Saturday, May 20, 2023

উত্তম নারী who is best woman?

|| উত্তম নারী ||

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো- কোন নারী সবচেয়ে উত্তম। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

“সেই নারী যার দিকে স্বামী তাকালে সে স্বামীকে আনন্দ দান করে, স্বামী কোনো কিছুর আদেশ করলে তা মান্য করে এবং স্বামীর সম্পদ ও তার নিজের ব্যাপারে স্বামী যা অপছন্দ করে তার বিরুদ্ধাচরণ করে না।" ★

সুতরাং উল্লিখিত আলোচনা থেকে প্রতিভাত হয় যে, স্বামীদের জন্য প্রশংসার যোগ্য স্ত্রীদের বৈশিষ্ট্য হলো, তারা –
১- সৎকর্মশীলা, অর্থাৎ কল্যাণমূলক কর্মে এবং স্বামীর প্রতি উত্তম আচরণে।
২- অনুগতা, তাদের স্বামীদের, এমন সব কাজে যেখানে আল্লাহর অসন্তুষ্টি নেই।
৩- সংরক্ষণকারিনী, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তারা নিজের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষা করে চলে।
৪- সংরক্ষণকারিনী, তারা স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদকে সংরক্ষণ করে চলে।
৫- স্বামীর সামনে সর্বদা এমনভাবে উপস্থাপিত হয় যাতে স্বামী আনন্দবোধ করে। যেমন- হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় থাকা, সাজগোজ অবলম্বন করে থাকা, রূপসজ্জা অবলম্বন করা এবং স্বামীর বিপদের সময় স্বামীকে সান্ত্বনা দেয়া।

নোটঃ
★ আহমাদ (৪৩২), নাসাঈ (৬৬৮)
"যে নারী নয়ন জুড়ায়" বই থেকে চয়িত...

প্রশ্নঃ হিজাব বলতে আসলে কী বোঝায়? এরকম অনেক মুসলিম বোনকে দেখা যায়, হয়তো নিচে একটা প্যান্ট পরেছেন, খুব আঁটোসাঁটো, টাইট। একটা গেঞ্জি পরেছেন। ঠিক উপর দিয়ে মাথাটা ঢাকা আছে। এটাতে হিজাব হয় কি না?

প্রশ্নঃ হিজাব বলতে আসলে কী বোঝায়? এরকম অনেক মুসলিম বোনকে দেখা যায়, হয়তো নিচে একটা প্যান্ট পরেছেন, খুব আঁটোসাঁটো, টাইট। একটা গেঞ্জি পরেছেন। ঠিক উপর দিয়ে মাথাটা ঢাকা আছে। এটাতে হিজাব হয় কি না?

উত্তরঃ 
ইসলামি হিজাবের বেশ কয়েকটা পর্যায় আছে। আমরা সংক্ষেপে যেটা বলতে পারি, হিজাব শুধু পোশাক নয়। হিজাবের প্রথম বিষয় হল, নারী পুরুষের মিশ্রণ যেটা, এটা হারাম। অর্থাৎ এমন হবে না, ছেলে-মেয়ে অবাধ মেলামেশা করবে। এমনকি পোশাক সহ-ই একটা ছেলে, একটা মেয়ে একা থাকবে অথবা অবাধ মেলামেশা হবে। এটাকেও কিন্তু ইসলাম নিষেধ করে। এটা হিজাবের-ই একটা অংশ। আরো অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। পারিবারিক বিষয়। কারো বাড়িতে ঢুকতে অনুমতি নেওয়া ইত্যাদি।
হিজাবের একটা বিষয় হল পোশাক। ইসলামি হিজাবের অনেকগুলো দিক রয়েছে। তার একটা হল পোশাকটা সারা শরীর ঢাকবে। শুধু মুখের ব্যাপারে কিছু মতভেদ আছে। এটা আমরা সবাই জানি। আর এটার আরেকটা বিষয় হল, পোশাকটা ঢিলেঢালা হবে। শরীরের অঙ্গটা পোশাকের বাইরে থেকে বোঝা যাবে না। যদি বোঝা যায়, তাহলে কাপড় খুলে থাকা একই বিষয়। এজন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:

رُبَّ كَاسِيَاتٍ فِي الدُّنْيَا عَارِيَاتٍ فِي الْآخِرَةِ.

অনেক কাপড় পরিধানকারী আমার উম্মাতের মেয়ে যারা কিয়ামতের দিন উলঙ্গ বলে গণ্য হবে। এজন্য যদি কেউ এমন পোশাক পরে যেটা এত আঁটো, শরীরের আকৃতিটা পোশাকের বাইরে থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে তাহলে এটা পোশাক হল না। দ্বিতীয়ত, এত বেশি পাতলা হবে না যে, গায়ের চামড়াটা প্রকাশ পায়। সেজন্য যে দেশের মেয়েরা যে পোশাক পরে- কোনো দেশের মেয়েরা যদি প্যান্ট পরে থাকেন প্যান্টটা ঢিলাঢালা হতে হবে। গায়ের পোশাকটা ঢিলেঢালা হতে হবে। এবং আল্লাহ কোরআন কারীমে বলেছেন:
يُدْنِيْنَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيْبِهِنَّ.

[তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়।] 
‘জিলবাব’ মানে গায়ের পোশাকের ওপরে ভিন্ন একটা পোশাক। যেটা শরীরের আকৃতিকে ঢেকে রাখবে। মাথাটাকে ঢেকে রাখবে। এজন্য যে মেয়ে মাথায় কাপড় দিয়েছেন তিনি আলহামদুলিল্লাহ, মাথা খোলা রাখা মেয়ের চেয়ে অবশ্যই ভালো। তবে শরীরের অন্য পোশাক যদি টাইট হয় তাহলে তার পর্দাটা পুরো আদায় হবে না।
[আগের মা-বোনদের দেখা যেত খুব ভালোভাবে পর্দা করতে। কিন্তু ইদানিং স্টাইলিশ হিজাব আসার কারণে কিছুটা...। -উপস্থাপক]
এটার পজিটিভ নেগেটিভ দুটোই আছে। আগে অনেকে মোটেও পর্দা করতেন না। তাদের তুলনায় অন্তত নিজেদের ম্যাচিং করে স্টাইলিশ কিছু পর্দা তারা করছেন। এটা একটু ভালো।
  
১ মুসনাদ আহমাদ, হাদীস-২৬৫৪৫; সহীহ বুখারি, হাদীস-১১২৬; সুনান 
   তিরমিযি, হাদীস-২১৯৬।
২ সূরা: [৩৩] আহযাব, আয়াত: ৫৯।