Friday, September 29, 2023

Parenting 002

Yesterday as we were driving in the car, we listened to Quran. Surat Al-Qasas specifically. 

By the time we got home, we had listened to the first half of the surah. None of my children are memorizing Surat Al-Qasas, so they had not learned it or heard it before. 

As we got out of the car, I asked the kids out of curiosity, "Did you guys understand any of the ayat we just heard?"

Their answer surprised me. 

The 11-year-old glanced at me, himself surprised at my question. "Yes, of course I understood it. It's the story of Sayyidina Musa عليه السلام from his birth to the incidents with Fir`awn." 

My heart lifted with joy and gratitude. "Really? It wasn't hard to understand?"

The 9-year-old replied, "No, Mama. The words weren't hard. It is exactly like when we listen to the seerah. It's a story being narrated in فصحى (Fus-ha, formal Arabic). We're used to this from our seerah lessons." 

I don't know why this deeply hit me in that moment. 

For the past six years or so, I have been putting on an audio lecture series in formal Arabic (اللغة العربية الفصحى) for both myself and the children to listen to during our commutes. This is our car seerah class. We have listened to the life stories of Prophet Muhammad ﷺ, of Abu Bakr, `Umar, `Uthman, `Ali, Khalid, Salman, and other Sahaba. Alhamdulillah the kids love listening, and so do. They learn, and so do I. We have listened to each of these biographies multiple times each over the years, to the point of near-memorization for some of them. 

My intention was to be as productive as possible, to make good use of what would otherwise be wasted time in the car as we drove to the grocery store, to the park, to the library. The kids generally go with me wherever I go, so I wanted homeschooling to continue even in the car so that we are more efficient. 

Initially I was hoping that they would learn the prophetic seerah and love the Prophet ﷺ. And then his Sahaba, the other Prophets and Messengers, etc. 

Then, it became clear that they were also receiving great exposure to Arabic Fus-ha as well, a linguistic lesson as well as the seerah lesson, which made me even happier. 

Of course, at first, it was very hard. The kids were very young and there were so many big, unfamiliar words. Though we speak Arabic at home (and they speak Farsi with their father), we mostly speak Egyptian Arabic and not the classical Quranic Fus-ha. So I had my work cut out for me at first: I'd play a bit of the lecture, then pause it to explain the events, to define new words, to answer their questions. I realized that their vocabulary base was expanding and the level of Arabic comprehension was advancing, albeit slowly. Alhamdulillah. It wasn't easy but we kept at it. 

Children naturally love stories. Any interesting story will capture their interest and pique their curiosity. But especially stories of amazing heroes and of fantastic feats of strength and valor. Inspiring stories, entertaining episodes, and heartwarming examples of lives well lived. 

Nothing encompasses all this more than the seerah! 

Teach the seerah of Rasul Allah ﷺ, the Final Messenger to humanity, to your children instead of the silly made-up adventures of fictional characters like Batman or Superman. Forget the Avengers; teach your children about the Sahaba! 

And if you can teach this in Arabic, all the better. 

Even if your Arabic isn't very advanced. You will learn alongside your children inshaAllah. I did.

Do not give in to the ease or the convenience of English. 

Even if the initial learning curve is steep at first, it will get easier over time inshaAllah and will pay dividends. 

Like your children immediately understanding the Quran when they hear it, even a new surah unfamiliar to them. 

It will be easy for them to comprehend inshaAllah, because of all the practice they've had listening to Quranic Arabic as they learned the seerah or other Islamic lessons. 

There is no gift that we parents can give our children better than the gift of direct access to the Words of Allah. 

Arabic is the vehicle for this.

Parents, teach your children your native language if you speak one, other than English. Do not allow English to eradicate all other tongues. 

This is important for everyone, but especially for us as Muslims. 

This is important for all Muslims, but especially for those who speak Arabic. 

Arabic is the language of the Quran. Language of hadith, seerah, tafsir, and other primary Islamic fields of knowledge. 

May Allah grant us understanding and give us `izzah through Islam, ameen.


- Umm Khalid 

Wednesday, September 27, 2023

মারা কে খায়?

#২১

প্রেম-রিলেশন এগুলো কনজার্ভেটিভ অথবা নরম-শরম ছেলের জন্য একটা সম্পূর্ণ লস প্রজেক্ট, খেয়ে ঢেঁকুর তুলে চলে যাওয়া ছেলের জন্য এডভান্টেজ আছে। আপনি যেসব নাটক দেখে ক্লাসের জরিনাকে ইম্প্রেস করার ফ্যান্টাসীতে ভুগছেন সে নাটক লিখে কিছু মাথামোটা বানরেরা যারা মনে করে অন্যব্যাটারে জড়ায় ধরতে জামাইয়ের পারমিশনের দরকার নাই

যারা জরিনার পিছে ঘুরে, জরিনা সবার দিকেই খেয়াল রাখে, মানসিক র‍্যাংকিং বানায়। জরিনা জানে আপনি গেলে কার পালা আসবে, জরিনাদের ব্যাকআপ গাই থাকে। আপনি যদি আমার লেখা পড়েন, এতদিনের লেখা থেকে জাস্ট জাস্ট এই লাইনটা নেনঃ 

"ইনভেস্ট করে আপনি জীবনেও কাউকে পছন্দ করাইতে পারবেন না। আবারো বলি, যতই সময়, টাকা আর ইমোশন ইনভেস্ট করেন না কেন জরিনা কখনোই কৃতজ্ঞতা বশতঃ আপনাকে ভালোবাসবে না।"  

আপনি ডিজায়ার নেগোশিয়েট করতে পারবেন না, এট্রাকশন কখনোই এভাবে কাজ করে না, বলিউড-হলিউড ভুলে যান। বাস্তবে মেয়েরা যার প্রতি এট্রাকটেড ফিল করে সেই ব্যাটা এবিউস করলেও থাকে, চিট করলেও তার সাথে থাকে। 

এগুলা Opinionated কথা না। হাইপারগামী, Briffault's law, ডুয়াল মেটিং স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে জানুন। 

ব্লাডলাইনের বাইরের যেই মেয়ে এখনো আপনার সাথে কন্ট্রাক্ট পেপার সাইন করে নাই, আপনাকে রেধে খাওয়াচ্ছে না আর রাতে আপনার সাথে শুচ্ছে না- তার জন্য যেকোন রকম ইনভেস্ট করাটা একটা মর্দের জন্য অপমানজনক আর সিম্পের জন্য ব্যাপক গর্বের

[এটা একটা ব্রিফ নোট, সম্পূর্ণ আইডিয়া পেতে আমার আগের লেখাগুলো পড়ুন বিশেষ করে সার্ভাইবল ১ ও ২]

Omar Bin Mahtab 

know 009

বৃষ্টি হলে অথবা রাস্তা ভেজা থাকলে, আমি আমার বোরকা কিছুটা উপরে তুলে হাটি, যাতে ভিজে না যায়। এতে আমার পা দেখা না গেলেও আমার পায়জামার গোড়ালির প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি দেখা যায়। এমতাবস্থায় আমার কি পর্দার খিলাফ হবে?


..
উত্তর : ঢিলেঢালা পাজামা হলে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি টাইটফিটিং পাজামা হয় যে, পা কেমন তা বোঝা যায়, এমতাবস্থায় পর্দা লঙ্ঘন হবে। 
فقط والله أعلم بالصواب.


মাওলানা রবিউল হাসান

Tuesday, September 26, 2023

মানবতা আগে নাকি ইসলাম আগে?★ মানুষ পরিচয় আগে নাকি মুসলিম পরিচয় আগে?

|| সমস্যা || ৮ || খ ||

★ মানবতা আগে নাকি ইসলাম আগে?
★ মানুষ পরিচয় আগে নাকি মুসলিম পরিচয় আগে?

উক্ত সংশয়ের স্থায়ী সমাধান :

প্রাচীন তথাকথিত মানবতাবাদের মনগড়া যত সব জিজ্ঞাসার উত্তর পেছনের দুটো অধ্যায়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। তবে মজার বিষয় হলো, নতুন রূপধারণকারী বহুরূপী বর্তমান তথাকথিত মানবতাবাদের এবারের নতুন রূপটা আগের চেয়ে অনেক বেশি নরম। আগে তারা ভ্রু কুঁচকে, আঙ্গুল তুলে, গলা খাকাতে খাকাতে কথা বললেও, এবার ইসলামের সামনে এসে তাদের বাচনভঙ্গী আমূলে পালটে গিয়েছে। ইসলামকে ঘিরে তাদের কথার ধরণ বদলেছে, ভাষা মার্জিত হয়েছে, সমীহ জেগেছে, মেপে কথা বলছে, বুঝেশুনে মন্তব্য করছে; যার জলজ্যান্ত উদাহরণ হলো রূপ বদলানো এই মতবাদের নতুন কূটচালের ভাষাগুলো।

তারা আসলে ইসলামের প্রতি তাদের উগ্র আচরণগুলো বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ, ইসলাম প্রতিদিনই পৃথিবীর কোনো না কোনো নতুন জনপদকে, কোনো না কোনো নতুন শহরকে, কোনো না কোনো নতুন মানুষের হৃদয়কে জয় করে নিচ্ছে। পৃথিবীবাসী প্রকৃত ইসলামকে ধীরে ধীরে চিনতে শুরু করেছে। ইসলামের ব্যাপারে যত কুৎসা রটনা, যত মিথ্যে অপবাদ, যত অপপ্রচার, সব ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। মানুষ এখন খুব সচেতন। মানুষকে এখন যা খুশি তা গছিয়ে দেয়া যায় না। তাই তথাকথিত মানবতাবাদীরা এখন সরাসরি ইসলামের বিরোধিতা করতে পারছে না। ঘুরিয়ে-বাঁকিয়ে, নানান ছলাকলার আশ্রয় নিয়ে সেই একই পন্য– মধুর বোতলে চিনির সীরা নিয়ে হাজির হয়েছে।

মিথ্যেরা যে রূপ ধরেই আসুক না কেন, সত্যের সামনে মিথ্যেরা সবসময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, অতীতেও নিশ্চিহ্ন হয়েছে। একটা বাস্তব উদাহরণ দিচ্ছি।

আচ্ছা, লালন কি বলেছিল? সে বলেছিল-

"গর্তে গেলে কূপজল কয়,
গঙ্গায় গেলে গঙ্গাজল হয়,
মূলে এক জল, সে যে ভিন্ন নয়,
ভিন্ন জানায় পাত্র-অনুসারে।"

লালনের এমন উৎকৃষ্ট চিনির সীরার মধু দেখে মৌমাছিরাও মাঝেমাঝে দ্বিধায় পড়ে যায়। মৌমাছিরা মনে মনে বলে, "ওমা! এ যে দেখছি সত্যিই আসল মধু", বলতে বলতে মধু সদৃশ দেখতে চিনির সীরার বয়ামে আঙ্গুল ঢুকিয়ে খানিকটা মধু চেখে দেখার পর ওয়াক থু করে ফেলে দিয়ে বলে, "সাধারণ মানুষের পক্ষে তো এতটা অকৃত্রিম দেখতে কৃত্রিম মধু ও আসল মধুর পার্থক্য করা খুব কঠিন হবে"।

এরপর মৌমাছিরা বলা শুরু করে,

"চোখ দিয়ে পরলে কান্নাজল কয়,
তলপেটের নিচ দিয়ে পরলে মূত্রজল হয়,
মূলে এক নোনা জল, সে যে ভিন্ন নয়,
ভিন্ন জানায় অঙ্গ-অনুসারে।"

এরপর মৌমাছিরা জিজ্ঞেস করে,

"গাল বেয়ে নিজের চোখের নোনা পানি মুখের ভেতরে গেলে কোনোই সমস্যা হয় না। তো, নিজের মুত্রের নোনা পানি খাবেন নাকি এক পেয়ালা? আচ্ছা থাক অত নিচে নামা লাগবে না। চোখের খুব কাছেই হচ্ছে নাক। অঙ্গ দুটো পরস্পর লাগান। নিজের নাকের সর্দির ঘন পানি কয়েক ছিপি জমিয়ে টাকিলা ভেবে চোখ বুজে চুমুক মেরে দেন; সাথে লেবু নিয়ে নিয়েন।"

তো, কথা হলো, লালন এতো কিছু বুঝল, এতো গান লিখল, এতো আবেগ দেখাল, প্রকৃতিপ্রেম শেখাল; অথচ কাক আর কোকিলের পার্থক্য বুঝল না। এটা কোনো কথা? দুটোই কালো, তফাতটা তো গলায়। আর এই তফাত তারাই বোঝে যাদের অন্তর বধির ও অন্ধ নয়। পিপাসায় কাতর তথাকথিত মানবতাবাদী এই লালনদের সামনে যদি এক পেয়ালা পঁচা ডোবার পানি আর অন্য পেয়ালায় ঝর্ণার পানি রাখা হয়, তখন কিন্তু নিজেদের গাওয়া ওসব ভাবের গান-টান ভুলে বিশুদ্ধ সচ্ছ পানির পেয়ালাটাই বেছে নেবে তারা। আচ্ছা থাক ডোবার পানি বাদ, সাগরের পরিষ্কার নোনা পানির পেয়ালা সামনে রাখলেও কি সেটা তারা পান করত? কস্মিনকালেও না। কারণ, ভেজাল মধুর ব্যবসায়ী জানে তার বোতলের মধু বেশি খেলে বহুমূত্র রোগী হতে হবে।

সাধারণ মুসলিমরা একটা বিষয় হয়তো খেয়াল করেননি। ধুরন্দর লালন কিন্তু তার কবিতার কোথাও 'নোনা পানি বনাম মিঠা পানি' কিংবা 'বিশুদ্ধ পানি বনাম দূষিত পানি' তুলনাটা করেনি। লালন তুলনা করেছে সুপেয়-সুমিষ্ট পানির উৎসের বিভিন্ন প্রকার নিয়ে। কিন্তু মিঠা পানির মধ্যেও তো বিভক্তি আছে– দূষিত এবং বিশুদ্ধ। সুতরাং, আপনি না চাইলেও প্রকৃতি আপনার পানিকে 'নোনা এবং মিঠা' দুটি মূল ভাগে বিভক্ত করার পাশাপাশি 'দূষিত এবং বিশুদ্ধ' আরও দুটো মূল ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। (এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটায় একটা ফোঁটা দিয়ে রাখুন, সামনে কাজে লাগবে।)। অথচ চতুর লালন ওইসব বাধ্যতামূলক ও মৌলিক পার্থক্যগুলোর আলোচনায় না গিয়ে একতার ছুতোয় সব পানিকে এক করার মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মানুষের হাতে পঁচা ডোবার দূষিত পানির পেয়ালাটা তুলে দিয়েছে।

মিথ্যের অনুসারী এই লালনদের চরিত্র আসলে এমনই হয়। তারা ইসলাম বনাম মানবতা 'তৃতীয়' ধরনের অসম তুলনা করে পেছনের দরজা দিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করতে চায়। তারা বাধ্যতামূলক ও মৌলিক তুলনার আলোচনাকে কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে মানুষের চোখে ধূলো দেয়।

তারা বলে, "ধর্মীয় পরিচয় না দিয়ে মানুষ পরিচয় দিলে পৃথিবীর সব মানুষকে একই ছাদের নিচে নিয়ে আসা যাবে।" মোদ্দা কথা, আগে 'মুসলিম' পরিচয় না দিয়ে 'মানুষ' পরিচয় দেয়া উচিত। অথচ মানুষ বনাম মুসলিম তুলনা ওই তৃতীয় ধরনের বেখাপ্পা, অসামঞ্জস্যপূর্ণ, অযৌক্তিক, গোঁজামিলপূর্ণ ও উদ্ভট তুলনা। যারা এমন তুলনা করে তাদের প্রতি ছোট্ট একটা প্রশ্ন, তারা ইসলামের জীবনবিধান অনুসরণ করে না কেন? এই প্রশ্নটাই ওপরের ওই তুলনাকে অযৌক্তিক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।

কারণ, মানুষ হয়ে জন্মে তো কেউ হাত-পা গুটিয়ে জড়বস্তুর মতো বসে থাকে না। কোনো না কোনো আইন-কানুন ও নিয়ম-নীতির অনুসারে সে জীবনযাপন করে; এ ব্যাপারে আগেই বলেছি। কে সঠিকভাবে জীবনযাপন করছে আর কে ভুল পথে আছে সেটা না হয় ভিন্ন আলাপ। তো কথা হলো, ইসলাম নামক ঘি যাদের পেটে হজম হয় না, তারা নিজেরাও তো ইসলাম থেকে নিজেদেরকে পৃথক করে নিয়ে ভিন্ন জীবনযাপন করে আলাদা দল তৈরী করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করছে। তাদের ক্ষেত্রে কি এখন বলা যায় না যে, "বিভক্তি সৃষ্টি করছেন কেন? মন থেকে না হোক, অন্তত মানুষের মধ্যে একতা বজায় রাখার কথাটা ভেবে হলেও ইসলাম মেনে চলুন।" এবার কিন্তু তাদের একতার যত গল্প সব পাতাল ফেড়ে কোথায় যেন হারিয়ে যাবে।

তর্কের খাতিরে ধর্মের হিসেবনিকেশ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মানুষ বলে পরিচয় দিতে চাইলেও সেখানে দুটো দল তৈরী হবে। এক. যারা ভালো মানুষ, আর দুই. যারা খারাপ মানুষ; ঠিক ওই 'নোনা পানি বনাম মিঠা পানি' এবং 'বিশুদ্ধ পানি বনাম দূষিত পানি' -র বাধ্যতামূলক ও মৌলিক তুলনার মতো। চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, খুনি, লম্পট, ধর্ষক, ভ্রুন হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, সূদখোর, মদখোর, অসাধু ব্যবসায়ী, এরাও মানুষ। আবার অন্যদিকে, একজন চরিত্রবান, ন্যায়পরায়ণ, নীতিবান, সত্যবাদী, পরোপকারী, নির্লোভী, সমাজসেবক, এরাও মানুষ। তাই বলে ভালো চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী মানুষরা কি নিজেদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচয় দেবে না? অবশ্যই দেবে। বরং তাদের নিজেদেরকে ভালো মানুষ বলে পরিচয় দেয়াটা বাঞ্ছনীয়।

অর্থাৎ, না চাইলেও বিবেক ও মনুষ্যত্ববোধের দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের মধ্যে বিভক্তি চলে আসবেই। এটাই মানবজীবন। 'মানুষ' শব্দের অধীনে যারা মানবজাতিকে একই ছাদের নিচে নিয়ে আসতে চায়, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা কি ভালো এবং খারাপ উভয় ধরনের মানুষকে একই দৃষ্টিতে দেখবে? বিবেকের উত্তর হলো, "না"। ওপরন্তু, মানুষের চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে মানবজাতি আরও বেশি ভাগে বিভক্ত হবে নিশ্চিত। কারণ, মানুষ কখনও কখনও নিজেই নিজের বিরোধী হয়ে ওঠে। একই বয়সী, হুবুহু একই রকম দেখতে, হুবহু একই রকম মানসিকতার, হুবহু একই রকম ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন দুজন মানুষ যদি পৃথিবীতে থাকত, তবে তাদের মধ্যেও বিবাদ হতো। কারণ, মানুষের পছন্দ-অপছন্দ, চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষা, কামনা-বাসনা, কল্পনা-ভাবনা মুহুর্তে মুহুর্তে বদলাতে থাকে। আর সেখানে এতো এতো মানুষের জীবনযাপনের ধরনকে 'মানুষ' নাম দিয়ে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসতে চাওয়ার তাদের মিষ্টি মিষ্টি কথাগুলো কি ছলচাতুরী নয়?

