এক. দায়িত্বশীল মনোভাব। বিয়ের পর নারীরা যখন বাস্তব জীবনে প্রবেশ করে, তখন একজন বাস্তববাদী পুরুষের গুরুত্ব তারা উপলব্ধি করতে থাকে। স্ত্রী ও পরিবারের কখন কী প্রয়োজন, তা সময়মতো বুঝতে পারা এবং তা পূরণ করা, স্ত্রী অসুস্থ হলে তার যথাযথ কেয়ার করা, বাচ্চাদের প্রতি যত্নশীল থাকা, পরিবারের সবার সুবিধা অসুবিধার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা—এসবই একজন দায়িত্বশীল পুরুষের বৈশিষ্ট্য।
এমন অনেককে দেখেছি, যারা মুখে হাজার বার 'আইলাভইউ' বললেও বাস্তব জীবনে দায়িত্বশীল আচরণ করে না। এমনও দেখেছি, মাসের পর মাস তাবলিগে সময় লাগায়, ওদিকে পরিবারের ভরণ-পোষণ ও বাজার সদাইয়ের কোনো খবরই তার নেই।
দুই. সেক্রিফাইস ও হজম করার মানসিকতা। আসলে বৈবাহিক সম্পর্ককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে 'ধৈর্যশীল' মনোভাব অর্জনের বিকল্প নেই। স্ত্রীর ভুলগুলো হাসিমুখে মেনে নেওয়া ও তার বাচ্চাসূলভ আচরণ খুব সহজে হজম করতে পারা একজন সত্যিকার পুরুষের বৈশিষ্ট্য। অল্পতে সিরিয়াস হওয়া চলবে না। ভুলে যেতে শিখতে হবে। ত্যাগেই সুখ খুঁজে পায়, এমন পুরুষ হতে হবে।
পুরুষের 'পুরুষত্ব' তো এখানেই। তাকে গোটা একখানা ঘরের 'ছাদের' বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে হয়। পরিবারের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি ঠান্ডা মাথায় সামাল দিতে জানতে হয়।
তিন. স্ত্রীর ভালো গুণগুলোর কদর করা ও তাকে মূল্যায়ন করা। অনেক পুরুষ তো বউয়ের প্রশংসাই করতে জানে না। নারী তার প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। কাজেই রান্না ও ঘর সামলানো থেকে শুরু করে নারীর প্রতিটি কাজের পরিমিত প্রশংসা করা চাই।
এর বিপরীতে নারীরা যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করে, সেটা হলো অন্য নারীর সঙ্গে তাকে 'তুলনা' করা। কে কোন দিক থেকে তারচেয়ে বেটার, সেটা সে শুনতে পারে না। এমন অহেতুক অভ্যাস যেসব পুরুষের মাঝে আছে, তারা আর যাই হোক স্ত্রীকে সুখী করতে পারে না।