Saturday, December 31, 2011

।। থাবা ।। [ Ghost Stories - 01]




অনেকদিন আগে বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার দেহেরগতি নামে ছোট একটি গাঁয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এক দানব। দানবটাকে কেউ দেখেনি। শুধু তার অস্তিত্বের প্রমাণ ছিল নির্মম শিকারের বলি হওয়া গ্রামবাসী।

একইভাবে খুন হয়ে যেত সবাই- প্রত্যেকের ঘাড়ে থাবার চিহ্ন। দানব দশটা নখ বসিয়ে দিতো শিকারের ঘাড়ে। শুরুতে মানুষ নয়, ছোটখাট প্রাণী দানবটির শিকার হচ্ছিল। একদিন সকালে এক কৃষক ঘুম থেকে উঠে দেখে তার তিনটা ছাগল রক্তাক্ত অবস্থায় মরে পড়ে রয়েছে। এরপরে গাঁয়ের তিনটে পোষা কুকুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সবার ঘাড়ে অদ্ভুত থাবার চিহ্ন।

গুজব ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। প্রাণীগুলোর অন্তিমদশার কথা জানে সবাই। কিন্তু কেউ বলতে পারে না কীভাবে মারা গেল জানোয়ারগুলো। একটি বাছুরও রক্তক্ষরণে মারা গেল। নিরীহ প্রাণীটির ঘাড়ে শিরা টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে দশ আঙুলে। ঘাড়ে দশটি ধারাল নখের চিহ্ন। এরপর সাবধান হয়ে গেল গ্রামবাসী। বিছানার পাশে দা-কুড়াল-খন্তা রেখে তারা ঘুমাতে লাগল। গোয়াল ঘরে তালা মেরে রাখা হলো পোষা জন্তুদের।
গোটা গাঁয়ে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। নানানজনে নানান গল্প বানাতে লাগলো। একে অন্যের দিকে তারা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়।

এরপরে ঘটল সেই ঘটনা-যে ভয়টা এতদিন সবাইকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। দানব হামলা চালালো মানুষের ওপর। আক্রমণের শিকার হলো মাতাল জমির উদ্দিন। একদিন সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল তাকে। ঘাড়ে দশটা নখ বসানো চিহ্ন। গর্ত হয়ে আছে। কুকুর, ছাগল এবং বাছুরের মত একই পরিণতি হয়েছে তার। প্রবল রক্তক্ষরণে মারা গেছে। তিন কুলে যার কেউ নেই সেই ভবঘুরে জমির উদ্দিনের মৃত্যুতে গাঁয়ের মানুষ শোক প্রকাশ করলো না, তবে ভয়ে কলজে শুকিয়ে গেল সবার। কারণ সবাই জেনে গেছে মানুষ শিকারেও অরুচি নেই দানবের। যে কেউ তার শিকার হতে পারে।

ভীত-সন্ত্রস্ত গ্রামবাসী এবারে গড়ে তুললো একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। তারা রাতের বেলা পালা করে গ্রাম পাহারা দেবে। তবে মুশকিল হলো কেউ জানে না কীসের বিরুদ্ধে তারা লড়াই করছে। লিটু আর টিটু নামে দুই ভাইকে করা হলো সেচ্ছাসেবী দলের নেতা। এরা গাঁয়ের সবচেয়ে সাহসী দুই তরুণ। একমাত্র এদের বাড়িতেই দুটি বন্দুক আছে। বন্দুক দিয়ে তারা মাঝে মাঝে গাঁয়ের পাশের জঙ্গলে শিকার করে। আর এদের বাড়ি জঙ্গলের ধারেই। এবং লোকের ধারণা দানবটা জঙ্গলেই আস্তানা গেড়েছে। ওদের বাছুরটাকেই মেরে ফেলেছে দানব।

সেচ্ছাসেবী দল গঠন হওয়ার পরে লিটু-টিটু বাড়ি গেল কীভাবে রাতে পাহারা দেবে তা নিয়ে আলোচনা করতে। শীতের রাত। তাই রান্নাঘরে উনুন জ্বেলে বসলো দুই ভাই। ওদের মা নেই। বাবা আছে। আর বুড়ি দাদী। দাদী প্রায় বেশিরভাগ সময় চুলোর পাশে বসে থাকে গায়ে কালো একটা চাদর জড়িয়ে। উনুনের উত্তাপে শরীর গরম রাখে।

আজ রাত থেকেই শুরু পাহারা,’ নিচু গলায় বলল বড় ভাই লিটু। দলনেতা হিসেবে আমাদের ওপর এ দায়িত্ব বর্তেছে। তা ছাড়া অন্যরা এখনই পাহারায় যেতে ভয় পাচ্ছে।
হুঁ,’ সায় দিল ছোট ভাই টিটু। ওটা-যাই হোক না কেন-প্রতি পাঁচদিন পরপর হামলা চালায়। জমির উদ্দিন মারা গেছে আজ পাঁচদিন হলো। আজ রাতে আবার ওটা হামলা চালাতে পারে। কাজেই আজই পাহারা বসাতে হবে।
তোরা পাহারা দিতে যাচ্ছিস যা,’ বলে উঠলো ওদের বাবা। 

তবে কিসের সঙ্গে টক্কর দিবি সে কথা মনে থাকে যেন। ওটা কিন্তু আকস্মিক হামলা চালায়। এ পর্যন্ত যে কটা হামলা হয়েছে, ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কাজেই খুব সাবধান। আম্মা, আপনি কি বলেন ?
চুলোর পাশে বসা দাদী তাঁর ছেলের দিকে একবার চোখ তুলে চাইলেন। কেন জানি শিউরে উঠলেন। তারপর আবার মুখ নামিয়ে তাকিয়ে রইলেন জ্বলন্ত চুল্লির দিকে। ওরা তিনজন নিজেদের আলোচনায় ফিরে গেল। বুড়ির কাছ থেকে অবশ্য কোনও জবাব আশাও করেনি। কারণ দাদী স্বল্পবাক মানুষ। তা ছাড়া বেশ কবছর ধরে তাঁর মাথারও ঠিক নেই। হঠাৎ হঠাৎ উল্টোপাল্টা সব কাজ করে বসেন।
লিটু তাদের পরিকল্পনার কথা জানালো বাবাকে। আমি আর টিটু আজ রাতে বন্দুক নিয়ে জঙ্গলে যাব। তবে জঙ্গলে ঢুকব না। জঙ্গল আর গাঁয়ের মাঝখানের রাস্তায় পাহারা দেব। দানবটা যদি আসেই আমাদের চোখ এড়িয়ে গাঁয়ে ঢুকতে পারবে না।
তোরা পাহারা দিবি কিভাবে?’ জানতে চাইল উদ্বিগ্ন বাবা।
আমরা একজন আরেকজনের ওপর নজর রাখব,’ জবাব দিল লিটু। হাঁক-চিৎকার দিলে শোনা যায় এরকম দূরত্বে থাকব দুজন। জঙ্গলের দিকে চোখ থাকবে আমাদের। দানব যদি সত্যি জঙ্গলে থাকে, বেরুনো মাত্র ওকে গুলি করব।
কাউকে না কাউকে তো কাজটা করতেই হবে.টিটু বললো তার বাবাকে। জানি না দানবের পরবর্তী শিকার কে হবে, তবে হাত-পা গুটিয়ে অসহায়ের মতো আর বসে থাকা যায় না।
বাবা মোড়া ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। দুই ছেলেকে জড়িয়ে ধরলো বুকে। বেঁচে বর্তে ফিরে আসিস, বাপ।বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলল সে।
লিটু দেয়ালে ঝোলানো বন্দুক জোড়া নামাল। টিটু কাঠের সিন্দুক খুলে ধারাল দুটি রাম দা বের করল। একটা দিল বড় ভাইকে। নিজের কাছে রাখল অন্যটা। তারপর দাদীকে সালাম করে বেরিয়ে পড়ল দুজনে।