তাদের এখন উচিত 'ভালো মানুষ বনাম খারাপ মানুষ' নতুন এই বিভক্তিকে নতুন কোন শব্দের অধীনে একই ছাদের নিচে নিয়ে আসা যায় আপাততঃ সেই শব্দটাকে খুঁজে বের করা।

শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলে দিচ্ছি, কান খোলা রেখে শুনে রাখুন। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও তেমন কোনো শব্দ খুঁজে পাবেন না। শব্দটাতো এখানে শুধুই একটা খেলা। মূলে তো হলো ভাবাদর্শ। মানবতাবাদী ভাবাদর্শের বদলে নতুন কোনো ভাবাদর্শ খুঁজে দেখান, যা কি-না ভালো মানুষ এবং খারাপ মানুষ এ দুটো দলকে এক কাতারে এনে দাঁড় করাতে পারে। কখনোই পারবেন না। এমনটা করলে বিবেক ও মনুষ্যত্বের সমাধি রচিত হবে সেদিন। মানুষের ভালো ও মন্দ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে মানুষে মানুষে পার্থক্য করতেই হবে। এটা বিবেক ও মনুষ্যত্বের দাবি।

অন্যায়ভাবে অন্যকে কষ্ট দেয়া খারাপ ও অমানবিক একটা কাজ। আবার, অভাবগ্রস্ত সৎ কাউকে অর্থ সহায়তা দেয়াটা ভালো ও মানবিক একটা কাজ। এমন আরও যা যা খারাপ ও ভালো কাজের অস্তিত্ব পৃথিবীতে আছে, সেসব কাজের খারাপগুলোকে বর্জন এবং ভালোগুলোকে গ্রহণ করার পরিপূর্ণ শিক্ষা একমাত্র ইসলামই দেয়। ৫টা ভালো কাজ করা ৩টা খারাপ কাজ করা ২টা মধ্যমপন্থী কাজ করা– ইসলাম এভাবে নির্দেশ দেয় না। ইসলাম মানুষকে ১০টা কাজের মধ্যে ১০টাই ভালো কাজ করতে শিক্ষা দেয়। ইসলাম শিক্ষা দেয় শতভাগ ভালো মানুষ হতে, শতভাগ ভালো কাজ করতে, শতভাগ সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচলিত থাকতে, শতভাগ নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে। আংশিক ভালো মানুষ হওয়ার পর আংশিক খারাপ মানুষ হয়ে থাকার কোনো শিক্ষা ইসলাম দেয় না। খারাপকে ভালো থেকে আলাদা করতে শেখায় ইসলাম। বিবেক ও মনুষ্যত্বের দাবি থেকে ভালো ও মন্দের পার্থক্য করাটা যদি দোষের কিছু না হয়ে থাকে, তবে ইসলাম ভালো ও মন্দকে আলাদা করতে গেলে এতো মাথা ব্যথা ওঠে কেন তাদের?
 
মানুষ হয়ে মানুষের মতো আচরণ করাটাই ইসলাম। আর যারা মানুষের মতো আচরণ করে তাদেরকে বলা হয় মুসলিম। যারা সঠিক পথে থেকে মন্দ কাজ বর্জন করে ভালো কাজ করে যাচ্ছে, তারা নিজেদেরকে ভালো মানুষ তথা মুসলিম বলে পরিচয় দেয়। এখানে 'মানুষ' বলে পরিচয় দেয়াকে 'মুসলিম' বলে পরিচয় দেয়ার মুখোমুখি করা হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে?

- করিম শাওন

Saturday, September 23, 2023

ফেমিনিজম ডিবাংকড – 2 :

ফেমিনিজম ডিবাংকড – 2 :
---
হিজাবি ফেমিনিস্ট এবং সিম্প হুজুরগুলার প্রতারণার ধরন বোঝার চেষ্টা করেন,
১. 
ফেমিনিস্টরা জরায়ুর স্বাধীনতার অংশ হিসেবে “বাচ্চা না নেয়ার” কথা বলে। মানে ইচ্ছা হলে বাচ্চা নিবে, না হলে নিবে না, শরীর তার - স্বাধীনতা তার। তবে অতি অবশ্যই তারা বাচ্চা নিতে নিরুৎসাহিত করে, যেসব নারীরা অধিক বাচ্চা নেয় তাদের উপহাস ও তাচ্ছিল্য করে। (হুবহু পোশাকের স্বাধীনতার মত অবস্থা এখানেও)।
এদের বাচ্চা না নেয়ার পেছনে কারণ হল, যাতে যেখানে সেখানে শুতে পারে, কাবিনের টাকা কিংবা ৫০% সম্পদ কেড়ে নিয়ে যখন ইচ্ছা ডিভোর্স দিতে পারে, এতে কোনো পিছুটান না থাকে। একই কারণে তারা ভ্রূণ ঽত্তা‌ নরমালাইজের আন্দোলন করে। 
সন্তান ও পরিবার যে একটা পূর্ণ ও স্ট্যাবল নারীর সিম্বল, এটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত থাকা ওইসব ডাইনিদের জন্য বিব্রতকর। আর এই পুরা বিষয়টা একটার সাথে আরেকটা কানেক্টেড। 
এখন সিম্প হুজুরগুলা এই পিওর শয়তানি শ্লোগানের পক্ষাবলম্বন করে কি দেখিয়ে জানেন? বলে, অনেক মানুষের তো চেষ্টা করেও বাচ্চা হয় না, তারা কি খারাপ? কিংবা এটাও বলে, নবীজির অনেক স্ত্রীরও তো বাচ্চা হয়নাই। আস্তাগফিরুল্লাহ। 
আরে নর্দামা, একটা হইলো রুচিবিকৃতদের by choice child free life, এরা তো মানবসভ্যতার দুষমন। আর আরেকটা হল স্বাভাবিক মানুষদের পরিবার নিয়ে জীবনযাপন, চেষ্টার পরেও আল্লাহ দেয়নাই তাই হয়নাই। দুইটা কেমনে এক হয়। 
আল্লাহর রাসুল অধিক সন্তান নিতে উৎসাহ দিয়েছেন, সাহাবায়ে কিরাম প্রচুর পরিমাণে সন্তান নিয়েছেন, পরবর্তি মুসলিমরাও অধিক সন্তান নেয়ার পক্ষে ছিল - থাকবে। এটাই আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। 
২. পিল, কন*ম আর ন্যাপকিন কোম্পানিগুলো দেখবেন নারী অফিসে কাজ করছে, ভার্সিটিতে ট্যুর দিচ্ছে এসব খুব হাইলাইট বা প্রোমোট করে। কারণ তারা বোঝাতে চায়, এগুলো সিনারিওতে নারী নিষিদ্ধ যৌ*তা করবে, তাদের পণ্য এজন্য সহায়তা করছে। বাংলাদেশের টপ মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি থেকে শুরু করে একদম নিম্নমানের গার্মেন্টস পর্যন্ত এমন কোনো কম্বাইন্ড ফ্রি মিক্সিংওয়ালা কর্মক্ষেত্র নাই, যেখানকার নারীরা সহকর্মির দ্বারা হেনস্তার স্বীকার হয়না, হারাম সম্পর্কে জড়ায় না। আর যেসব দেশ নারীদের রাস্তায় নামানোতে আমাদের চেয়ে ১০০বছর এগিয়ে, তাদের অবস্থাও আরও খারাপ। সেখানে এব্রোশন করেনাই কিংবা পিল খেয়ে ফার্টিলিটি নষ্ট করেনাই এরকম কর্মীওয়ালা অফিস খুঁজে পেতে আপনার কষ্ট হবে।
এই প্রসঙ্গেও রেগুলার ফেমিনিস্টদের মত একই সুরে হিজাবি ফেমিনিস্ট নারীর অর্থনৈতিক স্বাধিনতার পক্ষে বলে। ঘরের কাজে নিরুৎসাহিত করে অফিসের কাজে উদ্ধুদ্ধ করে।
এখন আপনি যখন বলবেন নারীর ঘরে থাকা উচিত। এই সিম্পগুলা বলবে, অনেক নারীর পুরুষ অভিভাবক থাকে না, তাদের বাধ্য হয়ে জীবন ধারণের কাজ করতে হয়, বাইরে যেতে হয়। 
আরে আবর্জনা, তাবাররুজ আর ইকরাহের হালতে বের হওয়া দুইটা কেমনে এক হয়? 
এই যায়গায় ধোঁকা হিসেবে আনে আম্মাজান খাদিজা রা. এর গল্প। কিন্তু বাচ্চা নেয়া বা স্বামীর খেদমতের ক্ষেত্রে কিন্তু খাদিজা রা. এর কথা ভুলেও মুখে আনবে না। এখানে সিম্পগুলা কুৎসিত চেরি পিকিং করে। আরে ভাই! আম্মাজান খাদিজা রা. জাহিলি যুগেও হারাম সম্পর্কে লিপ্ত হননাই, মাহরাম ছাড়া ট্যুর দিয়ে বেড়াননাই। টাকা ইনভেস্ট করে মানুষকে দিয়ে কাজ করাইছেন। এবং বিয়ের পর নবীজির প্রয়োজনে সব সম্পদ অকাতরে খরচ করেছেন।
এই পুরা বিষয়টা বেগম রোকেয়ার উত্তরসূরিরা চেপে যায়। নবিজি খাদিজা রা.এর কোন গুণগুলোর জন্য উনার কথা বারবার মনে করতেন সেটা ভুলেও উল্লেখ করে না।
৩. তৃতীয় উদাহরণ হইলো, ভার্সিটির পড়াশোনা। বাংলাদেশের ভার্সিটিগুলার অবস্থা হচ্ছে, শতকরা কমপক্ষে ৬০-৭০% ছেলে-মেয়ে হারাম রিলেশনে জড়িত। এবং এর বড় একটা অংশ ভার্সিটিতে ভার্জিনিটিও হারিয়ে ফেলে। এমনকি কিছুদিন আগে খবর বের হল, ফিমেল অনলি কলেজের মেয়েদেরও বড় ভাইদের রুমে যেতে হয় খুশি করতে। আর পড়াশোনার কোয়ালিটি তো ভাই…। উপরন্তু ভার্সিটিতে গিয়ে ইরতিদাদ বা যান্দাকায় আক্রান্ত হবার পরিমানও নারীদের মধ্যে বেশ উদ্বেগজনক। এরপরে দেখা যায়, পুরুষ টিচারদের চেয়ে নারী শিক্ষকগুলাই বেশি অত্যাচার করে।
এখন এই নাপাক গান্ধা অনিরাপদ পরিবেশ থেকে যদি আপনি সন্তানদের বাচানোর কথা বলেন, আকরাম নদভির মত সিম্পগুলা হাদিসের নারী রাবিদের লিস্ট এনে বলবে, এই দেখো মুসলিম নারীরা জ্ঞান চর্চা করসে, মুহাদ্দিসা হইসে। 
কত্ত বড় শয়তান হলে মুসলিম খিলাফার স্বর্ণযুগে নিজের ঘরে বসে কিংবা নিজের পরিবারের সাথে থেকে, কিংবা মসজিদে নববিতে নবীজির স্ত্রীর কামরায় বসে ইলম শেখার সাথে এই সব ভার্সিটির নাপাক পরিবেশের আজগুবি পড়াশোনার তুলনা করতে পারে চিন্তা করেন। 
… … …
এই অসততা ও প্রতারণার লিস্ট অনেক লম্বা। ফেমিনিজমের মূল প্যাটার্নই হচ্ছে, নারী অধিকারের ধোয়া তুলে নারীবাদ পুশ করা, প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য এদের প্রতিটা ক্লেইমের মধ্যে দুর্বল, অপারগ বা মজলুম নারীদের দুরাবস্থা দেখানো হয়। কিন্তু এর পেছনে লুকানো থাকবে নারীকে পরিবারের নিরাপদ গণ্ডি থেকে রাস্তায় বের করা আর পুরুষের সাথে অসম ধ্বংসাত্মক প্রতিযোগিতায় নামানোর চেষ্টা। যাতে শ্রমবাজারে কর্মীর সাপ্লাই বেশি থাকে। কম খরচে পুঁজিবাদের অধিক কার্যসিদ্ধি হয়।
এই পুরো ফাঁদটার মলাটে থাকে ‘জীবনকে আরও বেশি – আরেকটু বেশি উপভোগ করা’র তাড়না। অবাধ যৌনতা ও অর্থলোভের হাতছানি। 
ভাই, আমাদেরকে জাগতে হবে। নিজেদের বাচতে হবে, পরিবারগুলোকে বাচাতে হবে। আমাদের সন্তানদেরকে মুসলিম হিসেবে, আল্লাহর প্রতি সমর্পিত হিসেবে বড় করতে হবে।
এটা আমাদের কাছে দুনিয়ার হক। এই হক আদায় করতে হবে।
 আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হয়।

Friday, September 22, 2023

কিভাবে বেশী প্রোডাক্টিভ হওয়া যায়, কাজ করার মোটিভেশন আনা যায় অথবা Procrastination দূর করা যায়।

#২২

আমি আগের মত প্রতিটা ইমেইলের লম্বা রিপ্লাই দেয়ার সময় পাচ্ছি না, তবে ইমেইল দেখেছি আর শর্টকাটে হলেও রিপ্লাই দিয়ে দিব পরের সপ্তাহে। একটা প্রশ্ন রিপিটেডলি আসে সেটা হচ্ছে কিভাবে বেশী প্রোডাক্টিভ হওয়া যায়, কাজ করার মোটিভেশন আনা যায় অথবা Procrastination দূর করা যায়। 

আগেই বলে নেই আমি কোন বোদ্ধা বা স্কলার না। কোন বইতে বা পোডকাস্টে দেখেছি এমন কিছু টিপস জানি, দুইটা টেকনিক বলছি যেগুলো আমার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করেছে   

১) ৫ সেকেন্ড রুল

কোন কাজ করার সময় হলে ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই সেটা করা শুরু করে দিতে হবে। ১৫ টা পুশাপ দিবেন? ৫-৪-৩-২-১ বলে শুরু করে দিন। বই পড়ার প্ল্যান ছিল? দ্রুত বইটা খুলে প্রথম চ্যাপ্টার থেকে পড়া শুরু করুন। আজান দিয়েছে? এখনই অজু করতে দৌড় দিন। কোন সেকেন্ড থট ব্রেইনকে দিবেন না, নাহলে ব্রেইন পালাতে চাইবে [1]। 

ব্রেইন এমন ভাবেই তৈরি যে এটা আপনাকে অজানা বিপদ থেকে সেইভ করতে চায়, আপনি যখন নতুন কোন হ্যাবিট তৈরি করতে চান বা কনফোর্ট জোনের বাইরে বেরুতে চান তখন মস্তিষ্ক নানা রকম দুশ্চিন্তা আর টক্সিক সেলফ টক তৈরি করে আপনাকে ওয়ার্নিং দিবে। এজন্যে চেঞ্জ আনাটা এত কঠিন।  

৫ সেকেন্ডের বেশী দেরী করা মানে ব্রেইনকে অদরকারি ওভার এনালাইজ করার সুযোগ দেয়া। ভয়, কনফিউশন আর হেইজিটেশন মাথায় ভর করতে দেয়া। ধরুন আপনি ঠিক করেছেন বিকালে পার্কে দৌড়াতে যাবেন, আপনার ব্রেইন প্রথমে সায় দিবে। তারপর আপনি একটু অপেক্ষা করছেন আর ততক্ষণে মনে হলো আপনার বাইরে যাবার গেঞ্জিটার রঙ আসলে ক্ষ্যাত বা আপনার একটা রানিং শু কেনার পরেই দৌড়ানো শুরু করা উচিত। এভাবে নানারকম চিন্তার ফিকিরে পরে আপনি ফেসবুক স্ক্রল শুরু করে দিলেন, আপনার এই সপ্তাহে আর দৌড়ানোই হলো না। 

এডাল্ট হিসেবে আপনি জানেন কোন সময়ে আপনার কি করা উচিত, সময়ের আগে কাজটা নিয়ে অতশত ভাববেন না। সময় হবে, এলার্ম বাজবে তখন নিজেকে একটা কাউন্ট ডাউনদিন, 5-4-3-2-1 তারপর রকেটের মত নিজেকে কাজের দিকে লঞ্চ করুন- নো সেকেন্ড থট! এই কাউন্ট ডাউনটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা প্রিফ্রনটাল কর্টেক্সকে জাগ্রত করবে। 

একটা সময়ে আমি এলার্ম দেয়ার পরেও ঘুম থেকে উঠতে পারতাম না। এই মেথডে আমি এক দিনের মধ্যেই সকালে উঠেতে পেরেছি। এলার্ম শুনলেই কোন চিন্তা না করে 5-4-3-2-1 বলে উঠে বিছানা থেকে উঠে বসতাম। এসম্পর্কে আরো জানতে মেল রবিন্সের “The 5 second rule” বইটা পড়তে পারেন।       
 
২) রিভার্স সাইকোলজি 

এই পদ্ধতিটা শুধু তাদের জন্য যারা কোন ভাবেই প্রোক্রাস্টিনেশন থেকে বের হতে পারছেন না। প্রথমে মনে রাখুন যে আপনার ব্রেইন সার্ভাইবলের জন্য অসাধারণ একটা যন্ত্র, হঠাৎ করে সামনে একটা জংলি ভাল্লুক পড়লে আপনি হয়তো ট্রেইনিং ছাড়াই হাই জাম্প দিতে পারবেন [2]। এটা মস্তিষ্কের কামাল, মস্তিষ্ক মাসেলকে ট্রিগার করে। প্রথমেই বলেছি ব্রেইন চায় আপনি বেঁচে থাকুন, তাই কমফোর্ট জোন বা ডেইলি রুটিনের বাইরে অজানা, অচেনা কোন অভ্যাস ফর্ম করতে প্রচুর রেজিস্ট করে।  

দেখুন আপনি আপনার লক্ষ্য নিয়ে সিরিয়াস এতে সন্দেহ নাই। কিন্তু আপনার দুষ্ট ব্রেইন আপনাকে প্রোগ্রাম করে রেখেছে “অনেক সময় আছে, পরে কাজ করা যাবে”, এজন্যেই আপনি হাই তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আবার ডেডলাইনের একেবারে আগের দিন আপনি সুপারম্যানের মত কাজ করছেন। এই অভ্যাস থেকে বাঁচতে ব্রেইনকে নেগেটিভ প্রোগ্রামিং করতে হবে। 

আপনি যদি একজন ক্রোনিক প্রোক্রাস্টিনেটর হয়ে থাকেন আর আপনার কাছে সময় থাকে তাহলে, “ডেইলি দৈনিক ৬ ঘন্টা পড়ব” ভাবার কোন দরকার নাই। ভাবুন “জাস্ট ১ ঘন্টা পড়ব, এর বাইরে এক মূহুর্তও না”। এক ঘন্টা পড়ার পর যতই পড়ার ইচ্ছা করুক না কেন পড়বেন না। এতে আপনার ব্রেইন ভয় পাবে, পড়ার আগ্রহ বাড়বে। 

কারণ ব্রেইন তখন রিভার্স ক্যালকুলেশন করবে, আগে নিশ্চিত ভাবে ভাবত যে ৬ ঘন্টা পড়ে সব শেষ হয়ে যাবে। এখন চিন্তা করবে ১ ঘন্টা পড়ে তো সিলেবাস শেষ হবে না। এক সপ্তাহ পরে পড়ার সময় আরো এক ঘন্টা বাড়ান, এভাবে দেখবেন আপনি পড়ার টেনশনে একসময় আগের থেকে বেশীই পড়ছেন। 

এই টেকনিক আমি ফলো করেছিলাম একাডেমিক রাইটিং লেখার সময়টাতে। এক সপ্তাহের মধ্যে আমার প্রোডাক্টিভিটি বুস্ট করেছিল। এই পদ্ধতিতে চিট করবেন না, বেশী পড়তে ইচ্ছা হলেই পড়তে বসবেন না। কয়েকদিন অপেক্ষা করুন তারপর পড়ার সময় বাড়ান। ব্রেইনকে রিয়াক্ট করার সুযোগটা দিন। 

একটা এক্সট্রা টিপ হলো- কাজ করতে মোটিভেশন না পেলেও কাজটা শুরু করে দেয়া উচিত। কারণ কাজ করতে করতে মোটিভেশন একসময় চলে আসবে। কাজটা শুরু করে কিছুটা এগিয়ে গেলে যে ডোপামিন রিলিজ হবে সেটা থেকেই কাজটা শেষ করার মোটিভেশন পাওয়া যাবে [3]। 

1. The 5 Second Rule - Mel Robbins

2. https://www.scientificamerican.com/article/extreme-fear-superhuman/ 

3. The Subtle Art of Not Giving a F*ck - Mark Manson


- Omar Bin Mahtab 

পুরুষের দায়িত্ব

নারীদের বেপর্দা, ফ্রি মিক্সিং ও বহির্মুখীর যেই প্রবণতা, সেটাকে থামাতে হল সর্বপ্রথম পুরুষদের পুরুষত্বকে ঠিক করতে হবে। একজন পুরুষের পুরুষত্বের গুরুত্বপূর্ণ দুটি বৈশিষ্ট্য হল, দায়িত্বশীলতা ( ক্বাওয়ামাহ) ও আত্মমর্যাদাবোধ (গায়রাত)। 

অধিকাংশ নারীদের বেপর্দা ও ক্যারিয়ারমুখীতার পিছনে পুরুষ জাতি কোন না কোনভাবে দায়ী। ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় প্রথম চিত্রের সংখ্যাই বেশি। হয়ত পুরুষরা তাদের দায়িত্বে অবহেলা করছে কিংবা সে তার গায়রাতকে বিসর্জন দিয়েছে। 

দায়িত্বশীলতায় অবহেলা: 
দায়িত্বশীলতার জায়গায় অবহেলা ও ত্রুটি বিভিন্নভাবে হতে পারে। হয়ত:
১। সে নারীর ভরণপোষণ করছে না।
২। ভরণপোষণ করলেও তাকে নিয়মিত রোজগারের খোটা দেয়।
৩। ভাতকাপড় দিয়েই ক্ষান্ত থাকা, তার হাতে খরচের জন্য মাঝে মাঝেই খুচরা টাকা না দেয়া৷ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোন প্রয়োজনে টাকা চাইলে সেটা নিয়ে জেরা করা কিংবা অতি টালবাহানা করা। 
৪। তার সাংসারিক কাজ ও দায়িত্বকে ছোট করে দেখা। 
৫। তার জন্য দ্বীন শিক্ষার ব্যবস্থা না করা। 
৬। সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীদের কাফালত বা দায়িত্বগ্রহণের ব্যবস্থাপনা দাঁড় করাতে না পারা। 

আত্মমর্যাদা বা গায়রাত বিসর্জন দেয়া: 
গায়রাতহীনতাও বিভিন্নভাবে হতে পারে। হয়ত: 
১। সে নিজেই দায়্যুসের মত হয়ে অধিনস্থ মেয়েদের বেপর্দা, ফ্রি মিক্সিং ও ক্যারিয়ারের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
২। সে নিজেই নিজের বউ ও কন্যাকে জব করতে বলপ্রয়োগ করেছে।
৩। সে নিজেই নারীদের বেপর্দা, ফ্রিমিক্সিং, ক্যারিয়ারমুখীতা ইত্যাদি বিষয়কে উৎযাপন করে। 

৩ নাম্বার পয়েন্টটাতে কয়েক লাইন যোগ করে বলি। লজ্জাশীলতা যেমন নারীদের অমূল্য গুণ, তেমন গায়রাতও পুরুষদের জন্য তার পুরুষত্বের অবিচ্ছেদ্য বৈশিষ্ট্য। এটাও তার গায়রাতের দাবি যে, সে নিজেও ফ্রি মিক্সিংয়ে জড়াবে না, নারীদের বেপর্দার সাথে সাই দিবে না, স্বীকৃতি দিবে না। আমাদের ছেলেরা কি এরকম কোন জনমত দেখাতে পেরেছে যে, তারা চায় না নারীরা ফ্রি মিক্সিংয়ে আসুক, বেপর্দা চলাফেরা করুক। নাকি ছেলেদের অধিকাংশই ব্যাপারটাকে উৎযাপন করে। বরং তারাও নারীদের সাথে মিশে। তারা কি নারীদের এড়িয়ে চলার শিক্ষাটা সালাফদের থেকে গ্রহণ করতে পেরেছে? 

কথাগুলো দায়িত্বের জায়গা থেকে লেখা। নতুবা মূল মাসআলা তো এটাই যে, নারীরা গৃ্হস্থলে অবস্থানের ব্যাপারে আদিষ্ট, আর পুরুষরা বাইরে খাটাখাটনির ব্যাপারে আদিষ্ট। এটা হল মূল স্রোত। প্রয়োজন, অপারগতা এসব ব্যতিক্রম সুরত তো আছেই। 

মূলত শরীয়তের মূল বিধানের সাথে একমত থাকলে নারীপুরুষ বিভাজিত হয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে লাভ নেই। আসল কথা হল, নারীপুরুষ নির্বিশেষে সমাজের সকলেই আমরা দ্বীন থেকে দূরে সরে গেছি। আমরা আল্লাহ প্রদত্ত রোল যথাযথভাবে প্লে করছি না। সংশোধনের বার্তা সবাইকেই গ্রহণ করতে হবে।

© iftekhar sifat ভাই

Thursday, September 21, 2023

সম । কামিতা - একটি মানব জাতি শেষ করার উপায়

বাংলাদেশের আইনে এখনও সম.কামিতা নিষিদ্ধ। নেপাল ২০০৭ সালে, ভারত ২০১৮, ভুটান-শ্রীলঙ্কা ২০২১ সালে সম.কামিতাকে বৈধ করেছে। বাংলাদেশেও এলজিটিভি আন্দোলন জোরদার হয়েছে। 

১. এই নিকৃষ্ট ঘৃণ্য চর্চাকারীরা নিজেদের সংখ্যালঘু বলে পরিচয় অর্জন করেছে। সংখ্যালঘুর মানবাধিকার হিসেবে নিজেদের বিকৃতির সমর্থন পেয়েছে। 

২. পাঠ্যপুস্তক কমিটিতে নিজেদের লোক বসাতে পেরেছে। ফলে ৬ষ্ঠ-৭ম শ্রেণীর বইয়ে 'সাবেক শরীফ বর্তমান শরীফা' চরিত্রের ভিতর দিয়ে আপনার সন্তানকে সমকামিতার ছবক দিয়েছে। 

৩. আন্তর্জাতিক চাপ দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র বিশেষ করে গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের বিকৃত দাবির পক্ষে ব্যবহার করতে পেরেছে। এই বিকৃতি নিয়ে কথা বলাটাই এখন নিরাপত্তাহীনতার কারণ আমাদের জন্য। 

৪. এনজিওরা ও মেইনস্ট্রীম মিডিয়া একযোগে এই এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে। 

সম.কামিতাকে বৈধ করে আইন হয়ত অচিরেই বাংলাদেশেও হবে। আপনারই বিল্ডিং-এ সমকামী দম্পতি ভাড়া থাকবে। ভাড়া দিতে না চাইলে আইন প্রয়োগ করবে। আপনার সন্তানের সাথে স্কুলে সমকামীরা পড়বে। আপনার সন্তানও একদিন সমকামী হয়ে বন্ধুর বাসায় স্লিপওভার করবে। সেদিন বেশি দূরে নেই। জেন্ডার ডিসফোরিয়া, এইডস, সিফিলিস-সহ যৌনরোগের সয়লাব হবে। এইডসের টীকা নামে নতুন বাজার সৃষ্টি হবে। ১৫ টাকা পিস ডিমের সাথে আপনার পরিবারে বাড়তি যোগ হবে সেক্স হরমোন বা এইডসের টীকার খরচ। 

সচেতন মানুষদের বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের কমেন্টে থাকা দুটো আর্টিকেল পড়ার অনুরোধ। কার পক্ষ নিচ্ছেন ভাববার অনুরোধ। আপনাদের সন্তানও সমকামী হবে। মেনে নিতে পারবেন? দেশ, দেশের মানুষ, ধর্মের বিরুদ্ধে আজ যাচ্ছেন, যান। একদিন তো সব শেষ হবে। সেদিন আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবেন? 

বিস্তারিত জানতে কমেন্টের দুটো আর্টিকেল দিলাম। আমার লেখা। আর ড. Mohammad Sorowar Hossain স্যার একাই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। ওনার প্রোফাইল ফলো করলে রেগুলার আপডেট পাবেন। নিয়মিত উপরমহল থেকে একা চাপ সামলাচ্ছেন। আসুন সবাই লিখি। সবাই আওয়াজ উঠাই। কিছু হোক আর না হোক, আল্লাহকে বলতে পারব যে চেষ্টা করেছি।

Dr. Shamsul Arefin 

আর রিজালু বির রিজাল
https://shamsularefin.com/ar-rijalu-bir-rijal

.
সমকামিতার বাকি অধ্যায় 
https://shamsularefin.com/somokamitar-baki-oddhay

নারীদের গণহারে চাকরিতে আসা : লাভের গুড়, লসের বিষ

|| নারীদের গণহারে চাকরিতে আসা : লাভের গুড়, লসের বিষ || 

নারীকে গণহারে (বিনাপ্রয়োজনে) চাকুরিতে আসতে উদ্বুদ্ধ করার যে ট্রেন্ডটা, সেটা পুরুষ তৈরি করেছে পুঁজিপতি পুরুষেরই সুবিধার্থে।  

নারীকে পুঁজিবাদের ওয়ার্কফোর্সে টেনে আনার একটা ফাঁদ এই স্বাবলম্বিতা, এই ক্ষমতায়ন, এই চাকরির টোটকা। একটু চিন্তা করুন, চাকরির বাজারে শুধু পুরুষ। এবার চাকরির বাজারে সমান সংখ্যক নারী চলে এল। শ্রমের যোগান বেড়ে গেল। চাহিদার চেয়ে যোগান বেড়ে গেলে মূল্য কমে যায়। শ্রম হয়ে গেল সস্তা। কার লাভ? ভেবে বল। যাদের লাভ, ‘নারী, চাকরি করো’— এটাও তাদেরই বুলি। 

তাদের—
* নারীশিক্ষা মানে শিক্ষিত হয়ে চাকুরিতে আসো। 
* নারী অধিকার মানে ঘরের বাইরে চাকুরি করার অধিকার,
* নারীর ক্ষমতায়ন মানে চাকুরি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা।
* নারী স্বাধীনতা মানে পরিবারের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে চাকরি করার স্বাধীনতা।
* নারী, তোমার স্বামী তোমার উপর জুলুম করে, ডিভোর্স দিয়ে চাকরি কর, সমাধান।
* তোমার উপর ম্যারিটাল রেপ হয়, চাকরি কর। 
* পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তোমার ভাল চায় না, চাকরি কর। 

সব কিছুর সমাধান হলো, চাকরি কর, অর্থনীতিতে আসো, টাকা কামাও। আমার কাজে লেগে যাও। ব্যস। এটাই সমাধান। এটাই আলাদিনের জাদুর চেরাগ। 

কেননা নারীদের শ্রমবাজারে রাখাটা পুঁজিপতিদের পক্ষে ব্যাপক লাভজনক। এতে চাকুরির প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। মেয়েদের জন্য চাকরি অপশনাল, আর পুরুষের তো ‘না হলেই নয়’। ফলে, পুরুষরা আগের চেয়ে কম বেতনেও শ্রম দিতে তৈরি থাকে। [গ] ১৯৬০-এর দশকের শেষার্ধে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের বেতন কমে যায়, বেকারত্ব বেড়ে যায়। (Hernandez 1993, Zill & Nord 1994) । বাংলাদেশে আজও সরকারি হিসেবেই ২৬ লক্ষ পুরুষ বেকার, যাদের চাকরি প্রয়োজন। আজকে আপনার বেকারত্বের পিছনে, কম বেতনে বেশি খাটার পিছনে এইসব নারীবাদী পলিসি দায়ী। মার্কেটে একটা কৃত্রিম প্রতিযোগিতা তারা তৈরি করে রেখেছে। 

পুঁজিপতিরা তো চায়, বেতন কম দিলে পুঁজিপতির পকেটে মুনাফা থাকবে বেশি। তাহলে নারীদের এখন শ্রমবাজারে ধরে রাখতে হবে যেকোনো মূল্যে। আর নারীদের শ্রম ধরে রাখতে হলে করতে হবে তিনটি কাজ—
* পরিবার গঠন-কে পেছাতে হবে স্বাবলম্বী হবার নামে। নারীদেরকে পরিবারমুখী থেকে ক্যারিয়ারমুখী করতে হবে। [ঘ] চাকরি, ক্যারিয়ার—এসবকে মর্যাদার কাজ হিসেবে বুঝাতে হবে। 
* ‘আগে আগে বিয়ে’-কে ভিলেন বানাতে হবে। [ঙ]
* বিয়ে, গর্ভধারণ, বাচ্চাপালন-কে ছোট ও ঘৃণ্য কাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেন এগুলো করতে নারী অনীহা বোধ করে। [চ] 

নারীকে তার জেন্ডার রোল থেকে বাইরে বের করে পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতায় লাগিয়ে দিতে হবে। 

শারীরিক গঠনের পার্থক্য এমনভাবে এসেছে, যাতে নারী-পুরুষের কেন্দ্রীয় উদ্দেশ্য আলাদা হয়ে গেছে। পুরুষ বাইরে প্রতিকূলতা চষে বেড়াবে, জীবিকা আনবে, প্রতিপত্তি দিয়ে নারী-শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে। আর নারী ঘরে অনুকূল পরিবেশে সন্তান সামলাবে, সন্তানকে স্বাবলম্বী মানব হিসেবে জীবনযুদ্ধের জন্য রেডি করবে। এটা হচ্ছে আমাদের বায়োলজিক্যাল ভূমিকা। জেন্ডার রোল পুরোটাই সমাজ শেখায় না। আমাদের দেহমনের নকশার ভেতরে আছে জেন্ডার রোল। 

৯টা-৫টা চাকুরির নামে বায়োলজিকে অস্বীকার করে নারীরা নিজেদের অসুস্থ করে ফেলছে, পরবর্তী প্রজন্মকে অসুস্থ করে ফেলছে। কীভাবে সেটা দেখবো সামনের পোস্টে। নারীদের গণহারে চাকরিতে আসার দ্বারা লাভবান হয় কিছু লোভী পুরুষ, লোভী স্বামী। আর লুজার হয় নারী নিজে। সেই লসের মাশুল সে দিবে নিজ শরীরের অসুস্থতা দিইয়ে, মানসিক অস্থিরতা দিয়ে, সন্তানের সাথে দূরত্ব দিয়ে এবং সন্তানের অবিকাশ দিয়ে। বিনা প্রয়োজনে নারীর চাকুরির মানসিকতায় ভুক্তভোগী নারীই, অন্য কেউ না। 

আমার বউ চাকরি করলে তো আমারই লাভ। যদি আল্লাহকে ভয় না করতাম, তবে স্ত্রীকে অবশ্যই চাকরি করতে বাধ্য করতাম। আল্লাহর দেয়া কর্মবণ্টনকে যদি স্বীকার না করতাম, ২০-৩০ হাজার টাকার লোড অবশ্যই নিজের উপর থেকে কমিয়ে ফেলতাম ।

Dr. Shamsul Arefin 

Wednesday, September 20, 2023

home schooling

I consider home education an integral part of parenting. 

Having children requires *raising* children, and a big part of raising children is educating them in all kinds of things. 

We as parents naturally love our children, and we nourish them physically with wholesome nutrition, emotionally with wholesome bonds, and intellectually and mentally with wholesome concepts, ideas, and principles. 

We teach our children first how to sit, how to stand, how to walk, how to talk, how to eat, how to throw a ball. Then as they get a bit older, we teach them how to wash their hands, how to brush their teeth, how to dress themselves, how to put away their toys after playing. 

Then they get older still, and ask many questions about the world and their environment, and we answer all their questions. 

We teach them Islam: we talk to them about Allah, our love for Him and our gratitude for His blessings on us, and how He has created the sun and the moon and the stars and mountains and birds and flowers. About the Prophet ﷺ and his beautiful life story. About the dunya and the Akhirah, about the creation of Adam and the plot of Shaytan. The Prophets and their amazing stories. The Sahaba and their heroic strengths. 

We teach them basic fiqh: how to make wudu, how to pray, how to cover the awrah, how to eat the sunnah way, haram and halal. Simple du`as for when we wake up in the morning, when we enter the restroom, when we get in the car, when we get in bed at night. 

Then we instill in their hearts values and begin to shape their character: how to be honest, how to be responsible, how to obey parents, how to respect elders, how to have mercy on the young, how to give in charity, how to set our intentions (نية , niyya), how to express our feelings to others, how to rely on Allah with full tawakkul (توكل, trust). 

After all this, the important underlying foundation has been built. The stage is now set for more learning, more tarbiya, تربية. 

Why stop now?

Why should we, as parents, suddenly stop teaching our children abruptly when we've been teaching them things since the day they were born?

We teach them Quran, first and foremost. We repeat it with them so they memorize it. Then we teach the meanings (تفسير, tafsir), narrate the stories, provide the context of the surahs. We teach hadith, first short simple ones, then longer. We teach the seerah more formally, first of Prophet Muhammad ﷺ then of his Sahaba and the Khulafa' Ar-Rashidun, then progress into the rest of Islamic history. 

We also teach our children more "academic" subjects as well. We teach them math, reading, writing, art, science, geography, and world history. We educate them in multiple languages if we are able: English, Arabic, or whatever our mother tongue is. We pass down this wealth of knowledge to our children, in the richness of traditional Muslim languages and not merely limited to only English. 

This is تربية: tarbiya. Child-rearing. 

Raising a whole human being. 

Addressing the physical, emotional, psychological, mental, spiritual, and intellectual needs of the child. 

Why should we arbitrarily set random limits on what we teach our own children, and what we will hand over our children to strangers to teach? 

We know our own children best, not some stranger!

We parents have been present from the beginning. 

My eldest child is 11 years old alhamdulillah, so in my mind, I have been raising and educating my children for eleven years. 

This is the start of our twelfth year homeschooling, in the larger sense referring to tarbiya and general education. 

But in the more narrow definition of homeschooling using the ideas of the public-school model, where children start "formal schooling" in kindergarten at 5 years old, it's been six years. 

But I don't tend to follow that mass-schooling model anyway. Formal schooling for us starts around seven years of age, or based on the interest and enthusiasm of each child. 

I keep a simple spiral notebook each year as my Homeschool Tracker, kept for my own records over the years. In it, I write down what we accomplish that year. It is a daily log of the subjects for each child, the material we go through, the surahs memorized and the books read and even the field trips or experiments we embark on. It is also partially a journal, documenting my own thoughts, frustrations, struggles, and joys as I work with my children. It helps keep me on track, as well as keep me motivated and consistent. 

Yesterday, as I made my Homeschool Tracker for the new 2023-2024 school year, I looked yesterday through my old notebooks and was hit with a wave of emotion. 

I started the notebook tradition in 2019, when my first child was loosely in first grade. It's amazing to me to go back and read my old notes, the daily logs from so many years ago. To see the general progress and all the changes. What I struggled with that is no longer a problem, and the challenges that remain challenging for me even now. It's always fascinating to pause where you're standing and look back, reviewing the journey you have taken. 

Homeschooling isn't always easy, but it is 100% worthwhile, meaningful, and beautiful. It is the best journey to take with your children, especially for us as Muslims. Alhamdulillah.

Umm Khalid 

প্রথম দেখা

প্রথম দেখা
বিয়ে উপলক্ষ্যে পাত্র-পাত্রী একে অপরকে দেখা সুন্নত। এই দেখাদেখি বিয়ে করার চেয়ে কম আকর্ষণীয় আর উত্তেজনাকর নয়। কয়েকজনের স্মৃতি তোলা রইল,

আঁধারকন্যা
১ঃ পাত্রপক্ষ এসেছে। আমাকে সংবাদ দেয়া হল। লজ্জায় পা চলছিল না। আব্বু আমাকে ধরে নিয়ে বসালেন। চোখ তুলে চাইতে পারছিলাম না। অনেক চেষ্টা করে চোখ তুলে তাকালাম। দেখার পর মন ভেঙে গেল। আর সেখানে বসে থাকতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। পছন্দ যেহেতু হয়নি, বিয়ে তো হবে না। শুধু শুধু বসে থেকে কী লাভ। সরাসরি পছন্দ হয়নি বলতেও সংকোচ হচ্ছিল। একজন মানুষ আমাদের বাড়ি থেকে কষ্ট নিয়ে ফিরে যাক, সেটা চাইছিলাম না। মাথায় একটা বুদ্ধি এল। কথা শুরু হওয়ার আগেই আব্বুকে বলে উঠে চলে এলাম। এসে মেইনসুইস বন্ধ করে দিলাম। অন্যবাড়িতে আলো শুধু আমাদের বাড়ি অন্ধকার। পাত্রপক্ষ বেশ বুদ্ধিমান। অন্ধকারেই আব্বুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। আর যোগাযোগ করেননি।

চোরাদৃষ্টি
২: খুবই লজ্জা হচ্ছিল। আব্বু আর ভাইয়া সেখানে বসা ছিলেন। আম্মু আমার হাতে কফি দিয়ে পাঠালেন। কামরায় প্রবেশ করেই আমি রীতিমতো বিমোহিত। এত সুন্দর মানুষও হয়। লাজলজ্জা ভুলে তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আমাকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকতে দেখে আব্বু আর ভাইয়া বিব্রত বোধ করছিলেন। ভাইয়া কয়েকবার ইশারা দিলেন। আমি খেয়াল করিনি। যেভাবে তার দিকে তাকিয়ে হাঁটছিলাম, যে কোনো মুহূর্তে চেয়ারের সাথে ধাক্কা খেয়ে কফির ট্রেসহ হোঁচট খেয়ে পড়ার আশংকা ছিল। ভাইয়া দ্রুত উঠে এসে ট্রেটা হাতে নিয়ে টেবিলে রেখে আমাকে ভেতরে ফিরিয়ে এনে বকুনি দিলেন। ভাইয়ার বকুনি আমার কানে গেলে তো! কারণ আমার হৃদয়টা দরজার ওপাশে রেখে এসেছি যে। বিয়ের এতবছর পরও স্বামী সেদিনের ঘটনাটা নিয়ে আমার সাথে মস্করা করতে ছাড়েন না।

গোয়েন্দা জেরা
৩ঃ পাত্রী দেখতে গিয়েছি। একটু পর সদর্পে এসে আমার মুখোমুখি হয়ে বসলেন। যে সে বসা নয়, রীতিমতো পায়ের ওপর পা তুলে বসেছেন। বসেই কালবিলম্ব না করে জেরার ভঙ্গিতে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। পাত্রীর ড্যামকেয়ার ভাবভঙ্গি দেখে ভড়কে গেলাম। কত বেতন পাই, বাসাভাড়া কত লাগে, খরচের খাত কী কী, আরো নানা প্রশ্ন। কোনোরকমে গোয়েন্দা জেরাপর্ব শেষ করলাম। নিরাপদে বিদায় নিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।

হাইহিল
৪ঃ আম্মু বারবার নিষেধ করেছেন: হাইহিল পরে পাত্রের সামনে যাস না। আমি বেঁটে। হাইহিল না পরলে খুবই খাটো দেখায়। আম্মুর নিষেধ ডিঙ্গিয়ে হাইহিল পরেই গেলাম। আসার সময় আম্মু জোর করে আমার হাতে চা-নাস্তার ট্রে ধরিয়ে দিলেন। উত্তেজনায় হাত-পা কাঁপছিল। হাইহিল পরার অভ্যেস ছিল না। কামরায় প্রবেশ করার পর হিলের তলায় শাড়ি আটকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলাম। ট্রের চা-নাস্তা পুরো ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ল। কামরার কয়েকজন উচ্চস্বরে হেসে উঠল। পাত্র সবার আগে উঠে এলেন। তাকে হাসতে দেখিনি। তবে সেদিনের ঘটনা নিয়ে বিয়ের পর থেকে সেই যে দুষ্টুমির হাসি শুরু করেছেন, আজো থামেনি। এখন পিনপিনে পাতলা চপ্পল পরলেও টিপ্পনী কাটতে ছাড়েন না: দেখো আবার না হোঁচট খেয়ে পড়ে যাও।

ললাটচুম্বন
৫ঃ সকাল থেকেই প্রচণ্ড উত্তেজনা। পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে জোহরের পর। খাবারের অগেই দেখাদেখি হবে। আব্বু পাত্রপক্ষকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ঘরে এনে বসালেন। আমি নাস্তার ট্রে হাতে কামরায় প্রবেশ করলাম। অভ্যেশবশত আব্বুর কপালে চুমু খেলাম। আব্বুর পাশেই পাত্র বসে ছিলেন। আমি ঘোরের মধ্যে ছিলাম। লজ্জায় কোনো দিকে তাকাতে পারছিলাম না। আব্বুর কপালে চুমু খাওয়ার পর পাশে বসা পাত্রকে ভাইয়া মনে করে তার কপালেও চুমু খেয়ে বসলাম। পরক্ষণেই বুঝতে পারলাম কী ভয়ানক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছি। লজ্জায় পারলে সেখানেই মরে যাই। একদৌড়ে ছুটে এসে আমার রূমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম। বাসররাতে বর দুষ্টুহাসি দিয়ে বললেন, তোমাকে বিয়ে করার জন্যই তুমি ষড়যন্ত্র করে আমার কপালে.....। এত বছর পরও স্বামী সেদিনের ঘটনা বলে আমাকে রাগানোর চেষ্টা করেন।

মা শা আল্লাহ
৬ঃ বন্ধুর বোনের সাথে বিয়ের কথাবার্তা হয়েছে। রূয়তে শরয়ি বা প্রথম দেখার জন্য আমাকে বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ করা হল। আগে কতবার এসেছি। আজকের আসা সম্পূর্ণ ভিন্ন। পাত্রীকে আগে কখনো দেখিনি। আমি সাক্ষাতের কামরায় বসে আছি। পাত্রীকে নিয়ে আসা হল। তাকে দেখেই আমার কী যে হল, বুঝতে পারলাম না। মুখ দিয়ে অজান্তে সুবহানাল্লাহ, মা শা আল্লাহ বেরিয়ে গেল। এমন অপার্থিব সৌন্দর্য দেখে আমি ঘোরের জগতে চলে গিয়েছিলাম। মুখ দিয়ে ক্রমাগত ‘মা শা আল্লাহ’ বেরোচ্ছিল। আমার অভিব্যক্তিতে পাত্রী লজ্জা পেয়ে ছুটে পালিয়ে গেল। একটু পর তাকে আবার জোর করে ধরে আনা হল। তারও পাত্র দেখা উচিত। আমি তখনো চোখ বন্ধ করে একনাগাড়ে ‘মা শা আল্লাহ’ বলে যাচ্ছিলাম।

রাব্বে কারীম সবার জন্য উত্তম জীবনসঙ্গীর ব্যবস্থা করে দিন। আমীন।

- শায়খ আতিক উল্লাহ্ হাফি.

পর্ব ২স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না...। দেখা যাক, কথাটা ভুল না ঠিক?


পর্ব ২

স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না...। দেখা যাক, কথাটা ভুল না ঠিক? 
 
