Monday, July 17, 2023

বাই-সেক্সু-য়াল সমস্যার সমাধান

প্রশ্ন:
আমি এখনো বিয়ে করি নি, বয়স ২৫+ চলছে। আমার মনে হয় আমি বাই-সেক্সু-য়াল, মাঝে পুরুষ নারী উভয়ের জন্য আকর্ষণ কাজ করে। আগে প্রচুর পর্ন দেখতাম, এখন দীর্ঘদিন এসব না দেখলেও আমার উভয়লিংগের প্রতি এমন অনুভূতি হয়। এসব নিয়ে ব্যাক্তিগত জীবনে খুব মানসিক অশান্তিতে আছি। সামনে যদি বিয়ে করি, হয়ত এসব নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারি।
কিভাবে এসব ফিলিং থেকে বের হয়ে আসতে পারি? রেগুলার ইসলাম পালন করলে মনে হয়, আমার নারী পুরুষ কারো প্রতি আকর্ষণ কাজ করে না। আর নিয়মিত পালন না করলে মনে হয়, আমার উভয়ের প্রতি তীব্র আকর্ষণ কাজ করে, ক্ষেত্রবিশেষে কারো প্রতি বেশি কাজ করে আবার কারো প্রতি বেশ কম কাজ করে।

উত্তর:
প্রথমত, বাইসেকসুয়ালিটির ধারণা মূলত একটি মানসিক ব্যাধি। পর্ণগ্রাফির আসক্তি ও অন্যায্যভাবে নারী-পুরুষের সাথে মেলামেশার কারণে এসব মানসিক রোগ তৈরী হয়। পর্নগ্রাফী ও অন্যায্য যৌনচিন্তা ও মেলামেশার কারণে এই ধরণের অনেক মানসিক রোগ হওয়ার ভুরিভুরি উদাহরণ আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে। সুতরাং এই অসুস্থতা থেকে বের হতে আসতে চাইলে সবার আগে অনুধাবন করতে হবে, এটি একটি রোগ। মানসিক রোগ। মানসিক রোগ মানে কেবল পাগলামি না; এর পরিধি অনেক বড় ও বিস্তৃত। সুতরাং প্রথমে আত্মস্থ করুন; এটি একটি মারাত্মক মানসিক অসুস্থতা বা রোগ।
দ্বিতীয়ত, এই রোগের চিকিৎসার সঠিক জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। ইদানিং অনেকেই এসব মানসিক রোগীদের শ্রুশ্রুষা দেওয়ার লক্ষ্যে ক্যাম্পেইন ও পরামর্শসভার আয়োজন করে থাকেন।সঠিক চিকিৎসক ও ক্ষেত্র খুঁজে নিতে সেগুলোর দ্বারস্থ হতে পারেন। এক্ষেত্রে মুক্ত বাতাসের খোঁজে নামক ফেসবুক পেজটির সহায়তা নিতে পারেন।
তৃতীয়ত, সকল ধরণের বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন। বিশেষত, পর্দাহীনতা, পর্নগ্রাফী দেখা ও আত্মীয় বন্ধুদের সাথে অন্যায্য চলাফেরা ত্যাগ করুন। একাকি থাকা পরিহার করুন; যথাসম্ভব। একা অন্ধকার রুমে শয়তানের আনাগোনা বেশী থাকে। চেষ্টা করুন গুনাহ পরিহার করতে।
চতুর্থত, বেশী বেশী জিকির করুন। দুরুদ পড়ুন। সকাল-সন্ধ্যা ছয় তাসবিহ আদায় করুন।
পঞ্চমত, বিয়ের সামর্থ থাকলে দ্রুত বিয়ে করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। বিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সহায়তা করে।
এবং অতি অবশ্যই নিজের রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্য রোনাজারি করে নিয়মিত দুআ করুন। তিনি সবচেয়ে বড় শিফা দাতা।

উত্তর দিয়েছেন মুফতি নুরুজ্জামান নাহিদ হাফি.

Sunday, July 16, 2023

যে কোন সমস্যার কার্যকরী সমাধান:ইস্তিগফারের উপকারিতা

যে কোন সমস্যার কার্যকরী সমাধান:

ইস্তিগফারের উপকারিতা
━━━━ • ✿ • ━━━━ 

১। অধিক ইস্তিগফারের কারণে প্রচুর বর্ষণ হয়। 
বাগান ও শস্যে ভালো ফসল হয়। 
নদী-নালা থাকে জীবন্ত।

২। ইস্তিগফারকারীকে আল্লাহ উত্তম সন্তান, সম্পদ ও জীবিকার দ্বারা সম্মানিত করেন।

৩। দীন পালন সহজ হয়। এবং কর্মজীবন হয় সুখের।

৪। আল্লাহ ও বান্দার মাঝে যে দূরত্ব আছে, তা ঘুচে যায়।

৫। ইস্তিগফারকারীর কাছে দুনিয়াকে খুব তুচ্ছ করে দেয়া হয়৷

৬। মানব ও জীন শয়তান থেকে তাকে হিফাযত করা হয়৷

৭। দীন ও ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করা যায়।

৮। আল্লাহর ভালোবাসা অর্জিত হয়।

৯। বিচক্ষণতা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।

১০। দুশ্চিন্তা, পেরেশানি দূর হয়।

১১। বেকারত্ব দূর হয়।

১২। আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জিত হয়। 
তার তাওবার কারণে আল্লাহ আনন্দিত হন।

১৩। মৃত্যুর সময় ফেরেস্তারা তার জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসে৷

১৪। হাশরের মাঠে মানুষ যখন প্রচন্ড গরম ও ঘামের মধ্যে থাকবে, তখন ইস্তিগফারকারী থাকবে আরশের ছায়াতলে।

১৫। কিয়ামতের দিন মানুষ যখন অস্থির থাকবে, ইস্তিগফারকারী তখন ডানপন্থী মুত্তাকিনদের দলে থাকবে।

১৬। মন্দ কজ থেকে বেচে থাকা যায়।

১৭। আরশ বহনকারী ফেরেশতাগণও তার জন্য দু'আ করেন।

উৎসঃ নাদ্বরতুন নাঈম ফি মাকারিমি আখলাকির রাসূলঃ ২/৩০২