Sunday, July 25, 2021

নারীর মর্যাদা

 

নারীর মর্যাদা
 
● স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে খেয়ানত করে, পরনারীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তবে ঐ স্বামীর শাস্তি হচ্ছে তাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা।
● ২য় স্ত্রী বিবাহ করলে স্বামী যদি উভয় স্ত্রীর সাথে সমতা বা ইনসাফ রক্ষা না করে, তবে কিয়ামত দিবসে তার শরীরের এক অংশ বিকলাঙ্গ অবস্থায় উত্থিত হবে।
● মোহরানা নির্ধারণ করার পর স্বামী তা স্ত্রী প্রদান না করলে কিয়ামত দিবসে চোর হিসেবে উত্থিত হবে।
● স্ত্রীকে তালাক দিলে, মোহরানার কোন অংশ ফেরত নেয়ার অধিকার নেই স্বামীর।
● স্ত্রীকে প্রহার করলে বা লাঞ্ছিত করলে সেই স্বামী ইসলামের দৃষ্টিতে ইতর শ্রেণীর লোক। স্ত্রীকে সম্মান করা উঁচু স্বভাবের লোকদের কাজ।
● চার মাসের বেশী সময় ছেড়ে থাকলে, স্ত্রীর অধিকার আছে তার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার।
● প্রাপ্য মীরাছ থেকে নারীকে বঞ্ছিত করা, আল্লাহর সীমালঙ্ঘণকারীর কাজ। আর এরূপ ব্যক্তি জালেম।
● স্ত্রীকে অপছন্দ করলে, স্বামীকে সবর করতে বলা হয়েছে। কেননা হতে পারে, তোমারা যা অপছন্দ কর, তাতেই আল্লাহ রেখেছেন অফুরন্ত কল্যাণ।
● কোন কারণে স্ত্রীকে তালাক দিলে তার অনুগ্রহ ও ভালো বিষয়গুলো অস্বীকার করা ভদ্রলোকের কাজ নয়।
● তালাক হয়ে গেলে সন্তানদের থেকে স্ত্রীকে বঞ্ছিত করা উচিত নয়। সন্তানদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পিতার উপর; মাতার উপর নয়।
● নারী তার সম্পদে স্বাধীন। ইচ্ছামত ব্যবহার/খরচ করতে পারে। স্বামী যদি গরীব হয়, তবে স্ত্রী তাকে সাদকা দিতে পারে। তখন সে দ্বিগুণ ছোয়াব পাবে। কিন্তু না দিলে স্বামীর করার কিছু নেই। জবরদখল করার কোন অধিকার নেই।
● স্ত্রীর ভরণ-পোষণ, বাসস্থান, পোষাক প্রভৃতির দায়িত্ব স্বামীর। দায়িত্ব অবহেলা করলে, আল্লাহর সামনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
● স্ত্রীর উপর অত্যাচার করলে, অনুরূপ শাস্তির দণ্ড স্বামীকে দেয়া হবে।
● স্ত্রীর উপর স্বামীর কর্তৃত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকে একপ্রকার দায়িত্ব। কিন্তু স্বামীর আনুগত্য করা স্ত্রীর জন্য জিহাদ ফি সাবীলিল্লাহর অন্তর্ভুক্ত।
● স্ত্রীর উপর স্বামীর আদেশ-নিষেধ শরীয়তের সীমার মধ্যে আনুগত্য করা ফরয। কিন্তু তার বাইরে হলে তার আনুগত্য করা হারাম।
● নারীকে অসম্মান করার কারণেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহূদী গোত্র বানী কাইনুকা’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন।
● নারীর ইজ্জত বাঁচানোর জন্য পুরুষ যদি প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রাণ হারায়, তবে সে আল্লাহর পথে শহীদের মর্যাদা পাবে।
● নারীর ইজ্জত সুরক্ষার জন্য ইসলাম তার প্রতি অপবাদ আরোকারীর জন্য ৮০ বেত্রাঘাত দণ্ডের বিধান রেখেছে।
● নারী (মাতার) পদতলে আল্লাহ রেখেছেন পুরুষের (ছেলের) জান্নাত।
● নারীর (কন্যা সন্তান) উত্তম তারবিয়াতের বিনিময়ে আল্লাহর পুরস্কার রেখেছেন জাহান্নাম থেকে মুক্তি।
ইসলামের এই মর্যাদার পরও কি মুসলিম নারীর দরকার আছে ‘বিশ্ব নারী দিবস’?
ওহে মুসলিম রমণী! এরপরও কি তুমি ইসলাম নিয়ে গর্ববোধ করবে না?
লেখাঃ শাইখ আব্দুল্লাহিল কাফি (আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।)

দ্বিনদার মেয়ে চিনবো কি ভাবে?

 

দ্বিনদার মেয়ে চিনবো কি ভাবে?
>>আমার খুব যানতে ইচ্ছা করছিলো দ্বিনদার মেয়ের ভিতর কি কি গুন থাকে?
<<বর্তমানে সোসাল মিডিয়ায় ৯৫%মেয়েরা তো নিজেকে দ্বিনদার বলে দাবি করে আসলেই কি এরা সবাই দ্বিনদার?
একদিন আমার উস্তাদের কাছে প্রশ্ন করলাম হুজুর আপনি যে বিবাহ করলেন কি কি গুন দেখে বিবাহ করলেন যদি আমাদের কেও বলতেন আমরাও বিয়ে শাদীর সময় ঐ সব বিষয় গুলো অনুসরন করতাম|
এরপর হুজুর আমাকে বল্ল আমি প্রথম সর্তে বলছিলাম
•আমার ঘর বাড়ি নাই|
•মাটি দিয়ে ঘর বানবো সেখানে আমার সাথে এক সাথে থাকতে হবে|
•একটা কাপর এক বৎসর পরিধান করতে হবে||
•শরীরে ব্যবহার করার জন্য কোন সাবান দেয়া হবে নাহ|
•জামা কাপর ধোয়ার সাবান ব্যবহার করতে হবে|
•স্বর্ন জীবনেও চোখে দেখতে পাবে না|
কিন্ত এখন তার যে পরিমান স্বর্ন আছে এত পরিমান স্বর্ন অনেক ধনীর ঘরেও নাই|
•আর হুজুর মোহরনা দরছিলেন মাত্র ৩০০০\=হাজার টাকা আমি ভাবতেও অবাক হই এই যুগে এমন সর্তে কোন বাবা,মা মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয়?মেয়ে বা কি ভাবে রাজি হয়?
নিশ্চই পূর্ব যুগের সমস্ত দ্বীনদার মহীয়সি নারীরা অনেক কষ্টে এই সামান্য ও নগন্য জগত অতিবাহিতো করছেন| যেমন ইব্রাহীম (আ:) প্রথম স্ত্রী সারা (আ:) যদিও রাঁজ কন্যা ছিলো বাট বিয়ের পরে ইব্রাহীম (আ:)সঙ্গে থাকা অবস্থায় মৃত্যেুর আগ পর্যন্ত অনেক কষ্টে অতীবাহিতো হয়েছে তার জীবন আল্লাহ তায়ালা এই কষ্টের বিনিময় দুনিয়ায় উত্তম প্রতিদান হিসাবে তাকে একজন নবী দান করছিলেন হযরত ইসহাক (আ:) ইব্রাহিম (আ:) ২য় স্ত্রী হাজেরা (আ:) ছোট বেলা থেকেই অনেক কষ্টে বড় হয়েছেন তিনি সারা (আ:)থেকে বেশি কষ্ট করেছিলেন যার প্রতিফল স্বরুপ ইসমাইল (আ:)কে দান করছিলেন
তাছারা খাদিজা (রা:) ফাতেমা (রা:) ফেরউনের স্ত্রী আসিয়া,রাবেয়া বৎসি সকলে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন|
এখন নিজেকে নিজে প্রশ্ন করেন আপনের ভিতর যে গুন আছে এগুলো দ্বিনদার নারীর গুনের সাথে মিল আছে কি না?
একজন দ্বিনদার নারীর বড় গুন হলো অল্পতেই সন্তষ্ট থাকা এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা বিপদ আপদে ধৈর্য ধারন করা|
::;;আমি দেখলাম হুজুরের অনেক সমস্যা থাকা সত্যেও তাদের সাথে কখনো ঝগড়া,রাগারাগি হয় না এত ধৈর্য কি ভাবে একজন মানুষের ভিতর থাকে?
"আমি তাদের এমন সংসার দেখে মাঝে মাঝে আফসোস করি আল্লাহ যদি আমাকেও এমন একজন জীবন সঙ্গী দান করিক এটা আল্লাহ কাছে আরজি জানাই।
<আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনদার মহীয়সি লাইফ পার্টনার দান করুন>>
<<পোস্ট কপিকৃত,,অন্যের বাস্তবতা থেকে লেখা>>