Wednesday, May 26, 2021

সন্তান লাভের ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ আমল। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এই আমলগুলো করবেন।

 

সন্তান লাভের ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ আমল। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এই আমলগুলো করবেন।

 

 

▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
(১) যাকারিয়া (আ.)-এর সেই বিখ্যাত দু‘আ:
.
নবি যাকারিয়া (আ.) তখন বৃদ্ধ হয়ে গেছেন আর তাঁর স্ত্রী ছিলেন বন্ধ্যা (সন্তানহীনা)। এমন কঠিন ‘অসম্ভবতা’ সত্ত্বেও যাকারিয়া (আ.)-এর মনে হঠাৎ বাসনা হলো—সন্তানের পিতা হবেন!
.
সেজন্যে তিনি দু‘আ করেছিলেন, ‘...হে আমার রব! আমার অস্থি দুর্বল হয়ে গেছে এবং বার্ধক্যের কারণে মস্তক (চুল) শ্বেত-শুভ্র হয়ে গেছে। হে রব! আপনাকে ডেকে আমি কখনো নিরাশ হইনি। আমি ভয় করি—আমার পরবর্তী বংশধরের। অথচ আমার স্ত্রী বন্ধ্যা। অতএব, আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে একজন উত্তরাধিকারী দান করুন...।’ [সুরা মারইয়াম]
.
তিনি দু‘আ করেছিলেন—
.
رَبِّ لَا تَذَرْنِيْ فَرْدًا وَّأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِيْن
.
‘‘হে আমার রব! আমাকে একা রেখো না। তুমিই তো উত্তম ওয়ারিশ।’’ [সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৯]
.
আল্লাহ্ তাঁর দু‘আ কবুল করেন। যাকারিয়া (আ.)-এর স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেন ইয়াহইয়া (আ.)। সুতরাং, এই দু‘আটি আকুতি-মিনতি করে বেশি বেশি পড়তে পারেন। বিশেষত দু‘আ কবুলের সময়গুলোতে। এটি পড়ার বিশেষ কোনো নিয়ম নেই।
.
(২) বেশি বেশি ইস্তিগফার করা:
.
ইস্তিগফার মানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নির্দিষ্ট বড় বড় গুনাহের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। ইস্তিগফার সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে। তাই, সন্তান লাভের জন্য ইস্তিগফার করুন।
.
কুরআনুল কারিমে এসেছে, ‘‘(নূহ আ. বলেন) অতঃপর আমি বললাম: তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি দেবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্যে বাগ-বাগিচা স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’’ [সূরা নূহ, আয়াত: ১০–১২]
.
একবার হাসান বাসরি (রাহ.)-এর নিকট বেশ কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিতে আসেন। তখন তিনি উপরের আয়াতগুলোর আলোকে সবাইকে ইস্তিগফারের পরামর্শ দেন।
.
 
.
(৩) দরুদ পাঠ করা:
.
একজন সাহাবি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছিলেন, তিনি তাঁর দু‘আর সবটুকুই নবিজির উপর দরুদ পাঠের জন্য বরাদ্দ করবেন। তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘যদি তুমি তাই করো, তবে তোমার সকল চিন্তা ও উৎকণ্ঠা দূর করা হবে (প্রয়োজন পূরণ হবে) এবং তোমার পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে।’’ [তিরমিযি, আস-সুনান: ২৪৫৭; হাকিম, আল-মুসতাদরাক: ২/৪৫৭; হাদিসটি সহিহ]
.
এই হাদিসের আলোকে আলিমগণ বলেছেন, দরুদ পাঠের মাধ্যমে নিজের প্রয়োজন পূরণ হয়। 
.
(৪) আন্তরিকভাবে দু‘আ করা:
.
নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘কোনো মুসলমানের দু‘আয় যদি পাপ কাজ ও রক্ত-সম্পর্ক ছিন্ন করার দু‘আ না থাকে, তবে তার দু‘আ এই তিনটি উপায়ে কবুল হয়ে থাকে। (এক.) দুনিয়াতেই তার প্রার্থিত বস্তু দিয়ে দেওয়া হবে; (দুই.) অথবা পরকালের জন্য এর প্রতিদান রেখে দেওয়া হবে; (তিন.) কিংবা তার অনুরূপ কোনো (অনাগত) বিপদ দূর করে দেওয়া হবে।’’ [আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১১১৩৩; তিরমিযি, আস-সুনান: ৩৫৭৩; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১৬৩৩]
.
 
