Wednesday, May 5, 2021

যদি কেও তার পিতাকে না জানিয়ে তার পকেট থেকে টাকা নিয়ে থাকে এবং পরে যখন তার ভুল বুঝতে পারে তখন তার কি করনীয়?

 No photo description available.

 প্রশ্ন : যদি কেও তার পিতাকে না জানিয়ে তার পকেট থেকে টাকা নিয়ে থাকে এবং পরে যখন তার ভুল বুঝতে পারে তখন তার কি করনীয়?

উত্তর : কেউ যদি পিতার অজান্তে যদি তার পকেট থেকে টাকা নিয়ে থাকে (আর বাবার আচরণ থেকে জানা যায় যে, তিনি তাতে রাগ করবেন) তাহলে তার করণীয় হল, আল্লাহর নিকট তওবা করা এবং তার টাকা তাকে ফেরত দেয়া। তবে জানিয়ে টাকা ফেরত দিতে গেলে বা মাফ চাইতে গিয়ে যদি সম্ভাবনা থাকে যে, বাবা রাগারাগি করবেন বা অপ্রত্যাশিত কোন আচরণ করবেন তাহলে যে কোনভাবে উক্ত টাকা তার কাছে পৌঁছিয়ে দিলেও যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। জানিয়ে দেয়া জরুরি নয়।
আল্লাহু আলাম।
🔸🔹🔸🔹🔸
প্রশ্ন : শিয়ারা হজরত আলী (রা) ও তার পরিবারবর্গের নামের শেষে আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আঃ) বলে । তাদের যুক্তি হল, আমরা নামাজে হজরত মুহাম্মদ (সা) ও তার পরিবারবর্গের উপর দুরুদ পড়ি । সেখানে হজরত মুহাম্মদ (সা) এর পরিবার ও বংশের উপর দুরুদ পেশ করতে বলা হয়েছে । হজরত আলী (রা) ও তার পরিবার হজরত মুহাম্মদ (সা) এর বংশধর । কাজেই হজরত আলী (রা) ও তার পরিবারের উপর দুরুদ পড়া যাবে । এই ক্ষেত্রে সঠিক জবাব কি হতে পারে ?

উত্তর : শিয়াদের সাথে আমাদের এ সব ছোটখাটো বিষয়ে তর্ক করে কোন ফায়দা নাই। তারা আমাদের মূল আকীদা ও বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিপরতী মেরুতে অবস্থান করে।
তারা যেখানে কয়েকজন আহলে বাইত ছাড়া অন্য সাহাবীদেরকে কাফির/মুরতাদ বলার মত ধৃষ্টতা দেখায়, মুসলিম উম্মাম অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেমা মা জননী আয়েশা রা. কে ব্যাভিচারীনী অভিযোগ দিতে তাদের বুক কাঁপে না...তাদের সাথে একটা সাধারণ দুআ নিয়ে বিতর্ক করার কোন প্রয়োজ নাই।

সুতরাং সেগুলো বাদ দিয়ে এ সব টুকিটাকি বিষয় অবতারণা করার প্রয়োজন নাই বলে মনে করি।
🔸🔹🔸🔹🔸

প্রশ্ন : কুরবানির দিনে কুরবানি হওয়ার আগ পর্যন্ত না খেয়ে থাকার কি কোনো নিয়ম আছে?

উত্তর :-- কুরবানীর দিন ঈদের সালাতের পূর্বে কোন কিছু না খাওয়া সুন্নত। বরং ঈদের সালাত শেষে খাওয়া উত্তম। বিশেষ করে যদি ঈদের সালাত শেষে কুরবানীর গোস্ত খাওয়া হয় তাহলে তা অধিক উত্তম। হাদীসে এসেছে,
عن بريدة رضي الله عنه قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم لا يخرج يوم الفطر حتى يأكل، ولا يأكل يوم الأضحى حتى يرجع فيأكل من أضحيته. أحمد: ১৪২২ وصححه الألباني في صحيح ابن ماجه
বুরাইদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের সালাতের পূর্বে খেতেন না। সালাত থেকে ফিরে এসে কুরবানীর গোশত খেতেন।[শাইখ আলবানী রচিত, সহীহ ইবনে মাজাহ: হাদীস নং ১৪২২ ]
🔹🔸🔹🔸
প্রশ্ন : এটা কি যে কোরবানি দিবে তার জন্য নাকি পরিবারের সবার জন্য এটা সুন্নত?
: যে ব্যক্তি কুরবানী করবে তার জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে। হাদীসের ভাষা থেকে এটাই স্পষ্ট হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি কুরবানী করবে না সে ঈদের পূর্বে খেতে পারে। ইমাম যাইলাঈ তাবঈনুল হাকায়েক গ্রন্থে, আল্লামা মোবারকপূরী তুহফাতুল আহওয়াযী গ্রন্থে এবং আরও একদল আলেম হাদীসের আলোকে উপরোক্ত মত ব্যক্ত করেছেন।) আল্লাহু আলাম।
➖➖➖➖➖➖
উত্তর প্রদানে ::: শাইখ আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
দাঈ জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, ksa

 

 

 

 

 

 

সফরের কসর সালাত যদি কোন কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেনে আদায় করা সম্ভব না হয় তাহলে কি সেই যোহরের কসর বাবার বাড়িতে এসে আসরের সাথে জমা হিসেবে পড়া যাবে নাকি তা কাযা হয়ে যাবে?

 No photo description available.

প্রশ্ন :-- সফরের কসর সালাত যদি কোন কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেনে আদায় করা সম্ভব না হয় তাহলে কি সেই যোহরের কসর বাবার বাড়িতে এসে আসরের সাথে জমা হিসেবে পড়া যাবে নাকি তা কাযা হয়ে যাবে?

উত্তর :-- সফর অবস্থায় যোহর+আসর এবং মাগরিব+এশা একসাথে জমা করে পড়া জায়েয আছে।
সুতরাং যদি সফর অবস্থায় ট্রেনে যোহরের সালাত আদায় করা সম্ভব না হয় তাহলে গন্তব্যে পৌঁছার পর সেখানে যোহর এবং আসর একসাথে পড়ে নিতে পারেন।
তবে গন্তব্যে পৌঁছার পর কসরের বিধান প্রযোজ্য হবে না অর্থাৎ আপনাকে পরিপূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
🔸🔹🔸🔹🔸
প্রশ্ন :--- আমি শুনেছি যে যার নামে গিবত করা হয়েছে সে নাকি যে গিবত করেছে অন্য জনের নামে তার সব নেক আমল গুলো যার নামে গিবত করা হয়েছে তার নামে হয়ে যাবে ???
এটা কি ঠিক ?

উত্তর :-- যদি গিবত কারী ব্যক্তি দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় যার গিবত করেছে তার প্রতি করণীয় বিষয়গুলো করে যেমন, তার জন্য ইস্তিগফার করা, দুআ করা, তার প্রশংসা করা, তার পক্ষ থেকে কেউ সমালোচনা করলে প্রতিবাদ করা বা তার পক্ষ থেকে জবাব দেয়া ইত্যাদি তাহলে ইনশাআল্লাহ এগুলো তার গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে কেউ যদি তা না করে তাহলে আখিরাতে আল্লাহর কাঠগড়ায় বিচারের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তখন তার নেকিগুলো কর্তন করে যার গিবত করেছিলো তাকে দিয়ে দেয়া হবে। আল্লাহু আলাম।
🔸🔹🔸🔹🔸
প্রশ্ন :-- কাপড় ধৌত করতে গেলে গায়ে সাবান পানির ছিটা পরে। সেই কাপড়ে সালাত আদায় করা যাবে ? ▪আর যদি নাপাকি লেগে থাকা কোনো কাপর ধৌত করার সময় গায়ে ছিটা আসে সে কাপর পরে কি নামাজ পরা যাবে ? জানালে উপকৃত হবো শাইখ।

উত্তর :--- সাবান বা ডিটারজেন্ট পাওডার দ্বারা সাধারণ ময়লা কাপড় (যেটা নাপাক নয়) ধৌত করার সময় সাবান বা পাওডার মিশ্রিত পানি শরীরে বা গায়ের কাপড়ে লাগলে তা নাপাক হবে না।

তবে নাপাকী যুক্ত কাপড় ধৌত করার সময় সেই পানি যদি গায়ে বা কাপড়ে ছিটে এসে পড়ে তাহলে যে স্থানে তা লেগেছে সে স্থান পবিত্র পানি দ্বারা ধৌত করে নিতে হবে বা ভেজা কাপড় দ্বারা ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। আল্লাহু আলাম।

🔸🔹🔸🔹🔸
প্রশ্ন :--পিরিয়ড থেকে পবিত্র হওয়ার পর সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করাটা কি জরুরী?আর সে অবস্থায় পরা কাপর কি সাবান দিয়েই ধুতে হবে?

উত্তর :-- পিরিয়ড থেকে পবিত্র হওয়ার পর গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা জরুরি নয়। তবে এগুলো দ্বারা গোসল করা অধিক উত্তম। কেননা এতে পরিচ্ছন্নতা আরও ভালো হয়।
আর জামা কাপড়ে যদি পিরিয়ডের রক্তের দাগ লেগে থাকে তাহলে তা এমনভাবে ধৌত করতে হবে যেন তাতে রক্তের দাগ দূর হয়ে যায়। আর দাগ না থাকলে তা সাবান বা ওয়াশিং পাউডার দ্বারা ধৌত করা আবশ্যক নয়। আল্লাহু আলাম।
➖➖➖➖➖
উত্তর প্রদানে :শাইখ আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল। দাঈ জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, ksa