প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এ
অঞ্চলের (সিলেট বিভাগ) বিভিন্ন নামের উল্লেখ আছে। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে শিবের
স্ত্রী সতি দেবির কাটা হস্ত (হাত) এই অঞ্চলে পড়েছিল, যার ফলে 'শ্রী হস্ত' হতে শ্রীহট্ট নামের উৎপত্তি বলে হিন্দু সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন।
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের ঐতিহাসিক এরিয়ান লিখিত বিবরণীতে এই অঞ্চলের নাম
"সিরিওট" বলে উল্লেখ আছে। এছাড়া, খ্রিস্টীয়
দ্বিতীয় শতকে এলিয়েনের (Ailien) বিবরণে
"সিরটে", এবং পেরিপ্লাস অব দ্যা এরিথ্রিয়ান সী
নামক গ্রন্থে এ অঞ্চলের নাম "সিরটে" এবং "সিসটে" এই দুইভাবে
লিখিত হয়েছে। অতঃপর ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে যখন চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই অঞ্চল
ভ্রমণ করেন। তিনি তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে এ অঞ্চলের নাম "শিলিচতল" উল্লেখ
করেছেন[১২]। তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দীন বিন বখতিয়ার খলজি দ্বারা বঙ্গবিজয়ের
মধ্য দিয়ে এদেশে মুসলিম সমাজব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটলে মুসলিম শাসকগণ তাঁদের
দলিলপত্রে "শ্রীহট্ট" নামের পরিবর্তে "সিলাহেট",
"সিলহেট" ইত্যাদি নাম লিখেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ
মিলে। আর এভাবেই শ্রীহট্ট থেকে রূপান্তর হতে হতে একসময় সিলেট নামটি প্রসিদ্ধ হয়ে
উঠেছে বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন ।
No comments:
Post a Comment