একটা কথা আমাদেরকে বুঝতে হবে।
প্রোটেক্টিভ, সাপোর্টিভ আর কেয়ারিং হাজব্যান্ডদের মেয়েরা ফেইসবুকেই ভালোবাসে। ফেইসবুকের বাইরে তাদের ভালোবাসা হইলো কর্কশ, নির্দয়, ট্রমাটিক পুরুষদের জন্য।
আমি আইজতক যত সুপার টলারেন্ট, সুপার সাপোর্টিভ, সর্বংসহা ব্যাডামানুষ দেখসি, তাদের সবাই অইত্যইন্ত্য *লছাল রান্না সহ্য কইরা বাইচা আছে, নাইলে পারলে নিজেই রান্না কইরা খায়। এইটাই ভদ্র পুরুষের জীবনের পরিনতি। আর যারা খাওয়া নিয়া কম্প্রোমাইজ করে না, প্রায় সবার বউ ভাল রান্না করে। বিয়ের আগে না পারলেও বিয়ের পর শিখা নেয়। এই ব্যাপারে আমার শেখা লাইফ লেসন হইলো, কম্প্রোমাইজ করসেন তো মরসেন।
আরে ভাই আজকে আপনারে ধুনফুন রাইন্ধা খাওয়াবে, এরপর আপনার পোলাপানরেও দেখবেন ঐসবই খাওয়াইতেসে। আপনার বাচ্চা কোনদিন বন্ধুরে বাসায় দাওয়াত দেয়ার আগে দুশ্চিন্তায় থাকবে, আম্মু রান্না করলে বন্ধু বমি করবে কিনা।
ফলে শুধু নিজের হক না, নিজের নেক্সট জেনারেশনের হকেরও হোন মারার জন্য দায়ী হবেন আপনি। এইসব কারবারে কোন বিবেকবান পুরুষ যাইতে পারে না। আপনাকে অবশ্যই এনশিওর করতে হবে, আপনাকে যেন সবচেয়ে সুন্দরভাবে রান্না কইরা খাবারটা দেয়া হয়।
নারীরা ডিমান্ডিং, কমান্ডিং পুরুষ পছন্দ করেন।
একসময় যখন লিব্রেল ছিলাম, তখন বহু আজাইরা ছোটগল্প পইড়া নিজেরে বুঝ দিতাম, যে না মাইয়াদের অনেক কষ্ট হয়, এইটা আমাদের মাইনা নেয়া উচিত। কিন্তু ভালো একটা রসা শামী কাবাবে কামড় দেয়ার আনন্দ আপনাকে এক হাজার ছোটগল্পও দিতে পারবে না। ফাটাফাটি একটা বাইলা মাছের ঝোল দিয়া মাখা শীতের দুপুরের গরম ভাত যে শান্তি দেবে, তার জন্য আমি হাজার টক্সিসিটি করতে রাজি।
শেষ কথা হইলো, বিয়ের আগে অবশ্যই খবর নেবেন, মেয়ের মা খালাদের রান্নার কি অবস্থা। এইটা একটা মাস্ট নো সিচুয়েশন রিপোর্ট। যার খানদানে ভালো রান্নাবান্না নাই, ঐ পাবলিক দিয়া বেশিদুর আগানো যায় না। এইখানে হেরিটেজ, জিনেটিক্স ম্যাটার করে। মাল্টিমিলিওনেয়ারের মেয়েও খুব ভাল রাধুনী হইতে পারে, আবার, বস্তির মেয়েও রান্না না জানতেই পারে, এবং ভাইস ভার্সা।
সংসার জীবনের শুরুতে নিজের কোয়ালিটি অফ লাইফে যত ছাড় দেবেন, সেইটা সামনে আরো গানিতিক হারে বাড়বে। যে পুরুষ নিজের ইন্ট্রেস্ট ডিফেন্ড করে না, তারটা অন্য কেউ ডিফেন্ড কইরা দেয় না।
জীবনটা কি খাইয়া পার করবেন, এইটা একান্তই আপনার চয়েস। আমার পক্ষে রাবিশ নেয়া সম্ভব না 😇
এটাই সৌন্দর্য, এটাই ভারসাম্য।
সজল ভাই