[ক]
সুতরাং গত পর্বে আমরা দেখেছি, কীভাবে ও কেন একই পরিমাণ স্ট্রেস পুরুষের চেয়ে নারী শরীর ও মনের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। আবার একটু স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। 
নারীর নিজের ক্ষতি : 
- পুরুষের চেয়ে স্ট্রেসে থাকা একজন নারীর শারীরিক ক্ষতি বেশি হয়, মানসিক অসুখও বেশি হয়। [Stress and your health, Office on Women’s Health, U.S. Department of Health and Human Services] 
- স্ট্রেসের প্রভাবে লক্ষণগুলো নারীদের বেশি প্রকাশ পায়। কারণ, একই স্ট্রেসে নারীদের স্ট্রেস-হরমোন কর্টিসল বেশি বের হতে থাকে’(Verma, 2011)

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, টেনশন-জাতীয় মাথাব্যথা ও মানসিক রোগগুলো নারীদের বেশি হয়। (Hammen, 2009) এবং কমবয়েসী নারীদের হার্টের সমস্যাগুলো মূলত হার্টের ওপর এই স্ট্রেসের কারণেই হয়। (Vaccarino, 2014)

এবং আমরা আরও দেখেছি, পুরুষের তুলনায় একে তো তাদের স্ট্রেস সামলানোর শারীরিক প্রক্রিয়াগুলো দুর্বল। তার উপর আবার পুরুষের তুলনায় তারা অধিক স্ট্রেসে এক্সপোজড। নারীদের এই অতিরিক্ত স্ট্রেসের উৎস আমরা দেখেছি। আবার বলছি। নারীর এই অতিরিক্ত স্ট্রেসের উৎস কর্মস্থল :
- অফিসে ও বাসায় নারীর ‘দ্বৈত ভূমিকাই’ তাদের কর্মস্থলে পুরুষের চেয়ে বেশি স্ট্রেস অনুভব করার মূল কারণ। (Prasad, 2016) 
- পুরুষের মাঝে কাজ করতে সে বেশি স্ট্রেস ফিল করে, সেখানেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে ২২,০০০ নারীর ওপর এক রিসার্চে এসেছে, যেসব নারীদের চাকুরি-কেন্দ্রিক স্ট্রেস (job-related stress) বেশি, তাদের ৪০% বেশি সম্ভাবনা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক (cardiovascular event) হওয়ার [Alexandra Sifferlin (August 25, 2015) Women in Male-Dominated Jobs Have More Stress, TIME] 
- নারী কর্মকর্তারা বেশি স্ট্রেস, উদ্‌বেগ ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন [Why Women Feel More Stress at Work (Harvard Business Review 2016)] 
- ব্রিটেনের মতো দেশেই ৭৯% নারী কর্মক্ষেত্রের স্ট্রেসে ভুগছেন, ৭৮% নারী কর্মজীবীর ঘুমে সমস্যা, মোটের ওপর ৮৭% নারী চাকুরি নিয়ে স্ট্রেসে আছেন বলে জানিয়েছেন। [Louise Chunn (Mar 26, 2019) Women Are at Breaking Point Because of Workplace Stress : Wellbeing Survey from Cigna, Forbes.com]

কিন্তু গর্ভকালে এই অতিরিক্ত স্ট্রেসটা সন্তানের জন্য বিপুল ক্ষতি নিশ্চিত করে। স্ট্রেসের কারণে মায়ের হৃদস্পন্দন থেকে শুরু করে স্ট্রেস হরমোন, অতিমাত্রায় অক্সিডেন্ট তৈরি, রক্তচাপের বৃদ্ধি সকল জিনিস গর্ভস্থ শিশুর গঠন ও বৃদ্ধিতে নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। যেমন: [University of Missouri-Columbia. (2016, June 7). Stress exposure during pregnancy observed in mothers of children with autism : More research needed to understand gene-stress interaction. ScienceDaily.] 
- গর্ভকালীন নানান জটিলতা যেমন আগে আগেই ব্যথা ওঠা, আগে আগেই বাচ্চা হয়ে যাওয়া, কম ওজনের বাচ্চা, প্রি-এক্লাম্পশিয়া, গর্ভকালীন ডায়বেটিস ইত্যাদি এখন বেশি হচ্ছে (Coussons-Read, 2013) এই স্ট্রেসের দরুন। 
- আগের চেয়ে বাচ্চাদের জন্মগত ত্রুটিও বেশি হচ্ছে। বাচ্চা হওয়ার পরও বাচ্চার সমস্যা রয়ে যাচ্ছে তার গর্ভকালীন স্ট্রেসের ফল হিসেবে। (Carmichael, 2007) বাচ্চার সম্পর্ক স্থাপনে সমস্যা, খিটখিটে মেজাজ, আবেগিক সমস্যা, অ্যাজমা, অ্যালার্জি, কম রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা, বুদ্ধিবিকাশে বাধা, স্মৃতিস্বল্পতা ইত্যাদি। (Coussons-Read, 2013) 
- অটিজম রোগাক্রান্ত শিশুও বেশি জন্মাচ্ছে এই গর্ভকালীন স্ট্রেসের কারণে। (Varcin, 2017) 

সিজারের জন্য শুধু ডাক্তারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের লাইফস্টাইল সিজারের ইন্ডিকেশন (প্রয়োজন) নির্মাণ করে, প্রসবকে জটিল করে ফেলে। এবং এই ইস্যুগুলো প্রতিরোধযোগ্য ছিল। নারীরা পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতায় না নামলেই এই অঘটনগুলো প্রতিরোধ সম্ভব। বিশেষত ১ম ট্রাইমেস্টার, যখন সন্তানের মূল গঠন হচ্ছে, তখন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে মেয়েরা যায় না। হরমোনের ওঠানামায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে না শুরুর সময়টা। ফলে স্ট্রেস বেশি পড়ে, যেসময় তার বিশ্রাম বেশি প্রয়োজন ছিল। অনেক মেয়ে সন্তান হবার পর মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যায়। ততদিনে যা হবার হয়ে গেছে। শরীরের বিরুদ্ধে গিয়ে কর্মঘন্টা চালিয়ে যাওয়া, কর্মস্থলে স্ট্রেস-পলিটিক্স-প্রেসার পুরুষের সমানই তাকে সহ্য করতে হয়। পুরুষকে টেক্কা দিতে তারা সেটা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করে শরীর সায় না দিলেও। এভাবেই অনাগত সন্তানের হক নষ্ট হয় মায়ের উচ্চাভিলাষের দ্বারা। 

[খ] 
এবার আগত সন্তান। মানুষের বাচ্চা গরুছাগলের বাচ্চার মত না। জন্তু-জানোয়ারের বাচ্চা হয়েই দৌড় দেয়। আর মানুষের বাচ্চা? কত দুর্বল, কত অসহায় থাকে ৩-৪ বছর পর্যন্ত, তাই না? এমনকি বান্দরের বাচ্চার সাথেও মানুষের বাচ্চার তুলনা চলে না। বাঁদরের বাচ্চাও এটলিস্ট মাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারে। মানুষের বাচ্চার সেটুকু শক্তিও থাকে না। মানুষের বাচ্চার তুলনা করতে পারেন ক্যাঙ্গারু ইত্যাদি মারসুপিয়াল প্রাণীদের বাচ্চার, যারা অপরিণত হয়ে তৈরি হয়। এজন্য থলে দেওয়া থাকে মায়ের পেটে। বা ইঁদুর-কুকুরের বাচ্চার মত, যাদের চোখ ফোটে না। মানুষের বাচ্চারও হবার পর বেশ কিছুদিন সময় লাগে ক্লিয়ার দেখতে। তাই তার আরও বেশি দরকার মা-কে। দরকার আরও ক্লোজ টাচ। আমরা দেখব এই সময়টা দাদী-নানী-বুয়া দিয়ে কাজ চালানো যায় কিনা।  

১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ১৯৯০ সালে পর পর ৩ টি রিসার্চের ফলাফলের উপর University of London-এর প্রোফেসর Jay Belsky সিদ্ধান্তে আসেন: বাচ্চার ১ম বছরে যেসব মায়েরা জবে থাকে ফুলটাইম, সেসব বাচ্চার ৩ বছর, ৪ বছর ও গ্রেড-১ এ বুদ্ধিবৃত্তিক গ্রোথ তুলনামূলক কম। এবং এসব মায়েদেরও ডিপ্রেশন হবার হার ‘বেকার’ মায়েদের চেয়ে বেশি। 

সহজ করে ওনার ফাইন্ডিং-গুলো বলি: ছোটবয়েস থেকে দীর্ঘসময় বাচ্চাকে মা ছাড়া অন্য কারও কাছে রেখে পাললে (early and extensive nonmaternal care), পরবর্তীতে পিতামাতার সাথে সন্তানের দূরত্ব বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। সন্তানের ভিতরে রাগ-জেদ ইত্যাদি আগ্রাসী স্বভাব বৃদ্ধি পায়। বাচ্চা বয়সে, স্কুলে যাবার আগের বয়সে এবং প্রাথমিক ক্লাসগুলোতে কাঙ্ক্ষিত স্বাভাবিক বিকাশ হয় না (noncompliance)। 

পুঁজিবাদী-নারীবাদী মতের বিরুদ্ধে গেল তো? এরপর বেচারাকে ধুয়ে দেয়া হল। কেচে নিঙড়ে রোদে মেলে দেয়া হল। তারপরও ২০০১ সালে Journal of Child Psychiatry and Psychology-তে তিনি নিজ মতের উপর অটল থাকেন। 

আগ্রহীরা মূল পেপার দেখতে পারেন:
Belsky J. Emanuel Miller lecture developmental risks (still) associated with early child care. J Child Psychol Psychiatry. 2001 Oct;42(7):845-59.  
Brooks-Gunn, J., Han, W. J., & Waldfogel, J. (2010). First-Year Maternal Employment and Child Development in the First Seven Years. Monographs of the Society for Research in Child Development, 75(2), 7–9.

[গ] 
অনেকে বলেন: বাবার দায়িত্বটা কি? সন্তান কি বাবার নয়? মা-ই কেন স্যাক্রিফাইস করবে? সন্তান অবশ্যই দুজনের। এবং সন্তানের স্বার্থেই বাবা বাইরে বাইরে কাজ করবে এবং মা সন্তানের সাথে লেপ্টে থাকবে ঘরে। এটাই শিশু-নারী-পুরুষের বায়োলজি। এবং বায়োলজির স্রষ্টা (ইভোল্যুশন মনে করলে করেন) সেই দায়িত্বই তাদের বণ্টন করেছেন যেটা বায়োলজির অনুকূল। এখানে কোনো কম্প্রোমাইজ, কোনো স্যাক্রিফাইস-এর প্রশ্নই নেই। মা মায়ের কাজটা করছে, বাবা বাবার। এখানে কোনো স্যাক্রিফাইস-টাইস নেই। 

রিসার্চ বলছে— মাতৃস্নেহ বিষয়টা সরাসরি অক্সিটোসিন হরমোনের সাথে রিলেটেড (Babchuk, 1985), যা একজন নারীর শরীরে থাকে অনেক বেশি। প্রসবের সময় জরায়ুর ক্রমাগত সংকোচনের ফলে ব্রেইন থেকে বন্যা-জলোচ্ছ্বাসের মত অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত হতে থাকে। আবার চক্রাকারে এই হরমোন উত্তরোত্তর জরায়ু সংকচন বাড়াতে থাকে যে পর্যন্ত না বাচ্চা বের হচ্ছে। এই হরমোনের সাইকো-ইফেক্ট হল: বাচ্চার প্রতি মায়া। হরমোন নিঃসরণ চলতেই থাকে বাচ্চার স্তনপানের প্রতিটি চোষণে। অর্থাৎ মা-শিশুর টান কেবল মানসিক না। টান শরীরে, রক্তে, হরমোনে। এজন্য মিলিয়ে নিন: 
- বাচ্চার কান্নায় মায়ের অক্সিটোসিন হরমোনে বান ডাকে, ফলে মায়া উথলে ওঠে, মা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। 
- বাচ্চাকে ছাড়া মায়ের খালি-খালি লাগে, মনে হয় শরীরের একটা অঙ্গ নেই। 
- বাচ্চার অস্ফুট কান্না-নড়াচড়া-চেহারার ভঙ্গি-কান্নার অর্থ মা বুঝতে পারে।   
- কর্মস্থলে গিয়ে বাচ্চার টান, আবার বাচ্চার কাছে থাকলে কর্মস্থলের টেনশন মাকে একটা দ্বন্দে ফেলে দেয়। না এটা হয়, না ওটা। জবের প্রোডাক্টিভিটিও কমে, ওদিকে মায়ের কাজটাও আধখেঁচড়া হল। 
  
এখানে কারও দোষ নেই। এটাই আমাদের বায়োলজিক্যাল নকশা। মেয়েদের ব্রেইনম্যাপ এভাবে হয়ে ওঠে। একে অস্বীকার করলেই ব্রেইনম্যাপ বদলে যায় না। ছেলেদের ব্রেইনম্যাপ এমন না। একজন বাবা বড়োজোর সন্তানের সাথে খেলতে পারে। ছেলেদের ব্রেনের নকশা সবকিছুকে ‘অবজেক্ট’ হিসেবে নেয়, বাচ্চাকেও সে একটা খেলনার মতোই মনে করে। বড়োজোর কষ্ট করে কয়েকদিন কিছু যত্ন নিতে পারে, যা বাপকে শিখিয়ে পড়িয়ে দিতে হয়। কিন্তু মা-শিশু যে স্পেশাল বন্ধন, সেটা মেয়েদের শিখিয়ে দিতে হয় না। এগুলো সব মেয়েদের ব্রেনের নকশায়ই থাকে।
ছেলেদের টেস্টোস্টেরন হরমোন এই ‘বাচ্চা-পালা’-র ঝোঁক কমিয়ে দেয়, যা বাবাদের বেশি (Udry, 2000)। উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, একজন কর্মজীবী বাবা নিজের ছেলের সাথে যে পরিমাণ সময় দিয়েছে, কর্মজীবী দাদা হবার পর নাতিকে সময় দেয় বেশি। কারণ তার টেস্টোস্টেরন এখন পড়তির দিকে।

সুতরাং সন্তানের মায়ের প্রয়োজন বাবা-বুয়া-দাদী-নানী দিয়ে হবেনা, এটা বিজ্ঞান বলছে। কিছু মানুষ আছে যারা ধর্মও মানে না, বিজ্ঞানও মানে না। কৌন হ্যায় ইয়ে? কাঁহা সে আতে হ্যায় ইয়ে লোগ? 

[ঘ] 
 অনেক মা বুকের দুধ বের করে রেখে কর্মস্থলে যান। ভাবেন, দায় শেষ। দেখা যাক। 
১.
বুকের দুধের উপাদানগুলোর যে অনুপাত, পুরো দিনের নানা অংশে তার বৈচিত্র হয় শিশুর প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে (circadian variation)। সন্ধ্যার দুধে ফ্যাট ও ট্রিপ্টোফ্যান বেশি থাকে। এমনি করে প্রোটিন-শর্করা-ক্যালসিয়াম-ফসফরাস-ম্যাগনেসিয়াম-আয়রন-নিউক্লিওটাইড- কর্টিসল – মেলাটোনিনের উঠানামা হয়। একেক সময় শিশুর একেক লেভেলের চাহিদা থাকে যা ঐ সময়কার কম্পোজিশন ঠিক করে দেয়। আমি আসলে জানিনা ৯টা-৫টা ডিউটি করলে শিশুর এই চাহিদা কীভাবে মেটে? অনেকে তো চাকরির জন্য ২ বছরের আগেই দুধ ছাড়িয়ে দেন। বাহ। 
২.
অনেক মা কমপ্লেইন করেন, বাচ্চা যথেষ্ট দুধ পায় না বা দুধ উৎপাদন কমে গেছে। নানান কারণেই হতে পারে। আমাদের আলাপের সাথে প্রাসঙ্গিক যেটা সেটা হল, যখন স্তন দুধে পূর্ণ থাকে তখন দুধ উৎপাদনের গতি কমে আসে। খালি অবস্থায় দুধ তৈরি হয় বেশি বেশি। মানে, মা যত বেশি বার বাচ্চাকে খাইয়ে খালি করবে, ততবেশি দুধ উৎপাদন হবে। লম্বা সময় না খাওয়াতে খাওয়াতে এটাই স্বাভাবিক ফেনোমেনা যে, প্রোডাকশন কমে যাবে। ২ বছরব্যাপী যে পরিমাণ দুধ বাচ্চার জন্য জরুরি ছিল, তা সে আর পেল না। 
৩.
আমরা যদি খরগোশের দুধের উদাহরণ দিই, মা-খরগোশের দুধে চর্বি ও প্রোটিনের ঘনত্ব এতটাই বেশি থাকে যে, বাচ্চা-খরগোশকে দিনে একবার দুধ পান করালেই চলে। অন্য স্তন্যপায়ীদেরও ঘনঘন দুধ পান করানোর প্রয়োজন পড়ে না। তবে মানুষের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। যেহেতু মানুষের বুকের দুধে পুষ্টি কম থাকে এবং খুব দ্রুতই হজম হয়ে যায়, ফলে মায়ের তার শিশুকে দিনে কয়েকবার (কমসে কম দিনে ৮-১২ বার বা তারও বেশি হলে ভালো) বুকের দুধ পান করাতে হয়। কারও কারও মতে প্রতি ২০ মিনিটে একবার। কেননা দ্রুত হজম হয়ে যায়। 

মানুষের দুধে ফ্যাটের পরিমাণ ৩-৫%, যেখানে অন্যান্য প্রাণীর ৪০% এর উপরে। সুতরাং আমরা এমন একটা প্রজাতি যাদের বেশি ঘন ঘন দুধপানের দরকার পড়ে। এভাবেই আমরা তৈরি। এজন্যই বারংবার দুধপান করানোর গুরুত্ব এতো বেশি। যত বেশি দুধপান করানো হবে, মায়ের তত বেশি প্রোডাকশন হবে। তত বেশি ফ্যাট বাচ্চা পাবে, যা তার মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য জরুরি। 
 [Emma Pickett, Guest blog: breastfeeding - the dangerous obsession with the infant feeding interval, www.unicef.org.uk]

এই ব্যাপারটির গুরুত্ব সম্পর্কে ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যানিস্টিক সাইন্সের (Institute of Humanistic Science) মনোবিজ্ঞানী ড. জেমস ডাব্লিউ. প্রেসকট (James W. Prescott PhD) বলেন,

"আমরা কেবল মানুষের মধ্যেই দেখতে পাই, জন্মগ্রহণের সময় নবজাতককে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং মা তার সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন না। আমরা আবিষ্কার করেছি, লাখ লাখ বছর বিবর্তনের ফলে গঠিত দৈহিক ও মনোদৈহিক গঠনকে লঙ্ঘন করে এ জাতীয় আচরণগুলো। ফলে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নবজাতককে তার শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যে এক ভয়ানক মূল্য চুকাতে হচ্ছে— যেমন বিষণ্ণতা, নিয়ন্ত্রণহীন আবেগ, সহিংসতা এবং মাদকসেবন"।
[Prescott, James W. (Spring 1997). Breastfeeding: Brain Nutrients in Brain Development for Human Love and Peace. Touch The Future Newsletter.]

আমি আসলে জানিনা, বিনা প্রয়োজনে, নিজ আত্মতৃপ্তির জন্য সন্তানকে বঞ্চিত করা মায়েরা কীভাবে এই পরিণতি জাস্টিফাই করবেন। (বাধ্য হয়ে করা বা উম্মাহর খেদমতের জন্য করাটা একটা সাউন্ড জাস্টিফিকেশন। মেয়েদের চাকুরি কেমন হওয়া দরকার, সেটা নিয়ে আলাপ করবো সামনে ইনশাআল্লাহ)

আরও বহুকিছু আছে। মায়ের গন্ধ, মায়ের টাচ, মায়ের হার্টবিট, মায়ের স্বর শিশু মিস করে। এবং শিশুর ভবিষ্যত মনোজগত গঠনে এর ভূমিকা কী, তার ব্রেইনের সাইন্যাপস (কানেকশন) তৈরিতে এসবের কী রোল, তা নিয়ে আগ্রহীরা অনুসন্ধান করতে পারেন।

পরবর্তী পর্ব 
(চাকরি করলে নারীর কমনীয়তা নষ্ট হয়)

Dr. Shamsul Arefin 

Tuesday, September 19, 2023

স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না

পর্ব-১
স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না।  
আমরা চেষ্টা করব ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়াই কথাটাকে বিবেচনা করতে।

বিয়ের উদ্দেশ্য সমস্ত কালচারেই যৌনতার বৈধতা। বৈধ যৌনসম্পর্ক বিয়ের ১ নং উদ্দেশ্য। এটুকু যে অস্বীকার করে, সে আর সুস্থ অবস্থায় নেই। সুতরাং স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের ১ম কমিটমেন্ট পরস্পরের যৌনচাহিদা পূর্ণ করা এবং বাইরে না করা। আমরা দেখবো সারা দুনিয়ায় কী অবস্থা এবং এর পর কারণ নির্ধারণ করব।  
১. 
গত ১০ বছরে একাধিক স্টাডিতে এসেছে যে, সারা দুনিয়ায় যৌনমিলন হ্রাস পাচ্ছে। রিসেন্ট এক মার্কিন স্টাডি জানাচ্ছে ২০০৯-২০১৮তে সকল প্রকার (বৈধ-অবৈধ) পার্টনার-সেক্স হ্রাস পেয়েছে। [Guardian]
২. 
ব্রিটেনে বিবাহিত ও লিভ-টুগেদার কাপলদের মাঝে সেক্স কমে গেছে। রিসার্চের প্রস্তাব হল, মূলত অতিব্যস্ত জীবনযাপন এর কারণ।   
৩৪০০০ মানুষের ডেটা নেয়া হয়েছে ৩টি ধাপে। স্টাডির নাম Natsal (national surveys of sexual attitudes and lifestyles). ফলাফল এসেছে, ২০০১ থেকে ২০১২ সালে সকল বয়েসী মানুষের সেক্সের হার কমেছে, বিশেষ করে ২৫+ এবং বিবাহিত মানুষদের। [Guardian] [সমীকরণ-১]

শুধু ব্রিটেন না। অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, জাপান এবং আমেরিকাতেও একই অবস্থা। যে পরিমাণ সেক্স হচ্ছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট নন। ৫১% নারী ও ৬৪% পুরুষ জানিয়েছে তারা আরও বেশি বার করতে চায়, কিন্তু হয়নি। এটা ২০১২ সালে। ২০০১ সালে এটা ছিল ৩৯% নারী, ৫১% পুরুষ। অর্ধেকের কম নারী-পুরুষ সপ্তাহে একবার করতে পারছে। ২৯% নারী-পুরুষ জানিয়েছে, গত একমাসে তারা একবারও করেনি। পেপারটি জানাচ্ছে, ‘বয়সের রেঞ্জ ও বৈবাহিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এর ব্যাখ্যা হতে পারে, আধুনিক জীবনের স্ট্রেস ও ‘ব্যস্ততা’। কর্মস্থল, ফ্যামিলি লাইফ সব উল্টেপাল্টে (juggle) গেছে। “sandwich generation” এতো বেশি সংগ্রাম করছে যে, সেক্স করার টাইমই পাচ্ছে না’। 

আবার দেখি, সাংবাদিক লেখিকা ড. Myriam François বলছেন: সেক্স কমে যাওয়ার অর্থনৈতিক ও পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড কী? অন্য সব কারণের চেয়ে বড় কারণ যেটা সেটা হল, আধুনিক জীবন যে উদ্বেগ-টেনশন আমাদেরকে দিয়েছে, লাইফস্টাইলের যে উচ্চমূল্য, তার ফলে দৈনিক আমরা অতিশ্রমে-ধকলে (stress) এতোই পরিশ্রান্ত হয়ে ফিরি যে, সেক্সের মুড থাকে না। [iai.tv]

তাহলে কালপ্রিট পাওয়া গেল: মহাব্যস্ততা। [সমীকরণ-২] কে কী নিয়ে ব্যস্ত? পুঁজিবাদ আমাদের সময় কেড়ে নিয়েছে। আমাদের পুরো দিন, পুরো শ্রম, পুরো জীবনীশক্তি শুষে নিচ্ছে। নারী-পুরুষ উভয়েরই। এতোটুকু পর্যন্ত ঠিক আছে। এবার আসুন সাইকোবায়োলজিতে। 

এই যে ধকল (stress), পুরুষ বাই ডিফল্ট এটা নেবার জন্যই সৃষ্টি। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল এবং পুরুষের টেস্টোস্টেরোন পরস্পরের এন্টি। কর্টিসল T-কে কমায়, আবার T কমায় কর্টিসলকে। রেগুলার সেক্স T-কে বাড়ায়, পুরুষকে আরও স্ট্রেস নিতে শক্তি যোগায়। 
আর নারীতে T অতিসামান্য। পুরুষে ২৮০-১১০০ ন্যানোগ্রাম/ডেসিলিটার। নারীতে ১৫-৭০ ন্যানোগ্রাম/ ডেসিলিটার। নারী হরমোন ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরোনের মাসিক ওঠানামা বরং স্ট্রেস তৈরি করে আরও। ফলে নারীর শারীরিক প্রক্রিয়া স্ট্রেস সামলানোর কম উপযোগী। যার দরুন: 
• পুরুষের চেয়ে স্ট্রেসে থাকা একজন নারীর শারীরিক ক্ষতি বেশি হয়, মানসিক অসুখও বেশি হয়। [Stress and your health, Office on Women’s Health, U.S. Department of Health and Human Services] 
• স্ট্রেসের প্রভাবে লক্ষণগুলো নারীদের বেশি প্রকাশ পায়। কারণ, একই স্ট্রেসে নারীদের স্ট্রেস-হরমোন কর্টিসল বেশি বের হতে থাকে (Verma, 2011)
• ফলে টেনশন-জাতীয় মাথাব্যথা ও মানসিক রোগগুলো নারীদের বেশি হয়। (Hammen, 2009)
• কমবয়েসী নারীদের হার্টের সমস্যাগুলো মূলত হার্টের ওপর এই স্ট্রেসের কারণেই হয়। (Vaccarino, 2014)
• লম্বা সময় নিয়ে স্ট্রেস থেকে IBS নামক অসুখ হতে পারে। পুরুষের চেয়ে নারীদের এই রোগের হার দ্বিগুণ। (Grundmann , 2010)
• স্ট্রেসের কারণে মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নারীদের অনেক বেশি পুরুষের চেয়ে। (Michopoulos, 2016)  

তার মানে নারীকে অতিরিক্ত স্ট্রেস দিলে সমস্যা [সমীকরণ-৩]। নারীর শরীর শেষ হয়ে যাবে। অথচ নারীর এই স্ট্রেসটা কমানো যেত। কীভাবে? 
নারীদের স্ট্রেসের মূল কারণ : 
• অফিসে ও বাসায় নারীর ‘দ্বৈত ভূমিকাই’ তাদের কর্মস্থলে পুরুষের চেয়ে বেশি স্ট্রেস অনুভব করার মূল কারণ। (Prasad, 2016) 
• পুরুষের মাঝে কাজ করতে সে বেশি স্ট্রেস ফিল করে, সেখানেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে ২২,০০০ নারীর ওপর এক রিসার্চে এসেছে, যেসব নারীদের চাকুরি-কেন্দ্রিক স্ট্রেস (job-related stress) বেশি, তাদের ৪০% বেশি সম্ভাবনা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক (cardiovascular event) হওয়ার [Alexandra Sifferlin (August 25, 2015) Women in Male-Dominated Jobs Have More Stress, TIME] 
• নারী কর্মকর্তারা বেশি স্ট্রেস, উদ্‌বেগ ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন [Why Women Feel More Stress at Work (Harvard Business Review 2016)] 
• ব্রিটেনের মতো দেশেই ৭৯% নারী কর্মক্ষেত্রের স্ট্রেসে ভুগছেন, ৭৮% নারী কর্মজীবীর ঘুমে সমস্যা, মোটের ওপর ৮৭% নারী চাকুরি নিয়ে স্ট্রেসে আছেন বলে জানিয়েছেন। [Louise Chunn (Mar 26, 2019) Women Are at Breaking Point Because of Workplace Stress : Wellbeing Survey from Cigna, Forbes.com]

খুবই স্পষ্ট যে, কর্মক্ষেত্র নারীকে এই এক্সট্রা স্ট্রেসটা নিতে বাধ্য করছে [সমীকরণ-৪]। ক্ষমতায়ন, স্বাবলম্বন, নিজের পরিচয় ইত্যাদি নামে তাকে টেনে এনেছে পুরুষের সমান কর্টিসলের থাবায়, যা নিতে তার শরীর উপযোগী না। 

সমীকরণ-১,২,৩,৪ থেকে পাই, 
সারা দুনিয়ায় সেক্স কমে যাবার মূল কারণ ‘নারীর স্ট্রেস’। কারণ স্ট্রেসের লক্ষণ নারীতে প্রকাশ পায় বেশি। ক্লান্তি-অবসন্নতা-মুড অফ ইত্যাদি। পুরুষ মানুষকে সেক্সে টেনে আনা নারীর বাঁ হাতের খেল, সে পুরুষ যতই ক্লান্ত হোক। কিন্তু নারী অবসন্ন হলে তার মুড জাগানো প্রায় অসম্ভবের মত। উলটে ম্যারাইটাল রেপ-টেপের ভয় হাবিজাবি তো আছেই। 
সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে জাপানে। পশ্চিমা মডেল হুবহু প্রাচ্যে কপিপেস্ট করলে কী হয়, জাপান তার আদর্শ দৃষ্টান্ত। আত্মহত্যার হার, বিবাহিতদের মাঝে সেক্স-হীনতা (sex-free marriage), ভোগবাদিতা, কর্ম-অবসেশন।  

সুতরাং স্বামীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোনো নারী চাকুরি করলে এটারই সম্ভাবনা যে সে স্বামীকে দেবে একটা ‘সেক্স-বিহীন’ বা ‘কোয়ালিটি সেক্স-বিহীন’ দাম্পত্যজীবন। অফিস সেরে এসে হয় স্বামীর আহ্বানে সাড়া দেবার শক্তি থাকবে না। কিংবা পড়ে থাকবে তক্তার মত। কাফিররা তো পর্নে যাবে, ব্রোথেলে যাবে, গার্লফ্রেন্ডে যাবে। আর মুমিন মুসলমান না পারবে মাসনা করতে, না পারবে ভিপিএন-এ যাইতে।  

সুতরাং, যদি মেশিনের না, ‘মানুষের জীবন’ কাটাতে চান, সারাদিন স্ট্রেস নিয়ে ঘরে ফিরে আরেকটা ক্লান্ত মানুষকে দেখতে না চান, যদি চান প্রতিদিন রোমান্টিক সুখস্মৃতি যা নিমেষেই ভুলিয়ে দেবে সব ধকল, পরের দিনের জন্য দেবে প্রফুল্লতা। গৃহিণী নারীকে বিবাহ করুন, স্ত্রীকে মেন্টালি স্ট্রেস-ফ্রী ফুরফুরে রাখুন। বাইরের দুনিয়ার এতো হ্যাপা তাঁর মাথায় দেবেন না। যিনি দুপুরে ঘুমাবেন, আপনার জন্য প্রিয় খাবার রান্না করবেন। সেজেগুজে আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন। কর্মক্লান্ত খিটখিটে মেজাজ না, প্রেমাসক্ত প্রিয়বচনে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে পরের দিনের জীবনযুদ্ধের জন্য আপনাকে তৈরি করে দেবেন।
  
পুরুষের লোভ নারীকে ঠেলে দেয় এই ক্লান্ত-বিধ্বস্ত অনারী-সুলভ জীবনে। চাকুরিজীবী স্ত্রী যে ২০ হাজার কামাবে, ওটা আপনি এক্সট্রা কামান, খাটেন। নিজের নারীকে রাখেন সুখে-অবসরে। গায়রতওয়ালা মুসলিম পুরুষ এটাই করবে। আর বেগায়রত পুরুষ বৌ খাটাবে, বউয়ের কামাই খাবে।  

[অনেক বোন আছেন যাদের চাকরি না করে উপায় থাকে না। বাবাহীন, বৃদ্ধ পিতার বড় মেয়ে ইত্যাদি। তাঁদের পর্দার সাথে চাকরির অনুমতি ইসলাম দেয়। খিলাফত থাকলে সেটারও দরকার ছিল না। নেই, কী আর করা। এই পোস্ট-পিক কিছুই তাঁদের উদ্দেশ্যে না। আমাদের এইসব আলাপের উদ্দেশ্য সমাজের সামগ্রিক মাইন্ডসেট যে নারীকে চাকরি করতে হবে, সেটার বিরুদ্ধে]

চলবে ইনশাআল্লাহ 
(পরের পর্ব: সন্তানের হক আদায় হয় না)

Dr. Shamsul Arefin 


How mistakes are rectified

When my kids were very young, maybe four or five years old, I taught them this hadith: 

كلُّ بني آدم خَطَّاءٌ، وخيرُ الخَطَّائِينَ التوابون.

"Every child of Adam makes [many, repeated] mistakes, and the best of those who make constant mistakes are those who turn in constant tawba/ repentance." 

I went to great lengths to explain the meaning of this hadith. To extract the lessons from it. To give specific examples from our daily life, on their childish level so they can easily understand. 

If one of my sons hit his brother or took his toy, or if they broke something of mine, or if they made any other mistake as young children do, I'd call out the mistake, then sit them all down and have a session of talking about this hadith. 

Sometimes the child who hit his brother or broke the toy would *himself* start crying, or be stubbornly unwilling to admit his mistake, or mumble a fake apology. 

"Are you a son of Adam?" I'd ask my son. 

He would start to smile despite himself. He knows he is the son of Daniel, not Adam. So I'd narrate the story of Prophet Adam عليه السلام and how we are all his progeny. That we are a creation of Allah that is very different from الملائكة, the angels, and الجن, the jinn, and الحيوانات , the animals. We are Banu Adam. 

"So are you the son of Adam, then?" I'd ask again. 

"Yes!" my son would laugh, delighted by the idea. 

"Me too," I'd say. "And so is your brother. We all are! So...do you make mistakes?" I'd ask. 

"Yes!" my son would giggle, nodding excitedly. 

"Me too. And that's okay. It's normal to make mistakes. If we never made any mistakes, we'd be ملائكة! Angels! So this is totally normal for us. But we can't just be happy about our mistake, of course. Is there anything we have to do?" I say. 

"We have to do توبة, tawba. Repentance," they would answer, buzzing with enthusiasm at knowing the correct answer. 

"Excellent," I would confirm. "Tawba means to regret the wrong we did, then ask Allah to forgive us. We say أستغفر الله. And if we hurt another person [I would point to his brother sitting next to him], then we apologize. We work out the problem and everyone feels better, and we move on. And next time, we try to do better and apologize again for the next mistake. Mistakes will happen. It's how we address them. 

Making mistakes doesn't mean we are bad people or that we can never change. This is what this hadith teaches us."

I consider this one of the most important ahadith to teach young children. 

It lays the foundation for our relationship with Allah, our relationship with ourselves, and our relationships with others.

It gives us the roadmap, the path for redemption, the key to finding our way back after a mistake. 

Forgiveness. 

Seeking it, giving it, and receiving it. 

In some families, there is no forgiveness. 

Some people grow up in dysfunctional families where forgiveness has no place; there are only recriminations, accusations, endless blame. 

Right or wrong, the child is always wrong and must apologize to the parent. Then, after apologizing, the apology is rejected and scorned, because apologies are just empty words that mean nothing. The child learns to beg, plead, grovel, cry for a crumb of forgiveness from the unforgiving parent. 

And finally, some twisted form of "forgiveness" comes, but it is very temporary and conditional. Upon the next mistake the child makes, he gets beaten over the head again with both the newest and the old mistake. Nothing is forgotten. Nothing is forgiven. The parent is emotionally unstable and internally immature, unable to heal from his or her own wounds to be able to raise a child well. 

After years and decades of this, that child internalizes this dysfunction. He starts to truly believe that if he messes up or makes a mistake or wrongs another, he MUST punish himself severely and hate himself and never, ever forgive himself. He does not know any other blueprint.

Then the child grows into an adult. He thinks of himself as perfectly healthy, totally normal. Not realizing he has immemse baggage, mired in his inner world of endless guilt, constant self-blame, self-torture, harsh contempt, deep self-loathing. A black pit of despair masked by obsessive perfectionism. 

Then, of course, there is marriage and then children. The now-grown child is now a husband or a wife, a mother or a father. 

As soon as the spouse messes up, the old cycle is activated and the now-grown child automatically re-enacts what he had learned growing up: no forgiveness. 

He is as unforgiving as he was unforgiven.

The marriage suffers and starts to crumble under such severe conditions. Love wanes between the spouses. The "love and mercy" ( مودة ورحمة ) Allah specifically mentioned in the Quran for marriage isn't shown. 

Worse still, the children grow up starved for love, crushed under the severity and harshness of being unforgiven. They, in turn, start to learn what the parent also learned growing up: there is no forgiveness. 

You inflict the same pain on your children that your parents inflicted on you. Which your grandparents had inflicted on your parents. And so on. 

The cycle of dysfunction reverberates through the generations. 

Break this sad, unhealthy cycle. 

Teach your children about the vast forgiveness of Allah: المغفرة.

The wide mercy of Allah: الرحمة.

The willingness of Allah to turn to whomever turns to Him in repentance: التوبة.

These realities are so beautiful. So healing. So refreshing, after lifetimes of their opposites. 

Next, show your child forgiveness in action, displayed in day-to-day life. 

1. Teach your child self-awareness and acceptance of reality: we are human beings, and human beings make mistakes. Nobody is perfect. Perfection is only for Allah. We, on the other hand, are the children of Adam. Mistake-makers. Accept this. 

2. Teach your child to forgive easily, by forgiving him easily when he messes up. Be loving, generous, and kind as you forgive to show him what it looks like to forgive others. 

3. Teach your child to forgive himself when he makes a mistake or falls short. Stop him from being too hard on himself, overly agonizing over mistakes made or wrongs committed. Don't obsessively beat yourself up over a mistake. Learn and move on. 

4. Teach your child to ask the forgiveness of others when he wrongs them. Tell him he must acknowledge the wrong he did. Take responsibility without making excuses or hiding behind defensiveness. Teach him that to apologize to someone when we're wrong doesn't lessen our status or weaken our position. 

5. Teach your child to forgive others who wrong him, not necessarily for their sake, but more for his own. Forgiving others frees us from the burden of blame and hate. If someone makes an honest mistake or wrongs us inadvertently, we forgive him easily and generously, and resume our friendship / relationship. And if someone wrongs us deliberately or egregiously, we can still forgive them without necessarily forgetting the issue or falling for it again. A Muslim is intelligent and wise. 

6. Teach your child to ask for Allah's forgiveness when he makes a mistake or commits a sin. Teach him the basics: don't advertise your sin if Allah has shielded you. Ask Allah privately for mercy and forgiveness. Don't give up or stop making du`a. Don't ever lose hope. As long as you are still breathing and as long as the sun is still rising from the east, Allah's mercy and forgiveness are available. Allah forgives all sins. No sin is "too big" or "too bad" to be forgiven by Allah. Shaytan wants you to think this way, so don't listen. 

Children need to be taught these principles. These principles will govern their relationships with other people, with themselves, and with their Creator. 

May Allah grant us His forgiveness and mercy, ameen.


- Umm Khalid 

Saturday, September 16, 2023

কুরআনি আদব ও শিষ্টাচার-৫

 

কুরআনি আদব ও শিষ্টাচার-৫
পরিবারকর্তার কর্তব্য
-
পুরুষ পরিবারের কর্তা। এটা কুরআন কারীমের বিখ্যাত মূলনীতি। এই মূলনীতি নিয়ে কারো কারো অস্বস্তি আছে। নারীবাদ আক্রান্তরা এই আয়াতকে নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করতে চান।
اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوْنَ عَلَی النِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ اللهُ بَعْضَهُمْ عَلٰی بَعْضٍ وَّبِمَاۤ اَنْفَقُوْا مِنْ اَمْوَالِهِمْ ؕ فَالصّٰلِحٰتُ قٰنِتٰتٌ حٰفِظٰتٌ لِّلْغَیْبِ بِمَا حَفِظَ اللهُ ؕ وَالّٰتِیْ تَخَافُوْنَ نُشُوْزَهُنَّ فَعِظُوْهُنَّ وَاهْجُرُوْهُنَّ فِی الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوْهُنَّ ۚ فَاِنْ اَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوْا عَلَیْهِنَّ سَبِیْلًا ؕ اِنَّ اللهَ کَانَ عَلِیًّا کَبِیْرًا ﴿۳۴﴾
পুরুষ নারীদের অভিভাবক, যেহেতু আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু পুরুষগণ নিজেদের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে। সুতরাং সাধ্বী স্ত্রীগণ অনুগত হয়ে থাকে, পুরুষের অনুপস্থিতিতে আল্লাহ প্রদত্ত হিফাজতে (তার অধিকারসমূহ) সংরক্ষণ করে। আর যে সকল স্ত্রীর ব্যাপারে তোমরা অবাধ্যতার আশংকা কর, (প্রথমে) তাদেরকে বুঝাও এবং (তাতে কাজ না হলে) তাদেরকে শয়ন শয্যায় একা ছেড়ে দাও এবং (তাতেও সংশোধন না হলে) তাদেরকে প্রহার করতে পার। অতঃপর তারা যদি তোমাদের আনুগত্য করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের পথ খুঁজো না। নিশ্চিত জেন, আল্লাহ সকলের উপর, সকলের বড় (নিসা: ৩৪)।
আদব: আল্লাহ তাআলা (وَالّٰتِیْ تَخَافُوْنَ نُشُوْزَهُنَّ) বলেছেন। অর্থাৎ যেসব স্ত্রীর ব্যাপারে অবাধ্যতার আশংকা করো। আল্লাহ তাআলা কথাটা এভাবে বলেননি (واللاتي ينشُزْن) যারা অবাধ্যতা করে। এ থেকে বোঝা যায়, ‘অভিভাবক (قَوّٰم) পুরুষের দায়িত্ব তার যিম্মাদারিতে থাকা নারীদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। অভিভাবক পুরুষ আহলে বাইত মনে তার ঘরে থাকা মানুষের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। কারো মধ্যে বিচ্যুতির সম্ভাবনা দেখলে, তাকে উপদেশ-নসিহত করে সংশোধন করবেন। সতর্ক দৃষ্টি রাখার মানে গোয়েন্দাগিরি নয়। মোটাদাগে খেয়াল রাখবেন, পরিবারের কে কী করছে। কে নামাজ পড়ছে, কে পড়ছে না। কে মোবাইলের অপব্যবহার করছে, কে করছে না। কে চলাফেরায়, কথাবার্তায় ভদ্রতা বজায় রাখছে, কে রাখছে না। কে সৎসঙ্গে থাকছে আর কে বদসঙ্গের পাল্লায় পড়ে গেছে।
বসিরা: কুরআনের বক্তব্যভঙ্গি থেকে বোঝা যায়, অভিভাবক তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ পুরোপুরি বিচ্যুত হওয়ার অপেক্ষা না করে, বিচ্যুতির পূর্বাভাস দেখার সাথে সাথেই সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। একটু খেয়াল রাখলেই বোঝা যায়, কার চালচলনে পরিবর্তন এসেছে, কার ওঠাবসায় ভিন্নতা এসেছে। অভিভাবক সচেতন থাকলে, আহলে বাইত বিচ্যুত হওয়ার আশংকা থাকে না বললেই চলে। সবার আগে অভিভাবকের চলাফেরাও ঠিক থাকা জরুরী।

আইনি সংসার!

'স্ত্রী শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করে না!'
এই অযুহাতে তালাক দিতে চাওয়াকে
 কী দৃষ্টিতে দেখেন? 🤔


..
সাংসারিক সম্পর্কের রুপরেখা কখনো আইনি অধিকারের মাধ্যমে সুন্দর করা যায়না। সংসার সুন্দর হয় স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক ত্যাগ ও পরস্পরের পরিবারের প্রতি ইহসানের দ্বারা। এখানে যদি কোন এক পক্ষ বা উভয় পক্ষ শুধুমাত্র আইনগত আবশ্যকীয় বিষয়াবলী পালন করে ক্ষ্যান্ত হয় তাহলে সংসার জাহান্নাম হতে খুব বেশি সময় লাগবেনা। উভয়ের উচিত পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সংসারকে সুসজ্জিত করা। স্বামী কর্তৃক সাধ্যের বাইরে অস্বাভাবিক পরিমাণ কাজকর্ম ও দায়িত্ব স্ত্রীর উপরে চাপিয়ে দেয়া কিংবা স্ত্রী কর্তৃক রাজরানী সুলভ আচরণ ও সাংসারিক ব্যস্ততা থেকে যথাসাধ্য পালিয়ে বেড়ানো সংসার ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। মোটকথা উভয়কেই উভয়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগী, পরিশ্রমী, অনুগ্রহশীল, আন্তরিক হতে হবে। তাহলেই সংসার সুন্দর হবে।

স্ত্রীর মূল দায়িত্ব হচ্ছে সাধ্যের মাঝে সর্বোচ্চ এফোর্ট দিয়ে সংসারটাকে সুখী, সুন্দর করা। যদি স্বামীর বাবা মা কাছে থাকেন বা বেড়াতে আসেন সেক্ষেত্রে নিজের স্বামীর সেবা করার পাশাপাশি যথাসাধ্য শশুর শাশুড়ীর সেবা করাও তার নৈতিক দায়িত্ব। স্ত্রীর এই সেবাটুকু স্বামী ও স্বামীর পরিবারের প্রতি স্ত্রীর ইহসান। যেমনিভাবে স্ত্রীর জন্য সাধ্যানুসারে সর্বোচ্চ সুবিধা ও সমৃদ্ধ জীবনের ব্যাবস্থা করাটা স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর উপরে ইহসান। স্বামী যদি মনে করে যে, সে তার স্ত্রীকে মাস শেষে শুধু কোনরকমে বেঁচে থাকতে যতটুকু টাকা পয়সা লাগে (অর্থাৎ মৌলিক প্রয়োজন পূরন করতে যতটুকু লাগে) ততটুকু দিবে, আর কোন যত্ন নিবেনা, মেন্টাল সাপোর্ট দিবেনা; তাহলে সে আইনগতভাবে দোষী হবেনা। এমনকি স্ত্রীর বাবা মা তথা শশুর শাশুড়ী আসলে সে যদি নূন্যতম আপ্যায়ন না করে বা স্ত্রীকে বাবার বাড়ি যাওয়ার অনুমতি না দেয় তাহলেও সে আইনগতভাবে দোষী হবেনা। কিন্ত বাস্তবে তার সংসার শ্মশান হয়ে যাবে। এমন লোকের ঘর কোন মেয়েই করতে চাইবেনা। ঠিক তেমনিভাবে যে স্ত্রী স্বামী ও স্বামীর পরিবারের যত্নকে নিজের অন্যতম ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেনা এবং সাধ্যানুসারে সাংসারিক কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেনা তেমন নারীকে নিয়ে সংসার করতেও ছেলেরা ইতস্তত বোধ করে। তাই এ ধরণের দায়িত্ব পালনের বিষয়টা উভয়ে মিউচুয়ালি সমাধান করা উচিত। পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে দুজনের অবস্থা, সামর্থ্য অনুসারে দায়িত্ব ভাগ করা উচিত। এবং এ ধরণের ক্ষেত্রগুলোতে যদি একজন অপরজনের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার সামান্য ঘাটতি অনুভব করে তখনই মূলত শুরু হয় অশান্তি। তাই এ ধরণের সিচুয়েশনে পড়া সকল বোনেরা সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। স্বামীকে বুঝান যে, আপনি তো শশুর শাশুড়ীর জন্য সর্বোচ্চ করছেন। তবে সামর্থ্যের কমতির কারনে হয়তো পুরোটা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি যেন এতে মন খারাপ না করেন। দেখবেন, দুজনের সম্পর্ক দ্রুতই সুন্দর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা ও আন্তরিকতার পরেও যদি দেখেন যে মাসের পর মাস তারা অভিযোগ করেই যাচ্ছে তখন পরিবারের মুরুব্বীদের মাধ্যমে সালিশ সমঝোতা করবেন। 

আর স্বামীদের উচিত না পান থেকে চুন খসলেই তালাকের কথা তোলা। এটা ছোট মনের পরিচায়ক। আল্লাহ তায়ালা ছেলেদেরকে তালাকের অধিকার দিয়েছেন বলে একে যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবহার করা কিংবা এটাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে স্ত্রীর উপরে সাধ্যের বাইরে কাজ চাপিয়ে দেয়াটা চারিত্রিক নীচতার বহিঃপ্রকাশ। আল্লাহ পাক এমন অযাচিত, অসুন্দর ও অগ্রহনযোগ্য আচরণ থেকে সবাইকে রক্ষা করুন। 
সকলের সংসারকে আল্লাহ তায়ালা সুখময় করুন।

- মুফতি আফফান বিন শরফুদ্দিন হাফি.

দুর্দশা

বলেছিলাম যে আরবী নাম থাকলেই সে মুসলিম - এইটা ভাবার সুযোগ এখন নাই। এটার প্রমাণ ছবিটা। কবিরা গুনাহ কে যে কবিরা গুনাহ স্বীকার করে না, তার ঈমান থাকে না। কারণ, সে আল্লাহর বিধানকে কিছুই মনে করে না! তোয়াক্কা করে না!
এজন্য ঈমান ভঙ্গের কারণ খুব ভালো করে শেখা জরুরি।
মূল লিখা Omar Bin Mahtab ভাইয়ের

ভালো-খারাপ সাবজেক্টিভ আলোচনার বিষয়, আমি অবজেক্টিভলি বলব আপনি বিয়ে করার অযোগ্য। আপনাকে নিয়ে হয়তো কিছুদিন মজা করা যেতে পারে, ফ্লিঙ্গিং বা লিভটুগেদার- সব কিছুই কিন্তু বিয়ে না।  

বিয়ে একটা ট্র্যাডিশনাল বিষয়, এখানে ট্র্যাডিশনাল রুলস আর কাস্টমস আছে, ধর্মীয় বিধি-নিষেধ আছে। আপনি যেহেতু লিবারেল, ট্র্যাডিশনাল ধর্মীয় নিয়মের ধার ধারেন না তাহলে আপনার বিয়ের দরকারটাই কি? বন্ধু হিসেবে একসাথে থাকেন। প্রাইম সময়ের মজা নেন, তারপর যখন Expired হয়ে যাবেন, তখন না হয় একটা বিড়াল বা কুত্তা পুষলেন আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সমস্যা নিয়ে গবেষণা করলেন।  

ওইটা আপনি করবেন না আমরা জানি, কারণ আপনারো মনের গভীরে একদিন এক্সপায়ার্ড হবার ভয় আছে। আপনারো "ভালো মেয়ে" হবার সামাজিক স্বীকৃতিটা লাগবে, যাতে ভালো প্রোফাইলের একটা ছেলেকে socio-religious প্রথার সুবিধা নিয়ে সারাজীবনের জন্য লক ডাউন করে ফেলতে পারেন। 

সম্মতি নিয়ে সেলিব্রিটির কোলে উঠুন, শুয়ে পড়ুন এটাতে সমস্যা না। সারাজীবন যেসব নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছেন, হিপোক্রিটের মত শেষ-মেষ ওটার আশ্রয় নিয়ে বিয়ে করবেন কেন? 

মনে রাখবেন আপনি একজন স্ট্রং ইন্ডেপেন্ডেন্ট ওম্যান, সমাজ কি বলল সেটাতে আপনার যায় আসে না। আপনি লিবারেল হিপ্পিদের মত আজীবন ক্যাজুয়াল রিলেশনে থাকুন, জনগণের সম্পত্তি হয়ে যান।

[নোটঃ খালি স্লাট শেইমিং একদিন উঠায় দেন সমাজ থেকে, তারপর দেখেন কয়টা ভালো মেয়ে খুজে পাওয়া যায়, সেলিব্রেটির সম্মতি নিয়ে এদের বডি ফ্লুইড গ্রহণ করাও এদের কাছে অশ্লীল হবে না]


Friday, September 15, 2023

পাত্রপাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম

পাত্রপাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম দ্বীনকে প্রাধান্য দিতে বলেছে। দ্বীনের ভিতর আখলাকও অন্তর্ভুক্ত। আমাদের আখলাক দ্বীন থেকে বহির্ভূত কিছু নয়। বিশুদ্ধ আখলাকের উৎসই হল দ্বীনে ইসলাম। 

তারপরেও বিবাহের পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বীনের পর যেসব জিনিসকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে, সেখানে আখলাকের কথা এসেছে। যেমন এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের নিকট কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের যদি পছন্দ হয়, তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথা জমিনে বড় বিপদ দেখা দেবে এবং সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। ( সুনানে তিরমিযি)

দেখুন এই হাদিসে আখলাক দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও সেটাকে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ যেকোন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এবং বিশেষভাবে দাম্পত্য জীবনে আখলাকের গুরুত্ব অপরিসীম। এর উপরই সম্পর্কের অনেক কিছু নির্ভর করে। দাম্পত্য সম্পর্কের শান্তি, স্বাদ, স্থায়িত্ব ইত্যাদি আখলাকের মাধ্যমেই গড়ে উঠে, সৌন্দর্য আর অঢেল সম্পদের মাধ্যমে নয়। 

আবার আখলাক বা চরিত্রের বিষয়টিও একটু বুঝা দরকার। আমরা চরিত্র ভাল বলতে বর্তমানে এমনটা বুঝি যে, ছেলেটার কোন মেয়ের সাথে খারাপ সম্পর্ক নেই, নেশাপানি করে না। আবার মেয়ের ক্ষেত্রে বুঝি, তার কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক নেই, অশ্লিল ও বেপর্দা চলা ফেরা করে না। ব্যস এতটুকুই। কিন্তু আখলাক কেবল এতটুকুর ভিতর সীমাবদ্ধ না। 

মানুষটির ভিতর রাগের মাত্রা ও ধরণ কেমন, তার মুখের ভাষা কেমন, তার আচরণ কতটা ভদ্রতাসূচক ও সম্মানজনক, আত্মীয়তা ও মানুষের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার আচরণ কতটা সম্পর্কমুখী, জীবনের বিচিত্র পরিস্থিতিগুলোতে তার ভূমিকা বা অবস্থান কতটা ইতিবাচক এসবও আখলাকের অন্তর্ভূক্ত। 

আবার দ্বীনদারিতাও কেবল নামাজ রোজা, দাড়ি, টুপি, বোরকা, নিকাবের এসবের মাঝে সীমাবদ্ধ না। এগুলো দ্বীনদারিতার অন্যতম একটা স্টেইজ। তবে ব্যক্তির চিন্তাচেতনা, চরিত্র, আচার ব্যবহারের সবকিছুই দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত। 

ফলে পাত্রপাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যখন দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে, তখন দ্বীনদারিতার অংশ হিসেবে আখলাক ও চিন্তাচেতনাকেও গুরুত্বের সাথে নিতে বলা হয়েছে। বিশেষত যখন দ্বীনদারিতার কথা উল্লেখের পরও বিশেষভাবে আখলাকের কথা কিছু বর্ণনায় এসেছে, তখন বুঝতে হবে এর বিশেষ গুরুত্ব আছে। 

এজন্য নিজেকে একজন উত্তম পাত্রপাত্রী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং নিজের জন্য ভাল পাত্রপাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাহ্যিক দ্বীনদারিতার পাশাপাশি আখলাক বা চরিত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া জরুরী। কারণ কেবল বাহ্যিক দ্বীনদারিতা সাংসারিক জীবনে সুখ আনতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। আখলাকের দ্বীনদারিতাই এই জীবনে শান্তি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।

- ইফতেখার সিফাত

Monday, September 11, 2023

বাঙালি কিছু হইলেই আগে বউকে তালাক দেয়! কাপুরুষ!

কাল রাতে আমার আর আমার স্বামীর মাঝে কিছু কথা কাটাকাটি হয় এরপর সে রাগের মাথায় আমাকে বলে ১ তালাক ২ তালাক ৩ তালাক
কিন্ত এখন শে চাচ্ছে না আমরা আলাদা হয়,,,,,এখন আমরা কি করবো??
কেউ সঠিক পরামর্শ দিবেন।
এডমিন প্লিজ এপ্রুভ


و عليكم السلام ورحمة الله وبركاته. 

উল্লিখিত বিবরণ অনুসারে ইসলামী আইনের আলোকে তিন তালাক কার্যকর হয়েছে এবং চূড়ান্তভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। 
আপনার স্বামী এখন আপনার জন্য বেগানা পুরুষ। তার সাথে দেখা-সাক্ষাত, কথা-বার্তা সবকিছু না জায়েজ। 

আগামী তিন হায়েজ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত আপনার ইদ্দত। ইদ্দত শেষে চাইলে অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবেন। কিন্ত সাবেক স্বামীর সাথে নতুনভাবে বিয়ে ও সংসার করার কোন সুযোগ নেই। 
উল্লেখ্য, চলমান এই ইদ্দত শেষে নতুন বিয়ের পরে কোন কারনে যদি সেই স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয় তাহলে আবার নতুন ইদ্দত পালন করতে হবে। এবং সেই ইদ্দত শেষ হওয়ার পরে ইচ্ছে করলে প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন।

আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য উত্তম জীবনসঙ্গী ও শান্তি, সম্মান এবং বরকতময় ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করুন। 

- মুফতি আফফান বিন শরফুদ্দিন (হাফি.)

Sunday, September 10, 2023

Mom what wrong I do being your child?

I had a conversation with a school-bus driver that broke my heart. 

The bus driver, an older mom with grown children, told me that one of the hardest parts of the job is when, at the beginning of each school year, she witnesses the same heartbreaking scene playing out every year: 

The yellow school bus reaches one of its scheduled stops in the morning. 

A mother takes her 3-year-old or 4-year-old child by the hand and tries to urge him or her up the steps leading up into the bus. This child has never gone to school before, has never gone anywhere without a parent. 

The child refuses and shakes his head vehemently, backing away. 

The mother insists, climbing into the bus herself, pulling the child in with her. 

She finds a seat inside, sitting next to the child, trying to explain that he must leave Mama now and go off to school like big boy. He blinks up at her and starts crying, first quietly then hysterically. 

The mother tries to console and comfort the child, promising all sorts of treats and bribes after school, but the child can't think that far ahead yet. The child is still trapped in the right-now nightmare of feeling like, at the ripe age of 3 or 4, he must be forcibly removed from his mother for reasons he cannot comprehend. 

Cars form long lines on both sides of the street, because when the school bus makes a stop in suburban neighborhoods, a brightly-blinking Stop sign on the side of the bus instructs all cars to stop and wait. Some people begin honking their car horns, impatient to get to work in the morning, getting late. 

"Ma'am, we have to go now," the bus driver is forced to say to the mother holding up the bus holding up traffic. 

"I have to go," the mother says to the child, frantically. "You be good now, and go to school."

The child clings even tighter to the mother, crying even louder. 

The mother eventually extricates herself from the clinging arms of her frantic child, who is now wailing uncontrollably, watching Mama walk away and off the bus. 

The driver told me that these young children keep crying and wailing and calling for their mothers, long after the mother leaves and the bus pulls away from the curb. The children often cry the entire bus route, all the way to the school. These children are so young that they still take afternoon naps, bringing a special bag stuffed with their pillow and blanket with them to nap at school. 

The same depressing drama unfolds itself at daycare drop-off times across America, at pre-schools, nurseries, anywhere where babies, toddlers, and young children are institutionalized.

What effect does this traumatic event have on the psyche of the child?

What effect does this separation have on the mother-child bond? 

It boggles my mind how many modern mothers needlessly leave their home and children to voluntarily go to work at an outside job (to "find herself" or "fulfill her potential" or "contribute to society" or so she doesn't "have to depend on her husband" or to be "a strong independent woman"), knowing what we know about how much the first ten years of life permanently impact our life and shape our personality and mold our character. 

Why? Is whatever you left your child for worth it?

We can trace the way we are as adults to the way we were raised as children. If our mother was absent, if our father was angry, if our parents were preoccupied or neglectful, this will directly mold our thoughts, behaviors, beliefs about ourselves and the world. 

To grow up happy, healthy, balanced, and grounded, children NEED present, attentive, loving parents--mother and father both. 

But the father, by necessity, must work to financially secure life for the family. This is his role as husband and father.

If the mother doesn't *need* to work out of necessity, why is it ever a good idea for her to leave her home and children daily for 8 or 9 hours for literally ANYTHING ELSE?

How have we normalized this dysfunctional pattern in modern society?

If the mother needs a break from the kids, this is normal, but she doesn't need a full-time corporate job to get a break. 

But if she prioritizes a job over children due simply to materialism, individualism, feminism, escapism, hedonism, colonized mentality and western secularism, this is a tragedy. 

The child pays the price for the mother's "dreams and goals." 

And then the family pays the price.

And then society pays the price.


- Umm Khalid 



Saturday, September 9, 2023

ডিপ্রেশন ও স্ট্রেস ইনটলারেন্স থেকে বাড়ছে আত্মহত্যা।


ডিপ্রেশন ও স্ট্রেস ইনটলারেন্স থেকে বাড়ছে আত্মহত্যা।

প্রতিটা আত্মহত্যার পর আমরা তার কারন অনুসন্ধান করি, কিন্তু আমরা জানি না, ডিপ্রেশনের কিছু অতি বড় কারন লুকিয়ে আছে আমাদের জীবনধারার ভেতরেই।

নিচের কারনগুলি খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, কেন এখন মানুষ আগের চেয়ে বেশি ডিপ্রেশনে থাকে এবং দিনকে দিন কেন মানুষের স্ট্রেস টলারেন্স কমছে।

১)মানুষ এখন আর সামাজিক জীব না। মানুষের এখন কোন দল থাকে না। একজনের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ার মত দশজন মানুষ এখন আর নেই। মানুষ এখন মূলত ভোক্তা ও নাগরিক। এটা মানুষকে অটোম্যাটিক্যালি ক্রনিক স্ট্রেসে ঠেলে দেয়, কারন দলবদ্ধভাবে বাস করাই মানুষের স্বভাব।
২)রোদ ও অন্ধকারের স্বাভাবিক চক্র এখন মানুষের জন্য অপ্রতুল। মানুষ দিনে অন্ধকারে থাকে এবং রাতে থাকে আলোয়, অথবা দিন-রাত সবসময়ই আলোতে থাকে। রাতে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা মানেও প্র‍্যাক্টিক্যালি আলোতেই থাকা। রাতের সময়টা স্ট্রেস হরমোনকে আমরা পুল ডাউন করছি না, ফলে সমস্ত এন্টাই ইনফ্ল্যামাটরি মলিকিউল তৈরি কম হচ্ছে, ড্যামেজ রিপেয়ারমেন্ট বন্ধ থাকছে বা আশানুরুপ আকারে হচ্ছে না। সারাক্ষন অক্সিডেশান চলছে, রিডাকশান চলছে না।

৩)অতিরিক্ত ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড খাওয়া হচ্ছে সারাজীবন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কোষে ওমেগা-৬ আর ওমেগা-৩ এর ভারসাম্য। অতিরিক্ত ওমেগা-৬ ফ্যাট আমাদের সেলুলার রিজিডিটি বাড়ায়, স্টিকিনেস বাড়ায়। ব্রেইন ফগ, আন্ডারপারফর্মিং ব্রেইন, স্পষ্টভাবে চিন্তা না করতে পারা, একই চিন্তা বারবার করা, এধরনের সমস্যার অন্যতম কারন হিসেবে ওমেগা-৬ টক্সিসিটিকে উল্লেখ করা হয়।

৪)সুগার বা রিফাইন্ড স্টার্চ ডিপেন্ডেন্সি-এটা অন্যতম একটা বড় কারন যার ফলে মানুষের ব্রেইন রিওয়ার্ড ডিপেন্ডেন্ট হয়ে গেছে। ফুড থেকে রিওয়ার্ড পেয়ে অভ্যস্ত মানুষ প্রতিটা কাজ থেকেই রিওয়ার্ড আশা করে। রিওয়ার্ড না পেলেই হতাশ হয়ে যায়।

৫)ক্রনিক্যালি হাই ডোপামিন-লো সেরোটোনিনঃ সোশ্যাল মিডিয়া স্টিমুলেশনের কারনে আমাদের ডোপামিন লেভেল সারাক্ষনই হাই থাকে, যা আমাদের ইমপালসিভ করে এবং আমাদের ইচ্ছাশক্তিকে কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি, সেরোটোনিনের অভাব বাড়ায় বিষন্নতা-হতাশা এবং আত্মঘাতী আচরন। 

৬)ক্রনিক ওভারওয়ার্কঃ ইতিহাসের যেকোন সময়ের চেয়ে মানুষ বেশি কাজ করে এখন। দিনে গড়ে ৯-১২ ঘন্টা, যেখানে ঐতিহাসিকভাবে মানুষের কাজের পরিমান ছিল দিনে গড়ে ৩.৫-৫.৫ ঘন্টা।

৭)ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সিঃ আমাদের জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ, প্রায় ৭০% ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্ট এবং আনুমানিক ৩৫-৮৫% ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্ট(ভিন্ন ভিন্ন গবেষনায় ভিন্ন ভিন্ন ফাইন্ডিংস এসেছে প্যারামিটার এবং স্যাম্পল আলাদা হবার কারনে)। ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি আমাদেরকে বিষণ্ণ করে, কর্মক্ষমতা ও ইচ্ছাশক্তি নষ্ট করে, আমাদের প্রজননক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। পক্ষান্তরে, ম্যাগনেসিয়ামের অভাব আমাদের মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি, ফোকাসিং পাওয়ার এবং বুদ্ধিমত্তাকে দুর্বল করে দেয়, দুর্বল করে হৃদপিন্ড, হাড় ও ফুসফুসকেও। বিশ্বব্যাপী এংজাইটি-প্যানিক ডিজর্ডারের অন্যতম শক্তিশালী কো ফ্যাক্টর হিসেবে ম্যাগনেসিয়াম কাজ করে। আমাদের এনার্জি কয়েন এটিপি, লার্নিং নিউরোট্রান্সমিটার NMDA এবং BDNF উৎপাদনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। 

৮)সেলুলার লেভেল ভিটামিন সি ডেফিসিয়েন্সিঃ এতে অবাক হওয়ার কোন কারনই নাই যে আমাদের ওভারস্ট্রেসড, ওভারওয়ার্কড পপুলেশন যারা আসলে সারাবছরই দুষন আর ইনফ্ল্যামেশনের ভেতর থাকে, তারা স্বাভাবিকভাবেই কোষে ভিটামিন সি'র অভাবে ভুগবে। ভিটামিন সি সমস্ত প্রানীর স্ট্রেস রেস্পন্স মেকানিজমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং ডোপামিন থেকে সেরোটোনিন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটা অবিচ্ছেদ্য কোফ্যাক্টর। আপনি ভিটামিন সি ডেফিসিয়েন্ট মানে আপনার ইচ্ছাশক্তি বা কাজের উদ্দীপনা হয়তো থাকবে কিন্তু স্বাভাবিক প্রশান্তি ও মাইন্ডফুলনেস থাকবে না। আমাদের ব্রেইন-হার্ট-এড্রেনাল কর্টেক্স আর চোখে সারা শরীরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি কনসেন্ট্রেশান থাকে। ভিটামিন সি ব্রেইনের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ যে স্ট্রেসে পড়লে আমাদের শরীর সব জায়গা থেকে ভিটামিন সি খরচ করে কিন্তু ব্রেইনের ভিটামিন সি ধরে রাখে।
আমাদের রক্তনালী যে কোলাজেন দিয়ে তৈরি তাও গঠন করতে ভিটামিন সি লাগে, আমাদের নার্ভ সেলের মায়োলিন শিথ ফরমেশন ঠিক রাখতেও ভিটামিন সি লাগে।

মেন্টাল হেলথের ওপর নিউট্রিয়েন্টের ভুমিকা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লেকচার দিলেও শেষ করা যাবে না।

আমরা আত্মহত্যা, ডিপ্রেশন, এংজাইটি ডিজর্ডারের বাহ্যিক কারন খুজে মরি, কিন্তু অনেক সময়েই শরীরের ভেতরে বসে থাকে আমাদের আযরাঈল, নিউট্রিয়েন্ট ডেফিসিয়েন্সি।


- Muhammad Sajal 


Thursday, September 7, 2023

পুরুষের হাত পায়ে মেহেদি লাগানো নাজায়েয

পুরুষের হাত পায়ে মেহেদি লাগানো নাজায়েয।
এমনিভাবে নাবালেগ ছেলের হাত পায়ে মেহেদি লাগানোও নিষেধ। 

[খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৩, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/১০৯]

কারণ মেহেদি এক ধরনের রং। আর শরিয়ত অনুযায়ী পুরুষের জন্য রং ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। হজরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, পুরুষের সুগন্ধি এমন হবে, যার ঘ্রাণ প্রকাশ পায় এবং রং গোপন থাকে।

আর নারীর সুগন্ধি এমন হবে, যার রং প্রকাশ পায় কিন্তু ঘ্রাণ গোপন থাকে। [সুনানে তিরমিজি, হাদিস ২৭৮৭]

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, পুরুষ সাজসজ্জার জন্য রং ব্যবহার করতে পারবে না। আরো একাধিক হাদিসে অঙ্গসজ্জার জন্য পুরুষকে রং ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে পুরুষ চুল ও দাঁড়িতে মেহেদি ব্যবহার করতে পারবে।

Wednesday, September 6, 2023

মানুষ তিন প্রকার: উমার ইবনুল খাত্তাব

মানুষ তিন প্রকার: উমার ইবনুল খাত্তাব
.
উমার (রাদ্বি.) বলেন, “নারী-পুরুষের মধ্যে তিনটা প্রকার আছে। প্রথম প্রকারের নারীরা হলো পবিত্র, মুসলিম, ভদ্র স্বভাবের, প্রেমাময়ী এবং সন্তান প্রতিপালনে উৎসাহী। কঠিন সময়ে সে তার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, বিপদ বাড়িয়ে দেয় না। খুঁজতে গেলে তুমি খুব কমই এমন নারী পাবে। দ্বিতীয় প্রকারের নারীরা হলো পাত্রের মতো। সে সন্তান জন্ম দেওয়া পর্যন্তই, এছাড়া কিছু পারে না। তৃতীয় প্রকারের নারীরা হলো শিকলের মতো। আল্লাহ যার গলায় চান তার গলায় এই শিকল পরিয়ে দেন, আবার যাকে চান খুলে নেন। 
.
পুরুষদের তিন প্রকারের মধ্যে প্রথম প্রকারের পুরুষরা হলো পবিত্র, সহজ স্বভাবের, ভদ্র, দূরদর্শী, পরামর্শ গ্রহণ করে। তারা যখন কোনো সমস্যায় পড়ে, নিজেদের দূরদর্শিতা কাজে লাগায় এবং করণীয় কাজটাই করে। দ্বিতীয় প্রকারের পুরুষদের মধ্যে দূরদর্শিতা নেই। সমস্যায় পড়লে তারা অন্যদের দুয়ারে যায়, যাদের কিনা আবার দূরদর্শীতা আছে, পরামর্শ দিতে পারে। তারা এমন মানুষদের মতামত অনুযায়ী চলে। তৃতীয় প্রকারের পুরুষরা হলো উলটপালট স্বভাবের, বিভ্রান্ত, লক্ষ্যহীন; না কারও সদুপদেশ শুনে, না কারও সদুপদেশ মানে।”
.
(শুয়াবুল ঈমান, ইমাম বাইহাকী, ৭১৩১)