সত্যি কাহিনী - ( পর্ব ২ )
।। আরেকটি কবরস্থানের রহস্য ।।
আমার এক বড় ভাই একদিন গ্রামের ঐতিয্যবাহী বলি খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন।। রাত তখন ২.৩০ এর মত হবে।। তাদের বাড়ি থেকে একটু পশ্চিম দিকে একটা সামাজিক কবরস্থান আছে।। সেখানে গ্রামের অনেকেরই কবর আছে।। তিনি আসতে আসতে কবরস্থানের কাছে চলে আসলেন ।। তখন হটাত কেনও যেন তার খুব ভয় লাগলো।। তিনি একটা কবরের কাছে ভয়ে দাড়িয়ে গেলেন।। এমন সময় তিনি কোরান পড়ার আওয়াজ শুনতে পেলেন।। তিনি খেয়াল করলেন মসজিদের হূজুরের গলা।। তিনি সাহস করে উকি মেরে হুজুরকে দেখে কবরস্থানে উঠলেন।। গিয়ে হুজুরের পাশ দিয়ে বসলেন।। হুজুর তাকে বললেন, “এতো রাতেএখানে কেনো আসছো??” তিনি বললেন, “আমি বলি খেলা দেখে আসতেছি।। কিন্তু কবরস্থানের পর্যন্ত আসার পর আমার ভয় করতেছে।। আপনাকে দেখে উঠে এলাম।।” হুজুর বললেন, “যাও তুমি বাড়ি চলে যাও।।” তিনি বললেন, “আমার ভয় করে!! আপনি যদি একটু দিয়ে আসেন।।” হুজুর রজি হলেন এগিয়ে দিতে।। দুজন মিলে রাতের অন্ধকারে চলতে লাগলেন।। একটু আসার পরে হুজুর বললেন, “যাও এবার চলে যাও।।” ভাইয়া বললেন, “আর একটু যদি আসতেন।।” এই ভাবে হুজুর তাকে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেলো।। তিনি তার মাকে ডেকে বললেন, “তাড়াতারি দরজা খুলেন।। হুজুর আসছে!!” তার মা হুজুরকে নিয়ে ঘরে আসতে বললো।। তিনি পিছন ফিরে দেখেন হুজুর নাই।। পরের দিন তিনি হুজুরকে গিয়ে বললেন, “হুজুর, কাল রাতে আমাকে দিয়ে আসার জ্ন্য আপনি আমাদের বাড়িতে গেছেন।। কিন্তু ঘরে যাননি কেন?? আম্মা খুব রাগ করেছে।।” শুনে হুজুর যেন আকাশ থেকে পড়লেন।। বললেন, “কই আমিতো কাল আমার বাড়িতে ছিলাম।। বাড়ি থেকে রাতের বেলা বেরই হইনি।।” তখন তিনি হুজুরকে সব খুলে বললেন।। এরপর কবরস্থানটির চারদিকে দেয়াল করে ঘিরে দেওয়া হল যাতে কেউ অযূ ছাড়া উঠতে না পারে।।
সত্যি কাহিনী - ( পবঁ ৩ )
।। ২ টি অদ্ভুত ঘটনা ।।
এটা আমার নানু বাড়ির ঘটনা।। নানু বাড়িতে একটা পাগল ধরনের লোক থাকতো।। সে সবসময় একটু এলোমেলো থাকতে পছন্দ করতো।। একদিন দুপুরে সে মসজিদে গিয়ে বসে পড়ে।। কিছুক্ষণ বসে থাকতে থাকতে তার ঘুম চলে আসে এবং এক পর্যায়ে সে ঘুমিয়ে যায়।। ঘুম ভেঙ্গে যায় প্রচণ্ড জোরে এক থাপ্পর খেয়ে।। সে চোখ খুলেই “কে কে” বলে চিৎকার করে উঠে।। সাথে সাথে আবারো থাপ্পর।। কে যে থাপ্পর দিচ্ছে তা সে খুঁজে পাচ্ছে নাহ।। হটাৎ সে একটা আওয়াজ শুনতে পায়।। তাকে উদ্দেশ্য করে বলছে, “এই রকম অপবিত্র শরীর নিয়ে কখনো মসজিদে প্রবেশ করবে নাহ, আর মসজিদে ঘুমাবে নাহ।।” এটা শুনে সে তো ভয়েই দৌড়।। আমার নানু গ্রামের চেয়ারম্যান ছিলেন।। নানু বাড়িতে এসে পাগলটা সব ঘটনা খুলে বলল।। পাগল মানুষ বলে কেউ ওর কথা প্রথমে বিশ্বাস করেনি।। কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করতেই দেখা গেলো গালে সত্যি সত্যি থাপ্পরের বড় বড় দাগ।।
আরেকটি ঘটনা এরকম।। প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিশাল আকৃতির কুকুর এসে উঠোনে চুপচাপ বসে থাকতো।। সন্ধার পর সে গায়েব হয়ে যেত।। আঁতিপাঁতি করে খুঁজেও তাকে কোথায় পাওয়া যেত না।। আশেপাশের গ্রামে অনেক খোঁজ খবর করা হয় কিন্তু তারা কেউই সেই বিশাল আকৃতির কালো কুকুরটা সম্পর্কে কোন ধারণা দিতে পারলো নাহ।। সে প্রতি সপ্তাহেই ঐ একদিনই আসতে, চুপচাপ বসে থাকতো এবং সন্ধার পর যেনও ঠিক হাওয়ায় মিলিয়ে যেত।। কুকুরটার রহস্য আজও কেও বের করতে পারেনি।।
লেখক / লেখিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।।
।। আরেকটি কবরস্থানের রহস্য ।।
আমার এক বড় ভাই একদিন গ্রামের ঐতিয্যবাহী বলি খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন।। রাত তখন ২.৩০ এর মত হবে।। তাদের বাড়ি থেকে একটু পশ্চিম দিকে একটা সামাজিক কবরস্থান আছে।। সেখানে গ্রামের অনেকেরই কবর আছে।। তিনি আসতে আসতে কবরস্থানের কাছে চলে আসলেন ।। তখন হটাত কেনও যেন তার খুব ভয় লাগলো।। তিনি একটা কবরের কাছে ভয়ে দাড়িয়ে গেলেন।। এমন সময় তিনি কোরান পড়ার আওয়াজ শুনতে পেলেন।। তিনি খেয়াল করলেন মসজিদের হূজুরের গলা।। তিনি সাহস করে উকি মেরে হুজুরকে দেখে কবরস্থানে উঠলেন।। গিয়ে হুজুরের পাশ দিয়ে বসলেন।। হুজুর তাকে বললেন, “এতো রাতেএখানে কেনো আসছো??” তিনি বললেন, “আমি বলি খেলা দেখে আসতেছি।। কিন্তু কবরস্থানের পর্যন্ত আসার পর আমার ভয় করতেছে।। আপনাকে দেখে উঠে এলাম।।” হুজুর বললেন, “যাও তুমি বাড়ি চলে যাও।।” তিনি বললেন, “আমার ভয় করে!! আপনি যদি একটু দিয়ে আসেন।।” হুজুর রজি হলেন এগিয়ে দিতে।। দুজন মিলে রাতের অন্ধকারে চলতে লাগলেন।। একটু আসার পরে হুজুর বললেন, “যাও এবার চলে যাও।।” ভাইয়া বললেন, “আর একটু যদি আসতেন।।” এই ভাবে হুজুর তাকে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেলো।। তিনি তার মাকে ডেকে বললেন, “তাড়াতারি দরজা খুলেন।। হুজুর আসছে!!” তার মা হুজুরকে নিয়ে ঘরে আসতে বললো।। তিনি পিছন ফিরে দেখেন হুজুর নাই।। পরের দিন তিনি হুজুরকে গিয়ে বললেন, “হুজুর, কাল রাতে আমাকে দিয়ে আসার জ্ন্য আপনি আমাদের বাড়িতে গেছেন।। কিন্তু ঘরে যাননি কেন?? আম্মা খুব রাগ করেছে।।” শুনে হুজুর যেন আকাশ থেকে পড়লেন।। বললেন, “কই আমিতো কাল আমার বাড়িতে ছিলাম।। বাড়ি থেকে রাতের বেলা বেরই হইনি।।” তখন তিনি হুজুরকে সব খুলে বললেন।। এরপর কবরস্থানটির চারদিকে দেয়াল করে ঘিরে দেওয়া হল যাতে কেউ অযূ ছাড়া উঠতে না পারে।।
সত্যি কাহিনী - ( পবঁ ৩ )
।। ২ টি অদ্ভুত ঘটনা ।।
এটা আমার নানু বাড়ির ঘটনা।। নানু বাড়িতে একটা পাগল ধরনের লোক থাকতো।। সে সবসময় একটু এলোমেলো থাকতে পছন্দ করতো।। একদিন দুপুরে সে মসজিদে গিয়ে বসে পড়ে।। কিছুক্ষণ বসে থাকতে থাকতে তার ঘুম চলে আসে এবং এক পর্যায়ে সে ঘুমিয়ে যায়।। ঘুম ভেঙ্গে যায় প্রচণ্ড জোরে এক থাপ্পর খেয়ে।। সে চোখ খুলেই “কে কে” বলে চিৎকার করে উঠে।। সাথে সাথে আবারো থাপ্পর।। কে যে থাপ্পর দিচ্ছে তা সে খুঁজে পাচ্ছে নাহ।। হটাৎ সে একটা আওয়াজ শুনতে পায়।। তাকে উদ্দেশ্য করে বলছে, “এই রকম অপবিত্র শরীর নিয়ে কখনো মসজিদে প্রবেশ করবে নাহ, আর মসজিদে ঘুমাবে নাহ।।” এটা শুনে সে তো ভয়েই দৌড়।। আমার নানু গ্রামের চেয়ারম্যান ছিলেন।। নানু বাড়িতে এসে পাগলটা সব ঘটনা খুলে বলল।। পাগল মানুষ বলে কেউ ওর কথা প্রথমে বিশ্বাস করেনি।। কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করতেই দেখা গেলো গালে সত্যি সত্যি থাপ্পরের বড় বড় দাগ।।
আরেকটি ঘটনা এরকম।। প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিশাল আকৃতির কুকুর এসে উঠোনে চুপচাপ বসে থাকতো।। সন্ধার পর সে গায়েব হয়ে যেত।। আঁতিপাঁতি করে খুঁজেও তাকে কোথায় পাওয়া যেত না।। আশেপাশের গ্রামে অনেক খোঁজ খবর করা হয় কিন্তু তারা কেউই সেই বিশাল আকৃতির কালো কুকুরটা সম্পর্কে কোন ধারণা দিতে পারলো নাহ।। সে প্রতি সপ্তাহেই ঐ একদিনই আসতে, চুপচাপ বসে থাকতো এবং সন্ধার পর যেনও ঠিক হাওয়ায় মিলিয়ে যেত।। কুকুরটার রহস্য আজও কেও বের করতে পারেনি।।
লেখক / লেখিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।।