Monday, April 21, 2025

মাপুন!

আমি মনে করি প্রতিটা মানুষের বাসায় এখন একটা জিনিস থাকা ফরজ। জিনিসটা হচ্ছে দর্জির দোকানের ইঞ্চি/সেন্টিমিটারের ফিতা।
ওয়েট মেশিনের চেয়েও এটা বেশি জরুরী, বেশি জরুরী আপনার বাসায় টুথপেস্ট বা সাবান আছে কিনা তার চেয়ে।
কেন??
সহজ করে বলি।
মানুষেরর কাধ, বুক, কোমর, পেট এবং পাছার মাপ থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঐ মানুষটা ডায়বেটিক হওয়ার দিকে যাচ্ছে কি না, তার ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, তার লিপিড প্রোফাইলে সমস্যা থাকার সম্ভাবনা কতটুকু এবং সে হার্ট এটাকের ঝুকিতে আছে কি না।
হাজার হাজার টাকার টেস্ট আপনাকে যে তথ্য দিতে পারবে তার প্রায় কাছাকাছি এস্টিমেশানে আপনি চলে যেতে পারবেন যদি আপনি শুধু এই ফিতা, নিজের ডায়েট, শারীরিক সমস্যার উপসর্গগুলি এবং বডি ওয়েটকে ঠিকভাবে রিড করতে জানেন। 
আমি একটা কথা প্রায়ই বলি, আপনার শরীরে আপনার আমলনামা লেখা থাকে। যে পড়তে জানে, সে পড়তে পারে।
যাই হোক, ফিতাটা দিয়ে কিভাবে কি বুঝবেন আমি বলি।
ছেলেদের জন্য, নিজের কোমরের মাপ যদি দেহের উচ্চতার ৪৭% এবং মেয়েদের জন্য যদি কোমরের মাপ ৪১% এর বেশি হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার শরীর আপনাকে বিপদসংকেত দিচ্ছে। 
ছেলেদের পেটের মাপ যদি বুকের মাপের ৯০% এর বেশি এবং মেয়েদের পেটের মাপ যদি পাছার মাপের ৯০% এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার শরীর আপনাকে বিপদসংকেত দিচ্ছে।
এই বিপদসংকেত কি??
এই বিপদসংকেত হচ্ছেঃ
১)আপনার শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে, সামনে হয়তো প্রিডায়বেটিক হবেন, এরপরেও হুশ না ফিরলে ডায়বেটিস হবে
২)আপনার বাড়তি ভিসেরাল ফ্যাট তৈরি হয়েছে
৩)আপনার সম্ভবত ফ্যাটি লিভার হয়ে গেছে, কিন্তু লক্ষণ প্রকাশ হচ্ছে না
৪)আপনার টিজি লেভেল সম্ভবত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আছে
৫)আপনার লো গ্রেড ইনফ্ল্যামেশান আছে যা মিডিয়াম গ্রেডে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র
৬)আপনার সাব ক্লিনিক্যাল স্কার্ভি থাকার সম্ভাবনা আছে
এই বিপদসংকেত থেকে কি বোঝা যায়??
১)আপনি সঠিক ডায়েটে নাই
২)আপনি যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম করেন না
৩)আপনি হেলদি ফ্যাট খান না
৪)আপনি অতিরিক্ত কার্ব খান
৫)আপনি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স(এস্পেশালি ১,২,৩ ও ৬) ডেফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন
৬)আপনি খুব সম্ভবত ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন
আরেকটা বিষয়, ব্লাড গ্লুকোজ মেপে গ্লুকোজ নরমাল দেখে আনন্দে লাফালাফি করবেন না।
টানা কয়েকবার র‍্যান্ডমলি গ্লুকোজ বেশি আসা মানে ঘটনা যা ঘটার ঘটে গেছে।
কিন্তু গ্লুকোজ লেভেল নরমাল থেকেও শুধু হাইপারইনসুলিনেমিয়া থেকে অনেক রকম ড্যামেজ হওয়া সম্ভব।
পুরুষদের ক্ষেত্রে এক নম্বর ড্যামেজ হচ্ছে ফ্যাটি লিভার ও হাই টিজি লেভেল, চলতি ভাষায় হাই কোলেস্টেরল।
নারীদের ক্ষেত্রে এক নম্বর ড্যামেজ হল, ওভারিয়ান সিস্ট। ফ্যাটি লিভার পরে আসবে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে নাম্বার টু হচ্ছে, হাইপারটেনশান,
নারীদের ক্ষেত্রে প্রিডায়বেটিস-ডায়বেটিস। অনেক সময় এগুলো স্রেফ টের পাওয়া যায় না, প্রায় ৭০% ক্ষেত্রেই টেস্ট করে জানতে জানতে অনেক দেরি হয়ে যায়।
পুরুষদের নাম্বার থ্রি হচ্ছে, হাই টিজি বা হাইপারট্রাইগ্লিসারাইডেমিয়া।
নারীদের ক্ষেত্রে নাম্বার থ্রি ড্যামেজ হল ফ্যাটি লিভার।
ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি মেয়েদের ক্ষেত্রে আরেকটা ঝামেলা ধরায়, ডিপ্রেশন-এংজাইটি-প্যানিক এটাক এবং মুড সুইং।
মুড সুইং নিয়ে আবেগী ফেইসবুক পোস্ট লেখা বাদ দিয়ে নিজের শরীরের মাপ নেন। এরপর দেখেন আপনি কার্ব দিয়ে ভরা ফুড খাচ্ছেন কি না, আপনার ডায়েটে পালংশাক, কাঠবাদাম, কুমড়ার বিচি, শিম, বীফ এসব আছে কি না??
এরপর কানেক্ট করেন।
তাই, যা বলছিলাম, সবাই বাসায় একটা করে ফিতা রাখবেন।
আপনাকে রাইট ডায়েট এবং লাইফস্টাইলে আসতে হবে, বেশি দেরি হওয়ার আগেই।
হাইপারইনসুলিনেমিয়া থেকে সুস্থ হতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, কার্ডিও ও হিট এক্সারসাইজ করুন।

আরেকটা বিষয়! আমাদের ওয়েট লস ক্যাম্পেইনের থার্ড ব্যাচের রেজিষ্ট্রেশনের আর কিন্তু ৩ দিন বাকি আছে। একই সাথে অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন, তলপেটে মেদ আছে, ফ্যাটি লিভার, হাইপোথায়রয়েড, হাইপারইনসুলিনেমিয়া, পিসিওএসে ভুগছেন এবং বাসায় বসেই প্রফেশনাল নিউট্রিশনিস্টের আন্ডারে থেকে ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা কিন্তু চাইলেই ডেডলাইনের আগে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলতে পারেন।

 সজল ভাইয়ের লিখা







Sunday, April 20, 2025

নারীর অভিযোগ কথন

বিজ্ঞ লোকের থেকে জেনেছি যে বাই ডিফল্ট নারীর 90% কথা আর 95% অভিযোগ আবেগতাড়িত (সোজা কথা মিথ্যা)।
।।।


ইতিহাসে মহিলাদের সরাসরি ভায়োলেন্সে জড়িত হবার ঘটনা খুব বেশি পাওয়া যায় না। কিন্তু আড়ালে থেকে ষড়যন্ত্র উস্কে দিয়েছে এমন এভিডেন্স প্রায় প্রত্যেক ইতিহাসে পাবেন। বাংলার ইতিহাসে ঘষেটি বেগম, মুঘল সম্রাজ্য কিংবা অটোম্যান আমল হোক- প্রাসাদ যড়যন্ত্রে শাহজাদী-সম্ভ্রান্ত মহিলাদের ইনভল্ভমেন্ট পাবেনই পাবেন।

প্রত্যেক প্রজাতিকে একটা শক্তি দেয়া হয়েছে আবার দূর্বলতাও দেয়া হয়েছে। যেসব প্রাণি দূর্বল তারা অন্য প্রাণির উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। কিছু প্রাণি আছে, অন্য প্রাণীর উপর ডিম পেড়ে চলে যায়। কিছু পরজীবি আছে অন্য প্রাণীর পুষ্টির উপর বেঁচে থাকে। 

একই ভাবে যে জিঘাংসা পুরণ বা ফাইট লড়ার ক্ষমতা নারীর নাই, সেই লড়াই সে কোন ভাবে পুরুষকে দিয়ে করায়। পুরুষের শক্তি পেশি, নারীর শক্তি হলো তার চোখের পানি।  

এই জ্ঞান বর্তমানের পুরুষদের না থাকলেও অটোম্যান স্টেটসম্যানদের ছিল। শাহজাদারা বালেগ হয়ে গেলে তাঁদের সাথে ভালিদে সুলতানদেরও (শেহজাদার মা) সানজাকে পাঠানো হত। এর অন্যতম কারণ ছিল এই যে রাজধানী থেকে দূরে থাকলে মায়েরা ছেলেদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য প্যালেস কন্সপিরেসী করতে পারবে না। 

পারভেজ নবাব নামের এই ছেলেটা পড়ত প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে। ক্যাম্পাসের সামনে পারভেজ তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে সিঙ্গারা খাচ্ছিল। কাছাকাছি দুই নারী শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছি্লো। তারা ধরে নেয় পারভেজ আর তার বন্ধুরা তাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। তাই তারা কাউকে খবর দেয়। বহিরাগত তিনটা ছেলে এসে পারভেজদের কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা বিষয়টি মিটমাট করে দেন। কিন্তু ঐ তিন যুবক আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে পারভেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হতেই তাঁকে ছুড়িকাঘাত করে। 

একটা ছুড়ির আঘাত ঠিক হৃদপিণ্ডের উপর পড়ে। এক ইঞ্চির একটা ক্ষত! মারা যায় পারভেজ। 

তার বুকে যারা ছুরি চালিয়েছে তারা তো খুনি নিঃসন্দেহে। কিন্তু মুল দায়টা কার? কে উস্কে দিল? এই ছেলেগুলো হয়তো গ্রেপ্তার হবে। জেলে পচে মরবে। কিন্তু যাদের কারনে খুন হলো তাদের কিছুই হবে না। 

তারা আজ সকালেও নাস্তা করে সেজগুজে হয়তো ক্যাম্পাসে যাবে। অন্যান্য দিনের মতো একগাদা এটেনশন ও ভ্যালিডেশন এবং দায়মুক্তি নিয়ে ফিরবে বাসায়। 

এরকম ঘটনা অনেক দেখসি তাই, ভাইভ্রাদের প্রতি পরামর্শ হলো নারীত্বের এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। নারীরা সরাসরি ভায়োলেন্সে যায় না। উস্কে দেয়, ম্যানিপুলেট করে। 

এন্ড ইয়েস, অলওয়েজ দায়মুক্তি ভ্যালিডেশনের সুখ নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দেয়। আমরা অন্দরমহলের বিখ্যাত ষড়যন্ত্রগুলোর কথা বললাম। একের পর এক উদাহরন দেয়া যাবে চাইলে। 

একটা ঘটনা হচ্ছে ২০২০ জেনিফার ফেইথ তার এক্স-বয়ফ্রেন্ড ড্যারিন লোপেজকে ম্যানিপুলেট করিয়ে বিশ্বাস করায় যে তার স্বামী জেমি তার উপর শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন করেছে, এবং তাকে খুন করা দরকার। বিশ্বাস হয়তো করতে কষ্ট হবে, এরা ১০০,০০০ এর বেশি মেসেজ আদান-প্রদান করে। পরে লোপেজ জেমিকে খুন করে, তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

২০১১ সালে জোএন গ্রিফিথস তার বয়ফ্রেন্ড পিটার অ্যান্ড্রু হুডকে প্ররোচিত করে তার এক্স, জেসন বিসেলকে হত্যা করতে যাতে তার সন্তানকে দেখার অধিকার না পায়। পরে হুড হত্যা করে পুলিশের কাছে ধরা পরে এবং গ্রিফিথসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। 

জেনিফার কিভাবে লোপেজকে ম্যানিপুলেট করেছিল শুনবেন? 

