Saturday, May 3, 2025

Companies Act 1994 Section 381 to 404

 

বিদেশী কোম্পানীর নাম, ইত্যাদি উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা

৩৮১৷ প্রত্যেক বিদেশী কোম্পানী-

 
 

(ক) বাংলাদেশে উহার শেয়ার বা ডিবেঞ্চারে চাঁদাদানের আহ্বান সম্বলিত প্রত্যেক প্রসপেক্টাসে কোম্পানী যে দেশে নিগমিত হইয়াছে সেই দেশের উল্লেখ করিতে হইবে; এবং

 
 

(খ) বাংলাদেশের যে স্থানে উহার কার্যালয় আছে বা যে অবস্থানে উহার কার্যাবলী পরিচালনাা করা হয় সেই প্রত্যেকটি কার্যালয়ের বা অবস্থানের সম্মুখস্থ প্রকাশ্য সহজপাঠ্য বাংলা বা ইংরেজী হরফে উক্ত কোম্পানীর নাম এবং যে দেশে উহা নিগমিত হইয়াছে সেই দেশের নাম সহজে দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শিত রাখিবে;

 
 

(গ) কোম্পানীর নাম এবং যে দেশে উহা নিগমিত হইয়াছে উহার নাম কোম্পানীর সকল বিলের শিরোনামে, চিঠিপত্রে, সকল নোটিশে ও অন্যান্য দাপ্তরিক প্রকাশনায় সহজ পাঠ্য বাংলা অথবা ইংরেজী হরফে উল্লেখ করিবে; এবং

(ঘ) উক্ত কোম্পানীর সদস্যদের দায়-দায়িত্ব সীমিত হইলে তৎসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ।

 
 

(১) প্রত্যেক প্রসপেক্টাসে, সকল বিলের শিরোনামের, চিঠিপত্রে, নোটিশে বিজ্ঞাপনে এবং কোম্পানীর অন্যান্য সকল প্রকাশনায় সহজ পাঠ্য বাংলা অথবা ইংরেজী হরফে উল্লেখ করিবে ।

 
 

(২) বাংলাদেশে যে যে কার্যালয়ে বা অবস্থানের উহার কার্যাবলী পরিচালিত হয় সেই প্রত্যেকটি কার্যালয় বা অবস্থানের সম্মুখস্থ প্রকাশ্য স্থানে সহজ পাঠ্য বাংলা বা ইংরেজী হরফে সহজে দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শিত রাখিবে৷

বিদেশী কোম্পানীর উপর নোটিশ ইত্যাদি জারী

৩৮২৷ কোন বিদেশী কোম্পানীর উপর কোন পরোয়ানা, নোটিশ বা অন্য কোন দলিল জারী করিতে হইলে ৩৭৯(১)(ঘ) ধারায় উল্লেখিত ব্যক্তির ঠিকানায় দিলে অথবা তাহার যে ঠিকানা উক্ত ধারা মোতাবেক রেজিষ্ট্রারকে প্রদান করা হইয়াছে সেই ঠিকানায় রাখিয়া আসিলে কিংবা ডাকযোগে তথায় পাঠাইলে উহা যথাযথভাবে জারী করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

 
 

তবে শর্ত থাকে, যদি-

 
 

(ক) এইরূপ কোন কোম্পানী উক্ত ধারার বিধান অনুসারে কোন ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে ব্যর্থ হয়, অথবা

 
 

(খ) রেজিষ্ট্রারের নিকট যে সকল ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা দাখিল করা হইয়াছে তাহারা সকলে মৃত্যুবরণ করেন বা উক্ত ঠিকানায় তাহারা বসবাস না করেন কিংবা কোম্পানীর প্রতি জারীকৃত বা প্রেরিত কোন নোটিশ বা অন্যবিধ দলিল কোম্পানীর পক্ষে তাহারা সকলেই গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন অথবা অন্য কোন কারণে ঐগুলি জারী বা প্রেরণ করা না হয়,

 
 

তাহা হইলে উক্ত নোটিশ বা দলিল বাংলাদেশে কোম্পানীর প্রতিষ্ঠিত যে কোন কর্মস্থলে বা ব্যবসাস্থলে রাখিয়া আসিয়া কিংবা ডাকযোগে তথায় প্রেরণ করিয়া কোম্পানীর উপর ঐগুলি জারী করা যাইবে ।

কোন কোম্পানীর ব্যবসাস্থল বন্ধের নোটিশ

৩৮৩৷ যদি বাংলাদেশে কোন বিদেশী কোম্পানীর আর কোন ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল না থাকে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী তত্সম্পর্কে রেজিষ্ট্রারকে অবিলম্বে নোটিশ প্রদান করিবে এবং যে তারিখে এইরূপ নোটিশ প্রদান করা হয় সেই তারিখ হইতে, রেজিষ্ট্রারের নিকট যে সমস্ত দলিল দাখিল করার জন্য উক্ত কোম্পানীর বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে, উহার সেই বাধ্যবাধকতা আর থাকিবে না ।

দণ্ড

৩৮৪৷ যদি কোন কোম্পানী এই খণ্ডের কোন বিধান পালন করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং উক্ত ব্যর্থতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রথমদিনের পর যতদিন উহা অব্যাহত থাকিবে ততদিনের প্রত্যেক দিনের জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা অথবা প্রতিনিধি, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও, একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

এই খণ্ডের বিধান পালনে ব্যর্থতা সত্ত্বেও কোম্পানীর চুক্তিঘটিত দায়-অক্ষুন্ন

৩৮৫৷ কোন বিদেশী কোম্পানী কর্তৃক এই খণ্ডের কোন বিধান পালনে ব্যর্থতার কারণে কোম্পানীর কোন চুক্তি, কারবার অথবা লেনদেনের বৈধতা অথবা তজ্জন্য কোম্পানীর বিরুদ্ধে যে মামলা হইতে পারে উহার দায়-দায়িত্ব ক্ষুন্ন হইবে না; কিন্তু কোম্পানী যতক্ষণ এই খণ্ডের বিধানাবলী পালন না করিবে ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত কোম্পানী কোন মামলা দায়ের, কোন পাল্টা দাবী (counter claim) উত্থাপন, এবং তজ্জনিত প্রতিকার দাবী অথবা, অনুরূপ কোন চুক্তি, কারবার বা লেনদেনের ব্যাপারে কোন আইনানুগ কার্যধারা রুজু করার অধিকারী হইবে না ।

এই খণ্ডের অধীন দলিলপত্র নিবন্ধনের ফিস
৩৮৬৷ এই খণ্ডের বিধান অনুযায়ী দাখিল করা আবশ্যক হয় এইরূপ যে কোন দলিল নিবন্ধন করার জন্য কোম্পানী রেজিষ্ট্রারকে তফসিল-২ তে বিনির্দিষ্ট ফিস প্রদান করিবে৷
ব্যাখ্যা

৩৮৭৷ এই খণ্ডে বিধৃত পূর্ববর্তী বিধানসমূহের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-

 
 

(ক) “পরিচালক” অর্থ পরিচালকের পদে অধিষ্ঠিত যে কোন ব্যক্তি, তিনি যে নামেই অভিহিত হউন;

 
 

(খ) “প্রসপেক্টাস” শব্দটি এই আইনের অধীনে নিগমিত কোম্পানীর ক্ষেত্রে যে অর্থ বহন করে সেই একই অর্থ বহন করিবে;

 
 

(গ) “ব্যবসাস্থল” বা “কর্মস্থল” বলিতে শেয়ার হস্তান্তর অথবা শেয়ার নিবন্ধন কার্যালয় অন্তর্ভুক্ত হইবে;

 
 

(ঘ) “সচিব” অর্থ সচিবের পদে অধিষ্ঠিত যে কোন ব্যক্তি, তিনি যে নামেই অভিহিত হউন, এবং

 
 

(ঙ) “প্রত্যায়িত” অর্থ একটি প্রকৃত (true) অনুলিপি কিংবা শুদ্ধ অনুবাদ বলিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যায়িত ।

শেয়ার বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাবের উপর বাধা-নিষেধ

৩৮৮৷ (১) কোন ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত কোন কিছু করিলে তাহা অবৈধ হইবে, যথা :-

 
 

(ক) ইতিপূর্বে গঠিত কোন বিদেশী কোম্পানী বাংলাদেশে ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল প্রতিষ্ঠা করিয়া থাকুক বা না থাকুক অথবা কোম্পানী গঠিত হওয়ার পর উক্ত ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল প্রতিষ্ঠিত হউক বা না হউক, উক্ত কোম্পানী বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত হইয়া থাকিলে বা নিগমিত হওয়ার প্রস্তাব থাকিলে, উহার শেয়ার অথবা ডিবেঞ্চার চাঁদাদানের জন্য জনসাধারনের নিকট প্রস্তাব করিয়া বাংলাদেশে কোন প্রসপেক্টাস ইস্যু, প্রচার বা বিতরণ করা, যদি না-

 
 

(অ) বাংলাদেশে প্রসপেক্টাস ইস্যু, প্রচার বা বিতরণের পূর্বে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিষদের সিদ্ধান্ত ও অনুমতিক্রমে উহার চেয়ারম্যান ও অপর দুইজন পরিচালক কর্তৃক উক্ত প্রসপেক্টাসের অনুলিপি প্রত্যায়িত করাইয়া উহা রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করা হয়;

 
 

(আ) প্রসপেক্টাসের প্রথমভাগে এই মর্মে বর্ণনা থাকে যে উপ-দফা (অ) তে বর্ণিত অনুলিপি যথারীতি দাখিল করা হইয়াছে;

 
 

(ই) প্রসপেক্টাসে উহার তারিখ দেওয়া থাকে; এবং

 
 

(ঈ) প্রসপেক্টাসটি সম্পর্কে এই খণ্ডের বিধানাবলী পালিত হইয়াছে; অথবা

 
 

(খ) অনুরূপ কোন কোম্পানীর অথবা প্রস্তাবিত কোম্পানীর শেয়ার বা ডিবেঞ্চারে চাঁদাদানের জন্য বাংলাদেশের কোন ব্যক্তিকে আবেদনপত্রের ফরম ইস্যুকরণ, যদি না ফরমটির সংগে এই খণ্ডের বিধানানুযায়ী প্রণীত একটি প্রসপেক্টাস থাকে :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, শেয়ার বা ডিবেঞ্চার সম্পর্কে একটি অবলিখন চুক্তি সম্পাদনের সহিত সংশ্লিষ্ট একটি প্রকৃত আমন্ত্রণপত্র হিসাবে আবেদনপত্রের ফরমটি কোন ব্যক্তির নিকট ইস্যু করা হইয়াছিল বলিয়া প্রমাণ করা হইলে এই দফার বিধান প্রযোজ্য হইবে না ।

 
 

(২) কোম্পানীর বিদ্যমান সদস্য বা ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণের নিকট উহার শেয়ার বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর জন্য কোম্পানীর প্রসপেক্টাস বা আবেদনপত্রের ইস্যুর ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না, এবং উক্ত সদস্য বা ডিবেঞ্চার হোল্ডার কর্তৃক কোম্পানীর শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য একজন আবেদনকারী হিসাবে তাহার অর্জিত অধিকার অন্যের অনুকূলে প্রত্যাহারের (renounce) ব্যাপারে তাহার ত্মগমতা থাকা বা না থাকার বিষয় উক্ত ইস্যুর ক্ষেত্রে বিবেচনার প্রয়োজন হইবে না এবং এই ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, কোম্পানীটি গঠনের সময় উক্ত প্রসপেক্টাস ইস্যু করা হউক বা গঠন সম্পর্কে ইস্যু করা হউক কিংবা গঠনের পরেই ইস্যু করা হউক তাহা নির্বিশেষে, এই ধারার বিধান প্রসপেক্টাস ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে ।

 
 

(৩) যে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোন কোম্পানী এমন দলিলের মাধ্যমে উহার শেয়ার বা ডিবেঞ্চার বিক্রয়ের জন্য জনসাধারনের নিকট প্রস্তাব করে যে, উক্ত কোম্পানী যদি এই আইনে সংজ্ঞায়িত অর্থে একটি কোম্পানী হইত, তবে ১৪২ ধারার বিধান অনুসারে উক্ত দলিল প্রসপেক্টাস বলিয়া গণ্য করা যাইত, সেইক্ষেত্রে উক্ত দলিল এই ধারা অনুযায়ী কোম্পানী কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রসপেক্টাস বলিয়া গণ্য হইবে ।

 
 

(৪) যদি কোন ব্যক্তি মুখ্য ব্যক্তি (principal) হিসাবে বা কাহারও প্রতিনিধি হিসাবে যেভাবেই হউক, তাহার সাধারণ ব্যবসা বা উহার অংশ হিসাবে শেয়ার বা ডিবেঞ্চার ক্রয়-বিক্রয় করেন এবং তাহার নিকট যদি কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চারে চাঁদাদান বা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুাব দেওয়া হয়, তাহা হইলে সেই প্রস্তাব এই ধারা অনুযায়ী জনসাধারণের নিকট প্রস্তাব বলিয়া গণ্য হইবে না ।

 
 

(৫) যদি কোন ব্যক্তি তাহার জ্ঞাতসারে এমন কোন প্রসপেক্টাস ইস্যু, প্রচার বা বিতরণ করেন বা কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চার এর জন্য আবেদনপত্রের ছক ইস্যু করার জন্য দায়ী হন যে, উক্ত ইস্যুকরণ, প্রচার বা বিতরণের দ্বারা এই ধারার বিধান লংঘিত হয়, তাহা হইলে তিনি অনধিক দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷ (৬) “প্রসপেক্টাস”, “শেয়ার” এবং “ডিবেঞ্চার” শব্দগুলি এই আইন অনুযায়ী নিগমিত কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে যখন যে অর্থে ব্যবহৃত হয়, উহারা এই ধারায় এবং ৩৮৯ ধারাতেও সেই একই অর্থ বহন করিবে ।

প্রসপেক্টাসের ক্ষেত্রে পালনীয় বিষয়

৩৮৯৷ (১) এই খণ্ডের বিধান পালনের জন্য, ৩৮৮(১) ধারার (ক) দফার (আ) ও (ই) উপ-দফার বিধান পালন ছাড়াও প্রসপেক্টাসে অবশ্যই-

 
 

(ক) নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি সম্পর্কিত বিবরণ থাকিতে হইবে; যথা-

 
 

(অ) কোম্পানীর উদ্দেশ্যবলী;

 
 

(আ) কোম্পানী গঠনকারী বা উহার গঠন নির্দিষ্টকারী দলিল;

 
 

(ই) যে আইন বা আইনের মতই কার্যকর যে বিধানাবলীর অধীনে কোম্পানী নিগমিত হইয়াছে সেই আইন বা বিধানাবলী;

 
 

(ঈ) বাংলাদেশে একটি ঠিকানা, যেখানে উপরোক্ত দলিল, আইন অথবা বিধানাবলী, অথবা ঐগুলির সবগুলির অনুবাদ, এবং যদি এগুলি ইংরেজী ব্যতীত অন্য কোন বিদেশী ভাষায় প্রণীত থাকে তবে বাংলা বা ইংরেজী ভাষায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যায়িত অনুবাদ পরিদর্শন করা যাইবে;

 
 

(উ) যে তারিখে ও যে দেশে কোম্পানী নিগমিত হইয়াছে সেই তারিখ ও দেশের নাম;

 
 

(ঊ) কোম্পানী বাংলাদেশে কোন ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল প্রতিষ্ঠা করিয়াছে কি-না এবং যদি করিয়া থাকে তবে বাংলাদেশে উহার প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানীটি যে তারিখে উহার ব্যবসা বা কার্যাবলী আরম্ভের অধিকার লাভ করে সেই তারিখ হইতে দুই বৎসরের বেশী সময় পরে যদি প্রসপেক্টাস ইস্যু করা হয়, তবে এই দফার (অ), (আ) ও (ই) উপ-দফার বিধান প্রযোজ্য হইবে না;

 
 

(খ) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, ১৩৫ ধারার (১) উপ-ধারায় বিনির্দিষ্ট বিষয়াদির বর্ণনা এবং উক্ত ধারায় বিনির্দিষ্ট প্রতিবেদনসমূহ সন্নিবেশিত করিতে হইবে :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে,-

 
 

(অ) কোন প্রসপেক্টাস সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে, যদি সেই বিজ্ঞাপনটিতে কোম্পানী গঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়, তাহা হইলেই প্রসপেক্টাসে কোম্পানীর উদ্দেশ্যোবলীর বাধ্যতামূলক উল্লেখের যে যে বিধান আছে তাহা পর্যাপ্তরূপে পালিত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে; এবং

 
 

(আ) ধারা ১৩৫ এর বিধান অনুসারে কোন ক্ষেত্রে কোম্পানীর সংঘবিধির উল্লেখ থাকিলে সেক্ষেত্রে কোম্পানীর গঠন নিয়ন্ত্রণকারী বা বর্ণনাকারী দলিল উল্লেখিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।

 
 

(২) যদি কোম্পানীর কোন শেয়ার বা ডিবেঞ্চার এর আবেদনকারীর উপর এমন শর্ত আরোপ করা হয় যে, উক্ত শর্ত গ্রহণের ফলে-

 
 

(ক) এই ধারার কোন বিধান পালনের ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হইবে, অথবা

 
 

(খ) প্রসপেক্টাসে নির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত নাই এমন কোন চুক্তি, দলিল বা অন্য বিষয়ের নোটিশ তাহাকে দেওয়া হইয়াছে বলিয়া বিবেচনা করা যাইবে,

 
 

তাহা হইলে উক্ত শর্ত ফলবিহীন হইবে ।

 
 

(৩) এই ধারার কোন বিধান পালন না করার জন্য বা উহা লংঘন করার জন্য, প্রসপেক্টাসের দায়িত্বে নিয়োজিত কোন পরিচালক অথবা অন্য কোন ব্যক্তি দায়ী হইবেন না, যদি-

 
 

(ক) অপ্রকাশিত বিষয়ের ক্ষেত্রে, তিনি প্রমাণ করেন যে, তত্সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন না; অথবা

 
 

(খ) তিনি প্রমাণ করেন যে, কোন ঘটনা সম্পর্কে তাহার সত্বিশ্বাসজনিত (honest) ভুলের কারণে উক্ত অমান্যকরণ বা লংঘন সংঘটিত হইয়াছে; অথবা

 
 

(গ) উক্ত অমান্যকরণ বা লংঘন এমন কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে সংঘটিত হইয়াছে যে, তাহা সম্পর্কে বিচারকারী আদালত এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উহা একটি তুচ্ছ বিষয় অথবা সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করিয়া যুক্তিসংগতভাবে উক্ত পরিচালককে বা অন্য ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া যায়:

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত পরিচালক বা অন্য ব্যক্তি ১৩৫ ধারার (১) উপ-ধারা অনুসারে তফসিল-৩ এর প্রথম খণ্ডের ১৮ অনুচ্ছেদে বিনির্দিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে প্রসপেক্টাসে কোন বিবৃতি অন্তর্ভুক্ত করিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী হইবেন না, যদি ইহা প্রমাণিত হয় যে, অপ্রকাশিত বিষয়াদির ব্যাপারে তিনি অবহিত ছিলেন না ।

 
 

(৪) এই ধারার অধীন দায়-দায়িত্ব ছাড়াও এই আইনের অধীনে অন্যান্য বিধান বা অন্য কোন আইনের অধীনে কোন ব্যক্তির দায়-দায়িত্ব থাকিলে উহাকে এই ধারার কোন কিছুই সীমিত বা হ্রাস করিবে না ।

শেয়ার বিক্রির প্রস্তাবের উপর বাধা-নিষেধ
 

৩৯০৷ (১) বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোন কোম্পানীর শেয়ার-মূলধনে চাঁদাদান বা উহার শেয়ার বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি জনসাধারণের বাড়ী বাড়ী বা কোন ব্যক্তি বিশেষের বাড়ীতে প্রস্তাব লইয়া গেলে তাহা দণ্ডনীয় অপরাধ হইবে ।

 

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ‘বাড়ী' বলিতে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত অফিস অন্তর্ভুক্ত হইবে না ।

 

(৩) কোন ব্যক্তি এই ধারার বিধান লংঘন করিয়া কোন কাজ করিলে তিনি অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

চার্জের তেগত্রে প্রযোজ্য বিধান
৩৯১৷ বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোন কোম্পানীর কোন ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থল বাংলাদেশে থাকিলে এবং বাংলাদেশে উহার কোন সম্পত্তি থাকিলে বা তত্কর্তৃক অর্জিত হইলে, এইরূপ সম্পত্তির উপর সৃষ্ট সকল চার্জের ত্মেগত্রে ১৫৯ হইতে ১৬৮ (উভয় ধারাসহ) এবং ১৭১ হইতে ১৭৬ (উভয় ধারাসহ) ধারাসমূহের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি বাংলাদেশের বাহিরে কোন চার্জের সৃষ্টি হয় অথবা কোন সম্পত্তির অর্জন বাংলাদেশের বাহিরে সম্পন্ন হয়, তবে ১৫৯(১) ধারার শর্তাংশের (অ) দফা এবং ১৬০(১) ধারার শর্তাংশ এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত সম্পত্তি, যেখানেই অবস্থিত থাকুক না কেন তাহা, বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত৷
রিসিভার নিয়োগের নোটিশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধান

৩৯২৷ (১) বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত তবে বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাস্থল বা কার্যস্থল রহিয়াছে৷ এইরূপ সকল কোম্পানীর ক্ষেত্রে ১৬৯ এবং ১৭০ ধারার বিধান, প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ প্রযোজ্য হইবে ।

 
 

(২) উক্ত কোম্পানী বাংলাদেশে পরিচালিত উহার ব্যবসা বা কার্যাবলীর ব্যাপারে, উহার গৃহীত ও ব্যয়িত সকল অর্থ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিসম্পদ ও দায়-দেনা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় হিসাব বহি, ১৮১ ধারার বিধান অনুসারে যতটুকু প্রযোজ্য হয়, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার প্রধান ব্যবসাস্থল বা কর্মস্থলে রক্ষণ করিবে ।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক ও বিধি

