Thursday, June 17, 2021

৭. স্বামীর আনুগত্য করার আবশ্যকতা এবং তার অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়ার বিধান

 No photo description available.

 

 

৭. স্বামীর আনুগত্য করার আবশ্যকতা এবং তার অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়ার বিধান
 

স্বামীর আনুগত্য করার আবশ্যকতা এবং তার অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়ার বিধান
▬▬▬🌐💛🌐▬▬▬
প্রশ্ন: একজন মহিলা কুরআন-হাদিস অনুযায়ী চলার চেষ্টা করেন এবং পর্দাও করেন। কিন্তু বাইরে যাওয়ার জন্য স্বামীর আদেশ মানতে চান না। যেমন: স্বামীর নিষেধ সত্ত্বেও ভাইয়ের পাত্রী দেখার জন্য বাড়ি থেকে চলে গেল। তার দাবি, আমি আম্মার সাথে গিয়েছি। এটা আমার জন্য অনুমতি আছে। কিন্তু স্বামী এতে রাজি নয়। 
 
প্রশ্ন হল, এভাবে উক্ত মহিলার জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলাম কী বলে? এ ক্ষেত্রে স্বামীর করণীয় কি?
 
উত্তর:
স্ত্রীর জন্য স্বামীর আনুগত্য করা ফরয যদি তা গুনাহের কাজ বা সাধ্যের অতিরিক্ত কোনো কাজের নির্দেশ না হয়।
সুতরাং স্ত্রীর জন্য জরুরি হল, বিশেষ কোনো কাজে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্বামীর নিকট অনুমতি নেয়া। স্বামী অনুমতি দিলে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে এবং নিজেকে ফিতনা থেকে হেফাযতে রেখে স্ত্রী বাইরে যেতে পারে। দূরে কোথাও যাওয়ার দরকার হলে অবশ্যই তার পিতা, ভাই ইত্যাদি মাহরাম পুরুষের সাথে যাবে। কিন্তু স্বামী যদি তাকে যেতে নিষেধ করে তাহলে স্ত্রীর জন্য তা লঙ্ঘন করা বৈধ নয়। অন্যথায় সে স্বামীর 'অবাধ্য' হিসেবে গণ্য হবে এবং গুনাহগার হবে। 
 
পারিবারিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই এই আনুগত্য করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা পুরুষকে পরিবারের মূল পরিচালনার দায়িত্ব এবং স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা অর্পণ করেছেন। (সূরা নিসা: ৩৪ নং আয়াত)।
সুতরাং স্ত্রী যদি এই আনুগত্যের বিষয়টিকে উন্মুক্ত হৃদয়ে গ্রহণ না করে তাহলে পরিবারিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে যেতে বাধ্য। আল্লাহ হেফাজত করুন। আমীন।
 
জ্ঞাতব্য যে, ইসলামের বিধান হল, কোন স্ত্রী যদি স্বামীর 'অবাধ্য' হয় বা তার আনুগত্য করতে অস্বীকার করে তাহলে তার জন্য স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দেয়া বন্ধ করার অধিকার রয়েছে।
 
🌀 ইসলামে স্বামীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার আনুগত্যের বিষয়টি নিম্নোক্ত হাদিস থেকে সুষ্পষ্ট ভাবে প্রতিভাত হয়:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
 
لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللهِ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَالَّذِى
نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ تُؤَدِّى الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّىَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِىَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ-
 
“যদি আমি কাউকে নির্দেশ দিতাম আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সিজদা করার, তাহ’লে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য।ঐ সত্তার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার জীবন, মহিলারা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা পথে ঘোড়ার পৃষ্ঠেও তাকেও আহবান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” (ইবনে মাজাহ হা/১৮৫৩; সহীহাহ হা/১২০৩।)
 
সুতরাং স্ত্রীর জন্য স্বামীর অবাধ্যতা করে বাইরে কোথাও যাওয়া জায়েয নয় যদি নিজের বাবা-মা বা আত্মীয় স্বজনের বাড়ি হোক না কেন। 
 
🌀 এর দলিল হল, বিখ্যাত ইফকের ঘটনায় মা আয়েশা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট তার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি চাওয়ার হাদিস:
তিনি বলেন:
 
أتأذن لي أن آتي أبوي
 
"(হে আল্লাহর রাসূল,) আপনি কি আমাকে আমার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি দিবেন?" (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
▪ ইরাকী বলেন, আয়েশা রা. এ কথা থেকে বুঝা গেল, স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার পিতামাতার বাড়িতে যাবে না।" (ত্বরবুত তাসরীব ৮/৫৮)
▪ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রা. এক বিবাহিত মহিলার ব্যাপারে বলেন-যার মা অসুস্থ ছিল:
 
طاعة زوجها أوجب عليها من أمها ، إلا أن يأذن لها
 
" মা'র চেয়ে স্বামীর কথার আনুগত্য করা তার জন্য অধিক অপরিহার্য। তবে স্বামী যদি তাকে অনুমতি দেয় তাহলে ভিন্ন কথা।" (শারহু মুনতাহাল ইরাদাত ৩/৪৭)
▪ সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটি বলেন:
 
لا يجوز للمرأة الخروج من بيت زوجها إلا بإذنه ، لا لوالديها ولا لغيرهم ؛ لأن ذلك من حقوقه عليها ، إلا إذا كان هناك مسوغ شرعي يضطرها للخروج
 
"কোন মহিলার জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া জায়েয নয়। পিতামাতা বা অন্য কারো নিকট নয়। কারণ এটি তার উপর স্বামীর হক। অবশ্য যদি শরিয়ত সম্মত বিশেষ কোনো কারণ থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।" (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৯/১৬৫)
তবে স্বামীর কর্তব্য হল, সময়-সুযোগ ও প্রয়োজন বুঝে স্ত্রীকে মাঝে-মধ্যে তার পিতামাতা ও অন্যান্য মাহরাম নিকটাত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া যদি এতে ক্ষয়-ক্ষতি ও ফেতনার আশঙ্কা না করে।
♻ অবশ্য একান্ত জরুরি অবস্থায় স্বামীর অনুমতি ছাড়াও বাইরে যাওয়া জায়েয আছে। যেমন, বাড়িতে থাকা যদি তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ হয়, ঘর ভেঙ্গে পড়ে, জরুরি চিকিৎসা, ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাদ্য সামগ্রী ক্রয় ইত্যাদি।
পরিশেষে বলব, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিশ্বাস, ভালবাসা ও সুসম্পর্ক বজায় রেখে যে কোনো সমস্যা সমাধান করা যায়। এগুলো দাম্পত্য জীবনে অপরিহার্য দাবী। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের চাহিদা ও হক আদায় করবে এবং প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রাখবে। তাহলে মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ।
তবে কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও দাম্পত্য জীবনের বৃহত্তর স্বার্থে উভয়কে ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে এবং যথাসম্ভব দ্রুত সমাধান করতে হবে। তাহলে দুজনের দাম্পত্য জীবন ভরে থাকবে অবারিত সুখ, শান্তি ও অনাবিল ভালোবাসায় ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমীন।
 
▬▬▬💠💠▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
fb id: AbdullaahilHadi

৬. স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের আবশ্যকতা এবং পদ্ধতি

 No photo description available.

 

৬. স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের আবশ্যকতা এবং পদ্ধতি
 
স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের আবশ্যকতা এবং পদ্ধতি
▬▬▬▬♥♥▬▬▬▬
প্রশ্ন: স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি `কৃতজ্ঞতা পোষণ করা’ বলতে কী বুঝায় এবং কিভাবে তা করতে হয় অর্থাৎ কী কী করলে কৃতজ্ঞতা আদায় করা হয়?
উত্তর:
♥ কৃতজ্ঞতা আদায়ের আবশ্যকতা:
আমাদের জানা আবশ্যক যে, স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জন্য পরস্পরের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা ফরয। এটি স্ত্রীর উপর যেমন আবশ্যক তেমন স্বামীর উপরও আবশ্যক। প্রত্যেকেই অন্যের অবদানকে স্বীকার করবে এবং তার প্রতি শুকরিয়া জানাবে-এটা যেমন সুস্থ ও সুন্দর দাম্পত্য জীবনের দাবী তেমনি ইসলামের নির্দেশ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
هَلْ جَزَاءُ الْإِحْسَانِ إِلَّا الْإِحْسَانُ
“সৎকাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কি হতে পারে?” (সূরা আর রহমান: ৬০)
ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
مَنْ آتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا لَهُ حَتَّى تَعْلَمُوا أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ
“যে ব্যক্তি তোমাদের উপর ইহসান করে (দান-সদাচরণ) তার প্রতিদান দিয়ে দাও। অগত্যা যদি দিতে নাই পার তাহলে তার জন্য দু’আ কর যে পর্যন্ত না তোমরা মনে কর যে, তোমরা তার প্রতিদান দিতে পেরেছ।” (সুনানে নাসায়ী- অধ্যায়: যাকাত, পরিচ্ছেদ
যে ব্যক্তি মহান মহীয়ান আল্লাহ্‌র নামে কিছু চায়, হা/২৫৬৭)
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
مَنْ لاَ يَشْكُرِ النَّاسَ لاَ يَشْكُرِ اللَّهَ
“যে ব্যক্তি মানুষের শুকরিয়া করেনা সে আল্লাহরও শুকরিয়া করে না।” সহীহ, মিশকাত ৩০২৫, সহীহাহ ৪১৭, তা'লীকুর রাগীব ২/৫৬, তিরমিযী হাদিস নম্বর: ১৯৫৪ [আল মাদানি প্রকাশনী]
কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, বর্তমানে অনেক দম্পতি একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের বিষয়ে মোটেই আন্তরিক নয়। যার কারণে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য, অশান্তি ও কোলহ সর্বদা লেগেই থাকছে। তবে এটি কেবল এক পক্ষ থেকে থাকলে হবে না; থাকতে হবে উভয় পক্ষ থেকে। আল্লাহ সকলকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন।
♥ কৃতজ্ঞতা বলতে কী বুঝায়?
কৃতজ্ঞতা বলতে বুঝায় কারো অবদান স্বীকার করা এবং তার ভালো কাজের প্রশংসা করা।
কৃতজ্ঞতা যেমন মুখের মাধ্যমে আদায় করা হয় তেমনি কাজের মাধ্যমেও তার প্রমাণ দিতে হয়।
নিচে স্ত্রী ও স্বামী একে অপরের প্রতি কিভাবে কৃতজ্ঞতা আদায় করবে তা তুলে ধরা হল:
♥ স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা:
স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা বিভিন্নভাবে হতে পারে। যেমন,
- অন্তরে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করা এবং মুখে তা প্রকাশ করা। যেমন: ধন্যবাদ, থ্যাংক ইউ, শুকরিয়া ইত্যাদি যে সব শব্দ সমাজে কৃতজ্ঞতা প্রকাশক শব্দ হিসেবে প্রচলিত রয়েছে।
- তার জন্য দুআ করা। যেমন বলা, জাযাকাল্লাহ খাইরান অর্থাৎ আল্লাহ তোমাকে উত্তম বিনিময় দান করুন...।
- যথাসম্ভব তার সেবা-যত্ন করা।
- তার আরাম-আয়েশ, ঘুম, খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের প্রতি লক্ষ রাখা।
- তার অর্থনৈতিক সক্ষমতার ব্যাপারে সজাগ থাকা এবং তার জন্য কষ্টকর হয় এমন কোন আবদার না করা।
