Friday, July 28, 2023

নারীপ্রেম ও নারী-আসক্তির প্রায়শ্চিত্য

‘নারীপ্রেম ও নারী-আসক্তির প্রায়শ্চিত্য বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। কখনো এই প্রায়শ্চিত্য ভোগ করতে হয় সঙ্গে সঙ্গে, কখনো দেরিতে; কখনো প্রকাশ পায়, কখনো পায় না। আবার এর এমন কিছু শাস্তি রয়েছে, যা আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেও বুঝতে সক্ষম হয় না।

 তবে সবচেয়ে বড় শাস্তি হচ্ছে—আল্লাহকে ভুলে যাওয়া ও ঈমান বিলুপ্ত হওয়া (এমন অনেক ঘটেছেও)।

 নারী-আসক্তি ও গুনাহের কারণে অন্তর মরে যায়, যার ফলে সে আল্লাহর কাছে মুনাজাতের স্বাদ আস্বাদন করতে সক্ষম হয় না; পবিত্র কুরআন তার অন্তরে অবস্থান করে না।

 ইস্তিগফার বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাসহ অন্যান্য ইবাদত তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। আরো অনেক ধর্মীয় অবক্ষয় রয়েছে, যা তাকে আস্তে আস্তে গ্রাস করে নেয়, যেটি সে অনুধাবনও করতে পারে না। 

তার অন্তরের দিগন্তজুড়ে বিস্তৃত হয় গুনাহের অন্ধকার; নষ্ট হয়ে যায় তার অন্তরদৃষ্টি; যার প্রভাব পড়ে তার শরীরেও। যেমন: চোখের দৃষ্টি চলে যায় (কমে যায়), স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে ইত্যাদি।

 তাই অন্তরের মধ্যে গুনাহের আসক্তি উপলব্ধি করার সাথে সাথে কোনো ব্যক্তির উচিত তাওবাহ করা। হয়তো এর দ্বারা আসন্ন বিপদ দূরীভূত হয়ে যাবে।’

 [ইবনুল জাওযি, যাম্মুল হাওয়া: ২১৭ (সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)]

Thursday, July 27, 2023

গীবত চার প্রকার।

গীবত চার প্রকার। 
১. হারাম গীবত 
২. হালাল গীবত
৩. ওয়াজিব গীবত 
৪. ফরজ গীবত 

হারাম গীবতঃ সাধারণত আমাদের দৈনিক কথোপকথনে আমরা যেসব করে থাকি। অন্যের এমন সব দোষ চর্চা যা মূলত আলোচনার দ্বারা কারোর ই ফায়দা নেই। 

হালাল গীবতঃ কারো এমন দোষ যা থেকে মানুষ কে সতর্ক করা উচিত। ধরুন কারো অভ্যাস হলো টাকা পয়সা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়া বা গড়িমসি করা। এক্ষেত্রে এমন ব্যক্তি যে তার অভ্যাস সম্পর্কে জানেনা তাকে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে দোষ বর্ণনা করলে এই গীবত হালাল।

ওয়াজিব গীবতঃ জীবনের কিছু বিশেষ ক্ষেত্র যা পরবর্তী সারাজীবনে প্রভাব ফেলবে এসব ক্ষেত্রে গীবত ওয়াজিব। যেমন বিয়ের ঘটকালির ক্ষেত্রে পাত্র পাত্রীর এমন দোষ যা গোপন করলে অপরপক্ষ সারাজীবনের জন্য ভুক্তভোগী হবে। এক্ষেত্রে সেসব দোষ বলে দেওয়া ওয়াজিব। 

ফরজ গীবতঃ দ্বীনের যে কোন বিষয়ে যে কোন ব্যক্তি বা দল বিকৃতি সাধন করলে ওই ব্যক্তি বা দলের গীবত করে জাতিকে ঈমান রক্ষার জন্য সতর্ক করা ফরজ। বর্তমানে দ্বীন বিকৃতি করছে এমন কিছু দল হলোঃ 

১. আহলে কুরআন 
২. কাদিয়ানী বা আহমদিয়া মুসলিম জামাত 
৩. শি'আ সম্প্রদায়
৪. নারীবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠী 
৫. দেওয়ানবাগী 
৬. রাজারবাগী 
৭. কুতুববাগী
৮. আটরশি/ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল
৯. মাইজভান্ডারি
১০. মডারেট ইসলামের প্রচারক সকল ব্যক্তি বা দল। 

আরও থাকতে পারে। 

অনেকে কারো ভ্রান্তি ত্রুটি তুলে ধরলেই গীবতের মাস'আলা শিখাতে উঠেপড়ে লাগে। তাদের জন্য এই চার প্রকার জেনে রাখা উচিত