Sunday, July 25, 2021

দ্বীনের পথে আসতে চাইলে আপনাকে সর্বপ্রথম এই "একটু" শব্দটি জীবন থেকে মুছে ফেলতে হবে।

 

দ্বীনের পথে আসতে চাইলে আপনাকে সর্বপ্রথম এই "একটু"
শব্দটি জীবন থেকে মুছে ফেলতে হবে।
মুছ ফেলতে একটু একটু করে আগের অভ্যাস।
আবার এই
"একটু" শব্দকেই পুজি করে আপনাকে দ্বীনের পথে আসতে হবে।
একটু ঝোক কেটে উঠতে হবে।
আপনি নিয়মিত নতুন করে নামাজ পড়া শুরু করেছেন, পর্দা করার চেষ্টা করছেন।
ইত্যাদি ইত্যাদি করছেন ,,,
কিন্তু আগের রেখে যাওয়া অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। আমরা অনেকেই পারি না।
এই ""একটু"" রোগ নিয়েই নামাজ, রোজ,পর্দা, নেশা, নাচ গান, যেনা, ফেতনা সবই করছি।
ফলাফল শূন্য হয়ে যাচ্ছে আমাদের,
""একটু"" রোগ গুলো হলো,
⚫কেবল তো মসজিদে আজান দিলো একটু পড়ে নামাজ টা পড়ি।
⚫একটু গান টা শুনলাম তো কি হলো?
⚫একটু সিগারেট খেলে কিছু হবে না।
⚫একটু পর্দা ছাড়া আজ বাইরে গেলে তেমন কিছুই হবে না।
⚫একটু টিভি সিরিয়াল দেখে নামাজ পড়তে যাবো,,,!
⚫একটু বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বরটাকে দেখে আসলে কিছুই হবে না।
⚫একটু প্রেম করলে তো তেমন কিছুই হবে না।
আমরা তো খারাপ কিছু করছিনা!
⚫একটু ছেলে বন্ধুর সাথে ফোন কলে কথা বলে কিছু হবে না।
ইত্যাদি ,,
একটু একটু করতে করতে দ্বীনের পথে আর আসা হয়না।
ঠিক যেমন ফুটো কলসি তেমন।
একটু দেখি, করি, যাই, খাই ইত্যাদি,
কে জীবন থেকে আগে মুছে ফেলতে হবে ,,
___আর এই ""একটু""____
কে মুছে ফেলতে হলে একটুর সাহায্য নিয়ে এগোতে হবে।
একটু একটু স্বভাব টাকে একটু একটু করেই পরিবর্তন করতে হবে।
একেবারেই কেউই এই একটু স্বভাব পরিবর্তন করতে পারে না।
তাই একটু একটু চেষ্টা দ্বারাই সকল গুন্নাহ থেকে ফিরে আসতে হবে।
""একটু""_""একটু""_স্বভাবকে মুছতে হলে
একটু_একটু করে চেষ্টা দ্বারাই নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে।
এই একটু স্বভাব টাকে পরিবর্তন করতে পারলেই দ্বীনের পথ সহজ হবে।
ইনশাআল্লাহ। চলুন আজ থেকেই একটু অভ্যাস কে পরিবর্তন করার একটু চেষ্টা করি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন,
সঠিক দ্বিন বোঝার তৌফিক দান করুন আমীন ,,

অবসর সময়গুলোতে আমরা কি করছি?

 

অবসর সময়গুলোতে আমরা কি করছি?
.
- টিভি দেখছি?
- গল্প-গুজব, আড্ডা, পরনিন্দা (অন্যের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা)?
- (শরীয়াহ অনুমোদিত নয় এমন) খেলাধূলা?
- গল্পের বই?
- ফেইবুক (অপব্যবহারে)?
- অবিশ্বাসীদের মত (হারাম) আনন্দ-ফূর্তিতে মেতে থাকা?
.
এবার দেখি আল্লাহ আমাদেরকে অবসর সময়ে কি করতে বলেছেন?
মহান আল্লাহ্ বলেছেনঃ "অতএব, যখন সময় পাও তখন (ইবাদতের জন্য) পরিশ্রম করো, আর তোমার পালনকর্তার দিকে মনোনিবেশ করো।"
(সূরা ইনশিরাহ (৯৪), আয়াত ৭-৮)
____
.
.
অথচ মানুষ সময়গুলোকে কাজে লাগায় না। হেলায়-ফেলায় অথবা অহেতুক-অনর্থক কাজের মাধ্যমে জীবনের অনেকগুলো মূল্যবান সময় নষ্ট করছে।
.
এজন্যই আল্লাহ্ বলেছেনঃ "কসম সময়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ"। ( সুরা আসরঃ ১)
.
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
“এমন দুটি নিয়ামত আছে, বহু মানুষ সে দুটির ব্যাপারে ধোঁকায় আছে। (তা হল) সুস্থতা ও অবসর।”
(বুখারী ৬৪১২, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
____
.
.
মানুষ ভুলে যায় কেন তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে!
"আমি মানুষ ও জিন কে আমার ইবাদাত ব্যাতিত অন্য কোন উদ্দেশে সৃষ্টি করিনি।
(সুরা আল যারিয়াতঃ ৫৬)
সুতরাং প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উচিত সুস্থতা ও অবসরের সময়গুলোকে কদর করা রবের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইবাদতে কঠোর মনোনিবেশ করা।
____
.
.
শেষ করবো প্রিয় নাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি হাদিস দিয়ে, তিনি বলেছেনঃ তোমরা পাঁচটি অবস্থায় পতিত হওয়ার পূর্বে পাঁচটি জিনিসকে মূল্যায়ন কর।
(১) বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বে যৌবনকে
(২) রোগ আক্রমণ করার পূর্বে সুস্থতাকে
(৩) কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসর সময়কে
(৪) মৃত্যু আসার পূর্বে জীবনকে
(৫) দরিদ্রতার পূর্বে সচ্ছলতাকে।
[ মুসতাদরাক হাকিম, হা/৭৯১৬ ]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
:
- সংগৃহীত