Monday, May 6, 2013

ভূতুরে হাসপাতাল [Ghost Stories-31]


ভূতুরে হাসপাতাল 


আমেরিকার ম্যাসাচুচেস্ট অঙ্গরাজ্যের সালেম নগরীতে অবস্থিত ডেনভার স্টেট হসপিটালটি ভৌতিক কর্মকান্ডের জন্য
কুখ্যাতি অর্জন করেছে ! এটি মূলত একটি মানসিক হাসপাতাল ছিল যা ১৮৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মানসিক রোগিদের চিকিত্সার জন্য স্যার উইলিয়াম হার্বার্ট এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেন ॥ শুরুর দিকে হাসপাতালটির কর্মকান্ডভালভাবে চললেও বছর পাঁচেক পর এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় স্যার উইলিয়াম হার্বার্টের মৃত্যু হলে হাসপাতালটির কর্মকান্ডে আসে আমূল পরিবর্তন ॥ স্যার উইলিয়াম হার্বার্টের মৃত্যুর পর এইখানকের রোগীদের উপর আহ্মরিক অর্থেই নরক নেমে আসে ॥ 

রোগীদের মারধর ,ইলেকট্রিক শক থেকে শুরু করে হাইড্রোথেরাপি পর্যন্ত দেওয়া হত ॥ এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৮৫
সালে ব্রায়ান হ্যারিস নামকএক মানসিক রোগীর উচ্চ ইলেকট্রিক শকের দরুন মৃত্যু হয় !

পরে তার লাশ অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে হাসপাতালেরই এক নির্জন জায়গায় কবর দেওয়া হয় ! এই ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় হাসপাতাল কর্মী মাইক হ্যারিসের মৃত্যু হয় ॥ তার মুন্ডুহীন লাশ হাসপাতালের পিছনের উঠানে আবিষ্কৃত হয় ! এরও ঠিক এক সপ্তাহ পর হাসপাতালের ডাক্তার এফ .হেনরির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় তারই কহ্মে! এই দুইজনই ছিলেন ব্রায়ান হ্যারিসের হত্যাকারী ! তারা তাদের পৌশাচিক আনন্দ লাভের জন্য রোগীদের উপর বিভিন্ন নির্যাতন চালাত! হতভাগ্য ব্রায়ান হ্যারিস ছিলেন তাদের সেই পৌশাচিক আনন্দের শিকার ॥ এই ঘটনার পর হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয় ॥ 

তবে আজও গভীর রাতে হাসপাতাল থেকে ভেসে আসে যন্ত্রনাকাতর চিত্কার! মাঝে মাঝে আলোর ঝলকানিও চোখে পড়ে ! এখানকার নিরাপত্তাকর্মীর  মাঝে মাঝে ভারী পায়ে হেঁটে যাওয়ার আওয়াজও শুনতে পান ! কেউ যদি হাসপাতালটি দেখতে চান তবে তাদেরকে শুধু হাসপাতাল চত্বরেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয় কখনই হাসপাতালটির ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না !

|| অপদেবতা || [Ghost Stories-30]


|| অপদেবতা ||


গুড্র বঙ্গা সাঁওতালদের ভাষায় গুড্র মানে ছোট আর বঙ্গা মানে অপদেবতা । এই গুড্র বঙ্গা নাকি দেখতে বামন আকৃতির, আমাদের গ্রাম আর সিলেটের মৌলভিবাজার জেলায় এমন অনেক কাহিনী শোনা যায় যেখানে অনেকেই এই বামন আকৃতির মানুষ দেখেছেন । আমি আমার মেজো আর ছোট মামার সাথে ঘটনা শেয়ার করছি ।

আমার ছোট মামা ক্লাস 10 এ পড়তেন তখন, খুব ফুটবল খেলতে পছন্দ করতেন । খেলার মাঠটা একটা নদীর তীরে ছিল, মাঠে যেতে হলে একটা কবরস্থানের পাশ দিয়ে যেতে হত । একবার ফুটবল খেলা শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে যায় । মামা একা একা বাড়ি ফিরছে, কবরস্থানের পাশে আসতেই মামা দেখে কবরস্থানে একটা ছোট বাচ্চা মামাকে দেখে লুকোচুরি খেলছে । বাচ্চাটার পরনে কিছুই ছিল না । গায়ের রঙ কালো, চোখগুলো বড় বড়, চোখের পাপড়ি নেই । হঠাৎ দেখে বাচ্চাটা মামার সামনে এসে হাঁটতে লাগল, মামা ভাবল গ্রামের কারো বাচ্চা হবে । মামা একটা ধমক দিল, দেওয়ার সাথে সাথেই বাচ্চাটা দৌড় দিল । এর পর মামা দেখল উনি বাড়িতে যাচ্ছে, এদিকে এশার আজান দিয়ে দিয়েছে কিন্তু মামা বাড়ি ফিরেনি । মামাকে খুঁজতে নানাভাই বের হলেন, সব জায়গায় খোঁজার পর মামাকে প...াওয়া গেল কবরস্থানের একটি গাছের নিচে । মামা ঝিমাচ্ছে, চোখ অর্ধেক খোলা । নানাভাই মামাকে ধরতেই মামা কাঁপুনি দিয়ে ওঠে । নানাভাই মামাকে বলে এই কবরস্থানে কেন উনি । মামা বলে উনি তো বাসায়, উনি কবরস্থানে কেন এটা উনি নিজেও জানেন না । এটা কি হতে পারে ওই জিনিসটা মামাকে পথ ভুলিয়ে দিয়েছিল? পরে মামাকে শরীর বন্ধ করার তাবিজ দেওয়া হয় ।

আমার মেজো মামা তখন কলেজে পড়েন । এক ভর দুপুরে মামা নদীর পাড় দিয়ে হেটে আসছিলেন । একটা আখক্ষেত দেখে মামা আখ ক্ষেতের একে বারে মাঝে ঢুকে আখ ভাঙতে লাগলেন । হঠাৎ উনি দেখেন কিছু দূর সামনে একটা বাচ্চা আখ ভাঙছে । মামার মাথায় তখন অন্য কিছু আসে নি, মামা ওইটাকে ধমক দেন । ওই বাচ্চাটা মামার দিকে ফিরে তাকায়, বাচ্চাটার গায়ে কিছুই ছিল না শুধু গায়ে লোম ছিল কালো কালো । মামাকে দেখে ওইটা আখ ক্ষেতের মাঝে লুকিয়ে যায় । মামা একটা আখ ভেঙে চলে আসবে হঠাৎ দেখে ওই বাচ্চাটা উনার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে । চোখগুলো লাল, এভাবে একে একে ৫ টা বাচ্চা আখক্ষেত থেকে বের হল । মামা প্রচণ্ড ভয় পেল, ওরা মামাকে ঘেরার আগেই মামা দৌড়ে আখক্ষেত থেকে বের হয়ে আসেন । এক দৌড়ে বাড়ি পৌঁছে মামা অজ্ঞান হয়ে যান ।

এই বামন আকৃতির বাচ্চাগুলো শুধু নদীর পাড়েই পাওয়া যায় । ভূত এফ এম এর সাঁওতাল মেয়ে বলেছিলেন সাঁওতালরা কিছু আধ্যাত্মিক সাধনা করতে গুড্রবঙ্গাদের পালন করে । এটা কি হতে পারে নদীর পাড়ে যে বেদেরা থাকে তারাও এই ধরণের আধ্যাত্মিক জ্ঞান চর্চা করতে গুড্রবঙ্গাদের পালন করে? এই কথাটা বললাম কারণ হতে পারে আমার মামাদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছিল তখন নদীর পাড়ে কোন উপজাতি বাস করত...............