Saturday, January 4, 2025

_মুমিন হয়েও পরকালে যাদের শাস্তি পেতে হবে..._

*_মুমিন হয়েও পরকালে যাদের শাস্তি পেতে হবে..._* 

(মাহমুদ হাসান ফাহিম)

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের বিশ্বাসমতে,কোনো ইমানদার ব্যক্তি কাফেরদের মতো চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকবে না। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী,৩৪ শ্রেণির গুনাহগার মুসলমানের কথা পাওয়া যায়,যারা পরকালীন জীবনের শুরুতে কৃত অপরাধের জন্য জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে,এরপর জান্নাতে প্রবেশ করবে। যথা—

১.প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী (সহিহ মুসলিম: ৬৬)।

২.অহংকারী (সহিহ মুসলিম: ১৩১)।
 
৩.পরচর্চাকারী (সহিহ মুসলিম: ১৫১)। 

৪.আত্মহত্যাকারী (সহিহ বুখারি: ৫৪৪২)। 

৫.আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী (সহিহ বুখারি: ৫৫২৫)।

 ৬.হারাম ভক্ষণকারী (সুনানে বায়হাকি: ৫৫২০)। 

৭.খোঁটাদানকারী।
 
৮.অবাধ্য সন্তান। 

৯.মদ্যপানকারী (সুনানে নাসায়ি: ৫৫৭৭)। 

১০.অন্যকে নিজের পিতা পরিচয়দাতা (সহিহ বুখারি: ৬২৬৯)। 

১১.দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে যারা ইলম শেখে (সুনানে আবু দাউদ: ৩১৭৯)। 

১২.তাকদির (ভাগ্য) অস্বীকারকারী (আহমদ: ৬/৪৪১)। 

১৩.জ্যোতিষ। 

১৪.জাদুকর (মুসনাদে আহমদ)। 

১৫.ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি (সুনানে নাসায়ি: ১৯৬০)। 

১৬.পুরুষের বেশধারী নারী। 

১৭.পরিবারের সদস্যদের ধর্মহীনতায় উদাসীন (মুসতাদরাকে হাকেম: ২২৬)।

 ১৮.আল্লাহর রাসুলের নাফরমান (সহিহ বুখারি: ৬৭৩৭)। 

১৯.ওয়ারিশকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিতকারী (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৬৯৪)।

২০. ব্যভিচারী। 

২১. মিথ্যাবাদী শাসক

২২.অহংকারী গরিব (সহিহ মুসলিম: ১০৭)

২৩.গোড়ালির নিচে কাপড় পরা ব্যক্তি। 

২৪.মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রেতা (সুনানে নাসায়ি: ২৫৬৩)

২৫.যে মহিলা অকারণে তালাক চায় (তিরমিজি: ১১০৮)।

২৬.চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যাকারী (সহিহ বুখারি)

২৭.অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎকারী (সহিহ মুসলিম: ১৯৬)। 

২৮.বিশ্বাসঘাতক শাসক (বুখারি: ৬৬১৮)। 

২৯.দাড়ি-চুলে মেহেদি ছাড়া কালো কলপ ব্যবহারকারী (সুনানে আবু দাউদ: ৪২১২)

৩০.অশ্লীলভাষী

৩১.উগ্র মেজাজি। 

৩২.কটুভাষী (আবু দাউদ: ৪১৬৮)

৩৩.উলঙ্গ-অর্ধ উলঙ্গ নারী (সহিহ মুসলিম-২১২৮)

৩৪.মানুষের বাহবা কুড়াতে ইবাদতকারী (সহিহ মুসলিম: ৩৫২৭)।

Tuesday, November 26, 2024

সচল হন

পর্দার ভেতর থাকার অর্থ অলস ও অকর্মণ্য থাকা নয়। বোনদের বলব, প্লিজ কাজবাজে থাকুন। শুয়ে-বসে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। বয়সের আগেই শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে পর্দাও করতে পারবেন না। বোরকা পরে লাভ কী, যদি দৈহিক গঠন লুকোতে না পারেন? এজন্য শতভাগ পর্দার স্বার্থে হলেও আপনাদের বাসার কাজবাজ করা দরকার। ঠিক এ-কারণে আমি মেয়েদের চার-‍দেয়ালবন্দি মহিলা মাদরাসায় থাকার পক্ষে না। 

তাদের জন্য গভীর ইলমের চেয়ে আমলের উদ্দীপনা এবং বাসাবাড়ির কাজে সক্রিয় থাকা জরুরি। বেইসিক তো শিখতেই হবে, তারপর শিখতে হবে সংসার। স্বামীর পরিবারকে মুঠোয় পুরা নয়, আপন করা জানতে হবে। এসবের শিক্ষা আসে মায়ের কাছ থেকে, আসে ঘনিষ্ঠ নারী আত্মীয়াদের সাথে মিলেমিশে। তাই, তাদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারে সময় দেয়ার সুযোগ থাকতে হবে। দরকারে সিলেবাস ঢেলে সাজাতে হবে। 

আপনি শরীরের যত্ন না নিলে পরবর্তীতে নরমালে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। দৈহিক যে ফিটনেস আপনার থাকতেই হবে, তার ব্যাপারে যত্নশীল হোন। সত্য করে বললে, একজন পুরুষ নারীর ঠোঁটের লিপস্টিকের চেয়ে তার দৈহিক কাঠামোয় বেশি আকর্ষিত হয়। তাই স্বামী সামলাতে ঝগড়া না করে ফিট ও পরিপাটি থাকুন। শুকিয়ে কাঠও হবেন না, মুটিয়ে মাঠও হবেন না। সাজগোজের পাশাপাশি কাজবাজ করুন। সুস্থ থাকুন। 

বিয়ের পর পুরুষের কাজ অনেক সময় সহজ হয়। সে দোকানে বসে থাকে, মাদরাসায় জমে থাকে বা এসির বাতাসে বসে কারবার সামলায়। কিন্তু ঘরের মহিলাকে ঠিকই কষ্টের কাজগুলো করতে হয়। বাচ্চা সামলানো, কিচেন ও ঘরদোর গোছানো নিশ্চয়ই অলস কোনো কাজ নয়। তাই নিশ্চিত করুন আপনার বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় পরবর্তী জীবনের যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠার ব্যাপার আছে কি না। নতুবা সব দিক থেকে পস্তাবেন। না পারবেন ঠিকভাবে পর্দা করতে, না নিরাপদে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন, না স্বামীর চোখে সোহাগী হতে পারবেন। 

আল্লাহ জানে কথাগুলো কতজন বুঝবে...

-সাদিক ফারহান