Wednesday, May 5, 2021

বোরকা মডেলিং: কতটুকু শরিয়ত সম্মত?

 No photo description available.

 বোরকা মডেলিং: কতটুকু শরিয়ত সম্মত?
▬▬▬●◈●▬▬▬
প্রশ্ন: বর্তমানে ফেসবুক ও বিভিন্ন অনলাইন শপিং সাইটে দেখা যাচ্ছে, কিছু যুবতী নারী হরেক রকম ডিজাইনের দৃষ্টি নন্দন বোরকা পরিধান করে আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে মডেলিং করে ছবি পোস্ট করছে। যদিও তাতে তার কেবল দুটি চোখ ছাড়া সব কিছু পরিপূর্ণভাবে ঢাকা থাকে। উদ্দেশ্য হল, বোরকা বিক্রয়। এ কাজটা কতটুকু শরিয়ত সম্মত?

উত্তর:

মহিলারা যত বেশি নিজেদেরকে পর পুরুষদের দৃষ্টির আড়ালে রাখবে ততই উত্তম-চাই বাস্তবে হোক অথবা ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে হোক। বোরকা সহ হোক অথবা বোরকা ছাড়া হোক।

হাদিসে তাওহীদের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সালাতের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য মসজিদে যাওয়ার চেয়ে নিজ বাড়িকে অধিক উত্তম বলা হয়েছে। নিজ বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে গোপনীয় স্থানে নামায পড়াকে আরও অধিক উত্তম বলা হয়েছে। মহিলাদের জন্য জুমা ও জামাতে সালাত আবশ্যক করা হয় নি। যেন তারা তাদেরকে পরপুরুষদের দৃষ্টি থেকে সংরক্ষণ করতে পারে এবং ফেতনা-ফ্যাসাদ থেকে রক্ষা পায়। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে প্রথমত: বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন কিন্তু জাহেলি জামানার মত পর্দা হীনভাবে নয়। আল্লাহ বলেন:
قَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَىٰ ۖ وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ ۚ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
"তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।” (সূরা আহযাব: ৩৩)

সব মিলিয়ে কথা হল, নারীরা যথাসম্ভব পরপুরুষ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে নিজেদের ইজ্জত-সম্ভ্রম সংরক্ষণ করবে এবং একান্ত জরুরি না হলে পরপুরুষের সামনে যাবে না-বাস্তব জগতে হোক বা ভার্চুয়াল জগতে হোক। এটা তাদের পবিত্রতা ও নিরাপত্তার জন্য জন্য অধিক উপযোগী এবং ইসলামের বিধান।

➤ সুতরাং এখান থেকে বলব, ফেসবুক ও অনলাইনের এ ফেতনাময় জগতে বোরকা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বোরকা পরিধান করে আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে মহিলাদের মডেলিং করা ছবি পোস্ট করা উচিৎ নয়। আর যদি কোনও সুন্দর গঠনধারী যুবতী মেয়ের মাধ্যমে বোরকা ব্যবসার জন্য মডেলিং করা হয় (সাধারণ এমটাই হয়) তাহলে তা তার নিজের জন্য যেমন ফেতনার কারণ অন্যের জন্যও ফেতনার কারণ-তাতে কোনও সন্দেহ নাই।

তবে বোরকা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যদি পোশাক ডিসপ্লে করার জন্য বর্তমানে
যেকল আধুনিক উপায়-উপকরণ রয়েছে (যেমন মস্তকবিহীন ডামি বা ডল) সেগুলো ব্যবহার করা হয় তাহলে তাতে কোনো আপত্তি নেই ইনশাআল্লাহ।

❖ এছাড়াও বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক বহু ফ্যাশন শপের পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ফেসবুক ও ইউটিউটবে সুন্দরী তরুণীদের মাধ্যমে বোরকা পরিধানের লাইভ কলা-কৌশল দেখানো হচ্ছে। চেহারা খোলা মডেলদের মাধ্যমে বেরাকা প্রদর্শনী করা হচ্ছে-যেগুলো মহিলাদের পাশাপাশি দেখছে বিভিন্ন শ্রেণীর পুরুষ। এ কাজগুলো যে শরিয়া পরিপন্থী এবং নাজায়েয তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
❖ আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, বোরকা বা হিজবের উদ্দেশ্য হল, পরপুরুষের দৃষ্টি থেকে নিজের সৌন্দর্যকে ঢেকে রাখা। কিন্তু বর্তমানে অনেক বোরকা/হিজাব এতটা কালারফুল, ফ্যাশনেবল, কারুকার্য খঁচিত ও টাইট-ফিট যে, সেটা নারীকে আরও আকর্ষণীয় ও মোহনীয় করে তুলে ধরে। কোনো মুসলিম নারীর জন্য এ ধরণের বোরকা পরা জায়েয নয়। কারণ এ দ্বারা বোরকার মূল উদ্দেশ্যই ব্যহত হয়। জনৈক মনিষী যর্থাথই বলেছেন: "এ ধরণের বোরকাকে ঢাকার জন্য প্রয়োজন আরেকটি বোরকা।"
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সব ধরণের ফেতনা-ফ্যাসাদ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬●◈●▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব

 

 

 

জমজম পানি দ্বারা ওজু-গোসল এবং তা কাফেরদেরকে উপহার দেয়ার বিধান

 No photo description available.

 জমজম পানি দ্বারা ওজু-গোসল এবং তা কাফেরদেরকে উপহার দেয়ার বিধান
▬▬▬◄❖►▬▬▬
◯ ◯ প্রশ্ন: জমজম কূপের পানি দিয়ে কি ওজু করা যাবে? আর অমুসলিমদেরকে কি এই পানি ব্যবহার করতে দেয়া জায়েজ?

উত্তর:
নি:সন্দেহে জমজম পানি অতি বিস্ময়কর, বরকত মণ্ডিত এবং পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট সুপেয় পানি। এটি মহান আল্লাহর এক বিশেষ নিদর্শন। এতে রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য সহ বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে বলে একাধিক সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে এবং বৈজ্ঞানিকভাবেও তা প্রমাণিত। আল হামদুলিল্লাহ।

তবে এই পানি পান করা ছাড়া অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা বৈধ কি না এ বিষয়ে বিজ্ঞ আলেমদের মাঝে কিছুটা দ্বিমত পরিলক্ষিত হলেও জুমহুর বা অধিকাংশ আলেমের মতে তা প্রয়োজনীয় যে কোন কাজে ব্যবহার করা জায়েজ। যেমন: ওজু-গোসল, রান্নাবান্না ইত্যাদি।
আর কোন কোন আলেম, এ দ্বারা গোসল আর কেউ কেউ নাপাকি দূর করাকে অপছন্দ করেছেন-এই পানির বরকতময়তা, পবিত্রতা ও সম্মানের দিক বিবেচনা করে। কিন্তু দলিলের দিকে দিয়ে জুমহুর বা অধিকাংশ আলেমদের অভিমতই অধিক বিশুদ্ধ ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য যে, ইবনে আব্বাস রা. জমজম পানি দ্বারা গোসল করাকে বৈধ মনে করতেন না মর্মে যে উক্তিটি পাওয়া যায় তা সনদগতভাবে জঈফ (দুর্বল)।

◉◉ জমজমের পানি দ্বারা ওজু-গোসল করা সম্পর্কে হাদিস ও আলেমদের মতামত:

আমরা হাদিস থেকে জানি, জিবরাইল আলাইহিস সালাম এর ডানার আঘাতে এ কুপটি মক্কা নগরীতে সৃষ্টি হয় এবং এই কূপকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন আরব গোত্র এর চারপাশে বসতি স্থাপন শুরু করে। (সহিহ বুখারি)
তখন থেকেই বিভিন্ন নবী-রসূলদের যুগ পরম্পরায় মানুষ এই পানিকে তাদের পবিত্রতা অর্জন তথা ওযু-গোসল, কাপড় ধৌত করা, রান্না-বান্না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সহ সব ধরণের কাজে ব্যবহার করে আসছে।

◈ আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পাক-পবিত্রতা অর্জনের জন্য পবিত্র পানি ব্যবহারের নির্দশে দিয়েছেন। যেমন: আল্লাহ বলেন,
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا
“যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে (পানি দ্বারা) সারা দেহ পবিত্র করে নাও।” (সূরা মায়িদাহ: ৬)
সুতরাং সকল পবিত্র পানি এর অন্তর্ভূক্ত। জমজমের পানিও এর বাইরে নয়।
সুতরাং প্রয়োজন হলে জমজমপানি দ্বারা পাক-পবিত্রতা (ওজু-গোসল) করা জায়েছে।

◈ জমজমের পানি দ্বারা ওজু করার ব্যাপারে স্পষ্ট হাদিস বর্ণিত হয়েছে। উসামা বিন যায়েদ রা. বলেন,

أنَّ النبيَّ دعا بسَجلٍ من ماءِ زمزمَ فشرِب منه وتوضَّأ

“(বিদায় হজ্জের সময় তওয়াফে ইফাযা শেষে) নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক বালতি জমজম পানি আনতে বললেন। অত:পর সেখান থেকে পান করলেন ও ওজু করলেন।” (ইরওয়াউল গালীল/১৩-হাসান)

উক্ত হাদিস প্রসঙ্গে ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন:
فيستفاد منه الردّ على من منع استعمال ماء زمزم لغير الشرب
“এ হাদিসের ফায়দা হল, যারা জমজম পানি পান করা ছাড়া অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে নিষেধ করে তাদের জবাব।”

◐ ইবনে কুদামা তার বিখ্যাত আল মুগনি কিতাবে বলেন:
ولا يكره الوضوء والغسل بماء زمزم لأنه ماء طهور فأشبه سائر المياه
“জমজম পানি দ্বারা ওজু ও গোসল করা মাকরূহ নয়। কারণ তা পবিত্র পানি। সুতরাং তা অন্যান্য পানির মতই।” (আল মুগনি লিবনে কুদামাহ)

◐ নওবী বলেন:
ولا يكره الطهر بماء زمزم؛ ولكن الأولى عدم إزالة النجاسة به

“জমজম পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা মাকরূহ নয়। তবে এ দ্বারা নাপাকি দূর না করাই ভালো।” (আল মিনহাজ)

◐ শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বাজ রহ. বলেন:
بكل حال فهو ماء طهور طيب يستحب الشرب منه، ولا حرج في الوضوء منه، ولا حرج في غسل الثياب منه، ولا حرج في الاستنجاء إذا دعت الحاجة إلى ذلك
“যাহোক, জমজম পানি পবিত্র। এই পানি পান করা মুস্তাহাব। এর দ্বারা ওজু করা, কাপড় ধৌত করা এবং দরকার হলে ইস্তিনজা (শৌচকার্য) করতেও কোন অসুবিধা নেই।” (উৎস: binbaz ডট org.sa)

সুতরাং প্রয়োজনীয় যে কোন কাজেই জমজম পানি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। শরিয়ত বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে তা ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।আল হামদুলিল্লাহ। কিন্তু এ কথা স্বতঃসিদ্ধ যে, বর্তমানে যেহেতু বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের জনসংখ্যা অত্যন্ত বিশাল। যার কারণে এই পানির চাহিদাও প্রচুর অথচ সরবরাহ সীমিত এবং অন্যান্য সাধারণ পানির কোন অভাব নেই সেহেতু জমজম পানি কেবল পান করার জন্য ব্যবহার করাই ভালো। অন্যান্য কাজে ব্যবহার না করাই উত্তম। কিন্তু কেউ যদি তা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে চায় তাহলে শরিয়তে তাতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।

মোটকথা, জমজম পানি পান করা ছাড়াও ওজু, গোসল সহ প্রয়োজনীয় যে কোন কাজেই ব্যবহার করা বৈধ। তবে একান্ত প্রয়োজন না হলে পেশাব-পায়খানা বা নোংরা জিনিস পরিষ্কারের ক্ষেত্রে তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই উত্তম। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের নিকট জমজম পানির ব্যাপক চাহিদা অনুপাতে তার সরবরাহ সীমিত হওয়ায় এবং সাধারণ পানির পর্যাপ্ততায় জমজম পানি অন্যান্য কাজে ব্যবহার না করে কেবল পান করার মধ্যেই সীমিত রাখা উচিৎ।
আল্লাহু আলাম।
---------------------------------------
◯ ◯ প্রশ্ন: জমজম পানি কোন অমুসলিমকে উপহার হিসেবে কিংবা ব্যবহার করার জন্য দেয়া কি বৈধ?

উত্তর:

এ পবিত্র পানি অমুসলিমরাও ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং তাকে তা উপহার হিসেবে বা ব্যবহার করার জন্য দেয়া জায়েজ আছে। বিশেষ করে যদি সম্ভাবনা থাকে যে, এর মাধ্যমে তার অন্তর ইসলামের দিকে ধাবিত হবে। কেননা ইসলামে অমুসলিমদেরকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য উপহার দেয়া বৈধ।
তাছাড়া ইসলামে এমন কোন নির্দেশনা দেয়া হয় নি যে, অমুসলিমরা তা ব্যবহার করতে পারবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে আরবের কাফের-মুশরিক-মূর্তি পূজারীরাও এই পানি ব্যবহার করত। কিন্তু তিনি ইসলাম বিজয় লাভ করার আগে বা পরে কখনোই তাদেরকে তা পান করতে দেয়া যাবে না বলে কোন প্রজ্ঞাপন জারি করেন নি।

এমনকি অসুস্থ কাফেরকে চিকিৎসা হিসেবে এই পানি পান করতে দেয়াও জায়েজ-যেভাবে কুরআন দ্বারা কাফেরকেও রুকিয়া বা ঝাড়ফুঁক করা জায়েজ। যেমন: সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী রা. কর্তৃক সূরা ফাতিহা পাঠ করে কোন এক কাফের গোত্র প্রধানকে ঝাড়ফুঁক করায় সে সুস্থ হয়েছিলো। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)।

এ ব্যাপারে সম্মানিত ফকিহদের মাঝে কোন দ্বিমত নাই-যেমনটি বলা হয়েছে আল মাউসুআতুল ফিকহিয়া (ফিকহ বিশ্বকোষ) এ।
جاء في "الموسوعة الفقهية" (13/34) : " لا خِلافَ بَيْنَ الْفُقَهَاءِ فِي جَوَازِ رُقْيَةِ الْمُسْلِمِ لِلْكَافِرِ . وَاسْتَدَلُّوا بِحَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رضي الله عنه الَّذِي سَبَقَ ذِكْرُهُ وَوَجْهُ الاسْتِدْلالِ أَنَّ الْحَيَّ الَّذِي نَزَلُوا عَلَيْهِمْ فَاسْتَضَافُوهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمْ كَانُوا كُفَّارًا ، وَلَمْ يُنْكِرْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ عَلَيْهِ " انتهى
আল্লাহু আলাম।

 
▬▬▬◄❖►▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব