Thursday, April 22, 2021

বিয়ে ভাবনা সিরিজ ০১

 বিয়ে ভাবনা সিরিজ ০১


 
আধুনিক বাবা মা এর কাছে চাকরি পাবার আগে সন্তানের বিয়ের বয়স হয়না !
বিয়ের বয়সটা ছাত্র জীবনে রাখলে কী সমস্যা হবে?
দায়িত্ববোধ যার কখনই ছিলনা, তার কখনই হবেনা। ছেলের ও মেয়ের বাবা মা আরো কিছুদিন (বিয়ের পরেও) ভরণপোষনের দায়িত্ব নিলে কি সমস্যা? তাদের কি সন্তানের চরিত্রের চাইতে লোকে কি বলবে --সেটাই বড় বিষয়?
শুধু বাবা মা না কলেজ,ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেপেলেদের চিন্তাও একই এখন কিসের বিয়ে!
এত দায়িত্ব নেয়ার যোগ্যতাই তো হয় নি!
নিজেকেই খাওয়াতে পারিনা ,বউকে কি খাওয়াবো, ক্যারিয়ার ও নষ্ট হবে।
একটা মেয়েকে বিয়ে করে দায়িত্ব নিতে না চাইলেও প্রেমিকার সকল দায়িত্ব নিতে এরা প্রস্তুত ।
কেননা এই প্রেমিকারা হচ্ছে তাদের পার্টটাইম , এবং আধুনিক প্রেম মানে বিয়ে না করেও সকল সুবিধা ভোগ করা আবার দায়িত্ব ও নিতে হয়না.! কয়দিন পর পরিবর্তন ও করা যায় , সস্তা মজাও পাওয়া যায়।
আর বিয়ে করে ফেললে তো সেই রাস্তা বন্ধ ।
তাই বাবা- মা , সমাজ উপযুক্ত সন্তানদের বিয়ে না দিয়ে হারামের রাস্তা খোলা রাখার যে সিস্টেম চালু করেছে , সন্তানেরা তা লুফে নিয়েছে ।
কেননা আপনি যখন হালাল রাস্তা বন্ধ করে দিবেন তখন আপনা আপনিই হারামের রাস্তা খুলে যাবে ।
যেই সমাজে বিয়ে কঠিন হয় সেই সমাজে জিনাহ সহজ হয়ে যায় !
সমাধান কি ?
বিয়েকে সহজ করে দিতে হবে , বিয়ের উপযুক্ত সন্তানদের বিয়ে দিয়ে দিতে হবে।না হলে সন্তানদের গুনাহের বোঝার ভার পিতা-মাতারই বইতে হবে।
আজকাল তো দেখা যায় , উপযুক্ত সময়ে বিয়ে দেয়নি এখন মেয়ের জন্য পাত্রই পাচ্ছেনা। তাই সময়ের কাজ সময়েই করুন সময় গেলে আর কাজে আসবেনা ।
পরিশেষে বলব, মহান আল্লাহ্ ﷻআমাদের অভিবাবকদের দায়িত্বশীল হওয়ার তৌফিক দিন এবং একই সাথে যুবক যুবতীদের অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ হতে হেফাজত করুন- আমিন!

একাধিক স্ত্রী

 

⚫ দার্শনিক ইবনে সিনা বলেন
এক স্ত্রী বিশিষ্ট পুরুষদের দেহ মন অসুস্থ থাকে। উঠতি যুবক হওয়া সত্বেও তাদেরকে বার্ধক্য পেয়ে বসে। হরহামেশা গিরায় গিরায় ব্যাথা, হাটু ও মেরুদণ্ডের সমস্যার অভিযোগ করে। মনের প্রফুল্লতা বিদায় নেয়। সর্বদা বন্ধুদের কাছে হা- হুতাশ, অসহায় মনোভাব ও নেতিয়ে পড়ার অভিযোগ করে ফিরে।
⚫ কাজি ইবনে মাসউদ বলেন
এক স্ত্রীর স্বামি মানুষের মাঝে বিচার ফায়সালা দেওয়ার মত উচ্চ ও সুক্ষ্ম মানসিকতার হয় না।
⚫ ইবনে হাইয়্যান আত্বাওহিদী বলেন
আমি একদল এমন সুপুরুষদের কথা জানি যারা এক স্ত্রীতে বিশ্বাসীদের সাথে বৈঠকে বসতেন না।
তারা এমন লোকদেরকে আধাপুরুষ ও নগণ্য মনে করতেন।
⚫ ইতিহাসবেত্তা ইবনে খালদুন বলেন
ফেতনা ফাসাদে জর্জরিত জাতিদের সমস্যাগুলো যখন আমি পর্যবেক্ষক করলাম -দেখলাম তাদের অনুন্নত চিন্তা ও দুর্বল মনোবৃত্তির পিছনে তাদের এক স্ত্রীতে অভ্যস্ত হওয়ার সমস্যা ই প্রধান।
⚫ আবেদ ইবনে মাইসার বলেন
যার মাত্র এক স্ত্রী তার ইবাদত যথাযথ ভাবে আদায় হয়না।
⚫ খলিফা হারুনুর রশিদের ছেলে খলিফা মামুনকে বলা হলো ---
বসরায় কতেক গোত্র রয়েছে যেখানকার পুরুষরা এক স্ত্রীতে বিশ্বাসী ।
মামুন বললেন-
তারা পৌরুষে কামেল নয়। প্রকৃত পুরুষদের একাধিক স্ত্রী থাকে। তারা স্বভাবজাত পৌরষের বিরুদ্ধে এমনকি তারা নবীর সুন্নাহ বিরোধীও।
⚫ ইউনুছ বিন মুজানীকে বলা হলো
ইহুদী খৃষ্টানরা কেন একাধিক স্ত্রী কে অস্বীকার করে ?
তিনি বললেন ---- তারা হলো এমন জাতি --
যাদের উপর লাঞ্চনা ও দারিদ্র্যতা চাপিয়ে দেওয়া হলো আর তারা আল্লাহর ক্রোধে পতিত হলো। (সুরা বাকারা 61)
⚫ আবু মারুফ কারখীকে বলা হলো ---
দুনিয়া ত্যাগীদের ব্যাপারে আপনার মতামত কি যারা এক স্ত্রীকেই যথেষ্ট মনে করে ?
তিনি বললেন --- আর কি ! এরা পাগলের দল !
দুনিয়া বিমূখতায় তারা নিজেরা এমন স্তরে পৌছে গেছে মনে করে যেখানে একাধিক স্ত্রীর অধিকারী আবুবকর, ওমর, ওসমান, আলী রাঃ মত মনিষীরাও পৌছাতে পারেনি !
⚫ ইবনে ফাইয়্যাদ কে এক স্ত্রীতে বিশ্বাসী পুরুষদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন---
তারা পানাহার করে, শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করে ঠিক কিন্তু তারা মৃত।
⚫ ইবনে ইসহাক যখন নিশাপুরের গভর্নর হলেন তখন তিনি এক স্ত্রীর স্বামীদের রাষ্ট্রীয় অনুদান বন্ধের নির্দেশ দিলেন। তারা অভিযোগ করে বলল-- আপনি এমনটা কেন করলেন ?
তিনি বললেন -- এসব আল্লাহর মাল, অকর্মণ্য বেকুবদেরকে এসব দেওয়া হয়না।
⚫ ইবনে আতাউল্লাহ এক স্ত্রীর পুরুষদের ব্যাপারে বললেন---
যারা বড়দের ( নবিজী সাঃ ও সাহাবাগণ) সুন্নাহের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারেনা আমরা তাদেরকে নগণ্য ও পুচকে মনে করি।
⚫ আল্লামা ত্বকিউদ্দীন মুজানী যখন সমরকন্দের "ফকীহ " পদে অধিষ্ঠিত হলেন তখন লোকেরা তাঁকে এক স্ত্রী বিশিষ্ট পুরুষদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করল।
তিনি বললেন, তারাও কি মুসলমান! (তিনি তাদের ঈমানের পূর্ণতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন)
তখন তিনি তাদেরকে নসীহাহ করে পরামর্শ দিলেন ।
দেখা গেল একমাসও পার হয়নি এরই মাঝে প্রায় তিন হাজার পুরুষ তাদের মাসনা সেরে ফেলল !
পরিস্থিতি একপর্যায় এমন দাঁড়ালো যে -- অত্রাঞ্চলে কোন কুমারী, অকুমারী, বিধবা আর অবশিষ্ট রইলনা।
⚫ ইমাম হোসরী বলেন
আল্লাহ যখন বিবাহনীতির কথা আলোচনা করেছেন তখন মাসনা দিয়ে শুরু করেছেন- ওয়াহিদা দিয়ে শুরু করেননি বরং ওয়াহিদার স্বামীদেরকে " খিফতুম " শব্দ দ্বারা ভীতুদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তাদের অসম্পূর্ণতার জানান দিয়েছেন ৷
কার্টেসিঃ মাসনা সুলাসা রুবাআ