- তার জৈবিক চাহিদা পূরণের ব্যাপারে সচেতন থাকা।
- তার হক আদায় করা।
- তার আনুগত্য করা (যদি তা হারাম ও সাধ্যাতিরিক্ত না হয়)।
- তাকে ভালবাসা ও সম্মান করা।
- তার প্রশংসা করা।
- তার সাথে সম্মানজনক কথা বলা।
- তার সাথে সুন্দর আচরণ ও নম্র ব্যবহার করা।
- তার অবদান স্বীকার করা।
- তার তার অনুপস্থিতে তার সন্তান-সন্ততি ও অর্থ সম্পদ সংরক্ষণ করা।
- তার অনুপস্থিতে নিজের ইজ্জত ও সম্ভ্রম হেফাজত করা।
- তার গোপনীয়তা প্রকাশ না করা।
- স্বামী ভুল করলে সুন্দর ভাষায় তা সংশোধন করা।
- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার দাম্পত্য সংক্রান্ত বিষয় কারও সামনে প্রকাশ না করা। (এটি ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত ও হারাম কাজ)
- তার মান-সম্মান নষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করা এবং তার সম্মান বৃদ্ধির চেষ্টা করা ইত্যাদি।
এগুলো সবই তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্তর্ভুক্ত।
♥ স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা:
উপরোল্লিখিত স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যে সব কতর্ব্য সেগুলো প্রায় সবই স্ত্রীর প্রতি স্বামীরও কতর্ব্য সামান্য কিছু পার্থক্য ছাড়া। নিচে সেগুলো দেখুন:
- অন্তরে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করা এবং মুখে তা প্রকাশ করা। যেমন: ধন্যবাদ, থ্যাংক ইউ, শুকরিয়া ইত্যাদি যে সব শব্দ সমাজে কৃতজ্ঞতা প্রকাশক শব্দ হিসেবে প্রচলিত রয়েছে।
- তার জন্য দুআ করা। যেমন বলা, জাযাকিল্লাহু খাইরান অর্থাৎ আল্লাহ তোমাকে উত্তম বিনিময় দান করুন..।
- তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যত্ন নেয়া এবং তার আরাম, ঘুম, শারীরিক সক্ষমতা, খাওয়া-দাওয়া ও পছন্দ-অপছন্দের প্রতি লক্ষ রাখা।
- ঋতুস্রাব, গর্ভ ধারণ, সন্তান ভূমিষ্ট এবং মেয়েলী বিভিন্ন সমস্যার প্রতি বিশেষ যত্ন নেয়া।
- যথাসম্ভব তার বৈধ ইচ্ছা পূরণ করা (যদি সামর্থ্যের মধ্যে থাকে)।
- তার জৈবিক চাহিদা পূরণের ব্যাপারে সচেতন থাকা।
- তার হক আদায় করা।
- তাকে ভালবাসা,
- তাকে সম্মান করা ও তার প্রশংসা করা।
- তার সাথে সম্মানজনক কথা বলা।
- তার সাথে সুন্দর আচরণ ও নম্র ব্যবহার করা।
- তার অবদান স্বীকার করা।
- পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করা।
- তার মান-সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষার ব্যবস্থা করা।
- তার গোপনীয়তা প্রকাশ না করা।
- স্ত্রী ভুল করলে সুন্দর ভাষায় তা সংশোধন করা।
- তাকে দ্বীন শিক্ষা ও পালনে সাহায্য করা
- তার সাথে হাসি-মজাক ও কৌতুক করা (এটি সুন্দর চরিত্রের বর্হিপ্রকাশ)।
- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার দাম্পত্য সংক্রান্ত বিষয় কারও সামনে আলোচনা না করা।
- তার মান-সম্মান নষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করা।
- তার পরিবারের সাথে সময়-সুযোগ বুঝে দেখা-সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের সুযোগ দেয়া ইত্যাদি।
মোটকতা, হালাল পন্থায় একে অপরের খুশি রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে তাহলে ইনশাআল্লাহ পারষ্পারিক ভালবাসা, সুখ ও অবারিত কল্যাণ দ্বারা পূর্ণতায় ভরে যাবে দাম্পত্য জীবন তারা উভয়ে পরকালে হাত ধরে প্রবেশ করবে চির সুখের নীড় জান্নাতে। আল্লাহ তাআলা সকলকে তাওফিক দান করুন। আমীন।
------উত্তর প্রদানে:----------
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
FB/AbdullahilHadi