Thursday, April 29, 2021

আদাবুল ইফতা ওয়াল ইস্তিফতা

 

আদাবুল ইফতা ওয়াল ইস্তিফতাঃ বেহুদা প্রশ্ন করতেও নেই এসব প্রশ্নের জবাবও দিতে নেই! বরং সতর্ক করতে হবে।

................................................................................
হাকীমুল উম্মাহ আশরাফ আলী থানভী (রহিমাহুল্লাহ) মুফতী উত্তর দিতে গিয়ে যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখবেন তার ব্যাপারে বলেন-
١- حتى الإمكان جواب ميں توقف نہ کرے-
১) উত্তরের ক্ষেত্রে যথা সম্ভব চেষ্টা করবে যাতে উত্তরে দেড়ি না হয় বা ঝুলিয়ে না রাখা হয়।
٢- لا یعنی سوال کا جواب نہ دے، بل کہ سائل کو متنبہ کردے-
২)বেহুদা ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর দিবেনা,বরং প্রশ্ন কারীকে এ ব্যাপারে সাবধান করবে।
٣- اگر سوال محتمل دو صورتوں کو ہو، تو تشقیق سے جواب نہ دے، کیونکہ بعض اوقات سائل دونوں شقوں کا حکم سن کر ایک شق کو اپنے مفید مطلب سمجھکر سوال میں اسی کا دعوٰی کرنے لگتا ہے، جس کی وجہ سے سائل کا یا اس کے مقابل ضرر دینی یا دنیوی ہو جاتا ہے-
৩)যদি (১টি)প্রশ্নে দু'টি ভিন্ন বিষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে তাশক্বীকের দ্বারা (অর্থাৎ উভয় অবস্থার প্রেক্ষিতে কিরুপ বিধান হবে সেই পদ্ধতিতে) জবাব দিবেনা। কেননা মাঝে মাঝে প্রশ্নকর্তা দু'টি মতের হুকুম শুনে নিজের সুবিধামত বুঝকে প্রাধান্য দিয়ে উক্ত প্রশ্নে তারই দাবী করতে থাকে। যার কারনে প্রশ্নকর্তার বা তার বিপরীতে দ্বীনী বা দুনিয়াবী ক্ষতি সাধন হয়।
٤- عامی کو دلیل بتلانے کا التزام نہ کرے، کہ اکثر اس کے فہم سے خارج ہوگی-
৪) সাধারণ প্রশ্নকারী কে (তত্ত্বীয়) দলিল দেওয়া জরুরী মনে করবে না, কেননা অনেক সময় এসব দলিল তার বুঝে আসবেনা (মাথার উপর দিয়ে যাবে!)।
٥- ہاں دوسرے علما مصححین کی سہولت کے لیے اگر دلیل کی طرف اشارہ کردے یا کوئی عبارت بلا ترجمہ نقل کردے، مستحسن ہے-
৫) তবে, অন্যান্য হক্কানী আলেমদের (বুঝার) সহজতার জন্য দলিলের দিকে ইশারা করে দেওয়া (অর্থাৎ রেফারেন্স উল্লেখ করে দেওয়া) কিংবা কোন (কিতাবের) ইবারত অনুবাদ না করে উল্লেখ করে দেওয়া উত্তম।
٦- اگر قرائن سے معلوم ہو کہ سائل غائب اس تحریری جواب کو اچھی طرح نہ سمجھے گا، یا سمجھنے میں غلطی کرےگا، جواب لکھکر لکھدے کہ کسی عالم سے اس جواب کو زبانی حل کرے-
৬) যদি কোন ভাবে বুঝা যায় এই প্রশ্নের অনুপস্থিত প্রশ্নকর্তা এই বিষয়ে প্রদত্ত উত্তর ভাল করে বুঝবেনা, অথবা ভুল বুঝবে। তখন (মুফতী) এই জওয়াব লিখে দিবে যে, কোন আলেমের নিকট সরাসরি গিয়ে মুখ থেকে এর জওয়াব জেনে নিন।
٧- اگر قرائن سے معلوم ہو کہ سوال برائے تعنت ہے، جواب نہ دے، غرض اہل سے دریغ نہ کرے، نہ اہل کو منہ نہ لگادے-
৭) যদি কোন ভাবে বুঝা যায় এই প্রশ্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়েছে (তথা প্যাচ লাগানোর জন্য করা হয়েছে), তখন এর জবাব দিবেনা। যাতে যাদের উদ্দেশ্য করা হয়েছে তাদের সাথে ঝগড়া ফাসাদ তৈরি না হয়।
.
[ইসলাহ ইনক্বিলাবে উম্মাত, থানবীঃ২৩]

No comments:

Post a Comment