তাদের জন্য গভীর ইলমের চেয়ে আমলের উদ্দীপনা এবং বাসাবাড়ির কাজে সক্রিয় থাকা জরুরি। বেইসিক তো শিখতেই হবে, তারপর শিখতে হবে সংসার। স্বামীর পরিবারকে মুঠোয় পুরা নয়, আপন করা জানতে হবে। এসবের শিক্ষা আসে মায়ের কাছ থেকে, আসে ঘনিষ্ঠ নারী আত্মীয়াদের সাথে মিলেমিশে। তাই, তাদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারে সময় দেয়ার সুযোগ থাকতে হবে। দরকারে সিলেবাস ঢেলে সাজাতে হবে।
আপনি শরীরের যত্ন না নিলে পরবর্তীতে নরমালে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। দৈহিক যে ফিটনেস আপনার থাকতেই হবে, তার ব্যাপারে যত্নশীল হোন। সত্য করে বললে, একজন পুরুষ নারীর ঠোঁটের লিপস্টিকের চেয়ে তার দৈহিক কাঠামোয় বেশি আকর্ষিত হয়। তাই স্বামী সামলাতে ঝগড়া না করে ফিট ও পরিপাটি থাকুন। শুকিয়ে কাঠও হবেন না, মুটিয়ে মাঠও হবেন না। সাজগোজের পাশাপাশি কাজবাজ করুন। সুস্থ থাকুন।
বিয়ের পর পুরুষের কাজ অনেক সময় সহজ হয়। সে দোকানে বসে থাকে, মাদরাসায় জমে থাকে বা এসির বাতাসে বসে কারবার সামলায়। কিন্তু ঘরের মহিলাকে ঠিকই কষ্টের কাজগুলো করতে হয়। বাচ্চা সামলানো, কিচেন ও ঘরদোর গোছানো নিশ্চয়ই অলস কোনো কাজ নয়। তাই নিশ্চিত করুন আপনার বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় পরবর্তী জীবনের যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠার ব্যাপার আছে কি না। নতুবা সব দিক থেকে পস্তাবেন। না পারবেন ঠিকভাবে পর্দা করতে, না নিরাপদে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন, না স্বামীর চোখে সোহাগী হতে পারবেন।
আল্লাহ জানে কথাগুলো কতজন বুঝবে...
-সাদিক ফারহান