Wednesday, February 25, 2015

যৌনতা সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর (Sexual Queries)




পুরুষের যৌনবিষয়ক নানা প্রশ্ন মনে আসে, সেসবের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিচে তুলে ধরা হলো।
প্রশ্নঃ কি করে প্রথম হস্তমৈথুন বিষয়ে ধারণা পায়?
উত্তরঃ শিশু বয়সে লিঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়। তখন সে দেখতে পায় নাড়াচাড়া করলে লিঙ্গ শক্ত হয়। বয়ঃসন্ধিকালে নাড়াচাড়া করার সময় হঠাৎ বীর্যপাত হয়। এটা বিস্ময়ের জন্ম দেয়। বীর্যপাতে সুখানুভূতি হয়। পরবর্তীতে হঠাৎ পাওয়া জিনিসটাকে সে নিজের ইচ্ছাধীন করে ফেলে এবং ইচ্ছামতো বীর্যপাত ঘটায়।
প্রশ্নঃ আমি যখন হস্তমৈথুন করি তখন বীর্য গড়িয়ে গড়িয়ে বের হয়। ৪-৫ ফোঁটা বের হয়। এটা কি কোনো সমস্যা?
উত্তরঃ এভাবে বীর্যপাত অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে যদি মনে হয় লিঙ্গে কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখানো ভালো। বীর্যের পরিমাণ বিভিন্ন রকম হয়, সাধারণত এটা ১ চা চামচের মতো। তবে কারো কারো এর বেশি বা কম থাকতে পারে।
প্রশ্নঃ লিঙ্গের গোড়ার চুল শেভ করে ফেলে দিলে আবার গজাতে কতদিন লাগে? আমি লক্ষ্য করছি হস্তমৈথুন শুরু করার পর থেকে আমার লিঙ্গের গোড়ায় চুল কমে যাচ্ছে।
উত্তরঃ চুল আবার গজাতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। হস্তমৈথুন করলে ওই চুল পড়ে যায় না। একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো। অন্য কোনো রোগের কারণে চুল পড়ে যাচ্ছে কি না তিনি নির্ণয় করতে সাহায্য করবেন।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ২২ বছর। আমি যৌনসঙ্গম করিনি এর আগে। তবে বর্তমানে সঙ্গম করার পর আমার লিঙ্গ খুব ছোট হয়ে যায়। লিঙ্গ বড় ও দীর্ঘ করার জন্য কোনো রকম ব্যায়াম আছে কি না। আমি কোনো ওষুধ বা পিল ব্যবহার করতে চাই না।
উত্তরঃ ভয় পাবেন না। এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য কোনো ওষুধ, পিল বা ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই।
প্রশ্নঃ লিঙ্গ কতটা চওড়া হওয়া উচিত?
উত্তরঃ এ বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কোনো গবেষণা হয়নি। ফলে লিঙ্গের পরিধি কতটা হলে স্বাভাবিক তা বলা হয়নি কোথাও। যেহেতু লিঙ্গের পরিধির মাপ সঠিক হয় না এবং লিঙ্গের বিভিন্ন স্থানে এর মাপ বিভিন্ন রকম তাই এ নিয়ে যা কিছু বলা হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি করা হয়নি। লিঙ্গ যখন শক্ত হয় তখন লিঙ্গ মুণ্ডের চামড়া আমি টেনে পেছনে আনতে পারি না, এটা কি কোনো সমস্যা?
উত্তরঃ চিন্তা করার মতো কিছু নয়। চামড়াটা ধীরে ধীরে গোড়ার দিকে টানতে টানতে একসময় পুরোপুরি পেছনে চলে আসবে। তবে খুব জোরাজুরি করলে রক্ত পড়বে এবং ব্যথা করবে। সুতরাং জোরাজুরি না করাই ভালো। তবে Phimosis নামে একটা অসুখ আছে যে ক্ষেত্রে ওই চামড়া পেছনে আসে না। তখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো।
প্রশ্নঃ যখনই আমি রোমান্টিক অনুভূতি পাই তখনই আমার লিঙ্গ শক্ত হয়। আমি যৌনসঙ্গম করিনি এখনো, তাহলে এর অর্থ কি?
উত্তরঃ কোনো রোমান্টিক কিছু চিন্তা করলে লিঙ্গ শক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ হলে এটাই স্বাভাবিকভাবে হয়।
প্রশ্নঃ মানুষের সামনে হস্তমৈথুন করলে আমি চরম উত্তেজনা অনুভব করি। আমার মধ্যে পরপর ওই স্বভাবটা খুব বেড়ে যাচ্ছে। আমার কেন এরকম হচ্ছে। আমি কোনো সমস্যায় ভুগছি?
উত্তরঃ Exibitionism নামে একটা অসুখ আছে যে অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তি তার নিজের গোপন অঙ্গ অন্য মানুষকে দেখানোর মধ্যে তীব্র আনন্দ খুঁজে পায়। এটি Paraphilia নামেও অভিহিত। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমি পুরুষ সমকামী। কিন্তু আমি স্বাভাবিক হতে চাই, কিভাবে হতে পারি?
উত্তরঃ মনের বর্ধন অভিজ্ঞতা, অপরের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে যৌন স্বভাব গড়ে ওঠে। কার যৌন স্বভাব কী হবে তা ঠিক তাই বলা যায় না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমি আমার বুকে নিয়ে যৌন কল্পনা করি। এটার মানে কি আমি সমকামী?
উত্তরঃ সবসময় তা নয়। চিন্তা করলেই সমকামী হয় না।
প্রশ্নঃ ডুশ ব্যাগ কি জিনিস?
উত্তরঃ যোনিপথের ময়লা পরিষকারের সময় ডুশ দেয়ার পর যে ময়লা পদার্থ বের হয় তা সংগ্রহ করার জন্য যে ব্যাগ রাখা হয় তাকে ডুশ ব্যাগ বলে। তবে অল্পবয়স্ক ছেলেরা একে অন্যকে গালি দেয়ার জন্য শব্দটা ব্যবহার করে থাকে।
প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সময় আমার বাবী যখন ওপরে থাকে তখন তার যোনি থেকে আধা কাপ থেকে এক কাপ পরিমাণ রসক্ষরণ হয়। এটার মানে কি সে খুব উপভোগ করছে? নাকি বীর্যপাত?
উত্তরঃ হ্যাঁ, যৌনসঙ্গমের সময় রসক্ষরণ হয় বা ইজাকুলেশন হয়।
প্রশ্নঃ একটা মেয়ে WET বলতে কী বোঝানো হয়?
উত্তরঃ যৌন উত্তেজনা হলে মেয়েদের যোনিপথে রসক্ষরণ হয়। এটা সঙ্গমকে সহজতর করে- যোনিপথ পিচ্ছিল করে।
পুরুষ শরীর ও লিঙ্গবিষয়ক প্রশ্ন
প্রশ্নঃ আমি গত ৩ সপ্তাহে হস্তমৈথুন করিনি। আমি যখন বাবীর সাথে সঙ্গম করি তখন প্রচুর পরিমাণে বীর্য বের হয় এবং আমার খুব ভালো লাগে। দীর্ঘদিন বীর্যপাত না হলে কি এমন হয়?
উত্তরঃ হ্যাঁ। তবে নির্দিষ্ট সময় পরে অতিরিক্ত বীর্য শরীরের ভেতরেই নিষিক্রয় ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এটাই স্বাভাবিক শারীরিক ঘটনা।
প্রশ্নঃ আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে হস্তমৈথুন করিনি। আমরা কাল বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করব। কোন ভঙ্গিতে যৌনসঙ্গম করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বীর্য ধরে রেখে পরে সঙ্গম করলে কি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে?
উত্তরঃ পূর্ণ মাত্রায় বীর্য তৈরি হতে ২৪-৭২ ঘণ্টা সময় লাগে। যে কোনো ভঙ্গিতে সঙ্গম করলেই হয়। তবে যদি গর্ভবতী না হন এবং বারে বারে এরকমই হতে থাকে সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ২১ বছর। সপ্তাহে ১ বার আমি হস্তমৈথুন করি। আমার ডান দিকের অণ্ডকোষ বেশি নিচে ঝুলে পড়ে ও বেশ বড়। এটা কি স্বাভাবিক?
উত্তরঃ অণ্ডকোষ দুটোর একটি বড় হয়। একটি অণ্ডকোষ অন্যটি থেকে নিচের দিকে থাকে। এটা স্বাভাবিক।
প্রশ্নঃ আমার সারা শরীরে লোমে ঢাকা। আমার বুদের মধ্যে এমন কারো নেই। এটা কি কোনো সমস্যা?
উত্তরঃ কার শরীরে কতটা লোম হবে তা বংশগত। লোম বেশি হলে যদি সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে লোম তুলে ফেলার ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমার এক পরিচিত ব্যক্তির Vas deferens (শুক্রনালী) নামের নলটি নেই, রোগটি ধরা পড়েছে। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাই।
উত্তরঃ Vas deferens বা শুক্রনালী থাকে না রোগটা একেবারেই দেখা যায় না- তবে হতে পারে। কারো কারো হাত হয় না, পা হয় না বা কিডনি ত্রুটিযুক্ত হয়, এ ব্যাপারটাও সেরকমই।
প্রশ্নঃ ঠাণ্ডা পানির সপর্শে লিঙ্গ কি শক্ত হতে পারে?
উত্তরঃ ধরাবাঁধা তেমন কোনো নিয়ম নেই। তবে লিঙ্গ শক্ত হতে পারে এমন কোনো চিন্তা সপর্শ ঘটলেই লিঙ্গ শক্ত হয়।
প্রশ্নঃ স্বপ্নদোষ কি আমার জানা নেই। আমার বয়স ৩২। এটা কেমন জানতে ইচ্ছে করে।
উত্তরঃ সাধারণত এ বয়সে পৌঁছানোর আগেই স্বপ্নদোষ শুরু হয়। আপনার হয়তো স্বপ্নদোষ হয়েছে, আপনি বুঝতে পারেননি। বীর্যপাত হয়তো হয়েছে কিন্তু বোঝেননি, কাপড়ে শুকিয়ে গেছে। সাধারণত এর জন্য কাপড়ে দাগ হতেও পারে, নাও হতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার একটি অণ্ডকোষ সঠিকভাবে নিচে নামেনি, কী করা উচিত? আমার বীর্যপাত হচ্ছে।
উত্তরঃ এ বিষয়ে শল্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ ঘটনাটা স্বাভাবিক নয়। এটিকে উপেক্ষা করা ঠিক না।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ মুণ্ডের ওপরে খয়েরি রঙের একটা ছাপ আছে। এটা অনেকদিন থেকে আছে। জ্বালাপোড়া বা ব্যথা করে না। এটা কি জন্ম দাগ হতে পারে।
উত্তরঃ হ্যাঁ। জন্ম দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
প্রশ্নঃ প্রস্টেট মালিশ Prostatate massage এর গুরুত্ব কি? কতবার কিভাবে এটা করা উচিত।
উত্তরঃ এটা করতেই হবে এমন কোনো বিষয় নয়। অনেকে যৌনসঙ্গমের সময় এটা করে থাকে। এর কোনো প্রয়োজন নেই। তবে কোনো কোনো অসুখে এটা করা হয় যেমন- ক্যান্সার বা বড় প্রস্টেটের ক্ষেত্রে। ডাক্তাররা এটা করে থাকেন। খুব অল্প সময় লাগে এতে।
প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি হয়নি। লিঙ্গের চামড়া পেছনে পুরোপুরি টানলে গোড়ার দিকে সাদা সাদা জমাট বাঁধা দলা দেখতে পাই। ধোয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তবুও ওগুলো সরে না। কী করব? আমি হস্তমৈথুন করি।
উত্তরঃ চামড়ার নিচে সাদা সাদা জিনিস স্বাভাবিকভাবে জমে, একে Smegma বলে। হস্তমৈথুন করলে এটা হয় না। ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ আছে কিন্তু অণ্ডকোষ নেই। কী করা উচিত?
উত্তরঃ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমার বয়স সাড়ে পনেরো বছর। আমার বগলে চুল গজায়নি, লিঙ্গের গোড়ায় চুল গজায়নি। আমার অণ্ডকোষ নেমে আসেনি। এ অবস্থায় কোনো মেয়ের সাথে সঙ্গম করলে কি সমস্যা হবে? আমার কী করা উচিত।
উত্তরঃ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ শক্ত হলে উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আমার মুখের দিকে। অনেক চেষ্টা করেছি নিচে নামানোর- নামে না। অনেকে বলে এরকম হলে সঙ্গম সম্ভব হয় না। আমার কি অপারেশন দরকার?
উত্তরঃ না। শক্ত হলে লিঙ্গ কখনো ঊর্ধ্বমুখী হয়, কখনো আনুভূমিক (Horizontal) হয়। কখনো নিম্নমুখী হয়। কখনো ডানে বা বামে বেঁকে যায়। এসবই স্বাভাবিক অবস্থায়। কোনো রোগ নয় এবং এতে সঙ্গমে কোনো সমস্যা হয় না। লিঙ্গের অবস্থান ও আকার অনুযায়ী সঙ্গমের পজিশন ঠিক করে নিতে হয়।
প্রশ্নঃ আমার ডান অণ্ডকোষ বামটি থেকে দ্বিগুণ বড়। এটা ছোট করা যায় কিনা।
উত্তরঃ সত্যি সত্যিই দ্বিগুণ বড় হলে ডাক্তার দেখানো উচিত।
প্রশ্নঃ আমার প্রস্টেটাইটিস রোগ ধরা পড়েছে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও আইবুপ্রফেন দিয়ে চিকিৎসা করেছি। কিন্তু লক্ষ্য করছি আমার বীর্য খুব আঠালো এবং দ্রুত স্খলন হয়ে যাচ্ছে। এটা কি শারীরিক না মানসিক সমস্যা?
উত্তরঃ ডাক্তার আপনাকে সাহায্য করতে পারেন এ ক্ষেত্রে। প্রস্টেট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করলে কি অণ্ডকোষ ঝুলে পড়ে?
উত্তরঃ না।
প্রশ্নঃ দ্রুত স্খলন কি মানসিক সমস্যা না শারীরিক সমস্যা।
উত্তরঃ দুটোই হতে পারে। মানসিক চিকিৎসায় সমাধান না হলে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করে দেখা যেতে পারে।
প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সময় আমার অদ্ভুত একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সঙ্গমের সময় আমি বীর্যপাতের সুখ অনুভব করি কিন্তু বীর্যপাত হয় না। প্রায় সবসময়ই হয় না, তবে এখন খুব ঘন ঘন হচ্ছে।
উত্তরঃ যদি বারেবারে এমন হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে কেউ কেউ ইচ্ছা করে লিঙ্গ মুণ্ড বা লিঙ্গের নিচের মূত্রনালী চেপে ধরে রাখে যাতে বীর্য না বেরিয়ে আসে।
প্রশ্নঃ বারে বারে অত্যধিক হস্তমৈথুন করার পর আমার অণ্ডকোষ ঝুলে পড়েছে এবং ওইভাবেই ঝুলে আছে। ঘটনাটা কি?
উত্তরঃ অণ্ডকোষ ঝুলেই থাকে কখনো কখনো খুব বেশি। এটা স্বাভাবিক। যত বয়স বাড়ে ততই তা ঝুলে পড়ে। অল্প বয়সে অণ্ডকোষ উপরে থাকে, খুব কম ঝোলে।
প্রশ্নঃ একবার বীর্যপাতের কতক্ষণ পর লিঙ্গ আবার শক্ত হয় ও সঙ্গমের জন্য তৈরি হয়?
উত্তরঃ যত বার বীর্যপাত হয় তার প্রতিবারেই লিঙ্গ শক্ত হওয়ার সময়টা বাড়তে থাকে। তবে ১০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট লাগে আবার শক্ত হতে। কারো কারো ২৪ গণ্টা লাগে।
প্রশ্নঃ আমার স্বামীর বয়স ২৭। ২ বছর ধরে চেষ্টা করছি গর্ভবতী হওয়ার জন্য কিন্তু পারিনি। তার কি শুক্রাণু সমস্যা আছে?
উত্তরঃ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শুক্রাণুর সংখ্যা ঠিক আছে না আপনার সমস্যা আছে এটা জানা যাবে।
প্রশ্নঃ Viagra কি?
উত্তরঃ ভায়াগ্রা একটা ওষুধ। যে লিঙ্গ শক্ত হয় না ভায়াগ্রা দিয়ে তা শক্ত করা হয়। এটাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে। পূর্ণ তৃপ্তিদায়ক সঙ্গম করতে লিঙ্গ যথেষ্ট দীর্ঘ সময় ধরে শক্ত থাকার প্রয়োজন হয়- যদি তা না হয় তাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে।
প্রশ্নঃ Levitra কি?
উত্তরঃ এটিও ভায়াগ্রার মতো অন্য একটা ওষুধ। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ আমার অণ্ডকোষ ১টি। আমি সন্তানের জন্ম দিতে পারব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, একটি অণ্ডকোষ থাকলেও সন্তান জন্ম দেয়া যায়।
প্রশ্নঃ কতদিন হস্তমৈথুন না করলে blue balls বা অণ্ডকোষ ব্যথা হয়।
উত্তরঃ ব্লু বল হলো অণ্ডকোষ ও তলপেটের ব্যথা যা হস্তমৈথুন না করলে হয়। এটার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। বিভিন্ন সময়ে এটা হতে পারে। তবে হলেও এটা বেশিদিন থাকে না- স্বপ্নদোষের মাধ্যমে শরীর একে ঠিক করে।
প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি হয়নি। লিঙ্গ শক্ত হলে লিঙ্গ মুণ্ডের চামড়া পেছনে গুটিয়ে আনা যায় না কিন্তু নরম হলে আগে কী করে আমি আনব?
উত্তরঃ শক্ত থাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে গোড়ার দিকে টানুন, আস্তে পুরো চামড়াটা গুটিয়ে আসবে।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুনের সময় আমার ডান অণ্ডকোষ ব্যথা করে। ডান কোষটি বেশ নিচে ঝুলে থাকে, এটা কি কোনো অসুখ।
উত্তরঃ অণ্ডকোষ একটা একটু নিচে থাকে। ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ জেগে থাকা অবস্থায় কোনো রকম যৌন উত্তেজনাকর জিনিসের কথা চিন্তা না করলে কি বীর্যপাত হয়?
উত্তরঃ হতে পারে একে Spontaneous ejaculation বলে। খুব বড় গাড়ি দুর্ঘটনার পর অনেকদিন বীর্যপাত না হলে সবঃযধসঢ়যবঃধসরহব খেলে মাদকসেবীদের চিকিৎসার সময় এরকম হতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার স্বামীর লিঙ্গ শক্ত হয় কিন্তু বীর্যপাত হয় না। কারণ কি?
উত্তরঃ মানসিক কারণ বা শারীরিক কারণ হতে পারে। তবে চেষ্টা ও মনোনিবেশ করলে বীর্যপাত হয়।
প্রশ্নঃ আমার কপালের দুপাশ থেকে চুল পড়ে যাচ্ছে। ঠিক টাক যাকে বলে তা হচ্ছে না। আমার মনে হয় মেয়েরা আমাকে অপছন্দ করবে, প্রতিকার কি?
উত্তরঃ নানা কারণে চুল পড়ে। স্কিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অনেক মেয়ে টাক পছন্দ করে-তারা মনে করে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী ও সৌভাগ্যবানদের টাক হয়। চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুনের সময় কি বীর্য নতুন করে তৈরি হতে থাকে?
উত্তরঃ হস্তমৈথুনের সময় বিশেষ আয়োজন করে শরীর বীর্যরস বা বীর্য তৈরি করে না।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন কি প্রস্টেট গ্রন্থির জন্য ভালো? বীর্যপাত ঘটলে কি এইচআইভি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়? বীর্যপাতে অধিক বীর্যক্ষয় হলে কি ক্ষতির কারণ। বীর্য খেলে কী হয়?
উত্তরঃ বীর্যপাত প্রস্টেট গ্রন্থির জন্য ভালো। বীর্যক্ষয় করা যায় না কারণ শরীরে সবসময় বীর্য তৈরি হয়। বীর্য ও এইচআইভি জীবাণুর মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। দৈনিক হস্তমৈথুনে ক্ষতি হয় না। বীর্য খেলে শরীরে কোনো পরিবর্তন হয় না।
প্রশ্নঃ আঠালো বীর্য ও পাতলা বীর্যের পার্থক্য কি?
উত্তরঃ শুক্রাণুকে বহন করে সিমেন নামে এক তরল পদার্থ। কারো সিমেন বেশি হয় কারো সিমেন কম হয়। সিমেন শুক্রাণুকে রক্ষা করে ও বহন করে। পার্থক্য শুধু সিমেনের পরিমাণ কম হলে আঠালো বেশি হলে পাতলা।
প্রশ্নঃ আমার অণ্ডকোষ দুটো প্রায়ই ব্যথা থাকে। ও দুটো হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করলেও ব্যথা করে। এটা কি কোনো অসুখ?
উত্তরঃ কেউ কেউ বেশি সেনসিটিভ বা সপর্শকাতর থাকে। তাদের এরকম হতে পারে। তবে যদি তেমন না হয় এবং ব্যথা থেকেই যায় সবসময় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ কাঠের মতো শক্ত হয় না। কোনো সমস্যা আছে নাকি? থাকলে কী করব।
উত্তরঃ লিঙ্গ কখনো কাঠের মতো শক্ত হয় না। যারা এমন বলে তারা অতিরিক্ত বলে। উত্তেজনা আশার পর লিঙ্গ শক্ত হয় এবং লম্বা হয়। এরকম লিঙ্গ দিয়ে যৌনসঙ্গম করতে কোনো সমস্যা হয়নি। আপনার যদি এ কাজে সমস্যা না হয় তাহলে মনে হয় ঠিকই আছে।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের গোড়ায় কিছু উঁচু গুটি আছে। এগুলো বড়ও হয় না ঘাও হয় না, এগুলো কি?
উত্তরঃ সম্ভবত লোমকূপ। ভবিষ্যতে নতুন চুল গজাতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার অণ্ডকোষ দুটো হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গম করার সময় উপরে উঠে আসে। নামাতে পারি না। ওখানে লাগলে ব্যথা করে, কী করে ওদের নিচে নামানো যায়?
উত্তরঃ উপরে উঠে আসা স্বাভাবিক। ঠাণ্ডাতে এটা বেশি হয়। গরমে ঝুলে পড়ে, নিজের পদ্ধতিটা ঠিক করে নিন যাতে অণ্ডকোষে আঘাত না লাগে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স প্রায় ১৮। লিঙ্গ কি এখনো বাড়বে? আমার তলপেটে ব্রণ আছে, লিঙ্গের গোড়ায় চুলের মধ্যেও। কী করব?
উত্তরঃ হ্যাঁ লিঙ্গ এখনো বাড়তে পারে। ব্রণ একসময় চলে যাবে। সঙ্গমের সময় পিচ্ছিলকারক ব্যবহার করলে সেগুলো ধুয়ে ফেলা ভালো, নইলে চামড়ায় দাগ পড়তে পারে।
প্রশ্নঃ কী করে দ্রুত স্খলন থামানো যায়?
উত্তরঃ দ্রুত স্খলন থামানো যায়। সঙ্গমের সময় মাঝে মাঝে থামতে হবে। তাহলে বীর্যপাত পিছিয়ে যাবে। এছাড়া সে সময় অন্য চিন্তা করতে হবে তাহলে যৌন উত্তেজনা কমে যাবে। এভাবে দ্রুত স্খলন থামানো যায়। আর এতেও সম্ভব না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রশ্নঃ অণ্ডকোষের থলিতে লোম হওয়া কি স্বাভাবিক?
উত্তরঃ হ্যাঁ! তবে কারো কারো থাকে না। এটাই স্বাভাবিক।
প্রশ্নঃ আমি ৫ বছর ধরে হস্তমৈথুন করি। আমার লিঙ্গ আগার দিকে হাতের তালুর মতো ছড়িয়ে গেছে। একটু বেঁকেও গেছে। এরকম কেন হলো?
উত্তরঃ আপনার বর্ণনা থেকে আপনার লিঙ্গ দেখতে কেমন বোঝা কঠিন। তবে লিঙ্গ কেমন হবে তা জন্মগত ব্যাপার। হস্তমৈথুন করে আকৃত বা আকার বদলায় না।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের আগা মোটা গোড়া চিকন। এটা কি স্বাভাবিক?
উত্তরঃ লিঙ্গ বিভিন্ন রকম হয় এবং ওই লিঙ্গ দিয়ে সব করা যায়। হস্তমৈথুন আকৃতি বদলে দিতে পারে না।
প্রশ্নঃ আমি ল্যাকটোজ সমৃদ্ধ খাবার সহ্য করতে পারি না। তাই Soymilk খাই। শুনেছি Soymilk-এ সামান্য মাত্রায় ইস্ট্রোজেন (Oestrogen) থাকে। এতে আমি চিন্তিত আমার পুরুষ শক্তি কমে যাবে কি না।
উত্তরঃ মানুষের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই কিছু ইস্ট্রোজেন তৈরি হয় আর নারী শরীরে টেস্টোস্টেরন, তাহলে অতি সামান্য মাত্রায় (Oestrogen) শরীরে গেলে ক্ষতি হবে না। এ নিয়ে এখন বিজ্ঞানীরা কাজ করবেন, ভবিষ্যতে যদি সমস্যা দেখা দেয়।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৬ বছর। কী করে বলা যায় বীর্যরসে শুক্রাণু আছে? আমার মনে হয় আমার শুক্রাণু বের হয় না। কী করে তা বের করতে পারি?
উত্তরঃ শুক্রাণু খালি চোখে দেখা যায় না। তা দেখতে অণুবীক্ষণ যন্ত্র লাগে। তবে ১৬ বছর বয়সীদের অনেক শুক্রাণু থাকে। দুশ্চিন্তা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শুক্রাণু সংখ্যা জেনে নিতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ বাম দিকে বাঁকা, এতে যৌনসঙ্গমে কি সমস্যা হবে?
উত্তরঃ ৩১% লোকের লিঙ্গ ডানে অথবা বামে বাঁকা থাকে। এতে স্বাভাবিক যৌনসঙ্গমে কোনো সমস্যা হয় না।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের গোড়ায় আঁচিলের মতো দুটো গুটি হয়েছে, কনডম থেকে কি এরকম হতে পারে?
উত্তরঃ কনডম থেকে কারো কারো এলার্জি হয়। তবে আঁচিল হয়েছে কি না নিশ্চিত করতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ মুসলমানি না করলে কি লিঙ্গ বাড়ে না?
উত্তরঃ না, বয়সের সাথে সাথে লিঙ্গের স্বাভাবিক বর্ধন হয়।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ২০ বছর। আমি ১৫ বছর বয়স থেকে হস্তমৈথুন করি। কিন্তু তারপর আমার উচ্চতা আর বাড়েনি। আমি ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। হস্তমৈথুন ব করলে কি আমি আরো লম্বা হব?
উত্তরঃ লম্বা হওয়ার সাথে হস্তমৈথুনের সম্পর্ক নেই। কে কতটা লম্বা হবে তা বংশগত ব্যাপার।
প্রশ্নঃ কিছুদিন হলো আমার অণ্ডকোষ দুটো ব্যথা করছে, কী করা যায়?
উত্তরঃ প্রথমে কী কারণে ব্যথা হচ্ছে সেটা দূর করলে ব্যথা কমে যাবে। ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, ধীরে ধীরে হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গম করুন।
প্রশ্নঃ নিগ্রোদের লিঙ্গ কি খুব লম্বা হয়?
উত্তরঃ লিঙ্গ কী রকম হবে তা বংশগত ব্যাপার।
প্রশ্নঃ হঠাৎ লিঙ্গ শক্ত হওয়া কিভাবে কমানো যায়?
উত্তরঃ তখন এমন কিছু চিন্তা করুন যা যৌনচিন্তা কমায়। তাহলে হঠাৎ লিঙ্গ শক্ত হলেও কমে যাবে।
প্রশ্নঃ আমি শরীরকে মাংসল করতে চাই। আমি কি Steroid ব্যবহার করব?
উত্তরঃ Steroid শরীরকে ধ্বংস করে দেয়। অনেক সময় অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যায় এতে। Steroid ব্যবহার করবেন না, ব্যায়াম করুন।
প্রশ্নঃ হার্নিয়া কি? কিভাবে এটা হয়?
উত্তরঃ যখন পেটের নাড়ি নিচের দিকে নেমে এসে অণ্ডকোষের থলিতে ঢুকে যায় তাকে হার্নিয়া বলে। দীর্ঘদিন কাশি থাকলে অথবা ভারী ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে এটা হতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার চামড়ায় শ্বেতী আছে কী করব?
উত্তরঃ চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার শক্ত লিঙ্গকে জোর করে বাঁকা করলে ব্যথা পাই। এটা কি কোনো অসুখ?
উত্তরঃ জোর করে শক্ত লিঙ্গকে মোচড়ালে ব্যথা করবে এটাই স্বাভাবিক। লিঙ্গ শক্ত হলে একে জোর করে বাঁকা না করা ভালো।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুনের পর আমার লিঙ্গ একদম ছোট হয়ে যায়। কি করতে পারি এ ব্যাপারে।
উত্তরঃ বীর্যপাতের পর লিঙ্গ ছোট হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার মতো কোনো কারণ নেই।
প্রশ্নঃ বীর্যপাতের সময় লিঙ্গ চেপে ধরে বীর্যপাত ব করলে কী খুব ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ পদ্ধতিটা ভালো নয়। একে ইজাকুলেশন বলে। তাৎক্ষণিক কোনো বিপদ না হলেও পরবর্তীতে বীর্যস্খলনজনিত সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্নঃ ৩ বছর বয়সে কুকুর আমার লিঙ্গে কামড় দেয়। আমার লিঙ্গ কি এতে বাড়বে না? বয়ঃপ্রাপ্তির অন্য লক্ষণগুলো আমার স্বাভাবিক আছে।
উত্তরঃ এত ছোটকালে লিঙ্গের ওপর কামড়ে লিঙ্গ বাড়ার ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে। বয়ঃপ্রাপ্তির অন্য লক্ষণগুলো ঠিক আছে যখন তখন লিঙ্গ স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের ওপরে লাল দাগ আছে এবং উপরের দিকটা অনেক উঁচু-নিচু। আমি কি ডাক্তার দেখাব?
উত্তরঃ যদি না চুলকায়, ব্যথা না হয় এবং রঙের পরিবর্তন না হয় তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ডাক্তার দেখালে নিশ্চিত হতে পারবেন।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ বাঁকা। কী করে সোজা করা যায়?
উত্তরঃ বাঁকা লিঙ্গ দিয়ে সব কাজ করা যায়। সোজা করার দরকার হয় না। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। জেনে নিতে পারেন নতুন আধুনিক কোনো অপারেশন আবিষকার হয়েছে কি না সোজা করার জন্য।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের গোড়ার লোম যদি শেভ করি এটা কি ঠিক হবে?
উত্তরঃ কেউ কেউ শেভ করে থাকে। কেউ কেউ করে না। তবে লোমগুলো পরিষকার রাখা ভালো। শেভ করলেও সমস্যা হবে না।
প্রশ্নঃ অণ্ডকোষের আকার কি কোনো প্রভাব ফেলে?
উত্তরঃ না। তবে খুব ছোট হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ কতটা বীর্য থাকা উচিত হস্তমৈথুন না করলে? আমার মনে হয় আমার বীর্যের পরিমাণ কম।
উত্তরঃ সাধারণত বীর্য ১ চা চামচ পরিমাণ হয়। কম হলেও চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। সন্তান ধারণ ক্ষমতা ঠিক থাকে।
প্রশ্নঃ আমার স্বামীর বীর্যপাত হয় না। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে সে ক্ষেপে যায়। কী করে স্বাভাবিক করা যায়?
উত্তরঃ অনেক সময় কিছু কিছু ওষুধ খেলে বীর্যপাত হয় না। আবার বীর্যপাত না হওয়াটা কখনো মানসিক সমস্যাও। যদিও বীর্যপাত হোক সবাই চায় কিন্তু বীর্যপাত ছাড়াই অনেকে চরমপুলক অনুভব করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার বীর্যপাতের সময় রক্ত বের হয়। আমি খুব চিন্তিত।
উত্তরঃ প্রস্টেট অপারেশনের পর অনেক সময় এ রকম দেখা যায়। তবে যদি ব্যথা করে এবং বারে বারে রক্ত যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি করানো হয়নি। না করলে কী হবে?
