Monday, August 14, 2023

রিযিকে, হায়াতে ও আমলে বরকত লাভের ১০টি আমল।

রিযিকে, হায়াতে ও আমলে বরকত লাভের ১০টি আমল।

১. লোভ পরিত্যাগ করা।

বরকত লাভের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হচ্ছে, অন্তর থেকে সম্পূর্ণরূপে লোভ পরিত্যাগ করা। এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকত লাভ করতে পারে।

এই মর্মে হাকিম ইবনু হিজাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে কিছু চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন, আবার চাইলাম, তিনি আমাকে আবার দিলেন, তৃতীয়বার চাইলাম, বরাবরের মতো এবারও তিনি আমাকে দিলেন। অতঃপর বলেন, হে হাকিম! এই সম্পদ শ্যামল সুস্বাদু। যে ব্যক্তি প্রশস্ত অন্তরে (লোভ ব্যতীত) তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় হয়। আর যে ব্যক্তি অন্তরের লোভসহ তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় করা হয় না।

যেন সে এমন ব্যক্তির মতো, যে খায় কিন্তু তার ক্ষুধা মেটে না। ওপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম।’
(সহি বুখারি, ১৪৭২)

২. ব্যবসায় সত্য বলা।

সৎ ভাবে ব্যবসা করা ইসলামের দৃষ্টিতে ইবাদত। যারা ব্যবসায় সততা বজায় রাখে মহান আল্লাহ তাআলা তাদের বরকত দেন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ পরস্পর বিচ্ছিন্ন না হয়, ততক্ষণ তাদের এখতিয়ার থাকবে (ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করা বা বাতিল করা)।

যদি তারা সত্য বলে এবং অবস্থা ব্যক্ত করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে আর যদি মিথ্যা বলে এবং দোষ গোপন করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত মুছে ফেলা হয়।
(সহি বুখারি, ২০৭৯)

৩. ভোর সকালে কাজ শুরু করা।

রাতের বিশ্রাম শেষে ভোর সকালে মানুষের দেহ-মন সতেজ থাকে, উদ্যমতা থাকে। তা ছাড়া এ সময় কাজে বরকত লাভের কথা হাদিস শরিফেও এসেছে।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন।’ তা ছাড়া তিনি যখন কোনো ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করতেন তখন দিনের প্রথম ভাগেই পাঠাতেন। বর্ণনাকারী সাখর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তাঁর পণ্যদ্রব্য দিনের প্রথম ভাগে (ভোরে) পাঠাতেন, ফলে তিনি সম্পদশালী হয়েছিলেন এবং এভাবে তিনি অনেক সম্পদের অধিকারীও হয়েছিলেন। 
(আবু দাউদ, ২৬০৬)

৪. পড়ে যাওয়া খাবার উঠিয়ে খাওয়া।

আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু প্রিয় নবীজির খাবার খাওয়ার সময়ের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাওয়ার পরে তাঁর তিনটি আঙুল চাটতেন। তিনি বলতেন, তোমাদের কারো খাবারের লোকমা নিচে পড়ে গেলে সে যেন তার ময়লা দূর করে তা খেয়ে নেয় এবং শয়তানের জন্য তা ফেলে রেখো না। (বর্ণনাকারী বলেন,) আমাদের তিনি থালাও চেটে খাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, তোমাদের খাদ্যের কোন অংশে বরকত রয়েছে তা তোমাদের জানা নেই।
(তিরমিজি, ১৮০৩)

৫. আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখা।

আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ভরসা রাখাকে তাওয়াক্কুল বলে। এর দ্বারাও জীবনের পেরেশানি দূর হয়। কাজেকর্মে বরকত লাভ হয়।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহর ওপর ভরসা করতে, তাহলে তিনি অবশ্যই তোমাদের পাখির মতো রিযিক দান করতেন। ভোরবেলা পাখিরা খালি পেটে (বাসা থেকে) বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যাবেলা উদর পূর্তি করে (বাসায়) ফিরে আসে। (ইবনে মাজাহ, ৪১৬৪)

৬. যেকোনো ভালো বিষয়ে ইস্তিখারা করা।

ইস্তিখারা বলা হয় নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে কোনো বিষয়ের কল্যাণ চাওয়া। এর মাধ্যমেও বরকত অর্জিত হয়।

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ সালামি রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবাদের সব কাজে এভাবে ইস্তিখারার শিক্ষা দিতেন, যেভাবে তিনি তাদের কোরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন।
(সহি বুখারি, ৭৩৯০)

 ৭. আল্লাহর ভয় অন্তরে রাখা।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেজগারি অবলম্বন করত, তাহলে আমি তাদের প্রতি আসমানি ও পার্থিব নিয়ামত উন্মুক্ত করে দিতাম।’
(সুরা আরাফ, আয়াত : ৯৬)

৮. নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ লক্ষ করে এবং বুদ্ধিমানরা যেন তা অনুধাবন করে।’

(সুরা সদ, আয়াত : ২৯)

অর্থাৎ একনিষ্ঠতার সঙ্গে নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করলে সব কাজে বরকত হয়। তাই বরকত লাভে কুরআন তিলাওয়াতের বিকল্প নেই।

৯. দোয়ার মাধ্যমে বরকত লাভ।

সুলাইম গোত্রের আবদুল্লাহ ইবনু বুসর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পিতার ঘরে এলে তিনি তাঁর সামনে খাদ্য পরিবেশন করলেন। তিনি ‘হাইস’ নামক খাবারের উল্লেখ করলে তা তাঁর কাছে নিয়ে আসা হলো। অতঃপর তিনি শরবত আনেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা পান করলেন। তারপর ডান দিক হতে পরিবেশন করা হলো। তিনি খেজুর খেলেন এবং বিচিগুলো তর্জনী ও মধ্যমা আঙুলের পেটের ওপর রাখলেন। যখন তিনি বিদায় নিতে উঠলেন, আমার পিতাও দাঁড়ালেন। তিনি তাঁর জন্তুযানের লাগাম ধরে বলেন, আল্লাহর কাছে আমার জন্য দোয়া করুন। তিনি দোয়া করলেন : ‘হে আল্লাহ! তাদের দেওয়া রিযিকে বরকত দিন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন।
(আবু দাউদ, ৩৭২৯)

১০. আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা।

 আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখলে আল্লাহ তাআলা জীবনে ও রিযিকে বরকত দান করেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে তার জীবিকা বৃদ্ধি হোক অথবা তার মৃত্যুর পরে সুনাম থাকুক, তবে সে যেন আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করে।
(সহি বুখারি, ২০৬৭)

মহান আল্লাহ আমাদের এসব গুণ অর্জন করে সর্বক্ষেত্রে বরকত লাভের তাওফিক দান করুন।

নোটঃ মুফতি মনোয়ার হুসাইন হুজুরের টাইমলাইন থেকে।
সংগৃহীত

Saturday, August 12, 2023

How to handle stress


আপনার পূর্বপুরুষকে একটা বাঘ তাড়া করলে তিনি কি করতেন??

সহজ উত্তর হচ্ছে, একা থাকলে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করতেন, আর অস্ত্রপাতি সহ দলবল নিয়ে থাকলে রুখে দাড়াতেন।

যদি তিনি দৌড়ানো শুরু করতেন, তার ব্রেইন দ্রুত এড্রেনালিন আর কর্টিসোল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তার কিডনিকে নির্দেশ দিত। রক্তে ইনসুলিন লেভেল বেড়ে যেত, দ্রুত গ্লুকোজ পোড়ানো শুরু করতো শরীর, তখন শুরু হত গ্লুকাগন লেভেল বাড়া। গ্লুকাগনের কাজ ইনসুলিনের উলটা, এটা রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বাড়ায়। রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমে গেলে যেহেতু আপনার সেই পরদাদা জোরে ছুটতে পারবে না, ত্তাই গ্লুকাগন রক্তে গ্লুকোজের পরিমান যেন পড়ে না যায় সেজন্য চেষ্টা করতে থাকতো। প্রথমেই লিভারে থাকা গ্লাইকোজেনগুলি পুড়িয়ে ফেলতো শরীর, এরপর শুরু হত মাসলে জমানো গ্লাইকোজেন পোড়ানো।
এরপর, শরীরকে খুজতে হত শক্তির অন্য উৎস। এই উৎস হল শরীরে জমানো ফ্যাট। 
ব্রেইন সহজে ফ্যাট পোড়াতে চায় না, তাই ব্রেইন খাবারের খোজে থাকে। ব্রেইন আপনার পূর্বপুরুষকে অবচেতনে বলতো, খাবার খাও।

আধুনিক দুনিয়ায় আমাদের কোন বাঘ তাড়া করে না। আমাদেরকে তাড়া করে প্রচন্ড কাজের চাপ, বসের বকা, সারাবছর মাথার ওপরে একের পর এক ডেডলাইন।

এই ক্রনিক স্ট্রেস আমাদের শরীরের স্বাভাবিক মেটাবলিজমকে শাট ডাউন করে আমাদেরকে একটা অলটাইম হিডেন ইমার্জেন্সিতে রাখে।

ইনসুলিন অল্প সময়ের জন্য শরীরে বেশি থাকলে সমস্যা নেই কিন্তু একটানা যখন বেশি থাকে দিনের পর দিন, তখন শরীরে তৈরি হয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স।

দীর্ঘমেয়াদে স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে কমতে থাকে ডোপামিন, বাড়তে থাকে প্রোল্যাক্টিন। শুরু হয় পুরুষদের মেয়েলি আচরন অথবা মেয়েদের অনুর্বরতা।

আমাদের এক্টিভ থাইরয়েড হরমোন টি থ্রি কনভার্ট হতে শুরু করে রিভার্স টি থ্রি তে, ফলে ব্যাখ্যার অযোগ্য ভাবে বাড়তে থাকে ভিসেরাল ফ্যাট এবং সাদা চর্বি।

আমাদের প্যারাথাইরয়েড হরমোন শুরু করে বোন মাস ব্রেকডাউন, মানে, আমাদের হাড়ক্ষয়ের হার বেড়ে যায়।

গাট ব্যাকটেরিয়ারা সেরোটোনিন উৎপাদন কমিয়ে বা থামিয়ে দিতে থাকে, ফলে আপনার সঙ্গী হয় বিষন্নতা, কমতে থাকে মগজের ধার, বাড়তে থাকে এইজিং।

এই যে হরমোনাল র‍্যাম্পেজ, এটাকে আপনি থামাতে পারবেন না যদি না আপনি ভাল স্ট্রেস হ্যান্ডলার না হন।

সত্যি বলতে, ইতিহাসের কোন সময়েই মানুষ আজকের মত স্ট্রেসে ছিল না। মানুষের ব্রেইনকে এত ইনফরমেশন প্রসেস করতে হয় নাই, এত ডিসিশান মেইক করতে হয় নাই এবং এত রকম ভয়ের সাথে মানায়ে নিতে হয় নাই।

এখন, স্ট্রেস নিয়েন না বললেই তো আপনার লাইফ থেকে স্ট্রেস চলে যাবে না। আর স্ট্রেস না নেয়ার যে মাইন্ডসেট, ঐটা হল বহু বছরের প্রিপারেশানের ফলাফল।

এখন স্ট্রেসকে ম্যানেজ করার জন্য আমাদের শরীর সাধারনত নয়টা নিউট্রিয়েন্টকে বেশি ব্যবহার করে।
১)ভিটামিন সি
২)ক্যালসিয়াম
৩)ম্যাগনেসিয়াম
৪)থাইমিন বা ভিটামিন বি-১
৫)ভিটামিন বি থ্রি বা নায়াসিন
৬)ভিটামিন বি-৫ বা প্যান্টোথেনিক এসিড
৭)সোডিয়াম
৮)ফসফরাস
৯)কোলেস্টেরল
১০)গ্লুকোজ

খেয়াল করবেন, কয়েক ধরনের খাবার স্ট্রেসের সময় আমাদেরকে বেশি টানে।
১)কফি
২)সুগার
৩)নিকোটিন
৪)স্যাচুরেটেড ফ্যাট

কেন বেশি টানে??
কারন ওপরের ১০টা নিউট্রিয়েন্টকে আপনার বডি তখন ওভার ইউজ করে। দ্রুত নিজের স্টোরেজ ডিপ্লেশনকে ঠেকাইতে চায় বডি, যেকোন মূল্যে, এমনকি একটা হার্টের রোগীকে ওভারইটিং করায়ে হইলেও বডি এইটা করায়ে নেয়।

তাইলে স্ট্রেস থেকে হওয়া ড্যামেজ থেকে বাচার উপায় কি??

উত্তর হচ্ছে, মাইন্ডকে ট্রেইন করা। স্ট্রেস নেয়ার জন্য নিজের মানসিক শক্তি বাড়ানো। যে জিনিসগুলাকে ভয় পান, টেকনিক্যালি কিভাবে সেগুলা মোকাবিলা করতে পারেন তা নিয়ে বেশি বেশি রেশনাল চিন্তা করা।

ব্যাপারটা সোজা না, বহুদিনের চেষ্টার ফল।

আর অবশ্যই যারা বেশিরভাগ সময় স্ট্রেসে থাকেন, নিয়মিত ভিটামিন সি খাবেন দিনে ৫-৬ বার ৫০০ এমজি করে। স্ট্রেস এডাপটেশন ভাল হবে।

কমপ্লিট বি ভিটামিন ক্যাপসুল নিতে চেষ্টা করবেন দিনে ২-৩ বার।
লাইফ এক্সটেনশান, ডক্টর্স বেস্ট, নাউ অথবা ওসাভি, এই ব্র‍্যান্ডগুলা রেকমেন্ডেড।

মাসে অন্তত ৩-৪ দিন একটা করে প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল খাবেন।

হাতে এনাফ টাকা পয়সা থাকলে লাইফ এক্সটেনশান ম্যাগনেসিয়াম আর নাউয়ের বি-৫ সাপ্লিমেন্ট খাবেন।

প্রচুর শাক খাবেন, ক্যামোমাইল, মাচা বা ল্যাভেন্ডার টি খাবেন।

সুযোগ পেলেই মুরগী বা খাসীর গোশত খাবেন, এগুলা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য বেশ ভাল। আরেকটা ভাল জিনিস হচ্ছে দুধ, মধু, হলুদ ও কালোজিরার কম্বিনেশান।

চিনি বা তামাক বা এলকোহল খেয়ে স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করবেন না, তাহলে কোনদিনই স্ট্রেস থেকে রক্ষা পাবেন না।

আরো কয়েকটা ফ্রি উপায় আছে, সবার হয়তো ভাল লাগবে না।

১)সকালের সোনালী রোদ এবং নীল আকাশ দেখা
২)কোল্ড ওয়াটার থেরাপি-এন্ড্রিউ হিউবারম্যানকে ফলো করতে পারেন
৩)ওয়েট ট্রেইনিং করা
৪)স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ-ধ্যান-সিজদাহ

সিজদাহ মানুষের জানা একটা অতি প্রাচীন পদ্ধতি, কমপ্লিট সাবমিশনের একটা পরীক্ষিত উপায়। আমাকে আপনি রিলিজিয়াসলি ডগম্যাটিক বলবেন, সে উপায় আমি রাখবো না। গভীর সিজদাহ স্ট্রেস রিলিজ করে বলেই এটা হাজার হাজার বছর ধরে এতগুলো ধর্মে এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন এমন মানুষেরা সিজদাহকে সবসময়ই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের চুড়ান্ত উপায় হিসেবে নিয়েছেন এবং মোটের ওপর এটাকে সফলই বলা যায়।

মাঝে মাঝে, সমস্ত নিউট্রিয়েন্টের চেয়েও এটাই বেশি কাজ করে। কয়েক মুহুর্তের একটা সিজদাহ আচমকা আপনার সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে শাট ডাউন করে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে(এটা স্ট্রেস রিলিজ করে) সচল করে।

আপনি যখন মাইন্ডফুলনেসের সাথে সিজদাহ করেন, আপনি তখন নিজেকে কনভিন্স করেন, কেউ একজন আছে যার আপনাকে রক্ষা করার ক্ষমতা আছে এবং তিনি আপনাকে রক্ষা করতে আসবেন।

- সজল ভাইয়ের লিখা