ইলেভেন মেন্স বা এগারজন পুরুষের থিওরি সম্পর্কে জানেন? 

একটা রুমে খুবই অনিন্দ্য সুন্দরী একজন মেয়েকে বিভিন্ন অলংকার ও গহনা দিয়ে সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সেই রুমে প্রথমে একেক করে ১০ জন পুরুষ প্রবেশ করল। প্রত্যেকেই প্রবেশ করে মেয়েটির রুপের, পোষাকের ও অলংকারের যারপরনাই সুনাম ও প্রশংসা করল। প্রত্যেকেই বলল, তুমি দেখতে খুবই সুন্দর। তোমার পোষাকটা খুবই মানিয়েছে। গহনাগুলোতে দেখতে তোমাকে যা লাগছে না। প্রথম ১০ জন এভাবেই বিভিন্নভাবে মেয়েটার প্রশংসা করল। সর্বশেষ ১১তম ব্যক্তিটি রুমে প্রবেশ করল। রুমে প্রবেশ করে মেয়েটার সাথে খুবই যতসামান্য হাই, হ্যালো জিজ্ঞাসা করে বাকি ছেলেদের সাথে কথা বলা শুরু করল। সে মেয়েটার দিকে আর একপ্রকার ঘুরেও তাকাল না বলা চলে। সবশেষে সকলে চলে যাওয়ার সময় মেয়েটার ঐ ১১তম ব্যক্তির কথাই মনে আছে। বাকি ‌১০ জনের কথা সে বেমালুম ভুলে গেছে। কারণ সবাই ঘুরেফিরে একই কথা বলেছে। যেটা মেয়েটা ছোট থেকে শুনতে শুনতে ক্লান্ত। আর ঐ ১১তম ব্যক্তি মেয়ের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে কারণ সে বাকি সব পুরুষ যা করে তা করেনি এবং মেয়ের ইগোতে হার্ট করতে পেরেছে। 

অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশনের সাইকোলজি এভাবেই কাজ করে। যেসব পুরুষ মনে করে মেয়েদেরকে প্রশংসা করে তাদের মনে জায়গা করে নিবে তারা মূলত একটা ভ্রমের মধ্যে বাস করে। মেয়েরা অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারলেও অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন ছাড়া বাঁচতে পারবে না। এবং অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন সহজে না পেলে বিভিন্ন ধরণের ম্যানিপুলেটিভ পন্থা অবলম্বন করবে। বিভিন্ন ধরণের Bait বা টোপ দিবে এবং নাদান পুরুষগুলো মনে করবে, মেয়েটার বোধহয় আমার প্রতি ফিলিংস আছে না হলে সে নির্দিষ্ট ঐ কাজটা কেন করল আমার সাথে। মেয়েরা কোনো ছেলের কাছ থেকে সহজে অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন না পেলে টোপ হিসেবে ঐ ছেলের কোনো একটা কিছুর প্রশংসা করবে, কিন্তু আদতে ঐ ছেলের ঐ জিনিসটা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য না। 

বিপরীতে ছেলে মনে করবে আসলেই বোধহয় ঐ মেয়ের আমার প্রতি ফিলিংস আছে। না হলে আমার প্রশংসা কেন করল, আমার ঐ ছোট বিষয়টাও কিভাবে তার নজর এড়াল না। বাট মেয়েটা ছেলের প্রতি কোনো ফিলিংস থেকে ছেলেটার প্রশংসা করেনি। ছেলেটার থেকে সে যেকোনো মূল্যে অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন চায় এবং এটা পাওয়াই তার আসল উদ্দেশ্য। এবং ছেলে ছোট্ট একটা মিথ্যা প্রশংসা পেয়ে তখন রাজ্যের প্রশংসার ডালা মেলে বসবে এবং একটা প্রশংসার বিপরীতে একশটা প্রশংসা মেয়েকে ফেরত দেবে। মেয়েরা তাদের উদ্দেশ্যে সফল। 

এরপর মেয়েরা অনেক ছেলের ইনবক্সে তাদের ছবি পাঠাবে, অযথাই ছবি পাঠাবে, কোনো আগ পিছের কথার ধারাবাহিকতা ছাড়াই, কোনো কারণ ছাড়াই। কিছু পুরুষ মনে করবে মেয়ের যদি আমার প্রতি কোনো ফিলিংস না থাকে তাহলে সে আমাকে ছবি কেন পাঠায় প্রতিনিয়ত। আসল সত্য হলো সে আপনার মনোরঞ্জনের জন্য ছবি পাঠাচ্ছে না। সে শুধুই আপনার অ্যাটেনশান আর ভ্যালিডেশন পাওয়ার জন্য ছবি পাঠাচ্ছে। নাথিং এলস। এর সাথে আপনার প্রতি তার ফিলিংস কিংবা অনুভূতির কোনো সম্পর্কই নেই। এবং একই ছবি যে আরও কতজন পুরুষকে পাঠাচ্ছে সেটা হিসেব করার জন্য আপনাকে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসতে হবে। একই ভাবে তারা স্টোরিতে ছবি আপলোড করবে, যখন তাদের ম্যাস লেভেলের অ্যাটেনশন আর ভ্যালিডেশনের দরকার হবে। 

Low value beta simp পুরুষগুলো তখন সুন্দর করে তাদের ইনবক্সে স্লাইড করে চলে যাবে এবং রাজ্যের কথা এবং যুক্তি দ্বারা বোঝাবে আসলে মেয়েটা মোনালিসা কিংবা অড্রে হেপবার্নের থেকেও কেন বেশি সুন্দর। এবং এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। Trust me brothers, the more beautiful a girl is, the more insecure she is. আবারও বলছি, একজন মেয়ে যত বেশি সুন্দর, সেই মেয়ে তত বেশি ইনসিকিউর। সে যে সুন্দর সেটা ছেলেদের কাছ থেকে বারবার, প্রতিনিয়ত তাকে শুনতে হবে। কোনোরকম বিরতি পড়লেই তার মনে হবে তার সৌন্দর্য বুঝি কমে গেল। এজন্যই বলছি, বর্তমান বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান কারেন্সি হলো অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন। এগুলো একজন পুরুষ হয়ে ফ্রিতে কাউকে কোনো অবস্থাতেই দিবেন না। 

আপনাদের কোনো আইডিয়াই নেই একজন এভারেজ মেয়েও বেইটা সিম্প পুরুষদের থেকে প্রতিনিয়ত কত কত ফ্রি অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন পায়। সুতারাং, আপনি যদি মনে করেন আপনি কোনো মেয়েকে প্রশংসা করে, তাকে অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন দিয়ে তার মনে জায়গা করে নিবেন, তাহলে আপনাকে বলি আপনি ঐ বাকি বেইটা সিম্প পুরুষদের একজনই এবং মেয়েদের মনে আপনার জন্য কোনো জায়গা নেই। আপনি বাকি সবাই যা বলে বা যা করে তা করতে বা বলতে পারবেন না যদি তাদের চোখে আলাদা কেউ হতে চান। এবং একজন পুরুষ, যে জানে How the game works, যে নিজের ভ্যালু জানে সে কখনোই তার অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন ফ্রিতে কাউকে দেয় না। 
আপনি অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন একান্তই আপনার পার্টনারকে দিতে পারেন তাও খুব পরিমিত ভাবে এবং তার করা কোনো ভালো কাজের পুরুস্কার হিসেবে। আপনি আপনার পার্টনারকে পৃথিবীর সবথেকে, এমনকি আপনার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসেন, কিন্তু আপনি সেটার ভ্যালিডেশন তাকে সরাসরি কখনোই দেবেন না। আপনি যত বেশি অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন দিবেন ফ্রিতে, তত আপনি সম্পর্কের ক্যামিস্ট্রিকে সহজ করে দিচ্ছেন। 

You are making the game easier for her. এবং ইজি গেম মেয়েরা খেলে না, তারা অল্পতেই বোরড হয়ে যায়। এবং বিরক্ত হয়ে একসময় আপনাকে ছুড়ে ফেলবে। কারণ আপনি ঐ পাঁচ-সাতটা সাধারণ পুরুষের মতই। যে সবসময় কারণে অকারণে তোষামদি ও চাটুকারিতায় ব্যস্ত। Keep the game hard for her, make her earn your attention and validation. আপনার অ্যাটেনশান এবং ভ্যালিডেশন ফ্রিতে দিয়েন না, তাকে সেটা অর্জন করে নিতে বাধ্য করুন। তাহলে আল্টিমেট বিজয়ী আপনিই হবেন।

Monday, January 1, 2024

Why home schooling fail?

A friend recently started homeschooling after talking to me and a few other homeschool moms. But she seriously struggled, right from the start. A few months into it, she gave up completely and sent both her children to public school. 

She felt like a failure. 

We had a conversation to assess the issue and process the situation and how it went for her. 

Her children are a 6-year-old daughter and a 5-year-old son. The 6-year-old had gone to American public school for kindergarten, but the family was horrified when their child, 5 years old at the time, came home from kindergarten saying the f-word. Her behavior also changed overall, and she became more demanding and disrespectful at home, after her 1-year stint at public school. 

After that year, the mom decided to try homeschooling. 

But it did not go well. 

Both kids were loud, rowdy, and disorderly when she'd try to sit them down for any kind of teaching. The 6-year-old daughter sulked and rolled her eyes and gave her mother the silent treatment, while the 5-year-old son ran around the house gleefully throwing stuff and generally refusing to cooperate. 

How was she supposed to teach these little hellions?? 

She looked at me, needing answers. 

I asked her about her children's habits and how she had generally raised and trained them. Not academically, but just basic tarbiya (تربية). Had she taught them obedience? Were there rules that she consistently enforced at home? Did the parents give the children consequences? Was there any sort of punishment for misdeeds, or was it total chaos? Were the children taught to show respect?

"Not really," she admitted. "I try! But it's very hard. I'm tired most of the time. I'm busy with the house work. I have errands to run. The kids whine and fuss and cry if they're not allowed to do something they want. So it's just easier to give in to them instead of fight them on it." 

"Well, where is your husband in all this? Does their father help set limits or enforce rules?" I asked her.

"Ha! My husband is even more lax about parenting than I am! He lets them eat whatever they want, and even gives them his phone at the table so they agree to eat. He fights *me* about any rules I try to have for the kids! Right in front of them!! He says I'm too strict and that I shouldn't make them upset or cry. The kids hear him of course, and then later the kids would quote my husband's words back to me, threatening to tattle on me!"

There are multiple layers to this issue. 

In order to successfully homeschool your children, three things must first be in place: 

1. A solid husband-wife relationship of good communication: no fighting in front of the kids, spouses must be generally on the same page with tarbiya, present a united front always in front of the kids, don't undermine each other's parenting decisions or rules. 

2. A solid parent-child relationship of healthy hierarchy: establish a firm foundation of love and trust from babyhood. Build a fun relationship of play, exploring the environment, etc as a toddler. Instill the value of obedience and total respect for parents from a very young age. Zero tolerance for defiance or disrespect or disobedience. Show (not only tell) your child that you are lovingly and firmly in charge, and they will follow. Create a healthy hierarchy in the family: parents then children. This creates a sense of stability and emotional security for children. Never allow your children to boss you around or control you as the parent. 

3. Final stage: actual teaching of knowledge, Islamic and academic lessons. 

Some people don't realize the prerequisites that are necessary first, and they just go straight into trying to homeschool.

But it doesn't go well. 

The spouses are constantly undermining one another's efforts, accidentally sabotaging the entire project of good tarbiya. One parent is too soft on the kids, letting the 4-year-old pick what he wants to eat for any meal and how and where to eat it: couch? At the table? While running around the room playing? Candy? Chocolate cake? It's all allowed, without rules or limits. The other parent wants to be more strict but is doomed to fail because of the first parent's opposite style. 

The real problem here is the total lack of harmony between husband and wife. The fundamental disagreement between the parents on exactly how to raise their children. One says left and the other says right. They will go nowhere. 

Then the kids pick up on this dynamic and become spoiled and entitled, or defiant and rude. They play the parents off one another, trying to get their own selfish way in all things. Children as young as 4 or 5 years old manipulate their parents, threatening one parent that they'll tell the other parent things to get that parent "in trouble." Unbelievable. 

Then, within this chaotic context of dysfunction, you expect to be able to teach your children Quran or Arabic or math or English?

How?

There is no foundation upon which to build anything real. 

The first essential layer is missing: respect and agreement between the spouses.

And the second essential layer is also missing: respect for parental authority and adherence to hierarchy between children and parents. 

Without these layers, the foundation is shaky and adding anything else, such as homeschool, will cause the entire unstable structure of the family to simply collapse. 

May Allah grant us all strong husband-wife relationships, strong parent-child relationships, and facilitate for us the tarbiya of our children, ameen.


Umm Khalid