বাইরে ঘোর অন্ধকার। পশ্চিমাকাশে কাস্তের মত একফালি বাঁকানো চাঁদ। পুবর্দিকে পা বাড়াল দুই ভাই। ওদিকেই জঙ্গল। ওরা যেখানটাতে পাহারায় দাঁড়াবে ভেবেছে, কাছাকাছি আসতে ফিসফিস করল টিটু, ‘ভাবছি ওটা দেখতে কেমন।
আমিও একই কথা ভাবছি, ‘বলল লিটু। হয়তো কোনও দানব পাখি-টাখি হবে। সাঁৎ করে আকাশ থেকে নেমে এসে ঘাড়ের শিরা ছিঁড়ে পালিয়ে যায়।
দুজনেই আকাশে তাকাল। পাতলা, সরু চাঁদটিকে ঘিরে আছে মেঘ। আকাশ থেকে কিচু উড়ে এলেও আঁধারে ঠাহর করা যাবে না।
ওটা মাটির নিচের কোনও প্রাণীও হতে পারে,’ মৃদু গলায় মন্ত্রব্য করল টিটু। মাটিতে গর্ত খুঁড়ে থাকে। সুযোগ বুঝে হামলা চালিয়ে বসে পেছন থেকে।
ছোটভাইয়ের কথা শুনে গা কেমন ছমছম করে ওঠে বড়ভাইয়ের। পেছন ফিরে তাকায় সে। দেখাদেখি টিটুও। কিন্তু নিকষ আঁধারে কিছুই দেখা যায় না। অনেকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকল দুই ভাই। শেষে নীরবতা ভাঙল লিটু। চল, যে যার জায়াগায় গিয়ে দাঁড়াই। তবে বেশিদূর যাসনে। হাঁক ছাড়লেই যেন সাড়া পাই।

দুভাই দুদিকে চললো। লম্বা লম্বা চল্লিশ কদম ফেলে দাঁড়িয়ে পড়ল।
অন্ধকারে বন্দুকে গুলি ভরল লিটু। তারপর রামদাটা নরম মাটিতে পুঁতল। রামদার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো।

চল্লিশ কদম দূরে, অন্ধকারে ভীত ভঙ্গিতে বন্দুকে হাত বুলাচ্ছে টিটু। তার হাত কাঁপছে। এতদিন জঙ্গলে খরগোশ, বুন বেড়াল এবং বন মোরগ ছাড়া কিছু শিকার করেনি। সাহস বলে যতই নাম-ডাক থাকুক, ভূতের ভয় তার বেজায়। স্রেফ লজ্জায় না বলতে পারেনি। বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে পাহারায়। দানবটা ভূত-প্রেত হতে পারে। নইলে তাকে কেউ এতদিন দেখতে পায়নি কেন? ভূতের বিরুদ্ধে কি বন্দুক দিয়ে লড়াই করা চলে? আর ওটা যদি ভূত না-ও হয়, ভয়ঙ্কর কোনও জন্তুও হয়, প্রয়োজনের সময় বন্দুক চালাতে পারবে তো সে? বড় ভাইকে দেখতে খুব ইচ্ছে করল লিটুর। কিন্তু ঝোপ এবং গাছের গাঢ় ছায়া যেন গিলে খেয়েছে লিটুকে। দেখা যাচ্ছে না।
ঘুরলো টিটু। তাকালো গাঁয়ের দিকে। ইস্, কেন যে মরতে মীটিং-এ সবার সামনে বড় বড় কথা বলেছিল। বাবার সামনেও হামবড়া ভাব দেখিয়েছে, যেন কিছু গ্রাহ্য করছে না। পেছনে টাশ্শ্ শব্দে একটা মরা ডাল ভাঙল। চরকির মত সরল টিটু। কিন্তু কিছুই চোখে পড়ল না, আর কোনও শব্দও শোনা গেল না।
পেশীতে ঢিল পড়ল টিটুর। বন্দুকের কুঁদো ঠেকাল মাটিতে, হেলান দিল। ঘুম ঘুম আসছে।
আর ঠিক তখন ঘাড়ে সুচের মত তীক্ষ্ণ ব্যথা ফুটল। কেউ ওর গলায় ধারাল নখের থাবা বসিয়েছে।

তীব্র, তীক্ষ্ণ আর্ত-চিৎকারে ভেঙে খানখান হয়ে গেল বনভূমির নিশি-নৈঃশব্দ্য। লাফিয়ে উঠল লিটু। ওর ভাইয়ের গলা না? এক হাতে বন্দুক, অপর হাতে রামদা নিয়ে চিৎকারের উৎসের দিকে ছুটল ও। কিন্তু গাঢ় অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

এমন সময় টিটুর ঘরঘরে গলা শুনতে পেল টিটু। গোঙাচ্ছে। গোঙানি লক্ষ্য করে ছুটল ও। আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল গোঙানি। ভাইকে দেখা যাচ্ছে না তবে ওর বেশ কাছে এসে পড়েছে লিটু বুঝতে পারছে। বন্দুকটা ফেলে দিল ও। অন্ধকারে গুলি করলে টিটুর গায়ে গুলি লাগতে পারে। দুহাতে রামদা ধরে মাথার ওপর বনবন করে দুপাক ঘোরাল লিটু। কিছু একটার সঙ্গে বাড়ি খেল ধারাল ফলা। রক্ত জল করা একটা চিৎকার শুনল লিটু। গা হিম হয়ে গেল ওর। টিটুর লাগেনি তো? ও তো আর গোঙাচ্ছেও না। অন্ধকারে হয়তো রামদার কোপ ভাইয়ের গায়ে লেগেছে। মারা গেছে সে। বুক ফেটে কান্না এল লিটুর। এমন সময় আবার গোঙাতে শুরু করল টিটু। স্বস্তির পরশ ঝিরঝির করে নামল লিটুর শরীরে। নাহ্, ওর ভাই মারা যায়নি।

হঠাৎ একটা শব্দ শুনতে পেল লিটু। মরা পাতার ওপর দিয়ে ছুটে যাচ্ছে কিছু একটা খচমচ শব্দ তুলে। ধেড়ে ইঁদুর-টিদুর হবে হয়তো। তবে ওটাকে দেখতে পেল না লিটু। সে আন্দাজে ভাইয়ের পাশে এসে বসল। তখন মেঘের আড়াল থেকে বেরিয়ে এল ক্ষীণকায় চাঁদ। তার অতি অল্প আলোয় টিটুর দিকে তাকিয়ে আঁতকে উঠল লিটু। টিটুর ঘাড়ে গেঁথে আছে চিমসানো একটা কাটা হাত। কাটা কনুই থেকে রক্ত ঝরছে। হাতটার আঙুলে বড় বড় ধারাল নখ। নখগুলো খামচে ধরে আছে টিটুর কাঁধসহ ঘাড়। অন্ধকারে রামদার পোপে এ হাতটাই কেটে ফেলেছে লিটু। সময় মত এসে পড়ায় রক্ষা পেয়েছে টিটু। কাটা হাতের মায়া ত্যাগ করেই পালাতে হয়েছে দানবকে।

লিটু টিটুর ঘাড় থেকে টান মেরে ছুটিয়ে আনল কাটা হাত। নখের আঘাতে গর্ত হয়ে গেছে ঘাড়ে। রক্ত ঝরছে। ক্ষতস্থানে রুমাল বেঁধে দিল লিটু। তারপর ভাইকে নিয়ে রওনা দিল গাঁয়ে। কাটা হাতটা পড়ে রইল জঙ্গলে।
ওদের বাবা ভয়ার্ত শুকনো মুখে অপেক্ষা করছিল দোর গোড়ায়। ছোট ছেলের চিৎকার শুনতে পেয়েছে। দুছেলেই বেঁচে আছে দেখে আনন্দে কেঁদে ফেললো সে।
টিটুকে খাটিয়ায় শুইয়ে দিল ওরা। ডেটল আর পানি দিয়ে পরিস্কার করল ক্ষতচিহ্ন। আর কয়েক সেকেণ্ড দেরী করলেই খবর হয়ে যেত টিটুর। ওকে জ্যান্ত ফিরে পেত না লিটু। ভাইয়ের ঘাড়ে ব্যাণ্ডেজ করতে করতে দানবের কথা ভাবছিল লিটু। কাটা হাত নিয়ে রক্তক্ষরণে ধুঁকতে ধুঁকতে জঙ্গলেই হয়তো মরে পড়ে থাকবে দানবটা।
আহত টিটুকে নিয়ে লিটু এবং তার বাবা এত ব্যস্ত ছিল যে খেয়াল করেনি চুল্লির পাশে দাদী নেই। দাদী যে খিড়কির দরজা দিয়ে আবার রান্নাঘরে ঢুকেছেন তাও লক্ষ করেনি কেউ। দাদী কাঠের পিঁড়িতে বসে শীতল, ক্রুর চোখে দুই নাতির দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
কেউ শুনল না তাঁর অসংখ্য ভাঁজ পড়া মুখ থেকে হিসহিস শব্দ বেরিয়ে আসছে। এবং কেউ দেখল না কালো চাদরের নিচে তিনি রক্তাক্ত একটি মাংসপিণ্ড লুকিয়ে রেখেছেন।

লিখেছেনঃ অনীশ দাস অপু

গল্পটি ভালো লাগলে Like ক্লিক করতে ভুলবেন না।।

প্রেম প্রতারণা অতঃপর! [ Collection of Love Stories -18 ]




প্রেম আছে বলেই নাকি পৃথিবীএতো সুন্দর। আর প্রেমের মাঝে মান অভিমান না থাকলে নাকি ভালোবাসা খাঁটি হয়না। আবার প্রকৃত প্রেমে প্রাপ্তিতে সুখ নেই বিরহে প্রকৃত সুখ বলে বিভিন্ন কবিসাহিত্যিকেরা মনে করেন। কিন্তু সেই পবিত্র প্রেমে যদি থাকে ছলছাতুরি কিংবা প্রতারণা। তবে সেই প্রেম হয়ে ওঠে যাতনার কারণ। আর এই যাতনা সইতে না পেরে কেউ কেউ আত্মহত্যার মতো কাজও করে বসে অনায়াসে।

অপরদিকে যাতনা সম্পর্কে কবি বলেছেন, যাতনা যাতনা কিসেরী যাতনা?/বিষাদ এতই কিসেরী তরে?/যদিই বা থাকে, যখন তখন/কি কাজ জানায়ে জগৎভরে? (পরার্থে-কামিনী রায়)। ব্যাক্তিগত দুঃখ কষ্ট যদি প্রচার করা হয়, তাতে শান্তি মেলে না, দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। বরঞ্চ দুঃখের তীব্রতা বেড়ে যায়। নিজের দুঃখবোধকে অন্তরে সংগোপনে লালন করে রাখার মধ্যেই হৃদয়ে আসে প্রশান্তির ভাব। রাত্রে আকাশে হাজার হাজার তারা যেমন স্নিদ্ধ আলোকে পৃথিবীর বুকে ঢেলে দেয় প্রশান্তি, তেমনি হৃদয়ে লুকানো বিষাদ মানুষের অন্তরকে গভীর স্বস্তিতে ভরে তোলে। মানুষের জীবনে আছে দুরন্ত আশা, আছে নিরাশার বেদনা তাকে যন্ত্রণায় দগ্ধ ও বিদ্ধ করে। এক অপার শূন্যতাবোধ জীবনকে করে তোলে অর্থহীন। কিন্তু এছাড়াও জীবনের একটি জাগ্রত অস্তিত্ব আছে, যে অস্তিত্ব মানুষের চৈতন্যে জাগায় আকাক্সক্ষা। শত বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সে নতুন আশায় উজ্জ্বীবিত হয়। অপরদিকে নিজের দুঃখকে অন্যের কাছে শেয়ার করলে নাকি দুঃখটা একটু হালকা হয়। আমরা সেকালের সিনেমায় দেখতাম নায়ক দুঃখ পেলে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে গান গাইতো আর নায়িকা দুঃখ পেলে খটাস করেদরজা বন্ধ করে ধপাস করে বিছানায় পরে বালিশ গুঁজে কাঁদত। আর এভাবেই দেখতাম তাদের দুঃখের বহিঃপ্রকাশ। বর্তমানে দুঃখের বহিঃপ্রকাশটা আত্মহত্যা করার মাধ্যমে জানান দিচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। কয়েকটি কাহিনীপ্রকাশ করছি। ছেলেটির নাম সুমন (ছদ্মনাম) আর মেয়েটি সুলতানা (ছদ্মনাম)।

একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বছর তিনেক পূর্বে। তারা পরস্পর আত্মীয়ও বটে। দুজনের প্রেম চলছিল সংগোপনে। পরে তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটা দুপরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। দুজনের সম্পর্ক চলাকালে ছেলেটির ছলনাময়ী প্রেমিকা শাহেদ নামের অন্য একজনের প্রেমে পড়ে। কিন্তু তা সুমনের অগোচরো। সুচতুর সুলতানা কিন্তু দুজনের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখে। সুলতানার অপর প্রেমিক শাহেদও সুলতানার নিকটআত্মীয়। ফলে শাহেদ সুলতানার বাড়িতে প্রায় আসা যাওয়া করত। শাহেদ ঘন ঘন আসা যাওয়ার ফলে সংগোপনেসুলতানার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। যখন জানাজানি হয় সবার সন্দেহের তীর বিঁধে সুমনের দিকে। কারণ সবাই জানে সুমনের সাথে তার সম্পর্কের কথা। পরে মেয়েটিকে কে সর্বনাশ করেছে জানতে চাইলে মেয়েটিও মিথ্যাবলে। সে জানায় সুমনের সাথে তার দৈহিক সম্পর্কের কারণে সে অন্তঃসত্ত্বা। তখন শালিসানরা সবাই সুমনের সাথে মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু সত্যটা গোপন থেকে যায়। সুমন মেনে নিতে পারেনি তার ওপর এই মিথ্যা অপবাদ। কিন্তু কিভাবে সে প্রমাণ করবে সুলতানার গর্ভের সন্তান তার নয়। কিন্তু মেয়েটি যে তার সাথেপ্রতারণা করেছে প্রেমের অভিনয় করে এবং অন্যের ঔরসের সন্তান সুমনের উপর দায় দিয়ে। অপবাদ,কলংকের দায় নিয়ে সুমন ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। মধ্যেখানে শাহেদ অপরাধী হয়েও পার পেয়ে যায় শুধুমাত্র সুলতানা সত্য গোপন করার কারণে। কলংকিত মেয়েটি নিজের ভুলে দুকূল হারিয়ে এক অজানা আশংকায় দিনাতিপাত করছে । অপর একটি কাহিনী-অত্যন্ত গরীব ঘরের মেয়ে মালতী (১৮)।

তিন বোনের মধ্যে সে মেজো। পিতা দিন মজুর। আর মা এ বাড়ি ও বাড়ি রান্নাবান্নার কাজ করে কোনো মতে সংসার চালায়। দুটো জীর্ণশীর্ণ ছনের ঘরেরমধ্যে কোনো মতে রাত চলে যায়। কিন্তু যখন অঝোরে বৃষ্টি ঝরে কিংবা কোনো অতিথি আসলে তাদের কাউকে না কাউকে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয়। পার্শ্ববর্তী বাড়িতে মালতী মামাতো বোন তার স্বামী সন্তান নিয়ে থাকেন। মামাতো বোনের মেয়ে রিতা তার সমবয়সী। তাই বাড়িতে কোনো মেহমান এলে কিংবা যেকোনে দূর্যোগে মালতী থাকেন তাদের ঘরে। সেদিনও সে তার মামাতো বোনেরমেয়ের সাথে একই বিছানায় শুয়েছিল। হঠাৎ মাঝরাতে কারো হাতের স্পর্শে মালতীর ঘুম ভেঙে গেলো। চোখ রগড়াতেরগড়াতে উঠে দেখে রিতার পিতা তার দুলাভাই রাম। এতরাতে কোনো বিপদ নাকি দুলাভাইয়ের কাছে জানতে চাইলে রাম জরুরী কথা আছে বলে বাইরে নিয়ে যায়। জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে হিংস্র শিপাঞ্জির মতো রাম মালতীকে ঝাপটে ধরে মুখে কাপড় গুঁজেসারারাত পাশবিক অত্যাচার চালায়। এবং কাউকে এ বিষয়েকিছু না বলার জন্য বলে। পরেমেয়েটিকে আরো কয়েকবার ভয়ে দেখিয়ে শারীরিকভাবে মিলিত হতে বাধ্য করে। মেয়েটি লোকলজ্জ্বার ভয়ে কাউকে কিছু না বলে দুঃসহ স্মৃতিগুলো সংগোপনে রাখে। ফলে এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সে এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অপরদিকে তারপিতার বয়সী লম্পট দুলাভাই রাম আসন্ন বিপদ দেখে পালিয়ে গেছে। মেয়েটির পরিবার এ বিষয়ে গ্রামের জনপ্রতিনিধিদের কাছে নালিশকরলে দায়ীর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেননি কেউ এগিয়ে আসেননি বলেও জানা যায়। ফলে কলংকের দায় নিয়ে মেয়েটি কয়েকবার আত্মহত্যারও চেষ্টা চালায়। কিন্তু অন্যদের সহায়তায় সে রক্ষা পেলেও তার সদ্যজাত সন্তানের ভবিষ্যত কি হবে? দুঃশ্চরিত্র দুলাভাইয়ের লালসার শিকার মালতীর গর্ভের সন্তান কি পরিচয়ে বড় হবে? হয়তো একদিন মেয়েটি কলংকের দায় নিয়ে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে আত্মহত্যা করবে? কিন্তু বেঁচে যাবে ঐ সব লোক। এ সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনাবোধ।

