Monday, July 5, 2021

গার্লস গ্রুপ ও স্বামী-স্ত্রীর অবস্থা

 May be an image of one or more people and text that says 'স্বামী-স্ত্রীর তোরা মাঝে মীমাংসা চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসা ও মিলমিশের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবেন আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত। (সূরা আন-নিসা, আয়াত ৩৫) THEPATHOF ighteousness thepathofrighteous thepathofrighteousness e_pathofrighteousness'

 

গার্লস গ্রুপগুলোতে অনেকে ইনভাইট করে। সজ্ঞানে কেটে পড়ার চেষ্টা করি। এ পর্যন্ত যতগুলো গার্লস গ্রুপে এড হয়েছি বেশির ভাগ স্বামী আর শ্বশুর বাড়ির বদনাম ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ে নাই। আমার অনেক দ্বীনি বোনদের দেখি আবার এসব ফিলথি পোস্টে লাইক কমেন্ট করেন। ব্যাপারটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
.
স্বামী খারাপ, স্বামী মাম্মি'স বয়, স্বামী ক্যাবলাকান্ত হাবা গোবা, স্বামী অলস কোন কাজ করে না, স্বামী বাসার কাজে সাহায্য করে না, স্বামী ঘুরতে নিয়ে যায় না, স্বামী বদরাগী, স্বামী এই, স্বামী সেই এন্ড দ্যা লিস্ট গো অন এন্ড অন ...
.
সুব'হানাল্লাহ! দ্বীনের জ্ঞান যখন একদমই ছিলো না তখন স্বামীর প্রতি আচরণের ব্যাপারে নিজের বেশ কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি, যেগুলো কুরআনের এই আয়াতের ব্যাখ্যা জানার পর আল্লাহর অশেষ রহমতে শোধরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি (present continuous tense)। এর মধ্যে যখন দেখি দ্বীনি ঘরানার বোনেরাও এইসব নোংরা পোস্টগুলো সমর্থন করেন তখন আফসোসের পাশাপাশি কিঞ্চিৎ কনফিউশান চলে আসাটা বোধ করি অস্বাভাবিক না।
.
কুরআনে আল্লাহ সুব'হানাহু তা’আলা সূরা বাক্বারায় স্বামী স্ত্রীকে একে অপরের লিবাস বা পোশাক বলেছেন।
‎هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمۡ وَاَنۡتُمۡ لِبَاسٌ لَّهُنَّؕ
-
"তারা তোমাদের লিবাস (পোশাক) এবং তোমরা তাদের।" [ সূরা আল বাক্বারা : ১৮৭]
.
আল্লাহ সুব'হানাহু ওয়া তা’আলা কেন স্বামী-স্ত্রীকে পরস্পরের লিবাস বলেছেন ? লিবাস বা পোশাকের কাজ কি? এর ব্যাখ্যায় স্কলারগণ যা বলেছেন -
.
১. পোশাক মানুষের ইনকমপ্লিটনেস বা অসম্পূর্ণতাকে সম্পূর্ণ করে। যে কোন শারীরিক খুঁত বা ত্রুটি পোশাক ঢেকে দেয়, দৃষ্টির আড়াল করে দেয়। স্বামী স্ত্রী তেমনি একে অপরকে সম্পূর্ণ করবে। একে অপরের কমতিগুলো পূরণ করে নিবে। সকল প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো বাইরের মানুষদের কাছ থেকে ঢেকে রাখবে, আড়াল করে নিবে।
.
২. পোশাক বাইরের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। শীতের সময় শীতের প্রকোপ থেকে, গরমের সময় রোদের উত্তাপ থেকে। তাছাড়া পোশাককে ঋতুর পরিবর্তনের সাথে এডজাস্ট করে নিতে হয়। গরম কালে সুতির আরামদায়ক কাপড় আবার শীতকালে ভারী কাপড়। স্বামী স্ত্রী অনুরূপ একে অপরকে প্রটেক্ট করবে। যে কোন বাহ্যিক অনিষ্ট থেকে একে অপরকে হিফাযত করবে। একে অপরের সম্মান অটুট রাখবে। আবার ঋতুর পরিবর্তনের মত কখনও স্বামী রাগান্বিত (মানবিক বৈশিষ্ট্য) হবে, স্ত্রী তাকে শীতলতা দান করবে কিংবা স্ত্রী রাগান্বিত হলে স্বামী নরমে তা হ্যান্ডেল করবে।
.
৩. পোশাক মানুষের জন্য স্বস্তি ও প্রশান্তির কারণ। স্বামী স্ত্রী সেরূপ একে অন্যের মাঝে স্বস্তি ও প্রশান্তি খুঁজে নিবে।
.
এছাড়াও আরও অনেক ব্যাখ্যা আছে। আমি কেবল আপাতত তিনটা উল্লেখ করলাম।
.
যা হোক, এখন আমার বোনদের কাছে প্রশ্ন, এই যে মেয়েদের গ্রুপগুলোতে এসে আপনারা সম্পূর্ণ বাইরের মানুষদের কাছে নিজের স্বামীর পুঙ্খানুপুঙ্খ বদনাম করেন (সাথে শ্বশুর বাড়ি ফ্রি), এতে কি স্বামীকে তাদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়া আর কি অহেতুক ফায়দা হয় আপনাদের?
.
অনেক বোন পোস্টের শেষে এসে লিখেন, আপুরা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম একটু স্বস্তির বা সমাধানের আশায় কারণ কাউকে একথাগুলো বলতে পারি না!!!
.
স্বস্তি কিংবা সমাধান ... এগুলো কি কোন মানুষের পক্ষে আদৌ দেওয়া সম্ভব? মানুষের কাছে গিয়ে আপনারা সমাধান খুঁজে বেড়ান আপুরা অথচ মানুষের রবের কাছে কতবার নিজেকে ধরণা দিয়েছেন? যদি দিয়েও থাকি তবে রবের জবাবের জন্য বা রব কর্তৃক প্রদত্ত পরীক্ষার বিপরীতে সবর করতে পারছি কি?
.
অস্বীকার করছি না যে খারাপ, যালিম স্বামী একদমই নেই। কিন্তু তার জন্য কি কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক স্বামীকে মানুষের কাছে খারাপ করে তুলে ধরার লাইসেন্স আমরা পেয়ে যাচ্ছি? স্বামী আপনার হক্ব আদায় করে না তাই বলে স্বামীর হক্ব আপনি যথাযথ আদায় না করলে রবের পাকড়াও থেকে বেঁচে যাবেন কি আমার বোনেরা??
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে একবার এক মহিলা নিজ প্রয়োজনে এলেন। ফিরে যাবার সময় রাসূল তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমার কি স্বামী আছে?"
তিনি বললেন, "জ্বী আছে।"
নবীজি বললেন, "তার সাথে তোমার আচরণ কেমন?"
মহিলা বললেন, "আমি যথাযথ তার সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করি।"
নবীজি বললেন, "তার সাথে (স্বামী) তোমার আচরণের বিষয়ে সজাগ থেকো কারণ সে তোমার জান্নাত বা তোমার জাহান্নাম।"
[ মুসনাদে আহমাদ, মুআত্তা মালিক, মুসতাদরাকে হাকিম ]
.
আমার বোনেরা, উপরের হাদীস থেকে কি আমরা কিছুই শিখতে পারছি না? দুনিয়ার মানুষের কাছে স্বামীর বদনাম করে, স্বামীকে ছোট করে ক্ষতিটা কার হয় আপনার নিজের ছাড়া। আপনার স্বামী আপনার পোশাক যেটা আল্লাহ সুব'হানাহু ওয়া তা’আলা কুরআনে বলেছেন। আপনি তাকে যত্ন করবেন, পোশাক ছিদ্র হলে তা সুঁই সুতা দিয়ে নিজে মেরামত করে নিবেন। অথচ আমরা নিজেরাই আজ নিজের পোশাককে ছিঁড়ে ফেলছি, পোশাককে মানুষের কাছে ত্রুটিযুক্ত করে তুলে ধরছি।
.
সেদিন মেইন স্ট্রিম নিউজ পোর্টালগুলোতে দেখলাম ঢাকায় দিনে ৩৮ টা ডিভোর্স হয়!!! জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ডিভোর্সের আবেদন জমা পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজারের কাছাকাছি! সংবাদে আরও বলা হয়েছে এই ডিভোর্সের আবেদনগুলোর প্রায় ৭৫ শতাংশ এসেছে নারীদের পক্ষ থেকে!!!
.
আহা! কোথায় আমাদের উম্মাহর মেয়েদের হিকমাহ? কি করুন দশা আজ তাদের চিন্তা ভাবনার!! অথচ আল্লাহ সুব'হানাহু ওয়া তা’আলা কুরআনে বলেছেন -
"আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাকো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।" [ সুরা আর-রুম, ২১ ]
.
কেন আমাদের মাঝে আজ আমাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া নেই? কারণ ঐ যে, আমাদের সাথে আমাদের রবের দূরত্ব। যিনি এই রাহমাহ্ ও মাওয়াদ্দাহ (আরবী আয়াতে এভাবে এসেছে) সৃষ্টি করে দেন বলেছেন, আমরা তাঁর কাছে স্বস্তি ও সমাধান খুঁজি কি? যদিও সমাধানের পরিপূর্ণ ওয়াদা এসেছে স্বয়ং আমাদের রবের নিকট থেকেই -
"তারা উভয়ের (স্বামী-স্ত্রী) মাঝে মীমাংসা (reconciliation) চাইলে আল্লাহ‌ তাদের মধ্যে মীমাংসা ও মিলমিশের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত।"
[ সূরা আন-নিসা, ৩৫ ]
.
আহা! আমরা আজ কোথায় স্বস্তি খুঁজে বেড়াই, কার কাছে সমাধান খুঁজে বেড়াই?
কার কাছে?
লিখেছেন: নুসরাত জাহান

 

বিয়ে কেনো করবেন, কখন করবেন? - when to marry, whom to marry, why to marry?

 May be an image of text that says 'বিয়ে নিয়ে কিছু কথা [বিয়ে কেন করবেন? কখন করবেন?] বিয়ে: অর্ধেক দ্রীন'

 

বিয়ে কেনো করবেন, কখন করবেন?
.
ইদানিং নানা কারণে আমি পাবলিক থেকে আড়ালে থাকছি। তারপরও মাঝে মধ্যে ভাই বেরাদারদের সাথে দেখা হয়ে যায়। এমনি (নতুন পরিচিত) একজনের সাথে সাক্ষাত হল। অবশ্য আমি নিজেই তাকে হুট করে দাওয়াত দিয়েছিলাম।
খাওয়া দাওয়ার পর বলল, হুজুর, বিয়ের ব্যাপারে একটু পরামর্শ দেন।
- বলেন কী? এখনো বিয়ে করেননি?
- জি না। এখনো করা হয়নি।
- তা এখন কেনো বিয়ে করতে চাচ্ছেন?
- বিয়ে তো করতেই হবে। এই ফিতনার যুগে ঈমান বাঁচাতে বিয়ে না করে উপায় আছে?
- হুমম, এটাও ঠিক। আবার এমনও তো হতে পারে, আপনার ঈমান বাঁচানো বিয়ে ১০ জনের ঈমানকে সংকটে ফেলে দিল!
- এইটা আবার কী বলেন হুজুর, আমার বিয়ে ১০ জনের ঈমান নিয়ে টানাটানির কারণ হবে কেনো?
- দেখা গেলো আপনি বিয়ের পর বিবি, বাচ্চা, মা বাবা সহ অন্যান্যদের হক ঠিকমতো আদায় করলেন না, তখন সংসারে ঝগড়াঝাটি, কান্নাকাটি, পরস্পর দোষারোপ আর আপনার দীনদারী নিয়ে নানা কথা উঠবে। এতে এক সাথে অনেক মানুষের ঈমানের মধ্যে ফাটল দেখা দিতে পারে।
- তাহলে এখন আমি কী করব? বিয়ে করব না?
- কেনো করবেন না? অবশ্যই করবেন। তবে বুঝেশুনে। আবেগে নয়। নিজেকে প্রস্তুত করে। হুট করে নয়
- এই বিষয়েই একটু পরামর্শ দেন। 
 
𝌆 তাহলে শুনেন। বিয়ের আগে কমপক্ষে চারটা জিনিস মাথায় রাখবেন। 
 
১. কেনো বিয়ে করছি? :
 
শুধু শারীরিক চাহিদা বা সাময়িক আবেগ দমনে বিয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হলে একটু থামুন। 
 
লম্বা দাম্পত্যজীবনে শারিরীক চাহিদার স্থায়িত্ব খুব কম। সময়ের সাথে এই চাহিদা কমতে থাকে। সেক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দায়িত্ববোধ ছাড়া সংসার টিকে না। তাই রাসুল সা. সামর্থ্য থাকলে বিয়ে করতে বলেছেন। না থাকলে রোজা রাখতে বলেছেন। 
 
তাই সামর্থ্য বিচার করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিন। এবং সেটা নূন্যতম হলেও চলবে। সেক্ষেত্রে পাত্রীও তেমন বুঝমান হতে হবে।
 
মনে রাখবেন, পিতার সামর্থ্য আপনার সামর্থ্য নয়।  
 
পিতার দায়িত্ব আপনাকে বিয়ে করানো, আপনার সংসার চালানো নয়। তিনি যদি আপনার সংসার চালানোর সামর্থ্য রাখেন, তবে তার উচিত নিজেই মাসনা করা।
 
 
২. কাকে বিয়ে করবেন? :
 
অনেকে দীন পালন শুরু করেই নিজের অবস্থার চেয়ে উঁচু পরিবারে বিয়ে করতে চায়। অনেকে আবার একেবারে আবেগী হয়ে অবস্থান থেকে অনেক নিচে নেমে যায়। আলেমরা উচ্চবিত্ত জেনারেল পরিবারে বিয়ে করে বসে। আবার অনেক জেনারেল ভাই দরিদ্র দীনদার পরিবারের মেয়ে বিয়ে করে।
 
এখানে বুঝার বিষয় হল, বিয়ে তো দু জনের। কিন্তু সম্পর্কটা দুটি পরিবার বা খান্দানের। তাই ইসলামের দেয়া কুফু তথা সমতা রক্ষা না করে অতি আবগের পরিচয় দিলে পস্তানোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। 
 
 
৩. বিয়ের আগে পরিবারে দায়িত্বশীল আচরণ করুন :
 
আপনার মা বাবা আপনাকে কেনো বিয়ে করাবে? আপনার মধ্যে কি সংসারের প্রতি দায়িত্ববোধ আছে? টাকা কামিয়ে পরিবারে দেয়া এক জিনিস আর দায়িত্ব নেয়া আরেক জিনিস।
 
সংসারের দায়িত্ব নিন। বাজার করুন। বিলগুলো দিন। কাকে ডাক্তার দেখাতে হবে, কার ঔষধ লাগবে, কার কী সমস্যা, এগুলোর খোঁজ রাখুন। 
 
আপনার মা বাবা ভালো মানুষ হলে আপনাকে শীঘ্রই বিয়ে করিয়ে দেবে।
 
 
৪. দ্বীনি পরিবেশ তৈরি করুন :
 
আপনি কি চান, আপনার স্ত্রী পর্দা করুক? আপনার বাসার সবাই তাকে পর্দা করতে সাহায্য করুক? আপনার স্ত্রী গুনাহমুক্ত থাকুক? 
 
তাহলে বিয়ের আগে আপনাকে আপনার পরিবারের মধ্যে এসব চর্চা করতে হবে। 
 
চাচী, মামী, ভাবী, খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোন, বিয়াইন ইত্যাদি গাইরে মাহরামের সাথে কঠোরভাবে পর্দা করতে হবে। পরিবারে কোনো গুনাহযুক্ত অনুষ্ঠান হলে তা জায়েজ উপায়ে করার জোড় চেষ্টা করতে হবে। না হলে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। এমনকি গুনাহযুক্ত অনুষ্ঠানের পাঠানো খাবারও এড়িয়ে যেতে হবে।
 
যদি তা করতে পারেন, তাহলে আপনার স্ত্রীর ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকবে।
 
আর না পারলে আপনি যখন স্ত্রীর পর্দা ইত্যাদির কথা বলবেন, তখন নানা টিপ্পনী শুনতে হবে। 
 
আর হ্যাঁ, একটা বিষয় সব সময় মাথায় রাখবেন। বিয়ের ব্যাপারে মোটেও ফ্যান্টাসিতে ভোগা যাবে না। এ ব্যাপারে পুরোদস্তুর বাস্তববাদী থাকতে হবে। 
 
সবশুনে ভাই আমার বিদায় নিয়ে চলে গেলো। আর যোগাযোগ নাই। দেখি, সুযোগ বুঝে আমিই খোঁজ নিব।
 
—লেখা : আহমাদ ইউসুফ শরীফ 
 
𝌆 দ্বীনি পাত্র—পাত্রী সহজে খুঁজে পেতে ভিজিট করুন : Al-Yaqeen Marriage Media, https://ordhekdeen.com তে।