Thursday, June 14, 2012

ভুত অনুসন্ধান (কেচো খুজতে সাপ দর্শন)[Ghost Stories info 2]


ভুত অনুসন্ধান (কেচো খুজতে সাপ দর্শন)
নীচের উদ্ধৃতি অংশ ভুতের কথা স্বীকার করে

জ্বীন তিন প্রকারঃ

১. যারা শূন্যে উড়ে বেড়ায়।
২. কিছু সাপ ও কুকুর।
৩. মানুষের কাছে আসে ও চলে যায়।
জ্বীন বিভিন্ন প্রাণীর রূপ ধারণ করতে পারে। কিন্তু তাদের একটি গ্রুপ সর্বদা সাপ ও কুকুরের বেশ ধারণ করে চলাফেরা করে মানব সমাজে। এটা তাদের স্থায়ী রূপ।
(সূত্র : তাবারানী। প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। দেখুন, সহীহ আল জামে আস সাগীর, হাদীস নং ৩১১৪, আবু সালাবা আল খাশানী রা. থেকে বর্ণিত।) (মুজামু আলফাজ আল-আকীদাহ)
জ্বীন কি মানুষকে আছর করে?:
এর উত্তর হল, অবশ্যই জ্বীন মানুষকে আছর করতে পারে। স্পর্শ দ্বারা পাগল করতে পারে। মানুষের উপর ভর করতে পারে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার জীবনের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত করতে পারে। এটা বিশ্বাস করতে হয়। তবে এ বিষয়টি কেহ অবিশ্বাস করলে তাকে কাফের বলা যাবে না। সে ভুল করেছে, এটা বলা হবে।
জ্বীন যে মানুষকে আছর করে তার কিছু প্রমাণ:
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ
যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় দাড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। (সূরা আল বাকারা : ২৭৫)
এ আয়াত থেকে বুঝা যায়:
এক. যারা সূদ খায় তাদের শাস্তির ধরণ সম্পর্কে ধারণা।
দুই. শয়তান বা জ্বীন মানুষকে স্পর্শ দ্বারা পাগলের মত করতে পারে। তিন. মানুষের উপর শয়তান বা জিনের স্পর্শ একটি সত্য বিষয়। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
চার. জ্বীন-শয়তানের এ স্পর্শ দ্বারা মানুষ যেমন আধ্যাত্নিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি শারীরিক দিক দিয়েও অস্বাভাবিক হয়ে যায়।
وَمَنْ يَعْشُ عَنْ ذِكْرِ الرَّحْمَنِ نُقَيِّضْ لَهُ شَيْطَانًا فَهُوَ لَهُ قَرِينٌ
আর যে পরম করুণাময়ের জিকির থেকে বিমুখ থাকে আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী। (সূরা যুখরুফ : ৩৬)
এ আয়াত দ্বারা যা স্পষ্ট হল : মহান রাহমান ও রহীম আল্লাহ তাআলার জিকির থেকে বিরত থাকা জ্বীন শয়তানের স্পর্শ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার একটি কারণ।
وَاذْكُرْ عَبْدَنَا أَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الشَّيْطَانُ بِنُصْبٍ وَعَذَابٍ
আর স্মরণ কর আমার বান্দা আইউবকে, যখন সে তার রবকে ডেকে বলেছিল, শয়তান তো আমাকে কষ্ট ও আযাবের ছোঁয়া দিয়েছে। (সূরা সাদ : ৪১)
এ আয়াত দ্বারা আমরা স্পষ্টভাবে বুঝলাম:
এক. শয়তান নবী আইউব আলাহিস সালামকে স্পর্শ করে শারীরিক রোগ-কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছিল।
দুই. তিনি শয়তানের স্পর্শ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছেই প্রার্থনা করেছিলেন।
إِنَّ الَّذِينَ اتَّقَوْا إِذَا مَسَّهُمْ طَائِفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ تَذَكَّرُوا فَإِذَا هُمْ مُبْصِرُونَ
নিশ্চয় যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে যখন তাদেরকে শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা স্পর্শ করে তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে। তখনই তাদের দৃষ্টি খুলে যায়। (সূরা আল আরাফ : ২০১)
এ আয়াত থেকে যা বুঝে আসে তা হল:
এক. যারা মুত্তাকী বা আল্লাহ ভীরু তাদেরকেও জ্বীন বা শয়তান স্পর্শ করতে পারে। তারা মুত্তাকী হয়েও জ্বীন বা শয়তানের আছরে নিপতিত হতে পারে।
দুই. যারা মুত্তাকী তাদের শয়তান বা জ্বীন স্পর্শ করলে তারা আল্লাহ-কেই স্মরণ করে। অন্য কোন কিছুর দ্বারস্থ হয় না।



তিন. মুত্তাকীগণ জ্বীন বা শয়তান দ্বারা স্পর্শ হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করলে তাদের সত্যিকার দৃষ্টি খুলে যায়।
আল্লাহ তাআলা বলেন: وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
আর যদি শয়তানের পক্ষ হতে কোন প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় চাও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা আল আরাফ : ২০০)
এ আয়াতে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল:
এক. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও জ্বীন-শয়তান আছর করতে পারে।
দুই. জ্বীন আছর করলে বা শয়তানের কুমন্ত্রণা অনুভব করলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিন. সূরা আল ফালাক ও সূরা আন-নাছ হল জ্বীন শয়তানের আছর থেকে আশ্রয় প্রার্থনার অতি মুল্যবান বাক্য। এ আয়াতের তাফসীর দ্বারা এটা প্রমাণিত।
হাদীসে এসেছে - عن عائشة -رضي الله عنها- أنها قالت: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: إن الشيطان يجري من ابن آدم مجرى الدم. رواه البخاريُّ ومسلم.
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই শয়তান মানুষের রক্তের শিরা উপশিরায় চলতে সক্ষম। (বর্ণনায় : বুখারী ও মুসলিম)
হাদীসে আরো এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন বললেন,
إن عفريتا من الجن تفلت علي البارحة ليقطع علي الصلاة فأمكنني الله منه
গত রাতে একটি শক্তিশালী জ্বীন আমার উপর চড়াও হতে চেয়েছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল আমার নামাজ নষ্ট করা। আল্লাহ তার বিরুদ্ধে আমাকে শক্তি দিলেন। (বর্ণনায় : বুখারী, সালাত অধ্যায়)
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত নাসায়ীর বর্ণনায় আরো এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তাকে ধরে ফেললাম। আছার দিলাম ও গলা চেপে ধরলাম। এমনকি তার মুখের আদ্রতা আমার হাতে অনুভব করলাম।
এ হাদীস থেকে আমরা যা জানতে পারলাম :
১. জ্বীন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও আছর করতে চেয়েছিল।
২. জ্বীনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামাজ নষ্ট করার জন্য তাঁর কাছে এসেছিল।
৩. ইফরীত শব্দের বাংলা অর্থ হল ভূত। জ্বীনদের মধ্যে যারা দুষ্ট ও মাস্তান প্রকৃতির তাদের ইফরীত বলা হয়।
৪. জ্বীন দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন ভয় পাননি। তিনি তার সাথে লড়াই করে পরাস্ত করেছেন।
৫. জ্বীনদের শরীর বা কাঠামো আছে যদিও তা সাধারণত আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না।
জ্বীন ও ভূতের মধ্যে পার্থক্য:
জ্বীন আরবী শব্দ। বাংলাতেও জ্বীন শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ভূত বাংলা শব্দ। এর আরবী হল ইফরীত, বহুবচনে আফারীত। আল কুরআনে সূরা আন-নামলের ৩৯ নং আয়াতে ইফরীত কথাটি এসেছে এভাবে :
قَالَ عِفْريتٌ مِنَ الْجِنِّ أَنَا آَتِيكَ بِهِ قَبْلَ أَنْ تَقُومَ مِنْ مَقَامِكَ وَإِنِّي عَلَيْهِ لَقَوِيٌّ أَمِينٌ
এক শক্তিশালী জ্বীন বলল, আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বেই আমি তা এনে দেব। আমি নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে শক্তিমান, বিশ্বস্ত।
এ আয়াতে ইফরীতুম মিনাল জ্বীন অর্থ্যাৎ জ্বীনদের মধ্যে থেকে এক ইফরীত বা ভূত .. কথাটি এসেছে। এমনিভাবে উপরে বর্ণিত হাদীসেও ইফরীতুম মিনাল জ্বীন কথাটি এসেছে। তাফসীরবিদগণ বলেছেন, জ্বীনদের মধ্যে যারা অবাধ্য, বেয়ারা, মাস্তান, দুষ্ট প্রকৃতির ও শক্তিশালী হয়ে থাকে তাদের ইফরীত বলা হয়। (আল মুফরাদাত ফী গারিবিল কুরআন) ইফরীত শব্দের অর্থ বাংলাতে ভূত। অতএব দেখা গেল ইফরীত বা ভূত, জ্বীন ছাড়া আর কিছু নয়। সব ভূতই জ্বীন তবে সব জ্বীন কিন্তু ভূত নয়।
আত্মা --------
মৃত্যুর পরও মানুষ একে অপরের কথা শুনতে পায় ।
বিশ্বনবী (সাঃ) এর হাদিস দ্বারা সুষ্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, মৃত্যুর পরও মৃত ব্যাক্তিগণ একে অপরের কথা আমাদের মতই কথা শুনতে পায় ।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন,
"মৃত লাশ চৈাখাটে রেখে কবরস্হানে নেয়ার জন্য মানুষ যখন কাধে বহন করে, তখন সে পূণ্যবান হলে বলে, আমাকে তাড়াতাড়ি নিয়ে চলো । আর যদি সে পূণ্যবান না হয় , তাহলে স্বীয় পরিজনকে বলে, হায় ! আমার ধ্বংস ! তোমরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ ? মানুষ ছাড়া প্রত্যেক প্রাণী তার একথা শুনতে পায় । আর মানুষ যদি একথা শুনতে পেত তবে সে অবশ্যই বেহুশ হয়ে যেত । ' (বোখারী)
হাদিসের বর্ণনা দ্বারা এও জানা যায় যে, মৃত্যুর পর মুমিন বান্দাগণ একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করেন । আর নবাগত মুমিন ব্যাক্তির কাছে অপরাপর মুমিন ব্যাক্তিরা জিজ্ঞেস করে - অমুকের অবস্হা কি ? সে কি অবস্হায় আছে ?
হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রাঃ) বলতেন, কারো মৃত্যু হলে কবরের জীবনে তার মৃত সন্তানগণ তাকে এমনভাবে সম্বর্ধনা জানায়, যেরূপ পার্থিব জীবনে কোন বহিরাগতকে সম্বর্ধনা জানান হয় ।
হযরত ছাবেত বানানী (র.) বলেছেন, কারো মৃত্যুর পর কবর জীবনে তার পূর্বে মৃত নিকটত্নীয়গণ তার কাছে এসে তাকে ঘিরে ধরে । তারা পরষ্পর এত বেশী খূশী হয়, যেমন পার্থিব জীবনে বহিরাগত কারো আগমণ হলে তার সাথে সাক্ষাতে খূশী হয়ে থাকে ।
হযরত কায়েস ইবনে কোবায়সাহ (রহ.) বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কেউ মুমিন অবস্হায় মৃত্যুবরণ না করলে তাকে অন্যান্য মৃতদের সাথে কথোপকথনে অনুমতি দেয় হয় না । জনৈক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলূল্লাহ (সা.) ! মৃতরা কি একে অন্যের সাথে কথা বলতে পারে ? রাসূলূল্লাহ (সা.) বলেন, হা কথা তো বলেই । তদুপরি একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎও হয় ।
মা আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলূল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যাক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের কবর জিয়ারত করে এবং তার কবরের পাশে বসে, কবরে সমাহিত ব্যাক্তি তাকে তার সালামের জবাব দেয় এবং জিয়ারতকারী চলে আসা পর্যন্ত তাকে চিনতে ও বুঝতে সক্ষম হয় ।

মানসিক রোগী আর জিনে ধরা রোগীর মধ্যে পার্থক্য:
১. জিনে-ধরা রোগী কিছুক্ষণের জন্য বেহুশ হয়ে যায়। মানসিক রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে না।
২. কখনো কখনো জিনে-ধরা রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয়। দাতে খিল লেগে যায়। মানসিক রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয় না।
৩. জিনে ধরা রোগী প্রায়ই সপ্নে সাপ, কুকুর, বিচ্ছু, বানর, শিয়াল, ইঁদুর ইত্যাদি দেখে থাকে। কখনো কখনো সপ্নে দেখে সে অনেক উচু স্থান থেকে পড়ে যাচ্ছে।
৪. জিনে ধরা রোগীর সর্বদা ভীতু ভাব থাকে। সর্বদা তার ভয় লাগে। মানসিক রোগীর তেমন ভয় থাকে না।
৫. জিনে ধরা রোগী নামাজ পড়া, কুরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর যিকির ইত্যাদি পছন্দ করে না। বরং এগুলো তার অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।
৬. জিনে ধরা রোগী কখনো কখনো ভিন্ন ভাষা ও ভিন্ন ভঙ্গিতে কথা বলে।
৭. জিনে ধরা রোগী অধিকাংশ সময় স্বাভাবিক থাকে। মাঝে মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
৮. জিনে-ধরা রোগী থেকে অনেক সময় আশ্চর্যজনক বিষয় প্রকাশ হয়ে থাকে। যেমন অল্প সময়ে সে বহু দূরে চলে যায়। গাছে উঠে সরু ডালে বসে থাকে ইত্যাদি।
৯. জিনে ধরা রোগীর কাছে স্বামী, ঘর-সংসার, স্ত্রী-সন্তানদের ভাল লাগে না।
১০. জিনে ধরা রোগীর উপর যখন জ্বীন চড়াও হয় তখন ক্যামেরা দিয়ে তার ছবি তুললে ছবি ধোঁয়ার মত অস্পষ্ট হয়। স্পষ্ট হয় না। দেখা গেছে আশে পাশের সকলের ছবি স্পষ্টভাবে উঠেছে কিন্তু রোগীর ছবিটি ধোয়াচ্ছন্ন
কি কারণে জ্বীন চড়াও হয়:
কিছু বিষয় রয়েছে যার উপস্থিতির কারণে মানুষকে জিনে আছর করে।
১. প্রেম। কোন পুরুষ জ্বীন কোন নারীর প্রেমে পড়ে যায়, অথবা কোন নারী জ্বীন যদি কোন পুরুষের প্রেমে পড়ে তাহলে জ্বীন তার ঐ প্রিয় মানুষটির উপর আছর করে।
২. কোন মানুষ যদি কোন জিনের প্রতি জুলুম-অত্যাচার করে বা কষ্ট দেয় তাহলে অত্যাচারিত জ্বীনটি সেই মানুষের উপর চড়াও হয়। যেমন জিনের গায়ে আঘাত করলে, তার গায়ে গরম পানি নিক্ষেপ করলে, কিংবা তার খাদ্য-খাবার নষ্ট করে দিলে জ্বীন সেই মানুষটির উপর চড়াও হয়।
৩. জ্বীন খামোখা জুলুম-অত্যাচার করার জন্য মানুষের উপর চড়াও হয়। তবে এটি পাঁচটি কারণে হতে পারে : (ক) অতিরিক্ত রাগ (খ) অতিরিক্ত ভয় (গ) যৌন চাহিদা লোপ পাওয়া (ঘ) মাত্রাতিরিক্ত উদাসীনতা। (ঙ) নোংড়া ও অপবিত্র থাকা।
কারো মধ্যে এ স্বভাবগুলো থাকলে জ্বীন তাকে আছর করে অত্যাচার করার সুযোগ পেয়ে যায়।
জিনের আছরের প্রকারভেদ:
মানুষের উপর জ্বীন চড়াও হওয়ার ধরনটি চার প্রকারের হতে পারে।
১. জ্বীন মানুষের পুরো শরীরে প্রভাব বিস্তার করে কিছু সময়ের জন্য।
২. আংশিকভাবে শরীরের এক বা একাধিক অংশে সে প্রভাব বিস্তার করে কিছু সময়ের জন্য। যেমন হাতে অথবা পায়ে কিংবা মুখে।
৩. স্থায়ীভাবে জ্বীন মানুষের শরীরে চড়াও হতে পারে। এর মেয়াদ হতে পারে অনেক দীর্ঘ।
৪. মানুষের মনের উপর কিছু সময়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করে। মানুষ যখন আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা শুরু করে তখন চলে যায়।
নীচের গুলি পইড়া আমার অট্টহাসি না দিয়া পারলাম না
জিনের অধিকার রক্ষায় আমাদের করণীয় :
হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিনদের ব্যাপারে তোমাদের ভাই শব্দ ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ মুসলিম জিনেরা হল আমাদের ভাই। তাদের অধিকার রক্ষায় যত্নবান হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। যেমন হাদীসে এসেছে -
قال علقمة : أنا سألت ابن مسعود . فقلت : هل شهد أحد منكم مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة الجن ؟ قال : لا، ولكنا كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات ليلة. ففقدناه، فالتمسناه في الأودية والشعاب . فقلنا : استطير أو اغتيل، قال فبتنا بشر ليلة بات بها قوم . فلما أصبحنا إذا هو جاء من قبل حراء. قال فقلنا : يا رسول الله ! فقدناك فطلبناك فلم نجدك فبتنا بشر ليلة بات بها قوم . فقال " أتاني داعي الجن . فذهبت معه . فقرأت عليهم القرآن " قال فانطلق بنا فأرانا آثارهم وآثار نيرانهم . وسألوه الزاد . فقال " لكم كل عظم ذكر اسم الله عليه يقع في أيديكم ، أوفر ما يكون لحما . وكل بعرة علف لدوابكم " . فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم " فلا تستنجوا بهما فإنهما طعام إخوانكم". رواه مسلم
আলকামা বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে জিজ্ঞেস করলাম, জিনের রাতে আপনাদের মধ্যে কি কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ছিলেন? তিনি বললেন, না। কিন্তু ঘটনা হল, আমরা এক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ছিলাম। তাকে আমরা পেলাম না। আমরা তাকে বিভিন্ন ঘাটি ও পাহাড়ে খোঁজ করতে থাকলাম। আমরা বলতে লাগলাম তিনি উধাও হয়ে গেছেন অথবা কেউ তাকে অপহরণ করেছে। আসলে সে রাতটি আমরা অত্যন্ত খারাপভাবে কাটিয়েছি। যখন সকাল হল তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেরা পর্বতের দিক দিয়ে আমাদের কাছে হাজির হলেন। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনাকে হারিয়েছিলাম। অনেক খোঁজা-খোঁজি করেছি। আপনাকে না পেয়ে আমরা খুব দু:চিন্তায় (খুব খারাপ) রাত কাটিয়েছি। তিনি বললেন, জিনদের মধ্য থেকে একজন আহবানকারী এসেছিল আমার কাছে। আমি তার সাথে গেলাম। আমি তাদের কুরআন পাঠ করে শুনালাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিয়ে সে স্থানের দিকে চললেন। তিনি আমাদের তাদের পদচিহ্নগুলো দেখালেন। তাদের আগুনের আলামতগুলোও দেখালেন। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে তাদের খাদ্য-খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল। তিনি তাদের বললেন, তোমাদের খাবার হল সে সকল জন্তু জানোয়ারে হাড্ডি যা আল্লাহর নাম নিয়ে জবেহ করা হয়েছে। এর মধ্যে যা তোমাদের নাগালে আসে তা তোমরা খাবে। এটা তোমাদের জন্য গোশ্ত বলে গণ্য হবে। আর তোমাদের পালিত জানোয়ারের গোবরও তোমাদের খাদ্য।
এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বললেন, তোমরা এগুলো দিয়ে কখনো ইসতেনজা (শৌচ কর্মে ব্যবহার) করবে না। কেননা এটা তোমাদের ভাইদের (জিনদের) খাদ্য।
হাদীস থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম :
১- জিনদের কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন। হাদীসে বর্ণিত ঘটনার সমর্থনে নিম্নোক্ত আয়াত আমরা উল্লেখ করতে পারি।
وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآَنَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوا أَنْصِتُوا فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلَى قَوْمِهِمْ مُنْذِرِينَ . سورة الأحقاف، 29
আর যখন আমি জিনদের একটি দলকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তারা কুরআন পাঠ শুনছিল। যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হল, তখন তারা বলল, চুপ করে শোন। তারপর যখন পাঠ শেষ হল, তখন তারা তাদের কওমের কাছে সতর্ককারী হিসেবে ফিরে গেল। (সূরা আল আহকাফ, আয়াত ২৯)
২- সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে কত ভালোবাসতেন। তাদের মন্তব্য দ্বারাই বুঝা যায় যে, তাকে না পেয়ে সে দিন তারা জীবনের সবচেয়ে খারাপ রাত অতিবাহিত করেছে।
৩- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরাম রা. কে শিক্ষা দিতে বা তথ্য জানাতে কোন ধরনের কার্পণ্য বা শিথিলতা করেননি। তাঁর বক্তব্যই তাদের জন্য যথেষ্ঠ ছিল। তা সত্বেও তিনি তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছেন। তাদের আলামতগুলো দেখিয়েছেন।
৪- এ হাদীস থেকে জিনদের দুটো খাদ্যের বিষয় জানতে পারলাম। একটি হল হাড্ডি অন্যটি হল গোবর।
৫- তাদের খাদ্য সংরক্ষণ করার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দুটো বস্তুকে শৌচকর্মে ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। এটা জিনদের অধিকার রক্ষার একটি বিষয় হিসাবে গণ্য হলো।
৬- জিনদেরকে আমাদের ভাই বলে তাদের অধিকারের প্রতি লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই জিন মানেই আমাদের শত্রু নয়। তাদের মধ্যে যারা মানুষকে কষ্ট দেয় বা বিভ্রান্ত করে তারাই মানুষের শত্রু ।
কয়লা কি জিনদের খাদ্য?:
অনেক ফিকাহের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়লা দিয়ে ইস্তেন্জা (শৌচ কর্ম) করা যাবে না। কারণ কয়লা হল জিনদের খাদ্য।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য একটি হাদীস এসেছে। হাদীসটি হল :
قدم وفد الجن على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا يا محمد انه أمتك أن يستنجوا بعظم أو روثة أو حممة فإن الله تعالى جعل لنا فيها رزقا قال : فنهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك.
الراوي: عبدالله بن مسعود المحدث: أبو داود - المصدر: سنن أبي داود - الصفحة أو الرقم: 39
خلاصة الدرجة: سكت عنه [وقد قال في رسالته لأهل مكة كل ما سكت عنه فهو صالح]
জিনদের একটি প্রতিনিধ দল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসল। তারা বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মত হাড্ডি, গোবর ও কয়লা দ্বারা ইসতেন্জা করে থাকে। অথচ আল্লাহ তাআলা এ গুলোকে আমাদের জন্য খাদ্য হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। হাদীসের বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এ সকল বস্তু দিয়ে ইসতেন্জা করতে নিষেধ করেছেন। (বর্ণনায় : আবু দাউদ)
সনদ সূত্রের দিকে দিয়ে হাদীসের মান হল :
قال الإمام النووي في شرح هذا الحديث في المجموع شرح المهذب :
رواه أبو داود والدارقطني والبيهقي ولم يضعفه أبو داود ، وضعفه الدارقطني والبيهقي
والحممة بضم الحاء وفتح الميمين مخففتين وهي الفحم ، كذا قاله أصحابنا في كتب الفقه ، وكذا قاله أهل اللغة . وقال الخطابي : الحمم الفحم وما أحرق من الخشب والعظام ونحوهما ، قال : والاستنجاء به منهي عنه لأنه جعل رزقا للجن فلا يجوز إفساده علي .
ইমাম নববী রহ. এ হাদীসের ব্যাখ্যায় আল মাজমু শারহুল মুহাজ্জাব গ্রন্থে লিখেন, এ হাদীসটি আবু দাউদ, দারে কুতনী ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ হাদীসটিকে যয়ীফ (দুর্বল সুত্র) বলেননি। কিন্তু দারে কুতনী ও বায়হাকী হাদীসটি দুর্বল সুত্রের বলে অভিমত দিয়েছেন।
হাদীসে বর্ণিত হামামা শব্দের অর্থ হল কয়লা। আমাদের সাথীরা ফিকাহ শাস্ত্রে এ রকম লিখেছেন। আর অভিধানবিদরাও এ অর্থ করেছেন।
ইমাম আল খাত্তাবী রহ. বলেন, আল হামাম শব্দের অর্থ আল ফাহাম বা কয়লা। যা সৃষ্টি হয় কাঠ, হাড্ডি ইত্যাদি পোড়ালে। এ দিয়ে ইস্তেনজা করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এটাকে জিনদের খাদ্য হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই এটা অপবিত্র করা জায়েজ নয়।
জিন যেমন মুসলমান আছে তেমনি আছে কাফের। এ ব্যাপারে জিনদের বক্তব্য আল্লাহ উল্লেখ করেছেন এভাবে :
وَأَنَّا مِنَّا الْمُسْلِمُونَ وَمِنَّا الْقَاسِطُونَ فَمَنْ أَسْلَمَ فَأُولَئِكَ تَحَرَّوْا رَشَدًا
আর নিশ্চয় আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক আছে মুসলিম এবং আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সীমালংঘনকারী। কাজেই যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে, তারাই সঠিক পথ বেছে নিয়েছে। (সূরা আল জিন, আয়াত ১৪)
কাজেই মুসলিম জিনেরা সে সকল অধিকার পাবে যা একজন মুসলিম মানুষ ইসলামের কারণে পেয়ে থাকে ।
জিনদের কুরআন তেলাওয়াত শোনা ও তার উত্তর প্রদান :
----------------------------------------------------
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :
لقد قرأتها , سورة ( الرحمن ) على الجن ليلة الجن , فكانوا أحسن مردودا منكم، كنت كلما أتيت على قوله ( فبأي آلاء ربكما تكذبان ) , قالوا : لا بشيء من نعمك ربنا نكذب , فلك الحمد .
