Sunday, July 25, 2021

দ্বিনদার মেয়ে চিনবো কি ভাবে?

 

দ্বিনদার মেয়ে চিনবো কি ভাবে?
>>আমার খুব যানতে ইচ্ছা করছিলো দ্বিনদার মেয়ের ভিতর কি কি গুন থাকে?
<<বর্তমানে সোসাল মিডিয়ায় ৯৫%মেয়েরা তো নিজেকে দ্বিনদার বলে দাবি করে আসলেই কি এরা সবাই দ্বিনদার?
একদিন আমার উস্তাদের কাছে প্রশ্ন করলাম হুজুর আপনি যে বিবাহ করলেন কি কি গুন দেখে বিবাহ করলেন যদি আমাদের কেও বলতেন আমরাও বিয়ে শাদীর সময় ঐ সব বিষয় গুলো অনুসরন করতাম|
এরপর হুজুর আমাকে বল্ল আমি প্রথম সর্তে বলছিলাম
•আমার ঘর বাড়ি নাই|
•মাটি দিয়ে ঘর বানবো সেখানে আমার সাথে এক সাথে থাকতে হবে|
•একটা কাপর এক বৎসর পরিধান করতে হবে||
•শরীরে ব্যবহার করার জন্য কোন সাবান দেয়া হবে নাহ|
•জামা কাপর ধোয়ার সাবান ব্যবহার করতে হবে|
•স্বর্ন জীবনেও চোখে দেখতে পাবে না|
কিন্ত এখন তার যে পরিমান স্বর্ন আছে এত পরিমান স্বর্ন অনেক ধনীর ঘরেও নাই|
•আর হুজুর মোহরনা দরছিলেন মাত্র ৩০০০\=হাজার টাকা আমি ভাবতেও অবাক হই এই যুগে এমন সর্তে কোন বাবা,মা মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয়?মেয়ে বা কি ভাবে রাজি হয়?
নিশ্চই পূর্ব যুগের সমস্ত দ্বীনদার মহীয়সি নারীরা অনেক কষ্টে এই সামান্য ও নগন্য জগত অতিবাহিতো করছেন| যেমন ইব্রাহীম (আ:) প্রথম স্ত্রী সারা (আ:) যদিও রাঁজ কন্যা ছিলো বাট বিয়ের পরে ইব্রাহীম (আ:)সঙ্গে থাকা অবস্থায় মৃত্যেুর আগ পর্যন্ত অনেক কষ্টে অতীবাহিতো হয়েছে তার জীবন আল্লাহ তায়ালা এই কষ্টের বিনিময় দুনিয়ায় উত্তম প্রতিদান হিসাবে তাকে একজন নবী দান করছিলেন হযরত ইসহাক (আ:) ইব্রাহিম (আ:) ২য় স্ত্রী হাজেরা (আ:) ছোট বেলা থেকেই অনেক কষ্টে বড় হয়েছেন তিনি সারা (আ:)থেকে বেশি কষ্ট করেছিলেন যার প্রতিফল স্বরুপ ইসমাইল (আ:)কে দান করছিলেন
তাছারা খাদিজা (রা:) ফাতেমা (রা:) ফেরউনের স্ত্রী আসিয়া,রাবেয়া বৎসি সকলে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন|
এখন নিজেকে নিজে প্রশ্ন করেন আপনের ভিতর যে গুন আছে এগুলো দ্বিনদার নারীর গুনের সাথে মিল আছে কি না?
একজন দ্বিনদার নারীর বড় গুন হলো অল্পতেই সন্তষ্ট থাকা এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা বিপদ আপদে ধৈর্য ধারন করা|
::;;আমি দেখলাম হুজুরের অনেক সমস্যা থাকা সত্যেও তাদের সাথে কখনো ঝগড়া,রাগারাগি হয় না এত ধৈর্য কি ভাবে একজন মানুষের ভিতর থাকে?
"আমি তাদের এমন সংসার দেখে মাঝে মাঝে আফসোস করি আল্লাহ যদি আমাকেও এমন একজন জীবন সঙ্গী দান করিক এটা আল্লাহ কাছে আরজি জানাই।
<আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনদার মহীয়সি লাইফ পার্টনার দান করুন>>
<<পোস্ট কপিকৃত,,অন্যের বাস্তবতা থেকে লেখা>>

আপনার সন্তান উসামা ইবনে যায়িদের (রাদিআল্লাহু আনহু) মতো হচ্ছে না। কারণ, আপনি তাকে তাঁর মতো গড়ে তুলতে পারছেন না।

 

আপনি আপনার ১৭ বছর বয়সী ছেলেকে বলতে পারবেন- এই মাসের পরিবারের খরচ তুমি চালাও? আপনি কি আপনার ১৭ বছর বয়সী ছেলেকে বলতে পারবেন- তুমি ঢাকা থেকে দোকানের মালামাল নিয়ে এসো? আপনি কি আপনার ১৭ বছর বয়সী ছেলেকে বলতে পারবেন- অন্ধকার মধ্য রাতে পাশের গ্রামে একটি প্রয়োজনে যেতে?
কেনো পারবেন না?
কারণ, আপনি আপনার ছেলেকে ননীর পুতুল করে গড়ে তুলেছেন। তাকে শুধু আদর করেছেন, দায়িত্ব দেননি কখনো। তাকে দায়িত্ব গ্রহণে উপযোগী করে গড়ে তুলেননি।
অথচ রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সময় মাত্র ১৭ বছরের উসামা ইবনে যায়িদকে (রাদিআল্লাহু আনহু) তিনি মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি বানান। উসামা ইবনে যায়িদের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) অধীনে ছিলেন আবু বকর, উমরের (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) মতো সাহাবী; যারা বয়সে তাঁর বাবার বড়ো।
আপনার সন্তান উসামা ইবনে যায়িদের (রাদিআল্লাহু আনহু) মতো হচ্ছে না। কারণ, আপনি তাকে তাঁর মতো গড়ে তুলতে পারছেন না।
[শায়খ তাওফিক চৌধুরীর লেকচার অবলম্বনে]
© আরিফুল ইসলাম