Wednesday, May 5, 2021

তারাবীহ নামাযে প্রতি চার রাকাআত অন্তর অন্তর ‘সুবহানা যিল মুলকে ওয়াল মালাকূতে..এ দুআটি নিয়ম করে পাঠ করা বিদআত

 No photo description available.

 তারাবীহ নামাযে প্রতি চার রাকাআত অন্তর অন্তর ‘সুবহানা যিল মুলকে ওয়াল মালাকূতে..এ দুআটি নিয়ম করে পাঠ করা বিদআত
-----------------
প্রশ্ন : তারাবীর নামাজে প্রতি ৪ রাকআত পর, “সুবহানা যিল মুলকি....মর্মে যে দোয়াটি পড়া হয় তা কি সহীহ?

উত্তর:
অনেক মসজিদে দেখা যায়, তারাবীহ নামাযের প্রতি চার রাকাত শেষে মুসল্লীগণ উঁচু আওয়াজে ‘সুবহানা যিল মুলকে ওয়াল মালাকূতে…” দুআটি পাঠ করে থাকে। এভাবে নিয়ম করে এই দুয়া পাঠ করা বিদআত। অনুরূপভাবে এ সময় অন্য কোন দুআ এক সাথে উঁচু আওয়াজে পাঠ করাও বিদআত। কারণ, এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন সহীহ হাদীস নেই। বরং নামায শেষে যে সকল দুআ সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে সেগুলো পাঠ করা সুন্নত। যেমন, তিনবার আস্‌তাগফিরুল্লাহ”, একবার আল্লাহুম্মা আন্‌তাস সালাম ওয়ামিন্‌কাস সালাম, তাবারাক্‌তা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকারাম” ইত্যাদি। এ দুয়াগুলো প্রত্যেকেই চুপিস্বরে নিজে নিজে পাঠ করার চেষ্টা করবে।
আল্লাহ তাআলা বিদআত থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

 

রামাযান মাসে হায়েয এসে গেলে করণীয় ও বর্জনীয় আমল কি কি?

 May be an image of text that says 'রামাযান মাসে হায়েয এসে গেলে করণীয় ও বর্জনীয় আমল কি কি?? উত্তর আব্দুল্লাহিল হাদী বিন প্রদানে:- আব্দুল জলীল'

 প্রশ্ন: রামাযান মাসে হায়েয এসে গেলে করণীয় ও বর্জনীয় আমল কি কি?
-----------------
উত্তর:
হায়েয অবস্থায় একজন মহিলার জন্য যে সকল কাজ করা বৈধ নয় সেগুলো হল:
🔹 একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কুরআত তিলাওয়াত করা বা আবরণ ছাড়া কুরআন স্পর্ষ করা
🔹 কাবা  তাওয়াফ
🔹 মসজিদে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা
🔹 স্বামীর সাথে সহবাস করা
🔹 সালাত ও সিয়াম। সালাত কাজা করার প্রয়োজন নাই তবে সিয়ামগুলো পরবর্তীতে কাজা করা আবশ্যক।
এ ছাড়া যত প্রকার ইবাদত আছে সবই করা জায়েয আছে। যেমন: কুরআনের তাফসীর পড়া (তবে কুরআনে মূল টেক্সগুলো পড়া যাবে না), হাদীসের বই পড়া, ইসলামী বই-পুস্তক পড়া, ইসলামী জ্ঞানার্জন করা, কুরআন তিলাওয়াত শুনা, ইসলামী আলোচনা শুনা, দুআ ও যিকির সমূহ পাঠ করা। এমন কি দুআ ও যিকির হিসেবে বা রুকিয়া (ঝাড়ফুঁক) এর প্রয়োজনে কুরআনের আয়াত ও সূরা (যেমন সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস, আয়াতুল কুরসী ইত্যাদি) পড়াও জায়েয আছে।
--------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব