Monday, May 6, 2013

# বীভৎস নারী # [Ghost Stories -27]


# বীভৎস নারী #


ঘটনাটি খুব ছোট। কিন্তু সেদিনের পর থেকে তা আমার জীবনের কয়েকটা কাজকর্ম আমূল পাল্টে দেয়।

আমি গ্রামের ছেলে। মফঃস্বল শহরে একটা কলেজে পড়ার জন্য গ্রাম ছেড়ে মফঃস্বলে চলে আসি। এখানে আমার এক কাকার বাসায় থাকতাম।

যাই হোক, ছুটি ফাটা বা বৃহস্পতিবার কলেজ শেষে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতাম। একদিন থেকে পরের দিন সকালে চলে আসতাম ক্লাস ধরার জন্য।

তেমনি করে এক বৃহস্পতিবার আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। কলেজে ব্যাবহারিক ক্লাসের কিছু কাজ থাকায় বের হতে একটু দেরি হয়ে যায়। ঠিক ৫ টার দিকে বাসে উঠি আমি। বাড়ি ১ ঘণ্টার রাস্তা। অর্থাৎ, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আমি ৬ টার দিকেই গ্রামের রাস্তায় পৌঁছে যাবো।

বলে রাখা দরকার, তখন শীতকাল ছিল। যারা গ্রামে থাকেন তারা জানেন যে, শীতকালে গ্রামে-হাটে যাত্রাপালা, নাটক ফাটক বেশি হয়। আমি যখন গিয়ে বাস থেকে নামি তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। রাতের আলোতে দেখলাম গ্রামের বাজারে শহর থেকে একদল নাট্যকর্মী গেছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতি ছোট বেলা থেকেই আমার বেজায় ঝোঁক। অনুষ্ঠান দেখলাম প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। রাত তখন সাড়ে ৮টা বাজে প্রায়। আর দেরি করলে মা চিন্তা করবে। এখানে বলে রাখা ভালো, তখনো আমার গ্রামে মোবাইল এতো একটা জনপ্রিয় ছিল না। তাই চাইলেও আমি মাকে ফোন করে জানাতে পারছিলাম না। অগত্যা বাড়ির দিকে রওনা হই।

বাজারের সব মানুষই তখন নাটক দেখতে ব্যাস্ত। পথে চলতে চলতে লক্ষ্য করলাম, প্রায় সব দোকানই বন্ধ করে দোকানিরা গেছে নাটক দেখতে। এমনকি হাঁটার পথে কারো সাথে যাবো এমন মানুষও দেখলাম না। মাথার উপর বিরাট থালা আকৃতির চাঁদ। বিসমিল্লাহ বলে হাঁটা দিলাম।

আমাদের বাজার থেকে বাড়ি প্রায় মাইলখানেক। হেঁটে যেতে ২০ মিনিটের মতো লাগে। আমি নিজের মনে গুনগুন করতে করতে হাঁটতে লাগলাম। মিনিট পাঁচেক হেঁটেছি, এমন সময় রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে খসখস আওয়াজ পেলাম। প্রথমে ভাবলাম মনের ভুল। পাত্তা না দিয়ে হেঁটে এগুতে লাগলাম। মিনিটখানেক সব চুপচাপ। এরপর আবার রাস্তার পাশে কেমন যেনও খসখস শব্দ হলো। এবার খানিকটা ভয় পেলাম। রাতের বেলা গ্রামের পথে শেয়াল চলাচল করে। একা মানুষ পেলে নাকি মাঝে মাঝে আক্রমণ করে বসে। শেয়াল তাড়ানোর জন্য গ্রামের মানুষ লাইট, টর্চ লাইট, নিদেনপক্ষে আগুন নিয়ে ঘুরে। আমার কাছে তার কিছুই নেই। কি করা যায় ভাবছি। এই অবস্থায় যথা সম্ভব মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয়। সাহস হারানো মানে ক্ষতি হবার সম্ভবনা। মনের সব জোর একত্রে করে বলাম, হুর হুর হুস হুস! একটা-দুটো হলে হয়তো গলা শুনেই চলে যাবে। এই ভেবে এমন করা। ঝোপের পাশের আওয়াজ থেমে গেলো একবারে। হটাত করে চারপাশে নেমে এলো সুনসান নীরবতা।

আমার স্পষ্ট মনে আছে সেই ক্ষণটা। ঝোপের পাশ থেকে সাদা কাপড় পড়া একটা মহিলা মতন কে যেনও বের হয়ে এলো। তার উচ্চতা সাধারন মানুষের দ্বিগুণ হবে কমপক্ষে। প্রথমে ভাবলাম চোখে ভুল দেখছি। কিন্তু চেহারার দিকে তাকাতেই মনের ভুল ভেঙ্গে গেলো।

চাঁদের আলোতে চারপাশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। সেই আলোয় দেখলাম, বীভৎস এক মুখ। চোখের জায়গাটা গর্ত, কিন্তু কোনও মণি নেই। কপালের মাঝখান বরাবর এক দগদগে ঘায়ের মতো। সেখান থেকে একটি চোখ জ্বলজ্বল করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। হাতগুলো শরীরের দিকে কেমন যেনও বাকা হয়ে আছে। অনেকটা পোলিও আক্রান্ত মানুষদের মতো। চিকন চিকন হাত। মুখ ঘুরে আমার চোখ আসলো সেই মহিলার পায়ের দিকে। দেখলাম পায়ের পাতা পিছন দিকে বাঁকানো। আমার আর বুঝতে অসুবিধা হল না যে আমি কিসের পাল্লায় পড়েছি। যেনও আমার মনের ভাব বুঝতে পেরেই আমার দিকে তাকিয়ে কুৎসিত একটা হাসি দিলো সেই মহিলা। এরপর মাথাটা নিচের দিকে দিয়ে পা শরীরটাকে হেঁচড়ে হেঁচড়ে আসতে লাগলো আমার দিকে। আমার এদিকে ভয়ে দম বন্ধ হয়ে যাবার দশা। প্রানপনে চেষ্টা করছি সুরা কালাম পড়ার। কারণ মা বলতো, এসব আসে পাশে আসলে বা উপস্থিতি টের পাওয়া গেলে সুরা পড়তে হয়। সুরা পড়লে এগুলো চলে যায়। কিন্তু বিশ্বাস করুন, অজানা এক ভয়ে আমার তখন বেহুশ হবার অবস্থা। কোনও সুরা তো মনে পড়ছেই না উল্টা চিৎকার করার শক্তিও যেনও হারিয়ে ফেলছি। নিজেকে বাঁচানোর কোনও আশা দেখছিলাম না।

মহিলাটা এগিয়ে এসে এক হাতে আমাকে ধরতে নিলো। কিন্তু আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে আমাকে ধরার সাথে সাথে ঘুত টাইপের একটা আওয়াজ করে ছিটকে পিছিয়ে গেলো। আমি কিছু বুঝে পেলাম না। দেখলাম, সেই মহিলা আতঙ্কিত হয়ে আমার গোলার কাছের আল্লাহু লেখা তাবিজটির দিকে তাকিয়ে আছে। ঘটনা বুঝতে আমার ২ সেকেন্ড সময় লাগলো। বুঝতে পারলাম, আল্লাহর নাম দেখে সে আমাকে ধরতে পারছে না। মনে মনে মাকে ধন্যবাদ দিলাম। মা বলতো ছোট বেলায় একবার আমাকে নাকি নিয়ে যাওয়ার জন্য জীন এসেছিলো। তার পর থেকে আমার গলায় এই তাবিজটা থাকতো। আমি কখনো খুলতাম না।



এই ফাঁকে হটাত দূরে কিছু মানুষের আসার আওয়াজ শোনা গেলো। তাকিয়ে দেখলাম হাতে টর্চ লাইট নিয়ে কারা যেনও আসছে। আমি লোকগুলোর দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সামনে মহিলাটির দিকে তাকালাম। আমার দিকে আগুন চোখে তাকিয়ে সেই মহিলা বলল, আজকে বেঁচে গেলি। পরেরদিন দেখবো তোকে কে বাঁচায়!

এই বলে আমার চোখের সামনে সেটি কুণ্ডলী পাকিয়ে একটি সাদা ধোঁয়ায় পরিণত হল। আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না। জ্ঞান হারালাম।

যতদূর শুনেছিলাম, বাজার থেকে নাটক দেখে ফেরার পথে কিছু লোক আমাকে পেয়ে সেই রাতে বাসায় পৌঁছে দেয়। আমি প্রায় ৪-৫ দিন অচেতন হয়ে বাসায় পরে ছিলাম। সেই সময় নাকি প্রতি রাতেই আমাদের বাসার চালে প্রচুর পরিমাণ ঢিলের আওয়াজ হতো। কে বা কারা একনাগাড়ে ঢিল দিতো, বাড়ির পাশের বাগানে গাছপালা ভাঙার শব্দ পাওয়া যেত। আমি এইসময়ে খুব দুর্বল হয়ে পড়ি। স্বাস্থ্য ফিরে পেতে আমার প্রায় ২ মাস সময় লাগে।

ঘটনাটি জানিয়েছেনঃ আহসান সেলিম অরণ্য (Ahsan Selim Oronno)

আমার বন্ধু রিয়ান -শেষ পর্ব [Ghost Stories -26]


আমার বন্ধু রিয়ান -শেষ পর্ব


কি তবে অশরীরী কিছু একটা?? আর কিছু ভাবতে পারলাম না ঠান্ডার মধ্যে ভয়ে শরীর আরো ঠান্ডা হয়ে যেতে লাগলো। কোন মতে কাপতে কাপতে বাড়িতে ঢুকলাম। অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছি;চাচা-ফুপু ও ভাইবোন গুলোর সাথে ঠিকমত কথা বলতে পারলাম না। সারাক্ষণ এক ধরনের অস্বস্তি লেগেই থাকলো। অনেক কষ্টে বাবাকে বুঝিয়ে পরদিন ঢাকার পথে রওনা হলাম। বিকালে ঢাকার বাসায় ঢুকলাম আমি একা। সারাদিন জার্নি করে এসেছি তাই বিকালে আর কোথাও গেলাম না। বাসায় শুয়ে বসে কাটিয়ে দিলাম। রিয়ানের আম্মাকেও ফোন দিলাম না কারণ জানি রিয়ানকে পাওয়া যায়নি। সন্ধার পর অস্বস্তি কাটাতে টিভি দেখতে বসলাম। এবার খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা পড়ে গেছে ঢাকায়। বাসায় বসেই হাত পা জমে যাওয়ার যোগাড় হয়েছে। ফোন বাজতেই রিসিভ করলাম। পাড়াঁত বড়ভাই ফোন করেছে;আড্ডা দিতে ডাকলো. সারাবিকেল তো বাসায় বসে ছিলাম তাই কিছু না বলে আমিও বের হলাম বাসা থেকে। ফিরলাম একটু দেরি করেই। বাসায় একা, কিছুই তো করার নাই ; একটিভি দেখা ছাড়া। তার থেকে আড্ডা দেয়া ভালো ছিলো। মন ভালোই ছিলো এতক্ষণ,এখন আবার নিজেকে খুব একা মনে হলো। রিয়ানকে মিস করা শুরু করলাম। লক খুলে বাসায় ঢুকতেই মনে হলো আমি কোন চুলার মধ্যে ঢুকলাম। এত গরম কেন বাসার ভিতরে আর কি বাজে পোড়া গন্ধ!! ভাবলাম জানলাগুলো আটকানো আছে এজন্য হয়ত গরম হয়ে উঠেছে ভিতরটা। ভ্যাপসা গরমে মনে হলো সিদ্ধ হয়ে যাবো।আমার রুমে ঢুকে লাইট জ্বালাতেই ভূত দেখার মত চমকে উঠলাম!! আমার বিছানায় রিয়ান বসে আছে। পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি ওর মুখে গলায় কেমন কালো কালো দাগ। মায়াভরা চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছে ও আমার দিকে। বোবার মত নাকি সম্মোহিতের মত আমিও তাকিয়ে আছি ওর দিকে,ঠিক বুঝতে পারছি না। এত গরমের মাঝেও শীতল স্রোত অনূভব করলাম মেরুদন্ডে। জানি না হয়ত আমার মনের কথা বুঝতে পেরেই রিয়ান বলে উঠলো আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করিস না স্বাধীন। শুধু চল আমার সাথে। প্লিজ চল। রিয়ান যেহেতু বলছে আমি অবশ্যই যাবো ওর সাথে কিন্তু এখন রাত মোটামুটি ১টা বাজে; এত রাতে ও আমাকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়। বেশ খটকা লাগলো আমার। এবারও আমার মনের কথা বুঝতে পেরেই রিয়ান বলে উঠলো আমি সময়মত সব বলবো তোকে,এখন চল আমার সাথে। আমার হাতে বেশি সময় নেই। না বলার মত শক্তি ছিলো না আমার গায়ে। মনে হচ্ছিলো কেউ স্ট্র দিয়ে বোতল থেকে পেপসি খাওয়ার মত আমার শরীর থেকে সব শক্তি শুষে নিয়েছে। চুপচাপ রাস্তায় বেড়িয়ে পড়লাম রিয়ানের সাথে। রিয়ান আমার সামনে হাটছে আর আমি পিছনে। কেমন আজব এক ধরনের অনূভুতি কাজ করছিলো আমার ভিতরে। খুব বেশিক্ষণ না,আমার অনুমান মত প্রায় ১০ মিনিট হাটার পর খেয়াল করলাম আশে পাশে কোন বাড়ি-ঘর নেই,রাস্তার লাইট পোস্টের বাতিগুলোও জ্বলছে না। যতদূর চোখ যায় শুধু মাঠ আর মাঠ। খেয়াল করিনি কখন রিয়ান আমার পাশে চলে এসেছেএখন ও আমার সাথে সাথেই হাটছে, প্রায় নিঃশব্দে। নিরবতা ভেংগে অন্ধকারের মাঝে একসময় রিয়ানের গলা শুনতে পেলাম। খুব আস্তে,সময় নিয়ে নিয়ে রিয়ান বলতে শুরু করলো রাত জেগে রাস্তায় রাস্তায় হাটা আমার স্বভাব। প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছিলো আমার সেটা। তুই সবই জানিস।

সেদিন রাতেও বেরিয়েছি হাটতে। রাতের সুনসান নিরবতা আর অবিরত অন্ধকারের মাঝে নিজেকে খুজতে শুরু করেছি মাত্র,এই তো এই রাস্তাতেই। তোর সাথে কথা বলছিলাম তখন সাঁ করে একটা জিপ আমার পাশ দিয়ে কিছুদূর গিয়ে থামলো। এত রাতে একটা জিপকে এই নির্জন রাস্তায় থামতে দেখে আমার ভারী অবাক লাগলো। ফোনটা কেটে দিয়ে এগিয়ে গেলাম ঘটনা কি দেখতে। ততক্ষণে কতগুলো লোক জিপ থেকে একটা মেয়েকে নিয়ে নামলো। মেয়েটার কান্না শোনা যাচ্ছিলো থেকে থেকে। ঘটনা কি ঘটতে চলেছে বুঝতে পারলাম। মাথায় একটা
চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিলো কিভাবে মেয়েটাকে বাচানো যায়।

হঠাৎ একটা ছেলে কোথ্থেকে উদয় হয়ে এগিয়ে গেলো জিপটার দিকে। ততক্ষণে লোকগুলো মেয়েটিকে নগ্ন করে ফেলেছে। ছেলেটিকে দেখে লোকগুলো থেমে গেলো এবং তাদের মধ্যে থেকে একজন এসে ছেলেটিকে চলে যেতে বললো।

ছেলেটি মেয়েটিকে ওই পশুদের অত্যাচার হতে বাঁচাতে চাইলো, সে ওদের বাধা দেবার জন্য এগিয়ে গেল। কিন্তু একা ছেলেটির পক্ষে এতগুলো লোককে সামলানো সম্ভব ছিলো না, ফলে মার খেতে খেতে দূর্বল হয়ে পড়লো ছেলেটি। লোকগুলো ছেলেটি কে উঠিয়ে নিয়ে চললো ঔ ইটভাটাটির দিকে হাত উচিয়ে দিক নির্দেশ করলো আমাকে রিয়ান। ওর কথা মন দিয়ে শুনছিলাম। আশে পাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার আর নেই। আবছা আলো আধারিতে আশে পাশের মাঠ দেখা যাচ্ছে অস্পষ্টভাবে। রিয়ানের নির্দেশ করা দিকে তাকাতেই দেখলাম কিছু একটা রয়েছে সেখানে উচু মত; হ্য়ত ইটভাটাই। রিয়ান আবার বলতে শুরু করলো ইটভাটা টা পুরানো এবং ভাংগা। এখানে এখন আর ইট পোড়াঁনো হয় না। তবুও ভিতরে পোড়াঁর মত কিছু কাঠ ছিলো। লোকগুলো ছেলেটিকে ইটভাটার মধ্যে ফেলে জ্যান্তই আগুন ধরিয়ে দিলো। সারা শরীরে উত্তাপ অনূভব করে ছেলেটি, কিন্তু নড়াচড়ার শক্তি না থাকায় কিছুই করতে পারলো না। অনেক গরম আর অনেক ব্যাথা। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে ছেলেটি, গায়ে অসহ্য ব্যাথা নিয়ে। একসময় পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে যায়। আগুনও নিভে যায় আস্তে আস্তে। পুরোপুরি না জ্বললেও শরীরের সিংহভাগই চলে যায় তার আগুনের দখলে। দগ্ধ লাশটি ওখানেই পড়ে থাকে, কেউ খুজতে আসে না ছেলেটাকে!!

রিয়ান থেমে যায়।

বলবো বলবো করে বলেই ফেলি আমি ছেলেটা এভাবে তোর চোখের সামনে মারা গেলো, তুই কেন বাচাতে পারলি না ছেলেটাকে?? রিয়ান কিছু না বলে হাটতে শুরু করে ইটভাটা-টির দিকে।

আমি ডাকি পিছন থেকে ওকে।

রিয়ান তবুও থামে না। হেটেই চলে। গরমে ঘেমে আমি মোটামুটি গোছল করে ফেলেছি। আমি আবারও ডাকি রিয়ান দাড়া। কোথায় যাচ্ছিস? এবার রিয়ান কথা বলে উঠে আমার সময় শেষ স্বাধীন। ওখানেই ফিরে যেতে হবে আমাকে। আমার শরীরটা যে ওখানেই পড়ে আছে সেই কবে থেকে!!! কেউ খুজতে আসে না!!!

আমার চোখের সামনেই রিয়ান ইটভাটার ভিতরে অদৃশ্য হয়ে যায়। ভোররাত্রির নিরবতা ছাপিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে আমি না! ঐ ছেলেটা তুই কিছুতেই হতে পারিস না রিয়ান!!

ঠান্ডার মধ্যে শরীর আরো ঠান্ডা হয়ে উঠে এবার!!


সমাপ্ত

ঘটনাটি জানিয়েছেনঃ রোদেঁশী