Wednesday, May 5, 2021

তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়া বা সুপাত্র পাওয়ার জন্য বিশেষ আমল

 তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়া বা সুপাত্র পাওয়ার জন্য বিশেষ আমল

 No photo description available.

 তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়া বা সুপাত্র পাওয়ার জন্য বিশেষ আমল
▬▬▬🌐🌐🌐▬▬▬
প্রশ্ন: দ্বীনদার ভালো পাত্র পাওয়ার জন্য বা তাড়াতাড়ি বিয়ের জন্য কি বিশেষ কোন আমল আছে?
এ ক্ষেত্রে একটি আমল বলা হয় যে, ৪১ বার সূরা যোহা পাঠ করতে হবে এবং প্রতিবার এটি পড়ার আগে ও পরে একবার করে দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। তাহলে তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে। এ আমলটি কি সঠিক?

উত্তর:
বিয়ে-শাদী সহ মানুষের জীবনের সকল সমস্যার সমাধানের উপায় হল, মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার পাশাপাশি সেই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তাই দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনাময় সময় গুলো খেয়াল করে একান্ত বিনয়, নম্রতা এবং কান্নাকাটি সহকারে দোয়া করবেন। যেমন, ভোররাতে তাহাজ্জুদ সালাতের পরে, আযান ও একামতের মধ্যবর্তী সময়, জুমার দিন আসর থেকে মাগরিব নামাযের মধ্যবর্তী সময়, শবে কদরের রাতে, সেজদা অবস্থায়, রোযা অবস্থায়, সফর অবস্থায়, যে কোন সৎকর্ম করে তার ওসীলা দিয়ে দুআ করা ইত্যাদি।
আর বিয়ের জন্য আত্মীয়-স্বজন এবং পরিচিত জনের মাধ্যমে বরের অনুসন্ধানের পাশাপাশি পেশাদার ঘটকের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। বিশ্বস্ত অনলাইন ভিত্তিক ম্যারেজ মিডিয়ার মাধ্যমেও বর অনুসন্ধান করা যেতে পারে।
দুআ করি, মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল সমস্যা দূরভীত করে দিন আর যাদের বিয়েতে বিলম্ব হচ্ছে, তিনি যেন তাদেরকে অনতি বিলম্বে দ্বীনদার সুপাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার তাওফিক দান করেন। আমীন।

◾ তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার জন্য ৪১ বার সূরা যোহা পাঠের আমল মনগড়া ও ভ্রান্ত:
বিয়ে তাড়াতাড়ি হওয়া বা সুপাত্র পাওয়ার জন্য সর্ব প্রথম দরুদ পাঠ করা তারপর সূরা যোহা পাঠ করা তারপর পুনরায় দরুদ পাঠ করা-এভাবে ৪১ বার করলে তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়- এটি একটি সম্পূর্ণ বিদআতি ও বাতিল আমল। কুরআন-সুন্নায় এ মর্মে কোন বক্তব্য আসে নি। এটা যদি শরিয়ত সম্মত হত তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্পষ্টভাবে বা ইঙ্গিতে তা বর্ণনা করে যেতেন। কিন্তু এমন কোন হাদিস বর্ণিত হয় নি।
বিশেষ উদ্দেশ্যে কোন সূরা, আয়াত ও দুআ পড়ার বিশেষ পদ্ধতি আবিষ্কার করা কারো ব্যক্তির ইজতিহাদ বা গবেষণা কিংবা কারো অভিজ্ঞতার আলোকে সাব্যস্ত হতে পারে না বরং অবশ্যই এ মর্মে শরীয়তের দলীল থাকতে পারে।
সুতরাং এ ধরণের সুন্নাহ বর্হিভূত মনগড়া আমল করলে গুনাহগার হতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে বিদআত থেকে রক্ষা করুন। আমীন।
▬▬▬🌐🌐🌐▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
fb/AbdullaahilHadi
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

 

 

আত্মহত্যা কি শিরকের পর্যায়ের গুনাহ? এটি কি ক্ষমার অযোগ্য মহাপাপ? বিস্তারিত জানতে চাই।

 No photo description available.

 

 প্রশ্ন: আত্মহত্যা কি শিরকের পর্যায়ের গুনাহ? এটি কি ক্ষমার অযোগ্য মহাপাপ? বিস্তারিত জানতে চাই।
●●●●●●●●●●
উত্তর:
আত্মহত্যা নি:সন্দেহে মহাপাপ (কবিরা গুনাহ) এবং মহান আল্লাহর কর্মে হস্তক্ষেপের শামিল।
তবে তা শিরক নয়।
জীবন-মরণের মালিক একমাত্র আল্লাহর তাআলা। সুতরাং কেউ যদি নিজের প্রতি অবিচার ও সীমালঙ্ঘন বশত: নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয় তাহলে সে আল্লাহর কর্মে হস্তক্ষেপ করল। আর যে আল্লাহর কর্মে হস্তক্ষেপ করে আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি প্রদান করবেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَنفُسَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُمۡ رَحِيمٗا - وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ عُدۡوَٰنٗا وَظُلۡمٗا فَسَوۡفَ نُصۡلِيهِ نَارٗاۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرًا
‘আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। যে কেউ অবিচার ও সীমালঙ্ঘন বশত: আত্মহত্যা করে অবশ্যই আমি তাকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করাবো। আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।’ {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ২৯-৩০}

তবে যেহেতু শিরক ছাড়া অন্যান্য সকল গুনাহ ক্ষমা করা বা না করা আল্লাহর তাআলার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল সেহেতু আত্মহত্যাকারী যদি তাওহীদ পন্থী হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করতেও পারেন। অন্যথায় জাহান্নামে তার উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার পর তার ঈমান ও তাওহীদের কারণে অবশেষে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
আল্লাহু আলাম।
●●●●●●●●●●
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব