Tuesday, May 7, 2013

■এক রিকশাওয়ালা■ [Ghost Stories-42]



এক রিকশাওয়ালা 



ঘটনাটি আমার এক বড় ভাই আনিসের কাছ থেকে শোনা।ঘটনাটি ঘটেছিল জামালপুরে ।জামালপুরে একজন রিক্সাচালক ছিল ।সে অতিরিক্ত ইনকামের জন্য রাতের বেলা বেশিরভাগ সময় রিক্সা চালাতো ।কারন রাতের বেলা ভাড়াটা বেশি পাওয়া যায় বা দূরের যাত্রি পাওয়া যায় যেহুতু সেখানেরেলস্টেশন আছে ।একদিন সে রেলস্টেশনে দাড়িয়ে আছে ।আর কোন রিক্সাওয়ালা তেমন একটা নাই ।অনেক রাত ।একটা লাস্ট ট্রেন যেটা আসবে সেটা ২ঘন্টার মত দেরী করে ফেলছে ।হঠাত্ ট্রেনটি আসল এবং একজন মাত্র প্যাসেন্জার নামল ।লোকটা স্যুট,বুট পড়েছিল এবং হাতে ছিল একটা ব্রিফকেস । লোকটা এসে রিক্সাওয়ালাকে বলল যাবা ।রিক্সাওয়ালা বলল যাবো,কোথায়?লোকট া বলল আমি যেদিকে বলবো সেদিকে চলো । রিক্সাওয়ালা চালাচ্ছে । চালাতে চালাতে জামালপুরের সবচেয়ে বড় যে কবর স্থানটা সেখানে গেল ।সাধারনত কবরস্থানের গেটে বিশাল বড় একটা তালা থাকে ।লোকটা যখন গেটের সামনে গিয়ে দাড়াল তালাটা autometic খুলে গেল ।

রিক্সাওয়ালা তখন এই দৃশ্য দেখতেছে ।লোকটা ভেতরে চলে গেল অনেকক্ষন পরে সে হাতে করে কিছু একটা নিয়ে আসতেছে । কাপড়ে ঢাকা একটা ছোটখাট লাশ এই টাইপের কিছু একটা নিয়ে আসতেছে । তো সে রিক্সার কাছে আসল এবং রিক্সাওয়ালাকে বলল আমাকে যেখান থেকে নিয়ে আসছো সেখানে চলো । রিক্সাওয়ালা তাকে নিয়ে প্যাডেল করতেছে খুব ভয়ে ভয়ে । পেছনে সে শব্দ শুনতেছে হাড চাবাই চাবাই খেলে যে শব্দটা হয় সেরকম এবং কিছু ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে এরকম শব্দ সে শুনতেছে ।সে ভয়ে হোক যেভাবেই হোক সে আবার স্টেশনে পৌছাতে পারছিল ।পৌছানোর পর লোকটা বলল এতক্ষন যা দেখলা বা শুনলা এটা কাউকে কখনও বলবা না আর তোমাকে কত ভাড়া দেব রিক্সাওয়ালা কিছু বলে নাই এবং তার হাতে একটা তামার পয়সা দেয়া হয় ।ঐ ট্রেনটি তখনও ওখানে এবং যে স্টেশন মাস্টার সেও সেখানে নাই । পরে জানা গেছে ঐদিন নাকি ট্রেন  ধর্মঘট ছিল ।তারপর রিক্সাওয়ালা সেন্সলেস হয় ।সকাল বেলা আশেপাশের যে রিক্সাওয়ালা ছিল এসে দেখে সে সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে ।সারারাত বৃষ্টি হওয়ায় সে বৃষ্টিতে ভেজা । পরে রিক্সাওয়ালা ঘটনাটি তার বউ এর সাথে শেয়ার করে । কথাটি শুনে আগ্রহ হয়ে এগিয়ে যায় আশেপাশের লোকজন ।কথাটা যখন সে শেষ করছে এবং পয়সাটা দেখায়ছে তখন সে হঠাত্ করে এব নরমালের মত হয়ে গেল এবং তার নাকে মুখে রক্ত উঠে মারা যায় সাথে সাথে ঐ জায়গায় ।ঐ পাড়ার লোকজন এ ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখছিল ।

