Tuesday, May 7, 2013

ইমতিয়াজ [Ghost STories-43]


আমি ইমতিয়াজ রাজশাহী ইউনিভার্সিটি থেকে । ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে এম এ কম্প্লিট করেছি ।আমি যখন ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হই তখন মেসে ছিলাম । আমার মেসের এক বড় ভাই আমাকে একদিন বললেন যে এই মেসটাই একটু প্রবলেম আছে আমি বললাম কি ধরনের প্রবলেম । তিনি বললেন পরে বুঝতে পারবা ।এখন বললে বিশ্বাস করবা না তবে একটু সাবধানে থেকো । আমি বরাবরই ভূত বিশ্বাস করতাম না । একদিন ফ্রেন্ডরা মিলে রাত তিনটা পর্যন্ত কার্ড খেলছিলাম । খেলা শেষ হয়ে যখন টয়লেটে গেলাম তখন পানি পড়ার শব্দ পেলাম । ভাবলাম হয়ত কেউ টয়লেটে আছে ।তাই অপেক্ষা করতে থাকলাম ।বেশ কিছুক্ষন পর যখন কেউ বের হলো না তখন আমি দরজায় নক করে জিঞ্জাসা করলাম ভিতরে কে?সাথে সাথে পানি পড়ার শব্দ থেমে গেল ।

দরজা ধাক্কা দেওয়ার ফলে দরজা খুলে গেল ।আমি অবাক হলাম কারন এতক্ষন পানি পড়ার শব্দ হয়ছে সেটা আমি স্পষ্ট শুনেছি কিন্তু টয়লেটটা পুরোপুরি শুকনা ছিল । আশেপাশে আর কোন পানির ট্যাপ ছিল না যেখান থেকে শব্দটা হতে পারে !


আমি ব্যাপারটা গুরুত্ব না দিয়ে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম ।যখন তন্দ্রা এল তখন আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম কে যেন কাদছে । আমি সিঙ্গেল রুমে থাকতাম । কিছুটা ভয় পেয়ে পাশের রুমের বড় ভাইকে ডেকে তুললাম ।যে ভাই একদিন আমাকে সাবধান করে দিয়েছিলেন । তিনি বললেন সেই রাতে তার সাথে ঘুমাতে ।রাতে ভাল ঘুম হলো না ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নদেখলাম সকালে ভাই বললেন আমি যে রুমটায় থাকি সেই রুমে একটা ভাই ২বছর আগে থাকতেন ।কোন একটা কারনে তিনি সুইসাইড করেন । তারপর থেকে ঐ রুমে আর কেউ থাকে না ।২বছর পর আমিই নাকি ঐ রুমটাতে প্রথম উঠেছি ।তারপরও আমি ঐ রুমটাতে থাকতাম ।কিন্তু রাতে মাঝে মাঝে একটা হালকা এবং অদ্ভুত রকমের গন্ধ পেতাম ।মনে হতো কেউ একজন হয়তো আমার রুমে আছে ।প্রথম দিকে আমি এই ব্যাপারটা পাত্তা দিতাম না । ভাবতাম আমার মনের ভুল হয়তো । কিন্তু দেখা যেত হঠাত্ করে আমার টেবিল থেকে একটা মগ পড়ে গেল,একটা বই পড়ে গেল ।একদিন রাতে কার্ড খেলা শেষ করে রুমে দরজা বন্ধ করে কেবল মাত্র শুয়েছি সাথে সাথে আমার রুমের দরজা খুলে গেল ।আমি  আবার উঠে বন্ধ করে যখন আবার শুলাম তখন আবার দরজা খুলে গেল ।


আমি রুমে থাকতে পারলাম না । পাশের রুমের বড় ভাইয়ের সাথে সেই রাতটা কাটিয়ে দিলাম ।পরদিন মেস চেন্জ করে অন্য মেসে চলে গিয়েছিলাম


[ইমতিয়াজের ব্যাখ্যা--মানুষ হয়তো মারা যায় কিন্তু তার আত্মা কখনও মরেনা (~তার এখন বিশ্বাস হয়~)আত্মা কখনও সরে যায় না,হয়তো আমাদের চারপাশে থাকে]

■এক রিকশাওয়ালা■ [Ghost Stories-42]



এক রিকশাওয়ালা 



ঘটনাটি আমার এক বড় ভাই আনিসের কাছ থেকে শোনা।ঘটনাটি ঘটেছিল জামালপুরে ।জামালপুরে একজন রিক্সাচালক ছিল ।সে অতিরিক্ত ইনকামের জন্য রাতের বেলা বেশিরভাগ সময় রিক্সা চালাতো ।কারন রাতের বেলা ভাড়াটা বেশি পাওয়া যায় বা দূরের যাত্রি পাওয়া যায় যেহুতু সেখানেরেলস্টেশন আছে ।একদিন সে রেলস্টেশনে দাড়িয়ে আছে ।আর কোন রিক্সাওয়ালা তেমন একটা নাই ।অনেক রাত ।একটা লাস্ট ট্রেন যেটা আসবে সেটা ২ঘন্টার মত দেরী করে ফেলছে ।হঠাত্ ট্রেনটি আসল এবং একজন মাত্র প্যাসেন্জার নামল ।লোকটা স্যুট,বুট পড়েছিল এবং হাতে ছিল একটা ব্রিফকেস । লোকটা এসে রিক্সাওয়ালাকে বলল যাবা ।রিক্সাওয়ালা বলল যাবো,কোথায়?লোকট া বলল আমি যেদিকে বলবো সেদিকে চলো । রিক্সাওয়ালা চালাচ্ছে । চালাতে চালাতে জামালপুরের সবচেয়ে বড় যে কবর স্থানটা সেখানে গেল ।সাধারনত কবরস্থানের গেটে বিশাল বড় একটা তালা থাকে ।লোকটা যখন গেটের সামনে গিয়ে দাড়াল তালাটা autometic খুলে গেল ।

রিক্সাওয়ালা তখন এই দৃশ্য দেখতেছে ।লোকটা ভেতরে চলে গেল অনেকক্ষন পরে সে হাতে করে কিছু একটা নিয়ে আসতেছে । কাপড়ে ঢাকা একটা ছোটখাট লাশ এই টাইপের কিছু একটা নিয়ে আসতেছে । তো সে রিক্সার কাছে আসল এবং রিক্সাওয়ালাকে বলল আমাকে যেখান থেকে নিয়ে আসছো সেখানে চলো । রিক্সাওয়ালা তাকে নিয়ে প্যাডেল করতেছে খুব ভয়ে ভয়ে । পেছনে সে শব্দ শুনতেছে হাড চাবাই চাবাই খেলে যে শব্দটা হয় সেরকম এবং কিছু ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে এরকম শব্দ সে শুনতেছে ।সে ভয়ে হোক যেভাবেই হোক সে আবার স্টেশনে পৌছাতে পারছিল ।পৌছানোর পর লোকটা বলল এতক্ষন যা দেখলা বা শুনলা এটা কাউকে কখনও বলবা না আর তোমাকে কত ভাড়া দেব রিক্সাওয়ালা কিছু বলে নাই এবং তার হাতে একটা তামার পয়সা দেয়া হয় ।ঐ ট্রেনটি তখনও ওখানে এবং যে স্টেশন মাস্টার সেও সেখানে নাই । পরে জানা গেছে ঐদিন নাকি ট্রেন  ধর্মঘট ছিল ।তারপর রিক্সাওয়ালা সেন্সলেস হয় ।সকাল বেলা আশেপাশের যে রিক্সাওয়ালা ছিল এসে দেখে সে সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে ।সারারাত বৃষ্টি হওয়ায় সে বৃষ্টিতে ভেজা । পরে রিক্সাওয়ালা ঘটনাটি তার বউ এর সাথে শেয়ার করে । কথাটি শুনে আগ্রহ হয়ে এগিয়ে যায় আশেপাশের লোকজন ।কথাটা যখন সে শেষ করছে এবং পয়সাটা দেখায়ছে তখন সে হঠাত্ করে এব নরমালের মত হয়ে গেল এবং তার নাকে মুখে রক্ত উঠে মারা যায় সাথে সাথে ঐ জায়গায় ।ঐ পাড়ার লোকজন এ ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখছিল ।

 উত্সঃ ভুত এফ এম।