Tuesday, May 7, 2013

একটি অসংজ্ঞায়িত ঘটনা [Ghost Stories-41]


একটি অসংজ্ঞায়িত ঘটনা 


by: Mdsumon Ahmed 


আমি সুমন,ঘটনাটা সিলেটের লীডিং ইউনির্ভাসিটির একজন প্রফেসর এর কাছ থেকে শুনা। তিনি আমাকে যে ভাবে বলেছেন আমি সেভাবেই লিখছি।

ঘটনাটা সিলেটের হরিপুর নামক জায়গার।আমাদের বাসায় একটা জ্বীন এর পরিবার বাস করে।ঘটনাটা প্রথম জানা যায়,আমার চাচাতো বোনের বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়,আমার বোনের একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ের কথা হচ্ছিল আরেক জনের সাথে।সে দিন তাকে দেখতে ছেলে পক্ষ এসেছিল। ছেলের বাবা যখন কথা বলছিল তখন মেয়ে কে জিগ্যাসা করল যে মেয়ের এই বিয়েতে মত আছে কি না?তখন মেয়েটা কোন কথা বলে নাই। তারা মনে করে যে মেয়ের মত আছে এবং তারা মেয়েকে চলে যেতে বলল। ঠিক তখনই মেয়েটা পুরুষ মানুষের গলায় বলল যে ঝুমার(মেয়েটার নাম) এই বিয়েতে মত নেই,তোমরা চলে যাও।এই বলে মেয়েটা চলে গেল।লোকগুলো মেয়েটার বিষয়ে নানা রকম বাজে কথা বলতে লাগে।তার পরই তারা দেখতে পায় একটা বিরাট বড় সাপ যা কিনা তাদের তাড়া করতেছিল এবং তাদের কে বাহির করে দিলো। 

তারা চলে যাওয়ার পর আমার চাচা একজন ইমাম সাহেব কে নিয়ে আসেন যে কিনা এইসব বিষয়ে কাজ করে থাকেন ও তার কাছে কিছু জ্বীন ছিল।তিনি তার জ্বীন কে আদেশ করলেন বিষয়টা কি জানার জন্যে।অনেক্ষণ পর জবাব আসে,এটা কিছু জ্বীনের কাজ তবে জ্বীন টাকে নিয়ে আসা তার পক্ষে সম্ভব না।হয়তো অনুরোধ করলে আসতে পারে।তিনি ঐ মেয়েটাকে নিয়ে আসতে বললেন। মেয়েটা আসার পর মেয়েটা কে বললেন তুমি কি কিছু জান।মেয়েটা না বলল।তখন ঐ হুজুর জ্বীন টাকে আসার জন্যে অনুরোধ করলেন।তখন মেয়েটার গলা বদলে পুরুষ মানুষের গলায় বলল কে আমাকে ডেকেছিল,ইমাম সাহেব সালাম দিলেন ও বললেন আমি ডেকেছি,আপনি কে?সে বলল আমি(নাম
টা মনে নাই)আমরা এখানে থাকি অনেক বছর থেকে।আমার পরিবারের সবাই থাকে এখানে।এই মেয়েটা আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছে যে এইখানে যেন তার বিয়ে না হয়।আমরা তাকে সাহায্য করেছি,আর কিছু না।হুজুর বললেন আপনারা কি এখান থেকে চলে যাবেন।সে বলল আমরা কোথায় যাবো আমাদের সবাই এখানে থাকে।আমরা তো আর
কারো যায়গায় গিয়ে থাকতে পারবো না। এইভাবে অনেক সময় কথা কাটাকাটি হওয়ার পর ঠিক হলো তারা এখানেই
থাকবে তবে কারো কোন রকম ক্ষতি করবেনা।তারপর হুজুর চলে যান এবংপরেমেয়েটা অঞ্জান হয়ে যায়।

কবরের অভিজ্ঞতা অর্জন [Ghost Stories - 40]



◄► কবরের অভিজ্ঞতা অর্জন ◄►



কবরের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গিয়ে এক কম্পিউটার প্রোগ্রামারের মৃত্যু কবরে কেমন লাগে? এ অভিজ্ঞতা লাভ করতে চেয়েছিলেন রাশিয়ার এক কম্পিউটার প্রোগ্রামার। এ জন্য নিজেই জোগাড় করেন কফিন। বাতাস চলাচলের জন্য ওই কফিনে একটা ফুটো করে পাইপ ঢোকানো হয়। মনের জোর ও ধৈর্যশক্তি পরীক্ষা করতে এক বোতল পানি, কম্বল আর মুঠোফোননিয়ে কফিনের ভেতর ঢোকেন তিনি। তাঁরই এক বন্ধুর বাগানে খোঁড়া কবরে রাতের আঁধারে নামানো হয় ওই কফিন। পরে অন্তত আট ইঞ্চি নিচে কফিনটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়। ভেতর থেকে মুঠোফোনে ওই
ব্যক্তি জানান, ভালো আছি বন্ধু। সব ঠিক আছে। তাঁকে শুভরাত্রি জানিয়েঘরে ফিরে গেলেন বন্ধু।

কম্পিউটার প্রোগ্রামারের (৩৫) সেই বন্ধু জানান, সকালে কফিন খুলে দেখা গেল, আমার বন্ধু আর বেঁচে নেই। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ব্যাগোভেসচেনস্ক শহরে এ  ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার ওই বন্ধুর বরাত দিয়েই আলেক্সেল লুবিনস্কি নামের এক তদন্ত কর্মকর্তা এএফপিকে এসব তথ্য জানান।

তদন্ত কর্মকর্তা লুবিনস্কির ধারণারাতে ঝড়োবৃষ্টির একপর্যায়ে হয়তো কফিনে বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতেই এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছেইন্টারনেটে নানা লেখা পড়েই ওই ব্যক্তি কফিনে ঢুকে কবরের  অভিজ্ঞতা লাভের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন।