Saturday, May 25, 2024

তরুণদের পতিতা সমস্যা

আমাদের যুবকদের চরিত্র সংরক্ষণ নিয়ে যখন আলোচনার প্রসঙ্গ আসে, তখন কয়েকটা পরিচিত ব্যপারেই সবাই কথা বলে - রিলেশনশীপ, সমকামীতা। কিন্তু একটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। সেটা হলো পতিতালয়ে যাওয়া।

জাস্ট ভাবতে পারবেন না, কী পরিমাণ স্কুল-কলেজে যাওয়া ছেলেরা এতে জড়িয়ে যাচ্ছে। অ্যাকচুয়াল পতিতার সাথে কথা না বললে এর ভয়াবহতার মাত্রার ব্যাপারে কোনো আইডিয়াই পাবেন না।

আমার একবার এক সর্দার(নীর) ইন্টারভিউ নেবার সুযোগ হয়েছিলো। তার কাছ থেকেই শোনা ব্যাপারটা।

ভার্সিটিতে আসার আগের ঘটনা এটা। কোচিংয়ে সকাল-বিকেল ক্লাস পড়ে গেছে, তার উপর রমজান মাস। তাই বাসায় না গিয়ে একবারে কোচিং শেষেই যাই। মাঝে সারাদিন শহর ঘুরে কাটে। একদিন বৃষ্টির কারণে আশ্রয় নিতে হলো এক পুরোনো বিল্ডিংয়ের বারান্দায়। বারান্দা বেশ ছোট, মানে ভীড়ের তুলনায়। এরমধ্যে এক ছেলে কথা বলা শুরু করলো আমার সাথে। হরেক রকম টপিক, সামনে আম বিক্রি হচ্ছে, বৃষ্টি এইসব। কিন্তু খেয়াল করলাম, ভয়েসটা কেমন মেয়েলী, অনেকটা হিজড়াদের মত। তারপর আমার জীবনের সবচেয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতাটা হলো।

ছেলেটা যা বললো তা এরকম, সে জন্মেছিল হিজড়া হয়ে। পরিবার নেয়নি, বাধ্য হয়ে শহরে চলে আসে। আশ্রয় হয় পতিতাপল্লীতে। কিন্তু হিজড়া হওয়ায় তেমন কোনো সার্ভিস দিতে পারত না। তারপর তার যখন ১৫ বছরের মত বয়স, কেউ একজন স্পন্সর করে ভারতে পাঠায়। তিন লাখ টাকা দিয়ে ট্রান্স সার্জারি করে হয়ে যায় মেয়ে। মেয়ে বলতে কেবল জননাঙ্গই নারীর মত, দেহের বাকি অংশ পুরুষ - সামান্য দাড়িও আছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, বহু হিজড়া এখন ভারত থেকে এই সার্জারি করে আসছে, ইভেন খুলনাতেও হয়। জীবিকার জন্য হিজড়ারা বহু কিছু করে, এটাও ওরকম। অনেক হিজড়া আবার যৌনতার স্বাদ নেবার জন্যও এই সার্জারিতে ঝুকছে। তবে সবার চেয়ে বড় ব্যাপার, এই ধরণের রুপান্তরিত পতিতাদের একটা ধরণের কাস্টমার শ্রেণী আছে, অনেকটা ফেটিশ টাইপের বলতে পারেন। এরাই নিয়মিত হয়ে ব্যাপারটা টিকিয়ে রেখেছে। 

এবার মূল প্রসঙ্গে আসি। একটা সময় পর্যন্ত আমার ধারণা ছিল, পতিতাদের কাছে কেবল মধ্যবয়েসী পুরুষেরাই যায়। সেই ভুল ভেঙ্গে গেলো। ওই সর্দার বলল, আমাদের একটা বড় কাস্টমার শ্রেণী হচ্ছে এই স্কুল-কলেজের ছেলেরা। প্রমাণও করে দেখালো, অলমোস্ট র‍্যান্ডম একটা ইউনিফর্ম পরা ছেলেকে ডাক দিলো। দেখলাম ছেলেটা কুশল জিজ্ঞেস করলো। 
সর্দার বলল, ছেলেটা গত সপ্তাহেও এসেছিল।  
বললাম, রমজান মাস না? 
বললো, তোমার কী মনে হয়, যারা এইসব করে তারা রোজা মানে? 

ওর হাতে একটা হিন্দু 'ওম' ট্যাটু দেখালো। বলল, ভারত থেকে যে হিজড়াই সার্জারি করে আসে তাকে এই ট্যাটু করে দেয়। 

সেদিন ওইসব শুনে ভয়ে আমার নাড়িভুড়ি পর্যন্ত জমে গিয়েছিল। 

সেই সর্দারের বক্তব্য আর পরবর্তিতে কিছু সিনিয়রের কথা থেকে ব্যাপার যেটা বুঝলাম, ছাত্রদের একটা অংশ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে তো যাচ্ছেই, সাথে আরো একটা ব্যাপার আছে।

 ম্যাক্সিমাম কিশোর যারা ব্যাভিচারে জড়াচ্ছে, আমাদের ধারণা তারা সব রিলেশনের মাধ্যমেই জড়াচ্ছে। ব্যাপারটা ভুল। মেয়েরা হাইপারগামাস, ফলে একজনকে বেড পর্যন্ত আনতে যে লুক, স্কিল আর কনফিডেন্স দরকার তা ৯০% ছেলের মধ্যে থাকে না। 
কিন্তু পর্নের এই জলের মত সহজতার যুগে সে তার ক্লাসমেটদেরকে কত আনন্দে দিন কাটাতে দেখছে। আর বিয়ের অপশন অসম্ভব, কারণ তার বড় ভাইকে দেখছে ত্রিশে বিয়ে করতে। একটা বিয়ে কিশোরের কাছে কেবল সেক্সের জন্য হলেও কয়েক হাজার ব্যাপার জড়িত, শ্যালকের ঈদ সালামী পর্যন্ত চিন্তা করা লাগে। তার ভাবীকে দেখছে মায়ের সাথে অশান্তি করতে।

সে কয়েকদিন হলো সেক্স ডিসকভার করেছে, সে কেবল ওটাই চায়, সাংসারিক ঝামেলা চায় না। আবার মেয়ে পটানোর মত কিছু তার নেই। কিন্তু সেক্স তো লাগবেই।
 তাই লাস্ট অপশন এইসব পতিতারা, মাত্র কয়েকশ টাকা হলেই হলো। 
জেনেছিলাম, এইসব পতিতাপল্লীতে অল্পবয়েসী ছেলেরা গেলে তাদের ব্যাপক খাতির করে।

আর একবার ওই আইস ব্রেক করলেই হলো। ছেলেটা আসক্ত হয়ে যাবে।
 
'সেভ মাই সউল' ডকুমেন্টারীতে দেখেছিলাম, কোরিয়াতে কয়েক বছর আগ পর্যন্ত বড় ভাইয়েরা ছোট ভাইকে গিফট হিসেবে পতিতা ভাড়া করে দিতো

এমনও শুনেছি, স্বামী বিদেশে ভিসা জটিলতায় পড়েছে, বউ দেশে সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস চালাচ্ছে। মাসে দশ হাজারের মত টাকা পার পার্সন, অন-ডিমান্ড সার্ভিস। কাস্টমারদের মধ্যে ইন্টার পড়ুয়া ছেলে থেকে লীগের বড় নেতারা পর্যন্ত আছে। 

****
এই সমস্যার সমাধান করা অনেক কঠিন। কারণ রিলেশনের বেলায় যেমন কত প্রুফ থাকে, এখানে কিছুই থাকে না। কোনো পিছুটান নেই। ম্যাসেঞ্জার চেক করে অভিভাবক যে দুটো চড়থাপ্পড় দিয়ে ফিরিয়ে আনবে, তারও উপায় নেই। 

এক ব্যাপক মাত্রার ধার্মিকতা ছাড়া ফেরানোর পথ থাকে না। যে কিশোর একবার ডিস্কোভার করে ফেলেছে, নারীদেহের বিকল্প কী দিতে পারবেন আপনি?
এ তো আইস্ক্রিম নয় যে বলবেন, বেশী খাসনে - ঠান্ডা লেগে যাবে। বা যারা খারাপ মেয়েছেলের কাছে যায় তাদের এসটিডি হয়। অনার্স পড়ুয়া ছেলের এইডস হবার মত ঘটনাও ঘটেছে।

*****
আমাদের বা এইসব ছেলেদের বাপেদের বিন্দুমাত্র আইডিয়া নেই যে এই জেনারেশনের সাথে কী চলছে। তারা ছোটবেলায় ভাতের কষ্ট করেছে, তার ছেলেদের করা লাগছে না, কেবল এইটুকুই তারা কেয়ার করে। তাদের কাছে ছেলেপেলে বড়ই হয়নি।

একটা জিনিস মনে রাখা দরকার, শাস্তি ছাড়া একটা দশফুটের ক্লাসরুমেও ডিসিপ্লিন আসে না। সেখানে পুরো সমাজ? লাস্ট কবে শুনেছেন যে কোনো ব্যাভিচারির শাস্তি হয়েছে?
আগে একটা ফ্যামিলির কেউ পালিয়ে বিয়ে করলেও পত্রিকায় নিউজ আসত। এখন ওসব নেই।

শাস্তি নেই, পাপ থেকে বেঁচে থাকলে তার কোনো বাহ্যিক রিওয়ার্ড নেই - তাহলে একটা ছেলে কী লিভারেজের জন্য পবিত্র থাকার কথা ভাববে?

কেউ সমাধান আনে তাকওয়া- খোদাভীতি। আচ্ছা, একটা ১৫ বছরের কিশোরের কাছ থেকে কোন লেভেলের তাকওয়া আশা করেন আপনি?

****
ধর্মীয় দিকেও দায় কী কম? আল্লাহ সব মাফ করে দেয় - এই ফিলোসফি কয়েকশ গুণ বেশী দেখা যাচ্ছে গত কয়েক বছরে। আগেপিছে কিছু নেই, গণহারে বলা হচ্ছে, যা ইচ্ছে করো, আল্লাহ ক্ষমাশীল - তুমি কে জাজ করার?

হলে একটা ছেলে থাকত। কোনোভাবে জেনেছে আমি হ্যাকিং নিয়ে নাড়াচাড়া করি। আর সব নতুন ওয়ানাবি হ্যাকার তো কেবল একটা জিনিসই চেনে - কালি লিনাক্স। পাগল করে দিচ্ছে একরকম। যতই বোঝাই আগে ওপেন সোর্স টুল আর সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেখ - তার কালি লিনাক্সই চাই। নিরুপায় হয়ে একদিন ইন্সটল দিয়ে দিলাম। সাথে হার্ডডিস্ক ফরমাট দেওয়া লাগলো, বহু বছরের ফাইল কালেকশন হাওয়া। 
ভেবেছিলাম বিদায় হয়েছে। উলটো আমার ফ্যান হয়ে গেলো। ফাইল গেলে যাক - কালি লিনাক্স তো চলছে। সেই থেকে পরিচয়।

মাঝে ছেলেটা মারাত্বক আপসেট হয়ে গেলো। ক্লাসে যায় না, ইনকোর্স পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে। দেখা হলে যা বললো, হুজুরের কাছে শুনেছে বিয়ের সময় পাস্ট গোপন করতে, ইভেন জিজ্ঞেসও নাকি করা যাবে না। একদম ভেঙ্গে পড়েছে। 
তার কথা ছিলো, "ভাই তাহলে এই দাঁতে দাঁত চেপে পবিত্র থেকে কী হলো? আমার জন্ম ঢাকাতে, আপার মিডল ক্লাস ফ্যামিলি - কোন সুযোগটা আমার ছিলো না? আপনাদের মত হুজুর সিনিয়রদের কথা শুনেছি, এখন হুজুররাই বলছে ওসব ব্যাপার না। আল্লাহ সব মাফ করে দেয়।"

কী উত্তর দেবো? জাতীয় সমস্যা। আর বোঝাতে যাই না। উত্তর নেই।  

****
যারা এখনো পবিত্র রয়েছেন, ভাবছেন এতে কী লাভ হলো? বা আমি তো সুযোগ পাইনি বলে সাধু।
আপনাকে বলি, যে সুযোগের অভাবে সাধু, স্টিল সে সাধু। যে সুযোগের অভাবে খুন করতে পারেনি, হাজার খুনের ইচ্ছের কথা বললেও আমরা কী তাকে খুনী বলতে পারি?

মনে রাখবেন, আপনার যে বন্ধু ব্যাভিচারে জড়িয়ে অপবিত্র হয়েছে, আপনি চাইলে এখনি তার মত হতে পারেন। কিন্তু সে কী হাজারবার চাইলেও এই জীবনে আপনার মত হতে পারবে?

আপনি লাইফে এখনো কিছু করতে না পারেন, এই পবিত্রতাই আপনার সবচে বড় ফ্লেক্স! 

_____
আহমাদ খান



Thursday, May 16, 2024

দাম্পত্য জীবনের দুটো ভুল।

দাম্পত্য জীবনের দুটো ভুল।

১. নারীদের আবেগী অনুভূতি প্রকাশকে বস্তুগত দৃষ্টিকোণ থেকে সিরিয়াসলি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা। সাংসারিক নানা টুকিটাকি বিষয় নিয়ে আপনার স্ত্রী আপনার কাছে ন্যাগিং করতে পারে। তার আবেগের মাত্রা এবং র‍্যাশনাল থিংকিং ক্যাপাসিটি অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে।

বাচ্চাদের লেখাপড়া, খাবারদাবার, বা নিত্যদিনের নানা উৎপাত কিংবা মেহমান ইত্যাদি সামলানো নিয়ে সে বিরক্তি প্রকাশ করতে পারে আপনার কাছে। খুটিনাটি নানা বিষয় নিয়ে বর্ণনা দিতে পারে, যা আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। এইটা তার আবেগিক মনস্তাত্ত্বিক সেটআপের একটা বহি:প্রকাশ। 

পুরুষরা যে জায়গাটায় ভুলটা করে সেটা হোলো, সাথে সাথে তার স্ত্রীকে এসবের সমাধান দিতে চেষ্টা করা, কিংবা বলা যে, "আচ্ছা তাহলে বলো, এর সমাধান কী?"

বস্তুত অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসবের কোনো সমাধান নেই। ইনফ্যাক্ট স্ত্রী আপনাকে বলার ধরন সমস্যা উপস্থাপনের মতো হলেও সে মূলত আপনার কাছে কোনো সমাধান চায় না। সে কেবল চায় আপনি তার কথাগুলো মনযোগ দিয়ে শুনুন এবং মন থেকে বুঝতে চেষ্টা করুন যে তার কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা পুরুষরা অনেকেই এই জায়গায় ফেইল করি। এমনকি এই যে আমি লিখছি, আমিও করি।

মৌলিকভাবে সহানুভূতি প্রকাশের এই এতটুকুই যথেষ্ট। সাথে যদি সেখানে এমন বস্তুগত কোনো সমস্যা থাকে যেটা আপনি সত্যিই সমাধান বা লাঘব করতে পারেন সেটা লাঘব করার ব্যাপারে আপনি যে আন্তরিক সেটা তাকে বলুন, এবং বাস্তবিক আচরণ ও পদক্ষেপের মাধ্যমে বুঝান।

আপনি যদি সমস্যার কথা শুনে আবেগিকভাবে তা ডিল না করে কেবল তার বস্তুগত সমাধান খুঁজতে লেগে যান, তাইলে আপনি ধরা।

ভুল নং ২ পরের পোস্টে... ইনশাআল্লাহ।

✍️Ahmed Rafique

Wednesday, May 15, 2024

Advocacy threat

An advocacy threat arises when an auditor's objectivity and independence are compromised due to promoting or supporting a client’s interests or positions. This threat can lead to a biased opinion, which undermines the credibility of the audit.

### Detailed Explanation

In an audit context, the primary role of an auditor is to provide an independent and objective evaluation of a client's financial statements. Independence is fundamental to the auditor’s ability to provide an unbiased opinion. However, when an auditor advocates for a client, their ability to remain impartial is compromised. This advocacy can be direct or indirect and can manifest in various ways, including:

1. **Legal Representation**: If an auditor or their firm provides legal representation for a client in a lawsuit, the auditor may become too aligned with the client's interests. This alignment can bias their audit judgment.

2. **Lobbying Activities**: If an audit firm lobbies on behalf of a client to influence legislation or regulatory outcomes, the auditor’s objectivity may be impaired.

3. **Marketing or Promotional Activities**: Engaging in activities that promote a client’s products or services can create an advocacy threat, as the auditor may become too vested in the client’s success.

### Example

Consider a public accounting firm that audits a technology company, Tech Innovators Inc. Suppose Tech Innovators is developing a groundbreaking new software and wants to attract investors. The accounting firm, in addition to auditing the financial statements, is also engaged in promoting this software to potential investors, highlighting its innovative features and potential market impact.

#### Detailed Scenario

- **Situation**: Tech Innovators Inc. has developed a new software product that it claims will revolutionize the industry. To attract investors, the company needs to present favorable financial projections and showcase the software’s potential.

- **Audit Firm's Role**: In addition to performing the annual audit, the audit firm is hired to help prepare promotional materials for the software and to present these materials at investor meetings.

- **Conflict**: The audit firm, while auditing Tech Innovators’ financial statements, might feel pressured to ensure the financials reflect a very optimistic outlook to align with the promotional materials. This pressure can lead to an advocacy threat.

- **Impact**: The auditors might overlook or downplay certain risks or uncertainties related to the software’s development and market acceptance. They might also be tempted to present overly optimistic revenue projections or understate potential costs, resulting in biased financial statements.

### Mitigation

To mitigate advocacy threats, auditors and audit firms can implement several safeguards, including:

1. **Separation of Services**: Firms should establish clear boundaries between audit services and any advocacy-related services. Ideally, different teams should handle these activities to maintain independence.

2. **Policies and Procedures**: Establishing and enforcing policies that prevent auditors from engaging in activities that could create advocacy threats is crucial.

3. **Independent Reviews**: Having a third party or another team within the firm review the work can provide an additional layer of objectivity.

4. **Transparency and Disclosure**: Clearly disclosing any non-audit services provided to the audit committee or those charged with governance can help maintain transparency and manage potential conflicts.

### Conclusion

An advocacy threat can significantly impair an auditor's independence and objectivity, leading to biased audit outcomes. By understanding the nature of this threat and implementing appropriate safeguards, auditors can uphold their professional integrity and deliver reliable and unbiased audit opinions.

goal is important

এই লেখাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনের সেরা কিছু শিখবেন যা আপনাকে কখনই শেখাবে না উইথআউট মানি!

কর্পোরেট সেক্টরে কর্মরত বেশিরভাগ লোকই আন্তরিক, পরিশ্রমী এবং তাদের গড় আইকিউ সমান। প্রত্যেকেই সফল হতে চায়, তাদের পরিবারের জন্য সম্পদ সংগ্রহ করতে চায়, আরও উপরে উঠতে চায়। তবুও সবাই ধনী ও সফল হতে পারে না৷ তাদের ব্যর্থতার প্রাথমিক কারণ বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা বা প্রতিশ্রুতির অভাব না। 
তারা ব্যর্থ হয় কারণ তারা কখনই তাদের জীবনকে অগ্রাধিকার দিতে এবং নিজেদের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য তালিকাভুক্ত করতে সময় ব্যয় করে না। তারা ব্যর্থ হয় কারণ তারা তাদের প্রতিভা এবং সম্ভাবনাকে অব্যবহৃত রাখে। তারা ব্যর্থ হয় কারণ তারা মনে করে সময়ের অভাব তাদের প্রধান সমস্যা। জেসি পেনি একবার দারুন একটি কথা বলেছিলো “ "আমাকে একটি লক্ষ্যসহ একজন স্টক ক্লার্ক দিন, আমি আপনাকে এমন একজন ব্যক্তি দেব যে ইতিহাস তৈরি করবে। আমাকে একটি লক্ষ্যহীন লোক দিন, আমি আপনাকে একটি স্টক ক্লার্ক দেব।"
লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সম্পদ সৃষ্টির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি মার্ক ম্যাককরম্যাক তার বেস্টসেলিং বই What they Don't Teach You at Harvard Business School, 1979 এবং ১৯৮৯ এর মধ্যে পরিচালিত হার্ভার্ড গবেষণায় দেখিয়েছে। ১৯৭৯ সালে, হার্ভার্ডের এমবিএ প্রোগ্রামে স্নাতক ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলেন “তোমাদের কি নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য স্পষ্ট, লিখিত কোনো লক্ষ্য আছে? সেটা পূরণ করার জন্য পরিকল্পনা আছে?”
দেখা গেল যে স্নাতক হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ তাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা লিখে রেখেছে। আর ১৩ শতাংশের লক্ষ্য ছিল, তবে তারা সেগুলো লিখতে পারেনি। তারা নিজেদের জন্য লক্ষ্য স্থির করেছিল যা তাদের মনের মাঝে সংরক্ষিত ছিলো। বাকি ৮৪ শতাংশের পাশ কর, গ্রীষ্মের ছুটি উপভোগ করা এরপর চাকুরী করা ছাড়া আর কোনো লক্ষ্য ছিলো না৷
দশ বছর পর, ১৯৮৯ সালে, গবেষকরা আবার তাদের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নেন। তারা দেখেছে যে ১৩ শতাংশের যাদের কোনো লিখিত লক্ষ্য ছিলো না, তবে মনে মনে নির্ধারণ করা ছিলো তারা ৮৪ শতাংশের দ্বিগুণ উপার্জন করছে। তবে এখানে সব চেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো, তারা দেখেছে যে, সেই ৩ শতাংশ স্নাতক ছাত্রদের উপার্জন ছিলো ৮৪ শতাংশের উপার্জনের প্রায় দশগুণ!
৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা বা কঠোর পরিশ্রমে অন্যদের তুলনায় খুব বেশি পার্থক্য ছিল না। তাদের মধ্যে পার্থক্যটি ছিল স্নাতক হওয়ার সময় তারা নিজেদের জন্য যে লক্ষ্যগুলি সেট করেছিল তার স্পষ্টতা।
আমি এখন এই গবেষণার আর একটি বিষয় শেয়ার করি। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, উল্লেখিত গবেষণাটি হয়েছিলো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সারা বিশ্বের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। এখানে অধ্যায়নকৃত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই আসে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে। আবার তাদের অনেকেই পরবর্তীতে অনেক বড় স্কলার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। সুতরাং দেখা যায়, তাদের শিক্ষার্থীদের যদি মাত্র ৩ শতাংশ লক্ষ্যগুলো লিখে রাখে তাহলে সাধারণ জনগনের কত শতাংশ লিখে রাখতে পারে? আমি অনুমান করি যে, এটা ১ শতাংশের কম হবে। এখানে আশ্চর্যের কিছু নেই, স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ অন্য ৯৯ শতাংশের চেয়ে বেশি সম্পদ সঞ্চয় করেছে।  

লক্ষ্যগুলো আপনার প্রচেষ্টা এবং শক্তির দিকনির্দেশনা দেয়

আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা একটি বিশ্লেষণাত্মক মস্তিষ্ক উপহার দিয়েছেন, যেটা ক্রমাগত কাজ করে যায়৷ যতক্ষণ না আমরা গভীর ঘুমে ডুবে যাই ততক্ষণ আমরা ভাবতে থাকি। এই ভাবনাগুলো প্রায়ই আমাদের ভবিষ্যতের সাথে সম্পর্কিত৷ তবে যখনই আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার কথা আসে তখনই সাধারণত দুইটি বিকল্পের কথা আসে। হয় প্রত্যাশার সাথে ভবিষ্যতের মুখোমুখি হবো অথবা আশঙ্কার সাথে। 
অনুমান করুন আমাদের মধ্যে কতজন আশঙ্কার সাথে ভবিষ্যতের মুখোমুখি হওয়ার জন্য শঙ্কাগ্রস্থ। 
 আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই চিরকাল উদ্বিগ্ন থাকে। তারা তাদের পদোন্নতি, তাদের বৃদ্ধি এবং তাদের বেতন নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা তাদের বসকে খুশি করতে এবং তাদের সহকর্মীরা তাদের সম্পর্কে কি ভাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা তাদের অধীনস্থরা সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় উদ্বিগ্ন। তারা তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। সকালে তাদের গাড়ির ছোটখাটো ছিদ্র হলে তা নিয়েও তারা চিন্তিত। এবং বেশিরভাগ সময় তারা স্কুলে তাদের বাচ্চাদের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত। কেন এই ব্যক্তিরা সবকিছু নিয়ে এত শঙ্কিত?
এর প্রধান কারণ তারা তাদের ভবিষ্যত ডিজাইন এবং পরিকল্পনা করার জন্য সময় ব্যয় করেনি। তাদের মধ্যে অনেকেই চিরতরে কারো সুনজর লাভের চেষ্টা করে জীবন পার করে। আর এই 'কেউ' কে? এই 'কেউ' বেশিরভাগই তাদের সহকর্মী, তাদের বস, প্রতিবেশী এবং দূরের আত্মীয় যাকে তারা খুব একটা পছন্দ করে না। তবে এই মানুষগুলো কখনই সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সুনজর লাভের দিকে তাকায়না। তারা সব সময় তাদের চারদিকে তাকায় এবং তাদের নিজেদের ছাড়া অন্যদের সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করে। তারা সব সময়ই চিন্তিত থাকে। 
অন্যদিকে যারা প্রত্যাশা নিয়ে ভবিষ্যতের মুখোমুখি হতে চায় তারা সব সময়ই পরিকল্পিত লক্ষ্যের তালিকা নির্ধারণ করে। তাদের লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে। তারা মনের চোখে তাদের ভবিষ্যৎকে দেখে এবং তা অবশ্যই দুর্দান্ত দেখায়। 
ডঃ থমাস স্ট্যানলি তার গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজ। তার বই “দ্য মিলিয়নেয়ার নেক্সট ডোর”-তে একজন পাইকারি খাদ্য ব্যবসায়ীর কথা বলেছেন যিনি একজন মিলিয়নেয়ার ছিলেন। উনিশ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু করেছিলেন এই ব্যক্তি। যদিও তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করেননি, তবে তিনি জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে তার উচ্চ বিদ্যালয়ের সমমানের ডিপ্লোমা পেয়েছিলেন। যখন তাকে তার সাফল্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এবং কীভাবে তিনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ড্রপআউট হওয়া সত্ত্বেও $10 মিলিয়নের বেশি সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছেন, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন:
"আমি সবসময় লক্ষ্য-ভিত্তিক ছিলাম। আমার দৈনিক লক্ষ্য, সাপ্তাহিক লক্ষ্য, মাসিক লক্ষ্য, বার্ষিক লক্ষ্য এবং জীবনকালের লক্ষ্যগুলোর একটি পরিষ্কার তালিকা তৈরি করেছি। এমনকি আমার বাথরুমে যাওয়ারও লক্ষ্য রয়েছে।”
আমি সবসময় আমাদের তরুণ নির্বাহীদের বলি যে তাদের অবশ্যই লক্ষ্য আছে। একবার বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বাই যাচ্ছিলাম। আমি যখন আমার বোর্ডিং পাস নিয়েছিলাম তখন আমি কোনো এলোমেলো গেটে যাইনি। আমি সেই গেটে গিয়েছিলাম যেখান থেকে আমি মুম্বাইয়ের ফ্লাইটে উঠতে পারি। এবং একবার আমি বিমান থেকে নামার পরে, আমি প্রথম ক্যাবটি ধরে বলিনি “ শুরু করো যাত্রা, কিছুক্ষণ ঘুরেফিরে দেখা যাবে কোথায় যাওয়া যায়!” 
বরং আমি হোটেলের নাম এবং যেখানে অবস্থিত তার নাম বলেছি। আমি হোটেলে পৌছে এলোমেলো ভাবে কোনো রুমে না গিয়ে আমার বরাদ্দকৃত রুমের চাবি নিয়ে সোজা আমার রুমের দিকে গিয়েছি। 
  মোদ্দা কথা হলো যে, ভ্রমনের মতো একটি সহজ এবং সরল জিনিসের ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াই না। তবে আমরা মনে করি যে লক্ষ্যহীন ঘোরাঘুরি আমাদের জীবন ও অর্থের জন্য কাজ করবে। মনে রাখবেন, যারা সব সময়ই জয়ী হয় তাদের লিখিত লক্ষ্য থাকে। লক্ষ্যগুলো হলো আপনি যা অর্জন করতে চান তার দিকনির্দেশনা। বিখ্যাত লেখক এবং বক্তা জিগ জিগলার বলেছেন, 'যদি আপনি কিছুই লক্ষ্য না করেন তবে আপনি প্রতিবারই আঘাত পাবেন”
লক্ষ্য ছাড়া কাজ করা একটি মায়ার মত। আপনি অনুভব করেন যে আপনি অনেক কিছু করছেন, কিন্তু আপনি যা চান তা নয়। আপনি শুধু আপনার ছাড়া সবার স্বপ্ন পূরণে ব্যস্ত। আপনার লক্ষ্য স্থির করা আপনাকে পরিশেষে কী চান তা স্পষ্ট করে দেয়। এটা আপনাকে আপনার মনের মধ্যে ভাসমান আকাঙ্ক্ষাগুলোকে স্পষ্ট করে তোলে। এটা নিশ্চিত করে যে আপনি আপনার সময়, শক্তি এবং প্রচেষ্টাকে এমন জিনিসগুলোতে ব্যবহার করছেন যা আপনার কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। সংক্ষেপে, এটগা আপনাকে আরও সচেতনভাবে বাঁচতে সাহায্য করে। তবে আমি বলব, এটা সচেতনভাবে বেঁচে থাকার একটি ভাল উপায়।
আমি অনেক বুদ্ধিমান ও সম্ভাবনাময় মানুষকে দেখেছি তারা তাদের অর্থপূর্ণ জীবনকে বর্ণাঢ্য হতে দেন নাই, কারণ তারা তাদের পিতামাতা, বস, সমাজ বা অন্যরা যা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো তার কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য। 
 আপনি যদি মনে করেন, যে আপনি আরও ভাল কিছু পাওয়ার যোগ্য তবে আপনাকে এই একঘেয়েমি ভেঙে নিজের জীবন তৈরি করতে হবে। জিগ জিগলার একবার বলেছিলেন, “আপনার কাছে যে শক্তি আছে আপনি যদি তাকে কাজে না লাগান, নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে ফোকাস না করেন তবে আপনি কখনই কোনো কিছু অর্জন করতে পারবেন না। বন্য সিংহের শিকার একা বের না হলে, পালের সাথে বের হয়। তখন সিংহ সেই পালেই আক্রমণ করে এবং তার নির্দিষ্ট লক্ষ্য হিসেবে একটি পশুকে বেছে নেয়। তাকে শিকার করে ঘরে টেনে নিয়ে আসে।”

কোন রিজার্ভেশন ছাড়াই, আমি বলি যে আপনি যেই হোন না কেন, আপনি যেখানেই থাকেন না কেন এবং যাই করেন না কেন আপনার লক্ষ্য থাকা উচিত। ব্রায়ান ট্রেসি সুন্দর একটা কথা বলেছেন, "স্পষ্ট লক্ষ্যের সাথে গড় বুদ্ধিমত্তার একজন ব্যক্তি এমন একজন প্রতিভার অধিকারী মানুষের সাথে থাকবে যিনি আসলে নিশ্চিত নয় যে তিনি আসলে কী চায়।" শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য থাকতে হবে। বিক্রয় কর্মীদের লক্ষ্য থাকা উচিত। গৃহিণী, মা, ডাক্তার, ব্যাংকার, প্রকৌশলী এবং ক্রীড়াবিদদের লক্ষ্য থাকতে হবে। আপনার অবশ্যই একটি লক্ষ্য থাকতে হবে। 

মিঃ আনন্দ লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সেগুলো লেখার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করার পরে, আমাকে আরেকটি উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অধিকাংশ লোকের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কম থাকে কারণ তাদের লক্ষ্য পূরণের পর্যাপ্ত কারণ নেই। তারপর তিনি আরও বলেন, "মানুষ ব্যর্থ হয়, তার কারণ এটা নয় যে তারা যথেষ্ট বুদ্ধিমান নয়, বরং এর কারণ তাদের সফল হওয়ার যথেষ্ট কারণ নেই।”
সেদিন আমার দ্বিতীয় শিক্ষা ছিলো, লক্ষ্য পূরণের যথেষ্ট কারণ আছে। 

 আপনার লক্ষ্য অর্জন করার জন্য আপনার কি যথেষ্ট কারণ আছে? যদি তা না হয়, তাহলে আমি পরামর্শ দেব যে আপনি আরও ভালভাবে চিন্তা করুন এবং এর কারণগুলো কল্পনা করুন৷ আপনি যে লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে চান। কেন আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে চান? কার জন্য আপনি এটা সম্পন্ন করতে চান? এটা কি উদ্দেশ্যে সম্পন্ন করা হবে? আপনার কৃতিত্ব দ্বারা কে উপকৃত হবে?

এটা কি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য সুখ নিয়ে আসবে? আপনি দেখতে পাচ্ছেন, সবারই ভাল করার এবং তাদের লক্ষ্যগুলো অর্জন করার প্রায় অনেক কারণ থাকতে পারে। এখানে চাবিকাঠি হলো যথেষ্ট কারণ আছে এবং সেগুলো প্রণয়ন করতে হবে। 

আমি বারবার জানতে পেরেছি যে লক্ষ্য আপনার গন্তব্যের মতো, কিন্তু "কারণ" হলো আপনার চালিকা শক্তি, এটা সেই জ্বালানী যা আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে চালিত করবে। “কারণ” ছাড়া একটি লক্ষ্য একটি আত্মা ছাড়া একটি শরীরের মতো। যদি আপনার লক্ষ্য হয় আপনার প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) হওয়া কিন্তু আপনার কাছে তা পূরণ করার পর্যাপ্ত কারণ না থাকে, তাহলে এখানে সম্ভাবনা হলো আপনি সেই স্তরে পৌঁছাতে পারবেন না। তবুও যদি আপনি ভিপি হোন, তাহলে আপনি আপনার এ জন্য যথেষ্ট সময় ব্যয় হবে। যাইহোক, আপনি যদি আপনার পরিবারের সদস্যদের সুখী এবং হাসিখুশি মুখ, একটি বড় ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, আপনার সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের কাছে থেকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা পাবেন যদি আপনি ভিপি হতে পারেন, তা কল্পনা করতে পারেন। তাহলে দেখবেন, অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে আপনার ভিপি হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে।
মনে রাখবেন, যদি আপনার যথেষ্ট কারণ থাকে, তাহলে সব সম্ভাবনাতেই আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

কেন মানুষ লক্ষ্য নির্ধারণ করে না?

যদি লক্ষ্য নির্ধারণ এতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে কেন মানুষ নিজেদের জন্য স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে না? এর একাধিক কারণ থাকতে পারে। যাইহোক, তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে তাদের ইতিমধ্যে লক্ষ্য রয়েছে এবং তারা সেই লক্ষ্যগুলো অর্জন না করা পর্যন্ত নতুন কোনো লক্ষই নিজেদের জন্য নির্ধারণ করবে না। তবে এখানে একটি কথা আছে, বেশিরভাগ লোকেরা যেটাকে তাদের লক্ষ্য বলে মনে করে তা আসলে লক্ষ্য নয় বরং নিছক কল্পনা। অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে খোঁজখবর নেওয়ার পর তাদের লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে জানতে পারি। তাদের দৃষ্টিতে তাদের লক্ষ্যগুলো হলো..
'আমি ধনী হতে চাই'। (অথচ লক্ষ্য হলো : আগামী পাঁচ বছর পরে আমি ক কোটি টাকার মালিক হতে চাই।)
'আমি সুখী এবং সন্তুষ্ট হতে চাই। 
'আমি ওজন কমাতে চাই."
'আমি সফল হতে চাই'।
'আমি আমার প্রতিষ্ঠানে একটি বড় পদ পেতে চাই।"
"আমি একজন ভাল বাবা/মা হতে চাই এবং আমার বাচ্চাদের আরও ভালভাবে যত্ন নিতে চাই।
তবে এগুলোর মধ্যে সব চেয়ে বিখ্যাত লক্ষ্য হলো “ আমি আমার জীবনে বড় কোনো কিছু করতে চাই।”
এটা পড়ে আপনি হয়তো হাসছেন, কিন্তু এটা দিবালোকে স্বপ্ন দেখা ছাড়া আর কি?
এগুলো মোটেও লক্ষ্য নয়। এগুলো নিছক কল্পনা, যা সবার কাছে সাধারণ একটি লক্ষ্য। 
লক্ষ্য হলো সাধারণ ইচ্ছে থেকে স্বতন্ত্রভাবেই ভিন্ন। লক্ষ্য হতে হয় স্পষ্ট, লিখিত এবং নির্দিষ্ট। এটা অন্য ব্যক্তির কাছে সহজেই উপস্থাপন করা যায়। এটা পরিমাপ করা যায় এবং আপনি এটা সম্পর্কে জানেন যে তা আপনি অর্জন করছেন নাকি করছেন না।
পিটার ড্রাকার তার ম্যানেজমেন্ট বাই অবজেক্টিভস আর্টিকেলে বলেছেন “লক্ষ্যগুলো স্মার্ট হতে হবে।” তিনি আসলে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, বাস্তবসম্মত এবং সময়সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত। নিচের সারণীতে, আমরা দেখব কিভাবে আমরা তা নির্ধারণ করতে পারি।

একটি লক্ষ্যের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি হলো এটা সময়সীমাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। যদি লক্ষ্যের জন্য কোন সময় সীমা নির্ধারণ করা না থাকে তাহলে আপনি দেরি করতে থাকবেন এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনি এটা অর্জন করতে পারবেন না। যাইহোক, একটি সময়সীমা নির্ধারণ করার মাধ্যমে আপনি নিজেই নিজেকে ধাক্কা দিতে থাকেন। আপনি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেন এবং তারপরে আপনি নিজেকে সেই পথে রাখেন যা আপনাকে শেষ পর্যন্ত আপনার লক্ষ্যে নিয়ে যাবে। ডায়ানা স্কার্ফ দুর্দান্ত একটা কথা বলেছেন, “লক্ষ্য হলো সময়সীমার সাথে একটি স্বপ্ন। আমি এখানে আরও একটি উপাদান যোগ করব। সেটা হলো কর্মপরিকল্পনা”।

 মানুষ লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে না, তার দ্বিতীয় কারণ হলো তারা কখনই লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। 
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের অভিভাবক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আমাদের লক্ষ্য কি হবে সেটা, আমরাও সেই পথে চলেছি। আমাদের সব সময় বলা হয়েছে স্কুল বা কলেজে পরীক্ষায় কত নম্বর পেতে হবে, কি রেজাল্ট করতে হবে। এমনই আমাদের কোন কলেজে পড়ার, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার লক্ষ্য হওয়া উচিৎ সেটাও তারা আমাদেরকে নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখানেই শেষ না, আমাদের জীবনসঙ্গী থেকে শুরু করে কত বছর বয়সে বাচ্চা নিতে হবে, কতগুলো বাচ্চা আমাদের থাকা উচিৎ সেটাও তারা নির্ধারণ করে দেয়। আমরা সেগুলোকে নিজেদের লক্ষ্য বানিয়ে সে পথেই চলতে থাকি। 

সুতরাং, এখানে যাদের বয়স ২৫ এবং কর্পোরেট জগতে প্রবেশ করছে তারা কখনো নিজেদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। এটা আমার কাছে বিস্ময়কর নয় যে, তিনি
কর্মজীবনে যোগদান করেছেনন এবং উপার্জন শুরু করেছে। এখানে সে যাই করবে তা তার বসের নির্ধারণ করা লক্ষ্য, নিজের না। 

একবার আমি একটি আপমার্কেট রিসর্টে আমার কোম্পানির একটি “রিভিউ-মিটিংয়ে” অংশগ্রহণ করছিলাম। কোম্পানির শীর্ষ ম্যানেজমেন্ট সেই বছরই আমাদের কী অর্জন ছিল এবং আমাদের কী লক্ষ্য অর্জন করা উচিত সে সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা দেন।

আমি সভায় উপস্থিত লোকজনের চারপাশে তাকালাম। এরা সবাই ছিলেন পাকা ব্যাংকার, আন্তরিক ও পরিশ্রমী কর্মচারী। তারা সবাই শীর্ষস্থানীয় কর্তারা যা করতে বলছিলো তার সাথে একমত হয়ে মাথা নেড়েছিল, আমি জানতাম তারা তাদের শীর্ষ ব্যবস্থাপনাকে হতাশ করবে না। 
তারা অনেক কঠোর পরিশ্রম করবে কোম্পানির লক্ষ্যগুলো পূরণ করার জন্য। এখানে আমি দেখেছি, কিভাবে কোম্পানি তার কর্মীদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং শেয়ারহোল্ডারদের মান বাড়াতে পারে। সকল কোম্পানিই জানে এবং বুঝে যে তারা নিজেদের কর্মীদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিলে এবং অর্জনের পরিকল্পনা করার মাধ্যমে নিজেদের বৃদ্ধি করতে পারে। 

 কিন্তু এই যে কোম্পানির কর্মচারী, কর্মকর্তা আছে তাদের লক্ষ্যের কি হবে? কে যত্ন করে এসবের? কর্মচারীরা কোম্পানির নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে, লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং সময় অনুযায়ী পূরণ হয়। ফলে শেয়ার হোল্ডাদের দাম বাড়ে, মানও বাড়ে। এতে সবাই খুশি। সত্যিই কি সবাই খুশি? আমার কিন্তু সন্দেহ আছে।

আমি বলছি না আপনার কোম্পানির লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করা উচিৎ না। আমি মূলত বলতে চাই, কোম্পানির লক্ষ্য অর্জনের আগে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, পরিকল্পনা করুন।শেয়ারহোল্ডারদের জীবন উন্নত করার জন্য কাজ করার আগে আপনার নিজের জীবনকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
এখানে সহজ একটা উপায় হলো, আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য এবং কোম্পানির নির্ধারণ করা লক্ষ্যকে একত্রিত করুন। 
ফলে আপনার এবং কোম্পানির উভয়েরই বৃদ্ধি হবে। ধরুন, কোম্পানি আপনার সেল টার্গেট দিলো ৫০ লক্ষ পিস, আপনার নিজস্ব লক্ষ্য হলো তিন লাখ সেলস কমিশন৷ তাহলে দেখা যাবে আপনি সেলস কমিসন এর সাথে বেস্ট সেলার এর তকমাটিও পেয়ে যাবেন। আবার কোম্পানিও অধিক সেল পাবে৷ 

কোনো কাজ করাই কোনো অর্জন নয়
আমরা অনেকেই মনে করি, আমরা যখন কোনো কিছু করতে ব্যস্ত থাকি তখনই আমরা কিছু অর্জন করি। তবে এটা সব সময় এমন না-ও থাকতে পারে। প্রখ্যাত ফরাসি প্রকৃতিবিদ ও উদ্ভিদবিদ জিন-হেমরি ফ্যাব্রে একবার পাইন-দলের শুঁয়োপোকার উপর একটি পরীক্ষা পরিচালনা করেছিলো। তাদের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, এরা পূর্ববর্তীদের প্রচুর অনুসরণ করে। একদিন ফ্যাব্রে একটা ফুলের পাত্র নিয়ে বেশ কয়েকটি পাইন রাখলো। পাত্রের রিমের চারপাশে শুঁয়োপোকার দল ঘুরতে থাকলো। প্রতিটি শুঁয়োপোকার মাথা তার সামনের শুঁয়োপোকার লেজের সাথে স্পর্শ করে। বৃত্তের মতো পাত্রের রিমের চারপাশে তারা ঘুরতে থাকলো। বৃত্তের মাঝামাঝি জায়গায় শুঁয়োপোকার প্রিয় খাবার রাখা ছিলো। কিন্তু প্রতিটি শুঁয়োপোকা খাবারের দিকে যাচ্ছে ভেবে সামনের শুঁয়োপোকাকে অনুসরণ করতে থাকলো। নির্বোধভাবে তারা সাতদিন এভাবে চলার পরে মারা গেলো। এখানে তাদের খাবার ছিলো মাত্র ৬ ইঞ্চি দূরে, কিন্তু তারা সেটা না করে তাদের সামনের পোকাকে অনুসরণ করে বৃথা চেষ্টা করতে থাকল। 

আমরা মানুষ সবাই আলাদা। সৃষ্টিকর্তা আমাদের লক্ষ্য বেছে নেওয়ার এবং আমাদের দিক পরিবর্তন করার ক্ষমতা দিয়েছেন যাতে আমরা তা পূরণ করতে পারি। কিন্তু আমরা কি করি? অন্ধের মতো অনুসরণ করতে থাকি। ফলে আমরা খুব অল্প কিছুই পাই, অথচ আমাদের অল্প একটু দিক পরিবর্তন করলেই অনেক বড় সমৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ ছিলো। 
অনেক মানুষই এই পোকার মতো ভুল করে, ফলে তারা ফসলের খুব অল্প অংশই পায়, অথচ তাদের জন্য ছিলো অপার এক সম্ভাবনা। আমরা প্রায়ই, কোনো কারণ ছাড়াই একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে থাকি এই বলে যে “এটা সব সময় এমনভাবেই করা হয়েছে।” 

একবার এক ছেলেকে তার স্ত্রী হ্যাম কিনতে দোকানে পাঠিয়েছিলো। হ্যাম হলো এক ধরণের প্রক্রিয়াজাত মাংস। যা হোক হ্যাম কিনে আনার পরে ছেলেটি দেখলো, তার স্ত্রী হ্যামের এক প্রান্ত কেটে ফেলে দিলো। তখন সে তার স্ত্রীকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তার স্ত্রী জবাবে বলল “আমি এমনটা জানিনা, তবে আমার মা সব সময় হ্যামের এক প্রান্ত কেটে ফেলত।”
জবাব শুনে সে তার স্ত্রী সহ মায়ের কাছে গেলো কারণ জানতে। তার স্ত্রীর মা বলল, আমি এমনটা জানিনা। আমি নিজেও দেখেছি আমার মাকে এমন করতে।
ছেলেটি এই তিন প্রজন্মের এমন রহস্য জানার জন্য শাশুড়ি,স্ত্রী সহ দাদি শাশুড়ীর কাছে গেলো। দাদি শাশুড়ির জবাব ছিলো “আমি এমনটি করতাম কারণ আমার টোস্টারটি আকারে ছোট ছিলো, এ কারণে রান্না করার জন্য কাটতে হতো।”

অতঃএব কাজটি লক্ষ্যের অনুকূলে থাকা পরিকল্পনা অনুযায়ী করুন। অন্যরা যা করছে তা করতে যাবেন না।

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

লক্ষ্য নির্ধারণের গুরুত্ব, লক্ষ্য নির্ধারণ করার পরে তা কিভাবে আমাদের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করে সেগুলোতো আমরা জানতে পারলাম। এবার জানা যাক, কিভাবে আমরা নিজেরা নিজেদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করব। বিখ্যাত আমেরিকান উদ্যোক্তা, লেখক এবং বক্তা জিম রোহন লক্ষ্য নির্ধারণের একটি দুর্দান্ত উপায় বলেছেন। লক্ষ্যগুলো একটি বড় পদ্ধতিতে নির্ণয় করতে হয়। এ জন্য আপনাকে একটি খাতা কলম নিয়ে বসতে হবে। এরপর খাতায় নিচের মতো করে লিখুন।

লক্ষ্য: এটা হলো আপনার গন্তব্য। এটা হতে পারে আপনি যা হতে চান, যে কোনো বস্তুগত অধিকার আপনি অর্জন করতে চান, যে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে চান বা কোনো নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা যা আপনি উপলব্ধি করতে চান। যেমন: ছুটিতে/ভ্রমনে যাওয়া।

যেমনটি আমরা আগে আলোচনা করেছি, আপনার লক্ষ্যগুলো নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য এবং চ্যালেঞ্জিং হওয়া দরকার। এগুলো আপনাকে অবশ্যই কিছুটা বড় করতে হবে এবং অতীতে আপনি যা অর্জন করেছেন তার বাইরে হতে হবে। এছাড়াও, আপনার লক্ষ্যগুলোতে সাফল্যের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকা উচিত। এটা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে কিছুটা চাপযুক্ত করে তুলবে, তবে এটা আপনাকে বৃদ্ধি পেতে, প্রসারিত করতে বাধ্য করবে। আপনার এমন অনেক সেরা গুণাবলী বের করে আনবে যেগুলো সম্পর্কে আপনি জানেন না।

লক্ষ্য পূরণের সময়সীমা/সম্পন্ন করার সময়: এটা আপনার লক্ষ্য তালিকার প্রতিটি লক্ষ্যকে অর্জন করতে আপনাকে যে মাস বা বছরের সময় আছে তার সংখ্যা বা পরিমাপ বলে দেয়। একবার আপনি এটা সম্পন্ন করার পরে, আপনার লক্ষ্যগুলো ভারসাম্যপূর্ণ কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি দেখেন যে আপনার দশ বছরের লক্ষ্য অনেক বেশি কিন্তু এক বছরের লক্ষ্য খুব কম, তাহলে এর অর্থ হতে পারে যে আপনি লক্ষ্যের তারিখ স্থগিত করে বর্তমান সময়ে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে, আপনার যদি খুব কম দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য থাকে, তাহলে সম্ভবত আপনি সিদ্ধান্ত নেননি যে আপনি দীর্ঘমেয়াদে কী ধরনের জীবন গড়তে চান। এখানে চাবিকাঠি হলো স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বিকাশ করা।

বিশদভাবে বর্ণনা/ লক্ষ্যের বিস্তারিত বর্ণনা: আপনার লক্ষ্যকে বিশদভাবে বর্ণনা করুন। উদাহরণস্বরুপ, আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ সঞ্চয় করতে চান তবে শব্দ ও সংখ্যায় লিখুন। আপনি যদি কোনো বস্তগত বিষয় হয়, তাহলে কতক্ষণ, কত উচ্চতার, রঙ কেমন, মডেল কোনটা এসব সহ বর্ণনা করে লিখুন। 
যদি ব্যবসার লক্ষ্য হয়, তাহলে বেতন, শুরু তারিখ, বাজেট, শিরোনাম, বাজেটের অধিনে থাকা কাজ, আপনার নিয়ন্ত্রণ, কর্মীর সংখ্যা ইত্যাদি লিখুন।

কারণ: এটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা হলো আপনার লক্ষ্যের আত্মা। আপনি কেন বর্ণিত লক্ষ্যগুলো অর্জন অর্জন করতে চান তা এখানে উল্লেখ করতে হবে৷ এখানে, আপনি খুঁজে পাবেন যে আপনি সত্যিই এটি চান কিনা। আপনি কেন এটা চান তার যদি আপনি একটি স্পষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য কারণ নিয়ে আসতে না পারেন তবে আপনার এই লক্ষ্যটিকে একটি বাতিক হিসাবে ভাবা উচিৎ। সত্য হিসাবে নয়। কারণের মাধ্যমে আপনি আসলে গুরুত্বটা বুঝতে পারবেন, প্রয়োজনটা বুঝতে পারবেন৷ 

এর মাধ্যমে আপনি পরিমার্জিত এবং সংশোধিত করতে পারবেন আপনার লক্ষ্যগুলোকে৷ তাই এভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন সহজেই। 

আপনার লক্ষ্য অর্জন

আপনি যখন আপনার লক্ষ্যগুলোকে নির্ধারণ করবেন এবং সেগুলোকে কাগজে লিখে ফেলবেন তখন প্রক্রিয়াটি দ্বারা সহজেই অভিভূত হবেন। আপনার প্রতি আমার প্রথম পরামর্শ হলো, আপনি একটু আরাম করুন। 
আপনার যদি মনে হয়, আপনি যা চান তা পারবেন না তাহলে জিম রোহানের কথাটি মনে রাখবেন আপনার ক্ষমতা আপনার স্বপ্নের সাথে বাড়তে থাকবেন”।

এটাই লক্ষ্য নির্ধারণের যাদু। আপনি যখন আপনার লক্ষ্যে কাজ করা শুরু করবেন তখন আপনি আপনার অব্যবহৃত সম্ভাবনা এবং প্রতিভাগুলোকে খুজে পাবেন৷ এমনকি সময়ের সাথে সাথে আপনি আপনার সৃজনশীল মনের গভীরে নতুন সম্ভাবনা দেখবেন। আপনি এটা জানার আগে, আপনি এমন জিনিসগুলো সম্পাদন করতে সক্ষম হবেন যা অর্জন করা অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল।
এছাড়াও আপনি আপনার লক্ষ্যগুলোর জন্য যত বেশি কাজ করবেন, তত বেশি নতুন সুযোগগুলো আপনার সামনে উপস্থিত হবে। আপনি চিন্তাভাবনা এবং বাহ্যিক কারণগুলোকে ফিল্টার করা শুরু করবেন যা আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এটা আপনাকে আরও বেশি সুযোগ পেতে সহায়তা করবে। আর প্রতিটি নতুন সুযোগের

Saturday, May 11, 2024

ঈমান দুর্বলতার আলামত, কারণ ও চিকিৎসা

⛔ ঈমান দুর্বলতার আলামত, কারণ ও চিকিৎসা

🔻 প্রথম: ঈমান দুর্বলতার কতিপয় আলামত (১৯টি পয়েন্ট)

১. পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া
২. অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া
৩. মজবুতভাবে ইবাদত না করা 
৪. ইবাদতে অলসতা করা
৫. অন্তরে সংকীর্ণতা অনুভব করা
৬. কুরআনের আয়াত, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, আযাব-গযব এবং কিয়ামতের বিবরণ শুনে প্রভাবিত না হওয়া
৭. আল্লাহর যিকির-আযকার, দুয়া ইত্যাদির ব্যাপারে অমনোযোগী থাকা
৮. আল্লাহর বিধান লঙ্ঘিত হতে দেখলেও মনে রাগ বা ক্ষোভ সৃষ্টি না হওয়া
৯. নিজেকে লোক সমাজে প্রকাশের মনোবাসনা সৃষ্টি হওয়া
১০. প্রচণ্ড অর্থলিপ্সা ও কৃপণতা করা
১১. এমন কথা বলা যা সে নিজে করে না।
১২. কোন মুসলিমের বিপদ দেখে আনন্দিত হওয়া
১৩. কল্যাণকর কাজকে তুচ্ছ মনে করা বা ছোট ছোট নেকীর কাজকে গুরুত্ব না দেয়া
১৪. মুসলিমদের বিভিন্ন ঘটনাবলীতে গুরুত্ব না দেয়া
১৫. বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়া 
১৬. বিপদাপদ বা সমস্যায় মুষড়ে পড়া
১৭. তর্ক-বিতর্ক ও ঝগড়াঝাঁটি করা
১৮. দুনিয়ার প্রেমে মগ্ন থাকা
১৯. খাদ্য-পানীয়, পোশাক-পরিচ্ছদ, গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদিতে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া।

🔻দ্বিতীয়: ঈমান দুর্বলতার কারণ (৮টি পয়েন্ট)

১. দীর্ঘ সময় ঈমানী পরিবেশ থেকে দূরে থাকা
২. সৎ, আদর্শবান ও অনুসরণীয় মানুষের সংশ্রব থেকে দূরে থাকা
৩. দ্বীনের ইলম (জ্ঞান) অন্বেষণ থেকে দূরে থাকা
৪. পাপ-পঙ্কিল পরিবেশে বসবাস করা
৫. দুনিয়াবি ব্যস্ততায় নিমগ্ন থাকা
৬. ধন-দৌলত, সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রী-পরিবার নিয়ে ব্যস্ততায় ডুবে থাকা
৭. সুদীর্ঘ আশা
৮. অতিরিক্ত পানাহার,অতিরিক্ত ঘুম অথবা নিঘূর্ম রাত কাটানো। অনুরূপভাবে মানুষের সাথে মেলামেশা ও উঠবসের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় অপচয় করা।

🔻 তৃতীয়: ঈমান দুর্বলতার চিকিৎসা (১৯টি পয়েন্ট)

১. আল কুরআন অধ্যয়ন করা
২. মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ব অনুধাবন করা,তাঁর নাম ও গুণাবলীগুলো সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করার পর সেগুলোর মর্মার্থ জেনে-বুঝে সেগুলোকে অন্তরে গেঁথে নেয়া এবং কাজে-কর্মে তার প্রতিফলন ঘটানো।
৩. দ্বীনের ইলম অন্বেষণ করা
৪. যে সকল বৈঠকে আল্লাহর যিকির তথা আল্লাহ এবং আল্লাহর দ্বীন সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেগুলোতে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া
৫. অধিক পরিমাণে নেকীর কাজ করা এবং সব সময় নেকীর কাজে লেগে থাকা
৬. বিভিন্ন প্রকারের ইবাদত করা
৭. অধিক পরিমাণে মৃত্যুর কথা স্মরণ করা
৮. ঈমান নবায়নের অন্যতম উপায় হল,আখিরাতের বিভিন্ন মনজিলের কথা স্মরণ করা
৯. প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘটনাবলীতে প্রভাবিত হওয়া
১০. আল্লাহর যিকির
১১. আল্লাহ তাআলার কাছে নিজের দীনতা তুলে ধরে দুয়া-মুনাজাত করা
১২. বেঁচে থাকার লম্বা আশা না করা
১৩. এ কথা চিন্তা করা যে, পার্থিব জীবন খুবই নগণ্য।
১৪. আল্লাহর বিধি-বিধান ও-নিদর্শনাবলীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
১৫. আল ওয়ালা ওয়াল বারা (ঈমানদারদের সাথে বন্ধুত্ব এবং কা/ফে/র/দের সাথে শত্রুতা পোষণ করা)
১৬. বিনয় অবলম্বন করা।
১৭.অন্তরের কতিপয় বিশেষ কাজ। 
১৮. আত্মসমালোচনা। 
১৯. ঈমান নবায়নের জন্য দুআ করা।

মূলঃ শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ
অনুবাদকঃ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

Sunday, May 5, 2024

কর্পোরেট প্রস্টিটিউশন

কর্পোরেট প্রস্টিটিউশন

এই সম্পর্কে যারা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সিগুলোতে কাজ করতেছেন তারা ছাড়া বাকিরা কেউ ভাবতেও পারবেন না সমাজে কি চলছে। বর্তমান কর্পোরেটে এটা একটা ক্যান্সার হয়ে গেছে। ভোগবাদী আর শো-অফের নেশায় নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করছে না মেয়েরা। পুরুষের লালসা আর ফাঁদে পা দিয়ে নিজে বুঝে উঠার আগেই চরিত্র বিকিয়ে দিচ্ছে সদ্য ভার্সিটি পাস করা মেয়ে। ব্যাপারটা শুধু ছোট কিংবা বড় প্রতিষ্ঠান নয় সব জায়গায় একই ভয়াবহ ক্যান্সার। পাবলিকের মেধাবী মেয়ে বা প্রাইভেটে অ্যাভারেজ মেয়ে নয়, সত্যি বলতে কোনো বাছবিচার নাই। পাবলিক, এনএসইউ, অনার্স কলেজ, প্রাইভেট সব জায়গার ভালো পরিবার, স্বচ্ছল পরিবার, অভাবী পরিবার কোনো বাছবিচার নাই বিশ্বাস করেন। নাস্তিক উগ্র মেয়ে কিংবা নামাজী মেয়ে সবাইকে এই ফাঁদে পা দিতে দেখে ফেলেছি অলরেডি। হ্যা, নিজের কথাই বলছি পাশাপাশি আমার বন্ধুদের অনেকেই আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে আছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। আসেন আপনাদের কিছু সিনারিও দেখাই।

আমরা যারা ছেলেরা চাকরি করছি করেছি তাদের অভিজ্ঞতা আছে একটা ইনক্রিমেন্ট, একটা প্রমোশনের জন্য আমরা কি কি করেছি। রাতদিন ডিউটি, নাইট, আনলিমিটেড অফিস আওয়ার, দেশের নানা প্রান্তে সফর, রাতদিন এক করে ফোনকল ফলোয়াপ কি কি করেছি একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন। কুত্তার জীবন আর আপনার জীবনে কোনো তফাত পাবেন না। বিনিময়ে মাস শেষে আপনার এনে দেওয়া ইনকাম থেকে কোম্পানী আপনাকে দয়া করে কিছু অংশ দিয়ে তার ৪ গুন কীভাবে আদায় করে নেওয়া যায় সেই চিন্তায় মত্ত। এইবার কল্পনা করুন, একজন মেয়ে কোম্পানীতে জয়েন করলো। প্রথম মাসে তার হাতের শাওমি কিংবা মিডরেঞ্জ অপ্পোটি সাডেনলি আইফোনে রুপান্তরিত হলো। সে ছুটি পায় আগে। একজন জিএম গাড়ী না পেলেও একজন মেয়ে এক্সিকিউটিভ গাড়ীতে বাসায় যায়। প্রায়ই ছুটিতে থাকে। হঠাৎ তৃতীয় মাসে কেন যেন তাকে বিদেশ সফর করতে হয় এক্সিবিশন আর মিটিং এটেন্ড করার জন্য। তাও যে সে জায়গায় নয়। দুবাই কিংবা থাইল্যান্ড। এদিকে প্রায় রাতেই তাকে ডিনার করতে হয় লে মেরিডিয়ানে বা ওয়েস্টিনে। 

আশ্চর্যের বিষয়, মেয়েটি এই সুবিধাগুলোকে নিজের যোগ্যতায় পাওয়া সুবিধা মনে করে। কোম্পানী তাকে সেটা ফীল করায়। তাকে মিথ্যা আশ্বাস দেয় এই কয়দিন পরেই তুমি ম্যানেজার হয়ে যাবা, সব তোমারই দেখা লাগবে। মেয়েটিও বিশ্বাস করে। সেজন্য সে বিছানায় যেতেও দ্বিধা করে না। সে ভাবে বয়ফ্রেন্ডের সাথে যেতে যেহেতু দ্বিধা করি না ম্যানেজমেন্টের সাথে যেতে দ্বিধা কই। আর ম্যানেজমেন্টের জন্যই তো আজ হাতে আইফোন, কাঁধে ডিজাইনার ব্যাগ, গায়ে ১৩ হাজার টাকা দামের সেলোয়ার কামিজ। একবারও কি তার মনে উদয় হয় না এই বস্তুগুলোর চেয়ে আমার চরিত্রের দাম লাখ কোটি গুণ বেশী? আমি অবাক হই, কীভাবে এই মেয়েটি রাতে তার স্বামীর পাশে শোয়। কীভাবে তাকে আবার ভালোবাসার কথা বলে? তার মনে কি অপরাধবোধ কাজ করে না একটুও? নিজেকে কি অপবিত্র মনে হয় না? মনে হয় না যে আমি নাপাক হয়ে গেছি? এই নাপাকি কোনোভাবেই দূর করা পসিবল না। আচ্ছা সে কি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না? ভবিষ্যতে যখন আমার সন্তান হবে সেই সন্তানের মা যে দুশ্চরিত্রা মা হয়ে গেলো এটা তাকে ভাবায় না? 

এইবার আরেকটু আগাই আসেন। কিছুদিন পর যখন কোম্পানির এই মহামূল্যবান সম্পদটি হঠাৎ ব্রাত্য হয়ে যায়, যেতে আসতে ঝাড়ি খায়, গালি খায় তখন তার বোধদয় হয় যে আমার থেকে যা নেয়ার সব নিয়ে আমাকে ছূড়ে ফেলা হয়েছে। বোধদয় হয় কি? না হয় না। কারণ কোম্পানি তাকে ছেড়ে দিলেও সম্পর্ক রেখে দেয়। সকালে অফিস না করলেও রাতে ঠিকই ডিউটি করে। হয়তো ওই এক বান্ডেল টাকার লোভে। ছিহ: বাবা মা সারাজীবন তাকে ফুলের মতো করে লালনপালন করে বড় করছে ওয়েস্টিন আর হোটেল সারিনার নিশিকণ্যা হওয়ার জন্য? 

অনেকে পোস্ট করেন যেই আপুরা কক্সবাজার যায় আর আইফোন চালায় তারা কোন কোম্পানিতে কাজ করে। হ্যারে ভাই তারা সব কোম্পানিতেই কাজ করে। 

তবে যেই মেয়েরা নিজেকে বিলিয়ে দেয়া ছাড়া জব করে তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন জব কত কষ্ট। একটা আইফোনের দাম কত। একটা শখ পুরা করতে তাকে কত ঘন্টা অফিস করতে হয়েছে। আমি এমনও দেখেছি খারাপ প্রোপোজাল পেলে সাথে সাথে এক সেকেন্ড দেরী না করে রিজাইন দিতে। এমনকি এরকম মানুষও আছে আর কখনো কর্পোরেট জগতেই আসে নি। জবও ছেড়ে দিছে। এমন মানুষ দেখেছি রাতদিন কষ্ট করার পরেও কোম্পানী তাকে মূল্য দিচ্ছে না দেখে জব ছেড়ে দিছে কিন্তু খারাপ কাজে পা বাড়ায় নি।

অফিসের অন্যান্য কলিগরা কি এইসব জানে না? হ্যা জানে, ডে ওয়ান থেকেই তারা সব জানে। ম্যানেজমেন্টের ইশারায় তারা চুপ করে থাকে কিন্তু আড়ালে কি বলে সেগুলা শুনলে ওইসব আপুরা মাটির ১৪ হাত নীচে চলে যাইতো। আসলেও কি যাইতো? মনে হয় না। কারণ একজন বিবাহিত, কয়েক বাচ্চার বাপের বিছানা যারা গরম করতে পারে কিছু টাকার জন্য তাদের আবার শরম কীসের? 

এইজন্য সচেতন অভিভাবকদের বলি আপনার মেয়েকে জবে দেয়ার আগে ১৪ বার ভাবুন। হায়েনার ভীড়ে আপনার আদরের সোনামণিকে ছেড়ে দেয়ার আগে চিন্তা করুন তাকে কতটুকু আগলে রাখতে পারবেন। তাকে চোখে চোখে রাখুন। ঈদের দুইদিন আগে জয়েন করেই ফুল ঈদ বোনাস, হঠাৎ দামী দামী জামাকাপড়, হাতে আইফোন, জয়েন করতে না করতেই প্রমোশন ইনক্রিমেন্ট, দুই মাস ঘুরতে না ঘুরতেই বিদেশে কনফারেন্স এটেন্ড এগুলা দেখলেই বুঝবেন আপনের আদরের সোনামণি এখন একটা কর্পোরেট প্রস্টিটিউট হয়ে গেছে। যার সাথে দৌলতদিয়ার মহিলাদের সাথে পার্থক্য শুধু পে-রোলে।

হ্যাপী কামলাসোদা দিবস

Nayeemul Hasan

Wednesday, May 1, 2024

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


 

(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম শ খানেক টেক্সট+ইমেইল পেয়েছি। এত মানুষকে পার্সোনালি কাউন্সেল করা সম্ভব না, আশা করি এই লেখাটা পড়লে প্রাসঙ্গিক ম্যানিপুলেশন আপনারা ধরতে পারবেন ও নিজের এটেনশনের ভ্যালু বুঝতে পারবেন।)

বেশীরভাগ ছেলেই জানে না যে তাদের এটেনশন হলো কারেন্সীর মতন। এটেনশন যখন ফ্রিতে বিলানো হয় তখন ছেলেরা নিজের রিসোর্সের লেভারেজ হারায় ও নিজের দাম কমায়

মর্ডান চাল্লু মেয়েদের নিজের চারপাশে একদল ‘বেটা মেইল’ ঘুর্ণায়মান অবস্থায় রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এই ধরণের বেটাদের ‘অরবিটার’ নামে ডাকা হয় (কমেন্টে একটা ডেফিনিশন দেয়া হলো)। এরা সেই দল যাদের সাথে মেয়েরা রোমান্টিক্যালি সিরিয়াস হবে না, বড়জোর ব্যাকআপ গাই বানাবে। উপগ্রহের মতন এদেরকে আশেপাশেই রাখবে- কারণ এরা সার্ভাইবলে সাহায্য করে

এসাইনমেন্টে হেল্প করার জন্য, ফ্রিতে পড়া বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অথবা ঝামেলায় পড়লে ডাকার জন্য কিংবা রাত বিরাতে ইমোশনাল গারবেজ গপ্প ডাম্প করার জন্যে হলেও দুই-একজন নিঃস্বার্থ বেটা অরবিটার দরকার

ডুয়াল মেটিং স্ট্র্যাটেজির প্রথমটা হলো ভালো জিনের জন্য মেইটিং, পরেরটা হলো রিসোর্সের জন্য মেইটিং। দুই নাম্বার স্ট্র্যাটেজির বেনেফিটটা বেটা অরবিটারদের থেকে নেয়া হয় ঠিকই আর রিটার্নে দেয়া হয় ঘোড়ার ডিম (মানে অরবিটার মেইটিং পায় না কিন্তু রিসোর্স দেয়)। মেয়ের তরফ থেকে অল্প বা প্রায় বিনা ইনভেস্টমেন্টে এদের উপযোগিতা কাজে লাগানো হয়

তো এই আজগুবি একপাক্ষিক ডিলটা কিভাবে হয়? অরবিটারদের ফিশিং করার পদ্ধতিটা ইন্টেরেস্টিং। যতক্ষণ এরা মূল রোমান্টিক ইন্টারেস্ট লুকিয়ে রেখে বেস্টফ্রেন্ড বা ভাইয়া হিসেবে ঘুরবে, ইনভেস্ট করতে থাকবে- মেয়ে সায় দিবে। একটু সিরিয়াস হতে গেলে মেয়ে আবার পিছায় আসবে

পসিবিলিটি’ দেখিয়ে বলদ ও লাস্টফুল ছেলেদের ব্যবহার করার ব্যাপারটা নতুন না, এটা নিয়ে পশ্চিমে বইও লেখা হয়েছে। মেয়েদেরকেও সালমানেরা ব্যবহার করে। তবে সালমানরা সংখ্যায় কম আর সিম্পরা সংখ্যাগরিষ্ঠ- আগের একটা লেখায় ব্যাখ্যা করেছি

ধরেন ছেলে গিফট দিচ্ছে, টাইম দিচ্ছে, গপ্প করে মেয়ের মন ভালো করছে বা অন্যকোন ভাবে ইনভেস্ট করছে- মেয়ে প্রশংসায় ভাসায় দিবে। এমন ভাব ধরবে যেন কিছুই বুঝতেসে না, এগুলো কিসের লক্ষণ সে যেন জানেই না। যেই না ছেলে একটু এস্কেলেট করতে চাইবে, একটু বেশী রোমান্টিক হিন্টস দিবে- তখনই মেয়ে আলোর বেগে প্রসঙ্গ পাল্টাবে

সাধারনত এভাবে কিছুদিন যায়। একসময় রামভোদাই ছেলে কনফিউজড হয়ে সরাসরি প্রপোজ করে। তখন এরকম দৃশ্যের অবতারণা হয়ঃ

১। সে এক বেদনাদায়ক কাহিনীঃ মেয়ের ফ্যামিলির কোন দুঃখের কাহিনী বের হয়, যে কারণে মেয়েটা এখন এসবের জন্য প্রস্তুস্ত নন- এমন ব্যাখ্যা। অথবা দুষ্ট ছেলেদের সাথে আগের এক্সপেরিয়েন্স থেকে উনি কিভাবে স্ট্রাস্ট ইস্যু ডেভেলপ করেছেন সেই ব্যাখ্যা

২। পবিত্র বারবীঃ ছেলেদের সাথে রেগুলার গ্যাঁজানো মেয়েটি ব্যাখ্যা দিবেন রিলেশন কেন হারাম ও বন্ধুত্ব কেন পবিত্র। ‘আইলাবু’ বলার আগে ফেরেশতাঁরা পাপ লেখা শুরু করেন না- এ বিষয়ের শানে নজুল আলোচনা করা হবে

.৩। তুমি সবার থেকে ভালো ও আলাদাঃ পিতিবিটা বড় স্বার্থপর ভায়া, ভাত ছেটালে একটা চড়ুইও হামাকে দাম দেয় নাই

কিন্তু ব্রো থুমি কিছু পাওয়ার আশা না করেই যে মাস্ত সার্ভিস দিতেসো এতে প্রমাণ হয় তুমি একটা ভালো মানুষ। তোমার মত মানুষ পৃথিবীতে আরো দরকার। তুমি দ্যা বেস্ট, তুমিই স্পাইডারম্যান ও ব্রাদার তেরেসা

৪। তুমি অনেক ইম্পর্ট্যান্ট, তুমিই সব থেকে ক্লোজ কারণ আমি তোমার সাথে সব শেয়ার করিঃ নিকোলাদা বলেছিলেন মেয়েরা যার সাথে ফ্রি হয় তারে রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে মাসিকের ডেট সবই বলে দেয়। তাই এটারে খুব আহামরি কিছু ভাবার দরকার নাই। মেয়েটা মূলত আপনার সময় নষ্ট করছে। সারাদিনের গার্বেজ শেয়ার করে নিজেরে হাল্কা করছে, ফলে লাভটা তারই হচ্ছে

ভাইয়েরা হাম্বা বলদ হোয়েন না, যুগে যুগে মেয়েরা যে পুরুষকে সত্যিকারের ইম্পর্ট্যান্ট ভেবেছে তার কোমরে উঠানামা করেছে, খোশগল্প করে নি। মেয়েরা ঘন্টার পর ঘন্টার গপ্প করে তার সইদের (মেয়ে বন্ধু) সাথে, আপনি মূলত তার বান্ধবী ললিতা ছিলেন

৫। তুমি রেসে এগিয়েঃ মেয়েটা প্রথমে ক্লিয়ার করে নিবে সে আপনার প্রস্তাবে আগ্রহী না

এরপরে কিছু গাজর ও মুলা ঝুলাবে। যেমন ওর মা আপনার কথা রেগুলার জিজ্ঞেস করেন, ছোটভাই, বান্ধবিরা আপনাকে খুব্বি পছন্দ করেন, ওর কাছে আপনার একটা গ্রহনযোগ্যতা আছে ইত্যাদি এবং লেগে থাকলে ভবিষ্যতে সফলতা আসলেও আসতে পারে- এমন হিন্টস দেয়া হবে

৬। তাড়াহুড়ো করছোঃ যদিও আপনি জানেন যে এই মেয়ের পিছে বহুদিন যাবত ঘুরে নিজের পাছা ফাটিয়ে চৌচির করে ফেলেছেন। কিন্তু মেয়ের মতে আপনি আসলে বড্ড তাড়াতাড়ি প্রেম নিবেদন করেছেন, হাদিসে আছে তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ

৭। গিল্ট ট্রিপিংঃ মেয়েটা এডভান্টেজে আছে। ফ্রিতে বিনোদন ও সুবিধা নিচ্ছে থাকে আর ফাটছে ছেলেটার

কিন্তু ছেলে প্রপোজ করলে মেয়েটাই আগ বাড়ায় বলবে, “বড্ড কষ্ট দিলে হে সুজন, তুমিও আমায় ওভাবে দ্যাখো? ছি! (ইশ এভাবে যদি ভার্সিটির পশ গিটারিস্ট ভাইয়াটা দেখতো!) বিশ্বাস ভেঙ্গে দিলে গো, কষ্টে মরে যাচ্চি ওরে।”। ভাবখানা এমন যেন এতদিন হেতীই ইনভেস্ট করেছে আর লসটা যেন তারই হয়েছে

এই টেকনিকের প্রশংসা করতে হয়। কারণ এতে বেচারা ছেলে ওর নিজের কষ্টের কথা বলার আগেই গিল্টের চোটে অফ মেরে যায়। ভবিষ্যতেও প্রণয় ঘটিত সিরিয়াস কথা তুলতে লজ্জা পাবে। আরেক ধরনের গিল্ট ট্রিপ হলো- ধরেন মেয়ে পশ ভাইয়াকে পেয়ে রিলেশনে গেল। এতে লিস্টে থাকা প্রধান অরবিটার হতাশ হয়ে অরবিট করা বন্ধ করে দিলে,

তখন বলা হবে- ‘তুমিও বাকিদের মত স্বার্থপর ছিলে সুজন, নিজের স্বার্থের জন্য এসেছিলে। সত্যিকারের ভালোবাসলে এমন করতে না হু।’

৮। কম্পারিজনঃ আরো ম্যানিপুলেশন আছে যেগুলো বাড়াতে থাকলে একটা বই হয়তো হয়ে যাবে। তবে মেনশন করার মত আরেকটা হলো- অন্যান্য ছেলেদের সাথে কম্পারিজন। লাইক “অমুকে আমার জন্য এই-সেই করেছে, এমুকই আমার আসল কেয়ার করে। অমুকের গুরুত্ব আমার জীবনে অপরিসীম”

চাল্লু মেয়েরা এই কাজটা করে। অন্য অরবিটার বা ছেলের সাথে কম্পেয়ার করে বলদ, স্পাইনলেস পোলাদের মধ্যে কম্পিটিশন ও ডেস্পারেশন বাড়ানো হয়

অনেক মেয়ে কমিটমেন্টের পরেও এই বাঁদরামোটা করে থাকে, কারণ ছেলেটা এই ধরণের বুলশিট প্রথম থেকেই সহ্য করে গিয়েছিল। ফলে স্ট্রং বাউন্ডারি সেট করতে পারে নাই। সরাসরি বলে দেই- ভবিষ্যতে এরকম মেয়েকে বিয়ের ডিসিশনটা অবশ্যই রিকনসিডার করবেন, আর পারলে অবশ্যই ডিচ করবেন

৯। যা সত্যি তাই, নো ম্যানিপুলেশনঃ মেয়ে নিঃসংকোচে সরাসরিই বলবে আপনার জন্য উনি আসলে কিছু ফিল করেন না এবং শুধু বন্ধুই থাকতে চান। মেয়ে সিচুয়েশন ভেদে আপনার জন্য ‘সরি’ও ফিল করতে পারেন অথবা আপনার ফিলিং নিয়ে হাল্কা ট্রোলও করতে পারেন। এরকমটা তখন হয় যখন মেয়েটা আত্নবিশ্বাসী থাকে যে-

ক) সত্যি শোনার পরেও অরবিটিং কন্টিনিউ করার মত তীব্র সিম্প আপনি। উনি জানেন আপনি একজন ডোরম্যাট এবং সত্যিটা জানলেও পিছে ঘুরতে থাকবেন। (জীবন্ত পাপোষদের সাথে মেয়েরা ভয়ানক নির্দয় হতে পারে)

খ) অথবা আপনার ভ্যালু মেয়েটার চোখে এতই লো যে আপনার সাথে আপাতত কোন ফিউচার সে দেখতে পাচ্ছে না। আরো ভালো ছেলে ওর হাতে আছে , সুতরাং আপনারে হারানোর বিশেষ ভয় উনার নাই

দেখেন আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, এতক্ষণ যারা পড়েছেন তারা কোননা কোন সময় উপরের অন্তত দুই-একটা ঘটনা দেখেছেন অথবা অন্যের উপর ব্যবহার করেছেন

প্যাটার্ন জানা না থাকার জন্য অনেক কমবয়সী ছেলেই ম্যানিপুলেশন ও মিক্সড-সিগনাল ধরতে পারে না। মেয়ে তারে একদিন হাসায়, আরেকদিন কাঁদায়- এভাবে অনেক দিন চলার পর সাধারণত কনফিউশনে মাথা হ্যাং হয়ে যায়, তখন আমাকে ইমেইল করে

দেখেন, আরো সহজ করে ভেঙ্গে দেই, ম্যানিপুলেশনটা মূলত দুই ভাবে হচ্ছে-

১) আশা দেখিয়েঃ এভাবে কামলা খেটে গেলে একদিন ভালো কিছু হবে এমন বুঝিয়ে

২) এথিক্স মারিয়েঃ আপনি ভালো ছেলে। প্রত্যাশা না করে অরবিটিং চালিয়ে যাওয়া আপনার একটা পবিত্র এথিকাল দায়িত্ব। ওইযে কিছু ছেলে আছে না? যারা……

গতবছর ভার্সিটি পড়ুয়া এক ছেলে খুবই বাজে অবস্থায় আমাকে টেক্সট করেছিল। সব শোনার পর আমি অনেক বুঝিয়ে তারপর মেয়েটার সাথে সমস্ত যোগাযোগ কেটে দিতে বললাম। তখন সে বলেছিল “কিন্তু ভাইয়া আমাকে ছাড়া যে ও বড্ড একা হয়ে যাবে, আমিই ওর সবচেয়ে কাছের মানুষ। আমি চলে গেলে ও কিভাবে থাকবে?”

বুঝেন এখন বারবীদের ম্যানিপুলেশন কাহারে কয় 😑ছেলের রেজাল্ট খারাপ হচ্ছিল, ডিপ্রেশনে গান্ড ফেটে হাতে চলে আসছিল, তারপরেও সেই মেয়ের কথা ভাবছিল যে তাকে বহু মাস ঘুরাইতে ঘুরাইতে ফ্রেন্ডজোন করে রাখসে

বেচারা মেয়েটার স্বার্থবাদী ইভল নেইচার ধরতেতো পারেই নাই, উল্টো তারে ছোট্ট ডেলিকেট এনজেল মনে করে যাচ্ছিল

সোসাইটি ছেলেদের বুঝাইসে- ‘যেই মেয়ে আপনার ফ্যামিলির না, আপনাকে গুণেনা তাকেও সেইভ করাটা আপনার বড় দায়িত্ব। ইহাই পুরুষত্ব আর ইহাকেই chivalry বলে’। কেউ তো আগ বাড়িয়ে এটাও প্রচার করছে যে কাকোল্ড্রির মাধ্যমেও নাকি পুরুষত্ব জাহির করা যায়

সিউডো পুরুষত্বের বেশ ধরে এরকম white knight তৈরি করাই মূলত গাইনোসেন্ট্রিক কালচারের কাজ। গাইনোসেন্ট্রিক কালচার অরবিটার ধারা চালু রাখতে কিছু ম্যাক্সিম বানিয়েছে যেগুলো আন্ডার এইজড ছেলেদের আরো বেশী ম্যানিপুলেশন-Prone বানায়

একটা কমন ম্যাক্সিম যা নাটক সিনেমার মাধ্যমে পুশ করা হয়, সেটা হলো ‘লংগেইম’। অরবিটারা মনে করে মন জয় করতে হলে দীর্ঘ সময় নিয়ে পিছে ঘুরঘুর করতে হয়। যারা আমার আগের লেখা পড়েছেন তারা জানেন লংগেইম কেন বাকোয়াস

আগের পোস্টের এনবিএ প্লেয়ার ও ডিক্যাপ্রিওদের উদাহরনে বোঝা গেছে ডমিনেন্স হায়ারারকির উপরের পুরুষদের দীর্ঘসময় লাগে না। লংগেইমে সাক্সেস রেট অনেক কম আর ভাগ্যক্রমে সাক্সেসফুল হয়ে গেলেও বাউন্ডারি সেট করতে নানা সমস্যায় পড়বেন কারণ আপনি নিজের স্পাইন বিকিয়ে দিয়েছেন।   

অন্যদিকে চালাক পোলারা কি করবে বলি, এরা নিজের বেনেফিট ১০০% ইনশিউর করবে। এরা জানে ছেলেদের ভ্যালু নির্ভর করে সেলফ ডেভেলপমেন্টের উপর। তাই নিজের রুটিনের সাথে কখনোই কম্প্রোমাইজ করবে না এবং লাইফ নিয়ে ফোকাসড হবে, হাইপারগামীকে নিজের এডভান্টেজে কাজে লাগাবে। ফ্রি এটেনশনতো দিবেই না বরং এটেনশনকে মুদ্রার মত ইউজ করবে

কোন মেয়ে মিক্সড সিগনাল দিলে আনএপোলজেটিক্যালি তাকে বাদ দিয়ে নেক্সট প্রার্থীর সাথে কথা বলবে। এরা ম্যানিপুলেশন ও গিল্ট ট্রিপিং চট করে ধরে ফেলতে পারে। নিজের এডভান্টেজটা জানে, এরা জানে যে যথেষ্ট যোগ্য হইলে মধ্য বয়সেও বহু সুন্দরী মেয়ে পাওয়া যাবে

ফলে এরা ক্ষুধার্ত কাক হয় না এবং একজনের উপর সময় নষ্ট করে না। মোটকথা এরা মার্কেটে নিজের ভ্যালু বাড়ানো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ও মেন্টালি এবান্ডেন্সে থাকে

আমি মনে করি যেসব ছেলেরা নিজের বেস্ট বেনেফিটে অপারেট না করে অন্য লিঙ্গের খেলাধুলার স্বীকার হয়েছে- তার দায় সম্পূর্ণ তাদের নিজের। সবাই নিজের প্রফিটই দেখবে, আপনি দয়ালচন্দ্র রোমিও হয়ে ইউজড হয়েছেন আপনার নিজের কারনে। তাই অন্যকাউকে দোষ দেয়ার আগে নিজেকে দোষারোপ করুন ও এর থেকে বেরিয়ে আসুন

অরবিটাররা ডেস্পারেট থাকে, কারণ তারা মনে করে এমন কাউকে আর পাওয়া যাবে না। এরকম মনে হবার কারণ- তাদের বয়স কম, নিজের লাইফে এখনো যথেষ্ট ভ্যালু এড করে নি, নিজেকে সেই লেভেলে আপগ্রেড করে নি- তাই যথেষ্ট সংখ্যক সুন্দরী মেয়েদের রাডারে আসে নি। অথবা ভালোভাবে ম্যাট্রিমনিয়াল মার্কেটপ্লেস এক্সপ্লোরই করে নি, তাই এখনো scarcity মাইন্ডসেটে পড়ে আছে

সুতরাং নিজের এটেনশন বিলিয়ে না দিয়ে বরং সেই সময়টায় নিজের উপর ওয়ার্ক করেন, ক্যারিয়ার-পার্সোনালিটি ঠিক করেন, লেভেল আপ করেন- বিশ্বাস করেন পেছনে ঘোরা লাগবে না, আরো ভালো মেয়ে এমনিতেই পাবেন। নিজের লাইফস্টাইল বেটার করলে নারী বাই ডিফল্ট একটা আউটকাম হবে, সুতরাং কম বয়সে ‘জাস্ট একজনের প্রতি’ (বা কালেকটিভলিও) ইর‍্যাশনাল অবসেশনটা বাদ দেন। পুরুষদের লেভারেজটা ঘোরাঘুরি, কামলা দেয়ার মধ্যে আসলে নাই সেটা আগে বুঝুন

পশ্চিমের মেয়েরা ম্যানোস্ফিয়ারের উপর ক্ষ্যাপা কারণ একপাক্ষিক সুবিধা নেয়ার স্কিমটা ফাঁস হয়ে গেছে। আমার উপরে ভোদলিব উমেনেরা সব থেকে বেশী ক্ষেপেছিল ‘ছেলে বেস্টফ্রেন্ড’ ও ‘সিম্প’ নিয়ে লেখার পর, যদিও আমি আসলে বকাবকি করেছিলাম মূলত ছেলেদেরই। এখন ‘বেটা অরবিটার’ আগের দুইটার সাথে যোগ হলো

উপরের আলাপ বুঝতে পারলে এটাও বুঝবেন যে, আপনাকে রেঁধে খাওয়ানো, লইয়াল গিন্নি কেন দামী। কারণ তিনি আপনার লাইফে একচুয়ালি ইনভেস্ট করছেন। তাঁকে রেখে ফেইসবুক ও রাস্তার মেয়েকে আপনার দামী এটেনশন কখনোই বিলাবেন না

(শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে সকল বেটা সিম্প-কামলাদের শুভেচ্ছা)

 

মূল লিখাটা ওমন বিন মাহতাব ভাইয়ের। আমার মন্তব্য নিচে দেয়া হলঃ
আপনি আপনার মাহরাম নারীবাদে মানে মা, বোন, মেয়ে, স্ত্রী ইত্যাদি বাদে বাকী কাউকে ভাউ দেয়া মানেই সময় নষ্ট, সময় নষ্ট মানেই জীবন নষ্ট ও বিপদ।