 উত্সঃ ভুত এফ এম।

একটি অসংজ্ঞায়িত ঘটনা [Ghost Stories-41]


একটি অসংজ্ঞায়িত ঘটনা 


by: Mdsumon Ahmed 


আমি সুমন,ঘটনাটা সিলেটের লীডিং ইউনির্ভাসিটির একজন প্রফেসর এর কাছ থেকে শুনা। তিনি আমাকে যে ভাবে বলেছেন আমি সেভাবেই লিখছি।

ঘটনাটা সিলেটের হরিপুর নামক জায়গার।আমাদের বাসায় একটা জ্বীন এর পরিবার বাস করে।ঘটনাটা প্রথম জানা যায়,আমার চাচাতো বোনের বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়,আমার বোনের একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ের কথা হচ্ছিল আরেক জনের সাথে।সে দিন তাকে দেখতে ছেলে পক্ষ এসেছিল। ছেলের বাবা যখন কথা বলছিল তখন মেয়ে কে জিগ্যাসা করল যে মেয়ের এই বিয়েতে মত আছে কি না?তখন মেয়েটা কোন কথা বলে নাই। তারা মনে করে যে মেয়ের মত আছে এবং তারা মেয়েকে চলে যেতে বলল। ঠিক তখনই মেয়েটা পুরুষ মানুষের গলায় বলল যে ঝুমার(মেয়েটার নাম) এই বিয়েতে মত নেই,তোমরা চলে যাও।এই বলে মেয়েটা চলে গেল।লোকগুলো মেয়েটার বিষয়ে নানা রকম বাজে কথা বলতে লাগে।তার পরই তারা দেখতে পায় একটা বিরাট বড় সাপ যা কিনা তাদের তাড়া করতেছিল এবং তাদের কে বাহির করে দিলো। 

তারা চলে যাওয়ার পর আমার চাচা একজন ইমাম সাহেব কে নিয়ে আসেন যে কিনা এইসব বিষয়ে কাজ করে থাকেন ও তার কাছে কিছু জ্বীন ছিল।তিনি তার জ্বীন কে আদেশ করলেন বিষয়টা কি জানার জন্যে।অনেক্ষণ পর জবাব আসে,এটা কিছু জ্বীনের কাজ তবে জ্বীন টাকে নিয়ে আসা তার পক্ষে সম্ভব না।হয়তো অনুরোধ করলে আসতে পারে।তিনি ঐ মেয়েটাকে নিয়ে আসতে বললেন। মেয়েটা আসার পর মেয়েটা কে বললেন তুমি কি কিছু জান।মেয়েটা না বলল।তখন ঐ হুজুর জ্বীন টাকে আসার জন্যে অনুরোধ করলেন।তখন মেয়েটার গলা বদলে পুরুষ মানুষের গলায় বলল কে আমাকে ডেকেছিল,ইমাম সাহেব সালাম দিলেন ও বললেন আমি ডেকেছি,আপনি কে?সে বলল আমি(নাম
টা মনে নাই)আমরা এখানে থাকি অনেক বছর থেকে।আমার পরিবারের সবাই থাকে এখানে।এই মেয়েটা আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছে যে এইখানে যেন তার বিয়ে না হয়।আমরা তাকে সাহায্য করেছি,আর কিছু না।হুজুর বললেন আপনারা কি এখান থেকে চলে যাবেন।সে বলল আমরা কোথায় যাবো আমাদের সবাই এখানে থাকে।আমরা তো আর
কারো যায়গায় গিয়ে থাকতে পারবো না। এইভাবে অনেক সময় কথা কাটাকাটি হওয়ার পর ঠিক হলো তারা এখানেই
থাকবে তবে কারো কোন রকম ক্ষতি করবেনা।তারপর হুজুর চলে যান এবংপরেমেয়েটা অঞ্জান হয়ে যায়।