Thursday, June 17, 2021

বাসর রাতে জামাআতের সাথে নবদম্পতীর দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করা মুস্তাহাব Marriage education series

 No photo description available.

 

বাসর রাতে জামাআতের সাথে নবদম্পতীর দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করা মুস্তাহাব
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: বাসর রাতে নতুন বর ও কনের দু রাকাআত নামাযের বিধান কি? এ সংক্রান্ত হাদীসগুলো কি সহীহ?

উত্তর:


বাসর রাতে নব দম্পতীর দু রাকাআত নামায পড়ার ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন হাদীস পাওয়া যায় না। তবে একাধিক সাহাবীর আমল পাওয়া যায়। তাই অনেক আলেমগণ বলেছেন, এই দু রাকাআত নামায পড়া মুস্তাহাব।


এ ব্যাপারে সাহাবীদের আমল সম্পর্কে সহীহ সনদে দুটি হাদীস উল্লেখ করা হল: 


🌀 ১. আবু উসাইদ . এর গোলাম আবু সাঈদ হতে বর্ণিত। তনি বলেন, আমি গোলাম থাকা অবস্থায় বিয়ে করলাম এবং কয়েকজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীকে ডাকলাম। তাদের মধ্যে ছিলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আবু যর এবং হুযায়ফা রা.।
তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বললাম, আমাকে (আমার করণীয় সম্পর্কে) শিক্ষা দিন। তারা বললেন,
إذا أدخل عليك أهلك فصل عليك ركعتين ، ثم سل الله تعالى من خير ما دخل عليك ، وتعوذ به من شره ، ثم شأنك وشأن أهلك
“যখন তোমার ঘরে তোমার স্ত্রীকে প্রবেশ করানো হবে তখন তুমি দু রাকাআত সালাত আদায় কর এবং তোমার ঘরে যে এসেছে আল্লাহর নিকট তার কল্যাণ প্রার্থনা কর এবং অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তারপর তুমি এবং তোমার স্ত্রীর যা করণীয় কর।”(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০১ এবং মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১, শাইখ আলবানী রহ. বলেন, আবু সাঈদ পর্যন্ত এ হাদীসের সনদ সহীহ)

🌀 ২) শাকীক রহ. তবে বর্ণিত, এক লোক আব্দুল্লাহ (অর্থাৎ ইবনে মাসঊদ) এর নিকট আগমন করলেন (তিনি আবু জারীর নামে পরিচিত)। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা কে বললেন, আমি এক যুবতী মেয়ে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমার আশংকা হচ্ছে, সে আমাকে অপছন্দ করবে (বা আমার প্রতি রাগ-গোস্বা করবে)।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ বললেন, 


ن الإلف من الله ، والفرك من الشيطان ، يريد أن يكره إليكم ما أحل الله لكم ، فإذا أتتك فمرها أن تصلي وراءك ركعتين

ভালবাসা ও সুসম্পর্ক আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় আর ঘৃণা বা রাগ-গোস্বা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। কারণ সে আল্লাহর হালাল করা বিষয়ে তোমাদের মাঝে ঘৃণা সৃষ্টি করতে চায়। সুতরাং তোমার স্ত্রী তোমার কাছে আসলে তাকে আদেশ করবে, সে যেন তোমার পেছনে দু রাকাআত সালাত আদায় করে।” ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০২ এবং মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১, ত্বাবারানী কাবীর ৯/২০৪ শাইখ আলবানী রহ. বলেন, হাদীসের সনদ সহীহ- আদাবুয যাফাফ পৃষ্ঠা ২৪)


উক্ত হাদীসদ্বয় দ্বারা অনেক আলেম, বাসর রাতে নতুন স্বামী-স্ত্রীর কর্তৃক দুরাকাআত নামায আদায় করাকে মুস্তাহাব বলেছেন।

💠 নামায পড়ার নিয়ম হল, স্বামী আগে দাঁড়াবে আর স্ত্রী তার পেছনে দাঁড়াবে। তারপর জামাআতের সাথে দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করবে। তারপর তারা উভয়ে তাদের নতুন জীবনের কল্যাণ চেয়ে এবং অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চেয়ে মহান আল্লাহর নিকট দুআ করবে।

💠 বাসর রাতে এ দু রাকআত নামাযে কিরাআত কি উঁচু স্বরে পড়বে না কি নিচু স্বরে পড়বে?

উত্তর:
যদি রাতের বেলায় উক্ত নামায পড়া হয় তাহলে একটু উঁচু স্বরে আর দিনের বেলায় পড়লে নিম্ন স্বরে পড়বে। যে কোন নফলের ক্ষেত্রে এটিই সাধারণ সুন্নত। সুতরাং এ বিধান এখানেও প্রযোজ্য হবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহু আলাম।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

 

২৩. বাসর রাতের বিশেষ নামায ও দুআ Marriage education series

 No photo description available.

 

 

বাসর রাতের বিশেষ নামায ও দুআ
▬▬▬▬💕💕💕▬▬▬▬
প্রশ্ন:
▪ ক. বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রী দু রাকাত নামায পড়ার পর বরকতের জন্য যে দোয়াটি করতে হয় সেটি কখন পড়বে? নামাযে থাকা কালীন সময়ে নাকি সালাম ফিরানোর পর?
যদি সালাম ফিরানোর পরে পড়তে হয় তাহলে কি তারা দু জন একসাথে হাত উঠিয়ে সম্মিলিতভাবে পাঠ করবে না কি দুজনেই নিজে নিজে চুপে চুপে পড়বে?
▪ খ. প্রশ্ন: বাসর রাতে এ দু রাকআত নামাযের কিরাআত কি আওয়াজ করে পড়বে না কি নিম্নস্বরে পড়বে?
▪ গ. সহবাসের পূর্বে যে দুআটি পড়তে হয় সেটা কি স্বামী-স্ত্রী দু'জনকেই পড়তে হবে নাকি শুধু স্বামীকে পড়লেই যথেষ্ট হবে?
----------------------------
উত্তর
 
▪ ক. স্বামী স্ত্রী বাসর রাতে দু'রাকাত নফল নামাজ পড়ার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন হাদিস পাওয়া না গেলেও এ ব্যাপারে সাহাবী এবং পূর্বসূরীদের আমল রয়েছে। 
 
( এ ব্যাপারে দলীল-প্রমাণ সহকারে আমাদের আলাদা একটি পোস্ট রয়েছে।)
সুতরাং কেউ যদি তা পড়ে তাহলে তাতে আপত্তি নেই ইনশাআল্লাহ। অনেক আলেম এ দু রাকআতকে মুস্তাহাব বলেছেন।
 
❖ বাসর রাতে স্ত্রী-পরিবারের জন্য বরকত ও কল্যাণের দুআ:
 
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, স্ত্রী স্বামীর কাছে গেলে স্বামী দাঁড়িয়ে যাবে এবং স্ত্রী তার পিছনে দাঁড়াবে। অতঃপর তারা একসঙ্গে দুই রাক‘আত সালাত আদায় করবে এবং বলবে:
 
اَللّهُمَّ بَارِكْ لِىْ فِىْ أَهْلِىْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِىَّ، اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ بِخَيْرٍ و فَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ
 
উচ্চারণ: উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বা-রিকলী ফী আহলী, ওয়া বা-রিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাজমা’ বাইনানা মা জামা’তা বিখাইর, ওয়া ফাররিক বাইনানা ইযা ফাররাকতা ইলা খাইর।
 
অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন এবং আমার ভিতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। হে আল্লাহ! আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযিক দিন আর আমার থেকে তাদেরকেও রিযিক দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্রে রাখুন। আর আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলে কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটান।” (তাবারানী, মু‘জামুল কাবীর, হা/৮৯০০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৭৫৪৭; সিলসিলাতুল আছার আছ-ছহীহাহ হা/৩৬১; আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ২৪।)
 
হাদীসের ভাষা থেকে বুঝা যায়, বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রী দু জনে দু রাকআত নফল সালাত আদায় করার পর স্বামী এ দুআটি পাঠ করবে। 
 
-----------------------
❖ বাসর রাতে স্ত্রীর কপালে হাত রেখে নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত:
 
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَمِنْ شَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ
 
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা ‘আলাইহি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা ‘আলাইহি।
 
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এর মধ্যকার কল্যাণ এবং এর মাধ্যমে কল্যাণ চাই এবং তার মধ্যে নিহিত অকল্যাণ ও তার মাধ্যমে অকল্যাণ থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই।” (সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: বিবাহ, অনুচ্ছেদ: বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিধান, হা/ ২১৬০, সনদ: হাসান)
 
উপরোক্ত দুটি দুআ ছাড়া বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর জন্য আলাদা কোন দুআ হাদীসে বর্ণিত হয় নি। তবে তারা নিজেরা নিজের দাম্পত্য জীবনের কল্যাণ ও বরকত কামনা মহান রবের দরবারে দুআ করতে পারে। দু জনে এক সাথে হাত উঠিয়েও করতে পারে আবার নিজে নিজে আলাদাভাবেও করতে পারে ইনশাআল্লাহ। তবে এটি সুন্নাহ-এমনটি ভাবা যাবে না বরং দুআ করার বিষয়টি যেহেতু উন্মুক্ত সে হিসেবে তারা তাদের প্রয়োজন তুলে ধরে দুআ করতে পারে। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমীন।
 
▪ খ. যদি রাতের বেলায় উক্ত নামায পড়া হয় তাহলে একটু উঁচু স্বরে আর দিনের বেলায় পড়লে নিম্ন স্বরে পড়বে। সাধারণ যে কোন নফলের ক্ষেত্রে এটিই সাধারণ সুন্নত। সুতরাং এ বিধান এখানেও প্রযোজ্য ইনশাআল্লাহ।
 
--------------------------
 
❖ গ. সহবাসের পূর্বে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের জন্য নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়া সুন্নত : 
 
” ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺟَﻨِّﺒْﻨَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ، ﻭَﺟَﻨِّﺐْ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﺭَﺯَﻗْﺘَﻨَﺎ ”
 
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ্‌। আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাক্বতানা।
 
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তান হতে বাঁচান এবং আমাদেরকে যদি কোন সন্তান দেন তাকেও শয়তান হতে বাঁচান। [বুখারী হা/ ৬৩৮৮ ও মুসলিম হা/ ১৪৩৪)]
 
স্বামী যেমন শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে এবং নবজাতক সন্তানকে বাঁচাতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে অনুরূপভাবে স্ত্রীও তাই করবে।
সুতরাং শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ দোয়াটি পড়ার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ইনশাআল্লাহ।
 
▬▬▬▬💕💕💕▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
fb/AbdullaahilHadi

 

বাসর রাতে জামাআতের সাথে নবদম্পতীর দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করা মুস্তাহাব
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: বাসর রাতে নতুন বর ও কনের দু রাকাআত নামাযের বিধান কি? এ সংক্রান্ত হাদীসগুলো কি সহীহ?

উত্তর:
বাসর রাতে নব দম্পতীর দু রাকাআত নামায পড়ার ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন হাদীস পাওয়া যায় না। তবে একাধিক সাহাবীর আমল পাওয়া যায়। তাই অনেক আলেমগণ বলেছেন, এই দু রাকাআত নামায পড়া মুস্তাহাব।
এ ব্যাপারে সাহাবীদের আমল সম্পর্কে সহীহ সনদে দুটি হাদীস উল্লেখ করা হল:
🌀 ১. আবু উসাইদ . এর গোলাম আবু সাঈদ হতে বর্ণিত। তনি বলেন, আমি গোলাম থাকা অবস্থায় বিয়ে করলাম এবং কয়েকজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীকে ডাকলাম। তাদের মধ্যে ছিলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আবু যর এবং হুযায়ফা রা.।
তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বললাম, আমাকে (আমার করণীয় সম্পর্কে) শিক্ষা দিন। তারা বললেন,
إذا أدخل عليك أهلك فصل عليك ركعتين ، ثم سل الله تعالى من خير ما دخل عليك ، وتعوذ به من شره ، ثم شأنك وشأن أهلك
“যখন তোমার ঘরে তোমার স্ত্রীকে প্রবেশ করানো হবে তখন তুমি দু রাকাআত সালাত আদায় কর এবং তোমার ঘরে যে এসেছে আল্লাহর নিকট তার কল্যাণ প্রার্থনা কর এবং অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তারপর তুমি এবং তোমার স্ত্রীর যা করণীয় কর।”(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০১ এবং মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১, শাইখ আলবানী রহ. বলেন, আবু সাঈদ পর্যন্ত এ হাদীসের সনদ সহীহ)

🌀 ২) শাকীক রহ. তবে বর্ণিত, এক লোক আব্দুল্লাহ (অর্থাৎ ইবনে মাসঊদ) এর নিকট আগমন করলেন (তিনি আবু জারীর নামে পরিচিত)। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা কে বললেন, আমি এক যুবতী মেয়ে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমার আশংকা হচ্ছে, সে আমাকে অপছন্দ করবে (বা আমার প্রতি রাগ-গোস্বা করবে)।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ বললেন,
ن الإلف من الله ، والفرك من الشيطان ، يريد أن يكره إليكم ما أحل الله لكم ، فإذا أتتك فمرها أن تصلي وراءك ركعتين
“ভালবাসা ও সুসম্পর্ক আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় আর ঘৃণা বা রাগ-গোস্বা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। কারণ সে আল্লাহর হালাল করা বিষয়ে তোমাদের মাঝে ঘৃণা সৃষ্টি করতে চায়। সুতরাং তোমার স্ত্রী তোমার কাছে আসলে তাকে আদেশ করবে, সে যেন তোমার পেছনে দু রাকাআত সালাত আদায় করে।” ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০২ এবং মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১, ত্বাবারানী কাবীর ৯/২০৪ শাইখ আলবানী রহ. বলেন, হাদীসের সনদ সহীহ- আদাবুয যাফাফ পৃষ্ঠা ২৪)
উক্ত হাদীসদ্বয় দ্বারা অনেক আলেম, বাসর রাতে নতুন স্বামী-স্ত্রীর কর্তৃক দুরাকাআত নামায আদায় করাকে মুস্তাহাব বলেছেন।

💠 নামায পড়ার নিয়ম হল, স্বামী আগে দাঁড়াবে আর স্ত্রী তার পেছনে দাঁড়াবে। তারপর জামাআতের সাথে দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করবে। তারপর তারা উভয়ে তাদের নতুন জীবনের কল্যাণ চেয়ে এবং অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চেয়ে মহান আল্লাহর নিকট দুআ করবে।

💠 বাসর রাতে এ দু রাকআত নামাযে কিরাআত কি উঁচু স্বরে পড়বে না কি নিচু স্বরে পড়বে?

উত্তর:
যদি রাতের বেলায় উক্ত নামায পড়া হয় তাহলে একটু উঁচু স্বরে আর দিনের বেলায় পড়লে নিম্ন স্বরে পড়বে। যে কোন নফলের ক্ষেত্রে এটিই সাধারণ সুন্নত। সুতরাং এ বিধান এখানেও প্রযোজ্য হবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহু আলাম।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব