আপনি নিম্নোক্ত তিনটি কাজের কোন একটি করুন।
১ - মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসুন।
২ - স্ত্রী সহ নিজেই মায়ের কাছে চলে যান এবং যে কোন মূল্যে স্ত্রীর জন্য খাস পর্দার পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
৩ - মায়ের জন্য বাড়ীতে ফুলটাইম বা পার্টটাইম খাদেমা/গৃহকর্মী রাখার ব্যাবস্থা করুন।
বাড়ীতে পর্দার পরিবেশ নিশ্চিত না করে স্ত্রীকে সেখানে রেখে আসা জায়েজ হবেনা। এক্ষেত্রে মায়ের অসন্তুষ্টির চেয়ে আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনুরূপভাবে আপনি স্ত্রীকে দূরে রাখলে নিজে যদি গুনাহে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তাহলেও স্ত্রীকে দূরে রাখা জায়েজ হবেনা। তাই ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিন। মাকে ভালো রাখার ব্যাবস্থা করার পশাপাশি নিজের সংসার, সুখ, নিরাপত্তা ও দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়েও সতর্ক থাকুন।
মনে রাখবেন, সাংসারিক বিষয়াবলীতে মা কিংবা স্ত্রী কারো অনুরোধই কখনো অন্ধভাবে মানা যাবেনা। বরং ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে যেটা শরীয়ত, সামাজিকতা, সাধারণ যুক্তিবোধ ও ভবিষ্যত ফলাফলের বিবেচনায় সকলের জন্য অধিক উপযুক্ত ও উপকারী মনে হবে সেটাই করবেন এবং বাকিদের সামনে আপনার পদক্ষেপের যৌক্তিকতা তুলে ধরবেন। তবে ক্ষতি ও অসহনীয় কষ্ট না হলে তখন নিজের চিন্তা ও উপলব্ধির উপরে মায়ের আবদারকে প্রাধান্য দিতে চেষ্টা করবেন। কখনো কখনো স্ত্রীর ক্ষেত্রেও এমনটা করবেন। আল্লাহ আপনাদেরকে সুখী করুন।
।।।
গ্রুপে সার্চ করে পাই নি। এপ্রুভ প্লিজ
স্পর্শকাতর প্রশ্ন:
চাকুরির সুবাধে বাড়ি থেকে দূরে থাকি। বাড়িতে মা অসুস্থ, চলা ফেরায় কষ্ট হয়। স্ত্রীকে নিয়ে আমি চাকুরি স্থলের কাছাকাছি থাকি। কিন্তু, মা সেটা পছন্দ করছেন না; সে চায় স্ত্রীকে তার কাছে রেখে যাই। স্ত্রী আমার সাথে থাকতে চায়, তাছাড়া বাড়িতে পর্দা রক্ষা করাটাও বেশ কঠিন আমার স্ত্রীর জন্য। স্ত্রী আমার সাথে থাকলে আমার জন্যও সুবিধা।
কিন্তু, স্ত্রীকে মায়ের কাছে রাখছি না বলে তিনি আমার প্রতি ক্রোধান্বিত। আমি তাকে কষ্ট দিচ্ছি বলেও নানানভাবে বদ দোয়া দিতে থাকেন। আমি প্রতি মাসে প্রায় সময়ই বাড়িতে যাই।
কিন্তু, তার কথা হল স্ত্রীকে যেন তার কাছে রেখে যাই, রান্না বান্না যেন করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত?
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি আফফান বিন শরফুদ্দিন (হাফি.)