৩৯২ক।   এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক ও বিধি বলিতে তপশিল ৯ক এবং তপশিল ৯খ এ উল্লিখিত এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক ও বিধিকে বুঝাইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর গঠন, ইত্যাদি

৩৯২খ(১) একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি, আইনানুগ যে কোন উদ্দেশ্যে, এক ব্যক্তি কোম্পান গঠন করিতে পারিবে, এবং উহা করিতে চাহিলে, তাহার নাম স্মারকে উদ্যোক্তা হিসাবে স্বাক্ষর করিয়া এবং নিবন্ধিকরণ সংক্রান্ত এই আইনের বিধান মোতাবেক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া সীমিতদায় কোম্পানী গঠন করিতে পারিবেন

(২) একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি কেবল একটি এক ব্যক্তি কোম্পান গঠন করিতে পারিবেন

(৩) এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারকে একজন মনোনীত ব্যক্তির নাম, উক্ত মনোনীত ব্যক্তির লিখিত সম্মতিক্রমে, উল্লেখ থাকিতে হইবে, যিনি একমাত্র শেয়ার হোল্ডার মৃত্যুবরণ করিলে বা কোম্পানী পরিচালনায় অসমর্থ বা অপ্রকৃতিস্থ হইলে উক্ত কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার হইবেন।

(৪) এক ব্যক্তি কোম্পানীর নিবন্ধনকালে উহার স্মারক, বিধি এবং নিবন্ধন বহিতে উক্ত মনোনীত ব্যক্তিলিখিত সম্মতি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(৫) উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তি নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার সম্মতি প্রত্যাহার করিতে পারিবেন।

(৬) যদি উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তি শেয়ার হোল্ডারের পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন অথবা অন্য কোন কারণে অসমর্থ বা অপ্রকৃতিস্থ হন, তাহা হইলে উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তিস্থলে অন্য কোন ব্যক্তিকে, তাহার সম্মতিক্রমে, মনোনীত করা যাইবে।

(৭) এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার উপযুক্ত মনে করিলে, তৎকর্তৃক উক্তরূপ মনোনীত ব্যক্তিস্থলে অন্য কোন ব্যক্তিকে, তাহার সম্মতিক্রমে, মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন।

(৮) এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তির পরিবর্তন সম্পর্কে বিধিতে উল্লেখ করিতে হইবে এবং নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিতে হইবে

এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার মূলধন, ইত্যাদি

৩৯২গ।  (১) এক ব্যক্তি কোম্পানীর-

(ক) পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হইবে অন্যূন পঁচিশ লক্ষ টাকা এবং অনধিক পাঁচ কোটি টাকা; এবং

(খ) অব্যবহিত পূববর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক টার্নওভার অন্যূন এক কোটি টাকা এবং অনধিক পঞ্চাশ কোটি টাকা।

(২) যদি এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিশোধিত শেয়ার মূলধন উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এ উল্লিখিত পরিমাণ হইতে অধিক হয় এবং বার্ষিক টার্নওভার উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত পরিমাণ হইতে অধিক হয়, তাহা হইলে প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে, এক ব্যক্তি কোম্পানীকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী অথবা, ক্ষেত্রমত, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তর করা যাইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানী নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অনুসৃত পদ্ধতি

৩৯২ঘ  প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, এক ব্যক্তি কোম্পানী নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিচালক

৩৯২ঙ (১) এক ব্যক্তি কোম্পানীর একমাত্র শেয়ার হোল্ডার উহার পরিচালক হইবেন।

(২) এক ব্যক্তি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থাপক, কোম্পানী সচিব এবং অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ করা যাইবে।

এক ব্যক্তির কোম্পানীর সভা

৩৯২চ।  এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিচালক অর্ধ পঞ্জিকা বৎসরে অন্যূন একটি পরিচালক সভা অনুষ্ঠান করিবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক বা বিধি পরিবর্তন

৩৯২ছএক ব্যক্তি কোম্পানীর স্মারক বা বিধিতে কোন পরিবর্তন করা হইলে, উক্ত পরিবর্তন সম্পর্কে নির্ধারিত পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিতে হইবে এবং এইক্ষেত্রে ধারা ১২ এর বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে ।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার হস্তান্তর

৩৯২জ এক ব্যক্তি কোম্পানীর সকল শেয়ার কেবল একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা যাইবে এবং শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ধারা ৩৮ এর বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর ব্যালান্স শীট

৩৯২ঝ (১‌) এক ব্যক্তি কোম্পানীর ক্ষেত্রে কোন অর্থ বৎসর সমাপ্তির একশত আশি দিনের মধ্যে উহার আর্থিক বিবরণী দলিলাদিসহ সংযুক্ত করিয়া রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।

(২) প্রতিটি ব্যালান্স শীট এবং প্রতিবারের লাভ-ক্ষতির হিসাব অথবা আয় ব্যয়ের হিসাব কোম্পানীর একমাত্র শেয়ারহোল্ডার পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর নিরীক্ষা

৩৯২ঞ এক ব্যক্তি কোম্পানীতে নিরীক্ষক নিয়োগ ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে

এক ব্যক্তি কোম্পানী কর্তৃক ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ

৩৯২ট এক ব্যক্তি কোম্পানী কর্তৃক কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণ গ্রহণ বা পরিশোধের ক্ষেত্রে ধারা ১৫৯ হইতে ধারা ১৭৫ এর বিধানাবলী, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে ।

এক ব্যক্তি কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তি

৩৯২ঠএক ব্যক্তি কোম্পানীর স্বেচ্ছাকৃত অবলুপ্তির ক্ষেত্রে এই আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে

আইনগত কার্যধারা, অপরাধ ইত্যাদি

অপরাধ আমলে লওয়া (Cognizance)

৩৯৩৷ (১) প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট অপেক্ষা নিম্নতর কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ আমলে লইতে পারিবেন না ।

 
 

(২) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন-

 
 

(ক) এই আইনের অধীন প্রত্যেকটি অপরাধ উক্ত Code এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অ-আমলযোগ্য (non-cognizable) অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে;

 
 

(খ) যেক্ষেত্রে অভিযোগকারী রেজিষ্ট্রার স্বয়ং, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অপরাধ আমলে লওয়া বা উহার বিচারনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে রেজিষ্ট্রারের ব্যক্তিগত উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে না, যদি না উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হওয়ার জন্য উক্ত আদালত নির্দেশ দেয় ।

অর্থদণ্ডলব্ধ অর্থের প্রয়োগ

৩৯৪৷ এই আইন অনুসারে অর্থদণ্ড আরোপকারী আদালত এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, অর্থদণ্ডলব্ধ অর্থের সম্পূর্ণ বা উহার অংশ মামলার খরচ পরিশোধের জন্য অথবা যে ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে অর্থদণ্ড আদায় হইয়াছে তাহাকে পুরস্কার হিসাবে দেওয়ার জন্য ব্যয় করা হউক৷

সীমিতদায় কোম্পানীকে মামলার খরচের জন্য জামানত দেওয়ার নির্দেশদানের ক্তমতা

৩৯৫৷ যেক্ষেত্রে কোন মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারায় কোন সীমিতদায় কোম্পানী বাদী বা আবেদনকারী হয়, সেক্ষেত্রে যদি উক্ত মামলা বা কার্যধারার বিষয়ে এখ্‌তিয়ার সম্পন্ন আদালতের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, বিবাদী মামলায় জয়লাভ করিলে উক্ত কোম্পানী বিবাদীর মামলার খরচ পরিশোধে অক্ষম বলিয়া বিশ্বাস করার মত যুক্তিসংগত কারণ আছে, তবে আদালত উক্ত খরচ বাবদ পর্যাপ্ত জামানত দেওয়ার জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং জামানত না দেওয়া পর্যন্ত মামলা বা আইনগত কার্যধারা স্থগিত রাখিতে পারিবে ।

কতিপয় ক্ষেত্রে অব্যাহতি প্রদানে আদালতের ক্ষমতা

৩৯৬৷ (১) উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কর্তব্যে অবহেলা অথবা উহা পালনে ব্যর্থতা, বরখেলাপ, ত্রুটিবিচ্যুতি বা দায়িত্ব-লংঘন অথবা বিশ্বাসভংগের অভিযোগে কোন আইনগত ব্যবস্থা গৃহীত হয় এবং যদি মামলার বিচারকারী আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ঐ ব্যক্তি ঐগুলির যে কোনটির জন্য দায়ী বা দায়ী হইতে পারেন কিন্তু ঐ ব্যাপারে তিনি সৎ ও ন্যায়ানুগ আচরণ করিয়াছেন এবং তাহার নিযুক্তির সহিত সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিসহ মামলার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করিলে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হইতে তাহাকে ন্যায়সংগতভাবে মার্জনা করা যাইতে পারে, তাহা হইলে উক্ত আদালত উহার বিবেচনা মত তাহাকে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে এবং উহার বিবেচনায় উপযুক্ত শর্তাধীনে উক্ত অভিযোগ জনিত দায়-দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি দিতে পারে ।

(২) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত কোন ব্যক্তির এইরূপ আংশকা করার কারণ থাকে যে, তাহার কর্তব্যে অবহেলা, বা উহা পালনে ব্যর্থতা, বরখেলাপ, ত্রুটি-বিচ্যুতি, দায়িত্ব-লংঘন বা বিশ্বাসভংগের ব্যাপারে তাহার বিরুদ্ধে কোন দাবী উত্থাপিত হইবে বা হইতে পারে, সেক্ষেত্রে তিনি অব্যাহতির জন্য আদালতে আবেদন করিতে পারেন; এবং আদালত উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে অব্যাহতি দানের ব্যাপারে সেই একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে যে ক্ষমতা উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রয়োগ করিতে পারিত ।

(৩) যে সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য তাহারা হইতেছেন-

(ক) কোম্পানীর পরিচালক;

(খ) কোম্পানীর ম্যানেজার ও ম্যানেজিং এজেন্ট;

(গ) কোম্পানীর অন্য সকল কর্মকর্তা;

(ঘ) কোম্পানীর কর্মকর্তা হউক বা না হউক, কোম্পানী কর্তৃক নিযুক্ত নিরীক্ষক ।

মিথ্যা বিবৃতি দানের দণ্ড

৩৯৭৷ যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের আওতায় আবশ্যকীয় বা এই আইনের কোন বিধানের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে প্রণীত কোন রিটার্ণ, প্রতিবেদন, সার্টিফিকেট, ব্যালান্স শীট, বিবরণী অথবা অন্য কোন দলিলে কোন গুরত্বপূর্ণ বিষয়ে ইচ্ছাকৃত কোন তথ্য, বিবরণ বা বিবৃতি দেন, যাহা সম্পর্কে তিনি জানিতেন যে উহা মিথ্যা, তাহা হইলে তিনি অনধিক পাঁচ বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে এবং তদসহ অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন, এবং উক্ত কারাদণ্ড যে কোন প্রকারের হইতে পারে৷

অন্যায়ভাবে সম্পত্তি আটক রাখার দণ্ড

৩৯৮৷ কোম্পানীর কোন পরিচালক, ম্যানেজিং এজেন্ট, ম্যানেজার অথবা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি অবৈধভাবে কোম্পানীর কোন সম্পত্তির দখল লাভ করেন, অথবা কোন সম্পত্তির দখল বৈধভাবে পাইয়া উহা অবৈধভাবে আটকাইয়া রাখেন, অথবা যদি সংঘবিধিতে নির্দেশিত এবং এই আইন অনুসারে অনুমোদনযোগ্য উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করেন, তবে তিনি কোম্পানী অথবা যে কোন পাওনাদার বা প্রদায়কের অভিযোগক্রমে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং অপরাধের বিচারকারী আদালত উক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, তিনি অবৈধভাবে অর্জিত বা আটককৃত বা ইচ্ছাকৃতভাবে অপব্যবহারকৃত উক্ত সম্পত্তি আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্পণ করিবেন অথবা ফেরত দিবেন অন্যথায় তিনি অনধিক দুই বত্সর কারাদণ্ড ভোগ করিবেন৷

নিয়োগকর্তা কর্তৃক জামানত অপপ্রয়োগের দণ্ড

৩৯৯৷ (১) কোম্পানীর সহিত সম্পাদিত চাকুরীর চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানীর নিকট কর্মচারীদের (employees) জমা দেওয়া সকল অর্থ বা জামানত Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) তে সংজ্ঞায়িত যে কোন Scheduled ব্যাংকে কোম্পানী কর্তৃক খোলা একটি নির্দিষ্ট হিসাবে জমা করিতে হইবে এবং চাকুরীর চুক্তিতে স্বীকৃত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোম্পানী এই অর্থের কোন অংশ ব্যবহার করিতে পারিবে না৷

 
 

(২) কোন কোম্পানী ইহার কর্মচারীদের জন্য বা তাহাদের কোন শ্রেণীর জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করিলে, উক্ত তহবিলে কোম্পানী কর্তৃক অথবা কর্মচারীগণ কর্তৃক প্রদত্ত সকল অর্থ কিংবা ঐ সকল অর্থের উপর সুদ হিসাবে বা অন্য প্রকারে উপচিত (accrued) সকল অর্থ কোন পোষ্ট অফিস সেভিংস ব্যাংক হিসাবে জমা রাখিতে হইবে অথবা Trusts Act, 1882 (II of 1882) এর ২০ ধারার (ক) হইতে (ঙ) পর্যন্ত (উভয় দফাসহ) দফাসমূহে উল্লিখিত সিকিউরিটির বিপরীতে বিনিয়োগ করিতে হইবে; এবং উক্ত তহবিলের কোন অর্থ উক্ত রূপে জমা রাখা বা বিনিয়োগ করা হইলে, উক্ত অর্থ ঐসব সিকিউরিটির বিপরীতে বা উক্ত ব্যাংকে এমনভাবে জমা রাখিতে বা বিনিয়োগ করিতে হইবে যাহাতে কিস্তির সংখ্যা দশের বেশী না হয় এবং কোন একটি বৎসরে ঐসব কিস্তির মোট অর্থের পরিমাণ তহবিলের মোট অর্থের এক-দশমাংশের কম না হয় :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে উক্ত তহবিলের মোট পরিমাণের এক-দশমাংশ অর্থের পরিমাণ আপাততঃ বলবত্ জমা নিয়ন্ত্রণকারী বিধানানুযায়ী যে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ পোষ্ট অফিস সেভিংস ব্যাংকে জমা রাখা যায় তাহা অপেক্ষা বেশী হয়, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ পূর্বোক্ত Scheduled Bank এ এতদুদ্দেশ্যে খোলা কোন নির্দিষ্ট হিসাবে জমা দেওয়া যাইতে পারে৷

 
 

(৩) উপ-ধারা (২) প্রযোজ্য হয় এইরূপ তহবিল সংক্রান্ত কোন বিধিতে অথবা, কোম্পানী ও উহার কর্মচারীদের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তিতে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত তহবিলে উপ-ধারা (২) এর বিধানানুসারে কোন কর্মচারীর হিসাবে জমাকৃত অর্থের যতটুকুর বিনিয়োগ করা হইয়াছে ততটুকুর উপর উপচিত সুদ অপেক্ষা অধিক হারে বা পরিমাণে সুদ পাওয়ার অধিকার তাহার থাকিবে না৷

 
 

(৪) কোন কর্মচারী কোম্পানীর নিকট এতদুদ্দেশ্যে অনুরোধ করিলে উপ-ধারা (১) ও (২) এ উল্লিখিত যে কোন অর্থ বা সিকিউরিটি সম্পর্কিত ব্যাংক রশিদ দেখার অধিকারী হইবেন৷

 
 

(৫) যদি কোম্পানীর কোন পরিচালক, ম্যানেজিং এজেন্ট, ম্যানেজার কিংবা অন্য কোন কর্মকর্তা জ্ঞাতসারে এই ধারার বিধান লংঘন করেন বা লংঘনের অনুমতি দেন কিংবা লংঘন চলিতে দেন (permits), তবে তিনি অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

 
 

(৬) কোন ভবিষ্য-তহবিল সংক্রান্ত্ম বিধানাবলীর আওতায় উক্ত তহবিল হইতে অগ্রিম অর্থ গ্রহণ কিংবা তহবিলে জমা অর্থ উত্তোলনের ব্যাপারে কোন কর্মচারীর কোন অধিকার থাকিলে, (২) উপ-ধারার কোন বিধান তাহার সেই অধিকারকে ক্ষুন্ন করিবে না, যদি উক্ত ভবিষ্য-তহবিল Income Tax Ordinance, 1984 (XXXVI of 1984) এর section 2(52) তে প্রদত্ত সংজ্ঞানুসারে একটি ভবিষ্য-তহবিল হিসাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয় কিংবা প্রথমোক্ত বিধানাবলীতে Income Tax (Provident Fund) Rules, 1984 এর ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ বিধির বা অনুরূপ বিধিমালার অনুরূপ বিধানের সদৃশ বিধান থাকে৷

"লিমিটেড" বা "সীমিতদায়" শব্দ অপপ্রয়োগের দণ্ড

৪০০৷ যে প্রতিষ্ঠানের নাম বা শিরোনামের শেষ শব্দটি 31[পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানী বা PLC., বা সীমিতদায় বা LTD., বা এক ব্যক্তি কোম্পানী বা One Person Company বা OPC] সেই প্রতিষ্ঠানের নামে কিংবা শিরোনামে যদি কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ ব্যবসা বা অন্য কার্যাবলী পরিচালনা করেন 32[উক্তরূপ নাম বা শিরোনাম] উহা যথারীতি নিগমিত না হয়, তাহা হইলে যতদিন পর্যন্ত ঐভাবে সেই নাম বা শিরোনাম ব্যবহৃত হয় ততদিনের প্রতিদিনের জন্য সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ অনধিক পাঁচশত টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

Act XXI of 1860 তে উল্লিখিত“রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীজ” অভিব্যক্তির ব্যাখ্যা
 

৪০১৷ Societies Registration Act, 1860 (XXI of 1860) এর ১ এবং ১৮ ধারায় "Registrar of Joint Stock Companies” অভিব্যক্তির যে উল্লেখ রহিয়াছে তদ্বারা এই আইনে সংজ্ঞায়িত রেজিষ্ট্রারকে বুঝাইবে৷

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর প্রয়োগ

33[৪০১ক। (১) এই আইনের অধীন সম্পাদিতব্য কোন কাজ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করা যাইবে এবং এইক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান অনুসরণ করিতে হইবে।

(২) ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সেবা প্রদানের জন্য সরকার ফি ধার্য করিতে পারিবে।]

রহিতকরণ ও হেফাজত

৪০২৷ (১) Companies Act, 1913 (VII of 1913), অতঃপর উক্ত এ্যাক্ট বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা রহিত করা হইল৷

 
 

(২) উক্ত এ্যাক্ট রহিত হওয়া সত্ত্বেও-

 
 

(ক) উক্ত এ্যাক্টের অধীনে বা উহার বিধান অনুসারে প্রদত্ত কোন আদেশ, নির্দেশ বা নিয়োগ, বা প্রণীত কোন বিধি, প্রবিধান বা অন্য বিধান বা কৃত বন্ধক বা অন্যবিধ হস্তান্তর, সম্পাদিত কোন চুক্তি বা অন্যবিধ দলিল, ইস্যুকৃত কোন কিছু গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থা বা প্রদত্ত ফিস, অর্জিত অধিকার বা দায়-দায়িত্ব বা কৃত অন্য কোন কিছু যদি এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত এ্যাক্টের বিধান অনুসারে বা অধীনে বলবত্ থাকিয়া থাকে, তবে তাহা, এই আইনের বিধানের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, কার্যকর এবং অব্যাহত থাকিবে এবং ঐগুলি এই আইনের অধীনে ক্ষেত্রমতে প্রদত্ত, প্রণীত, সম্পাদিত, ইস্যুকৃত, গৃহীত, অর্জিত বা কৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

 
 

(খ) উক্ত এ্যাক্টের অধীনে বা তদ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিযুক্ত ব্যক্তি এই আইনের অধীনে বা এই আইন দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিযুক্ত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে;

 
 

(গ) এই আইন প্রবর্তনের সময় নিবন্ধন কার্যাদি সম্পন্ন করার সময় যে সকল কার্যালয় বিদ্যমান ছিল সেগুলি এইরূপে অব্যাহত থাকিবে যেন উহারা এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল;

 
 

(ঘ) উক্ত এ্যাক্টের কোন বিধানের অধীনে রক্ষিত বা প্রণীত কোন বহি বা অন্যবিধ দলিল উক্ত বিধানের সহিত সদৃশ্য এই আইনের বিধানের অধীন রক্ষণীয় বা প্রণীতব্য বহি বা অন্যবিধ দলিলের অংশ বলিয়া গণ্য হইবে;

 
 

(ঙ) উক্ত এ্যাক্টের অধীন গঠিত তহবিল এবং রক্ষিত হিসাব অব্যাহত থাকিবে এবং উহারা এই আইনের সদৃশ বিধানের অধীনে গঠিত বা রক্ষিত বলিয়া গণ্য হইবে৷

 
 

(৩) এই আইনের কোন কিছুই উক্ত এ্যাক্টের অধীনে কোন কোম্পানীর নিগমিতকরণ বা নিবন্ধনকে অথবা Insurance Act, 1938 (IV of 1938) এর বিধানাবলীর কার্যকরতাকে ক্ষুন্ন করিবে না৷

General clauses Act, 1897 এর section 6 এই আইনের ৪০২ ধারাসহ অন্যান্য ধারার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

৪০৩৷ ৪০২ ধারায় বা অন্যান্য ধারায় কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের ল্লেখের কারণে উহাদের ক্ষেত্রে General Clauses Act, 1897 (X of 1897) এর section 6 এর প্রয়োগ  ক্ষুন্ন বা সীমিত হইবে না ।

ইংরেজীতে অনুদিত পাঠ প্রকাশ

৪০৪৷ এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনুদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নামে অভিহিত হইবে:

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ত্মেগত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে৷