Tuesday, December 20, 2011

হাসি ধরে রাখুন……..কারণ হাসির মূল্য অনেক…….. [ Laugh & Live ]


হাসি ধরে রাখুন……..কারণ হাসির মূল্য অনেক……..

 একটা (চমৎকার) হাসি হচ্ছে ঠিক সেটাই যেটা তোমার জানালা দিয়ে চলে আসা এক টুকরো আলোর মতো
 যেটা সবাইকে বলছে যে একজন ভালোবাসার মানুষ এখানে আছে......

 - ক্ষনস্থায়ী জীবনে একটা সুন্দর হাসি সময় নেয় মাত্র এক সেকেন্ড........

 - চোখের জলের পিছনে হাসি লুকিয়ে থাকে.............

 - হাসি হলো সব কিছু সহজ ও সরল ভাবে দেখা .............

 - সেই উত্তম প্রতিবেশী যে আপনার সাথে হাসিমুখে কথা বলে, কিন্তু তা অতিক্রম করে না..............

 - আপনি যদি হাসি ছাড়া একজন বন্ধুকে দেখেন তাকে একটা হাসি উপহার দিন...............



 - হাসি শুরু হয় ঠোঁটের উপর হতে তা ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়ে চোখে ,মৃদুহাস্য শুরু হয় শরীরের অভ্যন্তর হতে কিন্তু একটি উত্তম হাসি আসে আত্মা হতে, যা চারপাশে উপচে পড়ে...........

 - আপনার হাসির কারণে আপনার জীবন আরো সুন্দর.............

 - আমরা প্রায়ই বুঝতে পারি না যে হাসির কি ক্ষমতা । একটি সুন্দর হাসি আপনার পুরো জীবন বদলে দিতে পারে........

 - হাসি হলো প্রেমের ভাষা..............

 - সত্যিকারের মানুষ দু;খে হাসে, মর্মপীড়া থেকে শক্তি সঞ্চয় করে............

 - বিনা খরচে চেহারা পরির্বতন করার একমাত্র উপায় হলো একটি সুন্দর হাসি..........

 - সব মানুষ একই ভাষায় হাসে...........

 - শিশুরা গড়ে ৪০০ বার হাসে যা কিনা বয়স্কদের ১৫ গুন । আশ্চর্য তাই নয় কি ?.........

 - উষ্ণ হাস্য হলো উদারতা সার্বজনীন ভাষা.............

 - ঈশ্বর মানব জাতিকে একটা সুন্দর উপহার দিয়েছেন তা হলো হাসি । প্রায়ই চিন্তা করি প্রাণীদেরকে কি এই স্মিত সুন্দর উপহার আছে?..............

 - হাসুন, না এতে আপনার খরচ হবে না কিন্তু আপনিই পারেন কাউকে হাসিয়ে একটা সুন্দর দিন উপহার দিতে..............

 - সুতরাং হাসুন দয়া করে,,,,,,,হুম ...... খুব ভাল লাগছে দেখতে । দেখুন হাসিতে কেমন মানাচ্ছে আপনাকে .........
 নিজে হাসুন অন্যকেও হাসান........হাসতেই থাকুন হাসতেই থাকুন
 (সংগ্রহ)





এলো কেমন করে : বলপয়েন্ট কলম [ how we got ballpen ]


আমরা বলপেন বলে যে কলমকে চিনি, ওটার প্রকৃত নাম বলপয়েন্ট পেন (Ballpoint pen)আজকাল যে মানের বলপেন ব্যবহার করছি সে পর্যন্ত আসার জন্য বলপেনকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এই কলমের যাত্রা শুরু ১৮৮৮ সালে। সে সময় জন লাউড নামে আমেরিকার এক চামড়া ব্যবসায়ী প্রথম এক ধরনের বলপয়েন্ট কলম উদ্ভাবন করে প্যাটেম্লট নেন। সেই কলমের একটি ছোট খোপে তরল কালি রাখা হতো। সেখান থেকে কালি কলমের মাথায় নেমে আসত। মাথায় লাগানো ছিল রোলার বল টিপ। ওটা কালি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করত। দুঃখের ব্যাপার হলো, আবিষ্কারের প্যাটেম্লট নিলেও জন লাউড কখনো তার কলমের উত্পাদনে যাননি।

