■এক রিকশাওয়ালা■
ঘটনাটি আমার এক বড় ভাই আনিসের কাছ থেকে
শোনা।ঘটনাটি ঘটেছিল জামালপুরে
।জামালপুরে একজন রিক্সাচালক ছিল ।সে
অতিরিক্ত ইনকামের জন্য রাতের বেলা বেশিরভাগ সময়
রিক্সা চালাতো ।কারন রাতের বেলা ভাড়াটা বেশি
পাওয়া যায় বা দূরের যাত্রি
পাওয়া যায় যেহুতু সেখানেরেলস্টেশন আছে
।একদিন সে রেলস্টেশনে
দাড়িয়ে আছে ।আর কোন রিক্সাওয়ালা
তেমন একটা নাই ।অনেক রাত ।একটা লাস্ট ট্রেন যেটা আসবে সেটা
২ঘন্টার মত দেরী করে ফেলছে
।হঠাত্ ট্রেনটি আসল এবং
একজন মাত্র প্যাসেন্জার নামল
।লোকটা স্যুট,বুট পড়েছিল এবং হাতে ছিল
একটা ব্রিফকেস । লোকটা এসে
রিক্সাওয়ালাকে বলল যাবা ।রিক্সাওয়ালা
বলল যাবো,কোথায়?লোকট া বলল আমি যেদিকে বলবো
সেদিকে চলো । রিক্সাওয়ালা
চালাচ্ছে । চালাতে চালাতে জামালপুরের সবচেয়ে বড় যে কবর স্থানটা সেখানে গেল
।সাধারনত কবরস্থানের গেটে
বিশাল বড় একটা তালা থাকে
।লোকটা যখন গেটের সামনে গিয়ে
দাড়াল তালাটা autometic খুলে গেল ।
রিক্সাওয়ালা তখন এই
দৃশ্য দেখতেছে ।লোকটা
ভেতরে চলে গেল ।অনেকক্ষন পরে সে হাতে করে কিছু একটা নিয়ে আসতেছে । কাপড়ে ঢাকা একটা
ছোটখাট লাশ এই টাইপের কিছু একটা নিয়ে আসতেছে । তো সে রিক্সার কাছে
আসল এবং রিক্সাওয়ালাকে
বলল আমাকে যেখান থেকে নিয়ে আসছো
সেখানে চলো । রিক্সাওয়ালা তাকে
নিয়ে প্যাডেল করতেছে খুব ভয়ে ভয়ে । পেছনে সে শব্দ
শুনতেছে হাড চাবাই চাবাই খেলে যে
শব্দটা হয় সেরকম এবং কিছু ছুড়ে ফেলে
দিচ্ছে এরকম শব্দ সে শুনতেছে ।সে
ভয়ে হোক যেভাবেই হোক সে আবার
স্টেশনে পৌছাতে পারছিল ।পৌছানোর পর লোকটা বলল এতক্ষন যা দেখলা বা শুনলা
এটা কাউকে কখনও বলবা না আর তোমাকে
কত ভাড়া দেব ।রিক্সাওয়ালা কিছু বলে নাই এবং তার হাতে একটা
তামার পয়সা দেয়া হয় ।ঐ ট্রেনটি তখনও ওখানে এবং যে স্টেশন
মাস্টার সেও সেখানে নাই । পরে জানা গেছে ঐদিন
নাকি ট্রেন ধর্মঘট ছিল ।তারপর রিক্সাওয়ালা
সেন্সলেস হয় ।সকাল বেলা আশেপাশের যে রিক্সাওয়ালা ছিল এসে দেখে সে
সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে
।সারারাত বৃষ্টি হওয়ায় সে
বৃষ্টিতে ভেজা । পরে রিক্সাওয়ালা
ঘটনাটি তার বউ এর সাথে শেয়ার করে । কথাটি শুনে আগ্রহ
হয়ে এগিয়ে যায় আশেপাশের লোকজন
।কথাটা যখন সে শেষ করছে এবং পয়সাটা
দেখায়ছে তখন সে হঠাত্ করে এব
নরমালের মত হয়ে গেল এবং তার নাকে মুখে রক্ত উঠে মারা যায় সাথে
সাথে ঐ জায়গায় ।ঐ পাড়ার
লোকজন এ ঘটনাটি স্বচক্ষে
দেখছিল ।
উত্সঃ ভুত এফ এম।