____বেদনাময়ী ভালবাসার কাহিনী___ [ Sorrow :ove LOVE]



খাটের স্ট্যান্ড দিয়ে দুলাভাই ছেলেটিকে ইচ্ছা মতো পেটালো। এক পাও নড়লো না 

ছেলেটা। পাথরের মতো দাড়িয়ে থেকে মার গুলো হজম করলো। নড়ছে না 

দেখেদুলাভাই আরও খেপে গেলো। জোরে একটা ঘা দিলো পেটে। কুত্তার বাচ্চা, ফের 

যদি আমার বাসার ত্রিসীমানায় দেখি,একবারে পুতে ফেলবো। ছেলেটা কাদতে কাদতে 

চলে গেলো। আমি হতবাক্! ঘটনা কি?কিছুই তো বুঝলামনা। ছেলেটাকে ফলো 

করলাম্। একটু দুরে ড্রেনের পাশে বসে ছেলেটা কাদছে। বললাম্, তুমি কে? দুলাভাই 

তোমাকে মারলো কেন্? ছেলেটা আরও জোরে জোরে কাদতে লাগলো। এমন বুক 

ফাটা কান্না যা কিনা পাথর সম কষ্টেই সম্ভব্। পনেরো-ষোল বছরের কিশর্। 

পরনেপুরনো লুঙ্গি। গায়ে হাফ হাতা শার্ট্। পায়ে রাবারের স্যানডাল্। শ্যামলা-ময়লা 

চেহারা। নিঃসন্দেহে নিম্নবিত্তের ছেলে। কিন্তু দুলাভাই ওকে মাড়লো কেন্? বাসায় 

ফিরে দেখি আরেকসিন্।দুলাভাই বারান্দায় বসে সিগারেট টানছে আর রাগেফুসছে। 

আপার কোলে মাথা লুকিয়ে কাদছিলআমার কিশোরী ভাগ্নি রুনা। আপা ও কাদছে। 

বললাম্, আপা ঘটনা কি? একটু খুলে বল্! আপা চুপ থাকলো। রাতে আপার কাছ 

থেকে ঘটনাটা শুনলাম্।

 --------- ছেলেটার নাম বেলাল্। রুনার সাথে এক ক্লাসে বগুরায় পড়তো। দুই বছর 

ধরে রুনার পেছনে লেগে ছিল্। ক্সুল ছুটির পর রুনাকে ফলো করে বাসা 

পর্যন্তআসতো। কিন্তু উত্ত্যক্ত করতো না। রুনাকে নাকি মুখ ফুটে কিছু বলতো না। 

রুনা একদিন ক্সুল থেকে ফেরার পথে স্যানডাল দিয়ে পিটিয়েছে ছেলেটাকে। তারপর 

থেকে রুনাকে সে ফলো করতো না। কিন্তু ক্সুলে ফ্যাল ফ্যাল করে রুনারদিকে 

তাকিয়ে থাকতো। সারাক্ষন আনমনা থাকতো। পড়াশোনা ও করতো না। অথচ আগে 

নাকি ভালো ছাত্র ছিল্। একবার রুনা টাইফয়েডে পাচ দিন ক্সুল যায় নি। জানতে 

পেরে ছেলেটা তৃতীয় দিন বাসায় এসেছিল্। আপা ঢুকতে দিতে চায়নি। ছেলেটা নাকি 

আপার পা ধরে বলেছিল্, একবার দেখেই চলে যাবো। এরপর ছেলেটিকে ভেতরে 

আসতে দেয় আপা। হাজার হোক নারীর মন্। পরে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ছেলেটিকে বিদায়

 করে। পরের দিন ছেলেটা আর এক কান্ড ঘটায়্। সারা রাত আপার বাসার বাইরে 

শুয়ে-বসে কাটিয়ে দেয়্। আর সহ্য্ করা যায় না। ক্সুলের হেডমাস্টার কে জানানো হয়্

, ছেলেটার বাবাকেও জানানো হয়্। দুজনই তাকে গরু পেটা করে। কোনো ফল হয় 

না। বড়ং ছেলেটারপাগলামি আরও বাড়তে থাকে। রুনাও নাকি বদলে যায়্। মন মরা 

হয়ে থাকে। কথা কম বলে। অবস্থা বেগতি দেখে দুলাভাই বগুড়া থেকে বদলি হয়ে 

নাটোরে চলে আসে। ছয় মাস ভালোই গেল্। কিন্তু ছেলেটা কোথা থেকে ঠিকানা 

সংগ্রহ করে এখানে চলে আসে।

 --------- বলা প্রয়োজন্, দুলাভাই খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধতন কর্মকর্তা। আর্, রুনা 

প্রথম সারির সুন্দরী। অন্য্ দিকে, ছেলেটার বাবা বৌয়ের রান্না করা ভাত্, মাছ্, ডিমের 

ঝোল স্টেশনের বেন্চ পেতে নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের কাছে বিক্রি করে। এ রকম 

পরিবারের ছেলে দেখতে এবং বেশভূষায় যেরকম হওয়া উচিৎ, ছেলেটা ঠিক তাই। এ 

ছেলের পাশে আমার চাদমুখী ভাগ্নিকে কল্পনা করা গল্প্-উপন্যাসেও বেমানান হবে। 

পরদিন রুনার কাছে জানতে চাইলাম্,ছেলেটির জন্য্ কি তোমার কষ্ট হয় না? খুব কষ্ট

 হয় মামা! ও ওরকম করবে কেন্? সে কি আমার যোগ্য্? ছেলেটা কি খারাপ্?খারাপ 

হবে কেন্? খুবি শান্ত স্বভাবের্। তুমি কি ওকে ভালোবাস? কি যে বলেন মামা। এ 

রকম একটা ছেলেকে কি ভালোবাসা যায়্? একটু থেমে মাথা নিচু করে বললো, সে 

ভালো মতো পড়াশুনা করুর্, প্রতিষ্ঠিত হোক্। সে ক্ষেত্রে? সে ক্ষেত্রে আমি হয়তো 

ভাববো। বুঝলাম্, ওরপ্রতি ভাগ্নীর করুনা আছে যা ভালোবাসায় রুপান্তর হতে পারে। 

তাই একটু কঠোর হলাম্। বললাম্, খবরদার এমন চিন্তা করবে না। দুলাভাই 

তোমাকে মেরেফেলবে। জীবন কোনো গল্প্-উপন্যাস নয়্। তা ঠিক মামা।

 --------- ১২ বছর পরেরঘটনা। রুনা বাংলাদেশ কৃষি ইউনিভার্সিটি থেকে 

ইন্জিনিয়ারিং পাস করছে। বিয়ে দিয়েছি আমার মেডিকেলের জুনিয়র এক ডাক্তারের 

সাথে। দুটো বাচ্চা। খুব সুখের সংসার্। একদিন কথাচ্ছলে রুনাকে বললাম্, সেই 

ছেলেটাকে কি তোমার মনে পড়ে? কোন ছেলেটা মামা? ওই যে বগুড়ায় তোমার 

সাথেপড়তো, তোমাকেপাগলের মতো ভালোবাসতো? রুনা হেসে ফেললো। ও, সেই 

গেয়োটা। আগে হঠাৎ হঠাৎ মনে পড়তো, এখন আর মনে পড়ে না। ওর জন্য্ কি 

তোমার মাঝে মদ্ধে কষ্ট হতো? রুনা আবার হেসে ফেললো। কি যে বলেন মামা, ওর 

জন্য্ আমার কষ্ট হবে কেন্? ওর নামটা না কি ছিল্? ওর নামটা! নামটা ভুলে গেছি 

মামা। সে কোথায় আছে, কি করছে, কেমন আছে কিছু জানো? এবার রুনা ক্ষেপে 

গেল। কি বলছেন মামা!ওর খোজ নেয়া কি আমার দায়িত্ব্? মনে মনে বললাম্

অবশ্যই দায়িত্ব ছিল্। রুনার চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকালাম্। হায়রে নারী! যে 

তোমার জ্বরে মুখটা একটিবার দেখার জন্য্ আপার পা ধরে কেদেছিল্, তুমি অসুস্থ 

ছিলে বলে সারা রাত বাইরে বসে কাটিয়ে দিয়েছিল্, তুমি তার নামটাই ভুলে গেলে 

বেমালুম্? কিন্তু আমি ভুলিনি। কারণ আমি পুরুষ্।একজন পুরুষই পারে আরেকজন 

পুরুষের কষ্ট কিছুটা হলেও বুঝতে।

 ছেলেটার নামছিল বেলাল্। [ সংগৃহীত ]

 --------------- --- গল্পটা আমি প্রথম একটা বইয়ে পড়ি। অনেক ভালো 

লেগেছিল তখন্। মেয়েদের কিছু বৈশিষ্ট্য্ লেখক এই গল্পে তুলে ধরেছে। আমি জানি 

না এটাসত্যি কি না। ßt, আসলেই কি মেয়েরা এমন হয় ? ? ?