 জন লাউডের পরবর্তী ত্রিশ বছরে আরো ৩৫০টি বলপয়েন্ট কলমের প্যাটেম্লট গ্রহণ করেন নানা দেশের আবিষ্কারকরা। কিন্তু তাদের কলমগুলো খুব একটা কার্যকর ছিল না। প্রতিটি কলমের জন্যই প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিত কালি। কারণ কালি বেশি তরল হলে বলের ফাঁক দিয়ে তা চুঁইয়ে বেরিয়ে আসত। আবার কালি ঘন হলে লেখার সময় প্রয়োজনীয় পরিমাণে কালি নেমে আসত না। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণেও কালির ঘনত্ব বেড়ে বা কমে যেত। তাই সে সব কলম কখনো ব্যাপকভাবে উত্পাদিত হয়নি।

 হাঙ্গেরিতে লেডিসলাস বিরো ও জর্জ নামে দুই ভাই বাস করতেন। ১৯৩৫ সালে তারা সত্যিকার অর্থে একটি উন্নতমানের বলপয়েন্ট কলম আবিষ্কার করেন। এর কিছুদিন পর এ দুভাই এক সমুদ্র সৈকতে অবসর কাটানোর জন্য যান। সঙ্গে নিয়ে যান তাদের আবিষ্কৃত কলম। সেখানে দুভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট অগাস্টিন জাস্টোর সঙ্গে। বলপয়েন্ট কলম দেখে জাস্টো চমত্কৃত হন। তিনি দুভাইকে আমন্ত্রণ জানান আর্জেন্টিনায় এই কলম উত্পাদনের কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য। ১৯৪৩ সালে তারা আর্জেন্টিনায় বিশ্বের প্রথম বলপয়েন্ট কলমের কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। তবে তাদের আবিষ্কৃত কলমে কিছু কিছু ত্রুটি দেখা দেয়। যে কারণে বিরো ভাইদের বলপয়েন্ট কলম খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি।




 বলপয়েন্ট কলমের সত্যিকার সফলতা আসে আমেরিকায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেসব পাইলট আর্জেন্টিনায় কাজ করেছেন বিরো ভাইদের কলম তাদের আকৃষ্ট করে। তারা অনুভব করেন এই কলম দিয়ে ফাউনটেন পেনের চেয়ে ভালো লেখা যায়। বিমান অত্যধিক উচ্চতায় উঠলে ফাউনটেন পেনের কালি বাতাসের চাপে বাইরে বেরিয়ে আসে। কিন্তু বলপয়েন্ট কলমে তা হয় না। পাইলটদের জন্য বলপয়েন্ট কলম সবচেয়ে উপযোগী। তবে এর কিছু সমস্যা রয়েছে যা সংশোধন করা প্রয়োজন।

 এ সময় আমেরিকার এবারহার্ড ফ্যাবার কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান পাঁচ লাখ ডলার দিয়ে বিরো ভাইদের কাছ থেকে বলপয়েন্ট কলম উত্পাদনের স্বত্ব কিনে নেয়। এরপর এভারসার্প কোম্পানি এই স্বত্ব কিনে নেয় ফ্যাবার কোম্পানির কাছ থেকে। কিন্তু তখনো পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে চমত্কার একটি বলপয়েন্ট কলম উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি।
 সিকাগোর অধিবাসী নাবিক মিল্টন রেনল্ডস আর্জেন্টিনা থেকে কয়েক ধরনের বিরো বলপয়েন্ট কলম আমেরিকায় নিয়ে আসেন। তিনি এই কলম উত্পাদন ও উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেন। এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির চেষ্টায় সবদিক দিয়ে ত্রুটিমুক্ত একটি কলম প্রথম বাজারে আসে ১৯৪৫ সালে। সে বছর অক্টোবর মাসের এক সকালে নিউ ইয়র্কের জিম্বেলস ডিপার্টমেন্ট স্টোরে একটি কলম প্রথম সাড়ে বারো ডলারে বিক্রি হয়। প্রথম দিনই ১০ হাজার বলপয়েন্ট কলম বিক্রি হয়।

 সংগৃহীত