স্ত্রীকে ঈদের শপিং করে দেয়া স্বামীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বাস্তবে, কোন শপিং করে দেয়াই বাধ্যতামূলক নয়।
স্ত্রীকে ঈদে তেমন কিছু দিতে না পারার জন্য যদি মনের ভেতর কোন অপরাধবোধ থেকে থাকে, ঝেড়ে ফেলুন। এসব কোন ব্যাপার না। বরঞ্চ তার বান্ধবীদের কয়েকজনকে ঈদ গিফট পাঠান, দেখবেন বান্ধবীদের সাথে ধীরে ধীরে তার সম্পর্ক খারাপের দিকে তো যাবে, বান্ধবীদের স্বামীদের কেউ কেউ আপনার ব্যাপারে তাদের সন্দেহ করতে শুরু করবে। সেই সাথে বান্ধবীদের মধ্যেও ধীরে ধীরে একটা অনৈক্য সৃষ্টি হবে। এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে আপনি পুরা ব্যাপারটায় একমাত্র কিছুই না বোঝা নেহায়েত ভদ্রলোক সেজে বসে থাকবেন। সব প্যাচ বুঝবেন কিন্তু ভান করবেন কিছুই বোঝেন না।
ঈদে ইয়ার দোস্তদের নিয়ে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করুন। স্ত্রীকে বোঝান, আপনি তাকে প্রচুর মি টাইম দিতে চান। যে বান্ধবীকে স্ত্রী বেশি সন্দেহ করে তাদের বাসায় পারিবারিক দাওয়াত নেয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন কি গ্যাঞ্জামটাই না লাগে।
প্রচুর গ্যাঞ্জাম লাগায়ে নিজে বাসায় বসে ইউটিউবে ডাইনোসর কিভাবে ধ্বংস হল তা নিয়ে ভিডিও দেখতে থাকুন। কোনভাবেই টিভির রিমোট হাতছাড়া করবেন না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে রাগ কন্ট্রোল না করতে পেরে বউ আপনার মাথা ফাটিয়ে দিতে চেষ্টা করতে পারে।
এধরনের পরিস্থিতিতে বউকে পাগল আখ্যা দিয়ে তার বাপের বাড়িতে চলে যান, সেখান থেকে অন্যত্র পরে শিফট করা যাবে।
এত কিছু কেন করবেন??
শপিং না করে দেয়ার জন্য করবেন।
ঐ টাকা দিয়ে কি করবেন তা পরের কথা। ইন্টেনশনালি একটা মানুষকে অশান্তি দিতে পারার আনন্দ কিন্তু কম না। আগে সেটা উপভোগ করেন।
সজল ভাই
No comments:
Post a Comment