قال الألباني في " السلسلة الصحيحة " 5 / 183 : أخرجه الترمذي في " سننه " ( 2 / 234 )
আমি জিনদের সাথে সাক্ষাতের রাতে তাদের সূরা আর রাহমান পাঠ করে শোনালাম। তারা তেলাওয়াত শুনে তোমাদের চেয়ে উত্তম জওয়াব দিত। যখন এ আয়াত পাঠ করতাম সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? তখন তারা এর উত্তরে বলত, হে আমাদের রব! আমরা আপনার কোন নিআমতকে অস্বীকার করি না। সকল প্রশংসা তো আপনারই।
হাদীসটি ইমাম তিরমিজী বর্ণনা করেছেন। আলবানী রহ. এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। দেখুন আস সিলসিলাতুস সহীহা ১৮৩/৫
এ হাদীস থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম :
১- জিনদের কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনের কিছু অংশ তেলাওয়াত করেছেন তার মধ্যে সূরা আর রাহমানও ছিল।
২- এ জিন সাহাবীরা সূরা আর রাহমান শুনে আল্লাহ তাআলার প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছে তা মানুষ সাহাবীদের চেয়ে সুন্দর উত্তর ছিল বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন।
৩- কোন কোন ক্ষেত্রে জিনেরা মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেও তারা মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। ক্ষেত্র বিশেষে কেহ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলে সর্বক্ষেত্রে তার শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়াটা জরূরী নয়।
৪- আল কুরআন পাঠ করে বা তার পাঠ শুনে সে মোতাবেক উত্তর দেয়া সুন্নাত। যেমন আলোচ্য হাদীসে দেখা গেল। আল্লাহ তাআলার কোন প্রশ্ন আসলে তার উত্তর সাথে সাথে প্রদান করা, এমনিভাবে যখন জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের কথা আসে তখন তা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। আর যখন জান্নাত ও জান্নাতীদের কথা আসে তখন জান্নাত কামনা করা ইত্যাদি হল আল্লাহ তাআলার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ ও আল কুরআন তেলাওয়াতের আদব।
-------- ভারত মহাদেশের--- ভুত সম্পর্কের আমার কিছু কথা---- ভুত= ( জীন +আত্মা )
(ভুত শব্দটা বাঙ্গালিদের মাঝে বেশি প্রচলন। কারন এটা বাংলা শব্দ।
ভারত বর্ষে যখন ইসলাম প্রচার করা হয় নাই। তখন জীন জাতির সম্পর্কে কোন ধারনা তাদের ছিল না, । যেমন বর্তমানে অনেক দেশ আছে । যে খানে ইসলাম ধর্ম শান্তির বার্তা প্রচার করা হয় নাই। সেই সব দেশে জীন সম্পর্কে , ধারনা তাদের মটেও নাই। তাহলে তারা কোন কিছু সমস্য সৃষ্টি হলে , কোন অতৃপ্ত ঘটনা ঘঠলে তারা কি বলে , তারা বলে খারাপ শয়তান বা খারাপ মানুষের আত্তা ভর করেছে তাদের। , সেখানে ভুত বা জীন কোনটা ঊচ্চারন করা হয় না। তাহলে একেক দেশে একের নামে এদের বিভিন্ন শব্দের , ভাষায় তাদের ডাকা হয়।
যেহেতু আমারা ভারত মহাদেশে মধ্যে বসবাস করি । এবং এর সংস্ক্রতি আচার আচরনের মাঝে ও এই ভারত মহাদেশের পুরনো ইতিহাস মাঝে আমরা জরিত । একে অপরের সাথে , অনেক কিছু মিল আছে আমাদের। । সেই মিল থেকে
ভুত আমাদের মাঝে বিষেশ করে বাঙ্গালিদের মাঝে তা এখনো বহন করে চলছি। ও ভারতের অন্য ভাষার মানুষরা কোন অদিশ্য খারাপ বস্তুর পাল্লায় পরাকে ভুত বলে বিশ্বাস করে। কারন তারা আমাদের সংক্রিতির সাথে জরিত।
যখন ভরত বর্ষের ইসলাম প্রচার করা হয় নাই তখন এই মানুষ গুলো (আত্মা বা জীন) ভুত দের কে কিভাবে দেখতো একটু যানি।
কোন মানুষের মারা গেলে তার নিয়ম অনুযায় সঠিক ভাবে দাফন কাজ, সঠিক ভাবে মৃত্যু না হল তা দুষ্টের আত্তা রুপান্তিত হয়। এবং বিভিন্ন সময় মানুষে কে ক্ষতি করার জন্য সামনে আসে, ও তাদের সামনে দেখা দেয়। আবার কিছু দুষ্টো জীন তাদের সামনে আসে ও দেখা দেয়। এভাবে মানুষের মাঝে কোন প্রকার আসর বা মানুষের উপরে ভর করা হলে তাকে বলা হতো ভুতে ধরেছে। তাই আমরা দেখতে পাই যে, ভুত আসলে হলো কোন অদিশ্য বস্তু
যা আমাদের ভারত মহাদেশে বাঙালি দের সামন্য যাহা দেখতে পাওয়া যায় বা মানুষের সমস্য সৃষ্টি করে, ভর করে। তাদের কে বাঙালিরা ভুত বলে থাকে ।
যখন থেকে ইসলামের শান্তি প্রচার শুরু হয় তখন মোসলমানরা অনেক জ্ঞেনে অধীকার হয় কোরান পরে। তারা জানতে পারে জীন ও আত্মা সম্পর্কে। আর ভুত সব্দটা সবার মুখে মুখে আর গল্পের মাঝে প্রচার হতে থাকলো উপনাসে পাতায়।
ভারত মহাদেশ বিভক্ত হয়ে যায় সৃষ্টি হয় ভারত , বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইত্যাদি।
আর মোসলমানদের ভিতরে কোন মানুষ আসর বা কোন কিছু ভর করা হলে বলে জীনে ধরা হয়েছে। \
আর অন্য ধর্মে কোন মানুষকে অদিশ্য কোন কিছু ভর করা হলে তাকে তারা ভুতে ধরা বলে থাকে।
ইন্ডিয়ার এখনো সবাই তাই বিশ্বাস করে , খারাপ শয়তান বা আত্মা মানুষ কে ধরলে তাকে ভুত। ধরা বলে ।
প্রমান দেখতে চাইলে You Tube ... প্রগ্রাম দেখলে । তাদের কথা শুনলে বুঝতে পারবেন জীন ধরা মানুষদের কে তার ভুতে ধরা। বলে থাকে। । তার কোখনো বিশ্বাস করে না জীনে ধরেছে কারন তারা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসি।
আর মোসলমানরা জীনে ধরা রগীকে কোখন বিশ্বাস করে না ভুতে ধরেছে। কারন তারা মোসলমান ।
আসলে মুল কোথা হলো ভুত ধরা ভাষা আমাদের পুরানো মাতৃ ভাষা বাঙ্গালিদের ভাষা।। সব কথার শেষ কথা হলো
মানুষ মরে গেলে তার আত্মা মরে জায় না। সব আত্মা ভুত না। কিছু দুষ্ট প্রক্রিতি আত্মা কে ভুত বলা হয়। ঠীক
সব জীন ভুত না। কিছু দুষ্ট প্রকৃতি খারাপ জীন দের ভুত বলা হয়। । তাই আমারা জীন বা আত্মা দুটো কোন একটা কেই দেখলেই ভুত বলে থাকি । কারন আমারা দুটার মধ্যে পার্থ্যক বুঝতে পারবো না কখনো। যারা , ওঝা, হুজুর, ফকির, বা বিভিন্ন এই সব বিষয় নিয়ে গবেষনা করেন তারাই বুঝতে পারবে । আসলে এটা জীন না আত্মা। তাই বাঙ্গালিরা দুষ্ট খারাপ শয়তান কে যা মানুষ কে ক্ষতি করে তাদের কে ভুত হলে থাকি । এটা আমারদের ভাষ। । এটাকে এরিয়ে যাওয়া কোন কারন নাই। । )



ভারত মহাদেশের ভুত সম্পর্কে কিছু কথা [Ghost Stories info]


ভারত মহাদেশের ভুত সম্পর্কে কিছু কথা

---- ভুত= ( জীন +আত্মা )
(ভুত শব্দটা বাঙ্গালিদের মাঝে বেশি প্রচলন। কারন এটা বাংলা শব্দ।)
ভারত বর্ষে যখন ইসলাম প্রচার করা হয় নাই। তখন জীন জাতির সম্পর্কে কোন ধারনা তাদের ছিল না,  যেমন বর্তমানে অনেক দেশ আছে । যে খানে ইসলাম ধর্ম শান্তির বার্তা প্রচার করা হয় নাই। সেই সব দেশে জীন সম্পর্কে , ধারনা তাদের মটেও নাই। তাহলে তারা কোন কিছু সমস্যা  সৃষ্টি হলে , কোন অতৃপ্ত ঘটনা ঘঠলে তারা কি বলে , তারা বলে খারাপ শয়তান বা খারাপ মানুষের আত্তা ভর করেছে তাদের , সেখানে ভুত বা জীন কোনটা ঊচ্চারন করা হয় না। তাহলে একেক দেশে একের নামে এদের বিভিন্ন শব্দের , ভাষায় তাদের ডাকা হয়।
যেহেতু আমারা ভারত মহাদেশে মধ্যে বসবাস করি । এবং এর সংস্ক্রতি আচার আচরনের মাঝে ও এই ভারত মহাদেশের পুরনো ইতিহাস মাঝে আমরা জরিত । একে অপরের সাথে , অনেক কিছু মিল আছে আমাদের। । সেই মিল থেকে ভুত আমাদের মাঝে বিশেষ করে বাঙ্গালিদের মাঝে তা এখনো বহন করে চলছি। ও ভারতের অন্য ভাষার মানুষরা কোন অদিশ্য খারাপ বস্তুর পাল্লায় পরাকে ভুত বলে বিশ্বাস করে। কারন তারা আমাদের সংক্রিতির সাথে জরিত।
যখন ভরত বর্ষের ইসলাম প্রচার করা হয় নাই তখন এই মানুষ গুলো (আত্মা বা জীন) ভুত দের কে কিভাবে দেখতো একটু যানি।




কোন মানুষের মারা গেলে তার নিয়ম অনুযায় সঠিক ভাবে দাফন কাজ, সঠিক ভাবে মৃত্যু না হল তা দুষ্টের আত্তা রুপান্তিত হয়। এবং বিভিন্ন সময় মানুষে কে ক্ষতি করার জন্য সামনে আসে, ও তাদের সামনে দেখা দেয়। আবার কিছু দুষ্টো জীন তাদের সামনে আসে ও দেখা দেয়। এভাবে মানুষের মাঝে কোন প্রকার আসর বা মানুষের উপরে ভর করা হলে তাকে বলা হতো ভুতে ধরেছে। তাই আমরা দেখতে পাই যে, ভুত আসলে হলো কোন অদিশ্য বস্তু
যা আমাদের ভারত মহাদেশে বাঙালি দের সামন্য যাহা দেখতে পাওয়া যায় বা মানুষের সমস্য সৃষ্টি করে, ভর করে। তাদের কে বাঙালিরা ভুত বলে থাকে ।
যখন থেকে ইসলামের শান্তি প্রচার শুরু হয় তখন মোসলমানরা অনেক জ্ঞেনে অধীকার হয় কোরান পরে। তারা জানতে পারে জীন ও আত্মা সম্পর্কে। আর ভুত সব্দটা সবার মুখে মুখে আর গল্পের মাঝে প্রচার হতে থাকলো উপনাসে পাতায়।
ভারত মহাদেশ বিভক্ত হয়ে যায় সৃষ্টি হয় ভারত , বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইত্যাদি।
আর মোসলমানদের ভিতরে কোন মানুষ আসর বা কোন কিছু ভর করা হলে বলে জীনে ধরা হয়েছে।
আর অন্য ধর্মে কোন মানুষকে অদিশ্য কোন কিছু ভর করা হলে তাকে তারা ভুতে ধরা বলে থাকে।
ইন্ডিয়ার এখনো সবাই তাই বিশ্বাস করে , খারাপ শয়তান বা আত্মা মানুষ কে ধরলে তাকে ভুত। ধরা বলে ।
প্রমান দেখতে চাইলে You Tube ... প্রগ্রাম দেখলে । তাদের কথা শুনলে বুঝতে পারবেন জীন ধরা মানুষদের কে তার ভুতে ধরা। বলে থাকে। । তার কোখনো বিশ্বাস করে না জীনে ধরেছে কারন তারা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসি।
আর মোসলমানরা জীনে ধরা রগীকে কোখন বিশ্বাস করে না ভুতে ধরেছে। কারন তারা মোসলমান ।
আসলে মুল কোথা হলো ভুত ধরা ভাষা আমাদের পুরানো মাতৃ ভাষা বাঙ্গালিদের ভাষা।। সব কথার শেষ কথা হলো
মানুষ মরে গেলে তার আত্মা মরে জায় না। সব আত্মা ভুত না। কিছু দুষ্ট প্রক্রিতি আত্মা কে ভুত বলা হয়। ঠীক
সব জীন ভুত না। কিছু দুষ্ট প্রকৃতি খারাপ জীন দের ভুত বলা হয়। । তাই আমারা জীন বা আত্মা দুটো কোন একটা কেই দেখলেই ভুত বলে থাকি । কারন আমারা দুটার মধ্যে পার্থ্যক বুঝতে পারবো না কখনো। যারা , ওঝা, হুজুর, ফকির, বা বিভিন্ন এই সব বিষয় নিয়ে গবেষনা করেন তারাই বুঝতে পারবে । আসলে এটা জীন না আত্মা। তাই বাঙ্গালিরা দুষ্ট খারাপ শয়তান কে যা মানুষ কে ক্ষতি করে তাদের কে ভুত হলে থাকি । এটা আমারদের ভাষ। । এটাকে এরিয়ে যাওয়া কোন কারন নাই। ।