Saturday, September 16, 2023

দুর্দশা

বলেছিলাম যে আরবী নাম থাকলেই সে মুসলিম - এইটা ভাবার সুযোগ এখন নাই। এটার প্রমাণ ছবিটা। কবিরা গুনাহ কে যে কবিরা গুনাহ স্বীকার করে না, তার ঈমান থাকে না। কারণ, সে আল্লাহর বিধানকে কিছুই মনে করে না! তোয়াক্কা করে না!
এজন্য ঈমান ভঙ্গের কারণ খুব ভালো করে শেখা জরুরি।
মূল লিখা Omar Bin Mahtab ভাইয়ের

ভালো-খারাপ সাবজেক্টিভ আলোচনার বিষয়, আমি অবজেক্টিভলি বলব আপনি বিয়ে করার অযোগ্য। আপনাকে নিয়ে হয়তো কিছুদিন মজা করা যেতে পারে, ফ্লিঙ্গিং বা লিভটুগেদার- সব কিছুই কিন্তু বিয়ে না।  

বিয়ে একটা ট্র্যাডিশনাল বিষয়, এখানে ট্র্যাডিশনাল রুলস আর কাস্টমস আছে, ধর্মীয় বিধি-নিষেধ আছে। আপনি যেহেতু লিবারেল, ট্র্যাডিশনাল ধর্মীয় নিয়মের ধার ধারেন না তাহলে আপনার বিয়ের দরকারটাই কি? বন্ধু হিসেবে একসাথে থাকেন। প্রাইম সময়ের মজা নেন, তারপর যখন Expired হয়ে যাবেন, তখন না হয় একটা বিড়াল বা কুত্তা পুষলেন আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সমস্যা নিয়ে গবেষণা করলেন।  

ওইটা আপনি করবেন না আমরা জানি, কারণ আপনারো মনের গভীরে একদিন এক্সপায়ার্ড হবার ভয় আছে। আপনারো "ভালো মেয়ে" হবার সামাজিক স্বীকৃতিটা লাগবে, যাতে ভালো প্রোফাইলের একটা ছেলেকে socio-religious প্রথার সুবিধা নিয়ে সারাজীবনের জন্য লক ডাউন করে ফেলতে পারেন। 

সম্মতি নিয়ে সেলিব্রিটির কোলে উঠুন, শুয়ে পড়ুন এটাতে সমস্যা না। সারাজীবন যেসব নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছেন, হিপোক্রিটের মত শেষ-মেষ ওটার আশ্রয় নিয়ে বিয়ে করবেন কেন? 

মনে রাখবেন আপনি একজন স্ট্রং ইন্ডেপেন্ডেন্ট ওম্যান, সমাজ কি বলল সেটাতে আপনার যায় আসে না। আপনি লিবারেল হিপ্পিদের মত আজীবন ক্যাজুয়াল রিলেশনে থাকুন, জনগণের সম্পত্তি হয়ে যান।

[নোটঃ খালি স্লাট শেইমিং একদিন উঠায় দেন সমাজ থেকে, তারপর দেখেন কয়টা ভালো মেয়ে খুজে পাওয়া যায়, সেলিব্রেটির সম্মতি নিয়ে এদের বডি ফ্লুইড গ্রহণ করাও এদের কাছে অশ্লীল হবে না]


Friday, September 15, 2023

পাত্রপাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম

পাত্রপাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম দ্বীনকে প্রাধান্য দিতে বলেছে। দ্বীনের ভিতর আখলাকও অন্তর্ভুক্ত। আমাদের আখলাক দ্বীন থেকে বহির্ভূত কিছু নয়। বিশুদ্ধ আখলাকের উৎসই হল দ্বীনে ইসলাম। 

তারপরেও বিবাহের পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বীনের পর যেসব জিনিসকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে, সেখানে আখলাকের কথা এসেছে। যেমন এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের নিকট কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের যদি পছন্দ হয়, তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথা জমিনে বড় বিপদ দেখা দেবে এবং সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। ( সুনানে তিরমিযি)

দেখুন এই হাদিসে আখলাক দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও সেটাকে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ যেকোন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এবং বিশেষভাবে দাম্পত্য জীবনে আখলাকের গুরুত্ব অপরিসীম। এর উপরই সম্পর্কের অনেক কিছু নির্ভর করে। দাম্পত্য সম্পর্কের শান্তি, স্বাদ, স্থায়িত্ব ইত্যাদি আখলাকের মাধ্যমেই গড়ে উঠে, সৌন্দর্য আর অঢেল সম্পদের মাধ্যমে নয়। 

আবার আখলাক বা চরিত্রের বিষয়টিও একটু বুঝা দরকার। আমরা চরিত্র ভাল বলতে বর্তমানে এমনটা বুঝি যে, ছেলেটার কোন মেয়ের সাথে খারাপ সম্পর্ক নেই, নেশাপানি করে না। আবার মেয়ের ক্ষেত্রে বুঝি, তার কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক নেই, অশ্লিল ও বেপর্দা চলা ফেরা করে না। ব্যস এতটুকুই। কিন্তু আখলাক কেবল এতটুকুর ভিতর সীমাবদ্ধ না। 

মানুষটির ভিতর রাগের মাত্রা ও ধরণ কেমন, তার মুখের ভাষা কেমন, তার আচরণ কতটা ভদ্রতাসূচক ও সম্মানজনক, আত্মীয়তা ও মানুষের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার আচরণ কতটা সম্পর্কমুখী, জীবনের বিচিত্র পরিস্থিতিগুলোতে তার ভূমিকা বা অবস্থান কতটা ইতিবাচক এসবও আখলাকের অন্তর্ভূক্ত। 

আবার দ্বীনদারিতাও কেবল নামাজ রোজা, দাড়ি, টুপি, বোরকা, নিকাবের এসবের মাঝে সীমাবদ্ধ না। এগুলো দ্বীনদারিতার অন্যতম একটা স্টেইজ। তবে ব্যক্তির চিন্তাচেতনা, চরিত্র, আচার ব্যবহারের সবকিছুই দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত। 

ফলে পাত্রপাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যখন দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে, তখন দ্বীনদারিতার অংশ হিসেবে আখলাক ও চিন্তাচেতনাকেও গুরুত্বের সাথে নিতে বলা হয়েছে। বিশেষত যখন দ্বীনদারিতার কথা উল্লেখের পরও বিশেষভাবে আখলাকের কথা কিছু বর্ণনায় এসেছে, তখন বুঝতে হবে এর বিশেষ গুরুত্ব আছে। 

এজন্য নিজেকে একজন উত্তম পাত্রপাত্রী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং নিজের জন্য ভাল পাত্রপাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাহ্যিক দ্বীনদারিতার পাশাপাশি আখলাক বা চরিত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া জরুরী। কারণ কেবল বাহ্যিক দ্বীনদারিতা সাংসারিক জীবনে সুখ আনতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। আখলাকের দ্বীনদারিতাই এই জীবনে শান্তি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।

- ইফতেখার সিফাত