আমি ইমতিয়াজ রাজশাহী ইউনিভার্সিটি থেকে । ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে এম এ কম্প্লিট করেছি ।আমি যখন ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হই তখন মেসে ছিলাম । আমার মেসের এক বড় ভাই আমাকে একদিন বললেন যে এই মেসটাই একটু প্রবলেম আছে ।আমি বললাম কি ধরনের
প্রবলেম । তিনি বললেন পরে বুঝতে পারবা
।এখন বললে বিশ্বাস করবা না তবে একটু সাবধানে থেকো । আমি বরাবরই ভূত বিশ্বাস করতাম না । একদিন ফ্রেন্ডরা
মিলে রাত তিনটা পর্যন্ত
কার্ড খেলছিলাম । খেলা শেষ হয়ে যখন টয়লেটে গেলাম তখন পানি পড়ার শব্দ পেলাম । ভাবলাম হয়ত কেউ টয়লেটে
আছে ।তাই অপেক্ষা করতে
থাকলাম ।বেশ কিছুক্ষন পর যখন
কেউ বের হলো না তখন আমি দরজায় নক করে জিঞ্জাসা করলাম ভিতরে কে?সাথে সাথে পানি
পড়ার শব্দ থেমে গেল ।
দরজা ধাক্কা দেওয়ার ফলে দরজা খুলে গেল ।আমি অবাক হলাম কারন এতক্ষন পানি
পড়ার শব্দ হয়ছে সেটা আমি
স্পষ্ট শুনেছি কিন্তু টয়লেটটা পুরোপুরি
শুকনা ছিল । আশেপাশে আর কোন
পানির ট্যাপ ছিল না যেখান থেকে শব্দটা হতে পারে !
আমি ব্যাপারটা
গুরুত্ব না দিয়ে রুমে এসে
শুয়ে পড়লাম ।যখন তন্দ্রা এল তখন আমি
স্পষ্ট শুনতে পেলাম কে যেন
কাদছে । আমি সিঙ্গেল রুমে
থাকতাম । কিছুটা ভয় পেয়ে পাশের রুমের
বড় ভাইকে ডেকে তুললাম
।যে ভাই একদিন আমাকে সাবধান করে দিয়েছিলেন । তিনি বললেন সেই রাতে তার সাথে ঘুমাতে ।রাতে ভাল ঘুম হলো না ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নদেখলাম ।সকালে ভাই বললেন আমি যে রুমটায় থাকি সেই রুমে একটা ভাই ২বছর আগে থাকতেন ।কোন একটা কারনে তিনি সুইসাইড করেন । তারপর থেকে ঐ রুমে আর কেউ থাকে না ।২বছর পর আমিই নাকি ঐ রুমটাতে প্রথম
উঠেছি ।তারপরও আমি ঐ রুমটাতে থাকতাম ।কিন্তু রাতে মাঝে মাঝে একটা হালকা এবং
অদ্ভুত রকমের গন্ধ পেতাম
।মনে হতো কেউ একজন হয়তো আমার
রুমে আছে ।প্রথম দিকে আমি এই ব্যাপারটা পাত্তা দিতাম না । ভাবতাম আমার মনের ভুল হয়তো । কিন্তু দেখা যেত হঠাত্ করে আমার টেবিল থেকে একটা মগ পড়ে গেল,একটা বই পড়ে গেল ।একদিন
রাতে কার্ড খেলা শেষ করে রুমে দরজা বন্ধ করে কেবল মাত্র
শুয়েছি সাথে সাথে আমার রুমের দরজা খুলে গেল ।আমি
আবার উঠে বন্ধ করে যখন আবার শুলাম তখন আবার দরজা খুলে গেল ।
আমি রুমে থাকতে পারলাম না । পাশের রুমের বড়
ভাইয়ের সাথে সেই রাতটা কাটিয়ে
দিলাম ।পরদিন মেস চেন্জ করে অন্য মেসে চলে
গিয়েছিলাম ।
[ইমতিয়াজের ব্যাখ্যা--মানুষ হয়তো মারা
যায় কিন্তু তার আত্মা কখনও মরেনা (~তার এখন বিশ্বাস হয়~)আত্মা কখনও সরে
যায় না,হয়তো আমাদের চারপাশে থাকে]