Tuesday, April 27, 2021

'শুয়োর' বললে কি ৪০ দিন মুখ নাপাক থাকে?

 No photo description available.

 

সুসংস্কার-১
বিষয়: 'শুয়োর' বললে কি ৪০ দিন মুখ নাপাক থাকে?
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার ইবাদাতের জন্য। অন্যান্য সকল মাখলুককে সৃষ্টি করেছেন মানুষের খেদমতের জন্য। লক্ষাধিক মাখলুকের মধ্যে 'শুয়োর' ও আল্লাহ তায়ালার সৃষ্ট একটা জীব। শুয়োরকেও আল্লাহ তায়ালা মানুষের কল্যাণেই সৃষ্টি করেছেন।
আমাদের গ্রামাঞ্চলে একটা কথা প্রচলিত আছে। অবশ্য শুধু গ্রাম বাংলার কথা বললে ভুল হবে। শহর বা শহরতলীতে বসবাসরত অনেক উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়েও এই বিশ্বাস লালন করে যে, 'শুয়োর' শব্দটি একবার উচ্চারণ করলে বা মুখে আনলে ৪০ দিন পর্যন্ত মুখ অপবিত্র (নাপাক) থাকে।
হাস্যকর বিষয় হলো, আমি আমার অনেক বন্ধুকে 'শুয়োর' শব্দটি উচ্চারণ না করে তার পরিবর্তে 'কচু খাওয়া' শব্দটা ব্যবহার করতে দেখেছি। তাদের বিশ্বাস, 'শুয়োর' বলায় মুখ নাপাক হলেও 'কচু খাওয়া' বলায় মুখ নাপাক হয় নাহ। হাহাহা!
অথচ, কুরআন-হাদীস তো দূরের কথা, ইসলামের ত্রিসীমানায়ও এর স্বপক্ষে কোনো দলীল পাওয়া যায় নাহ! আর একটা অতি মজার বিষয় হলো যে, রমজানে সারাদেশের যত জায়গায় খতমে তারাবীহ হয়, সকলেই সূরা বাকারার ১৭৩ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করে। এরপর সূরা মায়িদার ৩ নং আয়াত তিলাওয়াত করে। দুটি আয়াতেই আরবি 'খিনজির' শব্দটি রয়েছে, যার অর্থ শুয়োর! এছাড়া আরও অনেক আয়াতে 'খিনজির' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতি বছরই এই আয়াতগুলো পড়তে হয়।
এখন তাদের কথা যদি সঠিক ধরে নিই, তাহলে এই আয়াত পাঠ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল হাফেজের মুখ নাপাক হয়ে গেছে। ফলে নাপাক মুখে নামাজ পড়ায় আগামী ৪০ দিন তাদের কারও নামাজ হবে নাহ! অর্থাৎ, কোনোবারই কারও খতম তারাবীহ শুদ্ধ হয় নাহ! মাআজাল্লাহ (আল্লাহ মাফ করুক)।
অন্যদিকে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো প্রায়ই নামাজে সূরা বাকারা, মায়িদা তিলাওয়াত করতেন। সুতরাং প্রতিবারের জন্য যদি ৪০ দিন করে মুখ নাপাক ধরি, তাহলে তো জীবনভর নাপাক মুখেই কাটিয়েছেন তিনি। নাউজুবিল্লাহ! অথচ এমন বিশ্বাস সরাসরি ইমানের সাথে সাংঘর্ষিক।
ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রতি ৭ দিনে এক খতম করতেন, অন্যান্য সাহাবীরাও অধিকহারে কুরআন তিলাওয়াত করতেন, ফলে তাদের ক্ষেত্রেও উপরোক্ত হিসাব প্রযোজ্য। আস্তাগফিরুল্লাহ!
চিন্তা করে দেখেছেন, একটা কুসংস্কারে বিশ্বাস কীভাবে চোখের পলকে আপনার ইমানকে ধ্বংস করে দিতে পারে? এর প্রভাব কতটা গভীর থেকে গভীরে গিয়ে পৌঁছতে পারে?
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন, আমিন।
 
খাদিমুল মুরছালীন রিয়াদ

 

 

 

 

Saturday, April 24, 2021

মাহরাম ও গায়ের মাহরামের তালিকা

 পুরুষের জন্য মাহরামগায়ের মাহরামের তালিকা

আপনার সাথে সম্পর্ক মাহরাম | গায়ের মাহরাম
দাদী (মাহরাম)
মা/দুধ মা (মাহরাম)
বোন/দুধ বোন (মাহরাম)
শাশুড়ি (মাহরাম)
স্ত্রী (মাহরাম)
মেয়ে/দুধ মেয়ে/সৎ মেয়ে (মাহরাম)
ছেলের/দুধ ছেলের স্ত্রী (মাহরাম)
ফুপু (মাহরাম)
খালা (মাহরাম)
ভাইয়ের/বোনের মেয়ে (মাহরাম)
নানী (মাহরাম)
মায়ের খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো বোন (গায়ের মাহরাম)
চাচাতো বোন (গায়ের মাহরাম)
ভাবী (গায়ের মাহরাম)
বাবার খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো বোন (গায়ের মাহরাম)
চাচী (গায়ের মাহরাম)
ফুফাতো বোন (গায়ের মাহরাম)
খালাতো বোন (গায়ের মাহরাম)
মামাতো বোন (গায়ের মাহরাম)
শ্যালক/শ্যালিকার মেয়ে (গায়ের মাহরাম)
শ্বশুর/শাশুড়ির বোন (গায়ের মাহরাম)
শ্যালিকা (গায়ের মাহরাম)
মামী (গায়ের মাহরাম)
স্ত্রীর খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো বোন (গায়ের মাহরাম)
স্ত্রীর ভাবী (গায়ের মাহরাম)
মেয়ের ননদ (গায়ের মাহরাম)
ছেলে/মেয়ের শাশুড়ি (গায়ের মাহরাম)
মহিলাদের জন্য মাহরামগায়ের মাহরামের তালিকা

আপনার সাথে সম্পর্ক মাহরাম | গায়ের মাহরাম
দাদা (মাহরাম)
বাবা (মাহরাম)
ভাই (মাহরাম)
শ্বশুর (মাহরাম)
স্বামী (মাহরাম)
ছেলে (মাহরাম)
নাতী (মাহরাম)
চাচা (মাহরাম)
ভাইয়ের/বোনের ছেলে (মাহরাম)
নানা (মাহরাম)
মামা (মাহরাম)
মায়ের খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই (গায়ের মাহরাম)
চাচাতো ভাই (গায়ের মাহরাম)
দুলাভাই (গায়ের মাহরাম)
বাবার খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই (গায়ের মাহরাম)
ফুপুর স্বামী (ফুপা) (গায়ের মাহরাম)
ফুপাতো ভাই (গায়ের মাহরাম)
খালাতো ভাই (গায়ের মাহরাম)
মামাতো ভাই (গায়ের মাহরাম)
ননদের ছেলে (গায়ের মাহরাম)
শ্বশুর/শাশুড়ির ভাই (গায়ের মাহরাম)
দেবর/ভাসুর (গায়ের মাহরাম)
ননদের স্বামী (গায়ের মাহরাম)
স্বামীর খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই (গায়ের মাহরাম)
স্বামীর দুলাভাই (গায়ের মাহরাম)
ছেলের শ্যালক (গায়ের মাহরাম)
ছেলে/মেয়ের শ্বশুর (গায়ের মাহরাম)
খালার স্বামী (খালু) (গায়ের মাহরাম)