Thursday, December 29, 2011

■ ■ ■ ফেসবুকের শেয়ারের লিংক তৈরী করার পদ্ধতি ■ ■ ■ [how to short link in facebook]

ফেসবুকের শেয়ারের লিংক তৈরী করার পদ্ধতি  

অনেকই মোবাইল থেকে ফেসবুক ব্যবহার করার সময় কিছু সমস্যার সম্মুখিন

 হন।,তার ভেতর অন্যতম একটি সমস্যা হলো,মোবাইল থেকে সরাসরি কোনো 

পোষ্ট শেয়ার করার উপায় নেই।ফলে আপনি যদি চান,যে একটা ছবি বা 

নোট,আপনার ফ্রেন্ডরাও শেয়ার করবে,তাহলে আপনার মোবাইল দিয়ে ফেসবুক

 ব্যবহারকারী বন্ধুদের শেয়ার করার কোনো উপায় আপনি দিতে পারেন না।এই 

সমস্যায় সবচেয়ে বেশী পড়েন বিভিন্ন পেজের এডমিনরা।কারন বাংলাদেশের বিশাল 

সংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারকারী মোবাইল দিয়েই ফেসবুক ব্যবহার করেন।তাদের 

সুবির্ধাতে শেয়ার করার কোনো ব্যবস্থা ফেসবুক সরাসরি দিতে পারেনি।এক্ষেত্র

 ে অনেকে শেয়ারের জন্য একটি লিংক পোষ্টের সাথে দিয়ে দেয়,যার মাধ্যমে 

মোবাইল বা পিসি থেকেপোষ্টটি শেয়ার করা যায়।আজ আমরা সেই ব্যবস্থা সর্ম্পকে 

আপনাদের জানাবো।

আপনি যদি কোনো পোষ্টের মোবাইল+পিসি থেকে শেয়ারের লিংক দিতে চান

তাহলে প্রথমে নিচের লিংকে প্রবেশ করতে হবে।


https://bitly.com/

অতঃপর বক্সের মধ্যে নিচের লিংক + যে পোষ্টের শেয়ারের লিংক বের করবেন,তা 

পাশাপাশি লিখে Shorten এ ক্লিক করুন।



উদাহরনস্বরূপ,যদি কেউ যদি আমাদের পেজের শেয়ারের লিংক বানাতে চান,তাহলে

 নিন্মরূপ লেখাটি বক্সে লিখে Shorten এ ক্লিক করতে হবে। 


http://www.facebook.com/sharer/sharer.php?u=https://www.facebook.com/Allzinone

এখন, Shorten এ ক্লিক করার পর বক্সের ভিতর যে লিংকটি আসবে,সেটিই আপনার পোষ্টের শেয়ার করার লিংক।

যেমন আমাদের Short করা link টি এমন হবেঃ 

http://on.fb.me/tmSIe7
আরেকটি ব্যপার হল,এই সাইটের মাধ্যমে,আপনি যে কোনো বড় লিংককে

 ছোটোকরতে পারবেন। যেমন,আপনি কোনো একটি লিংক আপনার বন্ধুদের দেখাতে

 চাচ্ছেন, যে লিংকটি অনেক বড়।এখন বড় একটি লিংক আপনার পোষ্টের সৌন্দর্য 

নষ্ট করতে পারে। তাই আপনিhttps://bitly.com/ ঠিকানায় গিয়ে, কেবল 

লিংকটিবক্সের মধ্য দিয়ে Shorten এ ক্লিক করে, ছোটো একটি লিংক তৈরী করে 

নিতে পারেন।

(Collected)

কাঁকন [ Collection of Love Stories -17 ]


লাল চূঁড়ি সমেত হাতটা বাইরে দিয়ে কুয়াশা ছুঁতে চায় কাঁকন।
আলতো করে মেলে রাখে জানালার গ্রিলের বাইরে, যতটুকু যায় হাত ঠিক ততটুকু। প্রকৃতির স্বাদ যেন সে নিতে চায় এই হাত দিয়ে। এখন তো শীতকাল, তাই হাতে কিছু আর ধরা দেয়না। বর্ষাতে যখন তার হাত এভাবে মেলে থাকে, বৃষ্টির ফোঁটা এসে ভেজায় কাঁকনের হাত আর সেই খুশিতে যেন রাঙায় তার মন। খুব সাধারণ একটি ব্যাপার, তবু সে উপভোগ করে শান্ত স্নিগ্ধ সকালটাতে। আর তার তিন বছরের ছোট বোন তিশাম লক্ষ্য করে যায় বড় বোনটার এই নীরব পাগলামী। তিশামের চোখে সবথেকে সুন্দর মেয়ে তার বড় বোন কাঁকন। কি সুন্দর টানা চোখ, মুখটাতে মায়া যেন উপচে পড়ে। আর ঠিক সকালের এই সময়টাতে যখন কাঁকন চোখে কাজল দিয়ে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন অদ্ভুত সুন্দর লাগে। জানালার এপাশটায় প্রায় দাঁড়ায় কাঁকন, রুমের এই জায়গাটা যেন তার জন্য তৈরি।

- কিরে আপা, ক্লাশে যাবিনা।
- না, আজ ক্লাশ হবে না। তুই তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে। আর ক্লাশ শেষে তাড়াতাড়ি ফিরবি। বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় বসিসনা যেন। বিকেলে বাবা আসবে।  জানালার বাইরে হতে চোখ না ফিরিয়েই কথাগুলো বলে যায় কাঁকন।




আজ তার বাবা আসবে বিকেলে।
তার বাবা, তার সব থেকে প্রিয় বন্ধু। প্রিয় বন্ধু হতে দূরে বেশ কিছু বছর। অথচ কতটুকু দূর তাদের বাড়ি? এক ঘন্টা হতে একটু বেশি লাগে যেতে তার এই হোস্টেল হতে। কতজনই তো আছে তাদের সেই এলাকা হতে এসে ক্লাশ করে আবার ফিরে যায় বাড়িতে, কিন্তু তাদের দু'বোনের জন্য অন্য নিয়ম। এত কাছে বাড়ি থেকেও তারা এই মহিলা হোস্টেলে। মন চায় নিজ আবাসের মাঝে ফিরে যেতে, মাটির উঠোনে খালি পায়ে হাঁটতে। এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে বেড়াতে, তাদের নিজেদের ধান ক্ষেতের পাশে বসে থাকতে। কিন্তু হয় না আর এসব। আজ সে আর তার বোন যেন অতিথি। মাসে একবার কি দু'মাসে একবার করে যায় বাড়িতে, দু'তিন দিন থেকে চলে আসে। সেই দু'তিন দিনেই কত টিপ্পনী যে শুনতে হয় মা এর কাছ থেকে।

মা? নাকি সৎ মা?
মা শব্দটিতো ভাগ করা উচিত নয়, মা তো শুধুই মা।
কিন্তু এই মা শব্দটিতে নয় শুধু, বাস্তব জীবনেও অনেক ভাগ রয়েছে। তা যে শেখা শুরু কাঁকনের সেই দশ বছর বয়স হতে। চোখের সামনে এখনও ভেসে উঠে তার মাকে। ঠিক কাঁকনের মতই ছিল টানা চোখ। সাধারণের মাঝেও তার মা ছিল অপূর্ব সুন্দরী এক মহিলা। এখনও চোখ বুজলেই কাঁকন দেখতে পায়, অনুভব করে মায়ের হাতের ছোঁয়া। মা যখন এক পলকে তাকিয়ে থাকতো, তখন অন্যরকম এক অনুভূতি হতো তার ভেতর। সব সময় আগলে রাখতো তাদের দু'বোনকে। আর বাবা? বাসায় এসেই খেলতে বসে যেতো তাদের দু'বোনকে নিয়ে। হাসিখুশিতে চলে যাচ্ছিল দিনগুলো।

সাদার অপরে যে কালো।
নীল আকাশ যে ছেয়ে যায় নিকষ মেঘের আঁধারে। সূর্যের কি সাধ্য সেই কাল মেঘকে হটিয়ে উদয় হয়? ঢেকে যায় সব শুভ্রতা, ছেয়ে যায় কালো সবখানে। স্বচ্ছ কাঁচ যেন ঘোলাটে হয় মূহুর্তেই। ঘোলাটে হয় জীবন। সব ভাসে চোখে, সব। মাকে সাদা কাফনে জড়ানো, বাবাকে ধরে চিৎকার, ছোট বোনের অসুস্থতা। সব কালো যেন ছেয়ে ছিল জীবনের এক থমকে যাওয়া সময়ে। গ্রাস করেছিল সময়কে কোনো এক অদৃশ্য হাঙর। আর কিছু অবশিষ্ট কি ছিল, ছিল না আর কিছু। খালি বাড়ির প্রতিটি বিন্দুতে মাকে খুঁজে বেড়াতো সেই দশ বছরের কাঁকন। সাথে সদা ক্রন্দনরত তিশাম। দু'টি ছোট মেয়ের ক্রন্দন শোনবার তো ছিল না কেউ, নি:শব্দে শুধু সেই ক্রন্দনের সঙ্গী ছিল নি:সঙ্গ সে বাড়ি।

এর পর মা এলো।
মা, সৎ মা।
কত তফাৎ এই শব্দ দু'টোর মাঝে। কিন্তু "মা" শব্দটিতো আছে। সেই আশাতেই মনে হয় কাঁকনের বাবা এনেছিলেন আরেক মা, সৎ মা। প্রথম কিছুদিন ছিল বেশ ভাল। এরপর গল্প, উপন্যাসের মতই বের হতে থাকে আসল রূপ। দু'বোন অসহ্য হতে থাকে সেই মা নামক সৎ মার কাছে। উঠতে বসতে কথা শুনানো, রাগারাগি, ধমক তো আছেই। কিন্তু সব ছেড়ে যেত যখন বাবা আগলে ধরতো তার বুকের মাঝে এই দু'বোনকে। বাবাই ছিল তাদের পৃথিবী, বাবাই ছিল সব। এরপর সৎ মা'র ঘরে এলো ফুটফুটে একটা ছেলে। দু'বোনের খুশির অন্ত কে দেখে। কিন্তু সৎ মা যে ধারে কাছেও ঘেষতে দিত না। এভাবেই যাচ্ছিল সময়। শত কষ্টের আঝেও দু'বোন আগলে ধরে বড় হচ্ছিল, আর ছোট সৎ ভাইটা যেন নিজ মায়ের পেটের ভাইয়ের চেয়েও আপন। সৎ মা সেটা নিয়ে কথা বলতেও ছাড়তো না, তবু কাঁকনকে ছাড়া যেন কিছু বুঝতে চাই তো না ছোট্ট সে ভাইটা।

কলেজে থাকতেই কাঁকনকে এই মহিলা হোস্টেলে এনে রাখা হয়।
কলেজের পাশে এই হোস্টেল, ভালভাবে পড়াশুনা করতে পারবে এই বুঝিয়ে তাকে এখানে রাখা। সে কি বুঝতে পারে না যে এসবই করা সৎ মায়ের নির্দেশে? সবই বুঝে, শুধু সরল বাবাটার মুখ চেয়ে সব সহ্য করে নেয়। বাবার সুখের জন্য সে সব করতে পারে। এভাবেই সে হয়ে পড়ে নিজ পরিবারের অতিথি। কালেভদ্রে বা ছুটি ছাড়া বাড়ি যেত না। গেলেই তার সৎ মায়ের কটু কথা তো আছেই। তবু মন তাকে নিয়ে যেত বাবা, তিশাম আর ছোট্ট ভাইটার টানে। এইচএসসি পাশের পর অন্য কোথাও না যেয়ে সেই কলেজে অনার্স শেষ করে এখন মাষ্টার্স পড়ছে কাঁকন। তিশামকেও নিজের কাছে নিয়ে আসে তিশামের এইচএসসি'র পর। ছোট্ট তিশাম এখন অনার্স পড়ছে. ভাবতেই অবাক লাগে কাঁকনের। সময় কিভাবে যায় ভেবে পায় না। বাবা এসে দেখে যান দু'বোনকে মাঝে মাঝে। তখন কাঁকন সেই বাচ্চা মেয়েটির মতো হাত ধরে বসে থাকে বাবার পাশে। কখনও বা আগলে থাকে, তার বাবাও চুপ করে বসে থেকে এই ভালবাসাটা উপভোগ করে যান। মাঝে মাঝে নিজেকেও বা দোষ দেন মনের অজান্তেই। হয়তো তার বোঝার ভুলের কারণেই হৃদয়ের এই অংশকে দূরে ঠেলে দিতে হলো।

দুপুর তিনটায় বাবা আসেন।
কাঁকন সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামে, গেস্টরুমে যেয়ে বাবাকে সেই আগের মতই শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। তার বাবাও সবসময়ের মতো মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দেয়। কাঁকন চোখ বুজে সেই আদরটা উপভোগ করে যায়।

- তুমি এত শুকাইসো কেন আব্বু?
- কইরে বেটি, আমি ঠিকই আছি। তুই উল্টো শুকাইছিস।
- আমি? আমি আরও দু'কেজি বাড়ছি আব্বু।
- ধুর, এসব বলতে নেই। নজর লাগবে।
- এ্যাহ, এখনও তুমি সেই মান্ধাতাই রয়ে গেছো।
- আমরা মফস্বলেররা মান্ধাতাই থাকি, সেই ভাল। তিশাম কইরে?
- অর ক্লাশ আছে। দেরি হবে।
- আচ্ছা।

এরপর আর কথা শেষ হয়না বাবা-মেয়ের।
কত কথা বলে যায়, কত হাসাহাসি। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেনা কাঁকনের বাবা। বিকেলেই চলে যেতে হবে।
- তোকে একটা কথা বলিরে, রাগিস না যেন।
- বলো আব্বু।
- মা, তোর মায়ের শরীরটা ভাল নেই। ডাক্তার দেখিয়েছি। বেশ খরচও যাচ্ছে। তোকে ল্যাপটপটা ক'মাস পর কিনে দেই? বলে কাঁকনের বাবা বেশ মিনতির চোখে তাকায় তার দিকে।
- ধুর, এটা একটা কথা? আমি ভাবছিলাম কি না কি। আমার এখন তো ল্যাপটপের দরকার নাই।
- পড়াশুনার জন্য তো এখন লাগেরে মা, আমি বুঝি। তবে এবার আর দেরী হবেনা ঠিক আছে। পাকা কথা দিলাম।
- আইচ্ছা আমিও কথা নিলাম। এখন চুপ করো, আমি তোমারে ধরে বসে থাকি।
কাঁকনের বাবা মেয়েটার এমন কথা শুনে হেসে ফেলে। কপালে চুমু দিয়ে দেয়।

বাবাকে রিকশায় যেতে দেখে কাঁকন।
নিরিবিলি রাস্তায় শুধু তার বাবাকে নিয়েই রিকশাটি চলে যাচ্ছে। দূরে কুয়াশায় ঘন হয়ে আছে প্রকৃতি। চোখের কিছু অশ্রু গাল বেয়ে যেন উপভোগ করছে এই বেদনা। অপলক চোখে চেয়ে থাকে কাঁকন। মাথা জড়িয়ে নেয় গায়ের চাদর দিয়ে। রুমে চলে আসে নিরবে।

সব সময় কেন যেন এই চিন্তাটি হয়।
কেন হয়, জানেনা কাঁকন।
কেউ কি নেই এই পৃথিবীতে যে কিনা তাকে ভালবাসবে পাগলের মতো? আগলে রাখবে ঠিক প্রকৃতির মতোন?
ভালবাসার মানুষের খোঁজ তো সে কখনও করেনি। বাস্তবতার বেড়াজালেই যে চলে গেলো জীবনের অনেকদিন। তবু কেউ যে নিজে থেকে এলো না। কেউ যে একবারও বললো না, ভালবাসি তোমাকে।
এটাই হয়তো নিয়তি। যখন কেউ থাকে না, তখন হয়তো কেউ আসে না। সে তো কারও অপেক্ষায় নেই, তবু ভাবতে ভাল লাগে। কেউ একজন আসবে, সেই কেউ তাকে ভালবাসবে। আগলে রাখবে সারা জীবন, কত কথা শুনাবে তাকে। রাঙাবে প্রতিটি সময়, রঙীন করে দেবে এই সাদাকালো জীবন। ভাবতে অনেক ভাল লাগে।

সেই কেউ হয়তো আনবে তার জন্য রূপোর কাঁকন।
হাতে সেই রূপোর কাঁকন পড়ে কাঁকন যে হয়ে উঠবে সত্যিকার কাঁকন। কাজল চোখের এই টানা চোখ আবারও চেয়ে থাকে কোনো এক ভোর বেলায়, কাঁচের চূঁড়ির রিনিঝিনি শব্দ তুলে হাত বাড়ায় কুয়াশাকে ছুঁয়ে যাবার। শীতের সেই ঠান্ডা বাতাস হাত ছুঁয়ে যায় কাঁকনের। প্রকৃতি অদৃশ্য এক কাঁকন এঁকে যায় কাঁকনের সেই চূঁড়ি পড়া হাতে।


[ সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা ]

 *******************************************************************************
                                                                 গল্পের আড়ালের কথা
 *******************************************************************************

কাঁকন আফরিন।
আজ(২৫ ডিসেম্বের) কাঁকনের জন্মদিন।
http://www.facebook.com/profile.php?id=100002263999377

কাঁকনের বড় ভাই নেই। আমাকে বসিয়ে দিলো সেই শূণ্যস্থানে।
তবে সে জানেনা যত না খুশি হয়েছিল সে, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলাম আমি। আমি ছোট ভাই বোনদের প্রতি সবসময়ই একটু দুর্বল। এদের আবদারকে অগ্রাহ্য করবার মতো সাহস আমার নেই। তার চাহিদা ছিল একটি সত্য ঘটনা নিয়ে যেন গল্প লিখি, প্রধান চরিত্র যেন হয় তার নামে। তাই এই গল্পের প্রধান চরিত্রটির নাম কাঁকন।

কাঁকন, তুমি নিজেও জানো না যে, আমার এক বড় বোনের নামও কাঁকন।
তার যখন বাচ্চা হয়, আমি তখন দেশের বাইরে। এর ৪ মাস পর যখন দেশে আসি, তখন জানতে পারলাম বাচ্চাটির শেষ মূহুর্ত চলছে। ৩৮ ঘন্টা যাত্রা করে দেশে আসি আমি। খবরটা শুনে কোনো বিশ্রাম না নিয়ে আমি এয়ারপোর্ট হতে ছুটে গিয়েছিলাম সরাসরি হাসপাতালে। সেই ছোট্ট পরীটার জন্য তখন রক্তের প্রয়োজন। আমি সাথে সাথে রক্ত দিতে প্রস্তুত হই। ডাক্তাররা নিষেধ করা সত্যেও আমার জেদের কাছে হার মানে। যদি সেই বাচ্চাটি ছিল আমার বোনের জীবনের অমূল্য কাঁকন। এরপর কি হয়েছিল জানো?

আজ যখন এই গল্পটি লিখছি, আমার সেই ছোট্ট ছয় বছরের পরীটা বারবার আমাকে জ্বালিয়ে যাচ্ছিলো। সে এখন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ।
আমার বোন এসে মনিটরের দিকে তাকিয়ে বললেন যে, আমি কাঁকন শব্দ দিয়ে কি লিখি। জানালাম তোমার কথা।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল তোমাকে।
বাস্তবতা অনেক নির্মম আপু, তবু এই নির্মমতাকে যেন দূরে ঠেলে দিয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষণ আনন্দময় করে তুলতে পারো এই কামনাই রইল।
শুভ জন্মদিন কাঁকন।


লিখেছেন- Daif MD Samrat 
FB ID- Daif MD Samrat