Saturday, May 20, 2023

হিফজ বিভাগের চব্বিশ ঘন্টার রুটিন। কীভাবে পড়ানো হয় হিফজ খানায়।

হিফজ বিভাগের চব্বিশ ঘন্টার রুটিন। কীভাবে পড়ানো হয় হিফজ খানায়।

পড়ালেখায় সফলতা লাভ করার জন্যে দুনিয়াতে এযাবৎ যত রুটিন তৈরী হয়েছে তন্মধ্যে হিফয বিভাগের রুটিন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। অন্যসব পড়ালেখার রুটিন ৮ থেকে ১৪ ঘন্টার হয়ে থাকে; কিন্তু হিফজ বিভাগের রুটিন দিনের চব্বিশ ঘন্টার সাথেই সম্পৃক্ত। রুটিনটি ছাত্র শিক্ষক উভয়ের জন্যেই প্রায় সমান এবং অনেকটা কষ্টসাধ্য। যেহেতু কোরআন কোনো সাধারণ গ্রন্থ নয় সুতরাং তাঁর ধারকবাহক হওয়াও সাধারণ বিষয় নয়। নিম্নোক্ত রুটিনটি দেশের উঁচুস্তরের প্রায় চল্লিশজন আলেমের পরামর্শক্রমে গৃহীত হয় যা হিফজুল কোরআন ছাত্রদের জন্যে খুবই উপকারী।

১। প্রতিদিন ফজরের সালাতের দেড়ঘন্টা পূর্বে ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে বসা এবং ফজর নামাজের পূর্বেই উস্তাদের কাছে নতুন সবক শুনানো।

২। ফজর নামাজের পর থেকে সকালের (ব্যক্তিগত হালকা) নাস্তা পূর্ব পর্যন্ত সাতসবক শুনানো।

৩।ফজর নামাজের দেড়ঘন্টা পর সকালের ব্যক্তিগত হালকা নাস্তার বিরতি পনেরো মিনিট।

৪। নাস্তার পর থেকে সকাল ৮ঃ৩০ মিঃ পর্যন্ত আমুক্তা ইয়াদ করা।

৫। সকাল ৮:৩০ মিনিট থেকে ৮ঃ৫৫ মিঃ পর্যন্ত মশক/তাজবীদ/তা’লীম।

৬। অতঃপর ৯ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত সকালের নাস্তার বিরতি।

৭। সকাল ৯ঃ৩০ মিনিট থেকে ১১ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত দিনের বিশ্রাম-ঘুম।

৮। সকাল ১১ঃ৩০ মিনিট হতে ১২ঃ০০ পর্যন্ত গোসল।

৯। অতঃপর ক্লাসে বসা এবং আমুক্তা শুনানো।

১০। দুপুর ১ঃ২০ মিনিট থেকে ২ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত যোহরের নামাজ, সম্মিলিত মোনাজাত ও দুপুরের খাবারের বিরতি।

১১। বিকাল ২ঃ৩০ মিনিট থেকে ৩ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত আমুক্তা শুনানো।

• দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শবিনা শোনাবে।

১২। আমুক্তা শুনানো শেষ হলে যার যার তিলাওয়াত করবে এবং সবকের ছাত্ররা নাজেরা দেখবে আসর নামাজের পূর্ব পর্যন্ত।

১৩। বাদ আসর হতে মাগরীব পূর্ব পর্যন্ত ক্লাস বিরতি (খেলাধুলা,শরীরচর্চা,প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেয়া)।

১৪। বাদ মাগরীব হতে এশা পর্যন্ত নতুন সবক মুখস্থ করা।

১৫। এশার নামাজের পরবর্তী ৩০ মিনিট রাতের খাবারের ছুটি।

১৬। রাতের খাবারের পর থেকে রাত ১০ঃ১০ মিনিট পর্যন্ত সাতসবক ইয়াদ করা এবং তা নামাজে তিলাওয়াত করা।

১৭। রাত ১০ঃ১০ মিনিট হতে ফজরের সালাতের দেড়ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত বিশ্রাম-ঘুম।

হিফজ শিক্ষার্থীদের জন্যে আরও কিছু নির্দেশনাঃ

• ভোর রাতে উঠে সম্ভব হলে দু-চার রাকাত তাহাজ্জুদ সালাত পড়ে নিবে।

•প্রত্যেক নামাজের দশমিনিট পূর্বে নামাজের স্হানে

উত্তম নারী who is best woman?

|| উত্তম নারী ||

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো- কোন নারী সবচেয়ে উত্তম। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

“সেই নারী যার দিকে স্বামী তাকালে সে স্বামীকে আনন্দ দান করে, স্বামী কোনো কিছুর আদেশ করলে তা মান্য করে এবং স্বামীর সম্পদ ও তার নিজের ব্যাপারে স্বামী যা অপছন্দ করে তার বিরুদ্ধাচরণ করে না।" ★

সুতরাং উল্লিখিত আলোচনা থেকে প্রতিভাত হয় যে, স্বামীদের জন্য প্রশংসার যোগ্য স্ত্রীদের বৈশিষ্ট্য হলো, তারা –
১- সৎকর্মশীলা, অর্থাৎ কল্যাণমূলক কর্মে এবং স্বামীর প্রতি উত্তম আচরণে।
২- অনুগতা, তাদের স্বামীদের, এমন সব কাজে যেখানে আল্লাহর অসন্তুষ্টি নেই।
৩- সংরক্ষণকারিনী, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তারা নিজের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষা করে চলে।
৪- সংরক্ষণকারিনী, তারা স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদকে সংরক্ষণ করে চলে।
৫- স্বামীর সামনে সর্বদা এমনভাবে উপস্থাপিত হয় যাতে স্বামী আনন্দবোধ করে। যেমন- হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় থাকা, সাজগোজ অবলম্বন করে থাকা, রূপসজ্জা অবলম্বন করা এবং স্বামীর বিপদের সময় স্বামীকে সান্ত্বনা দেয়া।

নোটঃ
★ আহমাদ (৪৩২), নাসাঈ (৬৬৮)
"যে নারী নয়ন জুড়ায়" বই থেকে চয়িত...