উত্তরঃ পুরুষ মুসলমানি না নিয়েই জন্মায়। করিয়ে নিতে পারেন। ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে। না করালে কোনো সমস্যা হয় না।
প্রশ্নঃ আমার বীর্য গাঢ় বাদামি রঙের। আমার বয়স ৩৫ বছর, আমি খুব চিন্তিত।
উত্তরঃ বীর্যের রঙ হলুদাভ-বাদামি। যদি খুব চিন্তিত হন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আগে আমার বীর্য দূরে ছিটকে যেত, এখন তা হয় না। গড়িয়ে গড়িয়ে বের হয়। কী করে আবার আগের মতো বীর্যপাত করাতে পারি?
উত্তরঃ বীর্যপাত গড়িয়ে গড়িয়েও হয়। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। গবেষণায় দেখা গেছে অধিকাংশে বীর্য গড়িয়ে গড়িয়ে বের হয়।
প্রশ্নঃ আমি একজনের সাথে যৌনসঙ্গম করেছি। কনডম ব্যবহার করিনি। এরপর থেকে একটু চুলকানি, শুকনাভাব শুরু হয়েছে লিঙ্গে। আমার কি কোনো অসুখ হলো?
উত্তরঃ তেমন মনে হলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিয়ে দেখুন কোনো জীবাণু এর জন্য দায়ী কি না। সন্দেহমুক্ত হওয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গটা শুকনো শুকনো। সঙ্গমের পর জ্বালা করে। কিভাবে স্বাভাবিক করা যায়।
উত্তরঃ দেখতে হবে কোনো অসুখ আছে কি না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের গোড়ার যৌনকেশ শেভ করলে তা কি কনডমকে ছিদ্র করতে পারে?
উত্তরঃ লেটেক্স কনডম শেভ করা চুল দ্বারা সাধারণত ছিদ্র হয় না।
প্রশ্নঃ বীর্যরস ও বীর্যপাতের আগে যে রসক্ষরণ হয় তার পার্থক্য কি?
উত্তরঃ বীর্যপাতের আগে যে রসক্ষরণ হয় তা কপারস গ্ল্যান্ড নামক গ্রন্থি থেকে বের হয়। এটি মূত্রনালীকে পিচ্ছিল করে। বীর্যরস বলতে বোঝানো হয় শুক্রাণু ও প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস।
প্রশ্নঃ বীর্য রেখে দিলে পানির মতো হয়ে যায় কেন? বীর্য কি বাতাসে উড়ে যায়?
উত্তরঃ বীর্য রেখে দিলে ঘণ্টা খানেক পরে বাতাসের সংসপর্শে এর পরিবর্তন ঘটে। তখন পানির মতো তরল হয়ে যায়। এতে তখন মৃত শুক্রাণু থাকে। বীর্যরসে প্রচুর পানি থাকে- যেটা বাতাসে উড়ে যেতে পারে।
প্রশ্নঃ লিঙ্গের চামড়ার নিচে কি লোম হতে পারে?
উত্তরঃ হ্যাঁ হতে পারে। শেভ করলে এগুলো বেড়ে যায়।
প্রশ্নঃ আমার অণ্ডকোষ থলি বেশ লাল হয়ে গেছে এবং এর চামড়া বেশ শুকনো, এটা কি স্বাভাবিক?
উত্তরঃ এটা র‌্যাশ হতে পারে। সাবান ও ডিটারজেন্ট থেকে এটা হতে পারে। ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ নিচের দিকে বাঁকা, এতে কি কোনো সমস্যা হবে।
উত্তরঃ না।
প্রশ্নঃ আমার যৌনকেশ শেভ করলে কি আবার বাড়বে?
উত্তরঃ হ্যাঁ। কিছুদিন সময় লাগবে কিন্তু ঠিকই বাড়বে।
প্রশ্নঃ গাঁজা খেলে কি শুক্রাণু সংখ্যা কমে যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ। গাঁজা শুক্রাণু ও সন্তান জন্মদান ক্ষমতা কমায়। তবে অবশ্যই জন্ম নিরোধ করার এটা ভালো কোনো উপায় না।
প্রশ্নঃ লিঙ্গ শক্ত অবস্থায় কি প্রস্রাব করা যায়? শুনেছি এটা সম্ভব না।
উত্তরঃ লিঙ্গ শক্ত অবস্থায় প্রস্রাব করতে কারো কারো সমস্যা হয়। তবে শক্ত অবস্থায় প্রস্রাব বের হলে সেটা কোনো সমস্যা নয়।
প্রশ্নঃ প্রথম কোন বয়সে বীর্যপাত হয়? ১১ বছর বয়সে আমার প্রথম বীর্যপাত হয়।
উত্তরঃ ১২-১৩ বছর বয়সের মধ্যে বীর্যপাত হয়। তবে ১১ বছর বয়সেও অনেকের হয়।
প্রশ্নঃ বীর্যপাতের পর প্রস্রাব করলে জ্বালাপোড়া করে আমার, এটা কি কোনো অসুখ।
উত্তরঃ বীর্যপাতের পর প্রস্রাব করলে অনেক সময় জ্বালাপোড়া করে। এটা স্বাভাবিক।
প্রশ্নঃ আমি খুব ধর্মপ্রাণ। আমার যৌন আবেগ কিভাবে কমাতে পারি?
উত্তরঃ ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকলে যৌন আবেগ কমে যাবে। তবে পুরোপুরি কমানো সম্ভব না। যৌন আবেগ কমানোর জন্য তেমন কোনো ওষুধ নেই।
প্রশ্নঃ এমন কোনো ব্যায়াম আছে যা দিয়ে লিঙ্গ বড় করা যায়?
উত্তরঃ না। লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও আকার বংশগত ব্যাপার।
প্রশ্নঃ রুলার দিয়ে কিভাবে আমার লিঙ্গ মাপব?
উত্তরঃ রুলালের যেদিকে ০ সেটিক গোড়ায় ধরে মাপ নিন।
প্রশ্নঃ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৬ ইঞ্চি। কারো কারো ১০-১২ ইঞ্চি লম্বা হয় কিভাবে?
উত্তরঃ শ্বেতকায় মানুষের গড় উচ্চতা ৫.৮-৫.১০ ইঞ্চি। কিন্তু কারো কারো ৭ ফুট লম্বা হয়। এটা বংশগত কারণে হয়।
প্রশ্নঃ লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কী কী দ্বারা ঠিক হয়?
উত্তর: কার লিঙ্গ কত বড় হবে এটা বংশগত ব্যাপার। পূর্ব পুরুষদের নিকট থেকে কী কী গুণ পেল তা নির্দিষ্ট করে লিঙ্গের দৈর্ঘ্যকে। কোন গুণাবলী পাবে তা আগে থেকে বলা যায় না। জেনেটিক্সের ব্যাপারগুলো লটারির মতো- আগে থেকে বলা যায় না কিন্তু পেলে পরে বলা যায় কী পাওয়া গেল। কোনো একটা সন্তান তার বাবার দিকের ও মায়ের দিকের গুণাবলী পায়। কোন গুণাবলী পেল তার ওপর নির্ভর করেই ঠিক হয় চেহারা কেমন হবে, কতটা লম্বা-চওড়া হবে, হাত-পা দেখতে কেমন হবে। ঠিক তেমনি লিঙ্গ শরীরেরই একটা অংশ। তাই অন্যান্য অংশের মতো বংশগত গুণাবলী পাওয়ার ওপরই লিঙ্গের মাপ নির্ভর করে।
প্রশ্ন: আমি আমার লিঙ্গের সঠিক মাপ কিভাবে নেব?
উত্তর: লিঙ্গের মাপ নেয়ার ব্যাপারে নানাজনে নানা রকম ধারণা দিয়েছেন। কেউ বলে ওপরে মাপো, কেউ বলে নিচের দিকে মাপো। কেউ বলে দাঁড়িয়ে মাপো, কেউ বলে শুয়ে মাপো। কিন্তু মাপলে তো লিঙ্গ বড় বা ছোট হবে না। লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও আকার নিয়ে চিন্তিত হয়ে কোনো পরিবর্তন আনা যায় না। সুতরাং চিন্তা না করাই ভালো।
প্রশ্ন: আমার বয়স ১৪ বছর। আমার লিঙ্গ ৫.৪ ইঞ্চি লম্বা। খুব ছোট মনে হয়। আপনার মতামত কি?
উত্তর: অধিকাংশ পুরুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে লিঙ্গ নিয়ে এমন চিন্তা করে। লিঙ্গ ছাড়া জীবনে আরো অনেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে ভাবুন।
প্রশ্ন: আমার বয়স ১৫ বছর। আমার লিঙ্গ শক্ত হলে দৈর্ঘ্য হয় ৪.৫ ইঞ্চি কিন্তু নরম হলে হয় ২ ইঞ্চি। আমি সন্তানের পিতা হতে পারব?
উত্তর: হ্যাঁ। আপনার লিঙ্গের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিকের মধ্যে। এছাড়া সামনে লিঙ্গ আরো বাড়বে।
প্রশ্ন: অপারেশন করে কি লিঙ্গ বড় করা যায়? চাই না লিঙ্গ ঝুলে পড়ুক।
উত্তর: অপারেশনগুলো বিশ্বাসযোগ্য নয়। এগুলো খুব কষ্টদায়ক।
প্রশ্ন: লিঙ্গ কি ছোট হয়ে যেতে পারে?
উত্তর: সাধারণত হয় না। তবে টাইট কাপড়, খুব ঠাণ্ডা, মানসিক বিষণ্নতাতে লিঙ্গ ছোট হতে পারে।
প্রশ্ন: আমার বয়স ১৩ বছর। শক্ত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪ ইঞ্চি। এটা কি ঠিক আছে?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: আমার বয়স ১৮ বছর। শক্ত অবস্থায় আমার লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৩ ইঞ্চি। আমার বীর্যের পরিমাণ খুব কম। কোনো সমস্যা হবে কি?
উত্তর: ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্ন: শক্ত হলে আমার লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৫.৯ ইঞ্চি। কখনো এটি ৩ ইঞ্চি বা ২ ইঞ্চি হয়। কেন এরকম হচ্ছে?
উত্তর: সবারই কমবেশি এরকম হয়। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কেউ এগুলো লক্ষ্য করে না, কেউ করে। বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলেছেন আপনি।
প্রশ্ন: ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে কি লিঙ্গ ছোট হয়ে যায়?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: নিগ্রোদের লিঙ্গ কি খুব বড় হয়?
উত্তর: সবার হয় না, এটা বংশগত ব্যাপার।
প্রশ্ন: আমার লিঙ্গ ৬.৫ ইঞ্চি লম্বা, ২ ইঞ্চি পুরু। এটা কি ছোট?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: খাবারের রঙ কি লিঙ্গ ছোট করে দেয়?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: নরম অবস্থায় আমার লিঙ্গ যৌন কেশের মধ্যে ঢুকে যায়। কিন্তু শক্ত অবস্থায় ৫.৫-৬ ইঞ্চি লম্বা হয়। এটা কি সমস্যা।
উত্তর: না। শক্ত হলে তো যথেষ্ট লম্বা হয়।
প্রশ্ন: জাঙ্গিয়া পরলে কি লিঙ্গ ছোট হয়ে যায়?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: মানুষের দৈর্ঘ্য আর লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কি এক?
উত্তর: না। কমবেশি হতে পারে।
পুরুষের বয়ঃপ্রাপ্তি ও বর্ধন সংক্রান্ত প্রশ্ন
প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তি বা বয়ঃসন্ধি কি জিনিস। কেন এমন হয়?
উত্তরঃ একজন শিশু অবস্থা থেকে যখন যৌনসক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত হয় তখন তার শারীরিক কিছু পরিবর্তন ঘটে, একে বয়ঃপ্রাপ্তি বলে। মস্তিষেকর হাইপোথ্যালামাস ও পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে গ্রোথ হরমোন নামে একটি রাসায়নিক যৌগ নিঃসরণ হয়। এই হরমোনের প্রভাবে অণ্ডকোষ ও ডিম্বাশয় পরিবর্তন হয় এবং এরা টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন তৈরি করে। এদের প্রভাবে চুল, ত্বক, হাড়, বিভিন্ন অঙ্গ ও মাংসপেশিতে পরিবর্তন দেখা দেয়। গোঁফ দাড়ি ছেলেদের, মেয়েদের স্তন ও অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। এই পুরো পরিবর্তনের সময়কালই হলো বয়ঃপ্রাপ্তি।
প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তি কখন আসে?
উত্তরঃ ছেলেদের ১১-১৫ বছরের মধ্যে ও মেয়েদের ৯-১৩ বছরের মধ্যে বয়ঃসন্ধি শুরু হয়।
প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তির সময় কী কী শারীরিক পরিবর্তন ঘটে?
উত্তরঃ ছেলেদের ক্ষেত্রে: লিঙ্গের গোড়ায় যৌনকেশ, লিঙ্গ বড় ও মোটা হয়, অণ্ডকোষ ঝুলে যাওয়া ও বড় হয়, বগলে লোম হওয়া, মুখে লোম হওয়া (গোঁফ, দাড়ি), তলপেটে লোম হওয়া, গলার স্বর ভারী হওয়া, স্বর ভেঙে যায় (অল্প সময়ের জন্য), বুকে লোম গজায়, উচ্চতা বাড়ে, যৌন কামনা বাড়ে, মুখে তেল বাড়ে, ব্রণ হওয়া, বীর্যপাত হয়, সন্তান জন্মদান ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়।
মেয়েদের ক্ষেত্রে: স্তন বেড়ে ওঠে, নিতম্ব আকারে বাড়ে ও ভারী হয়, মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হয়, গলার স্বর উঁচু হয়, যোনিপথের চারদিকে যৌনকেশ গজায়, বগলে লোম গজায়, মুখে সামান্য লোম গজায়, যৌনসঙ্গম করার কাজে সক্ষম হয় ও গর্ভধারণের ক্ষমতা অর্জন করে।
প্রশ্নঃ আমার বুদের বয়ঃপ্রাপ্তি চলছে কিন্তু আমার মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি কেন?
উত্তরঃ আপনার বয়স বলেননি। যদি বয়স ১৫-১৬ বছর হয় এবং শারীরিক কোনো পরিবর্তন না আসে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অনেকের অনেক দেরিতে শুরু হয়। ২০ বছরের সময় অনেকের পরিবর্তন হতে দেখা যায়। আশা করি আপনারও স্বাভাবিক পরিবর্তন হবে।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ আর লম্বা হবে না, কী করব?
উত্তরঃ লিঙ্গের বেড়ে ওঠা প্রতিদিনই বোঝা যায় না। আপনার বযস ১০-১৫ বছরের মধ্যে হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ লিঙ্গ অনেক বয়স পর্যন্ত বাড়ে।
প্রশ্নঃ কখন আমার বগলে লোম হবে?
উত্তরঃ ১৩-১৭ বছর বয়সের মধ্যে বগলে লোম হয়। কারো কারো হয়ই না। এটা থাকতেই হবে এমন কিন্তু না। এটা নিয়ে চিন্তিত হবেন না।
প্রশ্নঃ মনের বয়ঃপ্রাপ্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ এটা মনের সেই অবস্থা যা যৌন তাড়না, আকাঙ্ক্ষা সঙ্গমের ইচ্ছার জন্ম দেয়। ১৫-২০ বছর বয়সের মধ্যে এই পরিবর্তন শুরু হয়। এ সময় মনে যৌন কল্পনা করার ক্ষমতার জন্ম হয়। এই অবস্থার পরিবর্তনের ওপর মনের নিয়ন্ত্রণ থাকে। শারীরিক বয়ঃপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। মনের বয়ঃপ্রাপ্তির সময় নানা রকম যৌনকলা; বীর্যপাত পিছিয়ে দেয়া নানা ধরনের মজাদার যৌন কল্পনা করার মতো ক্ষমতা জন্মায়।
প্রশ্নঃ আমার যৌনকেশ কি করে বাড়াতে পারি? আমার বুদের অনেক যৌনকেশ আছে।
উত্তরঃ যদি আপনার বয়স ১২-১৩ বছরের মধ্যে হয় তাহলে সময় আছে। যৌনকেশ তৈরি হবে। কিন্তু যদি বয়স ১৬ বছরের বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন করলে কি শারীরিক পরিবর্তন থেমে যায়?
উত্তরঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন শুরু হয়। তখন হয়তো চরমপুলক অনেকেই পায় না। কিন্তু একটা ভালো লাগা তারা খুঁজে পায়। বয়ঃপ্রাপ্তির সব পরিবর্তন শরীরের ভেতর থেকে চলতে থাকে, বাইরের কোনো কর্মকাণ্ডের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না।
প্রশ্নঃ সব সময় আমার সঙ্গম করার ইচ্ছা হয়। কিন্তু আমার বয়স ১১ বছর।
উত্তরঃ এরকম অনেকেরই হয়। তবে এখনই এসব কাজে সময় ও শক্তি নষ্ট না করে অন্যান্য কাজে মন দেয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমি হস্তমৈথুন করি না। আমার কি কোনো সমস্যা হয়েছে?
উত্তরঃ ৯৯% লোক নিয়মিত হস্তমৈথুন করে। ১% মিথ্যা কথা বলে। ভয়ের কিছু নেই এটা যে কোনো বয়সে করা যায়- সবাই করে থাকে।
প্রশ্নঃ কখন প্রথম বীর্যপাত হয়?
উত্তরঃ যৌনকেশ ওঠা বা অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তনের আগেও বীর্যপাত হতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। আমার যথেষ্ট যৌনকেশ আছে এবং লিঙ্গও বেশ বাড়ছে। কিন্তু বগলে লোম কম আছে, কখন এটা বাড়বে।
উত্তরঃ কয়েক বছরের মধ্যেই এটা বাড়বে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৪ বছর। আমি খুব পাতলা কিন্তু পেটটা খুব বড়। এটা কি বেবি ফ্যাট
উত্তরঃ বেবি ফ্যাট ছাড়াও অন্য অনেক কিছু হতে পারে। পরীক্ষা না করে কিছু বলা যাবে না।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। বগলে আমার যথেষ্ট লোম আছে কিন্তু বুকে ও তলপেটে কোনো লোম নেই। যৌনকেশ আছে এবং অণ্ডকোষ থলিতেও লোম আছে, আমি কি ডাক্তার দেখাব?
উত্তরঃ শরীরের যেসব জায়গায় লোম আছে তা বয়ঃপ্রাপ্তির স্বাভাবিক লক্ষণ। দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য ডাক্তার দেখানো যেতে পারে। টেস্টোস্টেরন মাত্রা মেপে ডাক্তার বলতে পারবেন কোনো সমস্যা আছে কি না। তবে মাত্র ১৫ বছর, লোম গজানোর এখনো সময় আছে। এরকম অনেকেরই হয়, এটা চিন্তা করার মতো কিছু নয়।
প্রশ্নঃ আমি জানি না আমার বয়ঃসন্ধি চলছে কি না, তবে কিছুদিন আগে বীর্যপাত করার সময় আঠালো বীর্য বেরিয়েছে। আগে বীর্য খুব তরল ছিল, এর মানে কি?
উত্তরঃ বীর্যের ঘনত্ব কমে, বাড়ে, বিশেষ করে বয়ঃপ্রাপ্তির সময়। এটা বড়দেরও হয়। এটা খুব পাতলা থেকে খুব গাঢ় দুরকমই হতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স প্রায় ১৬ বছর। কেউ কেউ বলে ৬ ইঞ্চি লম্বা লিঙ্গ ছোট। আমার লিঙ্গ ৪.৫ ইঞ্চি লম্বা। প্রচুর যৌনকেশ আছে, আমার লিঙ্গ কি ৬ ইঞ্চি লম্বা হবে?
উত্তরঃ লিঙ্গের মাপ সঠিকভাবে কেউ নিতে পারে না। কোন অবস্থায় নেয়া হলো- দাঁড়ানো, বসা না শোয়া অবস্থায় তার ওপর দৈর্ঘ্য নির্ভর করে। আশা করি আপনার লিঙ্গ আরো বাড়বে।
প্রশ্নঃ আমি ছোট briefs পরি, এতে কি লিঙ্গ ছোট হয়ে যায়?
উত্তরঃ খুব টাইট briefs পরলে রক্ত সঞ্চালন বাধা পায়, খুব টাইট হলে শুক্রাণু উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। তবে লিঙ্গ ছোট হয় না। খুব টাইট briefs না পরা ভালো।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। আমার কতদিন পরপর শারীরিক পরীক্ষা করা ভালো? পরীক্ষায় কী আশা করতে পারি।
উত্তরঃ ১ বছর পর পর শারীরিক পরীক্ষা করা ভালো। পরীক্ষায় কী পাওয়া যাবে তা নির্ভর করে ডাক্তারের ওপর। কেউ সামান্য কিছু দেখে, কেউ কেউ অনেক কিছু পরীক্ষা করে।
প্রশ্নঃ শেভ করলে কি যৌনকেশ আবার হয়? লিঙ্গে যৌনকেশ থাকা কি ভালো?
উত্তরঃ শেভ করলে যৌনকেশ আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। লিঙ্গের ওপর যৌনকেশ থাকা স্বাভাবিক।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। আমার অণ্ডকোষ কত বড় হওয়া উচিত?
উত্তরঃ আধা ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি। এর চেয়ে বড় বা ছোটও হতে পারে। এই বয়সে পুরোপুরি বৃদ্ধি হতেও পারে নাও পারে।
প্রশ্নঃ মদ, বিয়ার খেলে বয়ঃপ্রাপ্তিতে কি সমস্যা হয়?
উত্তরঃ মদ, বিয়ার শরীরের সব কিছুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। না খাওয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। আমি কি এখন হস্তমৈথুন শুরু করতে পারি?
উত্তরঃ হস্তমৈথুন শুরু করার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। চাইলে করতে পারো।
প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন করলে কি লিঙ্গ থেকে কিছু বের হবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, কিছু রস ক্ষরণ হবে।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন ভোরে আমার লিঙ্গ শক্ত হয়ে যায় এবং হস্তমৈথুন না করা পর্যন্ত নরম হয় না, কেন?
উত্তরঃ এ কথাটা অনেকেরই। এটা দেখা গেছে যে, অনেক পুরুষের যৌন উত্তেজনা ভোরে ঘুম থেকে জাগার পর তীব্র থাকে। এ সময় প্রস্রাব করলে লিঙ্গ নরম হয়ে আসে।
প্রশ্নঃ আমি আমার স্তনের বোঁটা ডলতে ভালোবাসি। কিন্তু মনে হয় সেখানে দলামতো কিছু আছে এবং ব্যথা করে।
উত্তরঃ হ্যাঁ বয়ঃপ্রাপ্তিতে পুরুষ স্তনে সামান্য পরিবর্তন হয়। একটু বড় হয়, রসক্ষরণ হয় ও ব্যথা হয়। খুব বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।
প্রশ্নঃ ভায়াগ্রা খেলে লিঙ্গ কি খুব দ্রুত বাড়ে?
উত্তরঃ না। ভায়াগ্রা যৌন অক্ষম পুরুষের লিঙ্গকে শক্ত ও যৌন সক্ষম করে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৪ বছর। আমার স্তনের বোঁটা ফুলে গেছে। সেখান থেকে দুধের মতো রস বের হয়। বয়ঃপ্রাপ্তির সময় এটা কি স্বাভাবিক?
উত্তরঃ হ্যাঁ। তবে সবার এটা হয় না। সামান্য কিছুদিন পর এটা ঠিক হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। এখনো স্বপ্নদোষ হয়নি, এটা কি অস্বাভাবিক?
উত্তরঃ হস্তমৈথুন না করলে স্বপ্নদোষ হয়। তবে স্বপ্নদোষ জীবনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় এমন কিছু না। স্বপ্নদোষ হলেও অনেক সময় কাপড়ে শুকিয়ে যায়, বোঝা যায় না।
প্রশ্নঃ আমার বয়ঃপ্রাপ্তি সম্পূর্ণ হলো কিভাবে জানব? কোনো লক্ষণ দিয়ে এটা কি বোঝা যায়?
উত্তরঃ যখন হঠাৎ লম্বা হয় কেউ, যখন শরীরে লোম গজায়, গলার স্বরে পরিবর্তন হয়, লিঙ্গ বড় হয় এভাবে কৈশোর ছেড়ে যৌবনে পা দেয়ার মধ্য দিয়ে বয়ঃপ্রাপ্তি সম্পূর্ণ হয়।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৮ বছর। আমি প্রচুর গাঁজা ও মদ খেয়েছি। আমার লিঙ্গ ছোট, লিঙ্গ কি আরো বড় হবে? হলে কতদিন লাগবে।
উত্তরঃ গাঁজা, মদ শরীরের পরিবর্তনকে বাধা দেয়। ওগুলো ছেড়ে দিলে পরিবর্তন হবে। তবে ডাক্তার দেখানো ভালো।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১২-১৩ বছর। আমার লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৬ ইঞ্চি আর কতদিন লিঙ্গ বড় হবে?
উত্তরঃ বলা যাচ্ছে না, তবে আপনার বয়ঃপ্রাপ্তি খুব দ্রুত হয়েছে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৪ বছর। আমার লিঙ্গে, অণ্ডকোষথলিতে, উরুতে সাদা সাদা ক্ষত চিহ্নের মতো দাগ হয়েছে। এটা কি কোনো অসুখ?
উত্তরঃ চিন্তা করার মতো কিছু হয়নি। বয়ঃপ্রাপ্তিতে এমন দাগ হয়- এটা স্বাভাবিক।
প্রশ্নঃ লিঙ্গে বা অণ্ডকোষথলিতে কি ব্রণ হতে পারে?
উত্তরঃ হ্যাঁ হতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। আমি যখন হস্তমৈথুন করি তখন সামান্য তরল বের হয়, বীর্য বের হয় না। কিন্তু স্বপ্নদোষ হয় এমন কি হতে পারে?
উত্তরঃ হ্যাঁ হতে পারে। বয়ঃপ্রাপ্তির শুরুতে এমনই হয়।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৪ বছর। আমি কি ভারোত্তোলন করতে পারব? এটা কি আমার শরীরের টেস্টোস্টেরন গঠনে সমস্যা করবে? হলে কী ধরনের?
উত্তরঃ ১৪ বছর বয়সে ভারোত্তোলন শুরু করা যায়। ভারোত্তোলন মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে। তবে এসব ধীরে ধীরে করা ভালো। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ না নেয়া ভালো, এর নানা ক্ষতিকারক দিক আছে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন করলে লিঙ্গের সাইজের ওপর কি প্রভাব পড়ে?
উত্তরঃ না
প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন করলে লিঙ্গ কি বড় হয়?
উত্তরঃ না
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। আমার লিঙ্গ প্রায়ই আপনা থেকে শক্ত হযে দঁ্বাড়িয়ে যায়, এর মানে কি লিঙ্গ বড় হচ্ছে?
উত্তরঃ আপনা থেকে লিঙ্গ শক্ত হওয়া বা দাঁড়িয়ে যাওয়াকে Spontaneous erection বলে। এটা কারো কারো হতে দেখা যায়। এর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে ভয়ের কিছু না, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা কমতে থাকে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। এখনই আমার সারা শরীরে অনেক লোম জন্মেছে। এত তাড়াতাড়ি এরকম কি স্বাভাবিক?
উত্তরঃ মনে হয় বয়ঃপ্রাপ্তির লক্ষণগুলো খুব বেশি এবং তাড়াতাড়ি প্রকাশ পেয়েছে। তবে চিন্তিত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৬ বছর। সুন্দর মেয়ে দেখলে হস্তমৈথুন করার প্রচণ্ড ইচ্ছা হয়, আমার এটা কি ঠিক?
উত্তরঃ সুন্দর মেয়ে দেখলে মনে ইচ্ছা জাগে। তাই বলে দেখার সাথে সাথে হস্তমৈথুন করতে হবে এটা ঠিক না। নিজেকে সংযত করতে শিখতে হবে। নইলে মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করলে শুনেছি উচ্চতা কমে যায়?
উত্তরঃ হস্তমৈথুন করলে শারীরিক কোনো পরিবর্তন হয় না। লম্বা হওয়ার সাথে ওটা কোনো বাধা নয়।
প্রশ্নঃ খুব বেশি হস্তমৈথুন করলে কি ছেলে সন্তান না হয়ে মেয়ে সন্তান হয়? কখন হস্তমৈথুন করলে ছেলে বা মেয়ে হবে? কী করে ছেলে বা মেয়ে সন্তান জন্মদান নিশ্চিত করা যায়?
উত্তরঃ হস্তমৈথুন করে ছেলে বা মেয়ের জন্ম নিশ্চিত করা যায় না। আপনি সন্তানের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার স্তনের বোঁটা দুটো বেশ বড় ও ব্যথা করে। আমার বুক চওড়া হচ্ছে, আমার কি স্তন বড় হবে?
উত্তরঃ ওগুলো প্রকৃত স্তন না। বয়ঃপ্রাপ্তির সময়ে প্রোল্যাকটিন নামে হরমোনের জন্য এরকম অনেকের হয়। যদি সমস্যা দীর্ঘদিনের হয় তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে প্রোল্যাকটিনের মাত্রা দেখে নিতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ সহজেই শক্ত হয়। সেক্সি মেয়ে দেখলেই হয়। খুব সম্প্রতি আমি একটা মেয়ে দেখেছি খুব সুন্দর। তাকে খুব ভালো লাগে এবং তার জন্য অনেক কিছু করতে ইচ্ছা করে। সেও আমার প্রতি একই রকম আসক্ত। আমার শরীরের প্রতি তার টানও খুব বেশি। কিন্তু তাকে কাছে পেলে কিছুতেই আমার লিঙ্গ শক্ত হয় না। তার জন্য আবেগের কারণে কি এটা হচ্ছে?
উত্তরঃ আপনি নিজেই নিজের উত্তর দিয়েছেন। আপনি এতটাই তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন যে সে আপনার কাছে শুধুই সেক্সি নয় অন্য কোনো বিশেষ বস্তুতে পরিণত হয়েছে। কখনো ভালোবাসার সাথে দুশ্চিন্তা, নার্ভাস লাগা, হতাশা জড়িয়ে যেতে পারে। এমনও হতে পারে মেয়েটি দেখতে সুন্দর কিন্তু তার আহ্বান গভীর কিছু নয়। তার দৃষ্টিও যৌন আবেগের জন্ম দেয় না। স্থির হোন, শান্ত হোন, সময় নিন আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ চোষানোর পর ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যেই বীর্যপাত হয়ে যাচ্ছে। কী করে সময়টা বাড়াতে পারি? আমার ভয় হচ্ছে মেয়েটাকে হয়তো যৌনতৃপ্তি দিতে পারব না?
উত্তরঃ কারো কারো দ্রুত বীর্যস্খলন হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা বদলে যায়। এতদিন অপেক্ষা না করেও কাজটি সারা যায়। মেয়েটার সাথে মিলে একসাথে চেষ্টা করতে হবে। যখনই বীর্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা তখনই থেমে যান। দেখবেন বীর্যপাত হচ্ছে না। এভাবে বারেবারে করতে থাকুন দেখবেন বীর্যস্খলন পেছাতে পারবেন। একে Stop and go পদ্ধতি বলে।
প্রশ্নঃ আমি মেয়েদের চুমু দিতে পারি না। কী করে সঠিকভাবে চুমু দিতে পারব?
উত্তরঃ যদি কেউ বলে আপনি পারেন না এটা ঠিক না। যে কোনো ভালো মেয়েও আপনার মতোই নার্ভাস হয়ে যাবে। মেয়েটিকে ভালোভাবে বুঝে নিন জড়তা কেটে যাবে, তাড়াহুড়ার কি আছে?
প্রশ্নঃ আমার শালীকে নিয়ে যৌন চিন্তা হয়। ঠেকাতে পারি না, বিষয়টা বেশ ক্ষতিকর। সে যৌন বিষয় নিয়ে আমাকে উত্তেজিত করে।
উত্তরঃ এরকম হতে পারে। তবে বাস্তব যৌনসঙ্গম করার পরিকল্পনা না করা ভালো। নিজেকে সংযত করুন দেখবেন কল্পনা কমে যাবে। তাকে বলুন আমি আমার স্ত্রীকে ভালোবাসি, কিছুতেই আমাদের সংসারে সমস্যা ডেকে আনব না। তাকেও বোঝানোর চেষ্টা করুন, সাফল্য আসবে।
প্রশ্নঃ আমার বয়স যখন ৮ বছর তখন আমার বয়সী এক আত্মীয়ার সাথে যৌনসঙ্গম খেলা খেলতাম। ও সময়ে যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করত না। এভাবে এক বছর চলেছিল। এটা কি স্বাভাবিক ছিল। এতে কি আমার যৌন গুণাবলী বাধা পাবে?
উত্তরঃ এটা স্বাভাবিকভাবে হতে পারে। এতে শারীরিক বা মানসিক যৌন পরিবর্তনে কোনো সমস্যা হবে না। মনের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে তা নির্ভর করে যৌন কাজের অভিজ্ঞতাগুলোর ফল আপনার ওপর কী প্রভাব ফেলল।
প্রশ্নঃ যৌন ইচ্ছা প্রবল কাদের- ছেলেদের না মেয়েদের?
উত্তরঃ যৌন ইচ্ছার জন্য যে হরমোন দায়ী তার নাম টেস্টোস্টেরন। পুরুষদের এই হরমোন বেশি তৈরি হয়। সুতরাং তাত্ত্বিকভাবে পুরুষের যৌন ইচ্ছা প্রবল হওয়া উচিত। ব্যক্তিত্ব, অ্যাড্রিনালিন মনের অবস্থা, অতীত অভিজ্ঞতা এসবও যৌন ইচ্ছাকে প্রভাবিত করে। তাই দেখা যায় কোনো কোনো মেয়ের যৌন ইচ্ছা পুরুষদের চেয়ে প্রবল।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ২৩ বছর। আমার স্বামীর বয়স ২৭ বছর। আমাদের বিয়ে হয়েছে ১ বছর। সপ্তাহে ২-৩ বার সঙ্গম করি। এটা কি স্বাভাবিক?
উত্তরঃ হ্যাঁ অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
প্রশ্নঃ সপ্তাহে কতদিন যৌনসঙ্গম করা উচিত?
উত্তরঃ এর জন্য ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। সপ্তাহে ১ দিন থেকে মাসে প্রতিদিন যে কোনো রকমই হতে পারে।
প্রশ্নঃ মাসে ১ বার হস্তমৈথুন কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? যদি যৌনসঙ্গম ব করা হয় তাহলে কি ক্ষতি হবে?
উত্তরঃ হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গম শরীরের জন্য ভালো। হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গম ব করলে তৈরি হওয়া বীর্য স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে, এভাবেই তার নিজের ব্যবস্থা করে।
প্রশ্নঃ আমি আমার যৌনসঙ্গিনীর মুখের ভেতরে ও উপরে বীর্যপাত করতে ভালোবাসি। এটা কি ঠিক?
উত্তরঃ বিষয়টা আপনাদের দুজনের। জোর করলে বিষয়টা ভালো না। আপনার যৌনসঙ্গিনীর ভালো লাগা, মন্দ লাগা, ইচ্ছার কথা জেনে সেভাবে আচরণ করা ভালো।
প্রশ্নঃ আমি যৌনসঙ্গম করেছি ৪ বার। প্রথমবার ৪৫ মিনিট পর বীর্যপাত হয়েছে, পরে ৫ মিনিটের মধ্যেই বীর্যপাত হয়ে গেছে, আমার মনে হচ্ছে সঙ্গিনীর তৃপ্তি হচ্ছে না।
উত্তরঃ মাত্র ৪ বার সঙ্গম থেকেই বলা যায় না প্রতিবারই খুব তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়ে যাবে। ৫ মিনিটের বীর্যপাত হবে এটাই স্বাভাবিক। মনে হয় আপনার সঙ্গিনী আপনার কাছে খুব যৌন উত্তেজনাময়ী, ফলে তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়ে যাচ্ছে। তেমন হলে তাকে বলুন। তবে যখনই বীর্যপাত হওয়ার মতো হয় তখনই লিঙ্গ বের করে নিন। অপেক্ষা করুন কিছুক্ষণ, তারপর আবার শুরু করুন। এভাবে বীর্যপাত পিছিয়ে দেয়া যায়।
প্রশ্নঃ যৌন সাহিত্য পড়া কি পর্নোগ্রাফির মধ্যে পড়ে?
উত্তরঃ পর্নোগ্রাফি বলতে নগ্ন চিত্র বোঝানো হয়। নগ্ন সাহিত্য ও নগ্নচিত্র এক জিনিস নয়। নগ্ন সাহিত্য যৌন কর্মকাণ্ডের বর্ণনাসমৃদ্ধ আর পর্নোগ্রাফি নগ্ন যৌনচিত্র ও যৌনসঙ্গমের চিত্র সমৃদ্ধ, দুটো দুই জিনিস।
প্রশ্নঃ আমি চাই আমার সঙ্গিনী আমার বীর্য খেয়ে ফেলুক। কিন্তু অসুখ হওয়ার ভয়ে সে খায় না।
উত্তরঃ যৌন রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গিনীর অবশ্যই যৌনরোগ হবে। তবে বীর্য খেয়ে ফেলা বিষয়টা রোগ সৃষ্টি করতে না পারলেও ঠিক নয়।
প্রশ্নঃ আমার ভাইয়ের বয়স ১২। ১০ বছর বয়স যখন তখন থেকেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে, আমার বাবীরা এলেও তাদের শরীরে হাত দেয়, জড়িয়ে ধরে। অভিভাবকের সাথে কথা বলেছি, তারা বলে এ বয়সে ওরকম হয়।
উত্তরঃ সে যদি বাবীদের স্তনে, নিতম্বে বা গোপনাঙ্গে হাত দেয় তাহলে তাকে অবশ্যই থামাতে হবে। কারণ এগুলো যৌন অত্যাচার। কাজটা অবশ্যই সঠিক নয়। এখনই না থামালে পরে বড় সমস্যা দেখা দেবে।
প্রশ্নঃ লিঙ্গ চুষে চুষে কি বড় করা যায়? এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, কী করে ছাড়াতে পারি?
উত্তরঃ না। ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আশা করি ছাড়তে পারবেন।
প্রশ্নঃ লিঙ্গ ৩ ইঞ্চি হওয়ায় আমার সঙ্গিনী তৃপ্তি পায় না। কী করা যাবে? বড় করার কোনো পদ্ধতি আছে কি না?
উত্তরঃ লিঙ্গ অপারেশন করে বড় করলে নরম থাকে। খুব শক্ত হয় না। এসব না করে এমন যৌনসঙ্গম পদ্ধতি ব্যবহার করুন যাতে সঙ্গিনী তৃপ্তি পায়।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ অনেক লম্বা। এটা কি বাঁকিয়ে আমার মলদ্বারে ঢুকিয়ে বীর্যপাত করতে পারি?
উত্তরঃ হ্যাঁ। আশ্চর্য শোনাচ্ছে। তবুও অনেকে করে। তবে মলদ্বারের জীবাণু লিঙ্গে লেগে অসুখ হতে পারে।
প্রশ্নঃ কোন বয়সে যৌনসঙ্গম শুরু করা ভালো?
উত্তরঃ ১৮ বছরের পর হলে ভালো।
প্রশ্নঃ কনডম কেনার জন্য বয়ঃসীমা আছে?
উত্তরঃ তেমন কোনো কিছু শুনিনি।
প্রশ্নঃ কী করে বীর্যপাতের সময় পেছাতে পারি?
উত্তরঃ Stop and go পদ্ধতিতে। এ ব্যাপারে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ এক জায়গায় বসে একমনে যৌন কল্পনা করা এবং লিঙ্গ শক্ত করা কি স্বাভাবিক কাজ?
উত্তরঃ হ্যাঁ খুবই স্বাভাবিক। এর মানে হলো আপনি বয়ঃপ্রাপ্তি হয়েছেন- যৌন কল্পনা করতে পারেন এবং প্রকাশ ঘটাতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমার সঙ্গিনী যৌনসঙ্গম করতে চায়। আমি কোনোদিন করিনি, কী করে করব বলে দিন।
উত্তরঃ তাড়াহুড়ার কিছু নেই। মেয়েরা ছেলেদের অনেক আগে আগে বোঝে, সময় নিন। এক সময় আপনার ভেতর থেকেই বেরিয়ে আসবে কী করে যৌনসঙ্গম করবেন।
প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সবচেয়ে কম সময় ও সবচেয়ে দীর্ঘ সময় কতটা? কতক্ষণ সঙ্গম করা উচিত?
উত্তরঃ সম্ভবত ৪০ সেঃ এবং ১৮ দিন। সঙ্গমকাল কতটা হবে এ নিয়ে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। দুজনের সমমতিক্রমে যৌনসঙ্গমকাল ঠিক করা যায়।
প্রশ্নঃ এইচআইভি ভাইরাস কনডমের আবরণ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে কি না?
উত্তরঃ না। প্রবেশ করতে পারে না বলেই যৌনসঙ্গমের সময় কনডমের ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। যৌনরোগ ঠেকানোর ৩টি উপায়-
(১) অন্যের সাথে যৌনসঙ্গম থেকে বিরত থাকা
(২) একাধিক সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে যৌনসঙ্গম না করা
(৩) কনডম ব্যবহার করা
প্রশ্নঃ যৌনাঙ্গ চুষিয়ে নিলে কি যৌনরোগ হতে পারে? কী কী অসুখ হতে পারে?
উত্তরঃ হ্যাঁ। গনোরিয়া, হারপিস, আঁচিল, ছত্রাক, সিফিলিস, ক্যানডিডিয়াসিস, শ্যাংক্রয়েড, এলজিভি, এইচআইভি যে কোনো কিছুই হতে পারে।
প্রশ্নঃ ১০ বছরের মেয়ের সাথে যৌনসঙ্গম করা কি ঠিক হবে? আমার বয়স ১৬ বছর।
উত্তরঃ না।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ শক্ত হচ্ছে না। ভায়াগ্রা খেয়েও কোনো উপকার হচ্ছে না। আমার স্ত্রী অসন্তুষ্ট, কি করা উচিত?
উত্তরঃ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ভায়াগ্রাতে উন্নতি না হলে সমস্যাটা মানসিক। আপনি ও আপনার স্ত্রী দুজনে মিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। মানসিক সমস্যা থাকলে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে উন্নতি করা যাবে।
প্রশ্নঃ আমি মেয়েদের প্যান্টি পরলে উত্তেজনাবোধ করি। আমি মাঝে মাঝে প্যান্টি পরে উত্তেজিত হই ও হস্তমৈথুন করি, এটা কি ঠিক?
উত্তরঃ উত্তেজনা নানাভাবে আসে। তবে প্যান্টি ব্যবহার না করে ছোট জাঙ্গিয়া ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। বয়স্ক লোকের সাথে যৌনসঙ্গম করার ইচ্ছা হয়। কি করে সঙ্গম করতে পারব।
উত্তরঃ এই বয়সে যৌনসঙ্গম ঠিক নয়। ১৮+ হলে সঙ্গম করাটা সঙ্গত। তবে নিজেকে সংযত করতে পারলে ভালো হয়।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করার সময়ে মলদ্বারে আঙ্গুল ঢুকালে বীর্যপাতের আনন্দ বেড়ে যায় এটা কী ঠিক?
উত্তরঃ বিভিন্ন জনে বিভিন্ন উপায়ে বীর্যপাতের আনন্দ অনুভব করে। মলদ্বারে আঙ্গুল ঢোকালে আনন্দ বাড়ে কি না সেটা করে দেখতে পারেন। সেক্ষেত্রে পিচ্ছিলকারক কিছু জেলি ব্যবহার করা ভালো।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুনের সময় কতক্ষণ পর বীর্যস্খলন হওয়া উচিত। নারী সঙ্গমের সময় কতক্ষণ পর বীর্যস্খলন হওয়া উচিত?
উত্তরঃ এর কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। এক এক জনের এক এক সময় লাগে। তবে Stop and go পদ্ধতিতে বীর্যপাতের সময় পিছিয়ে দেয়া যায়। নারী সঙ্গমের সময়কাল কতটা হবে সেক্ষেত্রেও ওই একই কথা প্রযোজ্য।
প্রশ্নঃ আমার এক পুরুষ বুর প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করি। আমি কী তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করব? মেয়ে দেখলেও উত্তেজনা অনুভব করি।
উত্তরঃ সমকামিতা সুস্থ যৌন আচরণ নয়। নিজেকে সংযত করুন। মেয়েদের সাথে স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাটা সুস্থতার লক্ষণ।
প্রশ্নঃ Stop and go পদ্ধতি কি নারী সঙ্গমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যৌনসঙ্গমের মাঝে কি সঙ্গম থামিয়ে দেব? দেখেছি সঙ্গমের বিভিন্ন ভঙ্গিমাতে বীর্যপাত পিছিয়ে যায় এবং বিভিন্ন ভঙ্গিমাতে বিভিন্ন অনুভূতি পাওয়া যায়।
উত্তরঃ হ্যাঁ ঠিক বলেছেন। ওই পদ্ধতিতে যৌনসঙ্গমের মাঝে বারে বারে সঙ্গম থামাতে হয়। এক্ষেত্রে মেয়েটির সাথে আপনার আলাপ করে নেয়া প্রয়োজন, কারণ এতে তার সুখানুভূতি ব্যাহত হলে সম্পর্কচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন ভঙ্গিমা ব্যবহার করেও সঙ্গমকাল দীর্ঘ করা যায়।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করার পর ইদানীং আমার তীব্র মাথাব্যথা ও ঘাড় ব্যথা হচ্ছে। ব্যথা এত তীব্র যে চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করে, কিভাবে মুক্তি পাব?
উত্তরঃ সম্ভবত আপনার মাইগ্রেন জাতীয় মাথাব্যথা হচ্ছে। যৌন উত্তেজনা যার কারণ। এরকম অনেকেরই হয়। আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন। ডাক্তারের পরামর্শ নিন, যে ভঙ্গিতে আপনি হস্তমৈথুন করেন সেই ভঙ্গি পরিবর্তন করে দেখতে পারেন এতে আপনার মাংসপেশির চাপ কমে কি না। তাহলে মাথাব্যথা হবে না। ডাক্তার জানে, কমবেশি বেশিরভাগই হস্তমৈথুন করে, সুতরাং লজ্জা পাওয়ার মতো কিছু নেই।
প্রশ্নঃ একটা মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক হয়েছে। সে যৌনসঙ্গম করতে চাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে আমি পারব না। কী করা উচিত।
উত্তরঃ আপনার যৌনভীতি শুরু হয়েছে। বিষয়টা তাকে খুলে বলুন, সে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। একবার কাজটা না করলে বোঝা যাবে না আপনি পারবেন কি না। আগে চেষ্টা করুন, সম্ভব না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করার পর বীর্য মুখে নিয়ে দেখতে ইচ্ছা করে কেমন লাগে এটা কি নিরাপদ?
উত্তরঃ অনেকেই এ কাজ করে কিন্তু স্বীকার করে না। বীর্য মুখে নেয়াতে অসুখ হবে না, বীর্যের স্বাদ লোনা পানির মতো।
প্রশ্নঃ একজন খুব Sexy Hot মেয়ের সাথে আমার যৌন সম্পর্ক হয়েছে। তবে বীর্যপাতের সময় আমার পায়ের আঙ্গুল কুঁকড়ে এসেছে, এটা কি স্বাভাবিক?
উত্তরঃ হ্যাঁ। এটা স্বাভাবিক। বীর্যস্খলনের সময়ে অনেক সময় পায়ের মাংসপেশিতে টান ধরতে পারে, একে Charlie horse বলে।
প্রশ্নঃ কিছুদিন আগে আমার এক বুর বাড়িতে টিভি দেখছিলাম। সে সময় তার সুন্দরী আত্মীয়া ছাড়া ঘরে কেউ ছিল না। কিছুক্ষণ পরে আমাকে সে চুমু খেল। আমি তাকে চুমু খেলাম। সে আমার লিঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করল। আমি চরম উত্তেজনা অনুভব করলাম। তাকে একটানে শুইয়ে দিলাম এবং সঙ্গম করলাম। তখন আমার শরীরে জিন্স প্যান্ট ও জামা কাপড় সব ছিল। কাপড় পরা অবস্থায় সঙ্গমে চরম আনন্দ পেলাম। এরকম কি কেউ করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ। অনেকেই এরকম করে এবং দারুণ তৃপ্তি অনুভব করে।
প্রশ্নঃ আমরা সন্তান নেব। আমার স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের সময়ে তাকে চিৎ করে শুইয়ে দিলাম, সে তার দুই পা আমার ঘাড়ে তুলে দিল। এরপর আমি আমার লিঙ্গ তার যোনিপথের যতটা ভেতরে সম্ভব ঢুকিয়ে বীর্য ঢেলে দিলাম। এরপর সে একঘণ্টা শুয়ে ছিল। শুনেছি এতে শুক্রাণু দ্রুত ভেতরে পৌঁছায় এটা কি ঠিক?
উত্তরঃ সম্ভবত ঠিক।
প্রশ্নঃ সম্প্রতি আমার চুল রঙ করে খয়েরি করেছি। শুনেছি এই রঙে মেয়েরা আকৃষ্ট হয়।
উত্তরঃ কে কোন রঙে আকৃষ্ট হবে তা ব্যক্তিমত না নেয়া পর্যন্ত বোঝা যায় না। এখন দেখতে পাবেন কেউ আকৃষ্ট হচ্ছে কি না।
প্রশ্নঃ কোন ভঙ্গিতে বীর্যপাত সবচেয়ে আনন্দদায়ক? পেছন থেকে লিঙ্গ ঢুকিয়ে বীর্যপাত করতে আমার ভালো লাগে।
উত্তরঃ এটা ব্যক্তি পছন্দের ব্যাপার। আপনার যৌনসাথী যেভাবে আনন্দ পায় সে ভঙ্গি ব্যবহার করা ভালো।
প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সময় আমি বিভিন্ন শব্দ করতে পছন্দ করি। অন্যরা কি এরকম করে?
উত্তরঃ এক একজনের অভ্যাস এক এক রকম। তবে যৌনসঙ্গমের সময় অজান্তেই মুখ থেকে নানা শব্দ বের হয় এটাই স্বাভাবিক।

সৌজন্যে: অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ

এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি 

Tuesday, February 24, 2015

সফল মাতা-পিতা হবার জন্য যা করণীয় (How to be successful parents)



সফল মাতা-পিতা হবার জন্য যা করণীয়
সফল মাতা-পিতার জন্য যা করণীয়...
বড় পোস্ট শুধু যাদের প্রয়োজন তারা পড়ুন অথবা শেয়ার করে পোস্ট লিঙ্ক সেইভ রাখুন পরে সময় করে পড়ে নিবেন ..... আপনার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ এর জন্য এই তথ্য গুলো জান খুভ প্রয়োজন ...
সন্তান জন্ম দেয়া সহজ। কিন্তু সফল ও যোগ্য পিতা-মাতা হওয়া কঠিন। সন্তান মানুষ করা আরও কঠিন। পিতা-মাতার কাছে সন্তান অমূল্য সম্পদ। তাদের ঘিরেই থাকে সব স্বপ্ন। অথচ সফল পিতা-মাতা কি করে হতে হয় অধিকাংশ মানুষই তা জানেন না বা জানলেও অনুসরণ করেন না। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। সন্তানদের সাথে দূরত্ব বাড়ছে, সন্তানরা বিপথগামী হচ্ছে, মানসিক যন্ত্রণা ও দ্বন্দ্ব বাড়ছে। পশু-পাখির বাচ্চা জন্ম নিয়েই দৌড়ায়। কিন্তু মানব সন্তানকে যে যত্ন ও নিয়ম করে হাঁটতে-দৌড়াতে শিখাতে হয়।

মনে রাখতে হবে শিশুরাই একটি দেশ, সমাজ ও জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। তাই এরাই সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব পাওয়ার দাবীদার। এই বয়সে তারা যা শিখে বা তাদের যা শেখানো হয়, তার ভিত্তির উপরই গড়ে ওঠে তাদের তথা জাতির ভবিষ্যত। অথচ শিশুরা আজ যে শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা পাচ্ছে, তাতে তারা আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে পারছে না। প্রকৃত শিক্ষা বলতে যা বোঝায় তা শুধু স্কুল-কলেজের লেখাপড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। চারিত্রিক ও আত্মিক উন্নয়নের বিষয়গুলোও এ শিক্ষার সঙ্গে জড়িত। আজকাল শিশুরা মারামারি, চুরি, ডাকাতি, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, সন্ত্রাস এমনকি হত্যাকান্ডসহ নানা অপরাধে জড়িত হচ্ছে। কোমলমতি শিশুদের নিষ্ঠুরতা ও সহিংস প্রবৃত্তি গ্রাস করছে কেন? সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে বিকশিত হওয়ার বদলে কেন তারা অমানুষে পরিণত হচ্ছে? এই প্রশ্নের সদুত্তর খোঁজার দায় সমাজের সচেতন সবারই।

জন্মের পর থেকেই শিশুর শিক্ষা শুরু হয়। শিশুর শিক্ষার প্রথম পাঠ শুরু হয় মায়ের কাছ থেকে তথা পরিবার থেকে। একটি শিশুকে গড়া মানে একটি জাতি গড়া। আর জাতি গড়ার এ মহান দায়িত্ব ন্যস্ত হয় বাবা-মা ও পরিবারের উপর। এ কারণেই সন্তান লালনের আগে কিছু কিছু বিষয়ে বাবা-মায়ের প্রস্ত্ততি নেয়া অত্যাবশ্যক। অন্য কিছুতে গাফলতি করলেও এ বিষয়ে গাফলতি ঠিক নয়। কারণ এর সঙ্গে সমাজ ও জাতির ভবিষ্যত জড়িত। ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য যে ধরনের প্রস্ত্ততি চলে, তেমনি শিশুর চারিত্রিক উন্নয়ন সাধনে দৃঢ় প্রচেষ্টা দরকার। সোনার মানুষ গড়ার জন্যও প্রয়োজন কঠোর সাধনা।

আমরা শিশুর শারীরিক বিষয়ে যতটা গুরুত্ব দিচ্ছি কিন্তু তার মানসিক বিকাশ, তার চিন্তা-চেতনা সঠিকভাবে গড়ে উঠছে কি-না সে বিষয়ে আমরা তেমনভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি না। ফলে অধিকাংশ শিশুরা ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা-চেতনায় এবং অভ্যাসে বড় হয়ে উঠে এবং বড় হয়ে ঐ সকল বদ অভ্যাস ও ত্রুটিগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে ত্যাগ করতে পারে না। যেমন দুই/তিন বছরের অনেক শিশুকে দেখা যাবে, জিনিসপত্র নষ্ট করছে, যা খাচ্ছে অর্ধেক ফেলে দিচ্ছে, টেবিলে-সোফায় লাফালাফি করে জিনিসপত্র ক্ষতি করছে। খেলনাপত্র ভাংচুর করছে। অন্য বাড়িতে গিয়ে সাজানো জিনিসপত্র নাড়াচাড়া বা নষ্ট করছে। জানালা দিয়ে বাইরে জিনিস ফেলছে। অথচ মমতাময়ী মাতা খুশী মনে বলছেন, আমার সন্তান দারুণ প্রাণচঞ্চল, দারুণ দুষ্ট। এসব কথা তারাই বলেন, যারা নিজেরা ঐভাবে বড় হয়েছেন এবং এ বিশৃঙ্খলভাবে বেড়ে উঠাকেই সঠিক মনে করছেন। অনেক মায়েরা এও বলে থাকেন, বাচ্চামানুষ করবেই তো, বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে। অথচ এটা একেবারেই ভুল কথা। বড় হলে শিখবে না। বরং এসব বদ অভ্যাস, বিশৃঙ্খল কাজ ছেড়ে দিতে কষ্ট হবে।

বাচ্চারা ৬ মাস থেকেই ভালমত শিখতে শুরু করে। আদর যেমন বোঝে, ধমকও বোঝে। ভালো কাজ, খারাপ কাজ শেখার বা বোঝার ক্ষমতা ঐ সময় থেকেই শুরু হয়ে যায়। যেমন দুবছরের কোন শিশুকে দেখবেন চকলেটের কভার খুলে ঘরের কোণে রাখা ডাস্টবিনে গিয়ে ফেলছে। কোন নতুন বাসায় গিয়ে শোপিস দেখছে, কিন্তু ধরছে না। যাতে ভেঙ্গে না যায়। দুবছরের বাচ্চারা নিয়ম-শৃঙ্খলা, সৌন্দর্যবোধ, গুছিয়ে রাখা, নষ্ট না করা, কোনটা করা উচিত এবং উচিত নয় তা বোঝার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। বরং আমরা অভিভাবকরা বুঝি না তাদের কিভাবে শেখানো উচিত। কারণ ঐ শিশুর ব্লাংক ব্রেন সফটওয়ারে সবকিছু বুঝতে চায়, জানতে চায় এবং সে তার ব্রেনে দ্রুত সবকিছু সংরক্ষণ করে রাখে। ছয় বছরের মধ্যে শিশুরা ব্রেনের পূর্ণতা পেয়ে যায়। ঐ বয়সে সে যা কিছু দেখে, শোনে, বোঝে পরবর্তী জীবনে তার প্রতিফলন ঘটে। স্বার্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা অথবা উদারতা, মায়া-মমতা প্রভৃতি ইতিবাচক বা নেতিবাচক গুণাবলিতে বিকশিত হয়। এসময় যা ইনপুট হবে পরবর্তী জীবনে তাই আউটপুট হবে। সুতরাং এই সময়টি শিশুদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবচেয়ে আদরের সন্তানকে আদব-কায়দায়, সৃষ্টিশীলতায় এবং কিভাবে আদর্শ মানুষ করতে হয় এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নিম্নে বিষয় আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।-

শিশুকাল থেকে ইতিবাচক শিক্ষায় গড়ে তোলা :
-----------------------------------------------
একথা কখনই মনে করা ঠিক নয় যে, শিশু কিছু বোঝে না। ও ঠিকই বোঝে, ক্ষেত্র বিশেষে ও পিতা-মাতার চাইতে দ্রুত গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে। এখন সে কাদামাটির ন্যায়, যেভাবে গড়া হবে সেভাবেই গড়ে উঠবে। পিতা-মাতা, বাড়িতে থাকা ভাই-বোনরাই তার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক। শিশুরা দেখে শেখে, শুনে শেখে, করে শেখে। তাদের ব্রেনের সফটওয়ার এসময় সম্পূর্ণ খালি থাকে। ফলে যা দেখবে, শুনবে, অনুভব করবে, তাই ব্রেনে দ্রুত রেকর্ড হয়ে যাবে। যেমন কোন শিশু ঘরের ভেতর দৌড়াতে গিয়ে দরজার চৌকাঠে গিয়ে আঘাত পেয়ে কাঁদতে শুরু করল, তাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে দরজার চৌকাঠে আঘাত করে বাচ্চাকে বুঝানো হল দরজাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। বাচ্চার কান্না থেমে গেল। এতে সন্তানকে শেখানো হল যে বাঁধা দেয় বা কষ্ট দেয় তাকে ধরে মারতে হয়। ফলে ঐ শিশু প্রতিশোধ পরায়ণতা শিখল শিশুবেলা থেকেই।

আরো একটি উদাহরণ, তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত সন্তানকে যে টিফিন দেয়া হয়, সেটা অধিকাংশ সময় সে নিজে খায় না, তার বন্ধুরা খেয়ে ফেলে। একদিন সন্তানকে বলা হল যে, তোমার টিফিন তুমি খাও না, বন্ধুরা খায় কেন? তুমি বোকা, না গাধা? নিজের স্বার্থ বুঝ না? আজ থেকে তোমার টিফিন বন্ধুরা যেন না খায়। এভাবে বলার মাধ্যমে সন্তানকে স্বার্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা শিখানো হল। ঐ সন্তান হয়ত পরবর্তীতে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে দেখবে না। কারণ সে ছোট বেলা থেকেই স্বার্থপরতা শিখে এসেছে। সে শিখেছে, নিজেরটা আগে দেখো। অথচ এক্ষেত্রে শিখানো উচিত ছিল বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে খেয়ো, সে খেয়েছে কি-না? মিলে-মিশে খেয়ো। মানুষকে সাহায্য করো, দুটি ভালো কলম থাকলে বন্ধুকে একটি দাও। যাতে ও ভালো লিখতে পারে।

এভাবে শিশুকে বড় মন নিয়ে বড় হতে দিতে হবে। তবেই বাবা-মাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করবে। যত দেয়া যায়, বহুগুণে তা ফিরে আসে।

শিশুদের আত্মমর্যাদাবোধ সমুন্নত রেখে গড়ে তোলা :
-----------------------------------------------
অভিভাবকরা চান বাচ্চারা সম্মান ও মর্যাদাবোধ নিয়ে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠুক। কিন্তু তাদেরকে উপরে উঠাতে গিয়ে না বুঝে নীচে টেনে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাদের বড় করতে গিয়ে ছোট করা হচ্ছে। নিচের দিকে টেনে নেয়া হচ্ছে কিন্তু ভাবা হচ্ছে তারা উপরে উঠছে। যেমন কোন আত্মীয়ের সামনে নিজের সন্তানকে বলা হচ্ছে, তোমার খালাতো ভাই কত বুদ্ধিমান! কত সুন্দর করে কথা বলে! ব্যবহার কত ভালো, এদের দেখে শিখো। কিছুতো পারো না। এতে সবার সামনে তার মর্যাদায় আঘাত দেয়া হল। আরও বলা হল, অমুক ছেলে পড়াশোনায়, খেলাধূলায় জিনিয়াস, তুমি কি করো! তুমি তো একটা গাধা! এতে কি ছেলেকে উৎসাহিত করা হল না নিরুৎসাহিত করা হল?

একটি দুবছরের শিশুকে তাচ্ছিল্য করলেও সে মন খারাপ করে। সেখানে কিশোর বয়সী সন্তানকে সবার সামনে ছোট করে তাকে কিভাবে বড় করা যাবে? তার আত্মমর্যাদা, আত্মবিশ্বাস নষ্ট হতে হতে এক সময় তার মনে হবে, সত্যিই আমি গাধা আমাকে দিয়ে কিছু হবে না।

এভাবে তার ভেতরের অফুরন্ত সম্ভবনাকে নষ্ট করা হল। সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয় না। সন্তানকে সবার সামনে কখনও প্রশংসা করতে হবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা জোগাতে হবে। জন্মগত মেধাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের মনের খোরাক মনের খাদ্য হল উৎসাহ, সেটা দিতে হবে। মাঝে মাঝে বলতে হবে আমার জিনিয়াস চাইল্ড, তোমাকে নিয়ে আমি গর্ব করি। দেখবেন সন্তান কত উৎসাহিত হচ্ছে, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হচ্ছে পিতা-মাতার এই গর্বকে সমুন্নত রাখতে। সে উচ্ছৃঙ্খল নয় সুশৃঙখল পথেই বেড়ে উঠবে। একটি ঘটনা উল্লেখ করা যায়-

ঢাকার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। সন্ধ্যায় তার পিতা অফিস থেকে এসে ড্রাইং রুমে বসে টিভি চ্যানেল বদলাচ্ছিলেন। মেয়েটি তার পিতার পাশে খুশীমনে বসেছিল কিছুক্ষণ। কিন্তু তার বাবা তাকে কোন অভিনন্দন জানাননি। মেয়েটি পরে বলল, আমি ভেবেছিলাম পিতা হয়তো খুশী হয়ে আমাকে কিছু বলবেন। কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না।

অনেক অভিভাবক এমনও বলেন, গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাওয়া কোন ব্যাপার নাকি! এত প্রাইভেট টিচার, এত কোচিং কয়জন পায়? মেডিকেল, বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হও, তখন বোঝা যাবে! পিতা-মাতা আত্মীয়ের বাড়িতে মিষ্টি পাঠিয়ে আনন্দ করছেন। অথচ এত কষ্ট করে যে এত ভাল রেজাল্ট করল তার মাথায় স্নেহের হাত রেখে বলতে পারছেন না, মহান আল্লাহ আরো বড় করুক তোমায়। কয়জন আমরা এমনটি বলতে পারছি? ভাবখানা এমন যে, প্রশংসা করলে বা ভাল বললে ভবিষ্যতে খারাপ করবে। অথচ সন্তান পিতা-মাতার আনন্দ দেখতে চায়। পেতে চায় তাদের হৃদয়নিংড়ানো ভালোবাসা ও অভিনন্দন। যা তাকে আরও শক্তি ও উৎসাহ জোগাবে। সুতরাং ছেলে/মেয়েদের ভেতরের অসীম ক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলতে হবে, তাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। পুরষ্কৃত করতে হবে। পিতা-মাতার ভালোবাসা ও নেক দোআ সন্তানের পাথেয় হবে। সাথে সাথে পারিবারিক বন্ধনও সুদৃঢ় হবে।

সন্তান ভুল করলে বা মন খারাপ থাকলে মনে শক্তি জোগাতে হবে :
---------------------------------------------------------------------------
বয়ঃসন্ধির সময়টিতে সন্তানদের প্রতি মা-বাবার বিশেষ যত্ন, ভালবাসা ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাদের সাথে সম্পর্ক আরও বাড়াতে হবে। ঐ বয়সের গুরুত্বপূর্ণ ও অনিবার্য বিষয়গুলো সহজ ও সরলভাবে মনোবৈজ্ঞানিক কৌশলে বোঝাতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক কাজটি করতে ব্যর্থ হন। যেমন- সন্তান কোন ক্ষেত্রে ভুল বা অন্যায় করে ফেলেছে, যাতে সে বিব্রত ও লজ্জিত। সে অপরাধবোধ, সিদ্ধান্তহীনতা নিয়ে হতাশায় ভুগছে। এই নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে তাকে উদ্ধার করে স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসার শক্তি জোগাবে কে? তার জীবনের সবচেয়ে আপনজন তার পিতা-মাতা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পিতা-মাতা সঠিক পরামর্শ বা সান্ত্বনা না দিয়ে বকাবকি, অত্যাচার বা অপমান করেন। যার কারণে তার মধ্যে যতটুকু ইতিবাচক এনার্জি ছিল সেটাও ধূলায় মিশিয়ে যায়। অথচ এমতাবস্থায় তার আবেগীয় ভুলগুলো আলোচনা করে তার ভ্রান্ত বিশ্বাসের ভিত্তির গভীরে গিয়ে তার চিন্তাধারার পরিবর্তন করলেই তার জীবনধারা বদলে যাবে।

আমরা তা না করে মানসিক নির্যাতন করছি। অথচ পিতা-মাতা সন্তানের সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু। ঐ সময় সন্তানের মানসিক শূন্যতা পূরণের দায়িত্ব পিতা-মাতার। সন্তানের মানসিক বিপর্যয়ের সময় সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন তারাই। এক্ষেত্রে যরূরী বিষয় মনে রাখতে হবে। কি ভুল করেছে সেটার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ কেন ভুল করেছে। পিন পয়েন্ট সমাধানের পথ তখনই সহজ হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন ভুল আর না ঘটে।

সন্তানদের কার্যকর সময় দিতে হবে :
-----------------------------------------------
সফল মাতা-পিতা হবার গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্তব্য হল সন্তানদের সময় দেয়া এবং এক ছাদের নিচে এক সাথে থাকাকে সময় দেয়া বুঝায় না। সন্তান তার ঘরে, আর পিতা-মাতা আরেক ঘরে থাকাকে সময় দেয়া বুঝায় না। কার্যকর সময় দেয়া মানে সন্তানের সাথে ভাব বিনিময় করা সন্তানের সাথে পড়াশোনা, ধর্মীয় আলোচনা, নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া, গল্প করা, মাসে একবার হলেও পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া। এ বিষয়ে বাচ্চাদের পরামর্শ চাওয়া, কোথায় গেলে ভালো হয়, কিভাবে গেলে ভালো হয় ইত্যাদি বিষয়ে তাদের মতামত চাওয়া। এতে সন্তানদের দায়িত্ববোধ, গুরুত্ববোধ, সৃষ্টিশীলতা বৃদ্ধি পায়। পিতা-মাতার সাথে আন্তরিকতা, মুক্তমনে আলোচনার সম্পর্ক ঠিক থাকে। তখন জমে থাকা অনেক কথা, যে কোন পরামর্শ খোলা-মেলাভাবে পিতা-মাতার সাথে শেয়ার করতে পারে। এতে বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সন্তানরা মুক্ত থাকে। অথচ অধিকাংশ পরিবারে দেখা যায়, বাচ্চাদের বয়স ১২/১৩ বছর হয়ে গেলে তাদের সাথে তেমন কথা-বার্তা বলা প্রয়োজনবোধ করেন না অভিভাবকরা। অতি প্রয়োজনীয় কথা ছাড়া কথা বলেন না। এমন অনেক পিতা আছেন সাত দিনে সাতটি কথাও বলেন না। তারা মনে করেন খাওয়া-পরা, স্কুল-কলেজে পড়ানো, প্রাইভেট টিউটর, পোশাক-পরিচ্ছদ, কম্পিউটার, দামি মোবাইল সব কিছুই তো দেয়া হচ্ছে। যা চাচ্ছে সবই তো পাচ্ছে। অপূর্ণ তো কিছু রাখা হয়নি। অথচ সন্তান যতই বড় হৌক তারা চায় পিতা-মাতার আন্তরিক সান্নিধ্য, সাহচর্য, চায় তাদের সাথে প্রাণখুলে কথা বলতে, চায় অন্তরখোলা ভালবাসা। এটা যদি না থাকে তবে পিতা-মাতার সাথে সন্তানের মানসিক আকর্ষণ তৈরী হবে কিভাবে? রিলেশন থাকে কিভাবে?

সুতরাং সন্তানদের সময় দিতেই হবে। একটি সত্য ঘটনা শুনুন। ৫ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এক প্রখ্যাত চিকিৎসকের সন্তান। তার পিতা সকালে মেডিকেল কলেজে যান এবং বিকালে প্রাইভেট রোগী দেখেন। রাত প্রায় ১২-টার দিকে বাসায় ফেরেন। এটি নিত্য ঘটনা। সন্তান বা স্ত্রীকে সুযোগ দেবার সময় পান না। তার সন্তানটি একদিন বাবার সাথে বিকেলে নভোথিয়েটারে বেড়াতে যেতে চেয়েছিল, পিতা সময় দিতে পারেননি, রোগী দেখার ব্যাপার আছে। ঐ ছেলে মা, মামা, চাচা, খালুর নিকট থেকে পাওয়া, এমনকি টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ছয় হাযার টাকা জমিয়ে একটি খামে ভরে সবিনয়ে পিতাকে দিয়ে বলেছিল, আববু! এই তোমার ছয় হাযার টাকা। আগামীকাল তিন ঘণ্টা আমাকে নিয়ে বিকালে বেড়াতে যাবে। ঐ শিশু হিসাব করে দেখেছে, তিন ঘণ্টায় তার বাবা ঐ পরিমাণ টাকা আয় করেন। সুতরাং একটি ছোট্ট শিশু আর কি-ই-বা করতে পারে! এর পরেও কি পিতা-মাতাদের চেতনা ফিরে আসবে না? এত অর্থ সম্পদ কার জন্য? কিসের জন্য এত পরিশ্রম? কিসের জন্য এত ত্যাগ? পরিবারের তথা সন্তানদের সুখের জন্যই তো? তবে কোথায় সেই সুখ? সুতরাং পিতা-মাতাকে ভাবতে হবে। সারাজীবন পিতা-মাতার সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত এই সন্তানগুলো যখন বড় হয়ে বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি স্নেহের দৃষ্টি দিতে ভুলে যাবে, ন্যূনতম দায়িত্বটুকু পালন করতে অবহেলা করবে, তখন হয়ত সেদিনগুলির কথা মনে আসবে। কিন্তু তখন তো আর এসব ভাবনার কোন মূল্য হবে না। সুতরাং আসুন! এখন থেকেই সাবধান হই।

শিশুর সামনে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে :
--------------------------------------------------------------------
শিশুরা ৫ মাস বয়স থেকেই কথাবার্তা বুঝতে শুরু করে। তাই এ সময় থেকেই শিশুর সামনে সতর্ক থাকতে হবে। পিতা-মাতা খারাপ আচরণ করলে শিশুর উপর প্রভাব পড়ে। এসময় বাচ্চারা অনুকরণের চেষ্টা করে। মা জোরে কথা বললে শিশুও জোরে কথা বলতে শিখে। বাবা-মা ঝগড়া করলে সেও ঝগড়াটে হয়। মা সবসময় ধমকা-ধমকি করলে শিশু বদমেজাজী হয়ে ওঠে। এমনকি শিশুকে মারধর করলে সে পরে বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে মারমুখো আচরণ করে। তাই বাবা-মাকে শিশুর সামনে কথাবার্তা ও ব্যবহারে খুব সাবধানী হতে হবে। আর বাবা যদি বদমেজাজী হন, তাহলে ঝগড়ার সময় মাকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। শিশু বড় হয়ে বুঝতে শুরু করলে সে মায়ের সহনশীলতা ও ধৈর্যশীলতায় মুগ্ধ হবে। তখন মায়ের ঐ গুণগুলো সে নিজেও অর্জন করতে সক্ষম হবে।

সুবিবেচক ও দূরদর্শী হতে হবে :
-----------------------------------------------
শিশুর মন বুঝতে হবে। সে কাঁদলেই মা নাচিয়ে, দুলিয়ে, ধমকিয়ে, শিস বাজিয়ে, কখনও চড়-থাপ্পড় মেরে শান্ত করার চেষ্টা করেন। অথচ শিশুর কি প্রয়োজন, সেটি বুঝে উঠতে পারেন না। একটু খোঁজ করলেই তার সমস্যার কারণ মা বের করতে পারেন। এজন্য মাকে বিচক্ষণ হতে হবে। মোটকথা শিশুর সামনে রাগ দেখানো, মারধর, জোরে চিৎকার অযথা ধমকানো থেকে বিরত থেকে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। উন্নত জীবন গড়ার জন্য সন্তানের মনোভাব বোঝাটাও একান্ত যরূরী। তাই শৈশব কাল থেকে সন্তানের মনোভাব বুঝে তার আগ্রহের বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে সুবিবেচনার পরিচয় দিতে হবে।

সৎসঙ্গ ও সুস্থ পরিবেশে গড়ে তোলার চেষ্টা করা :
-----------------------------------------------
স্কুল-কলেজে পড়া অবস্থাতেই অনেক ছাত্রের মধ্যে নেশা করার প্রবণতা দেখা দেয়। নেশাখোর ছাত্ররা অন্য ভালো ছাত্রদেরও নেশা করায় উদ্বুদ্ধ করে। মা-বাবাকে এ ব্যাপারে সন্তানকে স্কুলে ভর্তির সময় থেকে সাবধান ও সচেতন করতে হবে। অনেক ছাত্র দল বেঁধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। আবার অনেকে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, সন্ত্রাস, ছিনতাইয়ে জড়িত হয়। ছোটবেলা থেকে এসব অপকর্মের বিষয়ে সচেতন করার দায়িত্ব পিতা-মাতার। আর সব ছাত্র-ছাত্রীই খারাপ নয়। তাই যেসব ছাত্র লেখাপড়ায় ভালো, নিয়মিত ক্লাস করে, মেধাবী, আচার-আচরণে ভালো, উচ্চ নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন, লেখাপড়ার পাশাপাশি সমাজ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে জড়িত, এমন ভালো ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের মিশতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রতিদিন সন্তানের খোঁজ-খবর নিতে সপ্তাহে একবার করে হলেও স্কুলে যেতে হবে। পিতা-মাতা বুঝবেন তার সন্তানের হাল-হকিকত। বস্ত্ততঃ প্রথম থেকেই সন্তানের আদর্শ মনোভাব গড়ার দায়িত্ব পিতা-মাতার।

সত্য কথা বলা ও ওয়াদা পালনের শিক্ষা দেওয়া :
-----------------------------------------------
সদা সত্য কথা বলবে। এ উপদেশবাণী যতই স্কুলে আওড়ানো হোক না কেন, যখন ঘরে পিতা-মাতাকে মিথ্যা বলতে দেখবে তখন শিশুটি মিথ্যাকে আর দোষণীয় মনে করবে না। জীবনের যে কোন পরিস্থিতিতে নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলবে। তাই উন্নত জীবনের জন্য পিতা-মাতাকে শিশুর সামনে সত্যের চর্চা করা কর্তব্য। ওয়াদা পালনের গুণটিও শিশুকাল থেকে শেখানো যরূরী। ওয়াদা পালনের গুণটি অর্জন করলে দেশ ও সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সে সচেতন হয়। ভবিষ্যতে লেখাপড়াসহ অন্যান্য যে কোন কাজে সহজে সফল হয় এবং সুনাম অর্জন করে।

শিশুর সামনে আদর্শ মডেল তুলে ধরতে হবে :
-----------------------------------------------
শুধু তত্ত্ব কথায় শিশুকে বোঝানো কষ্টসাধ্য। তাই তার সামনে চরিত্র গঠনের বিষয়গুলো কাহিনী অবলম্বনে শোনালে তা তার মনে সহজে রেখাপাত করবে। আজকাল অনেকে বাচ্চাদের হাতে কল্পকাহিনী জাতীয় বই তুলে দিচ্ছেন। এসব বইয়ের গল্পগুলো অবাস্তব, অসত্য ও অলীক। যা শিশুদের বাস্তব জীবন থেকে দূরে রাখে। বাজারে সত্য কাহিনী অবলম্বনে বিভিন্ন গল্পের বই পাওয়া যায়। এছাড়া মনীষীদের জীবনকাহিনী, তাদের ধৈর্য, পরিশ্রম ও উন্নত চরিত্রের গল্প ইত্যাদি শিক্ষণীয় বইপত্র তাদেরকে পড়ে শুনান। অতঃপর পড়তে শিখলে তাদের হাতে সেগুলি তুলে দিন।

নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে :
-----------------------------------------------
বিষয়টি সবশেষে আনা হলেও এটিই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক শিক্ষা দেয়ার পদক্ষেপ শিশুকাল থেকে নিতে হবে। চরিত্র গঠন ও উন্নত জীবনের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করার কোন বিকল্প নেই। এতে করে শিশুর মনে যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি হয়, তা তাকে যে কোন খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। বাবা-মাকে সম্মান করা, প্রতিবেশীকে শ্রদ্ধা করা, সৎপথে চলা, ন্যায়ের প্রতি ভালোবাসা, অন্যায়ের প্রতি ঘৃণাবোধ ইত্যাদি বিষয়গুলো একটি শিশুর জীবনকে সুন্দর করে তোলে। তবে স্মরণ রাখতে হবে যে, নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্য পিতা-মাতাকে সর্বাগ্রে উন্নত নৈতিকতার অধিকারী হতে হবে। আর নৈতিক অবক্ষয় থেকে শিশুকে বাঁচানোর একমাত্র পথ তার হৃদয়ে গভীর ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি করা।

নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ধর্মীয় কাহিনীগুলো শিশুকে শোনানোর কোন বিকল্প নেই। আজ ইউরোপ-আমেরিকাতেও একটা সেলাগান বেশি শোনা যাচ্ছে, তা হBack to the religion. পাশ্চাত্যের একজন মনীষী তাই বলেছিলেন, ধর্ম বাদে অন্য কোন শিক্ষাই সৎ মানুষ গড়ার জন্য পরিপূর্ণ শিক্ষা নয়।

গবেষণার মাধ্যমে শিশুর মানসিক বিকাশের পথ, চরিত্র উন্নয়নের নানা কর্মকৌশল ও শিশু অপরাধ দমনের আরও অনেক রাস্তা বের করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সরকারী উদ্যোগ। মোটকথা, বর্তমান সময়ে শুধু স্কুল-কলেজের উপর ভরসা করে শিশুদের ছেড়ে দিলে আমাদের শিশুরা আদর্শবান উন্নত মানুষরূপে গড়ে ওঠার পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা যে কত বেশী, তা আশপাশের সমাজ চিত্র দেখলেই সহজে অনুমিত হয়। এজন্য শিশুদের মানুষ করার দায়িত্ব নিতে হবে পিতা-মাতা, অভিভাবক, শিক্ষক সবাইকেই। যেহেতু একজন মা একটি শিশুর সবচেয়ে কাছের এবং সবচেয়ে বেশী সময় শিশুর পাশে থাকেন, সেহেতু মা-ই পারবেন শিশুকে আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তুলতে। সঙ্গে সঙ্গে বাবার সহযোগিতাও অপরিহার্য। সর্বোপরি প্রয়োজন সরকারের দূরদৃষ্টি ও কার্যকর শিক্ষানীতি, যার আলোকে একটি শিশু পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজ ও দেশের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য অনুধাবন করতে পারে।

একটি মজার কথা বলে আজকের প্রবন্ধ শেষ করব। এক অভিভাবক সন্তানকে সঠিক নিয়ম-কানূনে মানুষ করতে না পেরে শেষে তার এক আত্মীয়কে বলছেন, সন্তান কোন কথাই শুনে না। কি আর করব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি। কি আশ্চর্য স্রষ্টা আপনাকে সন্তান দিয়ে মানুষ করার দায়িত্ব আপনার উপর ছেড়ে দিয়েছেন। আর আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজের করণীয় ছেড়ে দিচ্ছেন। এটা কোন দায়িত্বশীল সচেতন মানুষের কাজ নয়। নিশ্চয়ই এটি আপনার জন্য পরীক্ষা। আপনি দায়িত্ব এড়াচ্ছেন কেন? ধৈর্য ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে সন্তানকে আদর্শ মানুষ করার ব্রত নিয়ে। তাহলে এটা সহজ হবে।
আজ অধিকাংশ পরিবারে পিতা-মাতার সাথে সন্তানদের দূরত্ব বাড়ছে। ব্যস্ত জীবনের জন্যই হোক, প্রযুক্তির যুগকে দোষ দিয়েই হোক। ভাবতে হবে সমস্যাটি কোথায়? পারিবারিক শিক্ষা, সঠিক ধর্মীয় মূল্যবোধ, পিতামাতার দায়িত্ব, শিক্ষকদের মহান ব্রত। সমাজ সচেতনতার এক সামগ্রিক কার্যক্রম একটি শিশুকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারে। আসুন, আমরা যার যার অবস্থান থেকে আদর্শ সন্তান তথা আদর্শ পরিবার ও সমাজ গড়ে তুলি। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন!

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