সত্যি কাহিনী - ( পর্ব ৪ )
।। সোবহানবাগের ঘটনা ।।
লেখক বলেছেনঃ “এই ঘটনাটি শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটিতে বিশ্বাস করেন।। এখানে শেয়ার করা প্রত্যেকটি ঘটনাই সত্য।। বিশ্বাস করা বা না করা আপনার উপর।। ধন্যবাদ।।”
এই জগতে সত্যিকারের শয়তান/জিন এদের অস্তিত্ত আছে।। তারা থাকে হয়তো বা খুব গোপন কোনো অন্ধকারাচ্ছন ঘরে।। অথবা থাকতে পারে খুব সাধারন কোনো জায়গায়।। এই ঘটনাটি খুবই সাধারন একটি পরিবারে ঘটা।। অবিশ্বাস হয়তো, কিন্তু বানানো নয়।।
আমার দাদা যখন তার পরিবারসহ একটি নতুন জায়গায় শিফট করেন তখন তিনি খুবই খুশি ছিলেন।। কিন্তু, চাঁদেরও কলঙ্ক থাকে।। তাদের নতুন বাড়িটা ভালো ছিল নাহ।।
আমরা যা দেখি এবং আমরা যা অনুভব করি তার মাঝে একটি দরজা আছে।। যখন সেই দরজাটি খুলে যায়, তখন আমাদের ভয়ঙ্করতম দুঃস্বপ্ন আমাদের জীবনে বাস্তবতা হয়ে নেমে আসে।।
এটি ১৯৬৬ সালের ঘটনা।। আমার দাদা, মৃত বাসুদেব দাসগুপ্তা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সেক্রেটারিতে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি সপরিবারে সোবহানবাগ অফিসার কোয়ার্টারে উঠেন।। আমার বাবা তখন ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।। এখনকার সোবহানবাগ হয়তো আপনার কাছে খুবই আলো ঝলমলে লাগে।। রাস্তায় রাস্তায় বড় বড় দোকান, শপিং মল ইত্যাদি ইত্যাদি।। কিন্তু ৪৪ বছর আগে সেটা ছিল একটা বিরাট জঙ্গলের মত।। এখনকার জামে মসজিদটি ছিল তখন একটি ছোট টিনশেদের মসজিদ।।
প্রথম দিকে বাড়িটা খুবই ভালো ছিল।। কিন্তু যত দিন যেতে লাগলো খারাপ জিনিসের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেলো।। ছাদে গভীর রাতে কারা যেনও লাফাত।। সবাই প্রথমদিকে একটু বিরক্ত হতেন।। আমার বাবার চাচা মৃত হরপ্রশাদ দাসগুপ্তা এবং উনার বন্ধু তৌহিদ একবার আওয়াজ শুনে ছাদে উঠে যান।। তাদের হাতে পিস্তল ছিল।। উনারা ছাদে গিয়ে একটি আগুনের গোলার মত কিছু দেখতে পান।। উনারা গুলি করার সাথে সাথে তা বাতাসে মিলিয়ে যায়।।
এরপর একদিন আমার বাবার এক আত্মীয় আসেন।। তিনি খুবই ধার্মিক লোক ছিলেন।। তিনি পরিষ্কার উপলদ্ধি করেন যে, বাসাটাতে খারাপ জিনিসের প্রভাব রয়েছে।। খুব সম্ভবত এই জায়গাটি আগে একটি কবরস্থান ছিল।। সেটি সরকার ভেঙ্গে ফেলে নতুন কোয়ার্টার তৈরি করেছে।। তিনি পবিত্র নাম নিয়ে ৪ টা বড় বড় গজাল বাড়ির চারপাশে ঢুকিয়ে দেন।। এরপর থেকে আর কোনোদিন সেই লাফানোর শব্দ পাওয়া যায়নি।।
সম্ভবত সেই খারাপ জিনিসটি এরপর তার নতুন ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিল।।
লেখক/ লেখিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।।
।। সোবহানবাগের ঘটনা ।।
লেখক বলেছেনঃ “এই ঘটনাটি শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটিতে বিশ্বাস করেন।। এখানে শেয়ার করা প্রত্যেকটি ঘটনাই সত্য।। বিশ্বাস করা বা না করা আপনার উপর।। ধন্যবাদ।।”
এই জগতে সত্যিকারের শয়তান/জিন এদের অস্তিত্ত আছে।। তারা থাকে হয়তো বা খুব গোপন কোনো অন্ধকারাচ্ছন ঘরে।। অথবা থাকতে পারে খুব সাধারন কোনো জায়গায়।। এই ঘটনাটি খুবই সাধারন একটি পরিবারে ঘটা।। অবিশ্বাস হয়তো, কিন্তু বানানো নয়।।
আমার দাদা যখন তার পরিবারসহ একটি নতুন জায়গায় শিফট করেন তখন তিনি খুবই খুশি ছিলেন।। কিন্তু, চাঁদেরও কলঙ্ক থাকে।। তাদের নতুন বাড়িটা ভালো ছিল নাহ।।
আমরা যা দেখি এবং আমরা যা অনুভব করি তার মাঝে একটি দরজা আছে।। যখন সেই দরজাটি খুলে যায়, তখন আমাদের ভয়ঙ্করতম দুঃস্বপ্ন আমাদের জীবনে বাস্তবতা হয়ে নেমে আসে।।
এটি ১৯৬৬ সালের ঘটনা।। আমার দাদা, মৃত বাসুদেব দাসগুপ্তা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সেক্রেটারিতে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি সপরিবারে সোবহানবাগ অফিসার কোয়ার্টারে উঠেন।। আমার বাবা তখন ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।। এখনকার সোবহানবাগ হয়তো আপনার কাছে খুবই আলো ঝলমলে লাগে।। রাস্তায় রাস্তায় বড় বড় দোকান, শপিং মল ইত্যাদি ইত্যাদি।। কিন্তু ৪৪ বছর আগে সেটা ছিল একটা বিরাট জঙ্গলের মত।। এখনকার জামে মসজিদটি ছিল তখন একটি ছোট টিনশেদের মসজিদ।।
প্রথম দিকে বাড়িটা খুবই ভালো ছিল।। কিন্তু যত দিন যেতে লাগলো খারাপ জিনিসের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেলো।। ছাদে গভীর রাতে কারা যেনও লাফাত।। সবাই প্রথমদিকে একটু বিরক্ত হতেন।। আমার বাবার চাচা মৃত হরপ্রশাদ দাসগুপ্তা এবং উনার বন্ধু তৌহিদ একবার আওয়াজ শুনে ছাদে উঠে যান।। তাদের হাতে পিস্তল ছিল।। উনারা ছাদে গিয়ে একটি আগুনের গোলার মত কিছু দেখতে পান।। উনারা গুলি করার সাথে সাথে তা বাতাসে মিলিয়ে যায়।।
এরপর একদিন আমার বাবার এক আত্মীয় আসেন।। তিনি খুবই ধার্মিক লোক ছিলেন।। তিনি পরিষ্কার উপলদ্ধি করেন যে, বাসাটাতে খারাপ জিনিসের প্রভাব রয়েছে।। খুব সম্ভবত এই জায়গাটি আগে একটি কবরস্থান ছিল।। সেটি সরকার ভেঙ্গে ফেলে নতুন কোয়ার্টার তৈরি করেছে।। তিনি পবিত্র নাম নিয়ে ৪ টা বড় বড় গজাল বাড়ির চারপাশে ঢুকিয়ে দেন।। এরপর থেকে আর কোনোদিন সেই লাফানোর শব্দ পাওয়া যায়নি।।
সম্ভবত সেই খারাপ জিনিসটি এরপর তার নতুন ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিল।।
লেখক/ লেখিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।।