Wednesday, December 14, 2011

অনুগল্প [ Collection of Stories - 08 ]

••••••••• •••••••••••••••
বয়স মাত্র দশ বছর। সদ্য কারামুক্ত মাকে দেখতে আকুলবলিভিয়ান এই বালক কোচাবাম্বায় যাওয়ার উদ্দেশে গোপনে খনিজ পদার্থবাহী একটি ট্রাকে চড়ে বসে। কিন্তু কে জানত, এই ট্রাক তাকে নিয়ে যাবে ভিন দেশে। মাকে দেখতে কোচাবাম্বায় যেতে বলিভিয়ার অরুরো শহর থেকে ট্রকে উঠেছিল ফ্রাঙ্কলিন ভিলসা।
তিন দিন তিন রাত এক ফোটা পানি, খাবার না খেয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উচু র্দূগম আন্দিজ পর্বত পাড়ি দিয়ে ফ্রাঙ্কলিন যখন নামে, তখন আরেক দেশ, চিলি। এ সময় সে পাড়ি দিয়েছে ৫০০ কিলোমিটার র্দূগম পাহাড়ি পথ। ক্ষুধা তৃষ্ণায় কাতর ফ্রাঙ্কলিন চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে এক হাজার১০০ মাইল উত্তরে ইকুইকিউয়ের আলতো হোস পিসিও শহরের রাস্তায় নেমেহতবিহবল। কী করবে বুঝতে পারছে না।
পরে ইকুইকিউ কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে স্থানীয় একটি পরিবারের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। পরিবারের কর্তী মার্গারিতা ফ্লরস শিশুটিকে নেওয়ার আগে প্রচার মাধ্যমগুলোকে বলেন,"আমি একজন মা এবং হতে পারে, শিশুটির মা দূর্দশা ভোগ করছেন।
 

চিলির টিভিএনকে ফ্রাঙ্কলিন বলেছে, "আমি আর কিছুই চাইনি। শুধু মাকে দেখতে চেয়েছিলাম।" শিশুটির এই আকুতি কড়ানাড়া দিয়ে গেছে দুই দেশের মানুষের হৃদয়কে। দুই দেশের কর্তৃপক্ষই মা ও ছেলের মিলন ঘটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।ফ্রাঙ্কলিনের মায়ের দেশ ত্যাগের ওপর নিষেধাঙ্ঘা আছে। তই ছেলেটিকেই ফিরিয়ে নিতে ইতিমধ্যো চিলি গেছেন বিলিভিয়ার কর্মকর্তা। চিলির এটিবি টেলিভিশন নেটওর্য়াকের মাধ্যমে মা ওছেলের মধ্যো কথা বলা ও পর্দায় দুজনের দেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ছেলে মা'কে বলছিল,"আমি তোমাকে দেখতে চাই। আমি কেবল কাচাবাম্বায় যেতে চেয়েছিলাম। তুমি দ্রুত এসে আমাকে নিয়ে যাও মা।" কাদতে কাদতে মা বললেন,"আমি কারাগারে ছিলাম। এখন আমি মুক্ত।আর আমি তোমাকে তোমার বাবা বা ভাইদের কাছে রেখে কোথাও যাবো না। তুমি আমার কাছেই থাকবে।
(সত্য ঘটনা)••••••••• •••••••••••••••
 
গল্পটি নেয়া :  https://www.facebook.com/Golpo143

Tuesday, December 13, 2011

"অনন্ত প্রেমগাঁথা" Collection of Stories - 07

"অনন্ত প্রেমগাঁথা"

তোমার মনে আছে অনন্ত, দীর্ঘ ১৫ টি বছর পর যেদিন তোমার খোঁজ পেলেম আমি ...!
ফোন কল টা অবশ্য তুমিই করেছিলে.........
কার থেকে যে আমার নাম্বার টা নিয়েছিলে আনন্দের অতিশজ্জে টা জানাই হয়নি...... তুমি
বলেছিলে, শিমুল__ আমায় তোমার বাসায় নিবে,আমি তোমার সংসার করা দেখবো ।।
কি ভাবে তুমি ঘর শাজিয়েছ, কি ভাবে তুমি রান্না কর, র কি ভাবেই বা তুমি তোমার ওই বাবু টাকে সামলাও আমি দেখবো শিমুল, আমায় দেখাবে না........................?
আমি বলেছিলেম চলে এসো আমার ছোট্ট পুতুল খেলার মতো বাবুই পাখির সম বাসাটিতে ।।
ভীষণ আনন্দ হচ্ছিলো তুমি নিজে থেকেই আসতে চাইছিলে বলে ...... ভেতরে এক অস্থির
চঞ্চলতা অনুভব ক্করছিলেম...... কি জানি আবার না মত পালটিয়ে ফেল......!!!
কথা হবার দুদিন পর তুমি জানালে, তুমি আজ আসবে; আমি তোমায় আমার বাসার ঠিকানা লোকেশন সব ঠিক মতো বুঝিয়ে বললেম, তুমি বুঝলেও ; আমার বাবুর বাবা কেও বলে রেখেছিলেম যে তুমি আমার বাসায় আসতে চেয়েছ ......
কিন্তু বাসার একটু অদূরে এসে কল করে জানালে তোমায় এগিয়ে আনতে হবে, তুমি নাকি
সব তালগোল পাকিয়ে ফেলেছ .........
এত্ত বছর পরও এক নজরেই চিনেছিলেম তোমায়.................................।

তোমায় নিয়ে ফেরার পথে জানিনে কোথা হতে এক পশলা বৃষ্টি তোমায় আমায় ভিজিয়ে দিয়ে
গেলো ......
অনেকটা সময় ছিলে তুমি, ঘণ্টা দুয়েক .........
তারপর আর এক দিন এসে ছিলে তুমি, সেদিনও তোমায় এগিয়ে আনতে হয় র মনে আছে,
অনন্ত__ সে দিনও বৃষ্টি আমাদের ভিজিয়ে দিয়েছিলো ।।
তুমি জানাতে এসে ছিলে তুমি এই শহর ছেড়ে চলে জাচ্ছ, আর আমি শুধালেম পালাচ্ছ ...???
তুমি বললে এক শহরে থেকে শিমুল, তোমায় ছেঁড়ে, তোমায় না দেখে আমি যে থাকতে পারবোনা ... তার চেয়ে সেই ভাল দূরে থাকা .........।
হটাৎ কোথায় যেন শুন্যতা অনুভব করলেম একটুখানি ......
অনন্ত__ আজো বৃষ্টি হয়, কিন্তু কাউকে আর এগিয়ে আনতে হয়না ......
অনন্ত__ আজো আমি ঘর সাজাই কিন্তু কেউ দেখতে আসেনা !!!
অনন্ত__ সেই যে গেলে অনন্তেরই পথ ধরে আর একটি বারের
তরে ফিরলেনা ___!!!
 
 
 
Written by : Simi Reaj
গল্পটি নেয়া :  https://www.facebook.com/Golpo143