Saturday, May 13, 2023

যখন আল্লাহ পাক কোন বান্দাকে ধ্বংস করতে ইচ্ছা করেন, তখন তার মধ্যে তিনটি অবস্থার সৃষ্টি করেন।

যখন আল্লাহ পাক কোন বান্দাকে ধ্বংস করতে ইচ্ছা করেন, তখন তার মধ্যে তিনটি অবস্থার সৃষ্টি করেন। যেমন-
(১) তাকে ইলম দান করেন, কিন্তু তদনুযায়ী আমলের তাওফীক প্রদান করেন না।
(২) নেককারদের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ দান করেন, কিন্তু তাদের মর্যাদা অনুধাবন শক্তি এবং তাদের সম্মান অন্তর থেকে ছিনিয়ে নেন।

(৩) নেক কাজ করার সুযোগ দেন কিন্তু এখলাস থেকে বঞ্চিত রাখেন । আর এটি বদনিয়ত এবং আত্মার অপবিত্রতার ফলেই হয়ে থাকে। অন্যথায় যদি নিয়ত ঠিক হয়, তা হলে ইল্‌ম থেকে ফায়দা এবং আমলের মধ্যে এখলাস ও বুযুর্গের মর্যাদা ও সম্মানের অনুধাবন অবশ্যই হবে।

সূত্রঃ তাম্বীহুল গাফিলিন, পৃষ্ঠা ৫

ঝড় বৃষ্টি সংক্রান্ত দুয়া:

ঝড় বৃষ্টি সংক্রান্ত দুয়া: 

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখলে পড়বে

اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا اُرْسِلَ بِهٖ.

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট ঐ সকল অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি, যাকে এ মেঘ বহন করে এনেছে। (মুসলিম হাদীস নং-৮৯৯)

অতঃপর বৃষ্টি হওয়ার সময় পড়বে

اَللّٰهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا.

অর্থঃ হে আল্লাহ! (এ বৃষ্টিকে) কল্যাণকর, বরকতপূর্ণ এবং উপকারী বানিয়ে দিন। (ইবনে মাজাহ হাদীস নং-৩৮৮৯/ আবু দাউদ হাদীস নং-৫০৯৯)

বেশী বৃষ্টি হলে পড়বে

اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا

অর্থঃ হে আল্লাহ! এ বৃষ্টি আমাদের আশপাশে (যেখানে প্রয়োজন) বর্ষণ করুন এবং আমাদের উপর বর্ষণ করবেন না। (বুখারী হাদীস নং-১০২০/ মুসলিম হাদীস নং-৮৯৭)

প্রচণ্ড ঝড়-বাতাস বইতে শুরু

اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْاَ لُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيْهَا وَخَيْرَ مَا اُرْسِلَتْ بِهٖ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَشَرِّ مَا اُرْسِلَتْ بِهٖ.

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এই বাতাসের কল্যাণ ও এর মধ্যে যা আছে তার কল্যাণ এবং যা সহ তা প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ চাচ্ছি। আর আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (মুসলিম হাদীস নং-৮৯৯)

মেঘের গর্জন শুনলে পড়বে

اَللّٰهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذٰلِكَ

অর্থঃ হে আল্লাহ! দয়া করে আপনি আমাদেরকে আপনার গযবের দ্বারা মৃত্যু দিবেন না এবং আপনার আযাব দ্বারা ধ্বংস করবেন না। বরং এর পূর্বেই আমাদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তা দান করুন। (মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-৫৭৬৩/ তিরমিযী, হাদীস নং-৩৪৫০)