লোপেজ মিলিটারিতে ছিল। জেনিফার একজন অসহায় নারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে আর লোপেজের পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে। লাইক “কেমন পুরুষ হইলি যে আমার মত অবলা নারীরে বাঁচাইতে পারোস না? তুই কি আসলেই পুরুষ?” 

লোল অনেক পুরুষ ইগোর চোটে এই ফাঁদে পা দিয়ে দেয় তারপর ফলাফল ভোগ করে। এরপর দেখা যায় মেয়েটা নতুন কোন পুরুষের জন্য চ্যাপা শুটকীর ভর্তা বানাচ্ছে। আর ছেলেটা রিয়েল ম্যান মেডেলটা গলায় পরে জেলের ভেতরে কারো পা টিপে দিচ্ছে।    

মেয়েদের ছেলেদের উপর এবিউসের ঘটনা ঘাটলে এই তিন চারটা উপাদানের কোনটা পাওয়া যাবেই- 

১। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল 
২। মিথ্যা অপবাদ (অমুক তমুক না করলে মামলা কইরা দিমু)
৩। পুরুষত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা
৪। রোল সুইচিং 

এই ফলস একিউজেশনের কারণে যে কত ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে হিসাব নাই। মেয়েরা এর সুযোগ নিতে পারে কারণ তাদের মুখের কথা শুনলেই বিশ্বাস করে ফেলে সিম্পানন্দরা। “উঁহু না না, আমার বাবুটা মিথ্যা বলতে পারে না”

রোল সুইচের ব্যাপারটা নিয়ে উইকি পেইজে একটা চমৎকার উদাহরণ আছে। অনেক সময় মেয়েরা জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকে এবং ভান করে যেন তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। সেলফ হার্মের কারণে পাওয়া আঘাতের দোষ স্বামীকে দেয়া হয়। এই ধরনের ‘রোল সুইচ' পুরুষের বিরুদ্ধে মারাত্নক মানসিক নির্যাতন এম্বার হার্ড এই টেকনিক এপ্লাই করেছিল।  

সমাজে যেহেতু এমন ধারণা আছে যে কেবল নারীরা অবলা এবং তারাই এবিউজড হতে পারে, তাই এই 'রোল সুইচ’ টেকনিক পুরুষের পক্ষে ব্যবহার করা কঠিন। পারজেভ নবাবকে নিয়ে যে মূল স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে সেখানে গেলেও দেখবেন নারীরা এসে নারীদের সাফাই গাওয়া শুরু করে দিয়েছে।   

আপনি হয়তো খুব ভাব নিয়ে নারীর জন্য কিছু একটা করে জেলে পচে মরবেন। আর ওই নারী সুখে শান্তিতে সংসার করবে আর বলে বেড়াবে- জানিস, আমার জন্য ২ টা ছেলে মোষের মত মারামারি করেছে”, “জানিস আমার জন্য এক ছাওয়াল আরেকটার মাথা ফাটায় দিসে”- আপনার জন্ম যদি এসব বোকচোদি করার জন্যই তৈরি হয় তাহলে বেস্ট অফ লাক, এসব করে বেড়ান । 

আমার অবস্থান হচ্ছে- সর্বাবস্থায় মাথা thanda kore চিন্তা করতে হবে। যে মেয়ে আপনার পরিবারের সদস্য না সেই মেয়ের জন্য আপনার বিন্দুমাত্র দায় নাই।

হাম্মাদ ওসামা