.
(৫) সাদাকাহ্ (দান) করা:
.
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা সাদাকার মাধ্যমে তোমাদের রোগের চিকিৎসা করো।’’ [বাইহাকি, শু‘আবুল ঈমান: ৩৫৫৭; আলবানি, সহিহুল জামি’: ৩৩৫৮]
.
এছাড়া আরেকটি দ্বঈফ হাদিসে এসেছে, সাদাকাহ মুসিবত দূর করে। তাই, সাধ্যানুযায়ী সাদাকাহ করুন। বিপদ-মুসিবত দূর করতে সাদাকার ভূমিকা বিস্ময়কর।
.
(৬) নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা:
.
মহান আল্লাহ্ বলেন, ‘‘হে ইমানদারগণ! তোমরা সবর (ধৈর্য) ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই এটি কঠিন কাজ, তবে যারা বিনয়ী তারা ব্যতীত।’’ [সুরা বাকারা, আয়াত: ৪৫]
.
(৭) বিশেষ কিছু কুরআনি দু‘আ পাঠ:
.
এটিও যাকারিয়া (আ.)-এর দু‘আ—
.
رَبِّ هَبْ لِيْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً‌ۚ اِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَآءِ
.
অর্থ: হে আমার রব! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩৮]
.
নেককার জীবনসঙ্গী ও সন্তান কামনায় এই দু‘আটি খুবই সুন্দর।
.
رَبَّنَا هَبْ لَـنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ اِمَامًا
.
অর্থ: হে আমাদের রব! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন, যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকিদের নেতা বানান। [সূরা আল-ফুরক়ান, আয়াত: ৭৪]
.
নির্দিষ্টভাবে পুত্র-সন্তান লাভের জন্যও দু‘আ করা যাবে। যদিও ইসলামে পুত্রসন্তানের কোনো বিশেষত্ব নেই। বরং মেয়ে-শিশুর ব্যাপারে পজিটিভ কথা বলা হয়েছে। যাহোক, পুত্রসন্তানে আগ্রহীরা পড়তে পারেন এই দু‘আটি—
.
رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ
.
অর্থ: হে আমার রব! আপনি আমাকে সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান করুন। [সূরা আস-সাফফাত, আয়াত: ১০০]
.
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা:
.
❖ হাদিসে এসেছে, আল্লাহ্ তা‘আলা প্রত্যেক রোগের প্রতিষেধক দিয়েছেন। কিন্তু সবকিছু আমাদের জানা নেই। তাই, উপরের আমলগুলোর পাশাপাশি সন্তান না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করুন। ভালো ডাক্তার দেখান।
.
❖ আল্লাহই সন্তান দেওয়ার মালিক। অতএব, বিশ্বাসটা শুধু আল্লাহর উপরই রাখতে হবে। অন্য কিছুতে নয়। সুতরাং সন্তান লাভের আশায় কোনো ভণ্ড পির এবং কবিরাজের কাছে গিয়ে নিজের ঈমান বিসর্জন দেবেন না। আল্লাহ্ বলেন, ‘‘তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয়ই দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, শক্তিমান।’’ [সুরা শুরা, আয়াত:৪৯-৫০]
.
❖ অনেকের ক্ষেত্রে জ্বিনঘটিত ব্যাপার থাকতে পারে। অথবা কেউ জাদুর শিকার হয়ে থাকতে পারে। এটা অসম্ভব নয়। এমতাবস্থায় ভালো কোনো রাক্বির পরামর্শে রুকইয়াহ্ (শরিয়তসম্মত ঝাড়-ফুঁক) করা যেতে পারে।
.
❖ অনেকে হিজামা (কাপিং থেরাপি) করতে বলেন। এরও উপকারিতা আছে। এই ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে পারেন।
.
❖ হাদিসে এসেছে, মুমিনের জন্য আল্লাহ যে সিদ্ধান্তই নেন, তাতেই সে সন্তুষ্ট থাকে এবং সেটিই তার জন্য কল্যাণকর হয়। সুতরাং, মহান রব আপনার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেন, তাতে সন্তুষ্ট থাকুন। দুনিয়াতে আপনাকে আল্লাহ্ কোনোকিছু থেকে বঞ্চিত করলে আখিরাতে এর প্রতিদান দেবেন।
.
আল্লাহ্ তা‘আলা প্রত্যেকের বৈধ মনোবাসনা পূর্ণ করুন। নেককার সন্তান দিয়ে ঘরকে আলোকিত করুন। আমিন।
.

 

কিয়ামতের ১৪১ টি আলামত

 

কিয়ামতের ১৪১ টি আলামত

 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

 



কিয়ামতের ১৪১ টি আলামত


কিয়ামতের আলামত, কিয়ামতের আলামত কি কি, কিয়ামতের আলামত, কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস, কিয়ামতের আলামত সমূহ, কিয়ামতের আলামত হাদিস, 
কিয়ামতের ছোট আলামত, কিয়ামতের বড় আলামত, কিয়ামত কখন হবে, কিয়ামতের আলামতসমূহ, কিয়ামত এর আলামত, কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস, কিয়ামতের ১৪১ টি আলামত, 
কিয়ামতের লক্ষণ সমূহ, কিয়ামতের লক্ষণ কি কি, কিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ, কিয়ামতের পূর্বাভাস, কিয়ামতের নিদর্শন সমূহ, কিয়ামতের বড় নিদর্শন কয়টি,
কেয়ামতের আলামত, কেয়ামতের আলামত হাদিস, কেয়ামতের আলামত সমূহ, কেয়ামত এর আলামত, কেয়ামতের বড় আলামত, কেয়ামতের ১০ টি আলামত, 
কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস, কেয়ামতের পূর্ব লক্ষণ, কেয়ামতের লক্ষন সমূহ, কেয়ামতের নিদর্শন,  keyamoter alamot bangla

আজকের আলোচনার বিষয় কিয়ামতের নিদর্শন বা আলামত সমূহ। কুরআন ও হাদিস থেকে কিয়ামতের মোট ১৪১ টি আলামত বা নিদর্শন পাওয়া যায়। যেগুলি প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

১. কেয়ামতের ছোট আলামত

২. কেয়ামতের বড় আলামত

কেয়ামতের ছোট আলামত

ক্ষুদ্রতম বা ছোট নিদর্শন এর সংখ্যা ১৩১ টি। এগুলি আবার দুই প্রকারঃ 

১. প্রথম ভাগঃ যেগুলি প্রকাশিত হয়েছে। এর সংখ্যা ৮৬টি।

২. দ্বিতীয় ভাগঃ যেগুলি প্রকাশিত হয়নি। এর সংখ্যা ৪৫ টি।

 

যেগুলি এখনো প্রকাশিত হয়নি সেগুলি আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

১. যেগুলি কিয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার আগে না পরে প্রকাশিত হবে তা স্পষ্ট নয়। এর সংখ্যা ২৪ টি।

২. যেগুলি কিয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার আগে প্রকাশিত হবে। এর সংখ্যা ১২ টি।

৩. যেগুলি কিয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার পরে প্রকাশিত হবে। এর সংখ্যা ৯ টি।

 

কেয়ামতের বড় আলামত

যেগুলাে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হলে পরক্ষণেই কিয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে। এর সংখ্যা দশটি।

হযরত হুযায়ফা রা. বলেনঃ আমরা পরস্পর আলাপরত ছিলাম, নবী করীম সা. এসে জিজ্ঞেস করলেন- তােমরা কি প্রসঙ্গে আলােচনা করছিলে? সবাই বলল- কিয়ামত প্রসঙ্গে। তখন নবী সঃ বলতে লাগলেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না তােমরা দশটি (বহৎ) নিদর্শন প্রত্যক্ষ করঃ

০১. ধোঁয়া

০২. দাজ্জাল

০৩. দাব্বাতুল আরদ বা অদ্ভুত প্রাণী 

০৪. পশ্চিম দিগন্তে প্রভাতের সূর্যোদয়

০৫. মরিয়ম-তনয় ঈসা-র পৃথিবীতে প্রত্যাগমন 

০৬. ইয়াজুজ-মাজুজের উদ্ভব

০৭. প্রাচ্যে ভূমিধ্বস 

০৮. পাশ্চাত্যে ভূমিধ্বস 

০৯. আরব উপদ্বীপে ভূমিধ্বস। 

১০. সবশেষ ইয়েমেন থেকে উত্থিত হাশরের ময়দানের দিকে তাড়নাকারী বিশাল অগ্নি।

সহিহ মুসলিম

 

ক্ষুদ্রতম বা ছোট নিদর্শন সমূহের সংখ্যা মোট ১৩১টি।

তার মধ্যে যেগুলাে প্রকাশিত হয়েছে তার সংখ্যা ৮৬টি। যথাঃ

০১. শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত প্রাপ্তি

০২. নবী মুহাম্মদ সা.এর ইন্তেকাল 

০৩. চন্দ্র বিদারণ 

০৪. সাহাবা যুগের অবসান 

০৫. বায়তুল মাকদিস (জেরুজালেম) বিজয়

০৬. ছাগলের কুআস রোগের ন্যায় মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি

০৭. একের পর এক ফেতনার আবির্ভাব 

০৮. স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আবিষ্কার 

০৯. মুসলমানদের আভ্যন্তরীণ সিফফীন যুদ্ধ

১০. ভ্রষ্ট খারেজী সম্প্রদায়ের আত্মপ্রকাশ 

১১. মিথ্যা নবুওয়াত দাবীদারদের আত্মপ্রকাশ 

১২. শান্তি, নিরাপত্তা এবং সচ্ছলতার জয়-জয়কার 

১৩. হেজায ভূমিতে বিশাল অগ্নি প্রকাশ 

১৪. তুর্কীদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ 

১৫. চাবুকে আঘাতকারী অত্যাচারী ব্যক্তিবর্গের আবির্ভাব 

১৬. হানাহানি, সংঘাত এবং ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ 

১৭. মানুষের হৃদয় থেকে আমানতদারী তথা বিশ্বস্ততার বিদায়

১৮. পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতির পদাঙ্ক অনুসরণ 

১৯. দাসীর গর্ভ থেকে মনিবের জন্ম গ্রহণ 

২০. স্বল্প কাপড় পরিহিত নগ্ন মহিলাদের আত্মপ্রকাশ

২১. সুউচ্চ বাড়িঘর নির্মাণে নগ্নপদ আরব্য রাখালদের প্রতিযােগিতা 

২২. ব্যক্তিবিশেষে সালাম প্রদান 

২৩. বাণিজ্য ব্যাপক আকার ধারণ 

২৪. স্বামীর সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায় স্ত্রীর অংশগ্রহণ 

২৫. সারা বাজারে মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীর প্রভাব 

২৬. ব্যাপকহারে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান 

২৭. ব্যাপকহারে সত্য সাক্ষ্য গােপন

২৮. দ্বীন সম্পর্কে মূখতা ব্যাপক আকার ধারণ 

২৯. ব্যয়কুণ্ঠতা ও কার্পণ্যতা ব্যাপক আকার ধারণ 

৩০. ব্যাপকহারে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করণ 

৩১. প্রতিবেশীর সাথে দুর্ব্যবহার

৩২. অশ্লীলতা ব্যাপক আকার ধারণ 

৩৩. বিশ্বস্তকে বিশ্বাসঘাতক এবং বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বস্ত জ্ঞান

৩৪. মর্যাদাবান ব্যক্তিদের বিলুপ্তি এবং অধীনস্থতা প্রকাশ 

৩৫. সম্পদ অর্জনে হালাল হারাম বিবেচনার বিলুপ্তি

৩৬. যুদ্ধলব্ধ সম্পদকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ জ্ঞান 

৩৭. আমানতের বস্তুকে খরচের বস্তু জ্ঞান 

৩৮. যাকাত আদায়কে জরিমানা জ্ঞান

৩৯. আল্লাহর জ্ঞান ছেড়ে পার্থিব জ্ঞান অর্জনে মনােনিবেশ 

৪০. মায়ের অবাধ্য হয়ে স্ত্রীকে সন্তুষ্টকরণ 

৪১. জন্মদাতা পিতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে বন্ধু-বান্ধবকে কাছে আনয়ন 

৪২. আল্লাহর ঘর মসজিদে উচ্চস্বরে হৈ হুল্লোড়

৪৩. গােত্রীয় সম্প্রদায়ে পাপিষ্ঠদের নেতৃত্ব দান 

৪৪. জাতির নেতৃত্বে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তিদের আগমন 

৪৫. আক্রমণের ভয়ে মানুষকে সম্মান দেখানাে। 

৪৬. মেয়েদের সাথে অবাধ মেলামেশা বৈধ জ্ঞান 

৪৭. রেশমি কাপড়ের ব্যাপক ব্যবহার 

৪৮. মদ্যপান হালাল জ্ঞান। 

৪৯. গান-বাদ্য ও নর্তকীর নৃত্য বৈধ জ্ঞান 

৫০. ফেতনার আধিক্যে মানুষের মৃত্যু কামনা

৫১. সকালে মুমিন থাকবে বিকালে কাফের হয়ে যাবে -এমন কালের আগমন 

৫২. মসজিদগুলােকে অধিক সুসজ্জিত করার প্রতিযােগিতা 

৫৩. ঘরবাড়ী ডিজাইন এবং রকমারি কারুকার্য করণ 

৫৪. অধিক হারে আকাশ থেকে বজ্র বর্ষণ

৫৫. ব্যাপকহারে লেখালেখি এবং পুস্তক প্রকাশ

৫৬. মুখ দিয়ে সম্পদ উপার্জন এবং তা নিয়ে গর্ব করা

৫৭. কুরআন ছেড়ে অন্যান্য গ্রন্থাদির প্রচার প্রসার 

৫৮. জ্ঞানী এবং দ্বীনের বাহকদের অভাব এবং কুরআন পাঠকের প্রভাব

৫৯. ছােট ও স্বল্পজ্ঞানীদের কাছে এলেম অন্বেষণ 

৬০. আকস্মিক মৃত্যুর হার বৃদ্ধি 

৬১. নির্বোধ লােকদের নেতৃত্ব 

৬২. দ্রুত গতিতে সময় পার 

৬৩. বড় বিষয়ে নিচু লােকদের বাক-যুদ্ধ

৬৪. দুনিয়ার সবচে সৌভাগ্যশীল ব্যক্তি- লুকা ইবনে লুকা 

৬৫. মসজিদকে যাতায়াত ও পারাপারের পথ হিসেবে ব্যবহার 

৬৬. মােহরের মূল্যবৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস

৬৭. অশ্বের মূল্যবৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস

৬৮. বাজার ও দোকানপাট নিকটবর্তী হয়ে যাওয়া

৬৯. মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সকল বিধর্মী রাষ্ট্রের একক অবস্থান 

৭০. নামাযের ইমামতিতে মুসল্লিদের ধাক্কাধাক্কি

৭১. মুমিনের সত্য স্বপ্ন 

৭২. মিথ্যা ব্যাপক আকার ধারণ 

৭৩. পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ প্রকাশ 

৭৪. ব্যাপকহারে ভূ-কম্পন সৃষ্টি 

৭৫. নারী জাতির আধিক্য 

৭৬. পুরুষ জাতির হ্রাস 

৭৭. প্রকাশ্য অশ্লীলতা ও ব্যভিচার

৭৮. কোরআন পড়ে বিনিময় গ্রহণ 

৭৯. ব্যাপকহারে মানুষের দেহে মাংসলতা ও স্থূলতা বৃদ্ধি 

৮০. কামনা ছাড়াই সাক্ষ্য দিতে রাজী এমন লোকদের আত্মপ্রকাশ

৮১. মানত করে পূর্ণ করে না এমন ব্যক্তিদের আত্মপ্রকাশ 

৮২. সমাজের উচ্চপদস্থ লােক কর্তৃক গরিবদের মাল-সম্পদ কৌশলে লুট 

৮৩. আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের বাস্তবায়ন পরিত্যাগ 

৮৪. রােমান অর্থাৎ খৃষ্টানদের আধিক্য এবং আরব অর্থাৎ মুসলিমদের হ্রাস।

৮৫. নিত্যনতুন অত্যাধুনিক যান বাহন (গাড়ী, বাস, ট্রেন, প্লেন ইত্যাদি) আবিষ্কার

৮৬. মক্কা নগরীর ভবনগুলাে আকাশ-সম উঁচু করে নির্মাণ

 

দ্বিতীয় ভাগঃ যে সকল নিদর্শন এখনও পর্যন্ত ঘটেনি। তার সংখ্যা ৪৫টি।

যেগুলি কিয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার আগে না পরে প্রকাশিত হবে তা স্পষ্ট নয় তার সংখ্যা ২৪ টি।

০১. মানুষের মাঝে ধনসম্পদের অত্যাধিক্য দেখা দেবে (শুরু হয়েছে)

০২. ভূমির আভ্যন্তরীণ খনিজ সম্পদ প্রকাশ পাবে (শুরু হয়েছে)

০৩. চেহারা বিকৃতির ঘটনা বৃদ্ধি পাবে (শুরু হয়েছে)

০৪. ভূমিধ্বস এর আবির্ভাব হবে

০৫. আকাশ থেকে পাথর নিক্ষেপিত হবে

০৬. ফসলহীন বৃষ্টি হবে অর্থাৎ বৃষ্টি হলেও ফসলে বরকত হবে না

০৭. ব্যাপক ফিতনা যা আরবদেরকে প্রায় শেষ করে দিবে

০৮. ইরাকের ফুরাত নদীতে স্বর্ণের খনি উন্মােচিত হবে

০৯. প্রকাশ্য অপরাধ করতে কিংবা অক্ষমতাকে মেনে নিতে  বাধ্য করা হবে (শুরু হয়েছে)

১০. আরব উপদ্বীপ সবুজ শ্যামল পরিবেশ এবং নদীনালায় পূর্ণ হবে

১১. নতুন চাঁদ বড় আকারে দেখা যাবে

১২. সকল মুসলমান শামে হিজরত করবে 

১৩. পর্বতমালা নিজ জায়গা থেকে সরে যাবে (শুরু হয়েছে)

১৪. কাহতান গােত্র থেকে এক মহান মান্যবর ব্যক্তির আবির্ভাব হবে

১৫. জাহজাহ নামক ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটবে

১৬. চতুষ্পদ জন্তু এবং জড়বস্তুর সাথে মানুষ কথা বলবে

১৭. লাঠির অগ্রভাগের সাথে মানুষ কতা বলবে

১৮. জুতার ফিতার সাথে মানুষ কথা বলবে

১৯. ঘরে কি হচ্ছে উরুর পেশি মানুষকে এর সংবাদ প্রদান করবে

২০. কাবা ঘরে হজ্জ করা বন্ধ হয়ে যাবে

২১. কতিপয় আরব গােত্র মূর্তি পূজায় পুনঃ প্রত্যাবর্তন করবে

২২. কুরাইশ বংশের বিলুপ্তি ঘটবে

২৩. পরবর্তী মুসলমানরা পূর্ববর্তী মুসলমানদের গালমন্দ করবে (শুরু হয়েছে)

২৪. একজন কালাে হাবশী অর্থাৎ বর্তমান ইথিউপিয়ার একজন লােকের হাতে কাবা ঘর ধ্বংস হবে 

যেগুলি কিয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার আগে প্রকাশিত হবে তার সংখ্যা ১২ টি।

 

০১. আহলাছ অর্থাৎ পলায়ন এবং যুদ্ধ এর ফেতনা প্রকাশ পাবে

০২. সচ্ছলতার ফেতনা প্রকাশ পাবে

০৩. অন্ধকার ফেতনার আবির্ভাব হবে

০৪. ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে

০৫. কাবা ঘরের দিকে ইমাম মাহদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসা বিশাল নামধারী মুসলিম বাহিনী মাটির নিচে ধ্বসে যাবে

০৬. মুসলমান এবং রােমান অর্থাৎ খৃষ্টানদের মধ্যে বৃহত্তম যুদ্ধ সংঘটিত হবে

০৭. মুসলমানরা কনস্টান্টিনােপল অর্থাৎ বর্তমান তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল বিজয় করবে। সেনাপতি মুহাম্মদ ফাতেহের নেতৃত্বে ইসলামের প্রাথমিক যুগে একবার বিজয় হয়েছিল। তবে শেষ জমানায় ইমাম মাহদীর বাহিনী পূনরায় তা বিজয় করবে ইনশাআল্লাহ

০৮. মীরাছ অর্থাৎ ত্যাজ্য সম্পদ বণ্টনের সুযােগ থাকবে না 

০৯. গণিমত অর্থাৎ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ নিয়ে আনন্দ উল্লাসের সুযােগ থাকবে না 

১০. তীর তলােয়ার এবং অশ্বের যুগ পুনঃ প্রত্যাবর্তন করবে

১১. বায়তুল মাকদিস অর্থাৎ জেরুজালেমের আশেপাশে জনবসতি বৃদ্ধি পাবে

১২. বিনাশের সম্মুখীন হয়ে মদিনা বসতি ও আগন্তুক শূন্য হয়ে যাবে 

 

যেগুলি কিয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার পরে প্রকাশিত হবে তার সংখ্যা ৯ টি।

 

১. মদিনা থেকে সকল কাফের মুনাফিক বের হয়ে যাবে

২. মুসলমানদের সাহায্যে বৃক্ষকুল কথা বলবে

৩. মুসলমানদের সাহায্যে পাথর কথা বলবে

৪. ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সর্বশেষ যুদ্ধ হবে এবং মুসলিমরা বিজয়ী হবে

৫. একটি মাত্র সেজদা সারা দুনিয়া অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতা লাভ করবে

৬. এমন বৃষ্টি, যা সকল জনপদকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে 

৭. মুমিনদের রূহ ছাড়িয়ে নিতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুবাতাস প্রেরণ করা হবে

৮. কেয়ামতের পূর্বমুহূর্তে সকল মুমিনের মৃত্যু হবে

৯. কাগজের পাতা এবং মানুষের অন্তর থেকে কুরআন উঠয়ে নয়া হবে।